জানুয়ারি ৪, ২০২৪

জাতীয়

মনজুর আলম’র গনসংযোগ ও উঠান বৈঠক-১৩ নং পাহাড়তলী ওয়ার্ড

বিলেতের আয়না :- মোহাম্মদ মাসুদ মনজুর আলম’র গনসংযোগ ও উঠান বৈঠক-১৩ নং পাহাড়তলী ওয়ার্ড ১৩ নং পাহাড়তলী ওয়ার্ডে ফুলকপি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আলহাজ মোহাম্মদ মনজুর আলমের গনসংযোগ ও উঠান বৈঠক। ২জানুয়ারী,মঙ্গলবার,তাঁর নির্বাচনী এলাকার ১৩ নং পাহাড়তলী ওর্য়াডে গনসংযোগ করেন। পরে তিনি পাহাড়তলী রেলওয়ে হাসপাতাল কলোনীস্থ দূর্গামন্দির প্রাঙ্গনে উঠান বৈঠক ও মতবিনিময় করেন। এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ মনজুর আলম বলেন, হানাহানি, সংঘাত, সংঘর্ষ, হিংসা-বিদ্বেষের রাজনীতিতে আমি বিশ^াসী নই। এ সব অপরাজনীতি ও অপকর্ম আমি মনে প্রানে ঘৃণা করি। আমি নির্বাচনে একজন প্রতিদ্বন্ধী। আমার প্রতীক ফুলকপি। ভোটারাই আমার একমাএ সম্বল,তারা আমাকে ভোট দিলে আমার নির্বাচনী এলাকা কে সব ধরনের অপকর্ম,অপরাজনীতি, সংঘাত, সংঘর্ষ ও হিংসা-বিদ্বেষ থেকে মুক্ত রাখবো। আমার নির্বাচনী এলাকা হবে শান্তি ও সুষম উন্নয়নের রোলমডেল। সাবেক মেয়র মনজুর আলম সকলকে সব ধরনের লোভ-প্রলোভন মুক্ত থেকে নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে তার ফুলকপি প্রতীকে ভোট দেওয়ার অনুরোধ জানান। স্বতন্ত্র প্রার্থী বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন, সকলের নিকট গ্রহনযোগ্য পরিবেশ বজায় থাকলে ফুলকপির বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না- এ বিশ^াস আমি পোষণ করি। সরকার, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন নির্বাচনের দিন স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য পরিবেশ সুরক্ষা করবেন এ বিশ^াসে আমি বিশ^াসী। উঠান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সমাজসেবক আবুল কাশেম। আলোচনা করেন আলহাজ¦ মোহাম্মদ শাহীন আলম, আলহাজ¦ মোহাম্মদ সরোয়ার আলম, শামসুল আলম, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, সাহাবুদ্দিন, মোহাম্মদ শাহীন, সুমন চন্দ্র দাশ, রতন চন্দ্র দাশ, বাদল চন্দ্র দাশ, বিশ^জিত দাশ, কৃষ্ণ চৌধুরী, প্রকাশ চন্দ্র দাশ, জয় চন্দ্র দাশ, শুক্লা দাশ, শ্যামলী দাশ, ফেরদৌস রহমান । পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ¦ মোহাম্মদ মনজুর আলম তাঁর প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে আগত নানা শ্রেণি ও পেশার লোকজনের সাথে শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় করেন। এছাড়াও তিনি নির্বাচনী কার্যক্রমে সংশ্লিষ্টদের সাথে নীতিনির্ধারনী বৈঠক করেন।

জাতীয়

স্বতন্ত্র প্রার্থী মনজুর আলমের গণসংযোগ-১১নং দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ড

