জানুয়ারি ২৫, ২০২৪

জাতীয়

আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় এসে জনগণকে তাবেদার করতে শিক্ষা দিচ্ছে।

বিলেতের আয়না-ডেক্স :- আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় এসে জনগণকে তাবেদার করতে শিক্ষা দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে জনগণকে তাঁবেদার করতে শিক্ষা ব্যবস্থা সাজাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সরকার নতুন শিক্ষা কারিকুলামের মাধ্যমে জাতিগত অস্তিত্ব ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। রিজভী বলেন, পরিকল্পিতভাবে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের দিকে এগিয়ে চলেছে। নতুন শিক্ষনীতিতে দেশ বিরোধী কারিকুলাম এনে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ভেঙ্গে দিচ্ছে সরকার। সুতরাং একদলীয় সরকার বিজ্ঞানবিরোধী, নীতি—আদর্শহীন, অনৈতিক ও মেধাহীন যে শিক্ষা কারিকুলাম চালু করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি ঘৃণাভরে তা প্রত্যাখ্যান করেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, কথায় আছে যে, কোনো জাতিকে ধ্বংস করার জন্য পারমাণবিক হামলা কিংবা ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের দরকার নেই। বরং সেই জাতির শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করলেই হবে। তাই তো আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতা হরণ করা হয়, শিক্ষা ব্যবস্থাকে এমনভাবে সাজানো হয় যাতে নতুন প্রজন্মকে তাবেদার বানানো যায় তিনি বলেন, সর্বজনীন নয়, বরং কোনো একটি দেশের শিক্ষাক্রম অনুকরণ করে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতিকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব পরনির্ভরশীল করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এবং গোটা জাতির মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দেওয়ার অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই শিক্ষা কারিকুলাম চালু করা হচ্ছে। এই শিক্ষা সিলেবাস জাতি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। চলমান কারিকুলামে বাংলাদেশে উৎকর্ষতর শিক্ষা ব্যবস্থার অনুকুল সমাজভূমি কখনোই নির্মাণ হবে না। তিনি আরও বলেন, সৃজনশীলতার ব্যর্থতার পর এখন বিজ্ঞান শিক্ষাকে সংকুচিত করেছে সরকার। বৈশ্বিক মানদন্ডে নতুন কারিকুলাম জাতির জন্য ক্ষতিকর হবে। শিশু কিশোরদের অতিরিক্ত ডিভাইস নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা করায় অপরাধমুলক কার্যক্রম বেড়ে যাবে। শিশুকিশোরদের অতিরিক্ত অনলাইন নির্ভর কারিকুলাম অভিভাবকরা গ্রহণ করতে পারছে না। সরকার এখন অভিনন্দন ভিক্ষা করছে এমন মন্তব্য করে রিজভী বলেন, দেশে যে ডামি সরকার গঠন করা হয়েছে তা দেশের জন্য লজ্জার। ডামি সরকারকে যারা সমর্থন করছে তারা নিজেদেরই আত্নপ্রবঞ্চনা করছে। রিজভী বলেন, বর্তমানে নতুন শিক্ষানীতি ও কারিকুলামের মাধ্যমে বিজ্ঞান শিক্ষাকে সংকোচন করা হয়েছে, ধর্ম শিক্ষার মাধ্যমে নৈতিক মূল্যবোধ সৃষ্টির প্রয়াসকে চূড়ান্তভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে, স্বাস্থ্য সুরক্ষা শিক্ষার নামে যৌন শিক্ষা চালু করে কিশোর মনকে বিকৃত করার চেষ্টা চালানো হয়েছে। দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দক্ষ, যোগ্য, নৈতিকতাসম্পন্ন হিসেবে গড়ে তোলার পরিবর্তে তারা বার বার শিক্ষাখাতকে বিতর্কের দিকে ঠেলে দিচ্ছে যার ফলে দেশের মানুষ শিক্ষাব্যবস্থা ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নিয়ে শঙ্কিত। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী বলেন, স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশের মতো বর্তমানেও দেশে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। দেশে আবারও অভিশপ্ত একদলীয় বাকশাল কায়েম করা হয়েছে। একদলীয় সরকার, একদলীয় সংসদ, একদলীয় আইন—কানুন, বিচার আচার, প্রশাসন—সমস্তকিছু একদলীয় বাকশালময়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ জনপ্রশাসনের একটি চিহ্নিত অংশকে ব্যবহার করে দেশে যে দখলদার সরকার এবং ডামি সংসদের জন্ম দেওয়া হয়েছে, এটি দেশের জন্য বড় লজ্জার।’ তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপিসহ গণতন্ত্রের পক্ষের ৬৩টি রাজনৈতিক দল ‘ডামি নির্বাচন’ বর্জন করে নাগরিক হিসেবে যথাযথ দায়িত্ব পালন করেছে। ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে জনগণ যে ঐক্যবদ্ধ, এর প্রমাণ তারা দিয়েছে। তবে রাজনৈতিক কর্মী, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী কিংবা বিচারক, যিনি বা যারা যে কোনো পরিচয়েই শেখ হাসিনার এই ডামি সরকারকে সমর্থন করছেন, সেইসব মানুষগুলো মূলত: নিজেরা নিজেদের সঙ্গেই আত্মপ্রবঞ্চনা করছেন। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম মূলমন্ত্র ছিল, মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা। কিন্তু শেখ হাসিনার এই আজব সরকারের গজব থেকে একজন মানুষও কি মুক্ত? গার্মেন্টস কর্মী থেকে নোবেল লরিয়েট, কারোরই কি এখন দেশে মানবিক মর্যাদা রয়েছে? ফলে, রাষ্ট্র ও সমাজে মানুষের অধিকার এবং মর্যাদা প্রতিষ্ঠার স্বার্থে শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের চলমান আন্দোলন অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ। বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের হয়রানি প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের নিয়ে ভয়ঙ্কর বাণিজ্য করছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। জামিন হলেও টাকা না দিলে বের হতে পারছে না নেতাকর্মীরা। বিরোধী দলকে স্তব্ধ করতে চাচ্ছে প্রভুদের বলে বলিয়ান হয়ে। তিনি বলেন, গত চার দিনে সারা দেশে গ্রেপ্তার ৭ জন, মামলা দুটি, আসামি দেড়শোর বেশি। জন্মান্ধদেরও ককটেল বিস্ফোরণের গায়েবি মামলায় আসামি করা হচ্ছে। করিৎকর্মা পুলিশ সাগর রুনির প্রতিবেদন দিতে পারে না অথচ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের সাজা দিতে আদালত পরিচালনা করে। ড. হাছান মাহমুদকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়ার সমালোচনা করে রিজভী বলেন, উদ্ভট অবান্তর কথায় পারঙ্গম হাছান মাহমুদ এজন্যই তাকে তাকে প্রমোশন হিসেবে তাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, আবুল খায়ের ভুইয়া, কেন্দ্রীয় যুব বিষয়ক সহসম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আরিফা সুলতানা রুমা, নাদিয়া পাঠান পাপন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয়

