জানুয়ারি ১০, ২০২৪

জাতীয়

নৌকা প্রার্থিতা বাতিল-এমপি মোস্তাফিজের পতন

বিলেতের আয়না :- মোহাম্মদ মাসুদ চট্টগ্রামে ভোট’র শেষ মুহূর্তে দেশে প্রথম —————————————————— নৌকা প্রার্থিতা বাতিল-এমপি মোস্তাফিজের পতন চট্টগ্রাম:চট্টগ্রাম ১৬ আসনের এমপি মোস্তাফিজ নৌকা প্রার্থিতা বাতিল। বাঁশখালী এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর অপক্ষমতার শিকার সাংবাদিক রাকিব উদ্দিন,ওসি তোফায়েল আহমেদ,নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ নেতা সিআইপি মুজিবুর রহমান’সহ তার নেতাকর্মী ও অসংখ্য ভুক্তভোগীদের অবর্ণনীয় চিত্র। যা ব্যাপক সমালোচিত হয় সোশ্যাল মিডিয়াসহ গণমাধ্যমে।ক্ষমতার অপব্যবহার,বে-আইনি আচরণ,নির্বাচনী বিধিলঙ্ঘ মিশনে প্রশাসনের সু-নজরে প্রার্থিতা বাতিল’সহ পতন হয় এমপি মোস্তাফিজের। এমপি দ্বারা হেনস্তা হুমকি-ধামকি জানমালের ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয় সাংবাদিক,প্রশাসন,প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিপক্ষের নেতাকর্মী এলাকার বাসিন্দা ও জনসাধারণ। কেউই রক্ষা পায়নি তার উগ্র আচরণ হুমকি ধামকি-মারধর হতে। নানা ধরনের সুকৌশল ফাঁদের কালো থাবা থেকে। হামলা মামলা নানাভাবে অপক্ষমতা,অপব্যবহারে অপূরণীয় সব রকমের ক্ষয়ক্ষতির শিকার ভুক্তভোগী ও অনেকেই। প্রার্থিতা বাতিলে পতন হল এমপির। বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না। এমপির নানা আলোচনা সমালোচনা গুজব গুঞ্জন ছিল দীর্ঘদিন ধরে। ভুক্তভোগীরা এমপি মোস্তাফিজের বিরুদ্ধে অভিযোগ আপত্তি ও নানা হয়রানি ভোগান্তির শিকার ক্ষতিগ্রস্ত অনেকেই। তার অপক্ষমতার হাত থেকে রক্ষা পায়নি এলাকাবাসী,সাংবাদিক,প্রশাসন কেউ-ই। ভোটের শেষ মুহূর্তে দেশে প্রথম নৌকা প্রার্থিতা বাতিলে এমপি মোস্তাফিজের হল পতন। এসবের নেপথ্য ছিল রাজনৈতিক ছত্রছায়া ক্ষমতার অপব্যবহার। এমপির সমর্থক আদেশ হুকুম ক্ষমতার অবাধ্যরা ছিল অবরুদ্ধ। অন্যায় অপরাধ করেও ছিল ধরা-ছোঁয়ার নাগালের বাহিরে। অবশেষে শেষ রক্ষা হলো না। যার কিছু তথ্য প্রমাণ ভিডিও চিত্র ফাঁস হয়। এমনটাই বর্ণনা দেন ভুক্তভোগী প্রতিপক্ষের নেতাকর্মী অসাধারণ অনেকেই। যা প্রকাশ হয় গণমাধ্যম প্রিন্ট পত্রিকা ও সোশ্যাল মিডিয়ায়। দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এলাকাবাসী চট্টগ্রামসহ দেশজুড়ে। ———————————————————————— এমপির প্রার্থিতা বাতিল ও পতনে এলাকাবাসী,প্রতিপক্ষ ও জনতার উল্লাসে রেকর্ড। সারা বাঁশখালী জুড়ে আনন্দের জোয়ার। একদিকে ক্ষমতার দাপট।অন্যদিকে নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান এমপির প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোট যুদ্ধে প্রতিদ্বন্দিতা করা ছিল চ্যালেঞ্জিং। সরেজমিনে দেখা যায়, ১০নং চাম্বল ইউনিয়ন, দক্ষিণ চাম্বল,পূর্ব চাম্বল,পশ্চিম চাম্বল ৯টি কেন্দ্রের ফলাফল। যার ৭টিতে ঈগল বিজয়ী ২টিতে আংশিক ভোটে নৌকা বিজয়ী। প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় মোট ভোটের পরিসংখ্যান ঘোষণা প্রকাশ হয়নি। আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে।আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের প্রার্থিতা বাতিলে আবারো সমাআলোচিত হলেন নতুন করে।