জানুয়ারি ৩, ২০২৪

জাতীয়

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দিতে মাঠে নেমেছে সশস্ত্র বাহিনী।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দিতে মাঠে নেমেছে সশস্ত্র বাহিনী। বুধবার সকালে মাঠে তৎপরতা শুরু করেন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। ১০ই জানুয়ারি পর্যন্ত তারা মাঠে থাকবেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দিতে সশস্ত্র বাহিনী নিয়োজিত হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার আইএসপিআর জানায়, বুধবার থেকে সশস্ত্র বাহিনী মাঠে নামবে বলে জানায়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, সশস্ত্র বাহিনী ভোটগ্রহণের আগে, ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরে শান্তি-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দেশব্যাপী ৩ থেকে ১০ই জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন ও স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করবে। গতকাল দেশের বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সড়কে টহল দিতে দেখা যায়। সশস্ত্র বাহিনীর বাইরে নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ, র?্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও আনসার বাহিনীর সদস্যরাও মাঠে রয়েছে। গত ২৯শে ডিসেম্বর মাঠে নামে বিজিবি।  

জাতীয়

ভোট পর্যবেক্ষণের অনুমতি পেলেন ১৮৬ বিদেশি।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ভোট পর্যবেক্ষণের অনুমতি পেলেন ১৮৬ বিদেশি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের আগে-পরে পর্যবেক্ষণ করার জন্য ১৮৬ জন বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিককে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ১২৭ জন পর্যবেক্ষক আর ৫৯ জন বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের কর্মী। বুধবার (৩ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে। তবে নির্বাচনের আগে এ সংখ্যা কিছুটা কম বেশি হতে পারে বলেও উল্লেখ করেছেন তারা। আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন। নির্বাচন দেখতে দেশি ২০ হাজার ৭৭৩ জন পর্যবেক্ষককে অনুমোদন দিয়েছে ইসি। কেন্দ্রীয়ভাবে ৪০টি পর্যবেক্ষক সংস্থার ৫১৭ জন এবং স্থানীয়ভাবে ৮৪টি পর্যবেক্ষণ সংস্থার ২০ হাজার ২৫৬ জন ভোট পর্যবেক্ষণ করবে। জানা গেছে, পর্যবেক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের চারজন, যুক্তরাষ্ট্রের আইআরআই এবং এনডিআইর ১২ জন, সাউথ এশিয়া ডেমোক্রেটিক ফোরামের (এসএডিএফ) ছয়জন, দক্ষিণ কোরিয়ার এইচএল গ্রুপের একজন, এসএনএএস আফ্রিকার দুজন, মুসলিম কমিশন নেপালের দুজন যুক্তরাষ্ট্রের বিরনি ল পিএলএলসি-এর একজন, আফ্রিকা হাউজ লন্ডনের দুজন, বি স্ট্রাটেজিক পার্টনার’র (ব্রিটিশ) একজন, ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন অরগানাইজেশ’র (জাপান) একজন, মুতাশ ক্রিয়েট রিসার্চ’র (জাপান) একজন, ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের (ভারত) একজন, শ্রীংলকার মেম্বার অব পার্লামেন্ট একজন, অস্ট্রেলিয়ান এক রিসার্চার ও ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম’র যুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিক। এ ছাড়া জাপানের এক নাগরিক, মালদ্বীপের এসোসিয়েশন অফ ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ইলেকটোরাল লিং-এর তিনজন, ব্রিটিশ হাইকমিশন-ঢাকার ১০ জন, ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোমেটিক কো-অপারেটিভ অরগানাইজেশনের (থাইল্যান্ড) একজন, ভিটেম ফাউন্ডেশন পোল্যান্ডের একজন, রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন, ইন্টারন্যাশনাল পার্লামেন্টারিয়ানস কংগ্রেসে’র দুজন, আমেরিনিকান গ্লোবাল স্ট্র্যাটিজিস’র একজন, আমেরিকার একজন ব্যবসায়ী। অ্যাম্বাসি অব জাপানের ১৭ জন, আফ্রিকান ইলেকটোরাল অ্যালাইয়েন্সের ১২ জন, ব্রিটেনের পার্লামেন্টের দুজন, ভারতের এক নাগরিক, এসএনএএস আফ্রিকা’র একজন, নেপাল সরকার ও বিভিন্ন দলের পাঁচজন, নেপালের দীপেন্দ্র কন্ডেল ইনিশিয়েটিভ’র তিনজন, মালয়েশিয়ার তিন বিশিষ্টজন, দ্য গোল্ড ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজির তিন আমেরিকান, ইআরপি ট্রেডি লিমিটেড’র নরওয়ের এক জন, অ্যালায়েন্স ফর হিউম্যানিটি’র একজন ইরাকি, একজন কানাডিয়ান নাগরিক ও জিবিপি ইন্টারন্যাশনাল জার্মানির একজনও সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন। ৫৯ সাংবাদিকের মধ্যে রয়েছেন- আমেরিকার একজন, ইইউ রিপোর্টার, একজন বিট্রিশ, জার্মানির জুঙ্গে ফ্রেইহেট’র একজন, দি দিল্লি টেলিভিশন লিমিটেড’র ২ জন, জাপানের দি ইয়োমিরি সিমবান’র একজন, ভারতের আজকাল’র একজন, জাপানের কিওডু নিউজ’র একজন, ভারতের দি অ্যাসোসিয়েট প্রেস’র ৩ জন, ভারতের দি প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া’র ২ জন, জার্মানির এআরডি জার্মান রেডিও’র ২ জন ও ভারতের আনন্দ বাজার পত্রিকা’র একজন। জাপানের নাইকিই আইএনসি, জিজি প্রেস ও এনএইচকে (জাপান ব্রডকাস্টিং করপোরেশন) এর ৫ জন; নেপালের কেন্দ্রবিন্দু অনলাইন পিটিবি লিমিটেড’র একজন; ভারতের ডিএসটিভি দার্জিলিং-এর একজন, উত্তরবঙ্গ সংবাদ-এর একজন, দি টেলিগ্রাফ’র একজন, এএনআই’র একজন, এবিপি নিউজ’র ২ জন, আজকাল পাবলিশার্স লিমিটেডে’র একজন, এবিপি নেটওয়ার্ক’র ২ জন, এএনএম নিউজ প্রাইভেট লিমিটেড’র একজন ও জি মিডিয়া’র ২ জন; বিবিসি নিউজ (ভারতীয় ও আমেরিকান) ৪ জন; এরাইজ নিউজ’র এক বিট্রিশ; ফ্রান্সের প্যারিস লা মন্ডে’র একজন; সুইডিশ রেডিও-এর একজন; অ্যাজেন্সি ফ্রান্স প্রেস’র (এএফপি) ৭ জন; রয়টার্সের দুই ভারতীয়; আল জাজিরার এক ব্রিটিশ; অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনের একজন; চায়না গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্কে দুই ভারতীয়; এআরডি জার্মান টিভি’র এক ভারতীয়; কলকাতার সংবাদ প্রতিদিন’র একজন; দি ওয়াল কলকাতা’র একজন; ব্রিটিশ এক ফ্রিল্যান্সার ও বিলজিয়ান একজন সাংবাদিককে ভোট দেখার অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

