জানুয়ারি ৩১, ২০২৪

জাতীয়

সিরাজগন্জের তাড়াশে ট্রিপল মার্ডার রহস্য উন্মোচন।

বিলেতের আয়না ড্রেক্স :- সিরাজগন্জের তাড়াশে ট্রিপল মার্ডার রহস্য উন্মোচন। অজ্ঞান অবস্থায় মামা-মামি-বোনকে গলা কেটে হত্যা করেছে ভাগনে রাজীব। সিরাজগঞ্জের তাড়াশে চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডারের (বাবা-মা ও মেয়ে) ঘটনায় একমাত্র আসামিকে ভাগ্নে রাজিব কুমার ভৌমিককে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রড ও হাসুয়া পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়। মামার সঙ্গে মোটা অঙ্কে আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধই হত্যাকাণ্ডের একমাত্র কারণ বলে জানিয়েছে পুলিশ। জেলার পুলিশ সুপারের (এসপি) কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান এসপি আরিফুর রহমান মন্ডল। এর আগে গত মঙ্গলবার ভোরের দিকে তাড়াশ পৌর শহরের বারোয়ারী বটতলা মহল্লার বিকাশ সরকারের বাড়িতে ওই ট্রিপল মার্ডার হয়। অভিযুক্ত রাজিব কুমার জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার তেলিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি হত্যার শিকার নিহত বিকাশ সরকারের বোনের ছেলে। ঘটনার দিন বিকাশ ছাড়াও স্ত্রী স্বর্ণা সরকার ও তাদের মেয়ের পারমিতা সরকার তুষি খুন হন। পুলিশ সুপার জানান, মামার সঙ্গে মোটা অঙ্কের টাকার ব্যবসায়িক লেনদেনের কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটান বলে পুলিশের কাছে স্বীকারাক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন রাজিব কুমার ভৌমিক। তিনটি হত্যাকাণ্ড রাজিব ভৌমিক একাই ঘটিয়েছেন। হত্যা ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই স্বর্ণা সরকারের বড় ভাই সুকমল চন্দ্র সাহা বগুড়া থেকে এসে তাড়াশ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পুলিশ সুপার জানান, যৌথ ব্যবসার জন্য ভাগ্নে রাজিবকে ২০ লাখ টাকা দেন বিকাশ সরকার। ব্যবসা চলা অবস্থায় তাকে লভ্যাংশসহ ২৬ লাখ টাকা দেন রাজীব। কিন্তু তার কাছে অতিরিক্ত ৩৫ লাখ টাকা দাবি করেন বিকাশ। এই টাকা চাপ দেওয়ায় মামা-ভাগ্নের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। টাকা জোগারে অপারগ হয়ে মামাসহ পুরো পরিবারকে হত্যার পরিকল্পনা করেন রাজীব। গ্রেপ্তার রাজীবের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দেন এসপি আরিফুর রহমান মন্ডল। তিনি বলেন, সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ফোন করে বাকি টাকা দিতে বাসায় আসতে চায় রাজীব। এ সময় বিকাশ সরকার বাইরে থাকায় টাকা তার স্ত্রীর (মামী) কাছে দিতে বলেন তিনি। মামার অনুপস্থিতিতে মামী ও মামাতো বোনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন রাজীব। সোমবার সন্ধ্যাকালীন পূজা শেষ করে কফি আনতে দোকানে যান মামী স্বর্ণা সরকার। এ সুযোগে মামাতো বোন পারমিতা সরকা তুষির মাথায় ভারী রড দিয়ে আঘাত করলে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে ঘরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই মামীকেও রড দিয়ে আঘাত করলে তিনিও মাটিতে পড়ে যান। সন্ধ্যার পর মামা বাসা ফিরে কড়া নাড়লে দরজা খুলে মামার মাথায় আঘাত করে মাটিতে ফেলে দেন রাজিব। পরে তিনজনকে একটি কক্ষে নিয়ে গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে বাইরে তালা লাগিয়ে চলে যান। এদিকে সোমবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে বিকাশ সরকারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও কেউ রিসিভ না করায় সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। পরে তারা রাতেই তাড়াশ থানা পুলিশকে ঘটনাটি অভিহিত করেন। পরদিন মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে তাড়াশ পৌর শহরের বারোয়ারী বটতলা মহল্লার বাড়িতে গিয়ে ঘরের তালা ভেঙে তিনটি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদিকে বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মর্গে থেকে হত্যার শিকার তিনজনের মহদেহ পৌর এলাকার শোলাপাড়া মহল্লার বিকাশ সরকারের বাড়িতে আনলে লোকজন ভিড় করে। পরে তাদের দাহ কার্যে শতাধিক লোক অংশ নেয়। বুধবার সকালে হত্যার শিকার বিকাশ সরকারের মা ও ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কে এম হোসেন আলী হাসান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার। এর আগে সকাল ১০টার দিকে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মিলন কান্তি দত্ত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিন্দ্র কুমার নাগ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাগর হাওলাদার, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক বিপ্লব দে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা বিকাশ সরকারের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে অভিযুক্তকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