বিলেতের আয়না ডেক্স :- মোহাম্মদ মাসুদ স্বতন্ত্র প্রার্থী মনজুর আলমের গণসংযোগ-১১নং দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ড ১১নং দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ডে ফুলকপি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ মনজুর আলমের গণসংযোগ চট্টগ্রাম ১০ নির্বাচনী এলাকার ফুলকপি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আলহাজ¦ মোহাম্মদ মনজুর আলম। ১ জানুয়ারী,সোমবার বিকাল থেকে তাঁর নির্বাচনী এলাকার ১১নং দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ডে গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক করেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ মনজুর আলম আব্দুরপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠের পথসভা থেকে গণসংযোগ শুরু করে আব্দুরপাড়া ঘুরে ফইল্যাতলী বাজার এলাকা হয়ে সাবেক মন্ত্রী ডা. মো. আফসারুল আমীনের বাড়ির পাড়ায় গণসংযোগকালে সাবেক মন্ত্রীর কবর জেয়ারত করেন। গণসংযোগ সমাপ্তিতে তিনি সাগরিকা রোড, ফৌজদার পাড়া পাঠানদের মাঠে উঠান বৈঠকে যোগদান করেন। পথসভা ও উঠান বৈঠকে সাবেক মেয়র ফুলকপি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ¦ মোহাম্মদ মনজুর আলম বলেন, আমি মানবতার সেবক। ৩০ বছর ধরে মানবসেবায় নিবেদিত আছি। আমি নির্বাচিত হলে আমার নির্বাচনী এলাকা একটি আদর্শ এলাকা হিসেবে পরিগণিত হবে। এই এলাকায় হানাহানি সংঘাতের কোন স্থান হবে না। কোনো ভেদাভেদ ছাড়া সুষম উন্নয়ন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে। এযাবত কালে আমি ১০৩টি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে স্থায়ীভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। মানবসেবার অংশ হিসেবে আমি সংসদ সদস্য পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। আমি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহযোগি হতে চাই, বেকারদের কর্মসংস্থান চাই। আমাকে ফুলকপি প্রতীকে ভোট দিন। নির্বাচিত হলে চট্টগ্রাম-১০ এলাকার রাস্তাঘাট, নালা-নর্দমা সংস্কারে অগ্রাধিকার দেবো। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন সবুজ এলাকায় পরিণত করবো। সর্বসাধারনের চলাচলের সুবিধার্থে সড়কবাতির ব্যবস্থা করা হবে। এলাকাবাসীর সুখ-শান্তি ও নিরাপদ জীবন ব্যবস্থায় আমি সচেষ্ট থাকবো। পথসভায় সভাপতিত্ব করেন মোহাম্মদ ফয়সাল। পথসভাসমূহে মতবিনিময় করেন বাবুল মেম্বার, নাসির উদ্দিন, ইসরাইল, নুর আহমদ, আব্দুল মালেক, মোহাম্মদ হোসেন, আব্দুল খালেক, জানে আলম, আব্দুল হাকিম, মোহাম্মদ হাছান, হাফেজ হোসেন, জসিম উদ্দিন, করিম উল্লাহ জাকির হোসেন খান, মোহাম্মদ সাইদুল, রাজন ধর, আব্দুল হালিম, রমজান আলী, সাত্তার, মোহাম্মদ ফিরোজ সহ অন্যরা। খিস্টীয় নববর্ষ উপলক্ষে সকালে সাবেক মেয়র আলহাজ¦ মোহাম্মদ মনজুর আলম তার নিজবাড়ি ও মোস্তফা-হাকিম কর্পোরেট অফিসে খতমে কোরানে পাক, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল আয়োজন করেন। তিনি মোনাজাতে শরীক হয়ে দেশ- জাতির কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।

