জানুয়ারি ৩০, ২০২৪

জাতীয়

প্রধানমন্ত্রীর পাঁচ বিশেষ সহকারী নিয়োগ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- প্রধানমন্ত্রীর পাঁচ বিশেষ সহকারী নিয়োগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাঁচজন বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- ফেরদৌস আহমেদ খান, ড. শহীদ হোসাইন, কৃষিবিদ মশিউর রহমান হুমায়ুন, নীলুফার আহমেদ ও ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। রোববার (২৮ জানুয়ারি) তাদের এ নিয়োগ দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। ফেরদৌস আহমেদ খানকে নিয়োগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে সরকারের সচিব পদমর্যাদা ও বেতনে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী পদে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল বা তার সন্তুষ্টি সাপেক্ষে (যেটি আগে ঘটে) চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হলো। আরেক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, শহীদ হোসাইনকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ হতে সরকারের সচিব পদমর্যাদায় ও বেতনে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী পদে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল বা তার সন্তুষ্টি সাপেক্ষে (যেটি আগে ঘটে) চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হলো। মশিউর রহমানকে নিয়োগের প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, কৃষিবিদ মশিউর রহমানকে (হুমায়ুন) অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্মসম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে উপসচিব পদমর্যাদায় যোগদানের তারিখ থেকে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী পদে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল বা তার সন্তুষ্টি সাপেক্ষে (যেটি আগে ঘটে) পুনরায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হলো। নীলুফার আহমেদের নিয়োগের প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, নীলুফার আহমেদকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল বা তার সন্তুষ্টি সাপেক্ষে (যেটি আগে ঘটে) সরকারের সচিব পদমর্যাদায় ও তৎসংশ্লিষ্ট আনুষঙ্গিক সুবিধাদিসহ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ করা হলো। ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার নিয়োগের প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে উপসচিব পদমর্যাদায় যোগদানের তারিখ থেকে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী পদে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল বা তার সদয় সন্তুষ্টি সাপেক্ষে (যেটি আগে ঘটে) চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ করা হলো।

জাতীয়

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের  নির্বাচিত স্বতন্ত্র এমপিদের যে নির্দেশনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বিলেতের আয়না ডেক্স :- দ্বাদশ জাতীয় সংসদের  নির্বাচিত স্বতন্ত্র এমপিদের যে নির্দেশনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবনে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবারের নির্বাচনে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচিত ৬২ জন সংসদ সদস্যকে নিয়ে গণভবনে বৈঠক করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। রবিবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে গণভবনে এই বৈঠক শুরু হয়। সংসদের চিফ হুইপ নূর-এ-আলম চৌধুরী লিটন অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী সংসদ প্র্যাকটিস ভালো করে জানার তাগিদ দিয়ে স্বতন্ত্র এমপিদের উদ্দেশে বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস জানতে হবে এবং সংবিধান আত্মস্থ করতে হবে। সংসদ কার্যপ্রণালী বিধি পড়তে হবে। আমাদের সংসদ ওয়েস্ট মিনিস্টার টাইপ পার্লামেন্ট। কাজেই সংসদ প্র্যাকটিস ভালো করে জানতে হবে। স্বতন্ত্র এমপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের নির্বাচনী এলাকায় যদি কেউ ভূমিহীন, গৃহহীন থাকেন, তাদের ঘর তৈরি করে দেওয়া হ‌বে। যেসব প্রকল্প দেশের মানুষের জন্য অর্থবহ, সেসব প্রকল্প গ্রহণ করতে সংসদ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের জিরো টলারেন্সের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের দুর্নীতিকে প্রশ্রয় না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

