ডিসেম্বর ৩১, ২০২৩

জাতীয়

টুঙ্গিপাড়া, কোটালীপাড়া ও কালকিনির বিশাল জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- টুঙ্গিপাড়া, কোটালীপাড়া ও কালকিনির বিশাল জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভোটের মাধ্যমে সকল ষড়যন্ত্রের জবাব দেওয়া হবে — প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার কোটালীপাড়া শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজ মাঠে বিশাল জনসভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ এবং মাদারীপুরের তিনটি বিশাল জনসভায় ৭ জানুয়ারি ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ৭ জানুয়ারি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচন বানচালের দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রের জবাব দেবে দেশবাসী। সকলে নিজেদের ভোট দিয়ে বিশ্বকে দেখিয়ে দেব আমরা অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারি, নির্বাচন করতে জান। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন আমরাই করতে পারিবাংলাদেশের জনগণের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না। সরকারি প্রটোকল ও ব্যক্তিগত পতাকাবিহীন গাড়িতে করে শনিবার নিজ নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া এবং মাদারীপুরের কালকিনিতে আয়োজিত তিনটি বিশাল নির্বাচনী জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে তাঁকেসহ নৌকার প্রার্থীদের ভোট দিয়ে বিজয়ী করার জন্য দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আন্দোলনের নামে অগ্নিসন্ত্রাস ও মানুষকে পুড়িয়ে হত্যার কঠোর সমালোচনা করে আরও বলেন, লন্ডনে বসে হুকুম দেবে, আর এদেশে মানুষের ক্ষতি করবে, হত্যা করবে- এসব আর চলবে না। আল্লাহ যদি দিন দেন, আগামী নির্বাচনে জয়ী হয়ে আসতে পারলে- ওই লন্ডনে বসে হুকুম দেবে আর দেশের মানুষের ক্ষতি করবে, দেশের মানুষ মারবে সেটা হতে পারে না। দরকার হলে ওটাকে (তারেক রহমান) ওখান থেকে ধরে এনে শাস্তি দেওয়া হবে; ধরে এনে শাস্তি দেব। অগ্নিসন্ত্রাসীদেরও কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তরুণদের বিশেষ করে প্রথম ভোটারদের নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা যুবসমাজ ও তরুণ সমাজ এবং প্রথমবার যারা ভোটার হবেন শুধু কোটালীপাড়া টুঙ্গিপাড়া নয় সারা বাংলাদেশের জন্য আমার আহ্বান- এই নতুন ভোটাররা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে সরকার গঠন করার সুযোগ করে দিয়ে বাংলাদেশ যেভাবে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে সেই উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়ায় তাদের সাহায্য করতে হবে। কেননা তারুণ্যের শক্তি বাংলাদেশের অগ্রগতি। সেটাই আমরা বিশ্বাস করি। আজকের তরুণরাই আগামী দিনে দেশের নেতৃত্ব দেবে। আধুনিক প্রযুক্তিগত শিক্ষায় শিক্ষিত করে তরুণ প্রজন্মকে স্মার্ট ও দক্ষ জনশক্তি হিসেবে তার সরকার গড়ে তুলবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার আমাদের অর্থনীতি আমাদের সমাজ ব্যবস্থাও স্মার্ট হয়ে গড়ে উঠবে। যেন এই বাংলাদেশ শিক্ষা-দীক্ষা জ্ঞানে-বিজ্ঞানে এবং প্রযুক্তিতে উন্নত সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে চলতে পারে। কারও কাছে মাথা নত করে নয়।

