জানুয়ারি ২০, ২০২৪

জাতীয়

শেখ হাসিনাকে কমনওয়েলথ মহাসচিবের অভিনন্দন।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- শেখ হাসিনাকে কমনওয়েলথ মহাসচিবের অভিনন্দন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড। প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো এক অভিনন্দন বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘কমনওয়েলথ সচিবালয় আপনার গুরুত্বপূর্ণ কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনাকে সমর্থন দিতে প্রস্তুত রয়েছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনি পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর আপনাকে লিখতে পেরে আমি আনন্দিত। নতুন মেয়াদে দায়িত্ব পালন করার সাথে সাথে অনুগ্রহ করে আমার উষ্ণ অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন।’ বাংলাদেশ কমনওয়েলথ পরিবারের একটি মূল্যবান সদস্য উল্লেখ করে প্যাট্রিসিয়া বলেন, ‘আমাদের বৈচিত্র্যময় দেশগুলো শান্তি, গণতন্ত্র এবং টেকসই উন্নয়নসহ অভিন্ন মূল্যবোধের দ্বারা আবদ্ধ।’ কমনওয়েলথ মহাসচিব জানান, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের ঐতিহাসিক যাত্রা সম্পর্কে তিনি সচেতন। শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘দায়িত্ব গ্রহণের পর আপনি যে দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন তাতে আমি উৎসাহিত হয়েছি, যা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার নীতির ওপর জোর দিয়েছে।’ এ প্রসঙ্গে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’ উপদেশের কথাও স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ‘এই মূল্যবোধগুলো আমাদের কমনওয়েলথ সনদে প্রতিফলিত হয়েছে, যা সহনশীলতা, শ্রদ্ধা বোঝার এবং টেকসই উন্নয়নের অনেকগুলো দিক অর্জনের আহ্বান জানায়।’ প্যাট্রিসিয়া বলেন, ‘আমি আপনাকে লন্ডনের মার্লবোরো হাউসে স্বাগত জানাতে এবং সামোয়াতে ২০২৪ সালের ২১ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য সপ্তাহব্যাপী পরবর্তী কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের বৈঠকে (সিএইচওজিএম) আপনার সাথে দেখা করার অপেক্ষায় রয়েছি। এ ছাড়া আপনার সার্বিক সাফল্য কামনা করি।’ সূত্র- বাসস

