জানুয়ারি ৫, ২০২৪

জাতীয়

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের নিবন্ধ। বাংলাদেশে বাইডেনের পররাষ্ট্রনীতি পরাজিত হচ্ছে।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের নিবন্ধ। বাংলাদেশে বাইডেনের পররাষ্ট্রনীতি পরাজিত হচ্ছে। আসন্ন ভোটে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের বিজয় হলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পররাষ্ট্রনীতি বাংলাদেশে পরাজিত হবে বলে এক নিবন্ধে উল্লেখ করেছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এই সংবাদ মাধ্যম নিবন্ধের শিরোনাম দিয়েছে, ‘বাইডেনের গণতন্ত্র বিকাশের সীমাবদ্ধতা তুলে ধরল বাংলাদেশ’। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের মাত্র তিনদিন আগে বৃহস্পতিবার নিবন্ধটি প্রকাশ করেছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। এতে লেখা হয়েছে, ১৭ কোটি মানুষের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের আসন্ন নির্বাচনে টানা চারবারের মতো বিজয়ী হতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর ফলে পরাজিত হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের চাপ প্রয়োগমূলক পররাষ্ট্রনীতি। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল লিখেছে, ৭৬ বছর বয়সী শেখ হাসিনা বর্তমানে বিশ্বব্যাপী যেকোনো নির্বাচিত নারী নেত্রীর চেয়ে বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় রয়েছেন। তার রয়েছে এমন সব অর্জন, যা অনেক উন্নয়নশীল দেশের নেতারাও দাবি করতে পারেন না। শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ধর্মীয় মৌলবাদ দমন করেছেন, বিভিন্ন সময় ফিরে আসা সামরিক শাসনের বিপরীতে জনগণের শাসনের আধিপত্য নিশ্চিত করেছেন। এ ছাড়া চরম দারিদ্র্য থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করে আনা এবং নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান নিয়েছেন বলে নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের মতে, বাইডেন সরকারের অভিযোগ ছিল, বাংলাদেশে বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে হাসিনা সরকার। কিন্তু সেই অভিযোগ এরই মধ্যে ভুল প্রমাণ করেছে শেখ হাসিনার অদম্য নেতৃত্ব। সংবাদ মাধ্যমটি বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হয়ে উঠেছে। তবে অর্থনীতির ওপরে বাইডেনের গণতন্ত্র প্রচারকে স্থান দেওয়ার সময় এখনো আসেনি বলেই জো বাইডেনের পররাষ্ট্রনীতি এখানে ব্যর্থ হয়েছে। বিশ্বের অনেক উন্নয়নশীল দেশের তুলনায় বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাস অনেক বেশি উজ্জ্বল বলেও জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। বাংলাদেশে সব সময়ই স্বাধীন বিচার বিভাগ এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে। তার পরও যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। কিন্তু এমন অনেক দেশকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, যাদের রেকর্ড বাংলাদেশের চেয়েও অনেক বেশি খারাপ। নিবন্ধে লেখা হয়েছে, ২০২১ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে বাংলাদেশের একটি অপরাধবিরোধী এবং সন্ত্রাসবিরোধী সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু এবারের নির্বাচনে শেখ হাসিনার নিরঙ্কুশ বিজয়ের ইঙ্গিতই মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিকে ব্যর্থ করে দিয়েছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের বোঝা উচিত ছিল, কঠোর ভাষা আর আধা-আধি মাপকাঠি বাংলাদেশের ওপর প্রভাব ফেলবে না। ১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন থাকার পরও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পাকিস্তানকে যেমন পরাজিত করেছে বাংলাদেশ, তেমনি এখন রাশিয়া, চীন ও ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করে যুক্তরাষ্ট্রের সব চাপকে সমুচিত জবাব দিয়েছেন শেখ হাসিনা। সর্বোপরি, যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র নিয়ে যত সহজে কথা বলে, তাকে তত সফলভাবে প্রয়োগ করতে পারে না বলেও মন্তব্য করা হয়েছে নিবন্ধটিতে।