দেশের ইতিহাসে সলিড কোকেনের সবচেয়ে বড় চালান জব্দ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- দেশের ইতিহাসে সলিড কোকেনের সবচেয়ে বড় চালান জব্দ। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দক্ষিণপূর্ব আফ্রিকার দেশ মালাওয়ের এক নাগরিককে দেশের ইতিহাসে সলিড কোকেনের সবচেয়ে বড় চালানসহ আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ঢাকা মেট্রো কার্যালয় (উত্তর)। মালাউয়ির নারী নমথান্দাজো টাওয়েরা সোকো (৩৫) কাতার এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজে করে ৮ কেজি ৩০০ গ্রাম কোকেন এনেছিলেন। গতকাল বুধবার রাতে বিমানবন্দরে তাঁর গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁর লাগেজে তল্লাশি চালিয়ে ওই মাদক জব্দ করা হয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেছেন, নমথান্দাজো টাওয়েরা সোকো মালাউয়ির নাগরিক এবং সেখানের একটি হাসপাতালে সেবিকা হিসেবে চাকরি করেন। তিনি বাংলাদেশি কারও কাছে ওই কোকেন পৌঁছে দিতে মালাউ থেকে এসেছিলেন। কোকেন চোরাচালানে আন্তর্জাতিক চক্র বাংলাদেশকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করতে সোকোর মাধ্যমে এই চালান এনেছিল। গতকাল ধরা পড়া দেশের ইতিহাসে সলিড কোকেনের সবচেয়ে বড় চালান। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মহানগর উত্তর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। এ সময় অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশনস) মমতাজ বলেন, তাঁরা জানতে পারেন, গতকাল কাতার এয়ারওয়েজের একটি উড়োজাহাজে একজন আফ্রিকান নাগরিক কোকেনের একটি বড় চালান নিয়ে ঢাকার বিমানবন্দরে আসতে পারেন। ওই তথ্যের ভিত্তিতে একটি দল বিমানবন্দরের ৮ নম্বর টার্মিনালের বোর্ডিং ব্রিজ এলাকায় অবস্থান নেয়। এ সময় বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন। সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে কাতার এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজটি বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এ সময় যাত্রী সোকো বিমানবন্দরের নিচতলায় ভিসা অন অ্যারাইভেল ডেস্কে দীর্ঘ সময় অবস্থান করেন। সোকোর গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও এপিবিএনের কর্মকর্তারা। তাঁর লাগেজে বিশেষভাবে কোকেনগুলো লুকানো ছিল। এতে সেগুলো স্ক্যানিংয়ে ধরা পড়ছিল না। পরে লাগেজের ওজন দেখে সন্দেহ হয় মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তাদের। সোকোও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বলেন, এর ভেতরে কোকেন আছে। সোকো আরওজানায়, ২০২৩ সালে তিনি বাংলাদেশে একবার এসেছিলেন। গার্মেন্টস ব্যবসার কথা বলে এসেছিলেন তিনি। এবারও তিনি বাংলাদেশের একটি গার্মেন্টসের আমন্ত্রণপত্র নিয়ে আসেন। অন এ্যারাইভাল ভিসা নেওয়ার জন্য তিনি তার পরিচয় লুকিয়ে গার্মেন্টস ব্যবসার নাম করে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন। সোকো পেশায় একজন নার্স। তিনি মূলত কোকেনের এই চালানের বহনকারী। বাংলাদেশে তিনি আরেক বিদেশি নাগরিকের কাছে এই চালান পৌঁছে দিয়ে নিজ দেশে চলে যাওয়ার কথা ছিল। তানভীর মমতাজ বলেন, বাংলাদেশে সোকো কার কাছে কোকেন হস্তান্তর করছেএ বিষয়ে তদন্ত করছি। তবে বাংলাদেশে অবস্থানরত কয়েকজন বিদেশি নাগরিকের কাছে এই কোকেন যাওয়ার কথা ছিল। আমরা একজন বিদেশিকে সন্দেহ করছি। তদন্তের স্বার্থে এ বিষয়ে বেশি কিছু বলতে চাচ্ছি না। আমরা আশা করি চক্রটিকে ধরতে পারব।

