জানুয়ারি ৯, ২০২৪

জাতীয়

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে হেভিওয়েট পদপ্রার্থী ভোটেও হারলেন যারা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে হেভিওয়েট পদপ্রার্থী ভোটেও হারলেন যারা। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারমান কাজী জাফরউল্লাহ ফরিদপুর-৪ আসনে টানা তিন মেয়াদে নৌকা পেলেও একবারও জিততে পারেননি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তাকে পরাজিত করে টানা তিনবার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন। গতকাল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণায় দেখা যায়, ঈগল প্রতীক নিয়ে নিক্সন চৌধুরী পেয়েছেন ১ লাখ ৪৮ হাজার ৩৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাজী জাফরউল্লাহ নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ২৪ হাজার ৬৬ ভোট। ২৩ হাজার ৯৬৯ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন নিক্সন চৌধুরী। কাজী জাফরউল্লাহর হ্যাটট্রিক পরাজয় ও নিক্সন চৌধুরীর হ্যাটট্রিক জয় হয়েছে। শুধু কাজী জাফরউল্লাহই নন, এমন অনেক হেভিওয়েট প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন এবারের ভোটে। যদিও মাঠের প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ তাদের সমমনা কয়েকটি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়নি। আওয়ামী লীগের শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু নৌকা পেলেও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়েছেন। কুষ্টিয়া-২ আসনের টানা তিনবারের এমপি ইনু এবার ১৪ জোটের প্রার্থী হয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৯২ হাজার ৪৪৫ ভোট। এদিকে আসনটিতে ট্রাক প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করে এক লাখ ১৫ হাজার ৭৯৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন কামরুল আরেফিন। কামরুল আরেফিন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান। পিরোজপুর-২ আসনে সাবেক এপিএস ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মহিউদ্দিন মহারাজের কাছে হেরে গেছেন নৌকা নিয়ে নির্বাচন করা জাতীয় পার্টি-জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। মহিউদ্দিন মহারাজ ঈগল প্রতীক নিয়ে ৯৯ হাজার ৭২৪ ভোট পেয়েছেন। আর নৌকা নিয়ে নির্বাচন করা আনোয়ার হোসেন মঞ্জু পেয়েছেন ৭০ হাজার ৩৩৩ ভোট। মঞ্জুর বাড়ি পিরোজপুর-২ আসনের ভান্ডারিয়া শহরে। মহিউদ্দিন মহারাজ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি পিরোজপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রশাসক ছিলেন। হবিগঞ্জ-৪ আসনে বর্তমান এমপি, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলীকে পরাজিত করে বিজয়ী হয়েছেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। স্থানীয়ভাবে ঘোষিত নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সুমন ১ লাখ ৯৮ হাজার ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের দুবারের সংসদ সদস্য মাহবুব আলী পেয়েছেন ৪৭ হাজার ভোট। মাদারীপুর-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগম ৯৬ হাজার ৩৩৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের আবদুস সোবহান গোলাপ পেয়েছেন ৬১ হাজার ৯৭১ ভোট। আবদুস সোবহান গোলাপ দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক। রাজশাহী-২ নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট করেন ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। জোটের প্রার্থী হিসেবে নৌকা পেলেও তিনি বিজয়ী হতে পারেননি। তাকে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শফিকুর রহমান বাদশা। শফিকুর রহমান বাদশা কাঁচি প্রতীকে পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৯০৬ ভোট। ফজলে হোসেন বাদশা পেয়েছেন ৩১ হাজার ৪৬৬ ভোট। ময়মনসিংহ-১ আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ট্রাক প্রতীক নিয়ে ৯৩ হাজার ৫৩১ ভোট পেয়ে বেসরকারি ফলাফলে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন মাহমুদুল হক সায়েম। তিনি নৌকার প্রার্থী বর্তমান এমপি জুয়েল আরেংকে ১৯ হাজার ৬৭৯ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন। টাঙ্গাইল-৮ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অনুপম শাহজাহান ৯৬ হাজার ৪০১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী পেয়েছেন ৬৭ হাজার ৫০১ ভোট। নেত্রকোনা-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে হেরে গেছেন বর্তমান এমপি ও আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল। এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীক নিয়ে ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু ৮৪ হাজার ৬৭৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। অসীম কুমার উকিল পেয়েছেন ৬৯ হাজার ০৪১ ভোট। কুষ্টিয়া-৪ আসনে বড় ভোটের ব্যবধানে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে হারলেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান এমপি সেলিম আলতাফ জর্জ। জর্জ নৌকা প্রতীক নিয়ে আসনটিতে পেয়েছেন ৮০ হাজার ১১১ ভোট। অধিকাংশ কেন্দ্রেই ফল বিপর্যয় হয়েছে তার। ট্রাক প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করে ৯৮ হাজার ৪১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক এমপি আবদুর রউফ। ১৭ হাজার ৯৩০ ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন সেলিম আলতাফ জর্জ। মানিকগঞ্জ-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর কাছে হেরে গেলেন তিনবারের এমপি কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম। এ আসনে মোট ১৯৩টি ভোট কেন্দ্রে ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান চাহিদ আহমেদ টুলু পেয়েছেন ৮৪ হাজার ৫২৫ ভোট। অন্যদিকে নৌকা প্রতীকে মমতাজ বেগম পেয়েছেন ৭৮ হাজার ২৬৯ ভোট। ফলে ৬ হাজার ২৫৬ ভোট বেশি পেয়ে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু বিজয়ী হয়েছেন। গাইবান্ধা-১ আসনে পুরোনো ও অভিজ্ঞ জাতীয় পার্টির প্রার্থী দুবারের এমপি ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে হারিয়ে জয়ের মুখ দেখেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার আবদুল্লা নাহিদ নিগার। বেসরকারি ফলাফলে ঢেঁকি প্রতীকে নাহিদ নিগার পেয়েছেন ৬৬ হাজার ৪৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙল প্রতীকে ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী পেয়েছেন ৪৩ হাজার ৪৯১ ভোট। গাজীপুর-৫ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকিকে হারিয়ে জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের আখতারউজ্জামান। প্রাপ্ত ভোট অনুযায়ী, ট্রাক প্রতীকের ডাকসুর সাবেক ভিপি আখতারউজ্জামান পেয়েছেন ৬১ হাজার ৬৯৭ ভোট। অন্যদিকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মেহের আফরোজ চুমকি পেয়েছেন ৫০ হাজার ৬৯৬ ভোট। রংপুর-১ আসনে হেরে গেলেন জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব ও স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক প্রতীক) মসিউর রহমান রাঙ্গা। তাকে প্রায় ৫০ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী (কেটলী প্রতীক) এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবলু। স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে হেরে গেলেন কুমিল্লা-২ আসনের বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিমা আহমাদ মেরি। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকে অধ্যাপক আবদুল মজিদের কাছে পরাজিত হন। কুমিল্লা-৩ আসনের বর্তমান এমপি ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন হেরে গেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের কাছে। কুমিল্লা-৪ আসনের বর্তমান এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুল হেরে গেছেন দেবিদ্বারের সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের কাছে।

