জানুয়ারি ৩০, ২০২৪

জাতীয়

কালো পতাকা মিছিলে কেনো এতো ভয় সরকারের।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- কালো পতাকা মিছিলে কেনো এতো ভয় সরকারের। ডামি নির্বাচন করে সরকার আরো বেশি ভয়ের মধ্যে আছে জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আতঙ্কের একটা প্রতিযোগিতা দেখছি সরকারের মধ্যে। কালো পতাকা মিছিলেই কি সরকারের এতো ভয়? মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি । পুলিশের আচরণের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, তাদের কারণেই ভালো মানুষ গুলো জেলে, কারাগারের। আর কুখ্যাত খুনি, সন্ত্রাসীরা বাইরে। পুলিশই আবার এমপিদের নির্বাচিত করে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির ও দেশবরেণ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মঈন খানকে টেনে হেঁচড়ে তুলে যায় পুলিশ এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, তার মতো ভদ্র মানুষকে এভাবে কিভাবে এমন করে হেনস্থা করে। তাহলে কীভাবে এ দেশে ভদ্র লোক থাকবে। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, অধিবেশনের নামে সরকার তামাশা ও নাটকের আয়োজন করে। কালো পতাকা মিছিলেই কি সরকারের এতো ভয়? মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ একজন হার্টের রোগী জানিয়ে তিনি বলেন, তাকে টেনে হেঁচড়ে তুলে নিয়ে গেছে পুলিশ। এ দেশে কি নারীরাও নিরাপদ নয়? কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম একদিন আগে জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন। মুক্তি পেয়ে তিনি পরিবারের কাছে দেখা করতে গেলে আজ (মঙ্গলবার) সরকারের আজ্ঞাবহ বাহিনী গ্রেপ্তার করে তাকে। এটা অত্যন্ত অমানবিক ও বর্বরতা। ” বিএনপির পুরো কেন্দ্রীয় কার্যালয় কালো পতাকা দিয়ে ঢেকে রাখা উচিত” সোমবার (২৯ জানুয়ারি) আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রিজভী বলেন, অহংকার করেন। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় পুলিশ দিয়ে আছেন। এরও কিন্তু শেষ আছে। আপনাদের পতন হবেই। যারা অপরাধী তারাই অন্যায়, অত্যাচার করে থাকে অবৈধ ক্ষমতার জোরে। মিথ্যা দিয়ে সব কিছু করতে চান । আর আমরা সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য রাষ্ট্রের এমন বন্দুকের মুখে বলি। এটাই বিশ্বব্যাপী চিহ্নিত। এছাড়া কালো পতাকা মিছিলকে কেন্দ্র করে সারাদেশে ইতোমধ্যে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আটক হয়েছে বলে জানান বিএনপির এই মুখপাত্র। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা রফিকুল ইসলাম, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানাসহ প্রমুখ।

জাতীয়

স্পিকার শিরিন শারমিনের সঙ্গে ১৪টি দেশের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- স্পিকার শিরিন শারমিনের সঙ্গে ১৪টি দেশের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সংসদ ভবনস্থ কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ১৪টি দেশের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূতগণ সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সাক্ষাতকালে তারা বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতি, সাম্প্রতিক নিরপেক্ষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, বহুপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, সংসদীয় সফর বিনিময় ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। স্পিকার বলেন,  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত পনেরো বছরে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। অর্থনৈতিক অগ্রগতি, ৮ শতাংশের বেশি জিডিপি, নারীর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, শিক্ষার প্রসার, খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন, গৃহহীন-ভূমিহীনদের গৃহ নির্মাণ, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সফল বাস্তবায়ন ইত্যাদি কার্যক্রমের মাধ্যমে উন্নত বাংলাদেশ গঠনে তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, একটি সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার গঠিত হয়েছে। এক-কক্ষবিশিষ্ট বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে ৩০০ জন নির্বাচিত সংসদ সদস্য ব্যতীত ৫০ জন সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য নির্বাচনের বিধান রয়েছে। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সফর বিনিময়ের মাধ্যমে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জন সম্ভব। জলবায়ু পরিবর্তন, লিঙ্গ বৈষম্য, মানবাধিকারসহ নানা ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক প্লাটফর্মে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান স্পিকার। মঙ্গোলিয়ার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত গানবোল্ড দামবাজাভ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি অনুসরণীয়। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মানের উন্নয়ন দৃশ্যমান। চেক প্রজাতন্ত্রের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত ড. এলিসকা যিগোভা বলেন, বাংলাদেশ চেক প্রজাতন্ত্রের অনেক পুরনো বন্ধু। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সৌন্দর্য অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর।