জাতীয়

সংরক্ষিত নারী আসনের ৪৮টি পাচ্ছে আওয়ামী লীগ, জাপা ২টি ।

বিলেতেৱ আয়না ডেক্স :- সংরক্ষিত নারী আসনের ৪৮টি পাচ্ছে আওয়ামী লীগ, জাপা ২টি । দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসন বণ্টনের হিসাবে স্বতন্ত্র ৬২ জন সংসদ সদস্যই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছে। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা বিবেচনায় আওয়ামী লীগ ৫০ সংরক্ষিত আসনের মধ্যে সব মিলিয়ে পাচ্ছে ৪৮টি। আর বাকি দুটি পাবে জাতীয় পার্টি। আজ বুধবার (৩১ জানুয়ারি) আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত সংরক্ষিত নারী আসন বণ্টনের বিষয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তাদের ১৪ দলীয় শরিক ও স্বতন্ত্র এমপিদের সমর্থন-সংক্রান্ত একটি চিঠি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিবের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দ্বাদশ সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনের নেতৃত্বে একদল প্রতিনিধি ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলমের কাছে চিঠি হস্তান্তর করেন। চিঠি হস্তান্তরের পর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘দ্বাদশ সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচনের বিষয়ে আমরা কাদের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়েছি, সে বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত পত্র নিয়ে এসেছি।’ হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের স্বতন্ত্র ৬২ জন সংসদ সদস্য সমর্থন দেবেন। সেই সমর্থনসূচক আলাদা আলাদা চিঠি তাদের স্বাক্ষরসহ আওয়ামী লীগের মাধ্যমে সন্নিবেশিত করে ইসি সচিবের কাছে জমা দিয়েছি। কমিশন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।’ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২২৩টি, ১৪ দলীয় শরিক জাসদ ১টি ও ওয়ার্কার্স পার্টি ১, স্বতন্ত্র ৬২ জন, কল্যাণ পার্টি ১টি ও জাতীয় পার্টি ১১টি আসন পেয়েছেন। সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে সংরক্ষিত ৫০ নারী আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৩৮টি, জাতীয় পার্টি ২টি ও স্বতন্ত্ররা ১০টি আসন পায়। কিন্তু স্বতন্ত্র ৬২ প্রার্থী আওয়ামী লীগকে সমর্থন দেওয়ায় আওয়ামী লীগই ৪৮টি আসন পাবে। সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচন বিধি অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট হওয়ার ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচনে রাজনৈতিক দল বা জোটের সদস্যদের পৃথক তালিকা প্রস্তুত করার বাধ্যবাধকতা আছে। তবে এবার অর্ধশতাধিক আসনে স্বতন্ত্ররা বিজয়ী হওয়ার সংরক্ষিত নারী আসনগুলো নিয়ে তুমুল আলোচনা হয়।

