জানুয়ারি ৩, ২০২৪

জাতীয়

জাপানে দুই বিমানের সংঘর্ষে নিহত ৫

বিলেতের আয়না ডেক্স :- জাপানে দুই বিমানের সংঘর্ষে নিহত ৫ জাপানের রাজধানী টোকিওর হানেদা বিমানবন্দরের রানওয়েতে যাত্রীবাহী বিমানের সাথে সংঘর্ষে দেশটির উপকূলরক্ষী বাহিনীর এক বিমানের অন্তত পাঁচ আরোহী নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে জাপান এয়ারলাইন্সের বিমানের সাথে উপকূলরক্ষী বাহিনীর বিমানের সংঘর্ষে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটেছে। টোকিও পুলিশের বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সম্প্রচারমাধ্যম এনএইচকে দুই বিমানের সংঘর্ষের ঘটনায় প্রাণহানির এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। এর আগে, সন্ধ্যার দিকে হানেদা বিমানবন্দরের রানওয়েতে অবতরণ করার সময় ৩০০ জনের বেশি যাত্রীকে বহনকারী জাপান এয়ারলাইন্সের বিমানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। জাপান এয়ারলাইন্সের বিমানটি অবতরণের সময় রানওয়েতে থাকা উপকূলরক্ষী বাহিনীর বিমানের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে জাপান এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী বিমানে আগুন ধরে যায়। দেশটির উপকূলরক্ষী বাহিনী বলেছে, তাদের বোম্বার্ডিয়ার ড্যাশ-৮ বিমানে মোট ছয় কর্মকর্তা ছিলেন। তারা ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত নোটো উপদ্বীপে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিগাতা বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছিলেন। তাদের মধ্যে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া অপরজন গুরুতর আহত হয়েছেন। এনএইচকের প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, রানওয়েতে দাঁড়িয়ে থাকা বিমানের সাথে সংঘর্ষের পরপরই জাপান এয়ারলাইন্সের বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। এ সময় বিমানের জানালা দিয়ে আগুনের লেলিহান শিখা ও ধোঁয়ার কুণ্ডলী বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। এই ঘটনায় বিমানের পাশাপাশি হানেদা বিমানবন্দরের রানওয়েতেও আগুন ধরে যায়। এনএইচকে বলেছে, আগুন ধরে যাওয়া জাপান এয়ারলাইন্সের জেএএল-৫১৬ ফ্লাইটটি হোক্কাইডো বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করেছিল। পরে সেটি হানেদা বিমানবন্দরে অবতরণের সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, হানেদা বিমানবন্দরের রানওয়েতে অবতরণ করা জাপান এয়ারলাইন্সের বিমানে আগুন ছড়িয়ে পড়ার পর প্রায় দুই ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে। বিমানবন্দরের অগ্নিনিরাপত্তা কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক তৎপরতা চালালেও এখনও বিমানটি জ্বলছে। জাপান এয়ারলাইন্সের একজন মুখপাত্র ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, হোক্কাইডোর শিন চিটোসে বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় ৩০০ জনের বেশি যাত্রীকে নিয়ে যাত্রা করেছিল জেএএল-৫১৬। হানেদা বিমানবন্দরে বিমানটির অবতরণের সময় নির্ধারিত ছিল ৫টা ৪০ মিনিট। এদিকে, জাপান এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বিবিসি বলছে, হানেদা বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের শিকার জাপান এয়ারলাইন্সের ওই বিমানে ৩৭৯ জন যাত্রী ও ক্রু ছিলেন। তাদের সবাইকে উদ্ধার করা হয়েছে।