জাতীয়

ক্ষমতায় যেতে ‘অন্য শক্তির’ ওপর নির্ভর করে বিএনপি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ক্ষমতায় যেতে ‘অন্য শক্তির’ ওপর নির্ভর করে বিএনপি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিএনপি ক্ষমতায় যেতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশ না নিয়ে সবসময় ‘অন্য শক্তির’ ওপর নির্ভর করে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, যখনই নির্বাচনের সময় আসে তারা (বিএনপি) অন্য কোনো শক্তি খোঁজে যারা তাদের ক্ষমতায় বসাতে পারে। বীরেন্দ্র শর্মার নেতৃত্বে সফররত ব্রিটিশ ক্রস পার্টির সংসদীয় প্রতিনিধিদল রোববার (২৮ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- পল স্কুলি, নিল কোয়েল ও অ্যান্ড্রু ওয়েস্টার্ন। সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে নজরুল ইসলাম বলেনযখনই বিএনপি তাদের ক্ষমতায় বসানোর কাউকে পায় না, তখনই তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে সরে আসে। তিনি বলেন, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। তারা সব সময় সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়াই ক্ষমতায় এসেছে। তারা সবসময় মনে করে, কেউ তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। তিনি বলেন, নির্বাচনে অংশ না নেওয়াই তাদের সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, বিএনপি ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে একজন সামরিক লোককে বসিয়েছিল এবং এই ব্যক্তি নির্বাচন প্রক্রিয়া ও দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে কলুষিত করেছে। তিনি বলেন, দীর্ঘ ২৯ বছর ধরে বাংলাদেশ শাসন করেছে অগণতান্ত্রিক শক্তি। প্রতিনিধি দলকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই সময় দেশে গণতন্ত্র ছিল না। ফলে দেশে কোনো উন্নয়ন হয়নি। তিনি বলেন, বিএনপির কোনো নেতৃত্ব নেই এবং তারা সাধারণত লন্ডন থেকে নির্দেশনা পায়। ফলে ২০০৮ সালের পর তারা আন্তরিকভাবে কোনো নির্বাচনে অংশ নেয়নি। ২০১৪ সালে তারা নির্বাচন বর্জন করে। ২০১৮ সালে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও একটি আসনে একাধিক প্রার্থী দিয়েছিল দলটি। তিনি আরও বলেন, শেষ পর্যন্ত যখনই তারা মনে করেছে যে, তারা নির্বাচনে জিততে পারবে না, তখনই তারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। তিনি বলেন, ২০০৮ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। ওই নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট পায় ৩০টি আসন এবং আওয়ামী লীগ পায় ২৩৩টি আসন। এতে প্রমাণিত হয়, গণমানুষের মধ্যে বিএনপির কোনো ভিত্তি নেই। তিনি বলেন, বিএনপি ৭ জানুয়ারি নির্বাচন বর্জন করলেও জনগণ ভোট দিয়েছে ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ। জনগণ বিএনপির ভোট বাতিল করার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে।