জাতীয়

১৭০ বছরের ইতিহাসে রেকর্ড ১০ কোটি ২৯ লাখ কেজি চা উৎপাদন।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ১৭০ বছরের ইতিহাসে রেকর্ড ১০ কোটি ২৯ লাখ কেজি চা উৎপাদন। ২০২৩ সালে দেশের ১৬৮টি চা-বাগান থেকে ১০ কোটি ২৯ লাখ কেজি চা উত্পন্ন হয়। যা বাংলাদেশে চা চাষের ১৭০ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ উৎপাদন। এর মধ্যে সিলেটেই রয়েছে ১৩৬টি চা-বাগান। দেশে চায়ের উৎপাদন শুরু হয় ১৮৫৪ সালে সিলেটের মালনি ছাড়া চা-বাগান থেকে। এদিকে সিলেটে রেকর্ড ভঙ্গ করে বর্তমান সময়ে চা  উৎপাদনে সংশ্লিষ্টরা মহাখুশি। তাই তারা মনে করেন এখন চা রপ্তানি জোরদার করা দরকার। সূত্র জানায়, বাগানগুলোর আয়তন এরই মধ্যে আড়াই শতাংশ হারে বৃদ্ধি করার চেষ্টা চলছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, সব মিলিয়েই এই ইতিবাচক ফল পাওয়ার পেছনে রয়েছে সুষম আবহাওয়া, সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ, পুরোনো গাছ সরিয়ে নতুন চারা রোপণ করায় বেশি পরিমাণ চা উত্পাদিত হয়েছে। বাগানমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ চা সংসদের চেয়ারম্যান কামরান তানভীরুল রহমান উৎপাদনে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, ‘উৎপাদনের পাশাপাশি উত্পাদকরা যাতে চায়ের ভালো দাম পান সেটাও মাথায় রাখতে হবে।’ তবে চা-বাগান মালিকরা মনে করেন, সিন্ডিকেটের কারণে তারা ইপ্সিত মূল্য পাচ্ছেন না। বাজারে যদিও চায়ের কেজি ২০০-৩০০ টাকা। কিন্তু তারা সর্বোচ্চ ১৮৫ টাকায় বিক্রি করেন। তারা বলেন, এই সিন্ডিকেট না ভাঙলে চা উৎপাদনের ভবিষ্যত্ আশঙ্কাজনক। একটি সূত্র জানায়, এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে কোনো কোনো বাগানমালিকরা তাদের বাগানে ‘লুজিং’ দেখিয়ে  অন্যরকম ‘সখ্য’ রয়েছে। তাই সিন্ডিকেট শক্তিশালী। অবশ্য এই বিষয়ে সরকারও কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। যে সব বাগান লোকসান গুনবে সে সব বাগান ব্যাংক লোনসহ সরকারি সুযোগ-সুবিধার বাইরে থাকবে। অন্যদিকে চা-বোর্ড সূত্র জানায়, গত কয়েক বছর ধরে ১০ কোটি কেজি চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও এবারই প্রথম লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সফলতা এসেছে। ২০২৩ সালে দেশের    বাগানগুলো থেকে চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ কোটি ২০ লাখ কেজি। সেই হিসেবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আরো ৯ লাখ কেজি বেশি চা উৎপাদন  হয়েছে। ২০২১ সালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯ কোটি ৬৫ লাখ কেজি চা উৎপাদন হয়। ২০২২ সালে ১০ কোটি কেজি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও উত্পাদিত হয় ৯ কোটি ৩৮ লাখ ২৯ হাজার কেজি। বাংলাদেশ চা-বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম এনডিসি সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, সবার সমন্বিত চেষ্টার ফলে এবার সব রেকর্ড ভঙ্গ করে সর্বোচ্চ উৎপাদন সম্ভব হয়েছে বাগানমালিক, শ্রমিক, চা-বোর্ডের কর্মকর্তাদের জন্য। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মতে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয় উল্লেখ করে চেয়ারম্যান বলেন, বাগানগুলোতে পুরোনো চা-গাছ সরিয়ে নতুন গাছ লাগানোয় নজর দেওয়া হয়েছে। বাজারে অবৈধ পথে আসা চা যাতে ঢুকতে না পারে, বাগানমালিক ও শ্রমিকদের স্বার্থও যাতে সুরক্ষিত হয়, সে সব দিকেও খেয়াল রাখা হয়েছে। তিনি আরো জানান, সমতলে চা চাষের প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। বিনা মূল্যে চারা ও মেশিনারিজ বিতরণ করা হয়েছে। ফলে উত্তরাঞ্চল ও সমতলেও চা চাষের পরিমাণ বেড়েছে। ২০১৭-১৮ সাল পর্যন্ত প্রতিবেশী ভারত, শ্রীলঙ্কা, কেনিয়াসহ অন্যান্য দেশের তুলনায় দেশের চা উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি তুলনামূলক কম ছিল। ইদানীং চা-বোর্ডের নানা ইতিবাচক পদক্ষেপ, অনুকূল আবহাওয়ার কারণে গত কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে চা উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে প্রবৃদ্ধি বাড়তে থাকে। একই সময়ে দেশের উত্তরাঞ্চলের সমতল এলাকার বাগানগুলোতেও চা উৎপাদন বাড়তে থাকে। আধুনিক সেচ ব্যবস্থা, শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ, চা বিপণনে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধিও উৎপাদন বাড়াতে সহায়তা করে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