যা এলাকাসহ দেশবাসীর কাছে ছড়িয়ে পড়ে। ব্যাপক সমালোচিত হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।এতে প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্রের দলীয় নেতাকর্মী অনুসারী সমর্থকদের ও সাধারণ মানুষের মধ্যেও ফিরে আসে শান্তি ও স্বস্তি। ভোট গ্রহণের একেবারে শেষ পর্যায়ে এসে মোস্তাফিজুর রহমানের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। এ বিষয়ে,জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান সন্ধ্যায় গমমাধ্যমে বলেন,প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে মানে তিনি আর প্রার্থী নন। এখন তাঁর ব্যালটগুলো গণনা করা হবে না। সেগুলো আলাদা করে নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আর এই আসনে বাকি প্রার্থীদের মধ্যে যিনি সর্বোচ্চ ভোট পাবেন, তিনিই বিজয়ী হবেন। মোস্তাফিজুর রহমানের প্রার্থিতা বাতিল ঘোষণার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম বলেন, ওই আসনে আরো ৭জন প্রার্থী থাকায় অবশ্যই সেখানে ভোট চলবে। ইসি সচিব আরও বলেন,ওই প্রার্থী এর আগেও একাধিকবার আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। আজ তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে হুমকি দিয়েছেন। এ কারণে তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুর রহমান ও আবদুল্লাহ কবির প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন। অন্যান্য দল ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে আরও আটজন প্রার্থী এখানে আছেন। আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ১৫ মিনিট আগে ইসির সচিব জাহাংগীর আলম বিফ্রিংয়ে এ তথ্য জানান। তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে হুমকি দিয়েছিলেন বলে জানান ইসি সচিব৷ তবে ওই আসনে ভোট চলবে বলে জানান তিনি। প্রসংঙ্গ: চট্টগ্রাম-১৬ জাতীয় সংসদ ২৯৩নং আসনের সাবেক ও বর্তমান এমপি মুজিবুর রহমান চৌধুরী। ২২ মে ২০২৩ইং জনসমক্ষে পিস্তল হাতে আওয়ামী লীগের মিছিল করার পরে মোস্তাফিজুর এর নামে সমালোচনা তৈরি হয়। প্রদর্শিত আগ্নেয়াস্ত্রটি বৈধ বলা হলেও পরবর্তিতে পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁর কাছে এই ঘটনার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। প্রমান থাকার পরেও জেলা প্রশাসন লাইসেন্সটি বাতিল করেনি। ওসি তোফায়েল আহমেদ ও মোস্তাফিজের সাথে হাত কেটে ফেলার হুমকি। কথোপকথনের ১ মিনিট ৪০ সেকেন্ডের একটি অডিও গণমাধ্যমে এসেছে।ইনডিপেনডেন্ট টিভির সাংবাদিক রাকিব উদ্দিন প্রশ্ন করলে মোস্তাফিজুর তাঁর দিকে তেড়ে যান ও মারধর করেন। ৩০ নভেম্বর-২৩ইং ১০ জন কর্মী নিয়ে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় সাংবাদিক রাকিব উদ্দিন প্রশ্নে মোস্তাফিজুর তাঁর দিকে তেড়ে যান ও মারধর করেন। এ সময় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ও চ্যানেল আইয়ের ব্যুরোপ্রধান চৌধুরী ফরিদসহ আরও কয়েকজন সাংবাদিককে ধাক্কা দেন তিনি ও তাঁর কর্মীরা। সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগে মোস্তাফিজুরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হলেও তিনি আসেননি। পরবর্তীতে মামলার নির্দেশ দেওয়া হয়।

