জানুয়ারি ১৬, ২০২৪

জাতীয়

সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নাসিরকে ২ বছর নিষিদ্ধ করলো আইসিসি।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নাসিরকে ২ বছর নিষিদ্ধ করলো আইসিসি। সব ধরনের ক্রিকেট থেকে দুই বছরের জন্য বাংলাদেশের নাসির হোসেনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দুর্নীতির দায়ে তাকে নিষিদ্ধ করা হয় বলে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আইসিসি। আইসিসির দেওয়া শর্তগুলো পূরণ করতে পারলে আগামী ২০২৫ সালের ৭ এপ্রিল আবার ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন নাসির। নাসিরের বিরুদ্ধে আইসিসির দুর্নীতি দমনবিধি লঙ্ঘনের তিনটি অভিযোগ আনা হয়। তার সবই স্বীকার করে নিয়েছেন ৩২ বছর বয়সী অলরাউন্ডার। একটি আইফোন ১২ উপহার নিয়েছিলেন নাসির। কোডের ধারা ২.৪.৩ অনুযায়ী, মনোনীত দুর্নীতি দমন কর্মকর্তার কাছে বিলম্ব না করে সেই উপহারের রসিদ দেখাতে ব্যর্থ হন। যার মূল্য ৭৫০ ডলারেরও বেশি ছিল। কোডের ধারা ২.৪.৪ অনুযায়ী নতুন আইফোন ১২-এর মাধ্যমে দুর্নীতিতে জড়িত হওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন তার সম্পূর্ণ বিশদ দুর্নীতি দমন কর্মকর্তার প্রকাশ করতে ব্যর্থ হন নাসির। আর কোডের অনুচ্ছেদ ২.৪.৬ অনুযায়ী কোনো যুক্তি ছাড়াই দুর্নীতিমূলক আচরণের বিষয়ে মনোনীত দুর্নীতি দমন কর্মকর্তার তদন্তে সহযোগিতা করতেও প্রত্যাখ্যান করেন। মূলত আবুধাবির টি-টেন লিগে খেলতে গিয়ে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন নাসির। ৭৫০ ডলারের বেশি অর্থমূল্যের উপহার নিলেও তা আমিরাত বোর্ডের দুর্নীতি দমন কর্মকর্তাকে জানাতে ব্যর্থ হওয়ায় গত সেপ্টেম্বরেই ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে তাকে নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এবার আইসিসি থেকেও শাস্তি পেলেন তিনি। বাংলাদেশের হয়ে ১৯টি টেস্ট, ৬৫টি ওয়ানডে ও ৩১টি টি-টোয়েন্টি খেলা নাসির সর্বশেষ জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে। গত মে মাসে বাংলাদেশে সর্বশেষ স্বীকৃত ক্রিকেট খেলেন তিনি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে। গত আগস্টে অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রে ইউএস মাস্টার্স টি-টেন লিগে খেলেছিলেন নাসির, যেটি টি-টেন গ্লোবাল লিগেরই অংশ। গত আসরে বিপিএলের অন্যতম সেরা পারফরমার ছিলেন এই অলরাউন্ডার। ঢাকা ডমিনেটরসের হয়ে তিনি ১২ ম্যাচ খেলে ৪৫.৭৫ গড়ে ৩৬৬ রান করার পাশাপাশি বল হাতে ১৪.৬ গড়ে নিয়েছিলেন ১৬টি উইকেট।