জাতীয়

নিখুঁতভাবে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে না এ সংসদ — জিএম কাদের।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- নিখুঁতভাবে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে না এ সংসদ — জিএম কাদের। জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের মন্তব্য করেছেন, সংসদ সদস্যের সংখ্যার বিচারে বর্তমান সংসদে ভারসাম্য রক্ষা হয়নি। কাদের বলেন, ‘আসন সংখ্যার বিচারে এবার সংসদে ৭৫ শতাংশই সরকার দলের। স্বতন্ত্র ২১ শতাংশ। তারাও প্রায় সরকারদলীয়। ৩ থেকে ৪ শতাংশ শুধু বিরোধীদলীয় সদস্য। এ সংসদে সম্পূর্ণ জাতিকে খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে। এ সংসদ কখনো নিখুঁতভাবে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে না।’ মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ অধিবেশনের প্রথমদিনে স্পিকার নির্বাচনের পর নতুন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানাতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। জি এম কাদের ১৯৯৬ সাল থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। তিনি সংসদে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখবেন বলে আশা প্রকাশ করেন। স্পিকারের দায়িত্ব প্রশ্নে জি এম কাদের বলেন, ‘তারা দলীয় আনুগত্যে স্পিকার হলেও বাহ্যিকভাবে চেষ্টা করতেন নিরপেক্ষভাবে উপস্থাপন করার। আমি আপনার কাছে প্রত্যাশা করছি আপনি নিরপেক্ষতা বজায় রাখবেন।’ স্পিকারের ডান দিকে সরকার দলের আসন এবং বাম পাশে বিরোধী দলের আসন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য ছিল দুপক্ষই সামান হবে। একটা হলো সরকারি দল, আরেকটা হলো বিপক্ষ। তারা সংখ্যায়ও কাছাকাছি থাকবে। তাহলে তাদের মধ্যে সমানে সমানে লড়াই হবে, নিজেদের মতামতকে প্রধান্য দিয়ে তর্ক-বিতর্ক, ঝগড়াঝাটি হবে। সংসদে জনগণের পক্ষে সিদ্ধান্ত হবে। এটাই ছিল সংসদ তৈরি করার উদ্দেশ্য।’ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফলের প্রসঙ্গ টেনে বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, ‘জাতীয় সংসদ দলমত সবার মিলনস্থল। সেখানে সরকারি দল এক পক্ষ, সরকারের বিপরীত দল আরেক পক্ষ। নির্বাচন পরবর্তী আসন সংখ্যায় ৭৫ শতাংশই সরকার দলের। ২১ শতাংশ স্বতন্ত্র। তারাও প্রায় সরকার দলীয়। ৩ থেকে ৪ শতাংশ শুধু বিরোধী দলীয় সদস্য। এখানে আসন বণ্টনে ভারসাম্যের.. যতই সিমিট্রিক্যাল হলেও আসন বণ্টন সিমিট্রিক্যালের অভাব হয়েছে। তাই এটাকে সম্পূর্ণভাবে সুন্দর বলা যাবে না।’ লাল ও সবুজের জাতীয় পতাকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শুধু লাল নয়, শুধু সবুজ নয়। যদি সরকারি দলকে লাল বলি তাহলে এ সংসদ সম্পূর্ণ লালময়। সবুজটা শুধু ছিটেফোঁটা। এ সংসদে সম্পূর্ণ জাতিকে খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে। বর্তমান সংসদ জাতিকে কতটুকু প্রতিনিধিত্ব করতে সক্ষম হবে তা আশঙ্কার বিষয়। ভালোভাবে বললে বলতে হবে বিতর্কের বিষয়। দুই অংশের কর্মকাণ্ডের ব্যবধান কমাতে পারলে- অর্থ্যাৎ সরকার ও বিরোধীদের সংসদ কর্মকাণ্ডের ব্যবধান কমাতে পারলে- যতটা কমবে ততুটুক সংসদ কার্যকর হিসেবে গণ্য হবে।’ জিএম কাদের বলেন, ‘এ আশঙ্কা অবাস্তব নয়, যদি বলি এ সংসদ কখনো নিখুঁতভাবে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে না। সরকার বিরোধীরা যতবেশি সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে বা করবেন, ততটুকু হবে।’ এসময় সংসদকে কার্যকর ভূমিকায় পরিচালিত করতে কিছু দাবি তুলে ধরেন জিএম কাদের। তিনি বলেন, ‘বিরোধীদের মতামতকে সংসদে তোলার সুযোগ দেবেন। সংসদের ভারসাম্যের ত্রুটি কমানোর প্রচেষ্টা আমরা অব্যাহত রাখবো।’ তাই স্পিকারের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন তিনি।