জাতীয়

দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থির করলে বরদাস্ত করা হবে না — খাদ্যমন্ত্রী।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থির করলে বরদাস্ত করা হবে না — খাদ্যমন্ত্রী। খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, অবৈধ মজুতদারি যারা করে তারা যে দলের হোক, যত শক্তিশালী লোকের আত্মীয় হোক, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ব্যবসায়ীদের চালের দাম বাড়ানোর কোনো যুক্তিই গ্রহণযোগ্য নয়। হঠাৎ দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থির করলে কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। মিলগেটে বিক্রয় করা চালের বস্তায় তারিখ ও দাম উল্লেখ করতে হবে। সারাদেশে মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে করণীয়’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষককে নায্যমূল্য দিতে সরকার কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনে থাকে। ধানের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে প্রায়ই মিলাররা অভিযোগ করেন। কিন্তু একটা বিষয় মনে রাখবেন, চালের বা ধানের ব্যবসায় ক্যাপাসিটির সবটুকুই ধরে রাখা যাবে না। একটা অংশ ক্রাশিং হবে আর একটা অংশ বাজারজাত হবে। সব মিলিয়ে ক্যাপাসিটি নির্ধারণ করা হয়। তিনি আরও বলেন, অনেক মিল মালিক লোন নিয়ে চালাতে পারে না। দেউলিয়া হওয়ার পর কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান সেই মিল কিনে নেয়। তবে কেউ ফুড গ্রেইন লাইসেন্স ছাড়া ধান চালের ব্যবসা করতে পারবে না। সরকারের অগ্রাধিকার এখন দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করে সাধারণ মানুষকে শান্তিতে রাখা। অনেক রক্ত আর ত্যাগের বিনিময়ে আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সবাই আন্তরিকতার সাথে কাজ করলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আসবে খুব শিগগিরই। রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীরের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, খাদ্য সচিব ইসমাইল হোসেন, খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক সাখাওয়াত হোসেন, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমান এবং রাজশাহীর পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন। মতবিনিময় সভায় রাজশাহী বিভাগের সকল জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও মিল মালিক প্রতিনিধিগণ অংশ নিয়ে মতামত তুলে ধরেন।

