জানুয়ারি ২১, ২০২৪

জাতীয়

বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাসব্যাপী ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার সকালে রাজধানীর উপকণ্ঠে পূর্বাচল নিউ টাউনে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে এ মেলার উদ্বোধন করেন সরকারপ্রধান। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করেছ। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান। অনুষ্ঠানে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ এবং স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে গত ১৫ বছরে গৃহীত সরকারি পদক্ষেপের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। মেলায় স্থানীয় টেক্সটাইল, মেশিনারিজ, কার্পেট, প্রসাধনী, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স, পাট ও পাটজাত দ্রব্য, গৃহস্থালীর পণ্য, চামড়া ও জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য, খেলাধুলার সামগ্রী, স্যানিটারি সামগ্রী, খেলনা, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক, মেলামাইন পলিমার, ভেষজ সামগ্রী, টয়লেট্রিস, ইমিটেশন জুয়েলারি, প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফাস্ট ফুড, হস্তশিল্প, গৃহসজ্জা, আসবাবপত্র এবং অন্যান্য পণ্য প্রদর্শিত এবং বিক্রি হবে। তুরস্ক, ভারত, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, হংকং এবং ইরানের কম্পানিগুলো এ বছর তাদের পণ্য প্রদর্শন করবে। মেলায় বিদেশি কম্পানির ১৬-১৮টি প্যাভিলিয়নসহ ৩৫১টি স্টল রয়েছে। মেলায় প্রবেশ মূল্য প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৫০ টাকা এবং শিশুদের জন্য ২৫ টাকা। যেখানে ২০২৩ সালেও মেলার প্রবেশের টিকিটের দাম ছিল বড়দের জন্য ৪০ টাকা আর শিশুদের জন্য ২০ টাকা। সাধারণ দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে ফার্মগেট ও কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত বিআরটিসি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

জাতীয়

ফিলিস্তিনিকে রাষ্ট্র হিসেবে কে স্বীকৃতি দিতে হবে — জাতিসংঘের মহাসচিব।

বিলেতেৱ আয়না ডেক্স :- ফিলিস্তিনিকে রাষ্ট্র হিসেবে কে স্বীকৃতি দিতে হবে — জাতিসংঘের মহাসচিব। অন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের অধিকারকে অস্বীকার করা অগ্রহণযোগ্য। ফিলিস্তিনি জনগণের নিজস্ব রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অধিকারকে অবশ্যই স্বীকৃতি দিতে হবে। শনিবার উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় অনুষ্ঠিত জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের শীর্ষ সম্মেলনে জাতিসংঘ মহাসচিব এ কথা বলেন। খবর বাসসের সম্প্রতি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু টেকসই ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনে তার বিরোধিতা পুনরায় নিশ্চিত করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে কাম্পালায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে গুতেরেস জোর দিয়ে বলেন, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের জন্যে দ্বিরাষ্ট্র সমাধান এবং ফিলিস্তিনি জনগণের রাষ্ট্র গড়ার অধিকার অস্বীকার অগ্রহণযোগ্য। জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, এই ধরনের অবস্থান সংঘাতকে দীর্ঘায়িত করবে, যা বিশ্ব শান্তির জন্যে হুমকি হিসেবে দেখা দেবে। এছাড়া এ কারণে মেরুকরণ এবং সর্বত্র চরমপন্থীরা উৎসাহিত হবে। প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস ইসরাইলে আকস্মিক বড়ো ধরনের হামলা চালানোর পর ইসরায়েলও গাজায় পাল্টা নির্বিচারে হামলা শুরু করে। পরে ইসরায়েল হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার অঙ্গীকার করে। গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত অন্তত ২৪ হাজার ৯২৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঘনবসতিপূর্ণ গাজায় লোকদের বসবাসের অমানবিক পরিস্থিতি তৈরির নিন্দা জানিয়েছে। কারণ, ইসরায়েলি হামলায় অসংখ্য বাস্তুচ্যুত লোক গাজায় মানবেতর জীবনযাপন করছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার গুতেরেস অবিলম্বে গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।

জাতীয়

রমজান মাসে পণ্যের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা — অর্থমন্ত্রী।