জাতীয়

চট্টগ্রামে নির্বাচনে গুলিবর্ষণকারী শামীম অস্ত্রসহ আটক বহুল আলোচিত চট্টগ্রাম-১০ আসন বন্দরনগরীর খুলশীর পাহাড়তলী

বিলেতের আয়না :- মোহাম্মদ মাসুদ চট্টগ্রামে নির্বাচনে গুলিবর্ষণকারী শামীম অস্ত্রসহ আটক বহুল আলোচিত চট্টগ্রাম-১০ আসন বন্দরনগরীর খুলশীর পাহাড়তলী কলেজ এলাকায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলাকালীন সময়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে প্রকাশ্যে বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করে হতাহতের ঘটনায় র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-৭ এর যৌথ অভিযানে গুলিবর্ষণকারী শামীম আজাদ প্রকাশ ব্লেড শামীম’কে বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র সহ চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। ৮জানুয়ারি রাতে আভিযানে সীতাকুন্ড থানাধীন কুমিরা এলাকায় অভিযানে খুলশী এলাকায় প্রকাশ্যে বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র হাতে গুলি করে হতাহত করার ঘটনায় গুলি বর্ষণকারী শামীম আজাদ প্রকাশ ব্লেড শামীম মুন্না কে ০১টি বিদেশি পিস্তল ও ০২ রাউন্ড গুলিসহ আটক করে। আটককৃতির পিতা-আবুল কালাম আজাদ, সাং-সায়েরখালী, থানা-মিরসরাই, জেলা-চট্টগ্রাম। ৭ জানুয়ারি সকাল সাড়ে দশটায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পাহাড়তলী ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্র এলাকায় কতিপয় দুস্কৃতিকারী সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশ বিঘ্নে ঘটনোর উদ্দেশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির লক্ষ্যে সহিংসতা ও গুলিবর্ষণ করে। উক্ত সহিংসতা ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় ভোটারসহ শান্ত বড়ুয়া এবং জামাল নামক দুজন ব্যক্তি গুলিবৃদ্ধ হয়। আহতরা চমক হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসাধীন আছে। উক্ত ঘটনায় খুলশী থানায় একটি মামলা ও ঘটনাটি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় গুরুত্বের সাথে প্রচারিত হলে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচিত হয়।জড়িতদের দ্রুততম সময়ের আটক আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। জিজ্ঞাসাবাদে আটক শামীম আজাদ চট্টগ্রামের মিরসরাই এর স্থায়ী বাসিন্দা এবং বর্তমানে খুলশী এলাকায় বসবাস ও দীর্ঘদিন যাবৎ খুলশী ও তার পাশ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকায় তার সহযোগীদের নিয়ে চাঁদাবাজী,টেন্ডারবাজি,অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারসহ ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবে বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে জড়িত ছিল। নির্বাচনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে জনসাধারনের স্বতঃফুর্ত ভোটাধিকার প্রয়োগ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশ দেখে গ্রেফতারকৃত শামীম আজাদের নেতৃত্বে কতিপয় দুস্কৃতিকারী দেশী ও বিদেশি অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সহিংসতার ও নাশকতা সৃষ্টির মাধ্যমে নির্বাচনী পরিবেশ বিঘ্ন ঘটানোর উদ্দেশ্যে প্রকাশ্যে গুলিবর্ষণ করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে গ্রেফতারকৃত শামীম আজাদ একটি বিদেশি পিস্তল দিয়ে প্রকাশ্যে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে। উক্ত গুলিবর্ষণের ঘটনায় ভোটার শান্ত বড়ুয়া এবং জামাল নামক দুজন ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করলে সে কৌশলে ঘটনাস্থল হতে পলায়ন করে এবং চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড এলাকায় আত্মগোপন করে পরবর্তীতে র‌্যাব কর্তৃক গ্রেফতার হয়। শামীম চট্টগ্রামের একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্মাতক সম্পন্ন করে। আটক শামীম ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবে পেশীশক্তি প্রদর্শন ও অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ভোটারদের ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন ভোটাধিকারে বাঁধাদান করতে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করছিল। চট্টগ্রামের খুলশী ও পাশ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি,টেন্ডারবাজি,আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন ধরণে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে জড়িত রয়েছে বলে জানা যায়। তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় অস্ত্রসহ বিভিন্ন অপরাধ সংক্রান্তে ০৫টির অধিক মামলা রয়েছে এবং এসকল মামলায় ০৩ বার কারাভোগ করেছে বলে জানা যায়। গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

জাতীয়

ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে এবারের নির্বাচন — প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে এবারের নির্বাচন — প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ৭ জানুয়ারি জনগণের অংশগ্রহণে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। এবারের নির্বাচন দেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করায় মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে গণভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, ৭৫ সালের পর এবারের নির্বাচন সবচেয়ে সুশৃঙ্খল, অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে। মানুষ স্বতস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। দুই-চারটা দল ভোটে না এলে সমস্যা ছিল না। ইতিহাসে ৭ জানুয়ারির নির্বাচন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। বিএনপির নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় কিছু যায়-আসেনি। যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি তাদের নেতা-কর্মীরা এখন হতাশায় ভুগছে। তিনি বলেন, নির্বাচনে কোনো দলের থাকা না থাকায় গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে না। যারা নির্বাচন নিয়ে খেলতে চেয়েছিল তারা ব্যর্থ হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হয়েছে, দু-চারটা দল নির্বাচনে না এলে কিছু হয় না।

