ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৪

জাতীয়

কেয়ার ভিসা’ নিয়ে দুঃসংবাদ দিলো যুক্তরাজ্য।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- কেয়ার ভিসা’ নিয়ে দুঃসংবাদ দিলো যুক্তরাজ্য। আইনি শিথিলতার সুযোগে ‘কেয়ার ভিসা’য় বাংলাদেশসহ বি‌ভিন্ন দেশ থে‌কে বিপুল সংখ্যক অভিবাসী ব্রিটে‌নে গেলেও, কা‌জের অভিজ্ঞতা না থাকায় মুখোমুখি হচ্ছেন কর্ম সংকটের। বাতিল করা হয়েছে শতাধিক কেয়ার হোমের বিদেশি কর্মী আনার লাইসেন্স। আগামী ১১ মার্চ থেকে কেয়ার ভিসায় যুক্তরাজ্যে নেয়া যাবে না পরিবারের সদস্যদের। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ১১ মার্চ থেকে কেয়ার ভিসায় পরিবারের সদস্যদের নেয়া যাবে না ব্রিটেনে। কেয়ার হোম খাতে দক্ষ কর্মীর সংকট দূর করতে ভিসানীতি শিথিল করেছিল ব্রিটিশ সরকার। তবে সেই শিথিলতার সুযোগে হাজার হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী বৈধভাবে পুরো পরিবার নিয়ে দেশটিতে আসা শুরু করে। পুরো বিষয়টি নজরে আসার পর চূড়ান্ত হার্ডলাইনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।  আবেদন বাতিল হলেও যেভাবে পাবেন ইতালির ভিসা বাস্তবায়নের সময়সীমাও বেধে দেয়া হয়েছে। আগামী ১১ মার্চ থেকে কেয়ার ভিসায় পরিবারের সদস্যদের আনা যাবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি। মূলত অভিবাসীদের সংখ্যা কমাতেই সরকারের তড়িঘড়ি এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন অভিবাসনবিষয়ক অনেক আইনজীবী। ইতোমধ্যে কেয়ার হোমের নামে পরিকল্পিত আদম ব্যবসার কারণে কেয়ার ভিসায় বাংলাদেশসহ বি‌ভিন্ন দেশ থেকে কর্মী আনা অন্তত শতা‌ধিক কোম্পানির বিদেশি কর্মী আনার লাইসেন্স প্রত্যাহার করেছে ব্রিটিশ সরকার। লাইসেন্স প্রত্যাহারের ফলে ভিসা বা‌তিলের শংকায় রয়েছেন বিপুল সংখ্যক কেয়ার ওয়ার্কার। ভিসা ছাড়াই ভ্রমণে চীন ও থাইল্যান্ডের বড় ঘোষণা অভিবাসী সংখ্যা বৃদ্ধির বর্তমান ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে ২০২১ থেকে ২০৩৬ সালের মধ্যেই ব্রিটেনের জনসংখ্যায় যুক্ত হবে আরও ৬০ লাখ অভিবাসী।