জাতীয়

সপ্তম শ্রেণির বই থেকে ‘শরীফার গল্প’ বাদ দিতে সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সপ্তম শ্রেণির বই থেকে ‘শরীফার গল্প’ বাদ দিতে সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ। সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বই থেকে ‘শরীফার গল্প’ বাদ দিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আজ এ নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান। নোটিশটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবির) চেয়ারম্যানকে পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে শরীফার গল্প বলা হয়েছে। এখানে শরিফ আহমেদ একজন ছেলে এবং সে শারীরিকভাবে একজন ছেলে। কিন্তু সে মনে করে, সে একজন মেয়ে। তাই তার নাম পরিবর্তন করে রেখেছে শরীফা। এখানে স্বীকার করা হয়েছে, শরিফ আহমেদের শারীরিক কোনো পরিবর্তন হয়নি। শুধু মানসিকভাবে সে মনে করে, সে একজন মেয়ে। নোটিশে বলা হয়েছে, ‘গল্পের মাধ্যমে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ট্রান্সজেন্ডারের প্রতি আকৃষ্ট করা হয়েছে। সুকৌশলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মনে ট্রান্সজেন্ডারদের প্রতি প্রেরণা সৃষ্টি করা হচ্ছে।’ লিগ্যাল নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বই থেকে ‘শরীফার গল্প’ বাদ দেয়াসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বইয়ের দোকান থেকে এই বই প্রত্যাহার করতে হবে বলে নোটিশে বলা হয়। এর পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের সংশোধিত বই সরবরাহ করতে হবে। অন্যথায় এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রিট পিটিশন করা হবে বলে নোটিশে বলা হয়। নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে করা সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের একটি অধ্যায়ে হিজড়া জনগোষ্ঠী সম্পর্কে জনসচেতনতামূলক একটি পাঠ রয়েছে। এ নিয়ে সম্প্রতি বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

আন্তর্জাতিক, জাতীয়

হিজবুল্লাহর ভয়ে পালিয়েছে ৫০ হাজার ইসরায়েলি সৈন্য।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- হিজবুল্লাহর ভয়ে পালিয়েছে ৫০ হাজার ইসরায়েলি সৈন্য। ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহের মধ্যে সংঘাত গত কয়েক সপ্তাহে বেড়েছে। এর ফলে ইসরায়েলের সীমান্ত এলাকা থেকে অন্তত ৫০ হাজার ইসরায়েলি অন্য জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে ডয়চে ভেলে। উত্তর ইসরায়েলের কিরিয়াট শামোনা শহর। গত তিন মাস ধরে এই জনপদ রীতিমতো ভুতুড়ে শহরের চেহারা নিয়েছে। খালি রাস্তা। এক-দুটো বাদে সব দোকান বন্ধ। নিঃস্তব্ধ শহর মাঝেমধ্যে কেঁপে উঠছে বিস্ফোরণের শব্দে। এই শহর হলো ইসরায়েল ও লেবানন সীমান্তের কাছে। হিজবুল্লাহের সামরিক ঘাঁটি এখান থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে। সেখানকার পৌরসভার ইমার্জেন্সি টিমের সদস্য ওরিয়েল ফ্রিশ বলেন, ‘অ্যালার্টের শব্দ শোনার পাঁচ সেকেন্ডের মধ্যে আমাদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে হচ্ছে। তারপরই আমরা বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাচ্ছি। অনেক সময় বিস্ফোরণের শব্দের পর অ্য়ালার্টের শব্দ কানে আসছে। আমি যদি গাড়ি চালাই, তাহলে যেকোনো সময় আঘাত লাগতে পারে।’ স্বাভাবিক সময়ে এই শহরে ২৩ হাজার মানুষ বাস করেন। কিন্তু হামাস যখন গাজার কাছে ইসরায়েলের শহর আক্রমণ করল, তারপর সরকার সীমান্তের সাড়ে তিন কিলোমিটারের মধ্যে থাকা শহর ও গ্রাম খালি করার নির্দেশ দেয়। তারপর ইসরায়েলের সীমান্ত এলাকা থেকে ৫০ হাজার মানুষ চলে গেছেন। ইসরায়েলি সেনা বলছে যে, ৩৫ হাজার জনকে মধ্য ইসরায়েলে পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে। গাজায় যুদ্ধ শুরুর তিন মাস পর এখনো এটা স্পষ্ট হয়নি, তারা কবে আবার নিজেদের বাড়িতে ফিরতে পারবেন? গত সপ্তাহে ইসরায়েল যুদ্ধবিমান, কামান, রকেট নিয়ে আক্রমণের তীব্রতা বাড়িয়েছে। ইসরায়েলের মিডিয়ায় প্রায় প্রতিদিন বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। মিডিয়া রিপোর্টে বলা হচ্ছে, হিজবুল্লাহর সঙ্গে লড়াই ঝুঁকিপূর্ণ হলেও অবশ্যম্ভাবী। সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমান স্থিতাবস্থা ভেঙে ইসরায়েল আগে আক্রমণ করতে পারে।