জাতীয়

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়, লন্ডনে বসে ষড়যন্ত্রকারীদের ধরে এনে বিচার করা হবে– প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়, লন্ডনে বসে ষড়যন্ত্রকারীদের ধরে এনে বিচার করা হবে– প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে আন্তর্জাতিকভাবে অনেকে জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজ মাঠে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্যকালে সরকারপ্রধান এমন মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থেকে টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাঠিয়েছে। কিন্তু ভাগ্য পরিবর্তনে আওয়ামী লীগ যখনই কাজ শুরু করে বিএনপি তখন বারবার বাধা সৃষ্টি করেছে। তারপরও আপনারা আমাকে আগলে রেখেছেন। সেজন্য আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সন্ত্রাসের হুকুমদাতা দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, “আগামী নির্বাচনে জয়ী হয়ে আসতে পারলে… ওই লন্ডনে বসে হুকুম দিবে আর আমার দেশের মানুষের ক্ষতি করবে, দেশের মানুষ মারবে সেটা হতে পারে না। দরকার হলে ওখান (লন্ডন) থেকে ধরে এনে শাস্তি দিব।” বিএনপিকে সন্ত্রাসী এবং জামায়াতকে যুদ্ধাপরাধী দল আখ্যায়িত করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আন্দোলনের নামে তারা অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে মানুষ হত্যা করে। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করা, এটাই নাকি তাদের আন্দোলন। তাদের আন্দোলন মানুষ পোড়ানো। মানুষের ক্ষতি করা। দেশের সম্পদ নষ্ট করা। এদের মধ্যে কোনো মানবতাবোধ নেই। সম্প্রতি ট্রেনে আগুন দিয়ে মা ও শিশুকে হত্যার নিন্দা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এই ঘটনা বিশ্বকে নাড়া দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াতকে এখন আর মানুষ বিশ্বাস করে। আর বিশ্বাস করে না বলেই তারা আন্দোলনে সফল হতে পারেনি এবং পারবেও না। তাদের কোনো জনসমর্থন নেই। এবারের নির্বাচন নিয়ে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত চলছে জানিয়ে সবাইকে এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী। ৭ জানুয়ারি সকাল সকাল কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিরে এই চক্রান্তের সমুচিত দেওয়া হবে বলে মনে করেন তিনি। এ সময় তিনি নিজ নির্বাচনী এলাকা টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়ার জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তাদের ভোটে নির্বাচিত হন বলেই দেশের খেদমত করতে পারেন বলে জানান সরকারপ্রধান। এর আগে বেলা সোয়া ১১টার দিকে জনসভা মঞ্চে আসেন প্রধানমন্ত্রী। সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানাও ছিলেন। টুঙ্গিপাড়া সরকারি শেখ মুজিবুর রহমান কলেজ মাঠে আয়োজন করা হয় এই জনসভার। প্রধানমন্ত্রীর সফর কেন্দ্র করে উপজেলাজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে সকাল থেকে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ। টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলা নিয়ে গোপালগঞ্জ-৩ আসন। এ আসন শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকা। আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারি ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাই নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে তিনি সকালে টুঙ্গিপাড়া এবং দুপুরে কোটালীপাড়ায় জনসভায় বক্তব্য দেবেন।

জাতীয়

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মনোনয়ন বাতিল।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মনোনয়ন বাতিল। পাকিস্তানের আসন্ন নির্বাচনে দুটি আসনে পাাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। পাঞ্জাবের রাজধানী লাহোর এবং নিজ শহর মিয়ানওয়ালি থেকে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন দেশটির সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) তার মনোনয়নপত্র বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রাদেশিক নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা। জিও নিউজ জানিয়েছে, পাকিস্তানে ২০২৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এতে লড়ার জন্য লাহোরের এনএ-১১২ এবং মিয়ানওয়ালির এনএ-৮৯ নির্বাচনী আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ইমরান খান। কিন্তু দুটি মনোনয়নপত্রই বাতিল করা হয়েছে