জাতীয়

জাপা অন্য দলের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়েছে সেটা পার্শিয়ালি কারেক্ট — জিএম কাদের।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- জাপা অন্য দলের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়েছে সেটা পার্শিয়ালি কারেক্ট — জিএম কাদের। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলের নেতা জিএম কাদের বলেছেন, অনেকে বলছে আমাদের দল ভাগ হয়ে যাবে। কিন্তু দল ভাগ হওয়ার আশঙ্কা দেখছি না। এরশাদ সাহেবের নাম ও আদর্শ দিয়ে আরও ১০টি গঠন হতে পারে। তবে আমাদের দল ভেঙে আরেকটি দল গঠন করার পরিবেশ পরিস্থিতি এ মুহূর্তে দেখছি না। শনিবার জাপার বনানী কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব বলেন। জাপা চেয়ারম্যান বলেন, আমরা অন্য দলের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়েছি, সেটা পার্শিয়ালি কারেক্ট (আংশিক সত্য)। আমরা সেখান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছি। আমাদের দলের মধ্যে ব্যাপকভাবে সংশোধন হওয়ার দরকার আছে। আমরা যদি সেটা না করতে পারি তবে সামনের দিকে দল ভাঙবে না শুধু, দলের অস্তিত্বও থাকবে না। দলকে মানুষ ভালোবাসবে না, দলের প্রতি মানুষের আস্থা থাকবে নাতা কর্মীদের উদ্দেশে  জাপা চেয়ারম্যান বলেন,  সবাইকে একসঙ্গে থাকতে হবে। আমরা ব্যর্থ হলে দল মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। আমরা ভাঙন নিয়ে চিন্তিত নই। কিন্তু আমাদের নিজেদের মধ্যে যে ত্রুটি আছে সেগুলো সারিয়ে তুলতে হবে। জিএম কাদের বলেন, বর্তমান সরকারের মন্ত্রীদের বক্তব্য শুনে মনে হয় আমরা মধ্যযুগীয় ব্যবস্থায় চলে যাচ্ছি। আইনমন্ত্রী সেদিন একটি কথা বললেন, সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আরও ৫০ বছর লাগলে দিতে হবে। এটাকে আমি দেখেছি মধ্যযুগীয় ব্যবস্থার মতো। মধ্যযুগে পেশিশক্তির মাধ্যমে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা হতো। অর্থাৎ জোর যার  মুল্লুক তার। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ বিভ্রান্তিকর স্টেটমেন্ট দিয়েছে। তারা বলেছে ২৬টা সিট ছেড়ে দিলাম জাতীয় পার্টির ফেভারে। কিন্তু তারা সব সিট ছাড়েনি, সব জায়গায় তাদের লোক দিয়ে রেখেছে। আমাদের অনেক প্রার্থী বিভ্রান্ত হয়েছেন। অনেকে এটাকে মহাজোট বলেছেন, আবার অনেকে এটাকে সিট ভাগাভাগির কথা বলেছেন। আমি প্রথম দিন থেকে বলেছি, এটা মহাজোট হয়নি। সিট ভাগাভাগি হয়নি। এটা বিভ্রান্তিকর, আওয়ামী লীগ ইচ্ছাকৃতভাবে এটা করেছে। এটি না হলে আমাদের ফল এর চেয়ে আরও ভালো হতো। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেরীফা কাদের, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বা‌য়ক তৈয়বুর রহমান, সদস্য সচিব সুলতান আহমেদ সেলিম প্রমুখ।

জাতীয়

২০৫০ সালের মধ্যে ক্যানসার বাড়বে ৭৭ শতাংশ, ডব্লিউএইচও’র সতর্কতা ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ২০৫০ সালের মধ্যে ক্যানসার বাড়বে ৭৭ শতাংশ, ডব্লিউএইচও’র সতর্কতা । আগামীকাল ৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ক্যানসার দিবস। তার আগেই সতর্কবার্তা দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগামী ২৫ বছরের মধ্যেই ক্যানসার আরও মারাত্মক আকার নিতে চলেছে। ২০৫০ সালের মধ্যে নতুন করে ক্যানসার আক্রান্তের হার ৭৭ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে পূর্বাভাস জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যানসার (আইএআরসি)। গত ১ ফেব্রুয়ারি এক বিবৃতিতে আইএআরসি এই পূর্বাভাস দিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, আইএআরসি জানায়, ২০২২ সালে আনুমানিক ২০ মিলিয়ন নতুন ক্যানসারের ঘটনা ঘটেছে। ২০৫০ সালের মধ্যে ৩৫ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ নতুন করে ক্যানসার আক্রান্ত হবে বলে অনুমান করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই ক্যানসার এজেন্সির পূর্বাভাস অনুসারে, বিশ্বব্যাপী নতুন ক্যানসারের সংখ্যা ২০৫০ সালে ৩৫ মিলিয়নে পৌঁছাবে, যা ২০২২ সালের তুলনায় ৭৭ শতাংশ বেশি। আইএআরসি পরিচালিত একটি সমীক্ষায় দেখা যায়, ২০২২ সালে ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে আনুমানিক ৯ দশমিক ৭ মিলিয়ন মানুষর মৃত্যু হয়েছে। ১৮৫টি দেশে ৩৬ ধরনের ক্যানসারের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে যার প্রভাবে এতো অধিক মানুষের মৃত্যু হয়। সমীক্ষার তথ্যের ভিত্তিতে আইএআরসি তার দ্বিবার্ষিক প্রতিবেদনের পাশাপাশি ২০৫০ সালের জন্য এমন আভাস দেয়।