জাতীয়

বিএনপি মনের শান্তির জন্য আবোল তাবোল কথা বলছে –ওবায়দুল কাদের।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বিএনপি মনের শান্তির জন্য আবোল তাবোল কথা বলছে –ওবায়দুল কাদের। নিজেদের মনের শান্তির জন্য বিএনপি নেতারা আবোল তাবোল কথা বলছেন বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় সেতু ভবনের সভাকক্ষে সেতু বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি বলছে নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতারা ভয়ে আছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, তারা ইলেকশন করতে দেবে না বলেছিন, তারপরও নির্বাচন হয়েছে। তারা ভয়ের কোনো কারণ না। তারা আতঙ্ক সৃষ্টি করে গুপ্তহত্যা, গুপ্ত আক্রমণ, অগ্নি সন্ত্রাস করছে। ট্রেনে আগুন দিয়ে কীভাবে তারা মা-সন্তানকে পুড়িয়ে মারলো। বাসে হেলপারদের মারলো, পুলিশ পিটিয়ে মারলো। এমন অপকর্ম যারা করে তারা কে কী বললো, সেটা আমরা কিছু মনে করি না। কাদের বলেন, তারা বলেছিল ইলেকশন করতে দেবে না, আমরা স্বাচ্ছন্দ্যে ইলেকশন করেছি। কিছু ঘটনা, সহিংসতা হয়েছে। কিন্তু বিএনপি যেটা ভেবেছিল, সেরকম কিছু আসলে হয়নি। নির্বাচনে ভোটের হার ৪১.৮০। অথচ তাদের দাবি জনগণ সাড়া দিয়েছে। কিন্তু জনগণ তাদের কথায় কান দেয়নি। কেউই মাথা ঘামায়নি। সেজন্য তারা নিজেদের মনের শান্তির জন্য আবোল তাবোল কথা বলছে। তিনি আরও বলেন, সংবিধানে কোথায় আছে যে এ সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছে? নির্বাচন আগামও করা যায়। আমাদের সময় ছিল ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। আমরা ৭ জানুয়ারি ভোট করেছি। ইলেশন করে কি আমরা বসে থাকবো শপথ নেওয়ার জন্য?

জাতীয়

বিএনপি অন্ধকার গলিপথ খুঁজে বেড়ায়:- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বিএনপি অন্ধকার গলিপথ খুঁজে বেড়ায়:- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অবৈধভাবে ক্ষমতায় যেতে বিএনপি সবসময় অন্ধকার গলিপথ খুঁজে বেড়ায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও টানা চারবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে গণভবনে প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতাদের সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। শেখ হাসিনা বলেন, তারা (বিএনপি) জানে যে তারা জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত। সেজন্য নির্বাচন করতে চায় না। নির্বাচন নষ্ট করে দিয়ে কীভাবে অবৈধভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়, সে পথ তারা খুঁজে বেড়ায়, অন্ধকারের গলিপথ খুঁজে বেড়ায়। আলো ঝলমল নির্বাচন আর জনগণের পথে তারা পথ হারিয়ে ফেলে। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, শুধু এই নির্বাচন নয়, বারবারই তারা (বিএনপি) প্রত্যাখ্যাত হয়েছে এবং হারার ভয়েই তারা নির্বাচন করেনি। কিন্তু জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসেনি, তারা নির্বাচিত আসবে কী করে? ২০০৮ সালের নির্বাচনে যেখানে অনেকে মনে করেছিল বিএনপি বোধ হয় সাংগঠনিকভাবে আওয়ামী লীগের সমান সমান। কিন্তু তারা যে সমান সমান নয়, সেটা প্রমাণ হলো ২০০৮ সালের নির্বাচনে। সে নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিল, এককভাবে আওয়ামী লীগ পেল ২৩৩ আসন। আর বিএনপি ২০ দলীয় জোট নিয়ে পেয়েছিল মাত্র ৩০ সিট। ২০০৯ সাল থেকে টানা ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনা বলেন, ২০ দলীয় জোট নিয়ে ৩০ সিট পাওয়ার পর থেকেই তারা নির্বাচন চায় না। তারা নির্বাচন নষ্ট করার জন্য অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষ হত্যা, রেলে আগুন দেওয়া; এ রকম অমানবিক কার্যক্রমই তারা করে যাচ্ছে। যত বেশি তারা অগ্নিসন্ত্রাস, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করবে, মানুষ তত বেশি তাদের প্রত্যাখ্যান করবে। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তাদের (বিএনপি) একটিই দক্ষতা আছে, অগ্নিসন্ত্রাস করা, বাসে আগুন দেওয়া, লঞ্চে আগুন দেওয়া, রেলে আগুন দেওয়া, রেলের লাইন খুলে দিয়ে রেলের পাত খুলে ফেলে দিয়ে মানুষ মারা, মানুষ মারার ফাঁদ পাতায় তারা ওস্তাদ। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এ নির্বাচনে বিজয় বাংলাদেশের জনগণের বিজয়। এ নির্বাচনে বিজয় গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতার বিজয়। শেখ হাসিনা বলেন, ৭ জানুয়ারির যে নির্বাচন, সে নির্বাচনে জনগণের ভোটের অধিকার আমরা নিশ্চিত করেছি। আমি বলব অধিকার শুধু নয়, সাংবিধানিক অধিকার, তা আমরা নিশ্চিত করেছি। ৭ জানুয়ারির নির্বাচন অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক হয়েছে মন্তব্য করে পাঁচবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনটা উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম। হ্যাঁ, নৌকা মার্কা দিয়েছি, সেই সঙ্গে বলেছি, যারা নির্বাচন করতে চায়, করতে পারবে। উন্মুক্ত করে দিয়েছি, কাজেই সেখানে নির্বাচন অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক হয়েছে। এখনো ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত চলছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দোয়া করবেন, এখনো চক্রান্ত শেষ হয়নি, এখনো শুনি তারা আবার লাফালাফি করে। নির্বাচন বাতিল করতে হবে, এই করতে হবে, সেই করতে হবে। যাই হোক জনগণের ভোটে আমরা সরকারে এসেছি। জনগণের কল্যাণে আমরা কাজ করে যাবো।