জাতীয়

জাতীয় পার্টির ৬৭১জন নেতাকর্মীর পদত্যাগ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- জাতীয় পার্টির ৬৭১জন নেতাকর্মীর পদত্যাগ। জাতীয় পার্টির বর্তমান চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদ জানিয়ে একযোগে পদত্যাগ করেছেন দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। ঢাকা মহানগরের ১০টি থানার ৬৭১ জন পদত্যাগ করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে এই গণপদত্যাগ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগরের হাতিরঝিল থানা, শেরেবাংলা নগর থানা, মোহাম্মদপুর থানা, আদাবর থানা, পল্লবী থানা, মিরপুর থানা, বাড্ডা থানা, রূপনগর থানা, দারুস সালাম থানা ও ক্যান্টনমেন্ট থানা শাখা জাতীয় পার্টির ৬৭১ জন অংশ নেন। এসময় এসব থানার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা বক্তব্য রাখেন। এসব থানার মোট ৬৭১ জন নেতাকর্মী পদত্যাগ করেছেন বলে জানান দলের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম সেন্টু। সেন্টু বলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিব একটি ফাঁদের মধ্যে পড়ে গেছেন। তার আশপাশে এখন যারা আছেন তারা ঘুঘুর ফাঁদ পেতেছে। এই ফাঁদ থেকে তিনি (জি এম কাদের) বেরুতে পারবেন না। এই ফাঁদের সুতা মহাসচিবের হাতে, আর সে সুতায় ঘুরছেন জি এম কাদের। তিনি বলেন, এই দলটাকে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। আমরা জি এম কাদেরকে বহুবার বলেছি, আপনি এসব বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে আসেন। তিনি বলেছেন আমি পারি না। তিনি সারা দেশের কোনও খোঁজ-খবর রাখেন না। সকালে অফিসে এসে রাতে বেরিয়ে যান। একটা কর্মসূচি, সমাবেশ, মহাসমাবেশ কোনও কিছুই তিনি করেননি। আমরা দলের মহাসচিবের পদত্যাগ চাই। তারা যোগ্য না, তারা সরে দাঁড়াক। এই দল হচ্ছে এরশাদের, আমরা তার পতাকাতলে আছি। আমরা জি এম কাদেরের নেতৃত্বে আর দল করবো না। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আদর্শ নিয়েই আমরা সামনে এগোবো। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম পাঠান। তিনি বলেন, পার্টির চেয়ারম্যান এবং মহাসচিব ৩০০ আসন থেকে প্রার্থী মনোনীত করার পর মাত্র ২৬টি আসনে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে ছাড় পাওয়ার বিনিময়ে গোটা পার্টিকেই বিক্রি করে দিয়েছেন। ফলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির চরম ভরাডুবি হয়েছে। আর সমঝোতা করে চেয়ারম্যান ও মহাসচিবসহ মাত্র ১১ জন প্রার্থী নির্বাচনে এমপি হয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, এমতাবস্থায় জাতীয় পার্টির নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মী ও সমর্থকরা চেয়ারম্যান এবং মহাসচিবের ব্যর্থতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। পার্টির তৃণমূল পর্যায় থেকে পার্টিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়ার জন্য চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের পদত্যাগের দাবি ওঠে। পার্টির এই দুরবস্থার মধ্যেও চেয়ারম্যান স্বেচ্ছাচারিতার নিকৃষ্ট উদাহরণ সৃষ্টি করে দলের নিবেদিতপ্রাণ নেতাদের একের পর এক অব্যাহতি দিয়ে চলেছেন। জাহাঙ্গীর আরও বলেন, এমতাবস্থায় আমরা এরশাদপ্রেমিক নেতাকর্মীরা জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন বিপর্যস্ত সংগঠনে অবস্থান করে প্রাণপ্রিয় নেতা পল্লিবন্ধু এরশাদের প্রতিষ্ঠিত জাতীয় পার্টির ধ্বংস দেখতে চাই না। তাই আমরা জি এম কাদেরের সংগঠন থেকে আজ গণপদত্যাগের ঘোষণা করছি। একইসঙ্গে আপনাদের কাছে এই অঙ্গীকারও করে রাখছি, অল্প সময়ের ব্যবধানে আমরা পল্লিবন্ধু এরশাদের চেতনা, প্রেরণা ও নীতি আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকবো। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির অব্যাহতিপ্রাপ্ত প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়সহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।