জাতীয়

নগরীতে নাগরিক সুবিধা বাড়াতে দেড় হাজার কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- নগরীতে নাগরিক সুবিধা বাড়াতে দেড় হাজার কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ। সিলেট নগরীতে নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির জন্য ইতোমধ্যে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার প্রকল্প গৃহিত হয়েছে বলে জানিয়ছেন সিলেট -১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বুধবার (৩ জানুয়ারি) রাতে সিলেট নগলীর  ৫ নং ওয়ার্ডে এক জনসভায় এ কথা বলেন তিনি । ড. মোমেন বলেন, ‘‘বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল, বিকাশমান, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা। শেখ হাসিনা তার জীবন থাকতে এ দেশকে কোনো দিন বিকিয়ে দেবে না।’’ ‘বর্তমান সরকারের আমলে সিলেটে রাস্তাঘাট, রেলওয়ে, বিমানবন্দর, হাসপাতাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন  সেক্টরের কয়েক হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন সাধন হয়েছে। সিলেট নগরীতে নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির জন্য ইতোমধ্যে প্রায় দেড় হাজার কোটি প্রকল্প গৃহিত হয়েছে।’’ তিনি বলেন, ‘‘আমরা সরকার গঠন করলে ভবিষ্যতে সিলেটের উন্নয়নের জন্য আরও প্রকল্প হাতে নেয়া হবে। সিলেটে আবিষ্কৃত প্রাকৃতিক গ্যাস সিলেটের মানুষ যাতে পায় সে ব্যবস্থাও করা হবে ।’’ দেশের মঙ্গল, অগ্রগতি, উন্নয়নের ধারাবাহিতকতা রক্ষার জন্য আগামী ৭ জানুয়ারী দলে দলে ভোট প্রদানের আহ্বান জানান ড. মোমেন। আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও জাকারিয়া হোসেন জাকিরের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবীদ লোকমান আহমদ, সিসিক কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ,  জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও  সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সৈয়দ এপতার হোসেন পিয়ার, মহানগর আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক  জুবের খান,  সৈয়দ মাহমুদুর রহমান, শাকিল তালুকদার, রিপন হাওলাদার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে কোরান তেলওয়াত করেন আব্দুল হাসান চৌধুরী ও সঙ্গীত পরিবেশন করেন জুলহাস মিয়া ও তার দল।