জাতীয়

আরেকটা ৭ সমাগত অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আরেকটা ৭ সমাগত অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী পশ্চিমা জগতে এই বিশ্বাস দৃঢ়, তের সংখ্যাটি হলো দুর্ভাগ্যের প্রতীক আর সাত সংখ্যাটি সৌভাগ্যের প্রতীক। কাকতালীয়ভাবে বাঙালি জীবনে সাত সংখ্যাটাই সৌভাগ্যের বাহন হিসেবে প্রতীয়মান হয়েছে। প্রথমেই ১৯৫২ সাল দিয়ে শুরু করা যাক। এই সম্পর্কে সকলের কম বেশি জ্ঞান আছে। ’৫২-এর মাঝে (৫+২) = ০৭ সংখ্যাটি পাওয়া যায়। সত্যি বলতে কী বাঙালির মুক্তির অন্বেষার প্রথম সোপানটি বাঙালিরা ’৫২ সালেই অতিক্রম করে। এরপর ১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবরের কথা। পাকিস্তানের সেদিনের সেনা প্রধান জেনারেল আইয়ুব খান সেনা শাসন জারির মাধ্যমে সারা দেশের ক্ষমতা গ্রহন করে। এই ৭ অক্টোবরকে অনেকে ‘সমাপ্তির শুরুটা’ বলে মন্তব্য করে। বস্তুত, আইয়ুব খানের সেনা শাসনের শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে বাঙালির স্বাধিকার ও রাষ্ট্র-চিন্তা বিকশিত হতে থাকে। এই আইয়ুব খানের শাসনামলে তারই সুবেদার মোনেম খান পাকিস্তানিদের পদলেহীতার চূড়ান্ত রেকর্ড সৃষ্টি করে। এই সময় আইয়ুব খান গণতন্ত্রকে মৌলিকতা দিয়ে তথাকথিত মৌখিক গণতন্ত্রের প্রবর্তন করে। ১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবর থেকেই শেখ মুজিব সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পাকিস্তানের সাথে থাকা অসম্ভব ও অবাস্তব। ১৯৫৮ সাল থেকে শুরু করে ১৯৬৬ সালের মধ্যকার শ্বাসরুদ্ধকর দুটো ঘটনা হলো ভারতের কাশ্মীর ও পশ্চিম রনাঙ্গনে সশস্ত্র সংঘাত। সেদিন পাকিস্তানের পূর্বাংশ সম্পূর্ণ অরক্ষিতই ছিল। কারও কারৗ ধারণা ১৯৬৫ সালে ১৭ দিনের যুদ্ধে পাকিস্তান কাশ্মীরের আরও কিছু অংশ কব্জা করতে পারলে তারা তদানিন্তন পূর্ব পাকিস্তানকে ভারতের কাছে ছেড়ে দিয়ে একটা মীমাংসায় আসত। অপর ঘটনাটি হচ্ছে শেখ মুজিব কর্তৃক ৬ দফা প্রস্তাব পেশ। এই ৬ দফায় গণতন্ত্রের কথা ছিল, স্বায়ত্বশাসনের কথা ছিল; একই দেশে দুটো কারেন্সি বা দুই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কথা ছিল, যার যার বৈদেশিক মুদ্রা তার তার নিয়ন্ত্রণে ও ব্যবহারে বিধান রাখার কথা ছিল। আর ছিল যে কোনো একটি বাহিনীর প্রধান কার্যালয় পূর্ব পাকিস্তানে স্থানান্তরের সুষ্পষ্ট দাবি ও এক লাখের মতো একটি প্যারা-মিলিশিয়া বাহিনী গঠনের প্রস্তাব। এই সব প্রস্তাবের শেষ কথাটা ছিল স্বাধীনতা; তা জানত বলে পাকিস্তানিরা ৬ দফাকে মূলে নির্মূলের পদক্ষেপ নিয়েছিল। শেখ মুজিবের নিজের দলে বিভক্তি, প্রদেশও কেন্দ্রে শিখণ্ডিত দাঁড় করিয়ে কিংবা অস্ত্রের ভাষা ব্যবহার করে এই দাবিগুলোকে চোখের আড়ালে ঠেলে দেবার প্রদেশ ও কেন্দ্রীয় প্রচেষ্টা ছিল। এমনকি ৬ দফাকে সি-আইএর পরিকল্পনা ও কৃষক-শ্রমিক মেহনতি মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিপক্ষ বলেও প্রচারণা করা হলো। এত সবের পরও শেখ মুজিব ও তার দল দমে না যাওয়াতে শেষ পর্যন্ত আইয়ুব ও মোনেম জেল-জুলুম ও নির্যাতনের পথ গ্রহণ করে। সুবেদার মোনেম খান ঘোষণা দেন তিনি যতদিন ক্ষমতায় থাকবেন ততদিন শেখ মুজিবকে জেলের অভ্যন্তরে থাকতে হবে। ১৯৬৬ সালের প্রথম ভাগে লাহোরে ৬ দফা ঘোষিত হয়। শেখ মুজিব ঢাকায় ফিরে এসে পার্টি কংগ্রেসে ৬ দফাকে ‘আমাদের বাঁচার দাবি বলে’ ঘোষণা দিয়ে তা পাস করিয়ে নেন। তারপর থেকেই শুরু হয় জেল-জুলুম, হাজতবাস, একের পর এক গ্রেপ্তারি, মুক্তি, আর গ্রেপ্তার, আবার হাজতবাস, আবার মুক্তি, আবার গ্রেপ্তার। দেশের এক প্রান্ত হতে অপর প্রান্ত পর্যন্ত এই হয়রানিও নির্যাতনের স্টিমরোলার চলতেই থাকে। এতসবের পরও শেখ মুজিব অটলই রইলেন। যখন দেখা গেল সারা দেশ প্রায় জেগে উঠছে এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছে তখন প্রাদেশিক ও কেন্দ্রীয় সরকার শেখ মুজিবকে স্থায়ী ভাবে ১৯৬৬ সালের মে মাসে কারাগারে নিক্ষেপ করে। ৭ মে ছিল শেখ মুজিবের নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের শেষ দিন আর সশস্ত্র যুদ্ধ প্রস্তুতির শুভ সূচনা। একই সাথে ব্যাপক হারে আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের জেলে