জাতীয়

যুক্তরাজ্য দিন দিন চাকরির সুযোগ কমে যাচ্ছে।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- যুক্তরাজ্য দিন দিন চাকরির সুযোগ কমে যাচ্ছে। গত এক বছরে কয়েক হাজার বাংলাদেশী তরুণ-তরুণী, যুবক-যুবতী ও শিক্ষার্থীসহ নানা বয়েসি মানুষ বিভিন্ন ভিসায় যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমিয়েছেন।কেউ কেয়ার ভিসায়,কেউ স্টুডেন্ট ভিসায়, কেউ কেউ দেশের চাকুরী ছেড়ে দিয়ে উন্নত জীবনের আশায় পাড়ি জমিয়েছিলেন যুক্ত রাজ্যে কিন্তু বিধিবাম উন্নত জীবন ধুলিসাত্ হতে চলে চলছে। উন্নত জীবন যাপন ও পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনার স্বপ্ন যখন ডানা মেলছে তাদের, তখনই আসলো দুঃসংবাদ। জানা গেছে, যুক্তরাজ্যের লন্ডন সহ বিভিন্ন শহরে চাকরির সুযোগ দিন দিন কমছে। এরই মধ্যে আর্থিক খাতে চাকরির সুযোগ গত বছর প্রায় ৪০ শতাংশ কমেছে। খবর রয়টার্সের। লন্ডনে চাকরির সুযোগ কমার কারণ হিসেবে মরগান ম্যাককিনল নামে একটি নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান বলছে,  বাজারের অস্থিরতা এবং উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি নিয়োগকর্তাদের খরচের উপর খুবই শক্ত প্রভাব পড়ছে। লন্ডনের এমপ্লয়মেন্ট মনিটর অনুসারে, ২০২৩ সালে আর্থিক খাতে চাকরির সুযোগ গত বছরের আগের বছরের তুলনায় ৩৮ শতাংশ কমেছে। যেখানে চাকরি খোঁজার সংখ্যাও ১৬ শতাংশ কমেছে। মরগান ম্যাককিনলে বলেছেন, ২০২৩ সালের শেষ ত্রৈমাসিকে বিশেষভাবে পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ৪২ শতাংশ কম চাকরি পাওয়া গেছে ; যা ২০০৮ সালের বৈশ্বিক আর্থিক সংকটের পর চাকরির ক্ষেত্রে এটাই  সবচেয়ে বড় পতন। তবে গত বছর বিশেষ করে লন্ডনের ব্যাংক খাতগুলো শক্তিশালী মুনাফা পেলেও উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির চাপ, চুক্তির মন্দা এবং গভীরতর ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা সেই মুনাফার উচ্চবৃদ্ধিকেও ম্লান করে দিয়েছে। বেশ কিছু প্রধান নিয়োগকর্তা অনেক কাটছাঁট করায় চাকরির বাজার আরও তিক্ত হয়েছে বলে রয়টার্স জানায়। মর্গান ম্যাককিনলে ইউকে ব্রান্সের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হাকান এনভার বলেন, ‘এক বছরের প্রচুর বেতন বৃদ্ধি এবং কঠোর শ্রমবাজার দ্বারা চালিত অতিরিক্ত নিয়োগের পর; আমরা একটি চ্যালেঞ্জিং বছরের শেষের দিকে আসার সাথে সাথে স্থবির বাজারের লক্ষণ দেখা দিয়েছে।’ আমরা চাকরিপ্রার্থী, প্রার্থী সরবরাহ এবং চাকরির সংখ্যা হ্রাস হতে দেখেছি। ব্যয় এবং নিয়োগের ক্ষেত্রে লাগাম টেনে ধরার জন্য মধ্যপ্রাচ্যে টেকসই অর্থনৈতিক মন্দা এবং সংঘাতের মধ্যে নিয়োগকর্তার আস্থা হ্রাস পেয়েছে।’ তবে এনভার বলেছেন, মহামারী-পরবর্তী একটি উল্লেখযোগ্য নিয়োগ বৃদ্ধির আগে চাকরির ক্ষেত্রগুলো  ২০১৯ সালের মত ছিল।