জাতীয়

ব্যারিস্টার সুমন প্রতিশ্রুতি রাখলেন পরিষ্কার করলেন খোয়াই নদী।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ব্যারিস্টার সুমন প্রতিশ্রুতি রাখলেন পরিষ্কার করলেন খোয়াই নদী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভের আগেই পুরাতন খোয়াই নদীকে দূষণ ও দখলমুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণের পরদিনই নিজ উদ্যোগে তার কর্মী-সমর্থকদের দিয়ে নদীতে থাকা ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারে কাজ শুরু করেন তিনি শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে সেই কাজে যোগ দেন ব্যারিস্টার সুমনসহ সারাদেশ থেকে আসা বিডি ক্লিনের সাড়ে ৬শ  সদস্য। বিকেলে নদী পরিষ্কার শেষে নৌকা দিয়ে মাঝ নদীতে যান তিনি। এরপর নৌকা থেকে লাফ দিয়ে সাঁতরে তীরে আসেন। হবিগঞ্জ-৪ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন জানান, আমার নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল যে, শপথ নেওয়ার পর আমার প্রথম কাজ হবে খোয়াই নদীর ময়লা পরিষ্কার করা। এরই অংশ হিসেবে আমরা পরিষ্কারের কাজ শুরু করেছি। চুনারুঘাট ও মাধবপুর উপজেলাকে পর্যটন এলাকা বানাতে সকলের সহযোগিতা কামনা করি। জানা গেছে, চুনারুঘাট শহরকে বড় করতে ৭০ এর দশকে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে এক কিলোমিটার দূরে স্থানান্তরিত করা হয় মূল খোয়াই নদী। এরপর থেকে শহরের পাশে প্রায় ৩ কিলোমিটার নদী পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। সময়ের ব্যবধানে দখল আর দূষণে অস্থিত্ব সংকটে পরে নদীটি। নদীটি পরিষ্কারের পর আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অবৈধ দখলমুক্ত করা হবে। পরবর্তীতের সেখানে দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে নির্মাণের প্রকল্প নেয়ার পরিকল্পনা আছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। এদিকে ব্যারিস্টার সুমনের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের এই কার্যক্রমে উচ্ছ্বসিত স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সুমনের এই কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানান।

জাতীয়

নিউইয়র্কেএফবিআই,’র জালে এক বাংলাদেশী চক্র। এফবিআই তদন্তে।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- নিউইয়র্কেএফবিআই,’র জালে এক বাংলাদেশী চক্র। এফবিআই তদন্তে। নিউইয়র্কে বাংলাদেশি দুর্বৃত্তচক্রের নানা প্রতারণামূলক কর্মকান্ডের তথ্য বেরিয়ে এসেছে। এসব কর্মকান্ডের অভিযোগে গত বছরে গ্রেফতার হওয়া বাংলাদেশি দুই যুবতীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ব্রুকলিন ফেডারেল কোর্টে অভিযোগ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ ছয়জন হলেন জ্যামাইকার আবু চৌধুরী (৩৪), তার স্ত্রী ইফফাত লুবনা (২৪), সহযোগী সুলতানা রাজিয়া, সৈয়দ রুবেল আহমেদ (৪৩), সাহেদ আলম (২৯) এবং আঞ্জু খান (২৮)। গত ১১ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগসমূহের মধ্যে রয়েছে, ধাক্কা ব্যবসা, ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি, রিয়েল এস্টেট প্রতারণা, অন্যের গোপন তথ্য চুরি করে ব্যাংক-বীমার সঙ্গে প্রতারণা, রিয়েল এস্টেট ব্রোকারের টোপ দিয়ে প্রবাসীদের কষ্টার্জিত অর্থ হাতিয়ে নেওয়া, মাদক ব্যবসা এবং মাদকাসক্ত করে প্রতিপক্ষকে মৃত্যুর মুখে পতিত করা। অন্যান্য অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, কাগজপত্রহীন প্রবাসীদের গ্রিনকার্ডের টোপ দিয়ে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেওয়া, অপহরণ, ধর্ষণ, যৌন হামলা, মুক্তিপণ আদায় ইত্যাদি। ব্রুকলিনে অবস্থিত ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট ইউএস অ্যাটর্নি ব্রিয়ন পিস, নিউইয়র্কের এফবিআইয়ের সহকারী পরিচালক জেমস স্মিথ, নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের কমিশনার এডোয়ার্ড এ ক্যাবানের অফিস থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। গ্রেফতারকৃতদের ব্রুকলিন ফেডারেল কোর্টে বিচারপতি যোসেফ এ মারোটুলোর এজলাশে হাজির করা হয়। এ চক্রের অপর এক সদস্যকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ১৭ জানুয়ারি আদালত সূত্র জানায়, এক সদস্যকে গ্রেফতারের পরই সবার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত অভিযোগ গঠন করা হবে। এফবিআই সূত্রে জানা গেছে, এ দুর্বৃত্ত চক্র উপরোক্ত অপরাধকর্মের পাশাপাশি নিজ নিজ ব্যবসার আড়ালে জালিয়াতি-প্রতারণার ফাঁদ পাতে। মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, এ চক্র গত বছরের ২৭ মার্চ কুইন্সের জ্যামাইকা থেকে এক প্রবাসীকে অপহরণের পর প্রায় ১৪ ঘণ্টা অকথ্যভাবে নির্যাতন করে।