পুড়ে ফেলা হলো। এমন একটি মুহূর্তে শেষ ভরসা হিসেবে শেখ মুজিব গোপনে ও কৌশলে জেলে থেকেই ছাত্র ও যুবনেতাদের প্রতিবাদের নির্দেশ দিলেন। বিস্তারিত প্রস্তুতির পর ৭ জুন সারাদেশে হরতাল আহবান করা হলো। ব্যাপক সংখ্যায় ছাত্ররা এই আন্দোলনে সম্পৃক্ত হলেও যুব ও শ্রমিক নেতৃত্বের অংশগ্রহণ ছিল সীমিত। বস্তুত: শ্রমিক আন্দোলনকে যারা নিয়ন্ত্রণ করতেন তারা ছিলেন আইয়ুবদের স্বপক্ষে আর ৬ দফার বিপক্ষে। কিন্তু ৭ জুনের কতিপয় ঘটনায় বিশেষত: চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া একজন শ্রমিককে প্রকাশ্যে গুলি করায় তেজগাঁয়ের শ্রমিকরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। তাদের বিদ্রোহের খবর না জেনেও সারা দেশে বহু জায়গায় ছাত্র-শ্রমিকরা নিজ উদ্যোগে প্রবল আঘাত হানে এবং সারাদেশ সম্পূর্ণ অকেজো করে দেয়। এদেশে এধরনের হরতাল আগে কেউ কখনও দেখেনি। এই দিন মনু মিয়া, আবুলসহ সারা দেশে কমপক্ষে ১১ জন শ্রমিক জনতা নিহত হয়। সেদিনই বহু জায়গায় বহু গ্রেপ্তার ও হত্যার উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেদিনই বিক্ষুব্ধ- ছাত্র নেতারা বিকালে কার্জন হলে বসে স্বাধীনতার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। কার্যত: আর একটি সাত সংখ্যাই বাঙালির স্বাধীনতায় উত্তরণে আরেকটি সোপান তৈরি করে। তারপর ৭ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের সংখ্যা-গরিষ্ঠতা অর্জন, ৭ মার্চ ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু উদাত্ত ঘোষণা ও আহবান ২৫ মার্চ রাতে (২+৫ = ০৭) স্বাধীনতার ঘোষনা এবং ১৬ (১+৬ = ০৭) ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে বিজয় অর্জন। মনে হচ্ছে সবই ৭ এর খেলা। দুঃখের বিষয় ৭ জুন সম্পর্কে অবগতদের সংখ্যা হাতে গোনা কয়জন মাত্র। সেদিন পিকেটিংয়ের সময় পুলিশ আমার মাথা লক্ষ্য করে গুলি করেছিল। আবদুর রাজ্জাক হাইকোর্টের সামনে আমাকে সজোরে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে না দিলে আমার মাথার খুলি উড়ে যেত। সেদিনই পড়ন্ত বেলায় নূরে আলম সিদ্দিককে মনু মিয়ার রক্ত মাখা সার্ট নিয়ে ফজলুল হক হলে উপস্থিত দেখেছিলাম। বিকালে অবশ্য ছাত্র ইউনিয়নের নেত্রী মতিয়া চৌধুরী কার্জন হলে এসে আমাদের সাথে সংহতি প্রকাশ করেছিলেন। সেদিনই আমরা স্বাধীনতার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি এবং বাংলাদেশ লিবারেশন ফ্রন্ট (বি এল এফ বা পরবর্তীতে মুজিব বাহিনী)-কে পূর্ণগঠনের জন্য বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নেয়া হয়। এরপর আমরা আর একবারও পিছু টান অনুভব করিনি। ছয় দফার সবকটি দফাকে ১১ দফার একটি দফায় সন্নিবেশিত করে আমরা আইয়ুবের বিরুদ্ধে গণজোয়ার সৃষ্টি করি যার ফলে শেষ মুজিবসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আনীত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা পরিত্যক্ত হয়, আইয়ুব মোনায়েমের পতন ঘটে। ইয়াহিয়া খান পুরোনো রঙ্গমঞ্চে নবরূপে আবির্ভূত হন। ছাত্র, যুবা ও রাজনৈতিক দল বিশেষত: আওয়ামী লীগের প্রচণ্ড ও প্রখর আন্দোলনে ইয়াহিয়া নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়। ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বরের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু ও তার দল আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতাসহ যে কোনো প্রক্রিয়ায় স্বাধীনতা অর্জনের ম্যান্ডেট পেয়ে যায়। বঙ্গবন্ধুর লক্ষামুখী ও কৌশলী পদক্ষেপে ২৬ মার্চ আমরা স্বাধীনতা অর্জন করি এবং ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশকে শত্রুমুক্ত করি। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আমরা উন্মুখ হয়ে আছি ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি কী হবে, তা দেখতে। আমরা তো ৭ তারিখকে শুভ দিন ধরেই জেনে আসছি। আমাদের আজও কামনা এটাই। আমাদের শুভবুদ্ধির কারণেই দিনটির আদি চরিত্র ধরে রাখা সক্ষম হবে বিশ্বাস করছি। অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী : বীর মুক্তিযোদ্ধা, বরেণ্য শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবী।