জাতীয়

যুক্তরাজ্যে নিষিদ্ধ হিযবুত তাহরীর। ধর্মভিত্তিক সংগঠন হিযবুত তাহরীরকে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্য।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- যুক্তরাজ্যে নিষিদ্ধ হিযবুত তাহরীর। ধর্মভিত্তিক সংগঠন হিযবুত তাহরীরকে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্য। সোমবার এটিকে ইহুদি বিরোধী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে এর সদস্য হওয়া ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করার কথা বলেছে দেশটি। এ অপরাধে ১৪ বছরের সাজা হতে পারে। রয়টার্স লিখেছে, ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, সংসদে পাস হলে ১৯ জানুয়ারি থেকে ইসলামপন্থি দলটি যুক্তরাজ্যে নিষিদ্ধ হিসেবে বিবেচিত হবে। এতে করে এটি আল কায়েদা ও আইএসআইএস এর মতো নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হয়ে যাবে। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি সুন্নি ইসলামপন্থি এ গোষ্ঠীকে ইহুদি বিদ্বেষি সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে বলেছেন, সংগঠনটি সন্ত্রাসবাদকে প্রচার করে ও উৎসাহ দেয়। গত ৭ অক্টোবর এটি ইসরায়েলের ওপর ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী গোষ্ঠী হামাসের আক্রমণের প্রশংসা ও উদযাপন করেছে। সেদিন হামাসের হামলায় ইসরায়েলে প্রায় এক হাজার ২০০ জনকে হত্যা করার তথ্য তুলে ধরে ক্লেভারলি বলেন, হিজবুত তাহরীর এসব আক্রমণের প্রশংসা করে এবং হামাসকে তাদের বীর হিসেব তুলে ধরে সন্ত্রাসবাদকে প্রচার ও উৎসাহ দেয়। তিনি বলেন, ইহুদিদের বিরুদ্ধে হামলার প্রশংসা ও উদযাপনের পুরনো ইতিহাসও রয়েছে সংগঠনটির। যুক্তরাজ্যের এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে হিজবুত তাহরীরের যুক্তরাজ্যভিত্তিক এক প্রতিনিধিকে ইমেইল করেও তাৎক্ষণিক সাড়া পাওয়া যায়নি বলে লিখেছে রয়টার্স। এর আগে ২০০৯ সালে জননিরাপত্তার জন্য হুমকি বিবেচনায় ধর্মভিত্তিক এ সংগঠনকে বাংলাদেশও নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ওই সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছিল, দীর্ঘদিন থেকে সংগঠনটির কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের পর ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তুরস্কসহ বেশ কয়েকটি দেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে সংগঠনটি নিষিদ্ধ রয়েছে। রয়টার্স বলছে, জার্মানি, পাকিস্তান, মিসর এবং মধ্য এশিয়া ও আরব বিশ্বের কয়েকটি দেশেও এটি নিষিদ্ধ। ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠার দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য নিয়ে লেবাননভিত্তিক সংগঠনটি ১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। যুক্তরাজ্য ও পশ্চিমা আরও কিছুসহ ৩২টি দেশে এটির কার্যক্রম রয়েছে।