জাতীয়

মৌলভীবাজারে চারটি আসনেই নৌকার প্রার্থী জয়ী।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- মৌলভীবাজারে চারটি আসনেই নৌকার প্রার্থী জয়ী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজারের চারটি আসনের মধ্যে সবগুলোতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। ভোট গণনা শেষে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা উর্মি বিনতে সালাম রোববার রাতে এ ফল ঘোষণা করেন। মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা-জুড়ী) আসনে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৩০৮ ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. শাহাব উদ্দিন আহমেদ বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী আহমেদ রিয়াজ উদ্দিন লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩ হাজার ৯৮ ভোট। মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনে আওয়ামী লীগের সফিউল আলম চৌধুরী নাদেল নৌকা প্রতীকে ৭২ হাজার ৭১৮ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী একেএম সফি আহমদ সলমান ট্রাক প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৫৫২ ভোট। আর তৃণমূল বিএনপির আর এম এম শাহীন সোনালী আঁশ প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ১১ হাজার ৪৪৯টি। মৌলভীবাজার-৩ (মৌলভীবাজার সদর-রাজনগর) আসনে ভোট কেন্দ্রে নৌকা মার্কার প্রার্থী মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান পেয়েছেন ১ লাখ ৬৭ হাজার ৮৪৬ ভোট। তার নিকটতম প্রার্থী জাতীয় পাটির মো. আতাফুর রহমান লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ হাজার ৬৯৮ ভোট। মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের আব্দুস শহীদ ২ লাখ ১২ হাজার ৪৯১ ভোটে জয় পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী আব্দুল মুহিত হাসানি বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট থেকে মোমবাতি প্রতীকে ৫ হাজার ৩৯০ ভোট পেয়েছেন।