জাতীয়

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রচার প্রচারণা শেষ।

বিলেতের আয়না :- মাহমুদুর রহমান দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রচার প্রচারণা শেষ। সারাদেশে উৎসবমুখর পরিবেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের জমজমাট নির্বাচনী প্রচার শেষ হচ্ছে আজ। আর মাত্র একদিন পরই বহুল কাঙ্ক্ষিত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন, যে নির্বাচন নিয়ে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মহলের ছিল অনিশ্চয়তা ও সংশয়। বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল নির্বাচন প্রতিহত করার হুমকি দিলেও সকল আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে নির্বাচন কমিশন, সরকারের প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বাত্মক চেষ্টায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। বিএনপিসহ কিছু রাজনৈতিক দল না আসায় এবার নির্বাচন জমজমাট হবে না বলে বিভিন্ন মহলের আশঙ্কা থাকলেও তা উড়িয়ে দিয়ে প্রতিটি সংসদীয় এলাকায়ই নির্বাচন জমে ওঠে। প্রার্থীরা দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকা চষে বেড়িয়েছেন। পাড়া-মহল্লা বাসা বাড়ি বাড়ি গিয়ে হাসিমুখে ভোট প্রার্থনা করছেন। মা-বোনসহ মুরব্বিদের দোয়া নিয়েছেন। কে কার চেয়ে প্রচারে এগিয়ে থেকে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন সেজন্য চলেছে তীব্র প্রতিযোগিতা। তবে প্রকাশ্যে এ প্রতিযোগিতা আজ শুক্রবার সকাল ৮টায় শেষ হয়ে যাচ্ছে। ১৫ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার পর থেকেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে তৎপর হয় ওঠে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সম্ভাব্য প্রার্থীরা। রাজপথের বিরোধী দল বিএনপিসহ বেশ কটি দল এ নির্বাচনে অংশ না নিলেও নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধিত ৪৪টি দলের মধ্যে ২৮টি দল অংশ নেয়। এ ছাড়া অংশ নেন অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থী। আগে থেকেই নীরব গণসংযোগ করলেও ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সরাসরি ভোটের মাঠে সরব হয়ে পড়েন প্রার্থীরা। সেই সঙ্গে তাদের দলের নেতাকর্মী, সমর্থক ও স্বজনসহ সংশ্লিষ্ট সবাই প্রকাশ্যে মাঠে সক্রিয় হন। অনেক প্রার্থী দিনরাত বিরামহীন বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থক সঙ্গে নিয়ে শোডাউন করে পাড়া-মহল্লায় প্রতিদিন গণসংযোগ করেন। এর ফলে সরগরম হয়ে ওঠে প্রতিটি সংসদীয় এলাকা। প্রার্থীদের ছবি ও প্রতীক সংবলিত পোস্টরে পোস্টারে ছেয়ে যায় অলি-গলি ও রাজপথ। বাড়ি-বাড়ি ও ঘরে ঘরে গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময়, সভা-সমাবেশ ও মিছিলের পাশাপাশি মাইকিং করেও চলে ভোট প্রার্থনা। তাই সারাদেশে নির্বাচন উৎসবমুখর হয়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু করে সারারাত বিরামহীন ভোট প্রার্থনার পর আজ শুক্রবার সকাল ৮টায় আনুষ্ঠানিক ভোটের প্রচার শেষ হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া সময় অনুসারে শুক্রবারে সকাল ৮টার পর আর নির্বাচনী প্রচার চালানো যাবে না। তারপরও বিভিন্ন কৌশলে নীরব প্রচার চলবে ৭ জানুয়ারি ভোট শুরুর আগ পর্যন্ত। দেশের বিভিন্ন এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ উপেক্ষা করেই গণসংযোগ, মিছিল, মিটিং ও মাইকিং, পোস্টারিংসহ বিভিন্নভাবে ভোটের প্রচার চালিয়েছেন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। প্রভাবশালী প্রার্থীদের পক্ষে এলাকার গণ্যমান্য লোকজনও বিভিন্নভাবে নির্বাচনের প্রচারে কাজ করছেন। এছাড়া চলন্ত রিক্সা, সিএনজি, পিকআপ ভ্যান ও ট্রাকে মাইক লাগিয়ে কর্মী-সমর্থকরা বাদ্যের তালে তালে নেচে-গেয়ে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে প্রচার চালিয়েছেন। কোথাও কোথাও প্রার্থীদের পক্ষে তাদের স্বজনরা শীতবস্ত্র বিতরণসহ বিভিন্নভাবে শীতার্ত মানুষদেরকে সাহায্য সহযোগিতা করেছেন। এদিকে বিএনপি নির্বাচনে না এলেও অর্ধশতাধিক আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা অংশ গ্রহণ করেছেন। তৃণমূল বিএনপি, সোনালী আশ, জাতীয় পাটি লাঙ্গল, আওয়ামী লীগ নৌকা, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ মশাল ও নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন।ওর্য়াকার্স পাটি নৌকা ও কাস্তে প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছে।১৪ দলীয় ঐক্যজোটের কেউ কেউ নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন অংশ গ্রহণ করেছেন।ইসলামী ঐক্য জোট, সাংস্কৃতিক ইসলামিক আন্দোলন তরিকত ফেডারেশন, জমিয়ত ইসলাম মিনার প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন।সর্বমোট ২৮ টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন। ঈগল ট্রাক ও মশাল,কাস্তে , নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সহ শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকায় নৌকা ও লাঙ্গলের প্রার্থীদের রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়। তাই ভোটের প্রচারের শুরুর দিন থেকে দিনরাত দৌড়ঝাঁপ করেও তাদের যেন স্বস্তি নেই। নৌকা ও লাঙ্গলের প্রার্থীরা নিজ নিজ দলের অধিকাংশ নেতাকর্মীর সমর্থন পেলেও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা যে যে দলের সমর্থক সে দলের একাংশের সমর্থন পাওয়ার পাশাপাশি যেসব দল নির্বাচনে অংশ নেয়নি সেসব দলের নীরব সমর্থন পায়। এ কারণে অনেক আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নৌকা লাঙ্গলের হেভিওয়েট প্রার্থীদের জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী প্রায় ২০ জন তাঁরা নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়েছেন।তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি ও পদপ্রার্থী নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি নির্বাচন থেকে সরে দাড়িছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি সমর্থন দিয়ে। স্বাধীনতা জামায়াত বিএনপি চক্র কোন অবস্থায় রাষ্ট্র ক্ষমতায় না আসতে পারে। বিভিন্ন এলাকায় ভোটের প্রচার চালাতে গিয়ে হেভিওয়েট প্রার্থীরা প্রতিদিনই শোডাউন করেছেন। বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থক নিয়ে একেক সময় একেক এলাকায় গিয়ে গণসংযোগ করেছেন। পথসভা ও মতবিনিময় করে যাচ্ছেন।বিভিন্ন মিটিং এ অংশ গ্রহণ করে যাচ্ছেন । এ সময় এলাকাবাসীর সঙ্গে হাত মেলানোর পাশাপাশি কোলাকুলি করে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। চেয়েছেন ভোটসহ সার্বিক সহযোহিতা। এ সময় ভোটাররা প্রার্থীদের কাছে বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন। প্রার্থীরাও ভোটে নির্বাচিত হলে এলাকাবাসীর সঙ্গে থেকে এসব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবেন বলে তাদের আশ্বাস দিয়েছেন। ভোটের প্রচারের সময় প্রতিটি রাজনৈতিক দল দেশ ও জনগণের স্বার্থে এলাকার উন্নয়নের কথা বলার পাশাপাশি বিভিন্ন দর্শন তুলে ধরেছেন।কোন কোন রাজনৈতিক দল নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন।স্বতন্ত্র প্রার্থীতা ও তাদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও নিজ নিজ সীমাবদ্ধতায় থেকে নির্বাচিত হলে কি কি করবেন তা তুলে ধরেছেন। প্রত্যেক প্রার্থীরা ভোটের প্রচারকালে এলাকাবাসীর কাছে লিফলেট বিতরণ করেছেন। এসব লিফলেটে প্রার্থীর যোগ্যতা ও এলাকার বিভিন্ন সমস্যা ও তার সমাধানের উপায় সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করেছেন। প্রার্থীদের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও সকল প্রার্থীর স্বজনরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছেন। আওয়ামী লীগের পদপ্রার্থীরা ক্ষমতাশীন দলের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের চিত্র তুলে ধরেছেন। পদ্মা সেতু, এলিভেটেড রেল সেতু, চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেল, পায়রা বন্দর, ছয়লেন,রাস্তা, চারলেন রাস্তাসহ অবকাঠামো উন্নয়ন অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে ভোট প্রার্থনা করেছেন। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মী ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের সঙ্গে সঙ্গেই দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে প্রচার শুরু করেন। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে সিলেট থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন। সেখানে জনসভায় বক্তব্যও রাখেন তিনি। এ ছাড়াও বিভিন্ন জেলায় গিয়ে জনসভা করে দলের জন্য ভোট প্রার্থনা করেছেন শেখ হাসিনা। ভার্চুয়ালী বিভিন্ন জেলায় বক্তব্য দিয়ে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রেখেছেন। নিজের দলের পাশাপাশি ডামি প্রার্থী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করার মতামত দিয়েছেন। দলের নেতৃবৃন্দরা যে কোন প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনে প্রচারে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন।দল থেকে কাউকে বহিষ্কার করা হবে না। তিনি সর্বশেষ জনসভা করেছেন নারায়ণগঞ্জে। সভা-সমাবেশ, মিছিল, স্লোগান ও মাইকিং এই উপমহাদেশের নির্বাচনের প্রচারে একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। তাই সকল প্রার্থীই তা অনুসরণ করেন। প্রতিদিন প্রার্থী ও তাদের কর্মী সমর্থকরা শোডাউন করে মিছিল, মিটিং ও স্লোগান নিয়ে সরব থাকায় সারাদেশে ব্যাপক নির্বাচনের আমেজ সৃষ্টি হয়। তবে প্রার্থীদের নির্বাচনের প্রচারের সময় আচরণবিধি ভঙ্গ করার বিষয়টির দিকেও কঠোর দৃষ্টি রাখে নির্বাচন কশিমন। প্রতিটি এলাকায় ইসির দায়িত্বরত ইসি কর্মকর্তা, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ বিষয়ে অধিকতর তৎপর থাকায় আচরণবিধি ভঙ্গের বিষয়টি এবার  কোনো প্রার্থী এড়িয়ে যেতে পারেনি। তিন শতাধিক প্রার্থীকে শোকজ নোটিস করে নির্বাচন কমিশন। হেভিওয়েট প্রার্থীরাও ইসি কার্যালয়ে গিয়ে আচরণবিধি ভঙ্গের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে রেকর্ড সংখ্যক অর্থাৎ ২ হাজার ৭১৬ জন