জাতীয়

দ্বাদশ জাতীয় সংসদে পাঁচ সদস্যের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মনোনিত।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- দ্বাদশ জাতীয় সংসদে পাঁচ সদস্যের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মনোনিত। সংসদশুরু হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন। প্রথম অধিবেশনের জন্য পাঁচ সদস্যের সভাপতিমণ্ডলীর মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে সংসদ অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এই মনোনয়ন দেন। সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরা হচ্ছেন- ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম, শাহাব উদ্দিন, আ ফ ম রুহুল হক, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও উম্মে কুলসুম স্মৃতি। তারা স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে তালিকার অগ্রবর্তিতা অনুযায়ী, বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন। বিকেল ৩টায় একাদশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। অধিবেশনের শুরুতে ডেপুটি স্পিকার সবাইকে স্বাগত জানান। এরপর নতুন স্পিকার নির্বাচন করা হয়। সংসদে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্পিকার হিসেবে শিরিন শারমিন চৌধুরীর নাম প্রস্তাব করেন। আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সম্পাদক চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী লিটন ওই প্রস্তাবকে সমর্থন করেন। স্পিকার হিসেবে অন্য কোনো মনোনয়ন ছিল না। পরে কণ্ঠ ভোটে স্পিকার নির্বাচিত হন। ডেপুটি স্পিকার এ সময় সর্বসম্মতিক্রমে ও বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শিরীন শারমিন চৌধুরী নির্বাচিত হয়েছেন বলে ঘোষণা করেন। পুনরায় ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হন শামসুল হক টুকু। এরপর সংসদ ২০ মিনিটের জন্য মুলতবি করা হয়। এ সময় সংসদ ভবনে অবস্থিত রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে নতুন স্পিকারকে শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী, গত বছরের ১ নভেম্বর থেকে ২৯ জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন করার বাধ্যবাকতা ছিল। এর মধ্যে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে জয়ী হয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠনের পর গত ১১ জানুয়ারি শপথ নেয় শেখ হাসিনার নতুন মন্ত্রিসভা।