জাতীয়

সুনামগঞ্জের ৫টি আসনে বিজয়ী যারা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সুনামগঞ্জের ৫টি আসনে বিজয়ী যারা। সুনামগঞ্জের ৫ টি আসনের মধ্যে ৪ টিতে আওয়ামী লীগ ও ১ টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। প্রার্থীদের এজেন্ট ও স্থানীয় পর্যায়ে তথ্যের ভিত্তিতে সুনামগঞ্জ-১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী রঞ্জিত চন্দ্র সরকার ১ লাখ ৯৯৮ ভোব পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন কেটলী প্রতীকে ন ৪৯ হাজার ৯৪১ ভোট ও ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিম আহমদ ৪৩ হাজার ৭১০ ভোট পেয়েছেন। সুনামগঞ্জ -২ আসনে কাঁচি প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী  বর্তমান সংসদ সদস্য জয়া সেন গুপ্তক। তিনি পেয়েছেন ৬৭ হাজার ৭৭৫ ভোট। তার নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ নৌকা প্রতীকে ৫৮ হাজার ৬৭২ ভোট পেয়েছেন। সুনামগঞ্জ -৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ১ লাখ ২৬ হাজার ৯৯৮ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে বিজয়ী হয়েছে। তার নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী  এডভোকেট শাহীনুর পাশা চৌধুরী পেয়েছেন মাত্র ৪ হাজার ভোট। সুনামগঞ্জ ৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ড. মোহাম্মদ সাদিক ৯০ হাজার ৫৯০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য এডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ পেয়েছেন ৩১ হাজার ৭২১ ভোট। এদিকে সুনামগঞ্জ ৫ আসনে মহিবুর রহমান  মানিক স্বতন্ত্র প্রার্থীর শামীম চৌধুরীর চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন বলে জানা যায়।

জাতীয়

সুপরিকল্পিত ভাবে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে রেজাল্ট ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে – ইনু ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সুপরিকল্পিত ভাবে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে রেজাল্ট ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে – ইনু । দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজের হারের জন্য প্রশাসনকে দায়ী করেছেন কুষ্টিয়া-২ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু। সোমবার (৮ জানুয়ারি) হারের কারণ নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে এ অভিযোগ করেন তিনি। ইনু বলেন, সারা দেশে নির্বাচন একটা পর্যায়ে হয়েছে। তবে কিছু জায়গায় ভোট কারচুপি হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমার এলাকাও এর মধ্যে পড়েছে। প্রশাসনের সরাসরি সহায়তায় ভোট কারচুপি হয়েছে। হারের জন্য আমি প্রশাসনকেই দায়ী করছি। তারা পরিকল্পিতভাবে আমার এলাকার ১৮টি কেন্দ্রে ভোট কারচুপি করেছে। তিনি বলেন, একটি কেন্দ্রে ২৯০০ ভোট পেয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী আর নৌকা পেয়েছে মাত্র ৮৫টি ভোট। এতেই বিষয়টি স্পষ্ট। এমন আরও ১৮টি উদাহরণ তার কাছে বলেও জানান তিনি। স্থানীয় আওয়ামী লীগের কেউ তাকে সমর্থন করেছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ইনু বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাংশ করেছে। আর বাকি অংশ প্রকাশ্যেই স্বতন্ত্র প্রার্থীর হয়ে কাজ করেছে। ইতোমধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা বিভিন্ন জায়গায় তার কর্মীদের ওপর আক্রমণ করছে বলেও দাবি করেন তিনি। প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু পেয়েছেন ৯২ হাজার ৪৪৫ ভোট। এই আসনে ট্রাক প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা স্বতন্ত্র প্রার্থী কামারুল আরেফিন ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৯৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন।