জাতীয়

ফাউল করে লাল কার্ড খেয়ে বিএনপি পালিয়ে গেছে – ওবায়দুল কাদের।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ফাউল করে লাল কার্ড খেয়ে বিএনপি পালিয়ে গেছে – ওবায়দুল কাদের। ফাউল করে লাল কার্ড খেয়ে বিএনপি পালিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, লাল কার্ড খেয়ে পালানো বিএনপি এখন অপেক্ষা করছে আটলান্টিকের ওপার থেকে কখন স্যাংশন আসবে। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে ছাত্রলীগের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ঢাবির অপরাজেয় বাংলায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগকে স্যাংশনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি অপেক্ষা করছে আটলান্টিকের ওপার থেকে স্যাংশন আসবে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আটলান্টিকের ওপারের স্যাংশন ভয় পায় না। তিনি এসব নিষেধাজ্ঞায় তোয়াক্কা করেন না।’ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে চরিত্রবানদের রাজনীতিতে আসার বিষয়ে তাগিদ দেন সেতুমন্ত্রী। বলেন, ভালো মানুষ না এলে রাজনীতিতে শূন্যতা তৈরি হবে। দেশ ভালো লোকদের হাতে থাকলে দেশ ভালো থাকবে। এজন্য রাজনীতিতে চরিত্রবানদের আসতে হবে। খারাপ লোকের হাতে ক্ষমতা গেলে দুঃশাসন অনিবার্য। ‘সাধারণ ছেলেমেয়েদের বুঝাতে হবে, ভালো লোকদের হাতে থাকলে দেশেল ভালো হবে। খারাপ লোকদের হাতে থাকলে ভালো লোকের নাশ রাজনীতি মূল্যহীন হয়ে যাবে। রাজনীতিতে মেধাবীদের আসতে হবে। তা না হলে দেশের রাজনীতি মেধাশূন্য হয়ে যাবে। চরিত্রবানরা রাজনীতি আসতে হবে, না হয় রাজনীতি চরিত্রহীন হয়ে যাবে।’-বলেন সেতুমন্ত্রী। নেতৃত্বের গুণাবলী অর্জনে গুরুত্বারোপ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গদবাঁধা মুখস্থ বক্তব্য করে নেতা হওয়া যাবে না। নেতা হতে নেতৃত্বের গুণাবলী অর্জন করতে হবে। ৭-৮ টা পর্যন্ত আওয়ামী লীগের অফিসে আড্ডা দেওয়ার দরকার নেই। পড়াশোনা কর। যতই পড়বে ততই শিখবে। নেতৃত্বের কোয়ালিটি অর্জন করতে হবে। পড়াশোনা করতে হবে।