সাম্প্রতিক

জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংসদ নির্বাচনে দলীয় ইশতেহার নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার এই ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ও রেডিও সেন্টারগেুলো থেকে একযোগে প্রচারিত হয়। জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পূর্ণ বিবরণ। প্রিয় দেশবাসী, আসসালামু আলাইকুম। আপনাদের সবাইকে খ্রিষ্টীয় নতুন বছরের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুলভোটে বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ’৭৫-পরবর্তী সময়ে চতুর্থবারের মত সরকার গঠন করে অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে বর্তমান মেয়াদ শেষ করতে যাচ্ছে। আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্মরণ করছি জাতীয় চার-নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদ এবং ২-লাখ নির্যাতিত মা-বোনকে। মুক্তিযোদ্ধাদের আমি সশ্রদ্ধ সালাম জানাচ্ছি। আমি গভীর বেদনার সঙ্গে স্মরণ করছি, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডের শিকার আমার মা বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব, তিন ভাই—মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল ও ১০ বছরের শেখ রাসেল; কামাল ও জামালের নবপরিণীতা স্ত্রী সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, আমার চাচা মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবু নাসের, রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব ব্রিগেডিয়ার জামিল এবং পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এএসআই সিদ্দিকুর রহমানসহ সেই রাতের সব শহিদকে। এই উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক ও গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। স্মরণ করছি, ২০০৪ সালের ২১-এ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় নিহত আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভী রহমানসহ ২২ নেতাকর্মীকে। স্মরণ করছি, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতাসীন হওয়ার পর নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা আহসানউল্লাহ মাস্টার, মঞ্জুরুল ইমাম, মমতাজ উদ্দিনসহ ২১ হাজার নেতাকর্মীকে। বিএনপি-জামায়াত জোটের অগ্নিসন্ত্রাস এবং পেট্রোল বোমা হামলায় যারা নিহত হয়েছেন, আমি তাদের স্মরণ করছি। আহত ও স্বজনহারা পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। প্রিয় দেশবাসী, পাকিস্তানের ২৪ বছরের শোষণ এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের পোড়ামাটি নীতির ফলে ধ্বংসপ্রাপ্ত অবকাঠামো ও অর্থনীতির উপর দাঁড়িয়ে জাতির পিতা যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছিলেন। মাত্র ৩ বছর ৭ মাস ৩ দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সরকার পরিচালনা করে বাংলাদেশকে বিশ্বসভায় মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেন। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৯১ মার্কিন ডলার। জাতির পিতা মাত্র সাড়ে ৩ বছরে তা বাড়িয়ে ২৭৭ মার্কিন ডলারে উন্নীত করেন। ১৯৭৬ থেকে ১৯৯১ পর্যন্ত বাংলাদেশের অবৈধ সরকারগুলো দীর্ঘ ১৬ বছরে মাথাপিছু আয় মাত্র ৫ ডলার বাড়ায়। জাতির পিতার আমলে প্রবৃদ্ধি ৯ শতাংশ অতিক্রম করে। কিন্তু ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর থেমে যায় বাংলাদেশের সকল উন্নয়ন অগ্রগতি। জাতির পিতাকে হত্যার সময় আমি এবং আমার ছোটবোন শেখ রেহানা বিদেশে ছিলাম। সে কারণে আমরা প্রাণে বেঁচে যাই। দীর্ঘ ৬ বছর আমরা রিফিউজি হিসেবে প্রবাস জীবন কাটাতে বাধ্য হই। ১৯৭৯ সালে জিয়াউর রহমান হ্যাঁ/না ভোটের মাধ্যমে অবৈধ নির্বাচন করার ব্যবস্থা করে। সে নির্বাচনে ভোট গণনায় ১০০ শতাংশের বেশি ভোট দেখানো হয়। জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে একদিকে ছিল সেনাপ্রধান, অপরদিকে রাষ্ট্রপতি। তৎকালীন সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান আমাদের দেশে আসতে বাধা দেয়। ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও জনগণের সমর্থন নিয়ে আমি দেশে ফিরে আসি। অবৈধভাবে ক্ষমতাসীন সরকার, জাতির পিতার হত্যাকারী ও ষড়যন্ত্রকারী এবং যুদ্ধাপরাধীদের সকল রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করেই আমি দেশে ফিরে আসি। শুরু করি জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। এজন্য বারবার আমার উপর আঘাত এসেছে। জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের লক্ষে সামরিক শাসকের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি, বারবার গ্রেপ্তার হয়েছি। আমাকে অন্তত ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু আমি দমে যাইনি। অবশেষে মানুষের ভোটের অধিকার জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হই। দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। অবসান হয় হত্যা, ক্যু ও সামরিক শাসনের। ’৭৫-পরবর্তী অবৈধ সরকারগুলোর জনবিচ্ছিন্নতা, লুটপাট ও দর্শনবিহীন রাষ্ট্র পরিচালনা বাংলাদেশকে একটি মর্যাদাহীন রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ পরিচিতি পেয়েছিল বন্যা, ঝড়, জলোচ্ছ্বাস এবং ভিক্ষুক-দরিদ্র-হাড্ডিসার মানুষের দেশ হিসেবে। তখন দেশে দারিদ্র্যের হার ছিল প্রায় ৫৫ শতাংশ। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আমরা দারিদ্র্য বিমোচনে বেশ কিছু যুগান্তকারী উদ্যোগ গ্রহণ করি। আমরা পার্বত্য শান্তি চুক্তি করে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করি। দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জন্য বিভিন্ন ভাতা চালু, তাদের জন্য বিশেষ কর্মসূচি যেমন: আশ্রয়ণ প্রকল্প, ঘরে ফেরা, কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের মত কর্মসূচি দারিদ্র্য বিমোচন এবং প্রান্তিক মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখে। কৃষক ও কৃষি-বান্ধব নীতি গ্রহণের ফলে দেশ দ্রুত খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে। পাশাপাশি আমরা বিভিন্ন খাতে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘ-মেয়াদী নীতিমালা গ্রহণ করি; যার সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়েছে অর্থনীতিতে। প্রিয় দেশবাসী, ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন থেকে ২০০১ সালের ১৫ জুলাই—এই ৫ বছর পূর্ণ করে ২৬ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বপ্রথম শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করে। দেশ যখন আর্থিক স্থবিরতা কাটিয়ে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মহাসড়কে অভিযাত্রা শুরু করে, ঠিক তখনই ২০০১ সালে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াত আবার ক্ষমতায় আসে। রাষ্ট্রীয় ছত্রছায়ায় শুরু হয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতন-নিপীড়ন। ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়। শুধু রাজনৈতিক কারণে বহু চলমান উন্নয়ন প্রকল্প স্থগিত করে দেওয়া হয়। ‘হাওয়া ভবন’ খুলে অবাধে চলতে থাকে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও দুঃশাসন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে গ্রেনেড হামলা করে ২২ নেতাকর্মীকে হত্যা এবং ৫০০ এর বেশি মানুষকে আহত করে। জেলায় জেলায় বোমা হামলা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্ত্রের ঝনঝনানি, সেশন জট, ছাত্রছাত্রীদের অনিশ্চিত জীবন ছিল বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়কার সাধারণ চালচিত্র। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, অস্ত্র চোরাকারবারি, মানি লন্ডারিং, ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ, হাওয়া ভবনের দ্বৈত শাসনে জনজীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছিল। মেয়াদ শেষে ২০০৬ সালে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নির্বাচন দেওয়ার কথা থাকলেও বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে নানা ছলচাতুরির আশ্রয় নিতে থাকে। নির্বাচনে কারচুপির উদ্দেশ্যে ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটারসমেত ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন গঠন করে। তাদের এসব কর্মকাণ্ড বাংলাদেশকে অন্ধকারের পথে ধাবিত করে। যার ফলে দেশে জরুরি অবস্থা জারি হয়। সামরিক বাহিনী অন্তরালে থেকে ক্ষমতা দখল করে। ইয়াজুদ্দীন, ফখরুদ্দীন, মইনুদ্দীনের এই সরকার জনগণের অধিকার হরণ করে তাদের উপর স্টিমরোলার চালানো শুরু করে। প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলোকে ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নেয়। আমাকে এবং আমার দলের বহু নেতাকর্মীসহ অন্যান্য দলের নেতাকর্মীদের বন্দি করা হয়। ভিন্ন দল গঠন করার চেষ্টা করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু তাদের এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে সচেতন দেশবাসী ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ায়। জনগণের আন্দোলনের মুখে তারা ৯ম সংসদ নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়। তবে নির্বাচন সংস্কারের যে দাবি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট উপস্থাপন করেছিল সেগুলি থেকে তারা কিছু বিষয় কার্যকর করে, যেমন: ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন, ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার লিস্ট বাতিল এবং স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ব্যবহার।