জাতীয়

পদ্মার চরে ৯ টুকরা লাশ হত্যাকাণ্ডের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- পদ্মার চরে ৯ টুকরা লাশ হত্যাকাণ্ডের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের। বহিস্কৃত সজীব, চালাত কিশোর গ্যাং বাঁয়ে হত্যাকাণ্ডের শিকার মিলন হোসেন এবং ডানে এস কে সজীব কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় পদ্মা নদীর চরের চারটি জায়গা থেকে এক যুবকের লাশের ৯টি টুকরা উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের টুকরাগুলো সাতটি ব্যাগে রাখা ছিল। গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে গতকাল শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত পদ্মার চরে অভিযান চালিয়ে এগুলো উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়া হত্যাকাণ্ডে ও লাশ খণ্ড-বিখণ্ড করার কাজে ব্যবহৃত বড় যাঁতি, লোহাকাটা ব্লেডসহ বিভিন্ন সামগ্রী উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য খণ্ডিত লাশ কুষ্টিয়া ২৫০ বেড জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত যুবকের নাম মিলন হোসেন (২৪)। তিনি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বাহিরমাদি গ্রামের মাওলা বক্স সরদারের ছেলে। তিনি স্ত্রী মিমি খাতুনকে নিয়ে কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এস্টেটের ‘ই’ ব্লকে ভাড়া বাসায় থাকতেন। টেক্সটাইল প্রকৌশলে লেখাপড়ার পাশাপাশি তিনি অনলাইনে আউটসোর্সিংয়ের কাজ করতেন। এ কাজের মাধ্যমে প্রচুর টাকা আয় করতেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, চাঁদার দাবিতে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাবেক সহসভাপতি এস কে সজীবের নেতৃত্বে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ সজীবসহ পাঁচ জনকে আটক করেছে। তাদের জেলা গোয়েন্দা কার্যালয়ে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ জানায়, খুনিরা মিলনকে কৌশলে ডেকে এনে একটি বাড়িতে আটকে রেখে তার ওপর চালায় বর্বর নির্যাতন। পরবর্তী সময়ে তারা মিলনকে হত্যার পর লাশ ৯ টুকরা করে বিভিন্ন অঙ্গ চটের ব্যাগে ভরে পদ্মা নদীর দুর্গম চরের একাধিক স্থানে পুঁতে রাখে। আটক অন্যরা হলেন—সদর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের কান্তিনগর গ্রামের জহির রায়হান ওরফে বাবু, সদরের কুমারগাড়া এলাকার ফয়সাল আহমেদ, হাউজিং এষ্টেট এলাকার বাসিন্দা ইফতি খান। পুলিশ জানায়, গত ৩১ জানুয়ারি শহরের হাউজিং এস্টেট এলাকার বাড়ি থেকে মিলনকে তার এক বন্ধু ডেকে নেওয়ার পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। মিলন বাড়ি ফিরে না আসায় তার স্ত্রী মিমি খাতুন কুষ্টিয়া মডেল থানায় জিডি করেন। ঐ জিডির সূত্র ধরে পুলিশ মিলনকে উদ্ধার তত্পরতা শুরু করে। তদন্তের এক পর্যায়ে পুলিশ সন্দেহভাজন এক যুবককে আটক করে। পরে ঐ যুবকের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরো চার জনকে পুলিশ আটক করেছে। আটককৃতদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ও তাদের দেখিয়ে দেওয়া স্থানে শুক্রবার রাত থেকে প্রায় ১৫ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে পুলিশ পদ্মা নদীর বালু চরে পৃথক স্থানে চারটি চটের ব্যাগে পুঁতে রাখা মিলনের খণ্ডিত ৯ টুকরা লাশ উদ্ধার করে। পৈশাচিক এ হত্যাকাণ্ডের খবর শুনে পদ্মার চর এলাকার শত শত মানুষ সেখানে ছুটে যায়। মিলন হোসেনের খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার হওয়ার পর তার স্ত্রী দাবি করেছেন পুলিশ তার অবস্থান শনাক্ত করতে পারলেও তাত্ক্ষণিকভাবে উদ্ধারে ব্যবস্থা নেয়নি। মিলনের স্ত্রী মিমি খাতুন বলেন, গত বুধবার মিলন নিখোঁজ হওয়ার পর সন্ধ্যায় তিনি কুষ্টিয়া মডেল থানায় যান। থানায় সাধারণ ডায়ারি (জিডি) করার পর মিলনের অবস্থান শনাক্ত করতে সক্ষম হয় পুলিশ। কিন্তু সেখানে গিয়ে কোনো তদন্ত করেনি তারা। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গের সামনে কাঁদতে কাঁদতে মিমি বলেন, ‘নিখোঁজ হওয়ার পরদিন দুপুর দেড়টা পর্যন্ত আমার স্বামীর ফোন চালু ছিল। আগের দিন সন্ধ্যায় থানায় গেছি। থানায় মিলনের ফোনের লোকেশনও দেখাইছে। আমার স্বামী লাশ হওয়া পর্যন্ত এরা অপেক্ষা করছিল। গিয়ে যে একটু তদন্ত করবে, তা করেনি পুলিশ।’ তিনি বলেন, ঐ দিন বেলা ১১টার দিকে সজল নামে একজন ফোনে মিলনকে ডেকে নিয়ে যান। ১৫-২০ মিনিট পর ফেরার কথা থাকলেও মিলন না ফেরায় তিনি দুপুরে ফোন করেন। তখন মিলন বলেন, দুই-তিন ঘণ্টা সময় লাগবে। সেটাই মিলনের সঙ্গে শেষ কথা তার। কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ (ক্রাইম অ্যান্ড অপস ও মিডিয়া) জানান, ঘটনাটি পৈশাচিক ও খুবই দুঃখজনক। তবে দ্রুত পদক্ষেপের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের আটক করা গেছে এবং ঘটনার প্রাথমিক ক্লু সম্পর্কেও জানা গেছে। তদন্তে হত্যায় আরো কেউ জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, আটককৃতদের দেখানো জায়গা থেকে লাশের ৯টি টুকরা উদ্ধার করা হয়েছে। কে এই সজীব : মিলন হোসেন হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা এস কে সজীব। তিনি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি (বহিষ্কৃত)। পাশাপাশি পুলিশের তালিকাভুক্ত কিশোর গ্যাং-প্রধান তিনি। তার নেতৃত্বে কুষ্টিয়া শহরে একটি গ্যাং চলে। সাত মামলার আসামি সজীবের একটি মামলায় দুই বছরের সাজাও হয়েছে। জানা গেছে, বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবক লীগের রাজনীতি করছেন সজীব। তবে কোনো পদ-পদবি নেই। হত্যাকাণ্ডের পর সজীব শহরেই স্বাভাবিকভাবে ঘোরাফেরা করছিলেন। পুলিশ তাকেসহ চার জনকে শহর থেকে আটক করে হেফাজতে নেয়। জানা গেছে, সজীব কলেজে পড়ালেখা না করেও হঠাত্ করে ছাত্রলীগের পদ পেয়ে যান। ইয়াসির আরাফাত ও সাদ আহাম্মেদের নেতৃত্বাধীন কমিটিতে ২০১৭-১৮ সালের দিকে প্রথম সহসম্পাদকের পদ পান। তখন থেকেই শহরের হাউজিং এলাকায় কিশোর গ্যাং তৈরি করে এলাকায় চাঁদাবাজি, মারধর, মাদকের কারবারসহ নানা অপকর্ম শুরু করেন। এরপরও নেতাদের সুপারিশে জেলা ছাত্রলীগের সর্বশেষ কমিটিতে সহসভাপতির পদ পেয়ে যান। শহরে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে দেখা যায় তাকে। জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জের ওপর হামলাসহ নানা অপকর্মের কারণে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, সজীবের বাবার নাম মিলন শেখ। শহরের আড়ুয়াপাড়া এলাকার হরিবাসর এলাকায় তাদের বাড়ি। সজীবের নামে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মাদক, চাঁদাবাজি, হামলাসহ নানা অভিযোগে পুরোনো সাতটি মামলা আছে। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে এক নারী ইন্টার্ন চিকিত্সককে মারধরের মামলায় তার দুই বছরের সাজাও হয়েছিল। সর্বশেষ মিলন হোসেনকে অপহরণ ও হত্যার মিশনে নেতৃত্ব দেন সজীব। পুলিশ সূত্র জানায়, হাউজিং এলাকায় তাদের একটি কার্যালয় আছে। সেখানে লোকজনকে ধরে এনে নির্যাতন করে চাঁদা আদায় করা হয়।