জাতীয়

চলে গেলেন কিংবদন্তি বেকেনবাওয়ার।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- চলে গেলেন কিংবদন্তি বেকেনবাওয়ার। জার্মানি এবং বায়ার্ন মিউনিখ কিংবদন্তি ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। সোমবার (৮ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে এই কিংবদন্তির মৃত্যুসংবাদ নিশ্চিত করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা। জার্মানির বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার দীর্ঘ দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। সাম্প্রতিক কালে বেশির ভাগ ফুটবলার যে রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন, সেই পার্কিনসন রোগেই ভুগছিলেন তিনি। ২০১৫ সালে ছেলে স্টিফেন মারা যাওয়ার পর থেকে বেকেনবাওয়ারের শরীর ক্রমশ খারাপ হতে পারে। ধীরে ধীরে সব কিছু ভুলে যেতে থাকেন। হৃদযন্ত্রের চিকিৎসাও চলছিল তার। এক বিবৃতিতে জার্মান কিংবদন্তির পরিবার জানিয়েছে, ‘গভীর দুঃখের সঙ্গে জানানো যাচ্ছে যে ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার রবিবার রাতে ঘুমের মধ্যে মারা গিয়েছেন। মৃত্যুর সময় পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গেই ছিল। আশা করি সবাই তার পরিবারের এই কঠিন সময়ে পাশে থাকবেন।’ ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফুটবলারদের একজন হিসেবে স্বীকৃত বেকেনবাওয়ার তার ফুটবল ক্যারিয়ারে অসংখ্য কীর্তি গড়েছেন। জার্মানির আইকনিক এই ফুটবলার পশ্চিম জার্মানির হয়ে ১৯৭৪ সালে অধিনায়ক হিসেবে এবং ১৯৯০ সালে কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ শিরোপা হাতে তোলেন। ইতিহাসের যে তিনজন ফুটবলার একই সঙ্গে খেলোয়াড় এবং কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জিতেছেন তিনি তাদের একজন। বেকেনবাওয়ার জার্মানির হয়ে সব মিলিয়ে ১০৪ ম্যাচ খেলেছেন। এ ছাড়া বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে ১৯৭০ এর দশকে হ্যাটট্রিক ইউরোপিয়ান কাপও জিতেছেন তিনি। ‘কাইজার’ হিসেবে পরিচিত বেকনবাওয়ার রক্ষণে দারুণ আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে পারতেন। বলের দখল রাখা থেকে শুরু করে আধুনিক সুইপারের ভূমিকায় কিংবা লিবেরো হিসেবেও তিনি ছিলেন অনন্য। খেলোয়াড়ি জীবনের পর বেকেনবাওয়ারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। ২০০৬ সালের বিশ্বকাপে দুর্নীতি করার অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে। ২০১৭ সালের মার্চে এই অভিযোগের জন্য সুইস প্রসিকিউটররা তাকে জেরাও করে। তবে এই অংশ টুকু বাদ দিলে তার জীবন অর্জন আর প্রাপ্তিতে ভরপুর।

জাতীয়

এবিজয় আমার নয়,এ বিজয় জনগণের — প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- এবিজয় আমার নয়,এ বিজয় জনগণের — প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার সব ধরনের ব্যবস্থা আমরা নিই। আমি খুব আনন্দিত, বললেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এ বিজয় আমার বিজয় নয়, এটি জনগণের বিজয়। সোমবার (৮ জানুয়ারি) বিকেলে গণভবনে দেশি-বিদেশি সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানের শুরুতে এসব কথা বলেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, এবারের নির্বাচন ছিল ব্যতিক্রমী। সাধারণত দলগুলো প্রার্থী দেয়। এবার আমি প্রার্থী দেওয়ার পাশাপাশি সবার জন্য নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিই। তিনি বলেন, একটি দল নির্বাচনে অংশ নেয়নি, কারণ তারা কখনো অংশ নিতে চায় না। যারা মিলিটারি ডিক্টেটরের হাতে তৈরি হয়, তাদের জনসমর্থন থাকে না। নির্বাচনকে তারা ভয় পায়। আমাদের দল হলো জনগণের দল। তিনি আরও বলেন, এবারের নির্বাচনে জনগণ আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে, আমাদের অনেক স্বতন্ত্রও নির্বাচিত হয়েছে এবং অন্য দলগুলো থেকেও নির্বাচিত হয়েছে, দেশের মানুষ স্বতস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, এ বিজয় আমার বিজয় নয়, আমি মনে করি এটি জনগণের বিজয়। কারণ এখানে জনগণের যে অধিকারটা আছে, সরকার গঠন করার ক্ষমতা তাদের হাতে, যেটি আমার দীর্ঘদিনের সংগ্রাম, জনগণের ভোটের অধিকার, এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তা সুষ্ঠুভাবে হয়েছে। গণভবনের সবুজ লনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশের শতাধিক সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষক উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে তিনি ঘুরে ঘুরে সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ হয়। ৩০০টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ভোট হয় ২৯৯টি আসনে। এক প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনে ভোটগ্রহণ স্থগিত ছিল। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। ২৯৯টি আসনের মধ্যে সোমবার দুপুর পর্যন্ত ২৯৮টি আসনের বেসরকারি ফলাফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ২২৩টিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ।