আন্তর্জাতিক

আইসল্যান্ডের শহরে আগ্নেয়গিরির লাভা, ঢুকছে লোকালয়ে।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আইসল্যান্ডের শহরে আগ্নেয়গিরির লাভা, ঢুকছে লোকালয়ে। আইসল্যান্ডে দ্বিতীয়বার জেগে উঠেছে আগ্নেয়গিরি। রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকালে রেকেনেস অঞ্চলে এ আগ্নেয়গিরিটি জেগে ওঠে। এর ফলে শহরের লোকালয়ে আগ্নেয়গিরির লাভা প্রবেশ করেছে। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। রোববার ভোররাতে রেকেনেস অঞ্চলে কাছাকাছি দুটি আগ্নেয়গিরিতে ফাটল সৃষ্টি হয়। এ ফাটল থেকে বেরিয়ে আসা লাভা গ্রিনদাভিকে ঢুকে পড়েছে। ফলে শহরের প্রায় চার হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। লাভার আগুনে শহরটির কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরে গেছে। বিবিসির সম্প্রচারিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে, লাভার আগুনে একটি বাড়িতে আগুন লেগে গেছে। বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। আইসল্যান্ডের ওই শহরটিতে কয়েকদিনের মধ্যে শতাধিক ভূমিকম্প হয়েছে। এরফলে আগ্নেয়গিরি জেগে উঠেছে। মাসখানেক আগেও ওই আগ্নেয়গিরিতে অগ্নুৎপাত হয়েছিল। রোববার পুনরায় সেটি সক্রিয় হয়ে ওঠে। আইসল্যান্ডের শহর গ্রিনদাভিকে প্রায় তিন হাজার ৮০০ মানুষ বসবাস করেন। অগ্নুৎপাতের ঘটনায় তাদের সকলকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। গত বছরের নভেম্বরে শহরটিতে ভূমিকম্প হয়েছিল। ওই সময়েও শহরটির সব নাগরিককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। পরে ডিসেম্বরে তারা বাড়িতে ফেরেন। এবার শহরে লাভা ঢুকে পড়ায় তাদের বাড়িতে ফেরা নিয়ে আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। দেশটির স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, অগ্নুৎপাত বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত সেখানকার পরিস্থিতি বুঝা সম্ভব নয়। আইসল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রয়েছে সরকার। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনই পরিমাপ করা সম্ভব নয়। দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববার সকাল ৭টা ৫৭ মিনিটে আগ্নেয়গিরি থেকে প্রথম অগ্নুৎপাত হয়। আইসল্যান্ডের রাজধানী থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে এ ঘটনা ঘটেছে। এতে করে গোটা শহরজুড়ে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।

জাতীয়

শিশু আয়ানের মৃত্যু, ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের রুল।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- শিশু আয়ানের মৃত্যু, ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের রুল। রাজধানীর বাড্ডার সাঁতারকুলের ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুন্নতে খৎনা করতে গিয়ে শিশু আয়ান আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে শিশুটির মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার (১৫ জানুয়ারি) এ আদেশ দেন। গত ৩১ ডিসেম্বর সাঁতারকুলের ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খতনা করানোর জন্য আনা হয় আয়ানকে। সেদিন বেলা ৯টায় খতনা করার জন্য তাকে পুরোপুরি অজ্ঞান করা হয়। খতনার পর ১১টায়ও জ্ঞান না ফিরলে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে এনে লাইফসাপোর্টে রাখা হয় শিশুটিকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ জানুয়ারি রাতে লাইফ সাপোর্ট খুলে নিয়ে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে দেওয়া আয়ানের মৃত্যু সনদে ‘কার্ডিও-রেসপিরেটরি ফেইলিওর, মাল্টিঅর্গান ফেইলিওর এবং কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ কে মৃত্যুর কারণ হিসেবে দেখান হয়েছে। আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সেখানকার দুই জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে তার পরিবার। এছাড়া এ ঘটনায় কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন এক আইনজীবী। গতকাল রোববার আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিটের শুনানি শেষ হয়। একইসঙ্গে এ বিষয়ে আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়। আজ আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ বি এম শাহজাহান আকন্দ মাসুম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ। শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে সোমবার চার সদস্যের একটি কমিটি করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগের প্রধানকে কমিটির আহবায়ক করা হয়েছে। কমিটিতে ওই হাসপাতালের সহকারী পরিচালক এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের হাসপাতাল শাখার একজন সহকারী পরিচালকও আছেন। আগামী ১০ দিনের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

