জানুয়ারি ১৫, ২০২৪

জাতীয়

সভ্যতার দুইটি হাত, একটি পুরুষ অন্যটি নারী।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সভ্যতার দুইটি হাত, একটি পুরুষ অন্যটি নারী। মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নবনিযুক্ত প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি বলেছেন, সভ্যতার দুইটি হাত, একটি পুরুষ অন্যটি নারী। কাউকে পেছনে ফেলে কোনটাই অগ্রসর হতে পারে না। রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে প্রথম কার্যদিবসে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে এ কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যে কাজগুলো আছে সেগুলো এগিয়ে নিয়ে যাব। আমি নারী ও শিশু নিয়ে অনেক আগে থেকেই কাজ করি। সেজন্য আমার খুবই ভালো লাগার জায়গা এটি। তিনি বলেন, কর্মপরিকল্পনা তো একটা থাকবে। কিন্তু সেটি একশ দিন বা সে রকম কিছু না। কারণ এটি চলমান একটি কাজ। সেভাবেই আমরা কাজগুলো এগিয়ে নিয়ে যাব।

জাতীয়

শিশু আয়ানের মৃত্যু, ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- শিশু আয়ানের মৃত্যু, ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ। ঢাকার সাঁতারকুল এলাকায় অবস্থিত ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। খৎনা করাতে গিয়ে শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানায় অধিদপ্তর। রবিবার (১৪ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসানের সই করা অফিস আদেশে এ নির্দেশ দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৫ বছরের শিশু আয়ানের মৃত্যুতে তার বাবার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পরিচালকের (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) নেতৃত্বে ১০ জানুয়ারি ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করা হয়। ‘পরিদর্শনকালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইসেন্স প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হয়। এরপর অত্র দপ্তরের অনলাইন ডাটাবেজ পর্যালোচনা এবং পরিদর্শনকালে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে দেখা যায় যে, ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ইউনাইটেড সিটি, সাতারকুল, বাড্ডা, ঢাকা নামে কোনো প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিকট নিবন্ধন বা লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করে নাই। প্রতিষ্ঠানটি কোনো প্রকার আইনি নিবন্ধন বা লাইসেন্স ছাড়াই চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে, যা সরকারের প্রচলিত আইনের পরিপন্থি।’ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এ অবস্থায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিবন্ধন বা লাইসেন্স ছাড়া কার্যক্রম পরিচালনা করায় ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সব কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধের আদেশ দেওয়া হলো।

জাতীয়

২০২৩ সালে সড়কে মৃত্যু বরন করেছেন ৭৯০২জন।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ২০২৩ সালে সড়কে মৃত্যু বরন করেছেন ৭৯০২জন। গত বছর (২০২৩ সালে) সারাদেশে ৬ হাজার ২৬১টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রাণ হারিয়েছেন ৭ হাজার ৯০২ জন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ১০ হাজার ৩৭২ জন। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি হলে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ২০২৩ সালের সড়ক দুর্ঘটনার পর্যবেক্ষণ রিপোর্ট তুলে ধরেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ-পথে দুর্ঘটনার সংবাদ পর্যবেক্ষণ করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। তিনি জানান, ২০২৩ সালে রেলপথে ৫২০টি দুর্ঘটনায় ৫১২ জন নিহত ও ৪৭৫ জন আহত হয়েছে। নৌ-পথে ১৪৮টি দুর্ঘটনায় ৯১ জন নিহত, ১৫২ জন আহত ও ১০৯ জন নিখোঁজ রয়েছে। একই সময়ে ২ হাজার ৩১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ হাজার ১৫২ জন নিহত ও ১ হাজার ৩৩৯ জন আহত হয়েছে, যা মোট দুর্ঘটনার ৩২ দশমিক ৪৩ শতাংশ, নিহতদের ২৭ দশমিক ২৩ শতাংশ ও আহতদের ১২ দশমিক ৯০ শতাংশ। সড়ক, রেল ও নৌ-পথে মোট ৬ হাজার ৯২৯টি দুর্ঘটনায় ৮ হাজার ৫০৫ জন নিহত এবং ১০ হাজার ৯৯৯ জন আহত হয়েছে। তিনি আরও জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় আক্রান্তের মধ্যে ১ হাজার ৯৫০ জন চালক, ৯৬৮ জন পথচারী, ৪৮৫ জন পরিবহন শ্রমিক, ৬৯৭ জন শিক্ষার্থী, ৯৭ জন শিক্ষক, ১৫৪ জন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ৯৮৫ জন নারী, ৬১২ জন শিশু, ৩০ জন সাংবাদিক, ৩২ জন চিকিৎসক, ১৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা, ৮ জন আইনজীবী, ১০ জন প্রকৌশলী ও ১১১ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ছিল। সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে তিনি বলেন, গত ৯ বছরে নিবন্ধিত যানবাহনের পাশাপাশি ছোট যানবাহন বিশেষ করে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের সংখ্যা ৪-৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইজিবাইক, মোটরসাইকেল ও থ্রি-হুইলারগুলো সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে অবাধে চলাচলের কারণে সড়কে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি বাড়ছে। এ সময় সড়ক দুর্ঘটনার ২৩টি কারণ তুলে ধরেন তিনি। পাশাপাশি সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ১৪ দফা সুপারিশও তুলে ধরেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাবেক সভাপতি আবু জাফর সূর্য,  বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি তাহিদুল হক লিটন, যুগ্ম মহাসচিব এম মনিরুল হক, প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, সদস্য মো. মহসিন প্রমুখ।