জাতীয়

নৌকা মার্কায় ভোট দিলেই উন্নয়নশীল দেশ গড়তে পারব – প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- নৌকা মার্কায় ভোট দিলেই উন্নয়নশীল দেশ গড়তে পারব – প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের এখন উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। এই দেশ গড়ে তুলতে হলে কাকে দরকার? আপনারা বলেন। কে ক্ষমতায় থাকলে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ গড়ে উঠবে? একমাত্র নৌকা মার্কা, নৌকা মার্কা যদি ভোট পায়, শুধুমাত্র নৌকা মার্কা ভোট পেলেই আমি সরকারে আসতে পারব। আর উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়তে পারব। বাংলাদেশ কখনো পিছিয়ে যাবে না। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বিকেলে ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, আজকে আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। প্রতি বছরই নির্বাচনের আগে আসি। আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে আমি আমাদের প্রার্থীদের আপনাদের কাছে পরিচয় করিয়ে দিতে এসেছি। নৌকা মার্কায় ভোট চাইতে আজকে আমি আপনাদের মাঠে এসে হাজির হয়েছি। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু তার জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য। তিনি আজীবন সংগ্রাম করে, জেল-জুলুম সহ্য করে এই দেশকে স্বাধীন করেন। এমনকি এই ফরিদপুর জেলেও তিনি বন্দি ছিলেন। দেশ আজ স্বাধীন। জাতির পিতা যে মুহূর্তে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। এরপর আমরা যখন স্বাধীন হই তখন আন্তর্জাতিক চাপে তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। ১০ জানুয়ারি তিনি ফিরে এসে একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পেয়েছিলেন। রাস্তা-ঘাট নেই, স্কুল কলেজ মসজিদ মন্দির সবই ভাঙা। এই দেশে যুদ্ধকালীন সময়ে কোনো ফসল হয়নি। গোলায় এক ফোঁটা ধান নেই, কারণ পাকিস্তানিরা আগুন দিয়ে গ্রামের পর গ্রাম আগুন দিয়ে ছাড়খাড় করে দিয়েছিল। কোনো কারেন্সি নোট ছিল না, একটা পয়সাও রিজার্ভ মানি ছিল না। শেখ হাসিনা বলেন, শূন্য হাতে ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে জাতির পিতা যাত্রা শুরু করেন। বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ৯২ ডলার। ওই অবস্থা থেকে মাত্র ৩ বছর সাত মাসের ব্যবধানে এই বিধ্বস্ত দেশে তিনি রাস্তা-ঘাট, স্কুল-কলেজ, মাদরাসা, রেল গড়ে তোলেন। দেশ যখন উন্নয়নের দিকে ধাবিত হয় তখন নেমে আসে এক অমানিশার অন্ধকার। ৭৫ এর  ১৫ আগস্টে সেই দিন জাতির পিতা শেখ মুজিবসহ আমার পরিবারের অন্য সদস্যদের হত্যা করে ওই খুনিরা। যারা আমাদের স্বাধীনতা চায়নি। সাথে ছিল আমাদের কিছু বেঈমান মোনাফেক। সেদিন আমি ও আমার বোন দেশে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যাই। তখন রিফুইজি হিসেবে আমাদেরকে থাকতে হয়েছিল। তিনি বলেন, ৬ বছর পর ৮১ সালে বাংলাদেশে ফিরে আসার সুযোগ পাই। এই সমগ্র বাংলাদেশ আমি ঘুরে বেড়াই একটাই লক্ষ্য নিয়ে যে, এই বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করব। জাতির পিতা ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে সমুন্নত রেখে এই দেশের উন্নয়ন করব। আপনারা আমাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছেন বলেই আমি সরকার গঠন করতে পেরেছি। ২১ বছর পর ক্ষমতায় আসি। বিদ্যুৎ নাই, পানি নাই, দেশের মানুষের শিক্ষা নাই , চিকিৎসা নাই। প্রথমবার ক্ষমতায় এসেই খাদ্য উৎপাদন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করি। দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়। ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ থেকে আমরা ৪ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করি। স্বাক্ষরতার হার ৪৫ শতাংশ থেকে ৬৫ দশমিক ৫ ভাগে উন্নীত করি। মানুষ স্বস্তিতে বসবাস শুরু করে। আমরা এগিয়ে যাই। কিন্তু সেই সুখও বেশি দিন টেকে নাই। আমরা ৫ বছর ক্ষমতায় ছিলাম। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াতের ক্ষমতায় আসা মানে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, লুটপাট আর দুঃশাসন। এই দুঃশাসনে দেশ অচল হয়ে যায়। আসে ইমারজেন্সি। যদিও আমি বিরোধী দলে ছিলাম আমাকে আগে গ্রেপ্তার করে। আমি জাতির পিতার কন্যা কারও কাছে মাথা নত করি না, মাথা নত করব না। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসেছিল গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে। আমি গ্যাস বিক্রি করতে চাইনি বলেই ষড়যন্ত্র করে আমাকে ক্ষমতায় আসতে দেয়নি। তিনি বলেন,২০০৮ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এককভাবে ২৩৩টা সিটে জয়লাভ করে। আর এই বিএনপি বড় বড় কথা বলে,  লম্পঝম্প করে তারা পেয়েছিল মাত্র ৩০টা সিট। যে কারণে তারা ২০১৪ তে নির্বাচন করেনি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্য করে নিজেদের মধ্যে গোলমাল করে সরে যায়। আওয়ামী লীগ জনগণের সমর্থন নিয়ে ২০০৯ থেকে শুরু করে ২০২৩ পর্যন্ত ১৫ বছর ক্ষমতায় আছে। আমাদের দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা ২০০৮ এর ঘোষণা অনুযায়ী ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। প্রত্যেকটা মানুষের কাছে মোবাইল ফোন পৌঁছে দিয়েছি হাতে হাতে। ওয়াইফাই কানেকশন দিয়ে দিয়েছি, সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে আমরা ব্রডব্যান্ড সংযোগ দিয়েছি। বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট আমরা উৎক্ষেপণ করেছি। আমাদের ছেলেমেয়েদের জন্য প্রত্যেক স্কুলে আমরা কম্পিউটার ল্যাব করে দিচ্ছি, আমাদের যুবকদের জন্য কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার তৈরি করে সেখানে তাদেরকে আমরা ট্রেনিং দিচ্ছি, লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং, শেখো, কাজ করো এবং উপার্জন করো সেই লক্ষ্য নিয়ে। ছয় লাখ ৮৬ জন ফ্রিল্যান্সার দেশে বসে বিদেশের মুদ্রা উপার্জন করছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার সময় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি, অনলাইনে মিটিং করেছি। দেশের জন্য কাজ করেছি। যাদের জায়গা জমি নেই তাদেরকে আমি ঘর করে দিচ্ছি এমনকি ঢাকায় বস্তিবাসীদেরকে ফ্ল্যাট করে দিচ্ছি। প্রতিবন্ধী,বিধবা, বাবা-স্বামীর সংসারে ঠাই হয়নি এমন নারীদের ভাতা করে দিচ্ছি। কোভিড-১৯ যখন শুরু হয় তখন আমাদের সব কিছুর দাম বেড়ে গেছে। তখন দরিদ্র শ্রেণি যেন অভুক্ত না থাকে সেজন্য আমরা প্রায় ৫ কোটি পারিবারিক কার্ডের মাধ্যমে আমরা তাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। আমরা বিনা পয়সায় জানুয়ারির ১ তারিখে সমস্ত শিশুর হাতে বই দিয়েছি। প্রত্যেকটা স্কুলেই আমরা পর্যায়ক্রমিকভাবে কম্পিউটার ল্যাব আমরা করে দেব। সেই সাথে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের জন্য ১০৯টি হাইটেক পার্ক আমরা করে দিচ্ছি। সেখানে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ হচ্ছে, আমাদের ছেলে-মেয়েরা কাজ পাচ্ছে। শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের স্বাক্ষরতার হার যেটা আমি ৬৫ দশমিক ৫ এ রেখে গিয়েছিলাম, সেটা ২০০১ এ খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে কমিয়ে দিয়েছিল। অবশ্য কমিয়ে দেওয়ার কারণ আছে। কারণটা একটু বলতে চাই। একবার মেট্রিক পরীক্ষা দিয়েছিল খালেদা জিয়া। এইট পর্যন্ত পড়েছিল কিন্তু টেনেটুনে মেট্রিক পরীক্ষা দেয়। এই মেট্রিক পরীক্ষায় পাস করেছিল মাত্র দুইটা সাবজেক্টে। একটা হলো উর্দু আরেকটা হল অংক। এই অংক আর উর্দু ছাড়া আর সব কিছুতেই ফেল। অংক ভালো করে শিখেছিল কারণ ভালো করে টাকা গুনতে হয় তো। ক্ষমতায় থেকে দুর্নীতির মেলা টাকা বানানো সহজ। আর উর্দু কেন? কারণ তার মনে সব সময় ওই পাকিস্তান। ‘পেয়ারে পাকিস্তান, হামারা পেয়ার পাকিস্তান।’ এইটাই তার মনে থাকে। খালেদা জিয়ার কথা হচ্ছে সে যখন পাস করে নাই আমাদের ছেলেমেয়ে পাস করবে কেন। আমি স্বাক্ষরতার হার বাড়ালাম ৬৫ দশমিক ৫ ভাগে আর খালেদা জিয়া আবার ক্ষমতায় এসে সেটি ৪৫ ভাগে নামালো। আজকে আমাদের দেশের সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক ৮। ইনশাআল্লাহ সমস্ত ছেলেমেয়ে আজ স্কুলে যাচ্ছে মেয়েরা স্কুলে যাচ্ছে, শিক্ষক হিসেবে সর্বোচ্চ চাকরি পাচ্ছে। শিক্ষিত জাতি ছাড়া বাংলাদেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করা যাবে না। আর জাতির পিতা বলেছেন শিক্ষা বিনিয়োগ এটা কোনো খরচ নয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সব কিছুর উৎপাদন আমরা বাড়িয়েছি ডিম দুধ মাছ মাংস। এক্ষেত্রে আপনাদের কাছে একটা আবেদন থাকবে, ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ, স্যাংশন কাউন্টার স্যাংশন,