জাতীয়

সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিশ্বের সব দেশই প্রসংশা করেছে — পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড: আব্দুল মোমেন।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিশ্বের সব দেশই প্রসংশা করেছে — পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড: আব্দুল মোমেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিশ্বের সব দেশই প্রশংসা করেছে বলে দাবি করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে কূটনৈতিক, সাংবাদিক ও বিশিষ্টজনদের সঙ্গে ‘মিট অ্যান্ড গ্রিট’ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু হয়েছে। কোনো কারিগরি ত্রুটি ছিল কিনা, বিদেশি পর্যবেক্ষকরা তা দেখেছেন। আমি বাংলাদেশের বহু নির্বাচন দেখেছি। এবারের নির্বাচনটি আদর্শ নির্বাচন হয়েছে। সব দেশই বলেছে সুষ্ঠু, সুন্দর ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হয়েছে। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাজ্য ও আমেরিকা প্রশ্ন তুলেছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা ভালো বলেছে, নির্বাচনের প্রশংসা করেছে। তারা বলেছে আমাদের সঙ্গে যে সম্পর্ক আছে, সেটা বলবৎ রাখবে। তবে তারা মানবাধিকারের যে বিষয়টির কথা বলেছে, সেটি ডায়নামিক ইস্যু। এগুলোর কোনো শেষ নেই। আমরা এসব বিষয় নিয়ে কাজ করছি। ব্রিফিংয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ ক্যাথেরিন কুকসহ বিভিন্ন দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামালসহ বিশিষ্টজন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে, আগামী বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে বলে জানা গেছে। ওইদিন সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নেবেন। তাদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। গত ৭ জানুয়ারি (রোববার) সারা দেশে একযোগে ২৯৯ আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে ২৯৮ আসনের ফল বেসরকারিভাবে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের দেওয়া তালিকা অনুয়ায়ী নির্বাচনে অংশ নেওয়া দলগুলোর মধ্যে ২৯৮ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২২২ আসনে জয়লাভ করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছে। নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ১১ এবং ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ ও কল্যাণ পার্টি একটি করে আসনে নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি আসনে জয়লাভ করেছেন।

জাতীয়

আজ ঐতিহাসিক ১০ জানুয়ারী বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আজ ঐতিহাসিক ১০ জানুয়ারী বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। স্বাধীনতার মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। দীর্ঘ ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে একসাগর রক্তের বিনিময়ে বিজয় অর্জনের পর ১৯৭২ সালের এই দিনে পাকিস্তানে দীর্ঘ কারাবাস শেষে সদ্য স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের মাটিতে ফিরে আসেন বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, স্বাধীনতাসংগ্রামের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু। বাঙালি জাতির মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ঘটনা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, এক অনন্য দিন। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে অসহযোগ আন্দোলন চলাকালে ২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের পূর্বপরিকল্পিত বাঙালি নিধনযজ্ঞের নীলনকশা ‘অপারেশন সার্চলাইট’ বাস্তবায়ন শুরু করে। লাখ লাখ নিরীহ বাঙালি জনগণের ওপর আক্রমণ ও গণহত্যা চালায় তারা। এই প্রেক্ষাপটে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এ ঘোষণার মাধ্যমে তিনি সর্বস্তরের জনগণকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ লড়াই শুরু করার ডাক দেন। স্বাধীনতা ঘোষণার পর পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুকে তার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাসা থেকে গ্রেফতার করে তদানীন্তন পশ্চিম পাকিস্তানের মিয়ানওয়ালি কারাগারে আটকে রাখেন। এই কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে কাটে বঙ্গবন্ধুর ৯ মাস ১৪ দিনের কঠিন কারাজীবন। কারাগারে বন্দি করা হলেও বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে তার নামেই চলে মুক্তিযুদ্ধ। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র ও রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জিত হলেও জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের বিজয় পূর্ণতা লাভ করে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গঠনে আমাদের নিরলস প্রয়াস অব্যাহত রাখতে হবে।

Scroll to Top