জাতীয়

ভোট চুরি করলে জনগণ মেনে নেয় না : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ভোট চুরি করলে জনগণ মেনে নেয় না : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভোট চুরি করে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল খালেদা জিয়া, কিন্তু থাকতে পারেনি। ভোট চুরি করলে জনগণ মেনে নেয় না। তিনি বলেন, আন্দোলনের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়ার পতন ঘটে। ৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হয়। তারপর পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। কিন্তু ওদের শিক্ষা হয়নি। তাই ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে আবারও ভোট কারচুপি, ভোট চুরি, জনগণের ভাগ্য নিয়ে খেলা শুরু করে। তাদের দুঃশাসনের কারণে দেশে ইমার্জেন্সি (জরুরি অবস্থা জারি) হয়। বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে পাঁচটি জেলা ও একটি উপজেলার নির্বাচনী জনসভায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনে আমি যখন গ্যাস বিক্রি করতে রাজি হইনি, তখন ষড়যন্ত্রের শিকার হই। ক্ষমতায় আসতে পারিনি। গ্যাস বিক্রি করার মুচলেকা দিয়ে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসে। ক্ষমতায় এসেই তারা দুর্নীতি লুটপাত, জঙ্গিবাদ, বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা এবং আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের অকাট্য নির্যাতন শুরু করে। তাদের দুর্নীতি এমন পর্যায়ে চলে যায়, একদিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় আরেক দিকে তারেক, যে হাওয়া ভবন খুলে দুর্নীতির আখড়া গড়ে তোলে। ব্যবসা-বাণিজ্য সর্বক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করে। যার ফলে দেশে চরম অরাজকতার সৃষ্টি হয়। তারা জানত জনগণ তাদের ভোট দেবে না, প্রত্যাখ্যান করবে। তখন তারা এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার লিস্ট তৈরি করে। সেভাবে নির্বাচন করার প্রচেষ্টা নেয়। সেখানে তারা ব্যর্থ হয়। তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি ৩০০ আসনের মধ্যে ৩০টি সিট পেয়েছিল। আওয়ামী লীগ ২৩৩ সিটে জয়ী হয়। আর অন্য সিটগুলো আমাদের জোটের শরিকরা পেয়েছিল। শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০৮ সালে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ২০১৪ ও ২০১৮ সালেও জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকারে আসি। বাংলাদেশের ইতিহাসে ধারাবাহিকভাবে গণতন্ত্র এবং দেশের উন্নয়নের কাজ করার সৌভাগ্য আমাদের হয়। যার ফলে আজকের বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। তিনি বলেন, আমার যে লক্ষ্য স্থির করেছিলাম, আমরা বাংলাদেশকে উন্নত করব, বাংলাদেশের মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষার ব্যবস্থা করে দেব, আমরা কিন্তু সেই বিষয়ে যথেষ্ট অগ্রগতি লাভ করেছি। আজকে দারিদ্র্যের হার কমিয়ে ১৮ দশমিক ৭ ভাগে আমরা নামিয়ে এনেছি। মাথাপিছু আয় আমরা বৃদ্ধি করেছি। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি করেছি। হতদরিদ্রের হার ২৫.১ ভাগ থেকে ৫.৬ ভাগে নামিয়ে এনেছি। রাস্তাঘাট, পুল, ব্রিজ বাংলাদেশের ব্যাপকভাবে উন্নয়ন করা হয়েছে। মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টির জন্য বেসরকারিখাতকে উন্মুক্ত করে দিয়ে কর্মসংস্থান ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৯৬ সাল থেকে যেটা শুরু করেছিলাম সেটা আরো প্রসারিত করেছে। প্রতিটি বড় বড় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছি। প্রতিটি উপজেলায় ভোকেশনাল ট্রেনিং এবং কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা করেছি। সরকারপ্রধান বলেন, আমরা সারাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা করবো বলেছিলাম, আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ, এখন সবার হাতে মোবাইল ফোন আছে, ওয়াইফাই কানেকশন দিয়েছি। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ আমরা আমরা উৎক্ষেপণ করেছি। তিনি বলেন, দারিদ্র্যের হার কমানোর পাশাপাশি বেকারত্বের হারও কমিয়েছে। এখন বাংলাদেশে মাত্র ৩ শতাংশ বেকারত্ব হার। সবাই যদি উদ্যোগ নেয় তাহলে যে কোনো কাজ করতে পারে। আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার ফলে একটা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে আসতে পেরেছি। দুর্ভাগ্যের বিষয় বিএনপি-জামায়াতের চরিত্র হচ্ছে দুর্নীতি করা, মানুষ খুন করা। তারা অগ্নি সন্ত্রাস করে মানুষ খুন করে, এর চেয়ে জঘন্য কাজ আর কিছু হতে পারে না। ২০১৩-১৪ সালের যেমন করেছে ঠিক এ নির্বাচনের আগে ভয়াল রূপ নিয়ে তারা মানুষের সামনে হাজির। বিএনপির দুর্বৃত্তায়নের জবাব দিতে হবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে মানুষকে বিএনপির দুর্বৃত্তায়নের জবাব দিতে হবে। আপনার নৌকা ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করে এর জবাব দেবেন এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবেন। সেটাই আমরা চাই। বিভিন্ন জায়গায় আমাদের প্রার্থী আছে। আমরা নির্বাচনকে উন্মুক্ত করে দিয়েছি। আমার ভোট আমি দেবো যাকে খুশি তাকে দেব, এটা আমাদের স্লোগান। আপনারা আপনাদের পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোট দেবেন। তবে কোনোরকম গন্ডগোল আমি চাই না। আপনাদের সহনশীলতা দেখাতে হবে, কোনরকম দ্বিধাদ্বন্দ্ব যেন না থাকে। নির্বাচনে যার যার ভোট সে শান্তি মতো দেবে, সেই পরিবেশটা আমাদের রক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে এই নির্বাচনটা বাংলাদেশের জন্য একান্তভাবে জরুরি। কারণ বাংলাদেশ নিয়ে অনেকে অনেক রকম খেলা খেলতে চায়। যারা স্বাধীনতার চেতনা বিশ্বাস করে না, জয় বাংলা স্লোগান যারা নিষিদ্ধ করে দেয়, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যারা ধ্বংস করে, তারা দেশটা কি ধ্বংস করবে। এ দেশে মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলবে। কাজে এদেশে মানুষ ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেটা আমাদের লক্ষ্য। তিনি বলেন, মানুষ তার ইচ্ছামতো ভোট দেবে, এখানে কেউ কাউকে বাধা দিতে পারবে না। কোনোরকম সংঘাত আমি চাই না। আমি চাই এটা একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। যা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে মাইলফলক করে থাকবে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অগ্রযাত্রা সুগম হবে। ইনশাল্লাহ ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আমরা সফল। জনতার জয় হবে। এসময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয়