জাতীয়

নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষনা ও গণসংযোগ-স্বতন্ত্র প্রার্থী মনজুর আলম

বিলেতের আয়না :- মোহাম্মদ মাসুদ নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষনা ও গণসংযোগ-স্বতন্ত্র প্রার্থী মনজুর আলম ফুলকপি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ মনজুর আলমের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষনা ও নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ। চট্টগ্রাম-১০ নির্বাচনী এলাকার ফুলকপি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ¦ মোহাম্মদ মনজুর আলম ৪ জানুয়ারি ২০২৪ খ্রি. বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে জনাকীর্ণ সাংবাদিক ও নানাশ্রেণি ও পেশার লোকজনের উপস্থিতিতে ২০ দফা কর্মপরিকল্পনা একটি ইশতেহার ঘোষণা করেন। ইশতেহার ঘোষণা ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ের সাবেক মেয়র ও স্বতন্ত্র প্রার্থী তাঁর অতীত কর্মকা- সহ সমাজসেবার কিছু অংশ তুলে ধরেন আগামী ৭ জানুয়ারী ২০২৪ খ্রি. রবিবার সারাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে আমি চট্টগ্রাম-১০ সংসদীয় আসনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হিসেবে ফুলকপি প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। আমি বিশ্বাস করি এ নির্বাচন দেশের দলমত নির্বিশেষে তথা সকল নাগরিকের অংশগ্রহণমুলক নির্বাচন হবে। মানুষ স¦তঃস্ফুর্তভাবে, নির্ভয়ে, বিনা বাঁধায় ভোট কেন্দ্রে এসে তাঁদের মনোনীত প্রার্থীদের মহামূল্যবান ভোট প্রদান করে আমাকে নির্বাচিত করবে। তিনি বলেন, আমার নির্বাচনি ইশতেহার ও মতবিনিময় সভার মাধ্যমে আমি চট্টগ্রাম ১০ আসনের সম্মানিত ভোটারদের জানাতে চাই আগামী ৭ জানুয়ারী ২০২৪ ইং তারিখে আপনারা উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে ভোট কেন্দ্রে আসবেন এবং চট্টগ্রাম ১০ আসনের উন্নয়নে আমার ফুলকপি প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে জয়যুক্ত করে দেশ ও দশের সেবা করার সুযোগ সৃষ্টি করে দেবেন। সাবেক মেয়র বলেন বিগত ২০১০ খ্রি. তারিখে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে চট্টগ্রাম মহানগরবাসী বিপুল ভোটে আমাকে মেয়র নির্বাচিত করে নগরভবনে পাঠিয়ে নগরবাসীর সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন। আমিও মেয়র নির্বাচিত হয়ে আমার সাধ্যমত আপ্রাণ চেষ্টা করেছি নগরবাসীকে সেবা দিতে। এবারও ঠিক সেভাবে আমার প্রতীক ফুলকপি মার্কায় আপনাদের মহামূল্যবান ভোট দিয়ে মহান সংসদে পাঠিয়ে আপনাদের দাবীদাওয়া, নাগরিক অধীকার, এলাকার উন্নয়ন নিয়ে কথা বলার সুযোগ করে দিবেন। ইশতেহারে সংক্ষিপ্ত আকারে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আমি কিছু অঙ্গিকার ব্যক্ত করেছি। যদি আমাকে আপনারা আপনাদের মহামূল্যবান ভোট দিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেন ইনশাল্লাহ আমি আমার ইশতেহারের সবগুলি অঙ্গিকার পূরণ করতে সর্বাতœক চেষ্টা করে যাব। স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ মনজুর আলম বলেন, বিগত ৪০ বছর যাবত আমি মানব সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি আমি ১৯৯৪ খ্রি. সাল থেকে ২০১০ ইং সাল পর্যন্ত ৩ মেয়াদে প্রায় ১৭ বৎসর টানা ১০ নং উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডে নির্বাচিত কাউন্সিলর পদে থেকে এলাকার সেবা করেছি। এ সময়ে ৯ বার (৩.৫ বছর) চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছি। ২০১০ ইং সাল থেকে ২০১৫ খ্রি. মেয়াদ পর্যন্ত আমি নির্বাচিত মেয়র হিসেবে নগরবাসীর সেবা করেছি। আপনারা জানেন আমার মরহুম শ্রদ্ধেয় পিতা-মাতার নামে আলহাজ্ব মোস্তফা হাকিম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছি। এছাড়াও আমি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন এবং আলহাজ্ব হোছনে আরা মনজুর ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেছি। বর্তমানে এসব প্রতিষ্ঠানের অধীনে ১০৩ টি সেবাধর্মী মূলক প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে যেখানে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, উচ্চ বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাতৃ সদন হাসপাতাল, ডায়াবেটিক হাসপাতাল, বৃদ্ধাশ্রাম, মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা, মন্দির, মহাশশ্মান সহ আরো অন্যান্য সেবাধর্মী মুলক প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানগুলির মাধ্যমে আমি সারাজীবন মাটি ও মানুষের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করতে চাই। তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকবৃন্দ সমাজ ও জাতির নির্ভরতার প্রতীক। আপনাদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় আজ স্বাধীন দেশের সংবাদ মাধ্যম। আমি আশা করি, আপনাদের আদর্শিক লেখনি ও সংবাদ উপস্থাপনের মাধ্যমে আমার বক্তব্য আপামঢ় জনগণের মাঝে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে আমার প্রতীক ফুলকপি মার্কায় মূল্যবান ভোটদানে উৎসাহিত করবেন ইনশাল্লাহ। সমাজসেবক মনজুর আলম উল্লেখ করেন যে, আমরা হযরত মনছুর আলী শাহ (র.) এর বংশধর। চট্টগ্রাম পীর আউলিয়াদের পূণ্যভুমি। এ অঞ্চলে বসবাসরত সকল মানুষ যাতে নি:স্বার্থভাবে