জাতীয়

জ্বালাও-পোড়াও যারা করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে –প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- জ্বালাও-পোড়াও যারা করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে –প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জ্বালাও পােড়াও যারা করেছে ও হুকুম দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। রবিবার গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, তারা (বিএনপি) জানে জ্বালাও-পোড়াও। তারা বাসে আগুন, গাড়িতে আগুন, লঞ্চে আগুন, রেলে আগুন দিয়েছে। এসব ২০১৩ সালে করেছে- চৌদ্দ সালে করেছে, পনেরো সালে করেছে আবার এই নির্বাচন ঠেকাতেও করেছে। তিনি বলেন, মা-ছেলেকে বুকে জড়িয়ে ট্রেনে যেভাবে পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে। এই দৃশ্য কোনো মানুষ সহ্য করতে পারে না। যে কারণে তারা যতই চিৎকার করুক, চেঁচামেচি করুক, তাদের কথায় কিন্তু জনগণ সাড়া দেয়নি এবং যারা এই ধরনের জঘন্য কাজ করেছে তাদের কোনো ছাড় নাই। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং নেবো। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছে। বিএনপি নির্বাচন বানচাল করতে চাইলেও দেশের মানুষ তা হতে দেয়নি। ৭ জানুয়ারি জনগণ সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পেরেছে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের জয় হয়েছে, গণতন্ত্রের জয় হয়েছে।

জাতীয়

নতুন সরকারের সামনে তিন চ্যালেঞ্জ –ওবায়দুল কাদের ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- নতুন সরকারের সামনে তিন চ্যালেঞ্জ –ওবায়দুল কাদের । নতুন সরকারের সামনে তিনটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, চ্যালেঞ্জ আসলে, রাজনৈতিক, কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক-সামনে এই তিনটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এই তিনটি খাতে বিশ্ব সংকটের যে বাস্তবতা, তার প্রতিক্রিয়া থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করা অত সহজ কাজ নয়। শুক্রবার ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিপরিষদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, তবে আমাদের একটা বিশ্বাস আছে, আজ যে এই সংকট অতিক্রম করে একটা শান্তিপূর্ণ সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পেরেছি, এটা জননেত্রী শেখ হাসিনার ম্যাজিক লিডারশিপের জন্য সম্ভব হয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী নারী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তিনি যে দক্ষতা দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন এবং সংকটে রূপকের ভূমিকা পালন করেছেন, সে কারণেই মূলত আমরা সাহস রাখি, আশা রাখি। তিনি আমাদের আশার বাতিঘর, আমাদের স্বপ্নের সাহসী ঠিকানা। ওবায়দুল কাদের বলেন, আমার বিশ্বাস শেখ হাসিনার মতো নেতৃত্ব যে দেশে আছে, সে দেশ এগিয়ে যাবে। স্মার্ট বাংলাদেশ আমাদের লক্ষ্য। তিনি বলেন, আমাদের দেশের চলার পথ কখনো পুষ্প বিছানো ছিল না, আমাদের চলার পথ জন্ম থেকে এ পর্যন্ত কণ্টকাকীর্ণই ছিল। এই পথ আমরা অতিক্রম করে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জন করেছি, এখন বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে মুক্তির কঠিন লড়াই অতিক্রম করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলব। নতুন সরকারের প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা মন্ত্রিপরিষদ বৈঠক করব, যার যার দপ্তরে কাজ করব। বিশেষ করে আমাদের যে নির্বাচনি ইশতেহার, সেই ইশতেহার বাস্তবায়নই আমাদের মূল টার্গেট।