জাতীয়

কথা দিয়ে,কথা রাখেনি আওয়ামী লীগ — জিএম কাদের।

বিলেতেৱ আয়না ডেক্স :- কথা দিয়ে,কথা রাখেনি আওয়ামী লীগ — জিএম কাদের। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের মন্তব্য করেছেন, আওয়ামী লীগ কথা দেওয়ার পরও কথা রাখেনি । সোমবার দুপুরে রংপুর নগরীর সেনপাড়ায় স্কাইভিউ বাসভবনে নির্বাচনপরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেন। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ভোটের আগের দিন রাত থেকে আমাদের প্রার্থীদের নানাভাবে হুমকি দেওয়া হয়। নির্বাচনের দিন সকাল থেকে আমাদের প্রার্থীদের অনেকেই অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ বিভিন্ন জায়গায় ভোটকেন্দ্র দখল করেছে। আমাদের এজেন্টদের বের করে দিয়ে তাদের এজেন্টদের দিয়ে সিল মেরেছে। সেখানে প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার, রিটার্নিং অফিসার আমাদের প্রার্থীদের কোনো সহযোগিতা করেননি। বরং প্রশাসন তাদের পক্ষে কাজ করেছে, যেটা আমরা সব সময় আশঙ্কা করেছিলাম। এটার বিপক্ষেই আমাদের আশঙ্কা ছিল। আওয়ামী লীগ আমাদের কথা দেওয়ার পরও কথা রাখেনি। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত ভুল কি শুদ্ধ এখন এটা মূল্যায়ন করা যাবে না। সামনের দিনগুলো দেখতে হবে তারপর আমরা ঠিকভাবে বুঝতে পারব। জিএম কাদের আরও বলেছেন, সার্বিকভাবে দেশের নির্বাচন ভালো হয়নি। আমরা এটি আশঙ্কা করেছিলাম। সরকার যেখানে চেয়েছে নির্বাচন নিরপেক্ষ করেছে, আবার যেখানে চেয়েছে তাদের প্রার্থীকে জিতিয়েছে। তাই এ কারণে নির্বাচনে কেউ আসতেও চায়নি। আন্তর্জাতিকভাবে এ নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে কিনা তা আমি বলতে পারছি না। তবে আমার মূল্যায়নে সরকারের নিয়ন্ত্রিত এ নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ার কথা না। জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, একটা পক্ষ বিভিন্নভাবে জাতীয় পার্টির রাজনীতিকে নষ্ট করার জন্য চেষ্টা করছে। সেখানে সরকারও মদদ দিচ্ছে বলে আমি ধারণা করছি। জাতীয় পার্টি নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করবে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করছি না। ফলাফল প্রত্যাখ্যান করার মতো কোনো কারণ আমাদের সামনে নেই। তাহলে কিভাবে প্রত্যাখ্যান করব? তারপরও দলের এমপিদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এখন পর্যন্ত আমরা সংসদে যাব না- এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। জাতীয় পার্টির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা এ নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার পক্ষে অভিমত প্রকাশ করেছিলেন। তারপরও জাতীয় পার্টি অংশ নিয়েছে, এটি সিদ্ধান্তহীনতা কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের বলেন, এটি সিদ্ধান্তহীনতা নয়, বরং এটি সঠিক সিদ্ধান্ত। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা তাদের মতামতে আমাকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে দলের স্বার্থে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বলেছিলেন। নির্বাচন বর্জন করার মতো কোনো সিদ্ধান্ত ছিল না। দলকে রক্ষা করাসহ এ ঘোলাটে পরিস্থিতিতে দলের ভালোর জন্য আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি আরও বলেন, রংপুরের সব আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের যথেষ্ট প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ ছিল। আমাদের অনেকে ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেছেন। কিন্তু তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার ফলাফল বা সত্যিকারের ফলাফলের প্রতিচ্ছবি দেখা যায়নি। লোকে ভোট দেওয়ার সুযোগ পায়নি। যারা ভোট দিতে এসেছেন তাদের অনেক সময় বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে এবং পরবর্তীকালে সেসব জায়গায় ভোট ১০ থেকে ২০ শতাংশ পড়েছে, বাকি জায়গায় ব্যালট পেপারে সিল মেরে নেওয়া হয়েছে। এটা তো পরিষ্কার ব্যাপার। এতে জাতীয় পার্টির গ্রহণযোগ্যতা, জনপ্রিয়তা কমে গেছে এ ধরনের কথা রটনা করা হয়। সরকার থেকে রটনা করে, কিছু সরকার সমর্থিত মিডিয়া এটাকে বিরাটভাবে প্রচার করে আমাদের নিচে নামানোর জন্য। পূর্ব থেকে আশঙ্কা ও সরকারের ফল নির্ধারণী নির্বাচনে কেন অংশ নিলেন এবং এ নির্বাচন কেন মেনে নেবেন- এমন প্রশ্নে জাতীয় পার্টি চেয়াররম্যান বলেন, আমরা যেসব জায়গায় জয়ী হয়েছি সেখানে সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়েছে। যেমন রংপুরে কোনো অনিয়ম হয়নি। কাজেই সরকার যেখানে সুষ্ঠু চেয়েছে সেখানে হয়েছে, যেখানে চায়নি সেখানেই হয়নি। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, গতকাল আমরা যে নির্বাচনি ফলাফল দেখেছি তাতে আমরা আশানুরূপ ফলাফল পাইনি। আমাদের কোনো আসন ছাড় দেওয়া হয়নি। আমি বারংবার বলছি আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমাদের কোনো জোট হয়নি, কোনো আসন ভাগাভাগিও হয়নি। এমনকি কোনো আসনে ছাড়ও দেওয়া হয়নি। আমরা চেয়েছিলাম নির্বাচনে প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকবে, আমাদের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র এবং অর্থের প্রভাবমুক্ত পরিবেশ থাকবে। আওয়ামী লীগ আমাদের সেটা কথা দিয়েছিল, নিশ্চিতও করেছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতেই তারা ২৬টি আসনে তাদের নৌকা মার্কার প্রার্থী প্রত্যাহার করেছিল। এসব আসনে শক্ত স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বী দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। তাদের দলীয় লোকেরা ওই সব প্রার্থীর সঙ্গে কাজ করেছে। তখন আমি বলেছি এটা কোনো আসন ভাগাভাগি বা সমঝোতা নয়। এখন সেটা প্রমাণিত হয়েছে। কারণ নৌকা না থাকা আসনেও তাদের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। এ সময় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান, রংপুর মহানগরের সভাপতি ও সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসীর, কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সম্পাদক আজমল হোসেন লেবু, জেলা কমিটির সদস্য সচিব হাজী আব্দুর রাজ্জাক, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা আলাউদ্দিন মিয়া, জেলা যুব সংহতির সভাপতি হাসানুজ্জামান নাজিমসহ কেন্দ্রীয়, রংপুর জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-৩ (সদর ও সিটি করপোরেশন) আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের (লাঙ্গল)। আগে এ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন তার ভাতিজা এরশাদপুত্র রাহগীর আলমাহি সাদ। জিএম কাদের ৮১ হাজার ৮৬৮ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃতীয় লিঙ্গের আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ারা ইসলাম রানী (ঈগল) পেয়েছেন ২৩ হাজার ৩২৬ ভোট। এ আসনে মোট ছয়জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন।

Scroll to Top