জাতীয়

বাবা-মা-মেয়ে খুন; উত্তরাধিকার না থাকায় সব সম্পত্তি জব্দ করেছে পুলিশ।

বিলেতেৱ আয়না ডেক্স :- বাবা-মা-মেয়ে খুন; উত্তরাধিকার না থাকায় সব সম্পত্তি জব্দ করেছে পুলিশ। সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বাবা-মা ও মেয়েকে গলা কেটে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। একই সাথে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত বিকাশ সরকারের বড় বোনের ছেলে অর্থাৎ আপন ভাগ্নে রাজিব ভৌমিককে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ভাগ্নে রাজিব কুমার ভৌমিক হতাশাগ্রস্ত থেকে তার মামা-মামি ও মামাতো বোনকে গলা কেটে হত্যা করে। এদিকে পরিবারটির আর কোনো সদস্য বেঁচে না থাকায় নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ সমস্ত মালামাল জব্দ করেছে পুলিশ। শনিবার পুলিশের একটি টিম নিহত বিকাশ সরকারের বাড়িতে গিয়ে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও জমির দলিলসহ তাদের সমস্ত মালামাল জব্দ করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির উপ-পরিদর্শক আব্দুল ওয়াদুদ জানান, বিকাশ সরকার, তার স্ত্রী স্বর্না সরকার ও তাদের একমাত্র মেয়ে পারমিতা সরকার তুষিকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। পরিবারের তিনজন সদস্যের মধ্যে তিনজনই নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ায় তাদের সম্পত্তির পরবর্তী মালিক কে হবেন এ নিয়ে যেন কোনো দ্বন্দ্ব না হয় সে কারণে তাদের সম্পত্তির দলিল, মোবাইল, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ তাদের ব্যক্তিগত সকল মালামাল জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত মালামালগুলো যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আদালতে প্রেরণ করা হবে। আদালতই সিদ্ধান্ত নিবেন পরিবারটির সম্পত্তির মালিক কে হবেন। আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক পরবর্তীতে প্রকৃত মালিককে সব কিছু বুঝিয়ে দেয়া হবে। তবে কি পরিমান নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও কত বিঘা জমির দলিল জব্দ করা হয়েছে তা প্রকাশ করতে অপারগতা প্রকাশ করেন এই কর্মকর্তা। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকালে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার পৌর শহরের বারোয়ারী বটতলা মহল্লার নিজ বাড়ির তিন তলা ফ্লাটে স্কুল ছাত্রী পারমিতা সরকার তুষি, তার বাবা বিকাশ সরকার, মা স্বর্ণা সরকারের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওইদিন রাতেই তুষির মামা সুকোমল চন্দ্র সাহা বাদী হয়ে তাড়াশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পরেই হত্যাকারী বিকাশ সরকারের ভাগ্নে রাজীব কুমারকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়। আর্থিক দ্বন্দ্বের কারণে রাজীব কুমার ভৌমিক একাই তিনজনকে রড দিয়ে আঘাত এবং গলা কেটে তিনজনকে হত্যা করেছে বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