বিলেতেৱ আয়না ডেক্স :- রমজান মাসে পণ্যের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা — অর্থমন্ত্রী। রমজানে যেসব পণ্যের প্রয়োজন হয় দেশে সেসব পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, রমজানের পণ্যের কোনো সংকট নেই। কেউ পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রবিবার (২১ জানুয়ারি) অর্থমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের জরুরি সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। বৈঠকে শেষে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, রমজান আসছে। আমরা দেখলাম লেটেস্ট কারেন্ট সিচুয়েশিন। কোনো পণ্যের শর্টেজ নেই। রজমানের সময় যেসব আইটেম লাগে, চিন্তার কোনো কারণ নেই। শর্টেজেরও কোনো কারণ নেই। কিছু মহল চেষ্টা করে কীভাবে সিচুয়েশনকে ডিস্ট্যাবলাইজ করা যায়। যেখানে মার্কেট ইকোনমি অপারেট করছে সেখানে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করবে। তিনি বলেন, যেভাবে প্রাইস লেভেলকে ধরে রাখা যায় সেই কাজগুলোই সরকার করছে। আমরা মনে করি চিন্তার কোনো কারণ নেই। দরকার হলে আমরা অনেক কঠোর পদক্ষেপের দিকে চলে যাব। দরকার হলে শাস্তিমূলক পদক্ষেপের দিকে যাব, কাউকে ছাড় দেব না। এখনো শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, না। এখনো হয়নি। তাহলে জরুরি বৈঠকের কারণ কি? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের পরে ন্যাচারালি সবাই তো বলছে কি করছেন, কি করলেন? আপনাদের টার্গেট কি শুধু রমজান? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, শুধু রমজান না, রমজান নিয়ে চিন্তা তো আছে মানুষের মধ্যে সেজন্য। চালের দাম বাড়ানোর পর সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে, এটি জানানোর পর অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি। আলোচনা করছি, দেখছি। দেখেন আপনারা। ইতিমধ্যে দাম কমেছে। ব্যবসায়ীরা এখন ট্রাক নিয়ে ক্ষেত থেকে আলু তুলছে। তাদের লাভ হচ্ছে। বাজারে মনোপলি হচ্ছে, সেখানে কি ব্যবস্থা নিচ্ছেন, এমন প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা অ্যাকশনে তো যাচ্ছি। পণ্যের দাম কতদিনের মধ্যে কমবে প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, সেভাবে এটা কখনোই বলা সম্ভব না। আমদানিকে প্রাধান্য দেবেন কি না, এমন প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, দরকার হলে আমদানি করতে হবে, এখনো তো এ রকম কিছু হয়নি। রিজার্ভ বাড়াতে কি পদক্ষেপ নেওয়া হবে প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, করছি তো আমরা। আপনারা দেখছেন আমাদের যারা ডেভেলপমেন্ট পার্টনার্স তাদের সঙ্গে মাল্টি কারেন্সি অ্যাপ্রোচ গ্রহণ করছি। শুধু ডলার দিয়ে তো আমরা করছি না। বেসরকারি খাত সংকটের মধ্যে আছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে তারা কি চলতে পারছে, আপনি কি মনে করেন? অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রাইভেট সেক্টর তো প্রাইভেট সেক্টর। সরকারের প্রণোদনা ছাড়া আর মাল্টিপল অ্যাপ্রোচ ছাড়া তো অন্য কিছু করা যায় না। তবে ব্রড সেক্টরগুলো তো আন্ডার কন্ট্রোলড আছে। ডলার সংকট নিয়ে করা এক প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, রজমানের যেসব পণ্য আমদানি করি গত বছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ৮টি প্রোডাক্টের যত এলসি হয়েছিল, এবার তার থেকে ১০-১৫ শতাংশ বেশি এলসি হয়েছে। পণ্যগুলো সময়মতো দেশে এসে পৌঁছাবে বলে আশা করছি। কোনো মধ্যস্বত্বভোগী সমস্যা না করলে পণ্যের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। পণ্যের কোনো ঘাটতি হবে না। অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে বৈঠকে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।  

জাতীয়

প্রধানমন্ত্রীর ৬ উপদেষ্টার দায়িত্ব বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন।

বিলেতেৱ আয়না ডেক্স :- প্রধানমন্ত্রীর ৬ উপদেষ্টার দায়িত্ব বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন। নতুন মন্ত্রীদের দপ্তর বণ্টনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা পরিষদেরও দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ৬ জন। রোববার (২১ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ কথা জানানো হয়। তারা হলেন অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী এবং নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক। তাদের মধ্যে ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ছাড়া বাকি পাঁচজন এর আগের মেয়াদেও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী এর আগে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

জাতীয়

সজীব ওয়াজেদ জয় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেলেন।

বিলেতেৱ আয়না ডেক্স :- সজীব ওয়াজেদ জয় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবৈতনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে আবারও নিয়োগ পেলেন সজীব ওয়াজেদ জয়। রোববার (২১ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গত সরকারের আমলেও প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা ছিলেন জয়। সজীব ওয়াজেদ জয় ভারতের বেঙ্গালুরু থেকে ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটারবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক শেষ করেন। সজীব ওয়াজেদ জয় এরপর হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক প্রশাসন বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেছে। আনুষ্ঠানিক শিক্ষাজীবন শেষে একজন আইটি প্রফেশনাল হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালিতে ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠিত করেন জয়। হয়ে ওঠেন একজন সফল আইটি উদ্যোক্তা। দেশের আইসিটি খাতে তড়িৎ উন্নতিতে সফলভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সজীব ওয়াজেদ জয়

Scroll to Top