জাতীয়

ইউরোপ থেকে ২১ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল ফ্রান্স।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ইউরোপ থেকে ২১ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল ফ্রান্স। সম্প্রতি ইউরোপের তিন দেশ থেকে ৫১ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ২৬ জানুয়ারি (শুক্রবার) সকালে একটি বিশেষ ফ্লাইটে তারা ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। ফেরত যাওয়াদের মধ্যে রয়েছেন ফ্রান্স থেকে ২১ জন, সাইপ্রাস থেকে ১৬ জন এবং গ্রিস থেকে ১৪ জন। ফ্রান্সের ২১ জনের মধ্যে কয়েকজনের ইউরোপের বৈধ কাগজপত্র ছিল। তারপরও তাদের জোর করে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফ্রান্স থেকে দেশে ফেরত যাওয়া বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী অভিযোগ করেছেন, ফ্রান্সের দূতাবাসের অসযোগিতার কারণে তাদের এই পরিণতি ভোগ করতে হয়েছে। তারা ১২ থেকে ১৪ লাখ টাকা খরচ করে উন্নত জীবনের আশায় বাংলাদেশ থেকে পাড়ি জমিয়েছিলেন ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। তারা প্রতিনিয়ত রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছিলেন। এ নিয়ে ফ্রান্সের বাংলাদেশি কমিউনিটিতে চলেছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও অভিবাসন অভিজ্ঞরা বলছেন, ফ্রান্সে কাগজবিহীন বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানোর নজির খুব কম। সাধারণত বড় কোনো অপরাধ না করলে দেশে পাঠানো হয় না। আগে কোনো অনিয়মিত বাংলাদেশিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলে প্যারিসের বাংলাদেশ দূতাবাসে নিয়ে আউট পাস চাইত। তখন দূতাবাসের পক্ষ থেকে তদন্তের কথা বলে সময় চাওয়া হতো। এসময়ের মধ্যে বিভিন্ন উপায়ে আইনজীবীর মাধ্যমে বাংলাদেশিকে ছাড়িয়ে আনা হতো। অথচ এখন ডিটেনশন সেন্টারে গিয়ে বাংলাদেশিদের লিস্ট করে আউট পাস দিয়ে দেশে ফেরত পাঠাতে সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ দূতাবাস।