জাতীয়

সামরিক শক্তিতে বাংলাদেশ ৩ ধাপ এগিয়েছে।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সামরিক শক্তিতে বাংলাদেশ ৩ ধাপ এগিয়েছে। বৈশ্বিক সামরিক শক্তিতে এবার আরও এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। সামরিক সক্ষমতার ওপর নির্ভর করে তৈরি করা আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের (জিএফপি) ২০২৪ সালের সামরিক শক্তি সূচকে বিশ্বের ১৪৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৩৭তম, গত বছর যা ছিল ৪০। অর্থাৎ তিন ধাপ উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের। জিএফপির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বিশ্বের ১৪৫টি দেশের সামরিক সক্ষমতার সবশেষ সহজলভ্য সামরিক সরঞ্জাম, প্রতিরক্ষা বাজেট, সৈন্য সংখ্যাসহ ৬০টির বেশি মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে চলতি বছরের সূচক তৈরি করা হয়েছে। গত ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত হালনাগাদ করা তথ্যে সামরিক সক্ষমতাকে এই সূচকের ভিত্তি হিসেবে ধরে নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জিএফপি। এই সূচকে সামরিক শক্তিমত্তা বিচারে দেশগুলোর স্কোরও (পাওয়ার ইনডেক্স) নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীকে বিশ্বের ৩৭তম হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এবং সামরিক শক্তিসূচকে বাংলাদেশ স্কোর পেয়েছে শূন্য দশমিক ৫৪১৯। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার বলছে, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে সক্রিয় সৈন্য রয়েছেন ১ লাখ ৬৩ হাজার। সেনাবাহিনীতে ট্যাংক ৩২০টি এবং সামরিক যান রয়েছে ১৩ হাজার ১০০টি। এ ছাড়া সেনাবাহিনীতে সেলফ প্রোপেলড আর্টিলারি গান (এসপিজি) ২৭টি, মাল্টিপল লঞ্চ রকেট প্রোজেক্টর (এমএলআরএস) যান আছে ৭১টি। এ ছাড়া বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে সক্রিয় সদস্য ২৫ হাজার ১০০ জন এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে ১৭ হাজার ৪০০ জন সক্রিয় সদস্য রয়েছেন বলে জানিয়েছে জিএফপি। এদিকে গত বছরের মতো এই সূচকে শীর্ষ স্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া দ্বিতীয় স্থানে রাশিয়া, তৃতীয় চীন, চতুর্থ ভারত, পঞ্চম দক্ষিণ কোরিয়া, ষষ্ঠ যুক্তরাজ্য, জাপান সপ্তম, তুরস্ক অষ্টম, পাকিস্তান নবম এবং ইতালি আছে দশম স্থানে। অন্যদিকে জিএফপির সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সামরিক শক্তির বিচারে বাংলাদেশ রয়েছে চতুর্থ অবস্থানে।

জাতীয়

একটি মহল চক্রান্ত করে বাজার অস্থিতিশীল ও মূল্য স্ফীতি ঘটায় – প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- একটি মহল চক্রান্ত করে বাজার অস্থিতিশীল ও মূল্য স্ফীতি ঘটায় – প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একটি মহল চক্রান্ত করে মূল্যস্ফীতি ঘটায় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এটি কমাতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু এভিনিউ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের যৌথ সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশকে ভিক্ষুকের দেশে পরিণত করেছিল বিএনপি-জামায়াত। আওয়ামী লীগ সে দুর্নাম দূর করেছে। বিএনপি আমলে কোনো উন্নয়ন হয়নি। দেশকে এগিয়ে নিতে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসা প্রয়োজন ছিল। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দোষারোপ বন্ধ করতে দলের ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্দেশ দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজেদের দ্বন্দ্বের কারণে বিএনপি যাতে সুযোগ নিতে না পারে সেজন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সজাগ থাকতে হবে। নির্বাচন যেন না হয়, অনেক চক্রান্ত ছিল। চক্রান্ত মোকাবিলা করে নির্বাচন করতে হয়েছে। বিএনপির দুই কাজ, দুর্নীতি ও মানুষ খুন করা। তাদের দলীয় প্রধানও দুর্নীতির দায়ে কারাদণ্ড পেয়েছেন। তবে আমাদের দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করতে হবে। কারণ জনগণের ভোটে আমরা সরকার গঠন করেছি। জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস আমরা পেয়েছি। এই বিশ্বাসের মর্যাদা দিয়ে সবাইকে কাজ করতে হবে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দ্রব্যমূল্য নিয়ে কাজ করছি। মূল্যস্ফীতি কমিয়ে এনেছি। এরপরেও কিছু মানুষ চক্রান্ত করে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়াচ্ছে। এসব নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমরা ফ্যামিলি কার্ড করে দিচ্ছি। এর সুফল পাচ্ছেন সীমিত আয়ের মানুষ। এ ছাড়া চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়েছে। উন্নয়নের যে কাজ চলছে, তা শেষ করে এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিভিন্ন সময় আঘাত এসেছে। সব কিছু অতিক্রম করে এ পর্যায়ে আসতে পেরেছি। স্বাধীনতার মূল চেতনা কখনও ধ্বংস হতে পারে না। কোনো আত্মত্যাগ বৃথা যায় না। আ.লীগ সরকারে আসার পর বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি পরিবর্তন হয়েছে। এখন বাংলাদেশকে বলা হয় উন্নয়নের রোল মডেল। প্রসঙ্গত, ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২২৩টি আসন পেয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পায় ৬২টি আসন। জাতীয় পার্টি ১১ ও কল্যাণ পার্টি জিতেছে ১টি আসনে। এ ছাড়া নৌকা প্রতীক নিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাসদ একটি করে আসনে জয় পায়। এরপর ৯ জানুয়ারি নির্বাচনের ফলের গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। গেজেট প্রকাশের পরদিন ১০ জানুয়ারি শপথ নেন নবনির্বাচিত এমপিরা। আর এমপিদের শপথ গ্রহণের একদিন পর ১১ জানুয়ারি শপথ নেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। ওইদিন বিকেলেই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের অনুমোদন দিয়ে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