সাম্প্রতিক

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ভাষন দিয়েছেন।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ভাষন দিয়েছেন। গণতন্ত্র আরও সুদৃঢ় জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হবে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন মঙ্গলবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ষড়যন্ত্র করে কেউ যাতে জনগণের অধিকার কেড়ে নিতে না পারে সেদিকে সকলের সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ভবিষ্যতে অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হবে। এ জন্য সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। কেউ যাতে আন্দোলনের নামে অরাজকতা সৃষ্টি করে মানুষের জানমাল ও জীবিকার ক্ষতি সাধন করতে না পারে, সেদিকেও সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সব গুজব ও অপপ্রচারের বিষয়ে নজরদারি বৃদ্ধি করে জনগণকে সম্পৃক্ত রেখে যথাযথভাবে মোকাবিলা করতে হবে।  স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে মঙ্গলবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের শুরুতে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি ভবিষ্যতে দেশের রাজনৈতিক দলসমূহ সহিংসতা ও নৈরাজ্যের পথ পরিহার করে সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং জনগণ ও গণতন্ত্রের কল্যাণে অহিংস পন্থায় গঠনমূলক কর্মসূচি পালন করবে এমন আশাবাদও ব্যক্ত করেন। এক্ষেত্রে তিনি সরকারকেও সংযত আচরণ করার উপদেশ দিয়ে বলেন, উন্নয়নের এ চলমান গতিধারা অব্যাহত রাখতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে। রাষ্ট্রপতি দেশের আর্থিক খাতের সংস্কার এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ও কঠোর পদক্ষেপ নিতে জোর তাগিদ দেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের জনগণ ও গণতন্ত্রের জয় হয়েছে মন্তব্য করে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, দেশের গণতন্ত্রের জন্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজন অত্যন্ত যুগান্তকারী ঘটনা, যা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক সফলভাবে নির্বাচন পরিচালনার মাধ্যমে দেশে গণতান্ত্রিক শক্তি আরও সুদৃঢ় হয়েছে। নির্বাচনে জয়-পরাজয় থাকবেই, জনগণের রায় মেনে নিয়ে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সংবিধান অনুযায়ী নতুন সংসদের প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিনে রাষ্ট্রপতি সংসদে ভাষণ দেন। রাষ্ট্রপতি হিসেবে  মো. সাহাবুদ্দিনের এটি ছিল জাতীয় সংসদে দেওয়া প্রথম ভাষণ। মো. সাহাবুদ্দিন গত বছর ২৪ এপ্রিল দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন। রাষ্ট্রপতি তাঁর ১৪৩ পৃষ্ঠার ভাষণের সংক্ষিপ্তসার সংসদে পাঠ করে শোনান। তাঁর পূর্ণাঙ্গ ভাষণটি জাতীয় সংসদে পঠিত হিসেবে গণ্য হবে বলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী উল্লেখ করেন। নির্বাচন বর্জনকারীদের প্রতি ইঙ্গিত করে রাষ্ট্রপতি বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে একটি মহল সহিংসতা ও সংঘাত সৃষ্টি করে গণতন্ত্রের শান্ত-স্নিগ্ধ যাত্রাপথে বাধা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়েছিল। তাদের গণতন্ত্রবিরোধী ও সহিংস কর্মকাণ্ড সাময়িকভাবে জনগণকে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে রাখলেও গণতন্ত্রের শাণিত চেতনা ভোটারদের ভোটদান  থেকে বিরত রাখতে পারেনি। সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত ও সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্যই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সকল পদক্ষেপ সার্থক হয়েছে। নির্বাচন বর্জনকারী দলগুলো সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করেছে। সরকারও এ ক্ষেত্রে সংযত আচরণ করবে-এটাই সকলের প্রত্যাশা। দেশের উন্নয়নের এ গতিধারা অব্যাহত রাখতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে। রাষ্ট্রপতি বলেন, লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ। আমাদের পরম কর্তব্য ও দায়িত্ব হচ্ছে এই দেশ ও জাতির অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করা। যে জাতি গণতন্ত্রের জন্য রাজপথ রঞ্জিত করে, অসীম ধৈর্যে অতিক্রম করে বন্ধুর পথ, সেই অমিত সম্ভাবনাময় জাতি নিশ্চয়ই পারবে সকল বাধা-বিঘ্ন অতিক্রম করে বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে। আমি আশা করি, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা গড়ে তুলতে পারব বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা। রাষ্ট্রপতি তাঁর ভাষণে আর্থিক খাতের সংস্কার এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ারও আহ্বান জানান। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে,  ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী দেশে যে নৃশংস সহিংসতা হয়েছিল তা ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। এর মাধ্যমে আমাদের হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছিল। কিন্তু ২০০৮ সালের নির্বাচনসহ পরবর্তীতে অনুষ্ঠিত সকল নির্বাচনে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সুস্পষ্ট ও কঠোর নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থেকে মুক্তি পেয়েছি। গণতন্ত্র ও উন্নয়নের নিষ্কণ্টক পথচলার জন্য রাজনৈতিক দলগুলো উদার ও গঠনমূলক মনোভাব নিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়াবে এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা। সফলভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান সমুন্নত এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রেখে বিভিন্ন ধরনের দেশি ও বিদেশী ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার জন্য আমি নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসন, সশস্ত্র বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনী এবং গণমাধ্যমকে এ বিরাট কর্মযজ্ঞে সহায়তা দেওয়ার জন্য জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য সকল ভোটার, বিশেষত নবীন ও মহিলা ভোটারদের জানাই উষ্ণ অভিনন্দন। দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের জন্য দেশবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি তাঁর ভাষণে বলেন,  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়, বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে গত দেড় দশকে আর্থসামাজিক খাতসহ সকল খাতে অভূতপূর্ব এ উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। এর জন্য সমগ্র দেশবাসীর পক্ষ হতে আমি প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তিনি বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের এ অর্জন সম্ভব হয়েছে। তবে, উন্নয়নের মূল ভিত্তি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং গণতন্ত্রের অব্যাহত চর্চা। গণতন্ত্রের স্বাভাবিক গতিপথ রুদ্ধ হলে উন্নয়নও বাধাগ্রস্ত হয়। গত দেড় দশকে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং ধারাবাহিক গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা বজায় থাকার কারণে দেশের এ উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। উন্নয়ন স্থায়ী ও টেকসই করতে হলে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মজবুত, তৃণমূল পর্যায়ে গণতন্ত্রের চর্চা ছড়িয়ে দিতে হবে। উন্নয়নের এ গতিধারা অব্যাহত রাখতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে। রাষ্ট্রপতি বলেন, গত দেড় দশকে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনা বাংলা গড়তে আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে। ভবিষ্যতে হয়তো অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হবে। এ জন্য আমাদের সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। ষড়যন্ত্র করে কেউ যাতে জনগণের অধিকার কেড়ে নিতে না পারে, সেদিকে সকলের সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। একইসঙ্গে, কেউ যাতে আন্দোলনের নামে অরাজকতা সৃষ্টি করে মানুষের জানমাল ও জীবিকার ক্ষতিসাধন করতে না পারে, সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সকল গুজব ও অপপ্রচারের বিষয়ে নজরদারি বাড়িয়ে জনগণকে সম্পৃক্ত রেখে যথাযথভাবে মোকাবিলা করতে হবে। তিনি বলেন, ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে  বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা বাড়ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিলে এর প্রভাব আমাদের ওপরও পড়বে। এ জন্য আমাদের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি থাকতে হবে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য কৃষি খাতের উৎপাদন অব্যাহত রাখতে হবে, উচ্চ-মূল্য ফসল উৎপাদনে গুরুত্ব দিয়ে রপ্তানি নিশ্চিত করার জন্য উন্নত  কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে। কৃষিপণ্য সংরক্ষণাগার এবং কৃষি প্রক্রিয়াজাত শিল্প গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের পণ্যসমূহ রপ্তানি বাজারে যাতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পায় সে লক্ষ্যে দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর ও কার্যকর করার ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন। জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে গভীর সমুদ্রে গ্যাস ও তেল অনুসন্ধান কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। দক্ষ মানবসম্পদ   তৈরির পাশাপাশি নতুন নতুন শ্রমবাজারের অনুসন্ধান করতে হবে যাতে দক্ষ শ্রমশক্তি রপ্তানি সম্ভব হয়। আর্থিক খাতের সংস্কার এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। জাতীয় সংসদকে সকল