সেবা পায় এই আমার অঙ্গীকার। স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ¦ মোহাম্মদ মনজুর আলম তাঁর নির্বাচনী ইশতেহারের কর্মপরিকল্পনায় বলেন, * স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহযোগিতা, বেকার ছেলে-মেয়েদের চাকুরীর সু-ব্যবস্থা গ্রহনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। * ১০ সংসদীয় আসনের ৮টি ওয়ার্ড এলাকার অলি-গলি, রাস্তাঘাট, নালা-নর্দমা যে গুলি ক্ষতবিক্ষত হয়েছে আমি স্থানীয় সরকারের অধীনস্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সংস্কার করার ব্যবস্থা করবো। * আমার নির্বাচনি এলাকা নিয়মিত পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য এবং ময়লা-আর্বজনা অপসারনের জন্য দায়িত্বে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট সংস্থার মাধ্যমে সমন্বয় করত: ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। * আমার নির্বাচনী এলাকায় যে সকল রাস্তা-ঘাটে সড়ক বাতির স্বল্পতা এবং সড়ক বাতি না থাকার কারণে রাত্রিকালে চলাচলে বিঘœ ঘঠে সে সমস্ত এলাকায় দায়িত্বে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট সংস্থার মাধ্যমে সড়ক আলোকায়ন ও সৌর বিদ্যুৎ এর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। * আমার নির্বাচনী এলাকার শিল্প অঞ্চলে বিভিন্ন শিল্প কারখানায় কাজে নিয়োজিত নারী শ্রমিকদের শিশু সন্তানদের পরিচর্যার জন্য ডে-কেয়ার সেন্টার খোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা খোলা হবে। * আমার নির্বাচনী এলাকায় যে সকল ওয়ার্ডে পানীয় জলের অভাব রয়েছে সে সব ওয়ার্ডে আমাদের সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান আলহাজ্ব মোস্তফা হাকিম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন ও হোছনে আরা মনজুর ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের অর্থায়নে ৮ ওয়ার্ডের প্রতিটিতে ১টি করে ডিব-টিউবওয়েল স্থাপনের ব্যবস্থা করা হবে। * আমাদের ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে মুমূর্ষ রোগীদের জরুরী ভিত্তিতে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য বিনামূল্যে এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের ব্যবস্থা করা হবে। * জাতীয় কর্মসুচীগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আমার নির্বাচনী এলাকায় বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। * আমার নির্বাচনি এলাকায় স্থানীয় দানশীল ব্যক্তিরা জমি দান করলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সে জায়গায় ১টি মাতৃসদন হাসপাতাল স্থাপন করা হবে। যাতে অনগ্রসর ঘনবসতীপূর্ণ এলাকার গরীব মা-বোনেরা স্বল্প খরচে ডেলিভারীসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করতে পারে তার ব্যবস্থা করা হবে। * আমার নির্বাচনী ঘনবসতীপূর্ণ ওয়ার্ড এলাকায় স্কুলের অভাবে ছোট-ছোট ছেলে মেয়েরা পড়া-লেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সে সমস্ত এলাকায় জমি পাওয়া সাপেক্ষে আমাদের ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে। * আমার নির্বাচনী এলাকার গরীব মুমূর্ষ রোগীদের জন্য ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে আমার নিজস্ব অক্সিজেন কারখানা থেকে বিনামূল্যে অক্সিজেন বোতল প্রদান করার লক্ষে প্রত্যেক ওয়ার্ডে ১টি করে অক্সিজেন ব্যাংক স্থাপন করা হবে। * গরীব শ্রমজীবী মানুষের সুবিধার্থে প্রতি ওয়ার্ডের বস্তি এলাকায় সপ্তাহে ১দিন অভিজ্ঞ ডাক্তারের মাধ্যমে চিকিৎসাসহ বিনামূল্যে ঔষধ প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে। * সরকারের সাথে আলাপ-আলোচনা করে তৃতীয় লিঙ্গদের জন্য পুর্নবাসনের উদ্যোগ নেয়া হবে। * শহরের ভিক্ষুকদের ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধের লক্ষ্যে ভিক্ষুকদের জন্য সরকারী সংশ্লিষ্ট সংস্থার সহায়তায় ভাতা প্রাপ্যতার উদ্যোগ নেয়া হবে। * মধ্যবিত্ত, গৃহহীন ও শ্রমজীবী মানুষের স্থায়ী ঠিকানার জন্য বহুতল বিশিষ্ট বাসস্থান নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। * গরীব ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আমাদের ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় বিনা বেতনে অধ্যয়নের ব্যবস্থা করা হবে। * আমার নির্বাচনী এলাকা সাগরিকা থেকে নাসিরাবাদ পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট পর্যন্ত মহিলাদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ১টি ফ্রি বাস সার্ভিস চালু করা হবে। * বর্তমান বেকার সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে কারিগরী শিক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। * গরীব ও মেধাবী ছাত্র/ছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য শিক্ষা বৃত্তি/এককালীন আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে। * আমার নির্বাচনি এলাকায় তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর সেবা নিশ্চিতকরণে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করবো। ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ হারিছ, জাফর আহমদ, আবুল কাশেম, শাহ আলম, সুলতান আহমদ, মো. নুর মিয়া, এম.এ. তাহের, শাহীন আলম, আলহাজ¦

