জানুয়ারি ১৬, ২০২৪

জাতীয়

আগামী ৩০ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আগামী ৩০ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হবে আগামী ৩০ জানুয়ারি, মঙ্গলবার। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের গণসংযোগ পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. তারিক মাহমুদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। এতে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন আগামী ৩০ জানুয়ারি রোজ মঙ্গলবার বিকেল তিনটায় ঢাকার শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত জাতীয় সংসদ ভবনের সংসদ কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম ও ২০২৪ সালের প্রথম অধিবেশন আহ্বান করেছেন। তিনি বাংলাদেশের সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ অধিবেশন আহ্বান করেছেন বলেও জানানো।

জাতীয়

আগামী ২১ জানুয়ারি বাণিজ্যমেলা শুরু।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আগামী ২১ জানুয়ারি বাণিজ্যমেলা শুরু। রাজধানীর উপকণ্ঠ পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) আগামী ২১ জানুয়ারি (২০২৪) শুরু হবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা হায়দার আলী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণিজ্যমেলার উদ্বোধন করবেন। পূর্বাচলে বিবিসিএফইসিতে মাসব্যাপী চলবে এ মেলা। রাজধানীতে এটি বাণিজ্যমেলার ২৮তম আসর। আর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু এক্সিবিশন সেন্টারে তৃতীয়। ২০২২ সাল থেকে পূর্বাচলে স্থায়ী কেন্দ্রে বাণিজ্যমেলা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। এর আগে সবগুলো মেলা হয়েছে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অস্থায়ী কেন্দ্রে। চীনের অর্থায়নে পূর্বাচলে স্থায়ী বাণিজ্যমেলা কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। এখন থেকে প্রতি বছর এখানেই আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার আসর বসবে। দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন, উৎপাদনে সহায়তার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবির যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত এ মেলা হতো শেরেবাংলা নগরে। কোভিড মহামারির কারণে ২০২১ সালে মেলা করা যায়নি। এরপর মহামারির বিধিনিষেধের মধ্যে ২০২২ সালে প্রথমবার মেলা চলে যায় পূর্বাচলে বিবিসিএফইসিতে। এবার তৃতীয়বারের মতো স্থায়ী ভেন্যু বাংলাদেশ-চীন এক্সিবিশন সেন্টারে বাণিজ্যমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইপিবি বলছে, এবারের বাণিজ্য মেলায় দেশীয় পণ্যের পাশাপাশি ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, হংকং, সিঙ্গাপুর, নেপালসহ বিভিন্ন দেশ অংশ নেবে। পণ্য প্রদর্শনের পাশাপাশি দেশীয় পণ্য রপ্তানির বড় বাজার খোঁজার লক্ষ্য রয়েছে।

আন্তর্জাতিক

ইসরাইলিগণমাধ্যমের প্রতিবেদন, গাজায় ৪ হাজার ইসরাইলী সৈন্য পঙ্গু।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ইসরাইলিগণমাধ্যমের প্রতিবেদন, গাজায় ৪ হাজার ইসরাইলী সৈন্য পঙ্গু। গাজায় একের পএক দুঃসংবাদ পাচ্ছে ইসরাইল। শনিবার প্রকাশিত দেশটির জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম ওয়াল্লার এক বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় হামাসের সঙ্গে লড়াইয়ে অন্তত চার হাজার ইসরাইলি সৈন্য পঙ্গু হয়েছে। উপত্যকায় হামাসের আক্রমণে তেলআবিবের বহু সামরিক যান ধ্বংস হয়েছে। এর মধ্যে একাধিক মারকাভা ট্যাঙ্কও রয়েছে। ওয়াল্লার ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে পঙ্গু হয়ে যাওয়া ইসরাইলি সৈন্য বেড়ে ৩০ হাজারে ঠেকতে পারে। খবর আনাদোলু অনলাইনের। তবে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আহত সেনাদের সংখ্যা জানানো হয়নি। ইসরাইলি সমাজে নিজেদের মনোবল ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কায় এ সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি বলে ওয়াল্লার খবরে দাবি করা হয়েছে। ওই খবরে আরও বলা হয়, ক্লাসিফিকেশন-৩ অনুসারে চার হাজার সেনাকে প্রতিবন্ধী হিসেবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এসব সেনার চিকিৎসাসহ সব অধিকার সেনাবাহিনী কর্তৃক সংরক্ষিত। সেনাদের মধ্যে যুদ্ধে পঙ্গুত্ব বরণ করায় তারা এ সুবিধা পাবেন। এর আগে ডিসেম্বরে ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম ইয়েদিওথ আহরনাথের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ৭ অক্টোবর গাজায় সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে পাঁচ হাজারের বেশি ইসরাইলি সেনা আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৫৮ শতাংশের বেশি সেনা হাত ও পায়ে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকের অঙ্গচ্ছেদ করতে হয়েছে। এদের মধ্যে দুই হাজারের বেশি সেনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিকলাঙ্গ বা পঙ্গু ঘোষণা করে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পুনর্বাসন বিভাগের প্রধান ও ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল লিমোর লুরিয়া বলেন, আমরা আগে কখনো এই ধরনের পরিস্থিতি দেখিনি। ৫৮ শতাংশের বেশি আহত সেনা তাদের হাত ও পায়ে গুরুতর আঘাত পেয়েছে।  অপরদিকে অনাহারে দিন পার করছেন গাজাবাসীকাউকে দেখলেই একমুঠো খাবারের আশায় ছুটে যাচ্ছেন ভুখা ফিলিস্তিনিরা। সড়কে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে লাশ। গত একশ’ দিনে ইসরাইলি বর্বরতায় উপত্যকার অবস্থা এই পর্যায়ে পৌঁছেছে। গাজায় জাতিসংঘের এক শীর্ষ কর্মকর্তা এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেন। মার্টিন গ্রিফিথস নামের এই কর্তকর্তা বলেন, সম্প্রতি আমার যেসব সহকর্মী উত্তর গাজায় যেতে পেরেছেন তারা সেখানকার ভয়াবহ পরিস্থিতির বর্ণনা করেছেন। সেখানে সড়কে মানুষের লাশ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। অনাহারের লক্ষণ স্পষ্ট। বেঁচে থাকতে খাবারের সন্ধানে মানুষ ট্রাকের পেছনে ছুটছেন। আশ্রয়কেন্দ্রে ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি মানুষ আশ্রয় গ্রহণ করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষ বাড়ি ফিরতে পারলেও অনেকের কাছে আসলে বাড়ি যাওয়ার মতো কিছুই নেই। তিনি বলেন, গাজায় খাদ্য ও পানি শেষ হয়ে যাচ্ছে। ফলে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি দিন  দিন বাড়ছে।

Scroll to Top