জাতীয়

চট্টগ্রামে চন্দনাইশ থানা পুলিশের অভিযানে ৮.৭৯ লিটার বিয়ার ও মদ সহ ০১ জন মাদক কারবারি আটক।

বিলেতের আয়না :- মোহাম্মদ মাসুদ চট্টগ্রামে চন্দনাইশ থানা পুলিশের অভিযানে ৮.৭৯ লিটার বিয়ার ও মদ সহ ০১ জন মাদক কারবারি আটক। ৩১জানুয়ারি,দুপুর ১টা ৪০মিনিটে চন্দনাইশ থানাধীন দোহাজারী পৌরসভাস্থ ০২নং ওয়ার্ডস্থ দোহাজারী স্টেশন রোডে অবস্থিত দোকান হতে আসামী মো: ইসমাইল (৬০), পিত মৃত সিরাজুল ইসলাম, মাতা-মৃত আনোয়ারা খাতুন, সাং-জামাল মেম্বারের বাড়ি, ৭নং ওয়ার্ড, দোহাজ পৌরসভা, থানা-চন্দনাইশ, জেলা-চট্টগ্রামকে গ্রেফতার করা হয়। আটকের সময় আসামীর দোকানে তল্লাশি করিয়া ৮.৭৯ লিটা বিয়ার ও মদ ((ক) ১২টি HUNTER বিয়ার, (খ) Tsarina VODKA লেখা ১৪টি মদের বোতল, ( IMPERIAL WHISKY লেখা ০১টি মদের বোতল) উদ্ধার করা হয়। চন্দনাইশ থানা উপ-পুলিশ পরিদর্শক প্রবীন দেব এর নেতৃত্বে সঙ্গীও ফোর্সের অভিযানে আসামি আটেক সহ মাদক জব্দ করা হয়।

জাতীয়

বাংলাদেশ সাংবাদিক ক্লাব’র চট্টগ্রাম জেলা কমিটি’র সভাপতি-ইব্রাহিম,সা.সম্পাদক-শহিদুল