গণঅধিকার থেকে রেজা কিবরিয়ার পদত্যাগ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- গণঅধিকার থেকে রেজা কিবরিয়ার পদত্যাগ। গণঅধিকার পরিষদের (একাংশ) আহ্বায়ক ও দলীয় সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করেছেন রেজা কিবরিয়া। বুধবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এই তথ্য জানিয়েছেন। গণঅধিকারের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব ফারুক হাসান মানবজমিনকে প্রেস বিজ্ঞপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। বিজ্ঞপ্তিতে রেজা কিবরিয়া বলেন, আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমি গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করছি এবং আমার পদত্যাগ পত্র কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ বরাবর জমা দিয়েছি। এ ছাড়া আমি গণঅধিকার পরিষদের দলীয় সদস্যপদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছি। দলের যুগ্ম আহ্বায়ক জনাব কর্নেল (অব) মিয়া মসিউজ্জামনকে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করছি। রেজা কিবরিয়া বলেন, দলের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আমি গণঅধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দের প্রতি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। তিনি ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ছেড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে যোগ দেন এবং ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে গণঅধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। বিজ্ঞপ্তিতে রেজা কিবরিয়া বলেন, বাংলাদেশে যারা গণতন্ত্র, সামাজিক ন্যায়বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে তিনি তাদের সঙ্গে কাজ করে যাবেন। রেজা কিবরিয়ার পদত্যাগের বিষয়ে ফারুক হাসান বলেন, ভালো খবর আছে, আপনাদের অপেক্ষা করতে হবে। এই মুহূর্তে বলতে চাচ্ছি না। তবে তিনি গণঅধিকারেই থাকবেন।  

জাতীয়

ইরানে জোড়া বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়ালো।  

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ইরানে জোড়া বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়ালো।   মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত ইরানের জেনারেল কাসেম সোলাইমানির মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে জোড়া বিস্ফোরণে নিহেতর সংখ্যা বেড়ে ১০৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় ১৭০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। আজ বুধবার দুপুর ৩টার দিকে ইরানের কেরমান প্রদেশে এ ঘটনা ঘটেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়, ইরানের কেরমান প্রদেশের জরুরি সেবার প্রধান মোহাম্মদ সাবেরি বিস্ফোরণে ১০৩ জন নিহতের খবর দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। আজ কাসেম সোলাইমানির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে হাজার হাজার মানুষ কেরমানের ‘শহীদ গুলজার’ কবরস্থানের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে ওই বিস্ফোরণ ঘটে। কাসেম সোলাইমানিকে ওই কবরস্থানে দাফন করা হয়েছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, প্রথম বিস্ফোরণটি হয়েছিল শহীদ সোলাইমানির মাজার থেকে ৭০০ মিটার দূরে। দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি হয় মাজার থেকে এক কিলোমিটার দূরে। বিস্ফোরণের ভয়ানক শব্দ শুনে ‘শহীদ গুলজার’-এর দিকে জিয়ারতের জন্য যাওয়া যাত্রীরা দ্রুত রাস্তা ছেড়ে দেয়, যাতে অ্যাম্বুলেন্সগুলো বিস্ফোরণস্থলের দিকে যেতে পারে।