জাতীয়

ডিবি কর্তৃক বিকাশ প্রতারণা জালিয়াতি চক্রের মূলহোতা আটক

বিলেতের আয়না :- মোহাম্মদ মাসুদ নিজস্ব প্রতিবেদক ডিবি কর্তৃক বিকাশ প্রতারণা জালিয়াতি চক্রের মূলহোতা আটক চট্টগ্রাম সিএমপি ডিবি কর্তৃক বিকাশ প্রতারণা ও ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি চক্রের মূলহোতাকে অভিযান পরিচালনা করে চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালী থানাধীন নতুন রেলওয়ে স্টেশনের বিপরীত পাশে হোটেল প্যারামাউন্টের সামনে থেকে অভিযুক্তীদের আটক করে। গতকাল ০২ জানুয়ারী,রাত ১১টায় নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন এলাকা হতে আন্তঃজেলা মোবাইল ফিন্যানশিয়াল সার্ভিস প্রতারক মোঃ সোহান মীর সোহাগ (৩৩),কে আটক করে। আতকৃতের পিতা-মোঃ দাউদ মীর, সাং- চৌগাছি মধ্যপাড়া, দাঁড়িয়াপুর ইউপি, ওয়ার্ড নং- ০২, থানা-শ্রীপুর, জেলা -মাগুরা। আটকের সময় প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ১৯ (ঊনিশ) টি মোবাইল সিম কার্ড, প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎকৃত নগদ ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা ও ০২ টি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়। ডিবি (বন্দর ও পশ্চিম) বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ আলী হোসেনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ সামীম কবিরের দিক-নির্দেশনায়, সহকারী পুলিশ কমিশনার (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) কাজী মোঃ তারেক আজিজের নেতৃত্বে স্পেশাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক জনাব মোঃ হারুন অর রশিদ, এসআই (নি) মোঃ রাজীব হোসেন,এসআই (নি) রবিউল ইসলাম ও অন্যান্য সঙ্গীয় অফিসার-ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করে নগরীর নতুন রেলওয়ে স্টেশনের বিপরীত পাশে হোটেল প্যারামাউন্টের সামনে থেকে অভিযুক্তীদের আটক করে। ডিবি (বন্দর- পশ্চিম) সুত্রে জানা যায় ধৃত আসামি মোঃ সোহান মীর সোহাগ(৩৩) প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তার নিকট হতে উদ্ধাকৃত সিমগুলো বিভিন্ন অপরিচিত ব্যক্তিদের নামে নিবন্ধনকৃত এবং প্রত্যেকটি সিমে অপরিচিত ব্যক্তিদের নামে মোবাইল ফিন্যানশিয়াল সার্ভিস মার্চেন্ট ও পার্সোনাল রিটেইল একাউন্ট নিবন্ধন করা। সে উক্ত সিমগুলো ও মোবাইল ফোনগুলো মোবাইল ফিন্যানশিয়াল সার্ভিস প্রতারণার কাজে ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট থেকে প্রতারণার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে আসছিল। জিজ্ঞাসাবাদে সে আরও জানায় যে, তার মোবাইল ফিন্যানশিয়াল সার্ভিস নিবন্ধনকৃত সিমগুলো এবং ব্যাংক একাউন্ট ব্যবহার করে প্রতিদিন ২,৫০,০০০/- থেকে ৩,০০,০০০/- টাকা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয় তার অধীনস্থ চক্রটি। তার নিকট হতে উদ্ধার হওয়া ৩,০০,০০০/- টাকা গত ০২/০১/২০২৪ তারিখ প্রতারনার মাধ্যমে আত্মসাৎ করা। ধৃত আসামি একজন পেশাদার মোবাইল ফিন্যানশিয়াল সার্ভিস প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য এবং টিম লিডার। সে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে তার সাথে থাকা সিমগুলো দিয়ে মোবাইল ফিনানশিয়াল সার্ভিস প্রতারণা করে আসছে। জিজ্ঞাসাবাদে সে আরও জানায় সে নিজে মোবাইল ফিন্যানশিয়াল সার্ভিস প্রতারণা করার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন বিকাশ প্রতারক ও ভুলিয়ে-ভালিয়ে ক্রেডিট কার্ডের তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া চক্রের সদস্যদের টাকা তার নিজস্ব মোবাইল ফিন্যানশিয়াল সার্ভিস ও ব্যাংক একাউন্টে জমা নিয়ে সেই টাকা নিরাপদ অবস্থানের সরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করার বিনিময়ে মোটা অঙ্কের কমিশন গ্রহন করে। সে জানায়, ৬ জন পরিচিত প্রতারকসহ বিভিন্ন জেলার পঞ্চাশের অধিক প্রতারক তার একাউন্টে টাকা পাঠিয়ে থাকে। উল্লেখ্য যে, এই চক্রের সাথে জড়িত হওয়ার পূর্বে সে রাজমিস্ত্রীর কাজ করত। এ সংক্রান্তে কোতোয়ালী থানার মামলা নং-০৩, -০৩/০১/২০২৪ইং প্রসঙ্গ:চট্টগ্রামসহ দেশব্যাপী প্রতারণার মাধ্যমে মোবাইল ফিন্যানশিয়াল সার্ভিস ও ক্রেডিট কার্ড থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া চক্রের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষিতে মহানগর গোয়েন্দা (বন্দর ও পশ্চিম) বিভাগ চক্রের সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের লক্ষ্যে কাজ শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় আসামিদের আটক করা হয়।