বিলেতের আয়না :- বিশেষ প্রতিনিধি বাংলাদেশ সাংবাদিক ক্লাব’র চট্টগ্রাম জেলা কমিটি’র সভাপতি-ইব্রাহিম,সা.সম্পাদক-শহিদুল বাংলাদেশ সাংবাদিক ক্লাব’র কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটির উদ্যেগে মতবিনিময় সভা ও চট্রগ্রাম জেলা কমিটি ঘোষনা সভাপতি মোঃ ইব্রাহিম খলিল সাধারণ সম্পাদক মোঃ শহিদুল ইসলাম গত ২৮ জানুয়ারি,রোববার সকাল ১০টায় ক্লাব’র বিশেষ কার্যালয়ে উক্ত মতবিনিময় সভা ও চট্টগ্রাম জেলা কমিটি গঠন বিষয়ক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত আলোচনা সভায় দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের সিনিয়র সাংবাদিক এম ডি, ইব্রাহিম খলিল’র সভাপতিত্বে ও দৈনিক আমার সময় পত্রিকার রিপোর্টার মোঃ জাকারিয়া হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটি পরিচালিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্হিত ছিলেন, “বাংলাদেশ সাংবাদিক ক্লাব’র প্রতিষ্ঠাতা ও স্হায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ও “দৈনিক অপরাধ অনুসন্ধান” পত্রিকার ব্যবস্হাপনা সম্পাদক এবং “মোভমেন্ট ট্রেডিং ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড’র” ব্যবস্হাপনা পরিচালক মো: খলিলুর রহমান, ক্লাব’র কেন্দ্রীয় স্হায়ী কমটির মহাসচিব এম নজরুল ইসলাম খান, সিনিয়র সহ সভাপতি ও দৈনিক মানব সময় পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মোসলেহ উদ্দিন বাহার, অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সংগঠনের মহাসচিব এম নজরুল ইসলাম খান,মানব সময়ের সম্পাদক এম মোসলেহ উদ্দিন বাহার, সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবের সদস্য ইব্রাহিম খলিল,দৈনিক আমার সময় পত্রিকার রিপোর্টার,চট্টগ্রাম মহানগর সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকারিয়া হোসেন জাকির, দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকার ব্যুরো প্রধান ও জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ শহীদুল ইসলাম শহীদ, বিশিষ্ট চিকিৎসক ও স়ংগঠক মোঃ আবুল খায়ের,নব কন্ঠের প্রতিনিধি মোঃ নাছির উদ্দিন মোল্লা, দৈনিক অপরাধ অনুসন্ধান এর সাংবাদিক মোঃ ওমর ফারুক, মানব সময়ের রিপোর্টার মোঃ হানিফ, মোঃ মনির হোসেন, সাংবাদিক মুঃ নূরনবী,মোঃ খলিলুর রহমান হাওলাদার, মানবাধিকার সদস্য মোঃ ফিরোজ আল মামুন প্রমূখ । সভায় সর্বসম্মতিক্রমে দ্বিতীয় পর্বে ১৫ সদস্যর চট্রগ্রাম জেলা কমিটি ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব এম, নজরুল ইসলাম খান। সভাপতি হিসেবে মো: ইব্রাহীম খলিল ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শহীদুল ইসলাম শহীদসহ ১৫ সদস্যর চট্রগ্রাম জেলা কমিটি গঠিত হয়। বাংলাদেশ সাংবাদিক ক্লাব’র প্রতিষ্ঠাতা ও স্হায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ক্লাবের সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, “বাংলাদেশ সাংবাদিক ক্লাব” গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নিবন্ধনকৃত সাংবাদিকদের সংগঠন। নতুন কমিটির সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা কলম সৈনিক। ন্যায়ের পক্ষে আপনাদের কলম চলবে। এতে কোনো বাঁধা এলে “বাংলাদেশ সাংবাদিক ক্লাব” চট্টগ্রাম বিভাগসহ বাংলাদেশের সকল জেলায় সবসময় প্রকৃত সাংবাদিকদের পাশে থাকবে ইনশাল্লাহ। পরিশেষে জেলা কমিটির সভাপতি আগামী দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে‌ মতবিনিময় সভা সমাপ্ত ঘোষনা করেন।