জাতীয়

গুজবের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- গুজবের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশের নেতারা  প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সাংবাদিক সমাজকে যে কোনো গুজব ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। আজ বুধবার সকালে গণভবনে বিশিষ্ট সাংবাদিকদের দুটি প্রতিনিধিদল পৃথকভাবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি। গুজবের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গুজবের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন।’ সাংবাদিক সমাজের সার্বিক উন্নয়নে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের বর্ণনা দেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘সরকার ‘‘সিড মানি’’র টাকা দিয়ে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছে। আবার ক্ষমতায় আসলে আমি আবারও এই ট্রাস্টে অর্থ প্রদান করব।’ এ সময় প্রধানমন্ত্রী ট্রাস্ট ফান্ডে অনুদান দেওয়ার জন্য মিডিয়া হাউজের মালিকদের প্রতি তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি সাংবাদিকদের আধুনিক যুগের সঙ্গে মানিয়ে নিতে নিজেদের প্রস্তুত করতে বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনলাইন নিউজ মিডিয়া এখন দ্রুত বিকাশ লাভ করছে। মানুষ এখন মুদ্রিত সংবাদপত্রের পরিবর্তে অনলাইনে খবর পড়ার জন্য ক্রমবর্ধমান হারে ব্রাউজ করছে- যা প্রিন্ট মিডিয়ার জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে উপস্থিত হচ্ছে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য তাদের প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।’ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ধৈর্য সহকারে সাংবাদিক নেতাদের কথা শোনেন। সাংবাদিক নেতারা আওয়ামী লীগের ২০২৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী দশম মজুরি বোর্ড গঠন ও ঘোষণার পর মজুরি বোর্ডের রোয়েদাদ বাস্তবায়নে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণসহ বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেন। তাদের কথা শোনার পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার মূলত কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বেসরকারি খাতে ব্যাংক, বীমা ও মিডিয়া খুলেছে। আওয়ামী লীগই একমাত্র সরকার, যারা প্রতিটি শ্রেণি-পেশার মানুষের কল্যাণে কিছু করেছে। তিনি বলেন, ‘সরকার দেশবাসীকে একটি উন্নত ও স্বচ্ছল জীবন দিতে সম্ভাব্য সবকিছু করেছে।’ জনগণের পরিবর্তে তার কোনো (বিদেশি) প্রভু নেই উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জনগণই তার একমাত্র শক্তি এবং তাদের সমর্থনই তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ, অন্য কিছু নয়। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পথ ও আদর্শ অনুসরণ করে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন। বিএফইউজে প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সভাপতি ওমর ফারুক। প্রতিনিধিদলে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন বিএফইউজের সাবেক সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী, আবুল কালাম আজাদ ও মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, বিএফইউজে সাবেক মহাসচিব আবদুল জলিল ভূঁইয়া, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী ও আক্তার হোসেন, ডিইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, ডিইউজের সাবেক সভাপতি কাজী রফিক ও কুদ্দুস আফ্রাদ এবং ডিইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান। সভাটির সঞ্চালনা করেন বিএফইউজের মহাসচিব দীপ আজাদ। এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশের সভাপতি মোজাম্মেল বাবু তার প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের সদস্যদের অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ডিবিসি নিউজের প্রধান সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম, দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, বাংলাদেশ জার্নালের সম্পাদক শাহজাহান সরদার, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, গ্লোবাল টিভির এডিটর-ইন-চিফ সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, দৈনিক আমাদের সময়ের নির্বাহী সম্পাদক মাঈনুল আলম, এশিয়ান এইজের সম্পাদকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান শোয়েব চৌধুরী ও এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ারের সম্পাদক মোল্লা এম আমজাদ হোসেন এ সময় বক্তব্য দেন।