জাতীয়

বাংলাদেশে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি– ম্যাথিউ মিলার।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বাংলাদেশে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি– ম্যাথিউ মিলার। বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি বলে আবারও মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি বিরোধী রাজনৈতিক দলের কয়েক হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার এবং নির্বাচনের দিনে অনিয়মের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশটি। গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এসব কথা বলেন। ব্রিফিংয়ে একজন সাংবাদিক মিলারের উদ্দেশে বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করে এবং বিরোধী দলের হাজারো নেতা-কর্মীকে জেলে রেখে অনুষ্ঠিত প্রহসনের নির্বাচনের জবাবে যুক্তরাষ্ট্র কী পদক্ষেপ নেবে? এর আগে আপনি বিবৃতিতে বলেছিলেন, এ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। এ প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘বিরোধী রাজনৈতিক দলের কয়েক হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার এবং নির্বাচনের দিনে অনিয়মের প্রতিবেদনে আমরা উদ্বিগ্ন। অন্য পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি মিলিয়ে বলা যায়, এ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করায় আমরা অনুশোচনা প্রকাশ করছি। আমরা নির্বাচনের সময় এবং নির্বাচনের আগের মাসগুলোতে সহিংসতার নিন্দা জানাই। সহিংসতায় জড়িতদের জবাবদিহির আওতায় আনতে এবং এ বিষয়ে বিশ্বাসযোগ্য ও স্বচ্ছ তদন্ত করতে বাংলাদেশ সরকারকে আমরা উৎসাহিত করছি। পাশাপাশি রাজনৈতিক সহিংসতার পথ ত্যাগ করার জন্য আমরা সব দলের প্রতি আহ্বান জানাই। ’ ম্যাথিউ মিলারকে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করে বলেন, ‘যখন আপনারা বলছেন, বাংলাদেশে এ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য হয়নি, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র কি টানা চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বীকৃতি দেবে না? জবাবে ম্যাথিউ মিলার শুধু বলেন, ‘নো, নো’।

জাতীয়

বাংলাদেশ আজকে একদলীয় শাসনে পরিনত হয়েছে – মঈন খান।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বাংলাদেশ আজকে একদলীয় শাসনে পরিনত হয়েছে – মঈন খান। বাংলাদেশ আজকে একদলীয় শাসনে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। তিনি বলেন, বিএনপি আওয়ামী লীগের মতো লগি-বইঠার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। আমাদের শান্তিপূর্ণ নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক কর্মসূচি চলমান রয়েছে এবং শান্তিপূর্ণভাবে এ কর্মসূচি চলমান থাকবে। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। এর আগে মঈন খান বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। সরকারবিরোধী আন্দোলনের কর্মসূচি চলমান থাকবে জানিয়ে মঈন খান বলেন, এখানে মানুষের কথা বলার অধিকার নেই, মানুষের মৌলিক অধিকার নেই, মানুষের ভোটের অধিকার নেই এবং এখানে মানুষের গণতন্ত্রের অধিকার নেই। এটা শুধু বিএনপি ও দেশের মানুষের কথা নয়। এটা সারা বিশ্বের গণতন্ত্রকামী দেশ এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কথা। তারা সবাই একবাক্যে বলেছে, বাংলাদেশ আজকে একদলীয় শাসনে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশে এমন একটি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে মানুষের অর্থনৈতিক অধিকার পর্যন্ত সম্পূর্ণ পর্যুদস্ত। এখানে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকগুলোকে লোপাট করে দেওয়া হয়েছে। উন্নয়নের নামে দেশে ‘তেভাগা আন্দোলন’ হয়েছে বলে দাবি করেন বিএনপির এ নেতা। তিনি বলেন, একটি উন্নয়ন প্রকল্পে যদি ৩০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়, তাহলে ১০ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন হয়, আর ১০ হাজার কোটি টাকা এই সরকারের আশীর্বাদপুষ্টরা ভাগাভাগি করে নেন। আর এক–তৃতীয়াংশ যারা বিদেশ থেকে প্রকল্প এনে দেন, তারা লোপাট করে নেন। আজকের সরকার দেশের অর্থনীতিকে লুটপাট করে ধ্বংস করে দিয়েছে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র আজ ‘মৃত’ উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, জাতি এক ত্রান্তিলগ্নে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মদিন পালন করছে। আমাদের এটা উপলব্ধি করতে হবে, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল গণতন্ত্রের জন্য, আজকে সেই গণতন্ত্র মৃত।

