জানুয়ারি ২৭, ২০২৪

জাতীয়

খাজা গরিবে নেওয়াজ’র স্মরণে খতমে কোরআন-মিলাদ মাহফিল ও শীতবস্ত্র বিতরণ

বিলেতের আয়না :- মোহাম্মদ মাসুদ খাজা গরিবে নেওয়াজ’র স্মরণে খতমে কোরআন-মিলাদ মাহফিল ও শীতবস্ত্র বিতরণ খাজা গরিবে নেওয়াজ’র (রঃ)’র স্মরণে ১১৮তম ওরস শরিফ উপলক্ষে খতমে কোরআন-মিলাদ মাহফিল ও শীতবস্ত্র বিতরণ। চট্টগ্রাম নগরীর কাতালগঞ্জে মমতাজ উদ্দীন চৌধুরী ফাউন্ডেশন ও শাহ আলম হাজরা ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে হযরত খাজা গরিবে নেওয়াজ (রঃ)’র ১১৮ তম ওরস শরিফ উপলক্ষে খতমে কোরআন,মিলাদ মাহফিল ও শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। ইসলাম প্রিয় সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গে উপস্থিতিতে সুসম্পন্ন হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আঞ্জুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সিনিয়র সহ সভাপতি আলহাজ মুহাম্মদ মহসিন। ২৫,জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়,নগরীর মিল্টন কনভেনশন হল,কাতালগঞ্জে গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গগণের উপস্থিতিতে আগত দর্শক সাধারণ মানুষের সমবেত অনুষ্ঠিত হয়। মমতাজ উদ্দীন চৌধুরী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ শাহাদাত হোসেন চৌধুরী রুমেলে সঞ্চালনায়। উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মমতাজ উদ্দীন চৌধুরী ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ও চকবাজার থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাব উদ্দিন আহমেদ, সভাপতিত্ব করেন শাহ আলম হাজরা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সাজেেদুল আলম মিল্টন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক পূর্বদেশের সহ সম্পাদক ও অপর্নাচরণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল। বাগমনিরাম ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুদ্দিন বাবু। উপস্থিত ছিলেন মমতাজ উদ্দীন চৌধুরী ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ আবু নাসের রনি,যুব রেড ক্রিসেন্ট চট্টগ্রাম সিটির যুব প্রধান আবু নাইম তামজিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সাধারণের মাঝে শুভেচ্ছা উপহার প্রদানে উভয় ফাউন্ডেশন পক্ষ হতে সর্বমোট ২০০ জনকে কম্বল বিতরণ করা হয়।   প্রসংঙ্গঃ শান্তিময় সমাজ ও জীবন গঠনে সর্বাবস্থায় মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন।খাজা গরিবে নেওয়াজের জীবনী দর্শন জানা প্রয়োজন।যা আলোকিত জীবন ও সমাজ গঠনে অপরিহার্য ও শিক্ষনীয়। বেঁচে থাকার জন্য দরকার মানবতাবোধ,মানবসেবা। স্বেচ্ছাসেবী, সেবামূলক কাজের মাধ্যমে সম্প্রীতির বার্তা।নৈতিক মানবিক আদর্শিক মূল্যবোধ জাগ্রত করে। যা মর্যাদাপূর্ণ তাৎপর্য্য উন্নত জাতি গঠনে অপরিহার্য।একে অপরের প্রয়োজনে ও সহযোগিতায় এগিয়ে আসা প্রয়োজন। ইসলামের ধর্মীয় সম্প্রীতি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান আলোকিত সমাজ গঠনের নির্দেশ বহন করে। শান্তিময় জীবন জীবীকা ও সমাজ গঠনে ইসলামের দর্শন,ধর্মীয় চেতনা অপরিহার্য। সভ্য শান্ত,সুন্দর সমৃদ্ধ শান্তি প্রিয় সমাজ দেশ জাতি গঠনে সকলেই অঙ্গীকারবদ্ধ।মানুষ মানুষের জন্য। জীবন জীবনের জন্য।