জাতীয়

অসহায় দুঃস্থ এতিমদের শীতবস্ত্র বিতরণ-সিএমপি ও আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম’র উদ্যোগে

বিলেতের আয়না :- মোহাম্মদ মাসুদ নিজস্ব প্রতিবেদক অসহায় দুঃস্থ এতিমদের শীতবস্ত্র বিতরণ-সিএমপি ও আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম’র উদ্যোগে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ও আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের উদ্যোগে অসহায়, দুঃস্থ ও এতিমদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ। ৩ জানুয়ারি,দামপাড়াস্থ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইন্সের জনক চত্বরে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। বিতরণকালে পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়,বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) বলেন,আমরা চাই এধরনের মানবিক কার্যক্রম প্রচারিত হোক। তবে এই জন্য না যে, আমাদের প্রচারণার প্রয়োজন রয়েছে। বরং এই জন্য যে, সমাজের সামর্থ্যবান ও সম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ এতে অনুপ্রাণিত হবে এবং সামর্থ্যানুযায়ী নানা মানবিক কার্যক্রমে এগিয়ে আসবে। শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) এম এ মাসুদ; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) আ স ম মাহতাব উদ্দিন, পিপিএম-সেবা; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) আবদুল মান্নান মিয়া, বিপিএম-সেবা; উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) মোঃ আব্দুল ওয়ারীশ (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) সহ পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম চট্টগ্রাম এর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি ও দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ইউসুফ সর্দার, কোষাধ্যক্ষ মোরশেদুল আলম কাদেরী, নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ ওসমান গণি, সদস্য মোঃ জয়নাল আবেদীন, সহকারী পরিচালক মোঃ মেলিম নাসের, হিসাব কর্মকর্তা আবদুল কাইয়ুম ও সাইট ইঞ্জিনিয়ার আবিদুর রহমান সোহেল প্রমূখ।

জাতীয়

অসহায় দুঃস্থ এতিমদের শীতবস্ত্র বিতরণ-সিএমপি ও আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম’র উদ্যোগে

বিলেতের আয়না :- মোহাম্মদ মাসুদ অসহায় দুঃস্থ এতিমদের শীতবস্ত্র বিতরণ-সিএমপি ও আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম’র উদ্যোগে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ও আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের উদ্যোগে অসহায়, দুঃস্থ ও এতিমদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ। ৩ জানুয়ারি,দামপাড়াস্থ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইন্সের জনক চত্বরে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। বিতরণকালে পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়,বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) বলেন, আমরা চাই এধরনের মানবিক কার্যক্রম প্রচারিত হোক। তবে এই জন্য না যে, আমাদের প্রচারণার প্রয়োজন রয়েছে। বরং এই জন্য যে, সমাজের সামর্থ্যবান ও সম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ এতে অনুপ্রাণিত হবে এবং সামর্থ্যানুযায়ী নানা মানবিক কার্যক্রমে এগিয়ে আসবে। শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) এম এ মাসুদ; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) জনাব আ স ম মাহতাব উদ্দিন, পিপিএম-সেবা; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) আবদুল মান্নান মিয়া, বিপিএম-সেবা; উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) মোঃ আব্দুল ওয়ারীশ (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) সহ পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম চট্টগ্রাম এর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি ও দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক, সহ-সভাপতি জনাব মোহাম্মদ ইউসুফ সর্দার, কোষাধ্যক্ষ মোরশেদুল আলম কাদেরী, নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ ওসমান গণি, সদস্য মোঃ জয়নাল আবেদীন, সহকারী পরিচালক মোঃ মেলিম নাসের, হিসাব কর্মকর্তা আবদুল কাইয়ুম ও সাইট ইঞ্জিনিয়ার আবিদুর রহমান সোহেল প্রমূখ।

Scroll to Top