আন্তর্জাতিক, জাতীয়

বিরোধীদলের ২৫ হাজার নেতাকর্মীকে মুক্তির আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বিরোধীদলের ২৫ হাজার নেতাকর্মীকে মুক্তির আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ সরকারকে মানবাধিকার ইস্যুকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। একইসঙ্গে বিরোধীমতের দমনপ্রবণতা বন্ধ করে রাজনৈতিক সংলাপ ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশকে মানবাধিকার ইস্যুতে বড় ধরনের সংস্কার আনার তাগিদ দিয়েছেন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) জাতিসংঘের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের আগে বিরোধী দলের ২৫ হাজার নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত হয়েছেন ৫৬ জন। এ ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছিল জাতিসংঘ। বিবৃতিতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এবং অন্যান্য কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচনের প্রক্রিয়ার প্রতি আস্থার অভাব প্রকাশ করে নির্বাচন বয়কট করেছে। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে চিঠি দিয়েছি, যেখানে তাদের কথিত অসংখ্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে দ্রুত এবং স্বাধীন তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন। বিবৃতিতে আর বলা হয়, বাংলাদেশে মানবাধিকার, মৌলিক স্বাধীনতা এবং আইনের শাসনের বিপজ্জনক অবক্ষয় ঘটেছে। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট হওয়ার কারণে আমরা শঙ্কিত। এটি দেশের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন করছে, যা সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নকে বিপন্ন করতে পারে। আমরা সরকারকে মানবাধিকার সংস্কারকে অগ্রাধিকার দিতে, মৌলিক স্বাধীনতা এবং রাজনৈতিক অংশগ্রহণের অবাধ ও নিরাপদ প্রয়োগের জন্য একটি সক্ষম পরিবেশ তৈরি করার জন্য এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধারের জন্য অনুরোধ করছি, বলেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, অবিলম্বে এবং নিঃশর্তভাবে সুশীল সমাজ এবং রাজনৈতিক কর্মীদের মুক্তি দিতে হবে যাদের কোনো অভিযোগ ছাড়াই বা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ অভিযোগে আটক করা হয়েছে। পাশাপাশি ন্যায়বিচার নিশ্চিতে বিচার ব্যবস্থার জরুরি ও কার্যকর সংস্কার প্রয়োজন। মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ, অবাধ ও বাধাবিহীন অনুশীলনের নিশ্চয়তা দেবার অনুরোধ করেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে রাজনৈতিক সমাবেশে অযথা বিধিনিষেধ আরোপ করা থেকে বিরত থাকতে বলেন তারা। একই সঙ্গে এই মৌলিক স্বাধীনতার গুরুতর লঙ্ঘন করা হলে, কেন করা হলো, তার জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে অনুরোধ জানানো হয়। এ ছাড়া গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, সমালোচনামূলক প্রতিবেদনের বিপরীতে হুমকি, শারীরিক ও অনলাইন সহিংসতা বা বিচারিক হয়রানি এবং ফৌজদারি বিচার থেকে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আহ্বান জানান তারা। বিশেষজ্ঞরা বলেন, আমরা মানবাধিকার ও আইনের শাসনকে শক্তিশালী করার জন্য এই এবং অন্যান্য পদক্ষেপের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারকে সমর্থন ও পরামর্শ দিতে প্রস্তুত।

আন্তর্জাতিক

আরবে চালু হচ্ছে মদের দোকান।

বিলেতে আয়না ডেক্স :-  আরবে চালু হচ্ছে মদের দোকান। কয়েক দশকের কঠোর নিষেধাজ্ঞা ভেঙে প্রথমবারের মতো মদের দোকান চালু করতে যাচ্ছে সৌদি আরব। তবে এটি চালু করা হচ্ছে শুধু অমুসলিম কূনীতিকদের জন্য। বুধবার এ সংক্রান্ত নথি এবং সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই দোকান থেকে মদ কিনতে হলে একটি মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এরপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি ক্লিয়ারেন্স কোড আসবে। প্রত্যেক মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ মদ কিনতে পারবেন রেজিস্ট্রেশনকারীরা। মদের দোকানটি রিয়াদের কূটনীতিক পাড়ায় হবে; যেখানে বিভিন্ন দেশের দূতাবাস রয়েছে। ওই এলাকাটিতেই দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা থাকেন। তবে দোকানটিতে মুসলিমদের যাওয়ার সুযোগ নেই। আগামী সপ্তাহের মধ্যে দোকানটি খোলার আশা করা হচ্ছে। ইসলামে মদপান নিষিদ্ধ হওয়ার পরও পর্যটন ও ব্যবসার স্বার্থে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে এটি একটি মাইলফলক দৃষ্টান্ত। এছাড়া এটি ক্রাউন প্রিন্সের ভিশন-২০৩০ এরও একটি অংশ বলে দাবি করা হচ্ছে। সৌদি আরবে আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৫২ সালে মদপান কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়।