জাতীয়

চট্টগ্রামে ৪ সিএনজি’সহ সিএনজি চোর চক্রের আটক-২

বিলেতের আয়না :- মোহাম্মদ মাসুদ চট্টগ্রামে ৪ সিএনজি’সহ সিএনজি চোর চক্রের আটক-২ চট্টগ্রাম সিএমপি চান্দগাঁও থানা পুলিশের অভিযানে সিএনজি চোর চক্রের ২ সদস্য গ্রেফতার, চার সিএনজি উদ্ধার করা হয়। আটককৃতরা হলো -মোঃ জামশেদ উদ্দিন (৩২) ও মোঃ জমশেদ (২৮)।গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজতে থাকা ৪টি সিএনজি টেক্সি উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টায় তথ্য তদন্তকারী অফিসার এসআই আব্দুল মোনাফ সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স সহ অভিযানে প্রযুক্তির সহায়তা ও গোপন সংবাদে সিএনজি সহ চোর চক্রের ২জনকে আটক করে। চান্দগাঁও থানা পুলিশ জানায়,বাদী সৌরাত মাহামুদ আবিদ এ ঘটনায় থানায় মামলা করেন। মামলা রুজুর পর সিএনজি উদ্ধারে মাঠে নামে পুলিশ। মামলার সূত্রে বাদীর মালিকানাধীন একটি সিএনজি টেক্সি বৃহস্পতিবার দুপুরে কাপ্তাই রাস্তার মাথা সিডিএ গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের সামনে থেকে চুরি হয়ে যায়। এদিকে, আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে, তারা আন্তঃ জেলা সিএনজি টেক্সি চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কাপ্তাই রোডের গোলাপের দোকান এলাকা হতে আজ শুক্রবার ভোরে অভিযানে ধৃত আসামিদের দেখানো ও সনাক্তমতে আরো ৩টি চোরাই সিএনজি উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারকৃত ৩টি চোরাই সিএনজি সংক্রান্তে পৃথক মামলা রুজু করা হচ্ছে। তাদের হেফাজতে আরো চোরাই সিএনজি আছে।

জাতীয়

ফুল উৎসব পার্ক উদ্ভোধন-আনন্দে মাতোয়ারা দর্শনার্থীরাচট্টগ্রামে এই প্রথম মাসব্যাপী ফুল উৎসব।

বিলেতের আয়না :- মোহাম্মদ মাসুদ ফুল উৎসব পার্ক উদ্ভোধন-আনন্দে মাতোয়ারা দর্শনার্থীরাচট্টগ্রামে এই প্রথম মাসব্যাপী ফুল উৎসব।চট্টগ্রামবাসীর নান্দনিক মনের বহিঃপ্রকাশ। যা জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে কর্মসংস্থান ও ফুলশিল্পে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো। সুনীল অর্থনীতি বাংলাদেশে বিনিয়োগের নতুন সম্ভাবনাময় খাত। ফুল উৎসব চট্টগ্রামবাসীর নান্দনিক মনের বহিঃপ্রকাশ।জেলা প্রশাসকের মাসব্যাপী নান্দনিক উদ্যোগ প্রশংসিত ও ব্যাপক সাড়া ফেলেছে চট্টগ্রামবাসী সহ দেশজুড়ে। যা ব্যাপক আলোচিত সোশ্যাল মিডিয়া চট্টগ্রামবাসী ও প্রকৃতি ফুলপ্রেমী মানুষের মনে প্রানে ও সাধারণ মানুষের মুখে মুখে। দর্শনার্থীদের ভিড়ে মুখরিত মাসব্যাপী ফুল উৎসব।ফুল উৎসব পার্কের নানা জমকালো আয়োজনে উদ্ভোধন হলো আজ। লাখো ফুলের সমাহারে প্রাকৃতিক রূপে মুগ্ধ দর্শনার্থী ও অতিথি সকলেই।অগণিত দর্শনার্থীদের পদাচরনাণায় আনন্দে মুখর ডিসি পার্ক। ফুল উৎসবের আয়োজন মেলায় উচ্ছ্বাসিত অনুপ্রাণিত উৎসুক ফুল প্রাকৃতিক প্রেমী জনসাধারণ,অতিথি উপস্থিত দর্শনার্থী সকলেই। উৎসবে আগত সাধারণ জনতা আনন্দে মাতোয়ারা পর্যটক ও দর্শনার্থীরা। মাদকের স্বর্গরাজ্য এখন ফুলের স্বর্গরাজ্য। ২৫ জানুযারী বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় ফিতা কেটে সীতাকুণ্ডের ফৌজদার হাট ফুলের উৎসব পার্ক উদ্ভোধন করেন প্রধান অতিথি মন্ত্রী পরিষদের সচিব মাহবুব হোসেন ও অতিথিবৃন্দ। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে মেলা উদ্বোধন কালে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন জন প্রশাসন মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ তোফায়েল ইসলাম। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্হিত ছিলেন সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম রফিকুল ইসলাম,নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ আশরাফুল আলম, উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) মোহাম্মদ আলাউদ্দিন,সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ কামাল উদ্দিন পিপিএম,সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবের সভাপতি সৌমিত্র চক্রবর্তী,সাধারণ সম্পাদক লিটন চৌধুরী, সাবেক সভাপতি সৈয়দ ফোরকান আবু,এম,হেদায়েত সহ সকল সাংবাদিক বৃন্দ বিভিন্ন দফতরের সরকারী কর্মকর্তা,রাজনৈতিক,সামাজিক নেতৃবৃন্দ। প্রধান অতিথি বলেন,শুনেছি এই এলাকায় মাদকের স্বর্গরাজ্য ছিল,চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে একটি সঠিক সিদ্ধান্তে আজ এখানে ১২৭ রকমের ফুলের সু- গন্ধ বেসে বেড়াচ্ছে, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে শত শত ভ্রমন পিপাসুরা এখানে এসে ফুলের সু-গন্ধি নিচ্ছে,দেশের ভিন্ন রকমের একটি পর্যটন স্হানে রুপান্তিত হয়েছে এই পার্ক।দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন সবাই,শত শত পর্যটক মোবাইলে সেল্ফি তোলেন এখানের বাহারি ফুল কে আঁকড়ে ধরে। আমি ফুল উৎসবের সর্বাঙ্গীণ সফলতা কামনা করছি। উল্লেখ্য:চট্টগ্রাম উত্তর জেলাধীন সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট সাগর উপকূলস্থ সরকারী কয়েকশত খাস ভূমি ও উপকূলীয় বনায়নে গড়ে উঠেছিল মাদকের আখড়া,চলতো নানান অপরাধ, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে অবৈধ দখল ও মাদকের আখড়া উচ্ছেদ করে গড়ে তোলা হয়েছে হাজারো জাতের ফুলের পার্ক।