জাতীয়

শহীদের আত্মত্যাগ কখনও বৃথা যাবে না — প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বিলেতের আয়না ডেক্স :- শহীদের আত্মত্যাগ কখনও বৃথা যাবে না — প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে আত্মত্যাগকারী শহীদ আসাদ এদেশের গণতন্ত্রপ্রেমী, মুক্তিকামী মানুষের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তাঁর আত্মত্যাগ সবসময় আমাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে প্রেরণা যোগাবে। এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে যাঁরা আত্মাহুতি দিয়েছেন তাঁদের অবদান আমরা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি। আমি মনে করি, শহীদের আত্মত্যাগ কখনও বৃথা যাবে না। আগামীকাল শহীদ আসাদ দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কাল ২০ জানুয়ারি শহীদ আসাদ দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এই দিনটি একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। ১৯৬৯ সালের এদিনে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের সামনের রাস্তায় চলমান মিছিলে পুলিশ গুলি চালায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের ছাত্র মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান পুলিশের গুলিতে নিহত হন।এভাবে আরো অনেক প্রাণ ঝরে যায় এবং আহত হন।’ তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানি শাসকদের বৈষম্যমূলক আচরণ, নির্যাতন এবং দমন-পীড়নে বাংলার মানুষ যখন দিশেহারা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ছয়-দফা তখন বাঙালির মুক্তির দিশারী হিসেবে আবির্ভূত হয়। ছয়-দফা হয়ে ওঠে বাঙালির প্রাণের দাবি।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘ছয়-দফার পক্ষে প্রবল জনমতের জোয়ার দেখে আতঙ্কিত সামরিক জান্তা আইয়ুব খান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা দায়ের করে, যা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা নামে সমধিক পরিচিত। বৈষম্য ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঘোষিত ছয়-দফা আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালি জাতির স্বাধীনতা আন্দোলন নতুন মাত্রা পায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব পরিণত হন নিপীড়িত ও নির্যাতিত বাঙালির মুক্তির মূর্ত প্রতীকে।’ কারাগারে আটক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মুক্তির দাবিতে গর্জে উঠে সারা বাংলার মানুষ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনের রাস্তায় ছাত্র-জনতার চলমান মিছিলে পুলিশ গুলি চালায়। এতে আসাদুজ্জামান শহীদ হন এবং অনেকে আহত হন। শহীদ আসাদের এই আত্মত্যাগ চলমান আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধিকারের দাবিতে সোচ্চার সব শ্রেণিপেশার মানুষ জেল-জুলুম উপেক্ষা করে রাজপথে নেমে আসে। পর্যায়ক্রমে আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর আকার ধারণ করে। সেদিনের সেই আন্দোলন পরবর্তীতে গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। জনতার কঠিন রুদ্ররোষ ও গণআন্দোলনের চাপের মুখে পাকিস্তানি স্বৈরসরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়। এরই ধারাবাহিকতায় পতন হয় স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের।’ তিনি শহীদ আসাদসহ বাঙালির মুক্তির সংগ্রামে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