জাতীয়

নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরর্ডান বিয়ে করলেন।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরর্ডান বিয়ে করলেন। বাগদানের পাঁচ বছর পর অবশেষে বিয়ে করলেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন। তার এক দশকের সঙ্গী ক্লার্ক গেফোর্ডকেই বিয়ে করলেন তিনি। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) এক ঘরোয়া অনুষ্ঠানে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। খবর বিবিসির। জেসিন্ডার এক মুখপাত্র জানান, শনিবার নিউজিল্যান্ডের নর্থ আইল্যান্ডের একটি উপকূলীয় এলাকায় জেসিন্ডা ও গেফোর্ডের বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। স্থানটি দেশটির রাজধানী ওয়েলিংটন থেকে প্রায় ৩১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। তাদের বিয়েতে ৫০ থেকে ৭৫ জন অতিথি ছিলেন। অনেক আগেই তাদের বিয়ে করার কথা ছিল। কিন্তু ২০২২ সালে করোনা মহামারির কারণে তাদের বিয়ে আটকে যায়। যদিও ২০১৯ সালের মে মাসে বাগদান সম্পন্ন করেন তারা। ২০১৭ থেকে গত বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জেসিন্ডা। এ সময় তিনি বাম ধারার রাজনীতি ও নারী নেতৃত্বের জন্য বিশ্ব আইকনে পরিণত হন। সে সময় জাতীয় নেতা হিসেবে সন্তান নেওয়া বিশ্বের মাত্র দুই নারীর একজন ছিলেন তিনি। এমনকি নিজের শিশুকন্যাকে জাতিসংঘের বৈঠকে পর্যন্ত নিয়ে যান। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যাওয়ার পর গত ছয় মাসে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩টি ফেলোশিপ করছেন জেসিন্ডা। বর্তমানে তিনি প্রিন্স উইলিয়ামের আর্থশট প্রাইজের একজন ট্রাস্টি এবং ক্রাইস্টচার্চ কলের বিশেষ দূত।

জাতীয়

জনগণের আন্দোলন কখনো বৃথা যাবে না: রিজভী ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :-  জনগণের আন্দোলন কখনো বৃথা যাবে না: রিজভী । বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অপশক্তি আন্দোলনকে কিছুদিন বাধা দিয়ে রাখতে পারে। কিন্তু তার স্রোতকে আটকে রাখা যায় না। জনগণের আন্দোলন যদি আর্দশ, ন্যায় ও গণতন্ত্রের পক্ষের হয়, সেই আন্দোলন কখনো বৃথা যাবে না। এটাই হচ্ছে ইতিহাসের রেকর্ড। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, ‘আন্দোলনের স্রোতের ধারা যতই আসবে—ততই আন্দোলন পরিপূর্ণ হবে। তারা (সরকার) পরাজিত হবে। আর কখন এ পরিস্থিতি আসবে, সেটা বলা যায় না।’ নতুন কর্মসূচি প্রসঙ্গে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আমাদের নেতারা প্রতিদিন বসছেন। কর্মসূচি ঠিক করে তারা জানাবেন। আর আমরা কর্মসূচি ও আন্দোলনের মধ্যেই আছি।’ গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটে জিতে টানা চতুর্থবারের মত সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। বিএনপি ও সমমনারা এ নির্বাচনে অংশ না নিয়ে সরকার পতন ও নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে অনড় থেকে আন্দোলন চালিয়ে গেছে। এবার আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে পরিকল্পনা চলছে।