আন্তর্জাতিক

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার প্রস্তুতি যুক্তরাজ্য।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার প্রস্তুতি যুক্তরাজ্য। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লর্ড ক্যামেরন ইঙ্গিত করেছেন ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত যুক্তরাজ্য। তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোর দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে আমাদের।’ সোমবার (৩০ জানুয়ারি) লর্ড ক্যামেরন লন্ডনে ব্রিটেনের মন্ত্রিসভার এক অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি জানান, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি আদায়ে জাতিসংঘেও ভূমিকা রাখবে ব্রিটেন ও তার মিত্ররা। খবর বিবিসি। জাতিসংঘে ফিলিস্তিন ইস্যু নিয়ে যুক্তরাজ্য কাজ করবে বলে ক্যামেরন বলেন, আমরা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবো এবং এ ইস্যুকে আরও গতিশীল করতে জাতিসংঘেও কাজ করব। আমাদের মিত্ররা এক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে বলে আশা করছি। কারণ, যদি জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের স্বীকৃতিতে নিয়ে প্রক্রিয়া শুরু হয়, তাহলে গত কয়েক দশকের অপেক্ষা শেষ হওয়ার পথ সুগম হবে। তার বক্তব্যে মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতমুখর পরিস্থিতি, ফিলিস্তিনিদের নিজেদের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবির ন্যায্যতা, নিজেদের নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে ইসরায়েলের ব্যর্থতাসহ বিভিন্ন বিষয়ও উঠে এসেছে। সোমবারের বক্তব্যে লর্ড ক্যামেরন বলেন, ‘নিজেদের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে ফিলিস্তিনের জনগণ যে আন্দোলন শুরু করেছিলেন, তা ইতোমধ্যে পরিণত হয়েছে। এখন একে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাছাড়া তাদের এই আন্দোলন ন্যায্য এবং ফিলিস্তিনের জনগণের ন্যায্য আন্দোলনকে সমর্থন দিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোর দীর্ঘ ঐতিহ্য ব্রিটেনের রয়েছে।’ ইসরায়েলের কঠোর সমালোচনা করে ক্যামেরন বলেন, ‘ইসরায়েল হয়তো নিজ অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে পেরেছে, নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে পেরেছে, শক্তিশালী প্রতিরক্ষা বাহিনীও গড়ে তুলেছে; কিন্তু নাগরিকদের নিরাপত্তা তারা নিশ্চিত করতে পারেনি। এটা তাদের ব্যর্থতা এবং ইসরায়েলের গত কয়েক দশকের ইতিহাস মূলত এই ব্যর্থতার ইতিহাস।’ তিনি আরো বলেন, বর্তমানে গাজায় মানবিক বিরতির আলোচনা চলছে। আমরা মনে করি এই আলোচনা সফল হওয়ার ওপর আসলে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের বাস্তবায়ন অনেকাংশ নির্ভর করছে।’ প্রসঙ্গত, ১৯৭৪ সালে আরব লীগের সম্মেলনে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র এবং সেই রাষ্ট্রের একমাত্র বৈধ সরকার হিসেবে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষকে স্বীকৃতি দেয় আরব লীগ। ১৯৬৬ সাল থেকে স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে আন্দোলন করে আসা গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর সম্মিলিত জোট ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ) শুরুর দিকে ইসরায়েল রাষ্ট্রের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। তবে ১৯৮২ সালে ‘দ্বিরাষ্ট্র সমাধান’ বা ইসরায়েলের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বও মেনে নেয় পিএ।