জাতীয়

লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হলেও বেড়েছে রপ্তানি আয়, ছয় মাসে ২৭৫৪ কোটি ডলার।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হলেও বেড়েছে রপ্তানি আয়, ছয় মাসে ২৭৫৪ কোটি ডলার। তবে এটি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) দেশে রপ্তানি আয় হয়েছে ২ হাজার ৭৫৪ কোটি মার্কিন ডলারের। এই রপ্তানি আয় এর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় শূন্য দশমিক ৮৮ শতাংশ বেশি। তবে এটি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম। মঙ্গলবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। ইপিবি সূত্রে জানা যায়, ছয় মাসে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল তিন হাজার ১১ কোটি মার্কিন ডলার। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় কম হয়েছে ৮.৫৫ শতাংশ। আর গত বছর একই সময় আয় হয়েছে দুই হাজার ৭৩১ কোটি ১২ লাখ ডলার। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি বেড়েছে শূন্য দশমিক ৮৪ শতাংশ। ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, আলোচ্য সময়ে প্রধান রপ্তানি পণ্য পোশাক থেকে ২ হাজার ৩৩৯ কোটি ১৩ লাখ ডলার আয় হয়েছে। এর মধ্যে নিট পোশাক (সোয়েটার, টি-শার্ট জাতীয় পোশাক) রপ্তানি হয়েছে ১ হাজার ৩৪৮ কোটি ডলারের সমমূল্যের এবং ওভেন পণ্যের (শার্ট,প্যান্ট জাতীয় পোশাক) রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৯১ কোটি ১১ লাখ ডলার। এছাড়া, জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে রপ্তানি হয়েছে পাট ও পাটজাত পণ্য ৪৩ কোটি ৬১ লাখ ডলার, হোম টেক্সটাইল ৩৭ কোটি ডলার, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য ৫২ কোটি ৩০ লাখ ডলার, প্লাস্টিক পণ্য ১১ কোটি ৬৬ লাখ ডলার, কৃষিজাত পণ্য ৫০ কোটি ৭৯ লাখ ডলার, হিমায়িত মাছ ২১ কোটি ৫১ লাখ ডলার এবং রাসায়নিক পণ্য ১৭ কোটি ৪৯ লাখ ডলার। এর মধ্যে গত ডিসেম্বর মাসে রপ্তানি আয় এসেছে ৫৩০ কোটি ৮০ লাখ ডলার।

জাতীয়

সুনামগঞ্জ -১ ও- ৪ আসন থেকে দুইজন প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়েছে।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সুনামগঞ্জ -১ ও- ৪ আসন থেকে দুইজন প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জের ৫টি আসনের মধ্যে ২টি আসনের দুই প্রার্থী ভোট থেকে সরে দাঁড়ালেন। তারা হলেন- সুনামগঞ্জ-১ আসনে জাপার প্রার্থী মোহা আ. মান্নান ও সুনামগঞ্জ-৪ আসনের বিএনএমের প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য দেওয়ান শামছুল আবেদীন। মঙ্গলবার দুপুরে তারা পৃথকভাবে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানান। কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছ থেকে সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ তুলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা বলেন সুনামগঞ্জ-১ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. আ. মান্নান। অপর দিকে, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না থাকা এবং প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীর নানা ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন সুনামগঞ্জ-৪ আসনে বিএনএমের প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য দেওয়ান শামছুল আবেদীন। মঙ্গলবার দুপুরে জামালগঞ্জ সদরে সংবাদ সম্মেলনে জাপার প্রার্থী আব্দুল মান্নান তালুকদার বলেন, লাঙল প্রতীকে মনোনয়ন পাওয়ার পর আমি নিয়মিত প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু প্রচার-প্রচারণাসহ নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া পাচ্ছি না। তারা আমাকে কোনো সহযোগিতা করছেন না। এতে মনে হচ্ছে এবং আমি স্পষ্ট বুঝতে পারছি আসন ভাগাভাগি ও প্রহসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাই আমি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন থেকে নিজেই সরে দাঁড়ালাম।