আন্তর্জাতিক

অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অল্পের জন্য বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে চালকের বুদ্ধিমত্তায় রক্ষা পেলেও কপালে চোট পেয়েছেন তিনি। বুধবার পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলায় এক অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে আহত হয়েছেন তিনি। বুধবার সন্ধ্যায় রাজভবনে যান মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, যেভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তাতে তার মৃত্যুও হতে পারতো। একটি গাড়ি ঘণ্টায় প্রায় ২০০ কিলোমিটার গতিতে ছুটে এসে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়িবহরে ঢুকে পড়েছিল। যে কারণে তার চালক ব্রেক কষতে বাধ্য হন। এতে কপালে জখম হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের এই মুখ্যমন্ত্রীর। রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকের পর মাথায় ছোট ব্যান্ডেজ বাধা অবস্থায় মমতা বলেন, ‘‘একটা গাড়ি আমার গাড়ির সামনে আচমকা চলে আসে। ২০০ কিলোমিটার বেগে ওই গাড়িটা যাচ্ছিল। আমার গাড়ি গলি দিয়ে বেরোচ্ছিল। আমার চালক বুদ্ধিমানের মতো জোরে ব্রেক কষে। পুরো ড্যাশবোর্ডটা এসে আমার মাথায় লেগেছে। একটু রক্তও পড়েছে। এখন ফুলে আছে সামান্য।’’ মাথা এখনও ব্যথা করছে বলে জানান মমতা। তিনি বলেন, ‘‘মাথাটা এখনও টনটন করছে। তাই নিয়েই কাজ করলাম। আমার মনে হচ্ছে জ্বর আসছে। গা গোলাচ্ছে। হালকা ঠান্ডাও লাগছে। এখন একটু বাড়ি যাচ্ছি।’’ পরিস্থিতির বর্ণনা দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমার গাড়ির কাচ খোলা ছিল। যদি কাচ বন্ধ থাকত, আমার মৃত্যু হতে পারত। কাচ ভেঙে ড্যাশবোর্ড-সহ আমার সারা গায়ে ঢুকে যেত। মানুষের আশীর্বাদে বেঁচে ফিরেছি। আমি ওষুধ খেয়েছি। আপাতত হাসপাতালে যাচ্ছি না।’’ কোন গাড়ি মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ে ঢুকে পড়ে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি মমতা। তিনি বলেন, ‘‘অনেক সময়ে অনেকে অন্য কারও গাড়ি ব্যবহার করে। সে বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে দেখুবে। আইনের হাতে ছেড়ে দিচ্ছি। এটা নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না।’’ পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, ‘‘কোন গাড়ি মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ে ঢুকে পড়েছে, আমরা তা তদন্ত করে দেখছি।’’ বুধবার বর্ধমানের গোদার মাঠে প্রশাসনিক সভা ছিল মমতার। সভা শেষে কলকাতা ফেরার জন্য গাড়িতে ওঠেন তিনি। সভাস্থল থেকে চড়াই পথে জিটি রোডে ওঠার মুখে আচমকাই ব্রেক কষেন গাড়িচালক। সেই ঝাঁকুনিতেই কপালে আঘাত পান মুখ্যমন্ত্রী। পরে সেখানে গাড়ি না থামিয়ে মমতা সরাসরি কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন। এক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, আঘাত পাওয়ার পরই কপালে রুমাল বেঁধে নেন মমতা। বর্ধমান থেকে হেলিকপ্টারে কলকাতায় ফেরার কথা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেখানে হেলিকপ্টারেই গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সভা চলাকালীন আবহাওয়া খারাপ হতে শুরু করে। কুয়াশার পাশাপাশি শুরু হয় বৃষ্টি। যে কারণে সড়কপথে কলকাতা ফেরার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