জাতীয়

যুক্তরাজ্যে ডিসপোজেবল ই-সিগারেট নিষিদ্ধ হচ্ছে।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- যুক্তরাজ্যে ডিসপোজেবল ই-সিগারেট নিষিদ্ধ হচ্ছে। অপ্রাপ্তবয়স্কদের ধূমপান থেকে বিরত রাখতে দেশ জুড়ে একবার ব্যবহারযোগ্য (ডিসপোজেবল) ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য। সোমবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের দপ্তর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর রয়টার্সের। বিবৃতিতে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা আমাদের শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের ধূমপান থেকে বিরত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এমনকি যেসব প্রাপ্তবয়স্ক তরুণ-তরুণী ধূমপানে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে, আমরা তাদেরও ধীরে ধীরে ধূমপান মুক্ত জীবনে ফিরিয়ে আনতে চাই। শিগিগরই এ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ এদিকে সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ই-সিগারেট প্রস্তুতকারী ব্রিটিশ উদ্যোক্তাদের সংগঠন ইউকে ভ্যাপিং ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিশেন। সেই সঙ্গে অ্যাসোসিয়েশন হুমকি দিয়ে বলেছে, যদি সত্যিই সরকার এই কঠোর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে, সেক্ষেত্রে ২০২৪ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোটের ক্ষেত্রে তার ফল ভোগ করতে হবে। ধূমপান যুক্তরাজ্যে বিরাট একটি সমস্যা। দেশটির প্রতি চার জন ক্যানসার রোগীর একজন ধূমপানের কারণে এই রোগটিতে আক্রান্ত হন। এছাড়া ক্যানসার ও নিয়মিত ধূমপানের কারণে সৃষ্ট বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে প্রতি বছর ব্রিটেনে মৃত্যু হয় অন্তত ৮০ হাজার মানুষের। যুক্তরাজ্যের সরকারি পরিসংখ্যান দপ্তর এবং অলাভজনক সংস্থা অ্যাকশন অন স্মোকিং অ্যান্ড হেলথের (অ্যাশ) তথ্য অনুসারে, শতাংশ হিসেবে ২০২০ সালে যেখানে ৪.১ শতাংশ কিশোর-কিশোরী ধূমপানে আসক্ত ছিল, ২০২৩ সালে তা বেড়ে পৌঁছেছে প্রায় ৯ শতাংশে।

আন্তর্জাতিক, জাতীয়

নিউইয়র্কে সড়ক দুর্ঘটনায় সিলেটের মেয়ে কলেজছাত্রীর করুণ মৃত্যু।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- নিউইয়র্কে সড়ক দুর্ঘটনায় সিলেটের মেয়ে কলেজছাত্রীর করুণ মৃত্যু। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কলেজছাত্রী দেবপ্রীতা দে ব্রতীর (১৮) নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় রবিবার (২৮ জানুয়ারি) ভোরে নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ড সাউদার্ন স্টেট পার্ক মহাসড়কে এক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর । নিহত দেবপ্রীতা দে সিলেটের ওষুধ ব্যবসায়ী ও সেন্ট্রাল ফার্মেসির পরিচিত মুখ দেবাশীষ দে বাসু ও ভার্শতি দে দম্পতির কনিষ্ঠ কন্যা। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, লং আইল্যান্ড সাউদার্ন স্টেট পার্ক মহাসড়কের ৩৫ নম্বর বাহির পথে ইনফেনিটি গাড়ির আরোহী ছিলেন দেবপ্রীতা দে। গাড়ির চালক ছিলেন তার বন্ধু জীবন লেইকেন (১৯)। বাহির পথে অন্য একটি জিপ গাড়ির সঙ্গে ইনফিনিটি গাড়ির ধাক্কা লাগলে গাড়িটি সড়ক থেকে ছিটকে গাছে ধাক্কা দেয়। ভোর পৌনে ৬টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ইনফিনিটি গাড়ির ভেতর থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে। অপর গাড়ির চালককে আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ জানা যায়নি। নিউইয়র্ক পুলিশের একাধিক বিভাগ এ নিয়ে তদন্ত করছে। ম্যানহাটন কমিউনিটি কলেজের শিক্ষার্থী দেবপ্রীতা দে পরিবারের সঙ্গে কুইন্সের জ্যাকসন হাইটস এলাকার করোনা নামক এলাকায় বসবাস করতেন। দুর্ঘটনার সময় তার বাবা-মা দেশে অবস্থান করছিলেন। রবিবার বেলা ২টার দিকে পুলিশ পরিবারের খোঁজ করে দেবপ্রীতার বোনকে মৃত্যুর সংবাদ জানায়। পুলিশ ও হাসপাতালের আনুষ্ঠানিকতা শেষে নিউইয়র্ক সময় মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে এমিরেটসের ফ্লাইটে মরদেহ দেশে পাঠানো হবে। দেবপ্রীতা দের কাকা সুব্রত দে গৌতম জানান, তিনি নিউইয়র্ক ও কানাডা থেকে পরিবারের সদস্যরাসহ মরদেহ নিয়ে দেশে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকায় পৌঁছানোর পর সেদিনই সিলেটে নেওয়া হবে। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সিলেট শহরের চালিবন্দরে দেবপ্রীতা দের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হবে। দেশে থাকা দেবপ্রীতা দের বাবা মাকে দুর্ঘটনার সংবাদ জানানো হয়েছে। এদিকে নিউইয়র্কে দুর্ঘটনার সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে ব্যাপকভাবে জড়িত পরিবারটির খোঁজখবর নিতে লোকজনকে ভিড় করতে দেখা গেছে। জনসমাজ সংগঠক ও জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুয়েল চৌধুরী জানান, দেবপ্রীতা দের মরদেহ দেশে পৌঁছা পর্যন্ত সব আনুষ্ঠানিকতার তিনি খোঁজ-খবর রাখছেন।