জাতীয়

পাঠ্যপুস্তকে বিতর্কিত বিষয় বাদ দেওয়ার দাবি ইসলামী দলগুলোর।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- পাঠ্যপুস্তকে বিতর্কিত বিষয় বাদ দেওয়ার দাবি ইসলামী দলগুলোর। ট্রান্সজেন্ডারসহ বিতর্কিত বিষয় পাঠ্যপুস্তক থেকে বাদ দেওয়ার দাবিতে ইসলামী দল ও সংগঠনগুলোর প্রতিবাদ অব্যাহত। গতকাল বিভিন্ন সংগঠন বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছে। ★ইসলামী আন্দোলন-★-  নতুন শিক্ষাক্রমকে বিতর্কিত আখ্যা দিয়ে এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। গতকাল বাদ জুমা বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে এ সমাবেশের আয়োজন করে দলটি। দলটির সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করীম বলেন, আমরা দেখেছি দশম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাসগুলোতে কোনো পরীক্ষা রাখা হয়নি। পরীক্ষার আগে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা কিছুটা বেশি করে, যদি পরীক্ষাই না থাকে তাহলে তারা শিখবে কী? তিনি বলেন, আমরা হিজড়াদের অধিকার চাই। কিন্তু হিজড়াদের নামে বইয়ে ট্রান্সজেন্ডার ইস্যু এনে অন্য বিষয় পড়ানো হচ্ছে। এটি মানুষ বুঝে গেছে। যুগে যুগে মানুষ খারাপ কাজ করে আসছে, অন্যায় করে আসছে। সমকামিতা অবৈধ, এটাকে বৈধতা দেওয়া যায় না। পরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে দলটি। ★বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন★ — সংগঠনের আমির মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেছেন, ইউরোপিয়ানদের জীবনের অবস্থা, তারা যেভাবে জীবনযাপন করে সেই ব্যবস্থা আমরা আমাদের সমাজে দেখতে চাই না। এ বিষয়ে কোনো ষড়যন্ত্র হলে দেশপ্রেমিক ইমানদার জনতাও প্রতিবাদে মাঠে নামবে। গতকাল রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের জামিয়া নূরিয়া ইসলামিয়ায় বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘ট্রান্সজেন্ডার : সভ্যতাবিধ্বংসী অপতৎপরতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আরও বক্তব্য রাখেন মুফতি মুজিবুর রহমান, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মুফতি সুলতান মহিউদ্দীন, মাওলানা সাইফুল ইসলাম, মোফাচ্ছির হোসাইন, মুফতি আবুল হাসান কাসেমী প্রমুখ। ★আহলে সুন্নাত★ — সংগঠনের দফতর সচিব মুহাম্মদ আবদুল হাকিমের স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে চেয়ারম্যান শাইখুল হাদীস কাজী মুহাম্মদ মুঈন উদ্দিন আশরাফী, মহাসচিব পীর সৈয়দ মসিহুদ্দৌলা ও নির্বাহী মহাসচিব অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) আল্লামা মুফতি আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হক বলেন, ট্রান্সজেন্ডার একটি ঈমানবিধ্বংসী মতবাদ। ইসলাম ধর্ম দূরের কথা কোনো ধর্মেই এটার স্বীকৃতি নেই। এটা পশ্চিমা গোষ্ঠীর সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্র। এটা ‘অভিশপ্ত’ ও ইমানবিধ্বংসী মতবাদ। এ মতবাদ এক ধরনের মানসিক বিকৃতির বহিঃপ্রকাশ মাত্র। সরকার তৃতীয় লিঙ্গকে স্বীকৃতি দিলেও অস্বীকৃত ট্রান্সজেন্ডারের মতো বিকৃত কর্মকাণ্ড সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে সন্নিবেশিত করে কোমলমতি শিশু-কিশোরদের সমকামিতার প্রতি উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।

Scroll to Top