জাতীয়

বিশ্ব ইজতেমায় যৌতুকবিহীন ৭২ বিয়ে।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বিশ্ব ইজতেমায় যৌতুকবিহীন ৭২ বিয়ে। গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় দিন ৭২ যুগলের যৌতুকবিহীন বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বাদ আসর যৌতুক বিহীন এই বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ে পড়ান ভারতের মাওলানা জোবায়রুল হাসান। বিশ্ব ইজতেমা আয়োজক কমিটির গণমাধ্যম সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিয়েতে মোহরানা ধার্য করা হয় ‘মোহর ফাতেমী’র নিয়মানুযায়ী। এ নিয়ম অনুযায়ী মোহরানা ধরা হয় দেড়শ’ তোলা রুপা বা এর সমমূল্যের অর্থ। লাখো মানুষের ইবাদত বন্দেগির মধ্যে শনিবার বিশ্ব ইজতেমার অন্যতম আকর্ষণ ছিল যৌতুক বিহীন বিয়ে। সম্পূর্ণ ইসলামি শরিয়া মেনে তাবলিগের রেওয়াজ অনুযায়ী ইজতেমার বয়ান মঞ্চের পাশেই বসে যৌতুকবিহীন বিয়ের আসর । কনের সম্মতিতে বর ও কনে পক্ষের লোকজনের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয় বিয়ে। এজন্য সকাল থেকেই অভিভাবকরা হবু দম্পতিদের নাম তালিকাভুক্ত করান। বিয়ের পর বয়ান মঞ্চ থেকেই মোনাজাতের মাধ্যমে নব দম্পতিদের সুখ-সমৃদ্ধিময় জীবন কামনা করা হয় এবং মঞ্চের আশপাশের মুসল্লিদের মাঝে খোরমা-খেজুর বিতরণ করা হয়। বরিশালের ব্যবসায়ী ফাইজুল হক বলেন, আমি তাবলিগ জামাতের সাথে দীর্ঘদিন ধরে সম্পৃক্ত। আমার খুব ইচ্ছে ছিল বিশ্ব ইজতেমায় এসে বিয়ে করার। আজ আমার সেই আশা পূরণ হয়েছে। সকলের কাছে নতুন দম্পতির জন্য দোয়া চেয়েছেন তিনি।

জাতীয়

প্রবীণ সাংবাদিক আব্দুল ওয়াহেদ খান আর নেই।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- প্রবীণ সাংবাদিক আব্দুল ওয়াহেদ খান আর নেই। সিলেট থেকে প্রকাশিত অধুনালুপ্ত দৈনিক জালালাবাদী ও সাপ্তাহিক সিলেট সমাচার পত্রিকার সম্পাদক, প্রবীন সাংবাদিক আব্দুল ওয়াহেদ খান আর নেই ( ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি মৃত্যুকালে স্ত্রী নাজনীন হক খান, এক ছেলে ও দুই মেয়ে, নাতি নাতনি সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বৃহষ্পতিবার রাত ১১টা ৫০ মিনিটের সময়  সিলেটের নিজ বাসায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। শুক্রবার বাদ জুমা  হযরত শাহজালাল (রহ.) দরগাহ মসজিদে জানাজার নামাজ শেষে তাকে দাফন করা হয়। সিলেটের সাংবাদিকতা অঙ্গনের এক উজ্জ্বল মুখ আব্দুল ওয়াহেদ খান ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) এর সিলেট ব্যুরো প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে ১৯৬২ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তিনি দৈনিক ইত্তেফাকে ঢাকায় কাজ করেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও  সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি সিলেট কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ ( কেমুসাস) এর সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। আব্দুল ওয়াহেদ খান বিভিন রাষ্ট্রপ্রধানের সাথে বিভিন্ন দেশ সফর করেছেন। ১৯৭৩ সালে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর সঙ্গী হয়ে ভারত সফর করেন। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সফরসঙ্গী হয়ে সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, বৃটেন ও জাপান সফর করেন। মালদ্বীপ, শ্রীলংকা, পাকিস্তান, ভূটান যান প্রেসিডেন্ট হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদের সাথে। আব্দুল ওয়াহেদ খান বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দেশ সফর করেন। বাংলাদেশ থেকে (একক সদস্য হিসাবে) মালয়েশিয়ায় কমনওয়েল্থ জার্নালিষ্ট কনফারেন্স, ১৯৭৮-এ ইন্দোনেশিয়ায় পেসিফিক রিজিওনাল জার্নালিস্ট কনফারেন্স, ১৯৭৯-তে এসোসিয়েট প্রেস অব আমেরিকা আয়োজিত কনফারেন্সে যোগ দেন। তিনি ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে জাতিসংঘের ৪১তম অধিবেশনের যোগদান করেন। আন্তর্জাতিক সমাজ কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত রিজিওনাল এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে অংশ নেয়ার জন্যে ১৯৮৬ সালে ১ ডিসেম্বর থেকে ১৫ই ডিসেম্বর পর্যন্ত সিঙ্গাপুর সফর করেন এবং চিয়াংমাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ কল্যাণ বিভাগ ও আন্তর্জার্তিক সমাজ কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে ১৯৯২-৯৩ সালে হংকং- মালয়েশিয়া, বৃটেন,কানাডা, আমেরিকা, ও থাইল্যান্ড সফর করেন।