জাতীয়

ছয় আন্তর্জাতিক সংস্থার বিবৃতি প্রত্যাখ্যান বাংলাদেশের।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ছয় আন্তর্জাতিক সংস্থার বিবৃতি প্রত্যাখ্যান বাংলাদেশের। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে ছয়টি আন্তর্জাতিক সুশীল সমাজ সংস্থার ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও অযৌক্তিক’ বিবৃতি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ সরকার। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘উক্ত ছয় সংস্থার বিবৃতিতে উত্থাপিত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও বিভিন্ন দেশ ভূয়সী প্রশংসা করেছে এবং নতুন সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে নতুন করে নির্বাচনের আহ্বান অযৌক্তিক এবং অগ্রহণযোগ্য।’ বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অত্যন্ত অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ, উৎসবমুখর পরিবেশে এবং জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে, দাবি করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘২৮টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মোট ১ হগাজার ৫৩৪ জন প্রার্থী এবং ৪৩৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। এ নির্বাচনে কোনো কোনো জায়গায়, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় ভোটদানের হার ৭০ শতাংশ বা তার চেয়েও বেশি ছিল। তবে, শহর এলাকায় তুলনামূলকভাবে কম ভোটার উপস্থিতির কারণে সারা দেশে গড় ভোটের হার ছিল ৪১.৮ অর্থাৎ প্রায় ৪২ শতাংশ।’ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, ‘স্বাধীন নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত সুষ্ঠু ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করেছে। নির্বাচনের আগে বিএনপির সহিংসতা এবং নির্বাচন বানচাল করার হুমকি সত্ত্বেও হাতেগোনা কয়েকটি ভোট কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ভোটের দিনটি ছিল শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর। আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক এবং সাংবাদিক, যারা সক্রিয়ভাবে মাঠ থেকে নির্বাচনের প্রতিবেদন করেছে, তারা তাদের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ার এর সত্যতা প্রকাশ করেছেন।’ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচনকে সামনে রেখে সংযম এবং আইনি সীমানা মেনে সহিংসতার ঘটনাগুলো মোকাবিলা করেছেন। রাজনৈতিক কারণে কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। নির্বাচন বানচালের জন্য যারা মানুষ ও যানবাহনে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছে, আগুন দিয়েছে, মানুষকে হত্যা ও আহত করেছে এবং জনজীবন ব্যাহত করেছে, তাদের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে এবং সকল নাগরিকের অধিকার রক্ষার জন্য এই পদক্ষেপগুলো প্রয়োজনীয় ছিল।’ ছয় সংস্থার যৌথ বিবৃতি বিভ্রান্তিকর, একতরফা এবং অগ্রহণযোগ্য, উল্লেখ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গণতন্ত্রবিরোধী ও নির্বাচনবিরোধী শক্তি যারা নির্বাচনকে বানচাল করার অপচেষ্টা করেছিল, তাদেরকে উৎসাহিত করার জন্য এই বিবৃতি উদ্দেশ্যমূলকভাবে জারি করা হয়েছে বলে প্রতীয়মান।’

জাতীয়

টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার শ্রদ্ধা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার শ্রদ্ধা। টানা চার বার সরকার প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার দুপুরে দুই দিনের সফরে নব-নির্বাচিত মন্ত্রীপরিষদ সদস্যদের সাথে নিয়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় এসেছেন। এদিন সকাল ৯টায় প্রধানমন্ত্রী গনভবন থেকে সড়কপথে রওনা হয়ে দুপুর ১২টায় টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান। টুঙ্গিপাড়া পৌঁছেই তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পন করে জাতির জনকের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। পরে নবনির্বাচিত মন্ত্রী পরিষদের সদস্যদের সাথে নিয়ে তিনি জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী ছোট বোন শেখ রেহানাকে সাথে নিয়ে আলাদাভাবে জাতির জনকের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে দোয়া ও মোনাজাত করেন। পরে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট জাতির পিতার পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী এবং নব-নির্বাচিত মন্ত্রী পরিষদের সদস্য ও সংসদ সদস্যগণ। এসময় মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, ওবায়দুল কাদের, ন‚রুল মজিদ মাহমুদ হুমায়‚ন, আসাদুজ্জামান খান কামাল, ডা. দীপু মনি, তাজুল ইসলাম, ফারুক খান, আবুল হাসান মাহমুদ আলী, আনিসুল হক, হাছান মাহমুদ, আবদুস শহীদ, সাধন চন্দ্র মজুমদার, র আ ম উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী, আব্দুর রহমান, নারায়ন চন্দ্র চন্দ, আব্দুস সালাম, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ফরহাদ হোসেন, ফরিদুল হক খান, জিল্লুল হাকিম, সাবের হোসেন চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, নাজমুল হাসান পাপন, ইয়াফেস ওসমান, সামন্ত লাল সেন, টেকনোক্রেট মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, ডা. সামন্ত লাল সেন, প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি, নসরুল হামিদ, জুনাইদ আহমেদ পলক, মোহাম্মদ এ আরাফাত, মহিবুর রহমান, জাহিদ ফারুক, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, রুমানা আলী, শফিকুর রহমান চৌধুরী, আহসানুল টিটু, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি, শেখ সারহান নাসের তন্ময় এমপিসহ বেশ কয়েকজন এমপি, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জিচএম সাহাবুদ্দিন আজম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেণ। এদিন সকাল থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজ নির্বাচনী এলাকার টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলার নেতা-কর্মিরা জাতির পিতার সমাধি সৌধ কমপ্লেক্স এলাকায় এসে হাজির হতে থাকেন তাদের প্রিয় নেত্রীকে স্বাগত জানোর জন্য। টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করে নিজ নির্বাচনী এলাকায় নেতা-কর্মিদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে আসাকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার নেতা-কর্মিদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। তারা এখন খুশির জোয়ারে ভাসছে। প্রধানমন্ত্রীর আগমন কেন্দ্র করে জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের পক্ষে ঢেলে জানানো হয়েছে। জেলা জুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।রাস্তায় রাস্তায় ব্যানার,ফেস্টুন, গেট তৈরী করে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানানো হয়েছে। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া সহ জেলার সর্বত্র ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী দিনের প্রথম ভাগের কর্মস‚চী শেষ করে দুপুরের বিশ্রাম শেষ করে বিকেল ৩টায় টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে স্থানীয় নেতাকর্মিদের সাথে মত বিনিময় করবেন। এদিন তিনি টুঙ্গিপাড়ায় রাত্রী যাপন করবেন এবং আগামীকাল রোববার বেলা আড়াইটায় কোটালীপাড়ায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে স্থানীয় নেতাকর্মিদের সাখে মতবিনিময় করবেন এবং ওই দিন বিকেলে তিনি সড়ক পথে ঢাকার উদ্দেশে কোটালীপাড়া ত্যাগ করবেন।