জাতীয়

বিএনপি জামায়াতের রাজত্ব আর হবে না এ দেশে — প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বিলাতের আয়না ডেক্স :- বিএনপি জামায়াতের রাজত্ব আর হবে না এ দেশে — প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি-জামায়াত খুনির দল, তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই। তারা তো মানুষ পোড়ায়। জিয়াউর রহমান খুনি, খালেদা জিয়া খুনি, তারেক জিয়া খুনি। ওই খুনিদের রাজত্ব আর হবে না এ দেশে। ওই খুনের জন্য ওদের বিচার হবে। এই যে এতগুলো মানুষ হুকুম দিয়ে মারছে, সেই বিচার একদিন বাংলাদেশে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার বিকেলে মাদারীপুরের কালকিনিতে নির্বাচনী জনসভায় এ কথা বলেন তিনি। এসময় প্রধানমন্ত্রী নৌকাকে দেশের উন্নয়নের একমাত্র হাতিয়ার উল্লেখ করে বলেন, স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে দেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৯১ মার্কিন ডলার। মাত্র তিন বছরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাথাপিছু আয় ২৭৭ ডলারে উন্নীত করেন। ৭৫ এর পরে জিয়া এরশাদ যারাই ক্ষমতায় এসেছে এদেশের মানুষের আয় তারা বাড়াতে পারেনি। শেখ হাসিনা বলেন, জিয়া-এরশাদ রাষ্ট্রীয় সমস্ত অর্থ-সম্পদ দিয়ে কিছু লোককে ধনী বানিয়ে তাদের মাধ্যমে জনগণের ভোট চুরি করে। সংবিধান লঙ্ঘন করে সেনাপ্রধান ও রাষ্ট্রপতির মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদ বেআইনিভাবে দখল করে প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়। পরে রাজনৈতিক উচ্ছিষ্ট থেকে তৈরি হয় বিএনপি নামের সংগঠন। আর যারা যুদ্ধাপরাধী তাদের জিয়াউর রহমান ফিরিয়ে আনে। তাদের নিয়েই রাজনীতি করে। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ৭ই জানুয়ারির নির্বাচন যারা ঠেকাতে চায়, ওই বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসী। ওরা একটা সন্ত্রাসী রাজনৈতিক দল। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীর পকেট থেকে তৈরি করা দল। তারা মানুষের কল্যাণ করতে পারে না, মানুষকে খুন করতে পারে। আমি চাই দেশের মানুষ শান্তিতে থাকবে। ওই বোমাবাজি, সন্ত্রাস এইভাবে যেন নির্বাচন বানচাল করতে না পারে।

জাতীয়

বিচার পরিচালনার জন্য ৫২টি বেঞ্জ গঠন করা হয়েছে।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বিচার পরিচালনার জন্য ৫২টি বেঞ্জ গঠন করা হয়েছে। পরিচালনার জন্য ৫২টি বেঞ্চ গঠন করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) এ সংক্রান্ত নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) থেকে এসব বেঞ্চে বিচারকাজ চলবে। এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতির নির্দেশনায় বলা হয়, ‘আমি এতদ্বারা নির্দেশ করিতেছি যে, আগামী ২ জানুয়ারি থেকে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকাজ পরিচালনার জন্য নিম্নে উল্লিখিত বেঞ্চসমূহ গঠন করা হইলো।’ উল্লেখ্য, গত ১৮ ডিসেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্টের অবকাশ চলছে। এ সময়ে জরুরি বিচারকাজ ও নির্বাচনী বিষয় নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টের কয়েকটি বেঞ্চ ও আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত খোলা রয়েছে।

জাতীয়

যে কোন মূল্যে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হতে হবে –ইসি।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- যে কোন মূল্যে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হতে হবে –ইসি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, যেকোনো মূল্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হতে হবে। এ লক্ষ্যে কমিশন কাজ করছে। তিনি আজ শনিবার বিকেলে সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সিলেট অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন। এসময় নির্বাচন নিয়ে অপপ্রচারে কেউ বিভ্রান্ত না হওয়ার আহবান জানিয়ে সিইসি বলেন,আসন্ন নির্বাচনকে কেউ প্রতিহত করতে পারবে না। যে কোনো মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। এসময় নির্বাচন নিয়ে কোন চ্যালেঞ্জ দেখছেন না উল্লেখ করে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘এবারের নির্বাচনটা অবশ্যই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। চাহিদা অনুযায়ী আমরা সরকারের কাছ থেকে জনবলের যে সহায়তা পেয়েছি সেটা দিয়ে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করা সম্ভব।’ তিনি বলেন, নির্বাচনি মাঠে সকল প্রার্থী যাতে সমান সুযোগ পায় সে জন্য নির্বাচন কমিশন আন্তরিকভাবে কাজ করছে। সরকারের সহযোগিতা আর মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের আন্তরিকতায় নির্বাচনি কার্যক্রম নিরবিচ্ছিন্নভাবে এগিয়ে যাচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। এর আগে সকাল ১০ টায় সিলেট সার্কিট হাউজে জেলার ৬ আসনের প্রার্থীদের সাথে তিনি মতবিনিময় করেন। সিলেট বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলম। সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল আহমেদসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বাসস