জাতীয়

টাঙ্গাইলে ট্রেনে কাটা পড়ে বাবা-ছেলেসহ ৩ জন নিহত।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- টাঙ্গাইলে ট্রেনে কাটা পড়ে বাবা-ছেলেসহ ৩ জন নিহত। টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ট্রেনে কাটা পড়ে এক শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ৯টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের আনালিয়াবাড়ী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলস্টেশনের ইনচার্জ রেজাউল করিম তিনজন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নীলফামারীর চিলাহাটিগামী চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। বিষয়টি রেলওয়ে পুলিশকে জানানো হয়েছে। কালিহাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ফারুক জানান, নিহতদের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। মরদেহ পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। রেলওয়ে পুলিশ এলে তাদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেছে।

জাতীয়

নয়াদিল্লীতে ৬০০ বছরের পুরনো আকন্জী মসজিদ ভেঙে ফেলা হয়েছে।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- নয়াদিল্লীতে ৬০০ বছরের পুরনো আকন্জী মসজিদ ভেঙে ফেলা হয়েছে। আকঞ্জি মসজিদের তত্ত্বাবধানকারীদের মতে, মসজিদটি প্রায় ৬০০ বছরের পুরনো। সেখানে একটি বোর্ডিং স্কুলে ২২ জন শিক্ষার্থী থাকত। মসজিদের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মোহাম্মদ জাফর এএফপিকে বলেছেন, মসজিদটি রাতের অন্ধকারে ধ্বংস করা হয়েছে। এর আগে তারা কোনো নোটিশ পাননি। স্থানীয়দের দাবি, মসজিদটি রাজিয়া সুলতানার শাসনামলে নির্মিত হয়েছিল, যা প্রায় ৬০০-৭০০ বছরের পুরনো। গত দেড় বছর ধরে মসজিদটির ইমাম হিসেবে আছেন হুসেইন। তিনি বলেছেন, ‘মেশিন (বুলডোজার) আসার আগে আমাদের জিনিসপত্র সংগ্রহ করার জন্য মাত্র ১০ মিনিট সময় দেয়া হয়েছিল।’ তিনি অভিযোগ করেছেন, মসজিদ ভাঙার সময় কর্তৃপক্ষ তার ফোন কেড়ে নেয় এবং তাকে ঘটনাস্থল থেকে দূরে নিয়ে যায়। সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও মোতায়েন করা হয়। এমনকি ভাঙার পর মসজিদের ধ্বংসস্তূপও দ্রুতই সরিয়ে ফেলা হয়। হিন্দুত্ববাদীদের শহরের প্রধান ভূমি ব্যবস্থাপনা সংস্থা দিল্লি ডেভেলপমেন্ট অথোরিটি (ডিডিএ) এ ঘটনা তদারক করেছে। এসব অভিযোগের ব্যাপারে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ডিডিএ কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেছেন, ‘আমরা যথাযথভাবে সব পদ্ধতি অনুসরণ করেছি।’