জাতীয়

৩০ সিট পাওয়ার পর থেকে বিএনপি নির্বাচন ভয় পায়

বিলেতের আয়না ডেক্স :-৩০ সিট পাওয়ার পর থেকে বিএনপি নির্বাচন ভয় পায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্তব্য করে বলেছেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে ৩০ সিট পয়ে হেরে যাওয়ায় বিএনপি নির্বাচনে আসতে ভয় পায়। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের ইসদাইর এলাকায় শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা ১৫ বছর সরকারে আছি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আমরা জয়লাভ করেছিলাম। সেবার বিএনপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় ঐক্যজোট আর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আমাদের মহাজোট ছিল। সেই নির্বাচনে শুধুমাত্র নৌকা মার্কায় আওয়ামী লীগ পেয়েছিল ২৩৩টি সিট। আর বিএনপি পেয়েছিল মাত্র ৩০ সিট। বাকিগুলো আমাদের যারা জোটে ছিল তারা পেয়েছিল। তারপর থেকে বিএনপি আর নির্বাচনে আসতে চায় না। তারা ভয় পায়। শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচন বন্ধ করার জন্য ২০১৩ থেকে তারা অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করে। তিন হাজারের ওপর তারা মানুষ পুড়িয়েছে। তার মধ্যে ৫০০ মানুষ মারা গেছে। তিন হাজার আটশ’র বেশি গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। জ্বালাও-পোড়াও, মানুষ খুন এটাই হচ্ছে বিএনপির একমাত্র গুণ। এটাই তারা পারে। আর কিছু পারে না। মানুষকে কিছু দিতে পারে না। এর আগে, বিকেল সোয়া ৩টার দিকে শহরের একেএম শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে জনসভাস্থলে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জনসভাস্থলে পৌঁছালে নেতাকর্মীরা তাকে স্লোগানে স্লোগানে বরণ করে নেন। প্রধানমন্ত্রীও হাত নেড়ে উপস্থিত জনতাকে শুভেচ্ছা জানান। প্রধানমন্ত্রী বিকেল পৌনে ৪টায় বক্তব্য শুরু করেন। বক্তব্য চলাকালে আসরের আজান শুনে বিরতি দেন তিনি, আজান শেষ হলে ফের বক্তব্য শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। দলীয় সূত্র জানায়, সর্বশেষ ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ শহরের ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামে নির্বাচনী জনসভায় এসেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

জাতীয়

আগামী ৬-৭ জানুয়ারী বিএনপি হরতালের ডাক দিয়েছে।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আগামী ৬-৭ জানুয়ারী বিএনপি হরতালের ডাক দিয়েছে। দেশব্যাপী আগামী ৬ ও ৭ জানুয়ারি সর্বাত্মক হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ৬ জানুয়ারি (শনিবার) ভোর ৬টা থেকে ৮ জানুয়ারি (সোমবার) ভোর ৬টা পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টার হরতাল পালন করবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। এ ছাড়া ৫ জানুয়ারি শুক্রবার মিছিল ও গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করবে তারা।

জাতীয়

ভুল-ভ্রান্তি হলে ক্ষমাসুন্দর চোখে দেখবেন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ভুল-ভ্রান্তি হলে ক্ষমাসুন্দর চোখে দেখবেন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চলার পথে যদি কোন ভুল-ভ্রান্তি করে থাকি, তাহলে আপনারা ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখবেন। আবার সরকার গঠন করতে পারলে, ভুলগুলি শোধরাবার সুযোগ পাব। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এ ভাষণ দেন তিনি। ভাষণের শুরুতেই দেশবাসীকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুলভোটে বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ’৭৫-পরবর্তী সময়ে চতুর্থবারের মত সরকার গঠন করে অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে বর্তমান মেয়াদ শেষ করতে যাচ্ছে। আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আজকে আপনাদের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চাইতে হাজির হয়েছি। এই উন্নয়নকে টেকসই করা, আপনাদের জীবনমান উন্নত করা, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত স্মার্ট সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ চাই।’ সংসদ নির্বাচনের চলমান প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত না করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র ও আইনের শাসনে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলসমূহ এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতি অনুরোধ, সাংবিধানিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয় এমন কোন উদ্ভট ধারণাকে প্রশ্রয় দেবেন না এবং ইন্ধন যোগাবেন না।’ সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রত্যাশা করছি। এই প্রথম বাংলাদেশে আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে আর্থিকভাবে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা নির্বাচন কমিশনের অধীনে ন্যাস্ত করা হয়েছে। আমাদের সরকার সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।’ ভাষণের শেষ পর্যায়ে নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন। আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। এই দীর্ঘ চলার পথে যতটুকু অর্জন, তার সবটুকুই আপনাদের অবদান। আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া এ অর্জন করা সম্ভব হতো না। চলার পথে যদি কোন ভুল-ভ্রান্তি করে থাকি, তাহলে আপনারা ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখবেন—এটাই আমার আবেদন। আবার সরকার গঠন করতে পারলে, ভুলগুলি শোধরাবার সুযোগ পাব। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিন।’

Scroll to Top