জাতীয়

তিন মাসে সিলেটের তিন কূপে মিলল গ্যাস।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- তিন মাসে সিলেটের তিন কূপে মিলল গ্যাস। জ্বালানি সংকট নিরসনে গ্যাস উৎপাদন বাড়াতে দেশের ৪৬টি কূপ অনুসন্ধান, খনন ও পুনঃখননের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। ২০২৫ সালের মধ্যে এসব খনন কাজ শেষ হওয়ার কথা। এতে ৬১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রাকৃতিক সম্পদের আঁধার হিসেবে পরিচিত সিলেটে গত তিন মাসে তিনটি কূপে গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। এর ফলে প্রতিদিন সিলেট থেকে আরও ২৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সর্বশেষ সিলেট গ্যাসফিল্ডের আওতাধীন রশিদপুরের ২ নং কূপে গ্যাসের নতুন স্তরের সন্ধান মেলে। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ  সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ তার ফেসবুকে পেইজে এ তথ্য জানান। নসরুল হামিদ লিখেন, সুখবর বাংলাদেশের জ্বালানিখাতের জন্য! সিলেটের রশিদপুর-২নং গ্যাস কূপ অনুসন্ধানে নতুন গ্যাস স্তরের সন্ধান পাওয়া গেছে। যার পরিমাণ প্রায় ১৫৭ বিলিয়ন ঘনফুট এবং বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ১০ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা। ফেসবুকে প্রতিমন্ত্রী জানান, ‘আশা করছি, আগামী ১০ দিনের মধ্যে এখান থেকে দৈনিক ৮০ লাখ ঘনফুট হারে গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব হবে। তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে শেখ হাসিনা সরকারের অগ্রাধিকার আগামীতে বাংলাদেশের জন্য আরও বড় সুসংবাদ বয়ে আনবে আশা করি।’ এরআগে গত ২৬ নভেম্বর দেশের সবচেয়ে পুরানো গ্যাসক্ষেত্র হরিপুরের ১০ নম্বর কূপে গ্যাসের সন্ধান মেলে। খনন কাজ শেষে ওইদিন গ্যাস প্রাপ্তির তথ্য নিশ্চিত করে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল)। গতবছরের জুনে এই কূপ খনন কাজ শুরু হয়। ১৪৯ কোটি টাকায় সিলেট-১০ নম্বর কূপ খনন করে চীনা কোম্পানি সিনোপেক। কূপটিতে প্রায় ৫০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ রয়েছে বলে জানিয়েছে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস কর্তৃপক্ষ। সিলেট গ্যাস ফিল্ডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, এখানে থেকে দৈনিক ১৩ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন তারা। তিনি জানান,  এই কূপে মজুদ গ্যাসের মূল্য ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। এলএনজি আমদানি মূল্য হিসেবে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। তারও আগে, গত ২২ নভেম্বর সিলেটের কৈলাশটিলায় পরিত্যক্ত ২ নং কুপ থেকে গ্যাস জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়। এখান থেকে দৈনিক ৭০ লাখ ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে। সিলেটের হরিপুরে প্রথম গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায় ১৯৫৫ সালে। এরপর আবিষ্কার হতে থাকে একের পর এক গ্যাসক্ষেত্র। বর্তমানে এসজিএফএল-এর আওতায় পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে। সেগুলো হলো- হরিপুর গ্যাসফিল্ড, রশীদপুর গ্যাসফিল্ড, ছাতক গ্যাসফিল্ড, কৈলাশটিলা গ্যাসফিল্ড ও বিয়ানীবাজার গ্যাসফিল্ড। এর মধ্যে ছাতক গ্যাসফিল্ড পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। বাকিগুলোর মধ্যে ১৪টি কূপ থেকে বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ১০৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে। জানা যায়, জ্বালানি সংকট নিরসনে গ্যাস উৎপাদন বাড়াতে দেশের ৪৬টি কূপ অনুসন্ধান, খনন ও পুনঃখননের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। ২০২৫ সালের মধ্যে এসব খনন কাজ শেষ হওয়ার কথা। এতে ৬১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এসজিএফএল-এর আওতাধীন ১৪টি কূপ খনন ও পুনঃখননের কাজ চলছে। সিলেটের ১৪ কূপের মধ্যে তিনটির খনন কাজ থেকে ২০২২ সাল থেকে উৎপাদন শুরু হয়। ২০২৩ সালে আরও একটি থেকে উৎপাদন শুরু হয়। ২০২২ সালে সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের (এসজিএফএল) আওতাধীন সিলেট-৮, কৈলাশটিলা-৭ ও বিয়ানীবাজার-১ নামে তিনটি পরিত্যক্ত কূপ পুনঃখনন করা হয়। এসব কূপ থেকে দৈনিক ১৬ থেকে ১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ করা হচ্ছে।

জাতীয়

নোবেল জয়ী ডক্টর ইউনুস স্থায়ী জামিন পেলেন ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- নোবেল জয়ী ডক্টর ইউনুস স্থায়ী জামিন পেলেন । শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার আইনজীবী আবদুল্লাহ আল-মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রবিবার (২৮ জানুয়ারি) পৌনে ১১টার দিকে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে আপিল করেন ড. ইউনূসসহ চার আসামি। আপিলে জামিন আবেদনের পাশাপাশি শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলার রায়ে ৬ মাসের সাজার বিরুদ্ধে ২৫টি যুক্তি দেখিয়ে খালাস চাওয়া হয় তাদের পক্ষে। এর প্রেক্ষিতে আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের জামিন দিয়েছেন শ্রম আপিলেট ট্রাইব্যুনাল। এর আগে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা মামলায় গত ১ জানুয়ারি ড. ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সাজাপ্রাপ্ত অপর তিনজন হলেন গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান। রায় ঘোষণার পর উচ্চ আদালতে আপিল করার শর্তে ড. ইউনূসসহ চারজনকে এক মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিলেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। ২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করা হয়। গত বছরের ৬ জুন মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। গত বছরের ২২ আগস্ট সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়, যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। গত ২৪ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়। মামলায় অভিযোগ আনা হয়, শ্রম আইন ২০০৬ ও শ্রম বিধিমালা ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাঁদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেওয়া হয়নি। গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেওয়া হয়নি।

Scroll to Top