:- দেশে এক দলীয় শাসন চলছে–মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।
বিলেতের আয়না ডেক্স :- দেশে এক দলীয় শাসন চলছে–মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।, ক্ষমতাসীন শেখ হাসিনার অধীনে দেশে কার্যত একটি একদলীয় শাসন কায়েম হয়েছে। দেশের অর্থনীতি, মানুষের রুটি-রুজি ও জাতীয় স্বার্থ যখন বিপন্ন তখন গণ-আন্দোলনকে সর্বাত্মক গণ-অভ্যুত্থানে রূপ দিতে হবে। সেই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার, গণতন্ত্র ও নায় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনে ‘ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার, গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আহ্বানে’ সিপিবি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, শেখ হাসিনা দেশে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। তার ধারণা ডান্ডা মেরে সকলকে ঠান্ডা করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু যত দিন ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না হয় তত দিন পর্যন্ত এই দেশের মুক্তিকামী মানুষকে দমিয়ে রাখা যাবে না। সরকারের বিরুদ্ধে নতুন আন্দোলনের ডাক দিয়ে তিনি আরও বলেন, অনেকেই ভাবছেন সব শেষ হয়ে গেছে। আইয়ুব খানের মহাসমারোহে উন্নয়নের এক দশক উদ্যাপন শেষ হওয়ার আগে তার পতন হয়েছিল। স্বৈরশাসনের অবসান যখন হয় মহাপরাক্রমশালী শাসকের মসনদও বালির বাঁধের মতো মুহূর্তে ভেসে যায়। দুঃখজনক হলেও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে একসময় যাদের সহযোদ্ধা হিসেবে পেয়েছি, আজ স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দায়ে তাদেরই কারও বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সংগ্রাম করতে হচ্ছে। ৭ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচন জনগণ মেনে নেয়নি। ভোট বর্জন করে তারা নীরব প্রতিবাদ করেছে উল্লেখ করে সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, এ দেশের মানুষ বারবার গণতন্ত্রের জন্য বুকের রক্ত দিয়েছে, লড়াই করেছে। এরশাদ স্বৈরাচার পতনের পর অদ্যাবধি দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি। শাসকশ্রেণির রাজনৈতিক দলগুলো শহীদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে। উপরন্তু বর্তমান সরকার মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছে, তারা মানুষের ভাতের অধিকারও দিতে পারেনি। জনসভায় সিপিবি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার বলেন, বিদেশি ঋণনির্ভর মেগা প্রকল্প ও মেগা লুটপাট, বিপুল অর্থ পাচারের মধ্য দিয়ে দেশের অর্থনীতি আজ চরম সংকটাপন্ন অবস্থায় পৌঁছেছে। বাজার নৈরাজ্যকে নীতিগত সুবিধা দিয়ে সরকার মানুষের মুখের অন্ন কেড়ে নিয়েছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংস করে একদলীয় শাসন কায়েম করতে গিয়ে দেশের জাতীয় স্বার্থ নিলামে তোলা হয়েছে। এই অবস্থায় বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষের সামনে গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশে ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, রুটি-রুজির অধিকার সংহত করা ভিন্ন অন্য কোনো বিকল্প নেই। জনসভায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে যোগ দেন। এ সময় সরকারবিরোধী নানা স্লোগান সংবলিত ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড ছিল তাঁদের হাতে। সিপিবি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে ও সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সাইফুল ইসলাম সমীরের পরিচালনায় জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ত্রিদিব সাহা, জেলা কমিটির সদস্য আসলাম খান, আবু তাহের বকুল, হযরত আলী, শংকর আচার্য্য, আব্দুল কুদ্দুস প্রমুখ।