জাতীয়

নাশকতাকারীদের তথ্য দিলে পুরস্কার দেয়া হবে — আইজিপি।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- নাশকতাকারীদের তথ্য দিলে পুরস্কার দেয়া হবে — আইজিপি। পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নাশকতার কোনো আশঙ্কা নেই। কারো কাছে নাশকতার তথ্য থাকলে পুলিশকে জানান। কেউ নাশকতাকারীদের তথ্য দিলে তাকে পুরস্কার দেয়া হবে। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বিকেলে যশোর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার পুলিশ সুপারদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন- পুলিশের খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি (উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক) মঈনুল হক, যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদ্দারসহ খুলনা বিভাগের পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ। এসময় আইজিপি আরো বলেন, নির্বাচন উপলক্ষে বাংলাদেশ পুলিশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। কারো কাছে কোন নাশকতার তথ্য থাকলে পুলিশকে জানাতে পারেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কেউ কোন ধরনের অপতৎপরতা চালালে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদি কেউ আমাদের নাশকতাকারীদের তথ্য দেন, তাদের পরিচয় গোপন করে ২০ হাজার টাকা থেকে লাখ টাকা পুরস্কার দেয়া হবে। দেশবাসীকে নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদানের আহ্বান জানিয়ে আইজিপি বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ‘নির্বাচনের আগে ও পরে পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আপনারা নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে যাবেন। পুলিশ আপনাদের পাশে রয়েছে। ঝুঁকিপুর্ণ এলাকাগুলোতে টহল জোরদার করা হয়েছে।

Scroll to Top