জাতীয়

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন জাতীয় পার্টির ১০ প্রার্থী।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন জাতীয় পার্টির ১০ প্রার্থী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগ মুহূর্তে ভোটের মাঠ থেকে একে একে সরে দাঁড়াচ্ছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা। সর্বশেষ মঙ্গলবার দলটির পাঁচজন প্রার্থী নির্বাচনে না থাকার ঘোষণা দেন। এর মধ্যদিয়ে সবমিলিয়ে গত তিনদিনে জাতীয় পার্টির ১০ প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে গেলেন। মঙ্গলবার টাঙ্গাইল-৭, দিনাজপুর-২ , গাজীপুর-৪ , চুয়াডাঙ্গা-১  ও সুনামগঞ্জ-১ আসনের প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।। এরআগে সোমবার (১ জানুয়ারি) হবিগঞ্জ-২ আসনের জাতীয় পার্টির মনোনিত প্রার্থী নির্বাচন না করার ঘোষণা দেন। তারও আগে গত ৩১ ডিসেম্বর বরিশাল-২, বরিশাল-৫, বরগুনা-১  ও গাজীপুর- ১ আসনের প্রার্থীরাও নির্বাচন থেকে সরে  দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। হঠাৎ কেন নির্বাচনী মাঠ ছাড়ছেন জাপার প্রার্থীরা? নির্বাচনে আসা জাতীয় পার্টির নেতারা জানিয়েছেন, নির্বাচনের শুরুতে প্রার্থীদের দল থেকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। এজন্য তারা মাঠে নেমেছিলেন। শুরুতে নিজেদের টাকা খরচ করে অনেক প্রার্থী নিজ নিজ এলাকায় পোস্টার ও নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন। কিন্তু প্রার্থীরা এখন দলের প্রতিশ্রুত আর্থিক সাপোর্ট পাচ্ছেন না। যার ফলে অনেকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন। আবার অনেকে মান-সম্মান ও চাপের কারণে নির্বাচন থেকে সরে না দাঁড়ালেও নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। এছাড়া, এখন পর্যন্ত কেন্দ্র থেকেও প্রার্থীদের নির্বাচনের মাঠে রাখার কোনো পরিকল্পনা নেই। কেন্দ্রের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ না করেই প্রার্থীরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন। বর্তমানে দলটির কতজন প্রার্থী মাঠে আছে, তার সঠিক হিসাবও কেন্দ্রের কাছে নেই! ‘আমার মনে হয় না জাতীয় পার্টি দলগতভাবে সরে যাবে’ চুয়াডাঙ্গা-১ আসন থেকে সরে যাওয়া জাপার প্রার্থী অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন অভিযোগ করেছেন, তাদের দলের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে না। এমনকি দলের চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে  ফোন দিলে তারা ফোনও ধরছেন না। তিনি বলেন, ‘গত বুধবার থেকে আমি নির্বাচনী সব প্রচার-প্রচারণা থেকে বিরত আছি। কেননা আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের টাকার পাল্লার কাছে নির্বাচন করার মতো আমার অবস্থা নেই। এ ছাড়া দলের চেয়ারম্যান এবং মহাসচিবের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই। ফোন দিলেও তারা ধরেন না। কেন্দ্রে যারা আছেন তারা কেউ সহযোগিতা করছেন না। সারা বাংলাদেশে জাতীয় পার্টির ৩৮৩ জনের মধ্যে সরকারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে ২৬ জনকে উনারা আসন দিয়েছেন। আমাদেরকে সকল দিক থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।’ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও রংপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের জানিয়েছেন, যারা দলকে না জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে গেছে তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে।

জাতীয়

সিলেটে অবতরণের সময় দুই উড়োজাহাজে ধাক্কা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সিলেটে অবতরণের সময় দুই উড়োজাহাজে ধাক্কা। সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় একটি উড়োজাহাজের পাখার সাথে অন্য উড়োজাহাজের ধাক্কা লেগেছে। এতে দুটি উড়োজাহাজেই যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার (০২ জানুয়ারি) ভোরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামতে না পেরে সোমবার মধ্যরাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত ওসমানী বিমানবন্দরে অবতরণ করেছিল পাঁচটি ফ্লাইট। এ সময় দুটি উড়োজাহাজ অবতরণের সময় একটির পাখার সাথে অন্যটির ধাক্কা লাগলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ আহমদ সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। হাফিজ আহমদ বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়া দুটো উড়োজাহাজের যাত্রীকে অন্য একটি ফ্লাইটে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত দুটো উড়োজাহাজের মধ্যে মেরামত শেষে মঙ্গলবার রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে একটি উড়োজাহাজ ছেড়ে গেছে। অন্যটির মেরামত চলছে।

Scroll to Top