জাতীয়

বিজিবি’র কর্তৃক ২.১০৮ কেজি মাদক ক্রিস্টাল মেথ জব্দ

বিলেতের আয়না :-মোহাম্মদ মাসুদ বিজিবি’র কর্তৃক ২.১০৮ কেজি মাদক ক্রিস্টাল মেথ জব্দ কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবি কর্তৃক মাদকবিরোধী অভিযানে ২.১০৮ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস জব্দ করেছে বিজিবি। ২৯ জানুয়ারি রাত ৮টায় বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি)গোপন তথ্যে ২.১০৮ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। বিজিবি সুত্রে জানা যায়,ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ টেকনাফ বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ মির্জার জোড়া নামক এলাকা দিয়ে মাদকের একটি বড় চালান মায়ানমার হতে বাংলাদেশে আসতে পারে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে ব্যাটালিয়ন সদর হতে একটি মাদকবিরোধী আভিযানিকদল বর্ণিত স্থানে গমন করতঃ কেওড়া বাগানের আঁড় নিয়ে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে। রাতে একজন ব্যক্তিকে নাফ নদী পার হয়ে একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ হাতে নিয়ে সীমান্তের শূণ্যলাইন অতিক্রম করে মির্জার জোড়া এলাকার দিকে আসতে দেখে। তার গতিবিধি সন্দেহজনক পরিলক্ষিত হওয়ায় টহলদল তাকে চ্যালেঞ্জ করলে বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি অনুধাবন করা মাত্রই উক্ত ব্যক্তি তার হাতে থাকা ব্যাগটি ফেলে দিয়ে রাতের অন্ধকারের সুযোগে দ্রুত দৌড়ে ঘন কেওড়া বাগানের ভিতর পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে টহলদল উল্লেখিত স্থানে পৌঁছে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে উক্ত ব্যক্তির ফেলে যাওয়া প্লাস্টিকের ব্যাগের ভেতর হতে ২.১০৮ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। রাত ৯টা পর্যন্ত অভিযানে মাদক কারবারী কিংবা তার সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। পলাতক কারবারীকে সনাক্তে অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।তথ্য নিশ্চিত করেছেন,লেঃ কর্নেল মোঃ মহিউদ্দীন আহমেদ, বিজিবিএমএস অধিনায়ক টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি)।

জাতীয়

বিজিবি মহাপরিচালকের মায়ানমার সীমান্ত পরিদর্শন

বিলেতের আয়না :- মোহাম্মদ মাসুদ বিজিবি মহাপরিচালকের মায়ানমার সীমান্ত পরিদর্শন বিজিবি’র কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন (৩৪ বিজিবি) এর অধীনস্থ বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান, বিজিবিএম, বিএএম, এনডিসি, পিএসসি ( Maj Gen A K M Nazmul Hasan, BGBM, BAM, ndc, psc) আজ বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্ত পরিদর্শন করেছেন। ২৮,জানুয়ারি,বিজিবি মহাপরিচালক উখিয়ার পালংখালী বিওপি এবং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু বিওপি ও ঘুমধুম সীমান্ত এলাকা এবং টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ হোয়াইক্যং বিওপি ও তৎসংলগ্ন সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। সাম্প্রতিকালে সমগ্র মায়ানমারে সংঘাতময় পরিস্থিতি চলছে। যার প্রভাব বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যেও এসে পড়েছে। প্রতিনিয়ত সেখানকার অস্থিতিশীল অবস্থা ও সংঘাতময় পরিস্থিতির খবর পাওয়া যাচ্ছে। এহেন পরিস্থিতিতে সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে বিজিবি মহাপরিচালক আজ কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্ত পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে বিজিবি মহাপরিচালক সীমান্তে দায়িত্বরত সকল পর্যায়ের বিজিবি সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করেন। এসময় তিনি সবাইকে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সীমান্তে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেন। পরিদর্শনকালীন বিজিবি মহাপরিচালকের সাথে বিজিবি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার, রামু সেক্টর কমান্ডার ও সংশ্লিষ্ট ব্যাটালিয়নসমূহের অধিনায়কগণসহ বিজিবি’র অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তথ্য নিশ্চিত করেছেন,মোঃ শরীফুল ইসলাম, পিবিজিএমএস, বিজিবি জনসংযোগ কর্মকর্তা।