জাতীয়

কানাডায় যাওয়ার পর দুই বড় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আবাসিক সমস্যা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- কানাডায় যাওয়ার পর দুই বড় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আবাসিক সমস্যা। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় ইউরোপের স্বপ্ন সিলেটিদেরই বেশি। গত বছর সাড়ে ৪ লাখেরও অভিবাসী নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় ইউরোপের দেশ কানাডায় যাওয়ার হিড়িক পড়ে সিলেটিদের। গত ৬ মাসে কয়েক হাজার ছাত্র-ছাত্রী, তরুণ-তরুণী, যুবক-যুবতীসহ নানা বয়েসিরা সিলেট থেকে পাড়ি জমিয়েছেন। তবে বর্তমানে যারা যাচ্ছেন তাদের গিয়ে পড়তে হচ্ছে নানা সংকটে। জানা গেছে, কানাডায় আবাসন সংকট পুরনো সমস্যা। এই অবস্থায় গত কযেক মাসে বিভিন্ন দেশ থেকে যাওয়া রেকর্ড সংখ্যক অভিবাসী সে দেশে অবস্থান করায় এ সংকট আরও তীব্র হয়েছে। এছাড়া আগের মতো সহজেই মিলছে না কাজ। অভিবাসী বেড়ে যাওয়ায় বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রবেশে নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করছে কানাডা। এছাড়া বর্তমানে যেসব শিক্ষার্থী স্নাতক শেষ করে দেশটিতে অবস্থান করছেন- তাদেরকেও কাজের অনুমোদনপত্র (ওয়ার্ক পারমিট) দেওয়া হচ্ছে না। আর এমন পরিস্থিতিতে অনেকটা সংগ্রাম করে স্বপ্নের কানাডাতে টিকে থাকতে হচ্ছে অভিবাসীরা। বিশ্বের উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সামর্থ্যবান শিক্ষার্থীদের কাছে শিক্ষাগ্রহণ ও বসবাসের জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় দেশগুলোর মধ্যে কানাডা হচ্ছে অন্যতম। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতি বছর লাখ লাখ শিক্ষার্থী কানাডায় যান। যান সিলেট ও সহ বিভিন্ন জেলার শিক্ষার্থীরাও। গত কয়েক মাসে বেড়েছে এ যাওয়ার হার। কানাডার অর্থনীতির জন্যও এটি বেশ লাভজনক। প্রতিবছর বিদেশি শিক্ষার্থীদের আগমন সংক্রান্ত বিভিন্ন খাত থেকে গড়ে ১ হাজার ৬৪০ কোটি ডলার যোগ হয় দেশটির অর্থনীতি। তবে সোমবার (২২ জানুয়ারি) কানাডার অভিবাসনমন্ত্রী মার্ক মিলার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘সম্প্রতি কানাডায় বেশ কিছু সাইনবোর্ডসর্বস্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরকারের কোনো যোগাযোগ নেই। এছাড়া শিক্ষা, ক্যাম্পাস, শিক্ষার্থীদের সুবিধাসংক্রান্ত সরকারের যেসব নীতিমালা রয়েছে, সেসবের কোনোটিই প্রতিষ্ঠানগুলো মানছে না এবং শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেও তারা অতিরিক্ত ফি রাখছে। এই প্রতারণাচক্র বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।’ তিনি আরও বলেন- গত বছর ২০২৩ সালে যত সংখ্যক বিদেশি শিক্ষার্থীকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিলো, শতকরা হিসেবে এই সংখ্যা তার চেয়ে ৩৫ শতাংশ কম। তবে এই বিধিনিষেধ স্থায়ী নয়। আগামী ২ বছর পর্যন্ত এই ব্যবস্থা জারি থাকবে। আর চলতি (২০২৪ সাল) বছরে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ৬০ হাজার শিক্ষার্থীকে প্রবেশ-অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কানাডা। সাড়ে ৩ লাখ শিক্ষার্থীকে প্রবেশ-অনুমোদন দেওয়ার বিষয়টি বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ও তরুণ-তরুণীদের জন্য সুখবর হলেও সে দেশে আবাসন ও কাজ সংকট দেখা আবাসিক সমস্যায় পড়েছেন। একজন শিক্ষাভিসায় গত মাসে গিয়েছেন কানাডায়। গিয়েই পড়েছেন আবাসন সংকটে। টরন্টো শহরে একটি মেসে থাকেন প্রতি মাসে বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৭০ হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে। তিনি জানান- আর একটি পুরো বাসা ভাড়া নিলে গুনতে হয় ২ হাজার কানাডিয়ান ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় ১ লাখ ৮০ হাজার।সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে আবাসিক সমস্যা।

Scroll to Top