জাতীয়

মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীকে হটিয়ে রাখাইন রাজ্য দখল নিয়েছে আরাকান আর্মি।

বিলেতের আয়না ডেক্স :-মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীকে হটিয়ে রাখাইন রাজ্য দখল নিয়েছে আরাকান আর্মি। জান্তা বাহিনী হটিয়ে মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলের রাখাইন রাজ্যের মিনবিয়া শহরের সেনা ঘাঁটি দখলে নেওয়ার দাবি করেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ)। স্থানীয় সময় রোববার (২৮ জানুয়ারি) আরাকান আর্মিরা ঘাঁটিটি দখল করে নেয়। এটি মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ৩৮০ ব্যাটালিয়নের ঘাঁটি বলে জানা গেছে। তবে এখনও ওই এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের বলা হয়েছে। এক বিবৃতিতে আরাকান আর্মি জানিয়েছে, ম্রাউক ইউ শহরে সেনাবাহিনীর ৩৭৭ ও ৫৪০ ব্যাটালিয়ন ও পুলিশের ৩১ ব্যাটালিয়ন থেকে গোলাবর্ষণ করা হচ্ছে। জান্তা বাহিনীর গোলাবর্ষণে এ শহরের চার বাসিন্দা নিহত ও অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, জান্তা সৈন্যরা রামরি শহরে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে গোলাবর্ষণ ও বিমান হামলা চালিয়ে আসছে। তবে শহরটিতে আরাকান আর্মির বিদ্রোহীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সম্মুখ লড়াইয়ের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। মিনবিয়া শহরের খোয়া সোন গ্রামে সেনাবাহিনীর গোলাবর্ষণে অন্তত তিন বাসিন্দা গুরুতর আহত হয়েছে। এর আগে, আরাকান আর্মির যোদ্ধারা ২৪ জানুয়ারি পাকতাও শহরের দখল নেয়। এরপর থেকেই জান্তা বাহিনী ওই শহরে বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণ শুরু করে।