জাতীয়

শিল্পকলা পদক পাচ্ছেন ২০ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠান।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- শিল্পকলা পদক পাচ্ছেন ২০ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠান। ২০২১-২২ অর্থবছরে ‘শিল্পকলা পদক’ পদক পাচ্ছেন ২০ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠান। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দিয়েছে। চলতি বছরে এ পদক প্রদান করা হবে। ২০২১ সালে শিল্পকলা পদক পাচ্ছেন যন্ত্রসংগীতে মো. নূরুজ্জামান, নৃত্যকলায় শারমীন হোসেন, কণ্ঠসংগীতে সাদি মহম্মদ, চারুকলায় শিল্পী বীরেন সোম, নাট্যকলায় অধ্যাপক আবদুস সেলিম, লোকসংস্কৃতিতে মো. নহীর উদ্দিন, চলচ্চিত্রে ড. মতিন রহমান, আবৃত্তিতে কাজী মদিনা, যাত্রাশিল্পী এম এ মজিদ ও সৃজনশীল সাংস্কৃতিক সংগঠন/সংগঠক- জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ। ২০২২ সালে শিল্পকলা পদক পাচ্ছেন যন্ত্রসংগীতে ফোয়াদ নাসের, নৃত্যকলায় সাজু আহম্মেদ, কণ্ঠসংগীতে এলেন মল্লিক, চারুকলায় অধ্যাপক অলক রায়, নাট্যকলায় খায়রুল আলম সবুজ, লোকসংস্কৃতিতে সুনীল কর্মকার, ফটোগ্রাফিতে রফিকুল ইসলাম, আবৃত্তিতে মীর বরকত রহমান, যাত্রাশিল্পী- অরুণা বিশ্বাস ও সৃজনশীল সাংস্কৃতিক গবেষক- ড. সফিউদ্দিন আহমদ। ‘শিল্পকলা পদক’-এর জন্য মনোনীত ব্যক্তি/ প্রতিষ্ঠানকে একটি করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নাম এবং মনোগ্রাম সংবলিত স্বর্ণ পদক, সনদপত্র এবং এক লাখ টাকার চেক প্রদান করা হবে। রবীন্দ্র ভিসি ও সংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার শুভেচ্ছা বিনিময় পদক প্রসঙ্গে একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শিল্পের মহান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করার স্বপ্নযাত্রায় শিল্প-সংস্কৃতির চর্চা, প্রসার ও বিকাশকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। অনুপ্রাণিত করে চলেছেন দেশের শিল্পী, সাহিত্যিক এবং সংস্কৃতিসেবীদের। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি বাংলাদেশকে বিশ্বের একটি অন্যতম আলোকিত ও সৃজনশীল দেশে পরিণত করতে অনন্য ভূমিকা পালন করবে। পদকপ্রাপ্ত গুণী শিল্পীদের শ্রদ্ধা জানাই। সবার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।’

Scroll to Top