জাতীয়

শেখ হাসিনাকে অভিবাদন জানালো মালয়েশিয়া-ব্রাজিলসহ আরও ৮ দেশ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- শেখ হাসিনাকে অভিবাদন জানালো মালয়েশিয়া-ব্রাজিলসহ আরও ৮ দেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা চতুর্থ মেয়াদে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), কাতার, মিশর, লুক্সেমবার্গ, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও ব্রাজিল তাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এক অভিনন্দন বার্তায় বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনের পর আবারও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী যে, ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কের ভিত্তিতে আমাদের দুটি দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক আপনার নতুন মেয়াদে আরও গভীর ও সুদৃঢ় হবে।’ পৃথক বার্তায় মিশরের রাষ্ট্রপতি আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নতুন মেয়াদে সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করায় শেখ হাসিনাকে তার উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এই উচ্চ পদে আপনার পুনর্নির্বাচিত হওয়া আপনার দেশের জন্য আরও অগ্রগতি অর্জনের লক্ষ্যে আপনার সক্ষম নেতৃত্বের প্রতি আপনার দেশের জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস প্রতিফলিত করে।’ আবদেল ফাত্তাহ বলেন, ‘মিশর ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। তিনি আত্মবিশ্বাস ব্যক্ত করেন যে, দুই দেশের জনগণের পারস্পরিক কল্যাণের জন্য আগামী বছরগুলোতে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা তার অভিনন্দন পত্রে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার চতুর্থ মেয়াদে তার নেতৃত্ব দেয়ার প্রশংসা করেছেন যার নজির হচ্ছে সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে তার সরকারের উল্লেখযোগ্য অর্জন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ফোকাস বাংলা তিনি শেখ হাসিনার পঞ্চম মেয়াদে বন্ধুত্বপ্রতীম দেশটির জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তনের ক্ষেত্রে অসামান্য সাফল্য কামনা করেন। লুলা দা সিলভা আশ্বাস ব্যক্ত করেন যে, সমাজে শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ সবসময় ব্রাজিলের অবিচল অংশীদার হয়ে থাকবে। তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেন, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার বন্ধনে আবদ্ধ দুটি দেশ এ সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে একসঙ্গে কাজ করে যাবে। ২০২৩ সালটি ছিল দুটি দেশের সম্পর্কের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জোহানেসবার্গে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে তার এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠকের কথা স্মরণ করেন যেখানে তাদের মধ্যে টেকসই উন্নয়নের পথ অনুসরণ করার এবং উভয় দেশের জনগণের সমৃদ্ধি ও কল্যাণের বিষয়ে আলোচনা করার সুযোগ হয়েছিল।  তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে পারস্পরিক সম্মত সময়ে ব্রাজিল সফরের আমন্ত্রণ জানান। পৃথক চিঠিতে কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জাসিম আল-থানি, সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস-প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম, লুক্সেমবার্গের ভাইস-প্রধানমন্ত্রী পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী, সহযোগিতা ও মানবিক কর্মসূচিবিষয়ক মন্ত্রী জেভিয়ার বেটেল বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাদের আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তারা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও সুখ এবং বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের আরও কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। এক অভিনন্দন বার্তায় তিনি লেখেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চতুর্থ মেয়াদে শপথ গ্রহণ করায় মালয়েশিয়ার সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে আমি আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনার মেয়াদে, আপনি এক দশকেরও বেশি শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে আপনার দেশকে অসাধারণভাবে পরিচালনা করেছেন এবং নিশ্চিত করেছেন যে, বাংলাদেশ এশিয়ার অন্যতম সাফল্যের নজির হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে।’

জাতীয়

আজ ২০ জানুয়ারি শহীদ আসাদ দিবস।

বিলেতেৱ আয়না ডেক্স :- আজ ২০ জানুয়ারি শহীদ আসাদ দিবস। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের সময়ের এই দিনে মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ওরফে আসাদ পুলিশের গুলিতে শহীদ হন। তার এই আত্মত্যাগ স্বৈরশাসনবিরোধী চলমান আন্দোলনকে বেগবান করে। পরবর্তীতে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে পতন হয় স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ২০ জানুয়ারি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন। ১৯৬৯ সালের এদিনে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনের রাস্তায় ছাত্র-জনতার মিছিলে সে-সময়ের পুলিশ গুলি চালায়। সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের ছাত্র মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এ সময় আরও অনেক আহত হন। শহীদ আসাদের এই আত্মত্যাগ চলমান আন্দোলনে যোগ করে নতুন মাত্রা। বাঙালির স্বাধিকারের দাবিতে সোচ্চার সব শ্রেণি-পেশার মানুষ জেল-জুলুম উপেক্ষা করে রাজপথে নেমে আসে। পর্যায়ক্রমে আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর আকার ধারণ করে, যা পরবর্তীতে গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে শহীদ আসাদ একটি অমর নাম- এ কথা উল্লেখ করে মো. সাহাবুদ্দিন তার বাণীতে বলেন, ঊনসত্তরের গণআন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আসাদের আত্মত্যাগ আন্দোলনকে বেগবান করে। জেল-জুলুম উপেক্ষা করে স্বাধিকারের দাবিতে সোচ্চার সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ রাজপথে নেমে আসে। পর্যায়ক্রমে আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হয় এবং গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। স্বৈরশাসক আইয়ুব ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন, পতন হয় স্বৈরশাসনের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে আত্মত্যাগকারী শহীদ আসাদ এ দেশের গণতন্ত্রপ্রেমী, মুক্তিকামী মানুষের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তার আত্মত্যাগ সবসময় আমাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে প্রেরণা যোগাবে। তিনি বলেন, এ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে যারা আত্মাহুতি দিয়েছেন তাদের অবদান আমরা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি। আমি মনে করি, শহীদের আত্মত্যাগ কখনও বৃথা যাবে না।

Scroll to Top