জাতীয়

দেশে এক দলীয় শাসন চলছে–মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম

বিলেতের আয়না ডেক্স :- দেশে এক দলীয় শাসন চলছে–মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।, ক্ষমতাসীন শেখ হাসিনার অধীনে দেশে কার্যত একটি একদলীয় শাসন কায়েম হয়েছে। দেশের অর্থনীতি, মানুষের রুটি-রুজি ও জাতীয় স্বার্থ যখন বিপন্ন তখন গণ-আন্দোলনকে সর্বাত্মক গণ-অভ্যুত্থানে রূপ দিতে হবে। সেই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার, গণতন্ত্র ও নায় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনে ‘ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার, গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আহ্বানে’ সিপিবি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, শেখ হাসিনা দেশে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। তার ধারণা ডান্ডা মেরে সকলকে ঠান্ডা করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু যত দিন ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না হয় তত দিন পর্যন্ত এই দেশের মুক্তিকামী মানুষকে দমিয়ে রাখা যাবে না। সরকারের বিরুদ্ধে নতুন আন্দোলনের ডাক দিয়ে তিনি আরও বলেন, অনেকেই ভাবছেন সব শেষ হয়ে গেছে। আইয়ুব খানের মহাসমারোহে উন্নয়নের এক দশক উদ্যাপন শেষ হওয়ার আগে তার পতন হয়েছিল। স্বৈরশাসনের অবসান যখন হয় মহাপরাক্রমশালী শাসকের মসনদও বালির বাঁধের মতো মুহূর্তে ভেসে যায়। দুঃখজনক হলেও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে একসময় যাদের সহযোদ্ধা হিসেবে পেয়েছি, আজ স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দায়ে তাদেরই কারও বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সংগ্রাম করতে হচ্ছে। ৭ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচন জনগণ মেনে নেয়নি। ভোট বর্জন করে তারা নীরব প্রতিবাদ করেছে উল্লেখ করে সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, এ দেশের মানুষ বারবার গণতন্ত্রের জন্য বুকের রক্ত দিয়েছে, লড়াই করেছে। এরশাদ স্বৈরাচার পতনের পর অদ্যাবধি দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি। শাসকশ্রেণির রাজনৈতিক দলগুলো শহীদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে। উপরন্তু বর্তমান সরকার মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছে, তারা মানুষের ভাতের অধিকারও দিতে পারেনি। জনসভায় সিপিবি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার বলেন, বিদেশি ঋণনির্ভর মেগা প্রকল্প ও মেগা লুটপাট, বিপুল অর্থ পাচারের মধ্য দিয়ে দেশের অর্থনীতি আজ চরম সংকটাপন্ন অবস্থায় পৌঁছেছে। বাজার নৈরাজ্যকে নীতিগত সুবিধা দিয়ে সরকার মানুষের মুখের অন্ন কেড়ে নিয়েছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংস করে একদলীয় শাসন কায়েম করতে গিয়ে দেশের জাতীয় স্বার্থ নিলামে তোলা হয়েছে। এই অবস্থায় বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষের সামনে গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশে ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, রুটি-রুজির অধিকার সংহত করা ভিন্ন অন্য কোনো বিকল্প নেই। জনসভায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে যোগ দেন। এ সময় সরকারবিরোধী নানা স্লোগান সংবলিত ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড ছিল তাঁদের হাতে। সিপিবি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে ও সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সাইফুল ইসলাম সমীরের পরিচালনায় জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ত্রিদিব সাহা, জেলা কমিটির সদস্য আসলাম খান, আবু তাহের বকুল, হযরত আলী, শংকর আচার্য্য, আব্দুল কুদ্দুস প্রমুখ।

Scroll to Top