জাতীয়

টানা তৃতীয় মেয়াদে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত উইলিয়াম লাই টানা তৃতীয় মেয়াদে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন চীনবিরোধী প্রার্থী উইলিয়াম লাই।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- টানা তৃতীয় মেয়াদে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত উইলিয়াম লাই টানা তৃতীয় মেয়াদে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন চীনবিরোধী প্রার্থী উইলিয়াম লাই। অঞ্চলটির ক্ষমতাসীন দল ডেমোক্র্যাটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) প্রার্থী হিসেবে তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তাইওয়ানের এ নির্বাচনের চীনের সাথে সংযুক্ত হওয়া না হওয়ার বিষয়টি আলোচনায় ছিল। তবে চীনবিরোধী প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ায় এ চীনের দাবির বিরুদ্ধে জনগণের রায় প্রকাশ পেল। নির্বাচনকে ঘিরে দ্বীপটিতে নানা চাপ শুরু করে চীন। এমনকি যুদ্ধবিমান পাঠানো, রণতরীর মহড়াসহ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে দেশটি। তবে নির্বাচেনের মাধ্যমে দেশটি দেখিয়ে দিয়েছে- তাইওয়ানে চীনের প্রভাব কাজ করে না। নির্বাচিত হয়ে লি বলেন, আমরা বিশ্বকে দেখিয়েছি কতটা গণতন্ত্র লালন করি। আমাদের গণতন্ত্রে একটি নতুন অধ্যায় লেখার জন্য আমি তাইওয়ানের জনগণকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। তাইওয়ানের গণতান্ত্রিক সম্প্রদায় এ বিজয় অর্জন করেছে। তাইওয়ানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু তাইওয়ানে লাই এর আগে ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তাকে চীন বিচ্ছিন্নবাদী হিসেবে উল্লেখ করে থাকে। তিনি নিজেও তাইওয়ানকে চীনের অংশ হিসেবে দাবি করাকে অস্বীকার করেন। লাইয়ের বিরুদ্ধে নির্বাচনে আরও দুজন প্রার্থী ছিলেন। তারা হলেন বিরোধী দল কেএমটির প্রার্থী হউ ইয়ো ইহ এবং তাইপের সাবেক মেয়র কো ওয়েন যে। তিনি ২০১৯ সালে গঠিত তাইওয়ান পিপল পার্টি থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে পরাজয় মেনে নিয়েছেন বিরোধীদলীয় প্রার্থী। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটের দিকে গভীরভাবে তাকিয়ে ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। কারণ এই স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপটি ওয়াশিংটন ও বেইজিং দুপক্ষের জন্যই কৌশলগতভাবে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচনের ফল চীনের সঙ্গে দ্বীপ রাষ্ট্রটির সম্পর্কে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। একই সঙ্গে এই পুরো অঞ্চলে উত্তেজনা ছড়াতে পারে এবং সারা বিশ্বের অর্থনীতিকেও প্রভাবিত করতে পারে।

Scroll to Top