জানুয়ারি ১৫, ২০২৪

জাতীয়

ময়মনসিংহ-৩ : জয়ী হলেন নিলুফার আনজুম

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ময়মনসিংহ-৩ : জয়ী হলেন নিলুফার আনজুম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্থগিত হওয়া ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনের পুনঃনির্বাচনে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট নিলুফার আনজুম পপি। তিনি নৌকা প্রতীকে ৫৪ হাজার ৪৯১ ভোট পেয়ে জয়ী হোন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক প্রতীক) সোমনাথ সাহা পেয়েছেন ৫২ হাজার ৫৬৬ ভোট। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে সকাল ৮টা থেকে এ ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে টানা চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এরপর বিকেল ৫টার দিকে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ময়মনসিংহ-৩ আসনে মোট কাস্ট ভোট সংখ্যা ৫৫ দশমিক ২৮ শতাংশ। এর আগে ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন (৭ জানুয়ারি) ভোটগ্রহণ চলাকালে ভালুকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বাতিল করা হয়। পরে নির্বাচন কমিশন ১৩ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করে দেন।

জাতীয়

রমজানে পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ– প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- রমজানে পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ– প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষ যাতে স্বস্তিতে থাকতে পারে সেজন্য নবনিযুক্ত মন্ত্রীদের আসন্ন পবিত্র রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, পবিত্র রমজান ঘনিয়ে আসছে, তাই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন। এই মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানো উচিত নয়। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে নবনিযুক্ত মন্ত্রীদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন। টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীর নিজ বাসভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, এটি একটি অনানুষ্ঠানিক মন্ত্রিসভার বৈঠক ছিল। সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী রমজানের সময় বিশেষ করে বড় মজুতদাররা যাতে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির জন্য জরুরি পণ্য মজুত করতে না পারে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য মন্ত্রীদের নির্দেশ দেন। মন্ত্রীদের এই বিষয়ে নিয়মিত মজুত বিরোধী অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখুন যাতে সাধারণ মানুষ স্বস্তিতে থাকতে পারে।’ প্রধানমন্ত্রীর সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রথমবারের মতো নবনিযুক্ত মন্ত্রীদের প্রথমে তাদের মন্ত্রণালয়ের সার্বিক বিষয়ে তথ্য জানার জন্য নির্দেশ দেন। সালাউদ্দিন বলেন, শেখ হাসিনা দেশ ও জনগণের জন্য কল্যাণকর যেকোনো প্রকল্প গ্রহণের সময় মন্ত্রীদের সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেন। এর আগে সকালে ঢাকা থেকে সড়ক পথে রওনা দিয়ে বেলা ১১টার দিকে দুদিনের সফরে টুঙ্গিপাড়া পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। তার সঙ্গে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা ছিলেন। টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছানোর পর বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান তিনি। এরপর সেখানে দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন। পরে মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান সরকারপ্রধান। পঞ্চমবার সরকার গঠনের পর এটা তার প্রথম সফর। সবশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দুই দিনের সফরে নিজের নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জাতীয়

মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা কি কি সুবিধা পান।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা কি কি সুবিধা পান। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার তার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নিয়েছেন। এর আগে গতকাল (বুধবার) শপথ নেন জাতীয় সংসদের সদস্যরা। মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা (এমপি) কী কী সুবিধা পেয়ে থাকেন, তা জানার আগ্রহ অনেকের। জেনে নেওয়া যাক তারা কী কী সুবিধা পান। মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও এমপিদের বেতন ‘দ্য মিনিস্টার্স, মিনিস্টার্স অব স্টেট অ্যান্ড ডেপুটি মিনিস্টার্স (রেমুনারেশন অ্যান্ড প্রিভিলেজ) অ্যাক্ট’- অনুযায়ী, একজন মন্ত্রীর মাসিক বেতন ১ লাখ ৫ হাজার টাকা। প্রতিমন্ত্রী পান ৯২ হাজার টাকা, উপমন্ত্রী পান ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা এবং একজন সংসদ সদস্য পান ৫৫ হাজার টাকা। অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দায়িত্ব পাওয়ার পর একজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী সরকারি বাসা পান। মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের বাসভবনে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ও টেলিফোন ব্যয় যা আসবে- তার পুরোটাই সরকার বহন করে। তবে অনেকেই সরকারি বাসায় থাকতে চান না। নিজের বাড়ি অথবা ভাড়া বাসায় থাকতে চান। সেক্ষেত্রে সরকার থেকে একজন মন্ত্রী মাসিক ৮০ হাজার টাকা করে ভাড়া পাবেন। আর প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী পাবেন মাসিক ৭০ হাজার টাকা। সরকারি বাড়ি সাজসজ্জা করতে একজন মন্ত্রী প্রতিবছর পাঁচ লাখ টাকা এবং প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা পাবেন ৪ লাখ টাকা। এ ছাড়া নিজ বাড়ি বা ভাড়া বাড়িতে বসবাস করলে সেটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বছরে তিন মাসের বাড়ি ভাড়ার সমপরিমাণ টাকা পাবেন তারা। অন্যদিকে এমপিরাও সরকারের কাছ থেকে প্লট পেয়ে থাকেন। বাসায় টেলিফোন ভাতা বাবদ প্রতি মাসে ৭ হাজার ৮০০ টাকা দেওয়া হয় একজন এমপিকে। প্রতি মাসে লন্ড্রি ভাতা দেড় হাজার টাকা, মাসিক ক্রোকারিজ, টয়লেট্রিজ কেনার জন্য ভাতা ৬ হাজার টাকা দেওয়া হয় একজন সংসদ সদস্যকে। এ ছাড়া নির্বাচনি এলাকায় অফিস খরচের জন্য প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা পান। দায়িত্ব পাওয়ার পর মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা সরকারি খরচে একটি করে গাড়ি সুবিধা পান। আর সংসদ সদস্য হওয়ার পর শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি সুবিধা পেয়ে থাকেন তারা। পরিবহণ ভাতা বাবদ একজন সংসদ সদস্য মাসে ৭০ হাজার টাকা পান। এ ছাড়া তার নির্বাচনি এলাকার যাওয়া–আসার ভাতা হিসেবে প্রতি মাসে পান ১২ হাজার ৫০০ টাকা। জ্বালানি বাবদ মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী দৈনিক ১৮ লিটার জ্বালানি তেলের সমপরিমাণ টাকা পান। আপ্যায়ন ভাতা বাবদ একজন মন্ত্রী মাসে ১০ হাজার টাকা পান। প্রতিমন্ত্রী সাড়ে ৭ হাজার টাকা এবং উপমন্ত্রী ৫ হাজার টাকা পান। আর একজন সংসদ সদস্য প্রতি মাসে আপ্যায়ন ভাতা পান পাঁচ হাজার টাকা। মন্ত্রিসভার সদস্যরা অসুস্থ হলে তার পুরো চিকিৎসা খরচ বহন করে সরকার। আর একজন প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তা যে চিকিৎসা খরচ পেয়ে থাকেন, একজন সংসদ সদস্য এবং তার পরিবার সমান খরচ পান। নিজ এলাকার মসজিদ-মন্দির উন্নয়নসহ এলাকার মানুষের দাতব্য কাজে একজন মন্ত্রী বছরে পান ১০ লাখ টাকা। আর প্রতিমন্ত্রী পান সাড়ে ৭ লাখ ও উপমন্ত্রী পান ৫ লাখ টাকা। এ ছাড়া একজন সংসদ সদস্য বছরে পান ৫ লাখ টাকা। এগুলো ছাড়াও আরও নানা সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন তারা।

Scroll to Top