জাতীয়

শীর্ষ সন্ত্রাসী ও জঙ্গি ছাড়া কাউকে ডান্ডাবেড়ি পরানো যাবে না– হাইকোর্ট

বিলেতের আয়না ডেক্স :- শীর্ষ সন্ত্রাসী ও জঙ্গি ছাড়া কাউকে ডান্ডাবেড়ি পরানো যাবে না– হাইকোর্ট শীর্ষ সন্ত্রাসী ও জঙ্গি ছাড়া কাউকে ডান্ডাবেড়ি পরানো যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।  এ সংক্রান্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। আগামী ১১ মার্চ রুল শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। পটুয়াখালী মির্জাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি নাজমুল মৃধার করা রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি আতাবুল্লাহ হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রিটকারীর আইনজীবী জানান- শীর্ষ সন্ত্রাসী, জঙ্গি, দুর্ধর্ষ প্রকৃতির বন্দিদের আদালতে হাজিরা বা অন্যত্র আনা-নেয়ার ক্ষেত্রে ডান্ডাবেড়ি পরানো যাবে। এর বাইরে কোনো বন্দি বা আসামিকে ডান্ডাবেড়ি পরানো যাবে না।

জাতীয়

দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ১০তম।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ১০তম। দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ১৮০টি দেশের মধ্যে যৌথভাবে ১০ম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। তবে এককভাবে বাংলাদেশের অবস্থান ৩২, অর্থাৎ এ তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৩১টি দেশের পরে। বার্লিনভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) দুর্নীতির ধারণাসূচক ২০২৩ শীর্ষক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। গত বছর এই সূচকে যৌথভাবে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১২ নম্বরে; যার তুলনায় এবার দুই ধাপ অবনতি হয়েছে বাংলাদেশের অবস্থান। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) রাজধানীর ধানমন্ডিতে মাইডাস সেন্টারে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। দুর্নীতির ধারণাসূচক প্রতিবেদনটি আজ একই সময়ে বিশ্বজুড়ে প্রকাশিত হয়। ২০০১ সাল থেকে বাংলাদেশের দুর্নীতির চিত্র এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, করাপশন পারসেপশনস ইনডেক্স (সিপিআই) অনুযায়ী এ বছর বাংলাদেশের স্কোর ২০২২ সালের তুলনায় এক পয়েন্ট কমে ২৪ হয়েছে। ক্রমিক অনুযায়ী অবস্থানের দুই ধাপ অবনতি হয়ে ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান যৌথভাবে ১০ম এবং ঊর্ধ্বক্রম অনুযায়ী ১৪৯তম। তিনি বলেন, সূচকের বিশ্লেষণ বলছে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশের স্কোর ও অবস্থান গত এক যুগের মধ্যে সর্বনিম্ন স্কোর ও অবস্থানের এই অবনমন প্রমাণ করে যে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের বিভিন্ন অঙ্গীকার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘শূন্য সহনশীলতার’ ঘোষণা- উল্লিখিত সময়কালে (নভেম্বর ২০২০-সেপ্টেম্বর ২০২৩) বাস্তবিক অর্থে কার্যকর প্রয়োগ হয়নি। বরং আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও কাঠামোগত দুর্বলতায় বাংলাদেশের অবস্থানের আরও অবনতি হয়েছে। পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার ৮টি দেশের মধ্যে এবারও বাংলাদেশের অবস্থান ও স্কোর যথারীতি বিব্রতকরভাবে আফগানিস্তানের পর, অর্থাৎ দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। প্রতিবেদন অনুসারে, ১০০ স্কোরের মধ্যে ৯০ পেয়ে সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে তালিকার শীর্ষে আছে ডেনমার্ক। ৮৭ পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে ফিনল্যান্ড এবং ৮৫ স্কোর পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে নিউজিল্যান্ড। সূচকে সবচেয়ে কম ১১ স্কোর পেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে সোমালিয়া। ১৩ স্কোর পেয়ে নি¤œক্রম অনুযায়ী যৌথভাবে দ্বিতীয় হয়েছে দক্ষিণ সুদান, সিরিয়া ও ভেনেজুয়েলা। এছাড়া ১৬ স্কোর নিয়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইয়েমেন।

Scroll to Top