জাতীয়

কাগতিয়া এশাতুল উলুম কামিল মাদরাসায় সালনা জলসা

বিলেতের আয়না :- মোহাম্মদ মাসুদ কাগতিয়া এশাতুল উলুম কামিল মাদরাসায় সালনা জলসা কাগতিয়া এশাতুল উলুম কামিল এম.এ. মাদরাসার ৮৮তম সালনা জলসা অনুষ্ঠিত হয়।কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা, আওলাদে মোস্তফা, খলিফায়ে রাসূল (দ.) হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর প্রাণপ্রিয় দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আজ শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বেলা ৩টায় চট্টগ্রাম মহানগর ক্যাম্পাস সম্মুখস্থ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠিতব্য জলসায় জলসায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন এর মহাসচিব হযরতুলহাজ্ব আল্লামা অধ্যক্ষ শাব্বীর আহমদ মোমতাজী । চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আবুল মনছুর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সালানা জলসায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় এর সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর রশীদ, বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ার‌্যম্যান প্রফেসর এ,কে,এম ছায়েফ উল্যা, মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ কানাডা শাখার সাধারণ সম্পাদক মীর মোহাম্মদ কায়কোবাদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের প্রফেসর ড. জালাল আহমদ, নানুপুর মাজহারুল উলুম গাউছিয়া ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হযরতুলহাজ্ব আল্লামা মুছলেহ উদ্দীন আহমদ মাদানী, রাঙ্গুনিয়া আলমশাহপাড়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মীর মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিদ্দিকুর রহমান খাঁন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মুহাম্মদ সরওয়ার কামাল, মোঃ দেলওয়ার হোসেন খাঁন প্রমুখ। জলসায় বক্তব্য রাখেন মাওলানা মুহাম্মদ আবদুস সবুর, মাওলানা মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন নূরী, মাওলানা মুহাম্মদ ফোরকান। মিলাদ-কিয়াম শেষে দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি-সমৃদ্ধি এবং কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর ফুয়ুজাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করা হয়। এতে আরও দেশবরেণ্য ওলামায়ে কেরাম, গুণীজন, বুদ্ধিজীবী, আইনজীবী, সাংবাদিক ও শিক্ষাবিদ উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয়

টানা চতুর্থবারের মতো শিরিন শারমিন চৌধুরী স্পীকার নির্বাচিত।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- টানা চতুর্থবারের মতো শিরিন শারমিন চৌধুরী স্পীকার নির্বাচিত। নবনির্বাচিত স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। টানা চতুর্থ মেয়াদে স্পিকার নির্বাচিত শিরিন শারমিন চৌধুরী। জাতীয় সংসদের স্পিকার পদে পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিশেনে উপস্থিত সংসদ সদস্যদের কণ্ঠভোটে নির্বাচিত হন তিনি।  পরে সংসদে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন নবনির্বাচিত স্পিকারকে শপথবাক্য পাঠ করান। এদিন বিকাল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্ব দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। অধিবেশনের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করা হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠ দল আওয়ামী লীগ দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্পিকার হিসেবে একাদশ সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে এবং ডেপুটি স্পিকার হিসাবে শামসুল হক টুকুকে মনোনীত করে। ২০০৯ সালে সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য হিসাবে জাতীয় সংসদে আসেন শিরীন শারমিন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে ২০১৩ সালে ৩০ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রথম নারী স্পিকার নির্বাচিত হন তিনি। এরপর ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ছেড়ে দেওয়া রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসন থেকে উপ-নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আসেন স্পিকার শিরীন শারমিন। একাদশ সংসদ নির্বাচনে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা তার শ্বশুরবাড়ির এলাকা পীরগঞ্জের আসনটি নোয়াখালীর মেয়ে শিরীনকে ছেড়ে দেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও এ আসনে শিরীন শারমিনকে প্রার্থী করে আওয়ামী লীগ। পেশায় আইনজীবী শিরীন শারমিনের জন্ম ১৯৬৬ সালে ৬ অক্টোবর ঢাকায়। তার বাবা রফিকউল্লাহ চৌধুরী ছিলেন স্বাধীনতার পর প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একান্ত সচিব। তার মা অধ্যাপক নাইয়ার সুলতানা বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের সদস্য ছিলেন। তার নানা সিকান্দার আলী ছিলেন পূর্ব পাকিস্তান হাইকোর্টের বিচারপতি। ১৯৮৯ সালে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এল এল বি (অনার্স) এবং ১৯৯০ সালে ওই স্থান অটুট রেখেই এলএলএম ডিগ্রি নেন শিরীন শারমিন। ২০০০ সালে এসেক্স ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি করেন। ১৯৯২ সালে বার কাউন্সিলের আইনজীবী হিসাবে তালিকাভুক্ত হন শিরীন। ১৯৯৪ সালে হাইকোর্ট বিভাগ ও ২০০৮ সালে আপিল বিভাগে অন্তর্ভুক্ত হন।

Scroll to Top