জাতীয়

৭ দফা জাসদের ইশতেহার

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ৭ দফা জাসদের ইশতেহার ঘোষণা। রাষ্ট্র-রাজনীতি-অর্থনীতি-বাজার নিয়ন্ত্রণকারী লুটেরা-দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেট দমন, সুশাসন ও আইনের শাসন নিশ্চিত, বৈষম্য-বঞ্চনার অবসান ও বাংলাদেশের জন্ম শত্রুদের মূলোৎপাটন করে জাতীয় বিকাশ অব্যাহত রাখতে চায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাতীয় পুনর্জাগরণের লক্ষ্যে সংসদে-রাজপথে সংগ্রামের অঙ্গীকার ঘোষণা করে সাত দফার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে দলটি। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে জাসদ কার্যালয়ে কর্নেল তাহের মিলনায়তনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য জাসদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানে ইশতেহার উপস্থাপন করেন জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি। এ সময় দলের সহ-সভাপতি ফজলুর রহমান বাবুল, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শফি উদ্দিন মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাদের চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোখলেছুর রহমান মুক্তাদির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান রোকন ও শ্রমিক নেতা সাইফুজ্জামান বাদশাসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। জাসদের নির্বাচনী ইশতেহারে বলা হয়, বাংলাদেশের রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক-অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট-সংকট-সম্ভাবনা ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রেক্ষাপট-সংকট সম্ভাবনার যুগে আমাদের অত্যাবশ্যক জাতীয় পুনর্জাগরণকে কাঠামোবদ্ধ করার জন্য আমাদের বিদ্যমান সংবিধানের পর্যালোচনা অত্যাবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে। সে জন্য জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ বিদ্যমান সংবিধানের অসঙ্গতি ও গোজামিল দূর করতে উপরে বর্ণিত আদর্শিক বিষয়াবলী বিবেচনায় রেখে জরুরি ভিত্তিতে ‘সংবিধান পর্যালোচনা’র প্রস্তাব রাখছে। এ পর্যালোচনায় জাসদ সর্বজনীন খাদ্য নিরাপত্তা, সর্বজনীন স্বাস্থ্য নিরাপত্তা, সর্বজনীন শিক্ষা, সর্বজনীন সামাজিক নিরাপত্তা ও সর্বজনীন ইন্টারনেট অভিগম্যতাকে নাগরিকের অবশ্যিক মৌলিক অধিকার হিসেবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা, বিকেন্দ্রীকরণ ও স্তরে স্তরে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির নেতৃত্বে জনগণের স্বশাসন কায়েম করা, শ্রমজীবী-কর্মজীবী-পেশাজীবী মেহনতি জনগণের অধিকার-মর্যাদা-কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতীয় সংসদে ‘উচ্চকক্ষ’ গঠনসহ দ্বিকক্ষ-বিশিষ্ট সংসদীয় ব্যবস্থা চালু করা এবং প্রচলিত আসনভিত্তিক নির্বাচনের বদলে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচনে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিম্নকক্ষের পাশাপাশি উচ্চকক্ষের সকল শ্রম-কর্ম-পেশার জনগণের প্রতিনিধির সঙ্গে সঙ্গে স্বশাসিত স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিদের দেশ পরিচালনায় ভূমিকা রাখায় গুরুত্ব আরোপ করছে।’ জাসদের নির্বাচনী ইশতেহারে রাষ্ট্র পরিচালনার রাজনৈতিক নীতি, সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি, উন্নয়ন নীতি, খাতওয়ারী নীতি, বিশেষ জনগোষ্ঠীর জন্য নীতি, জাতীয় নিরাপত্তা নীতি, পররাষ্ট্রনীতির বিষয়ে দলের বিস্তারিত কর্মসূচি তুলে ধরা হয়েছে। জাসদের ইশতেহারে আরও বলা হয়, জাসদের প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়ে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করলে দলের নির্বাচনী ইশতেহারের ভিত্তিতে সংসদীয় ভূমিকা পালন করার পাশাপাশি সমানতালে রাজপথে রাজনৈতিক ভূমিকা পালন করবে। শিরীন আখতার আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের জনগণ গত ৫২ বছরে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয়-রাজনৈতিক অব্যস্থাপনা প্রত্যক্ষ করেছেন, বেশ কয়েক ধরনের সামরিক-বেসামরিক শাসনের মুখোমুখি হয়েছেন এবং অনেক ধরনের পরীক্ষা-নীরিক্ষার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন; কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে তারপরও এদেশে এখনও পর্যন্ত কোন স্থায়ী রাষ্ট্রীয়-রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। সামরিক শাসক, স্বাধীনতাবিরোধী রাজনৈতিক অপশক্তি ও এই উভয় ধারার ধারাবাহিক আঁতাত বারবার বাংলাদেশের মীমাংসিত বিষয়গুলো অমীমাংসিত করার অপচেষ্টা করেছে। অতীতের ধারাবাহিকতায় এরা এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা করছে। রাজনৈতিক কৌশলের বিভ্রান্তি পরিহার করে বা ক্ষমতার জন্য আপোষ না করে জাতীয়ভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদেরকে মোকাবিলা করে বাংলাদেশকে এগিয়ে যেতে হবে। এ সময় ইশতেহারে বলা হয়, গত দেড় দশকে অনেকগুলো অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকে বাংলাদেশে বিস্ময়কর সাফল্য অর্জিত হলেও সীমাহীন দলবাজি- দলীয়করণ-দুর্নীতি-লুটপাট-সিন্ডিকেটের মাফিয়াচক্র বাংলাদেশের এক ভয়াবহ ‘বিপদ’ হিসেবে সামনে এসেছে, উন্নয়ন-অগ্রগতিকে নস্যাৎ করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। সে জন্য জাসদ ২০০৯ সাল থেকে দলবাজি-দলীয়করণ-দুর্নীতি-লুটপাট-সিন্ডিকেটের মাফিয়াচক্র দমন করে সুশাসন প্রতিষ্ঠাকে জঙ্গিবাদ মোকাবিলার পরপরই দ্বিতীয় প্রধান রাজনৈতিক অগ্রাধিকার হিসেবে ঘোষণা করে এবং সংসদে ও সংসদের বাইরে ধারাবাহিকভাবে দাবি উত্থাপন করতে থাকে। একই ধারাবাহিকতায় জাসদ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলবাজি-দলীয়করণ-দুর্নীতি-লুটপাট-সিন্ডিকেটের মাফিয়াচক্র দমনের রাজনৈতিক এজেন্ডা উপস্থাপন করছে। বলা হয়, গত দেড় দশকে অনেকগুলো অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকে বিস্ময়কর সাফল্য অর্জিত হলেও, সরকারি হিসেবেই এখন বিরাজ করছে বাংলাদেশের ইতিহাসের ভয়াবহতম আয় বৈষম্য। দশক দশক ধরে বিকশিত সাম্প্রদায়িক রাজনীতি লালিত সাংস্কৃতিক সাম্প্রদায়িকতার কারণে আয় বৈষম্যের সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধি পাচ্ছে বৈষম্যের সাংস্কৃতিক মাত্রাও। দ্বাদশ জাতীয় সংসদন নির্বাচনের প্রাক্কালে জাসদ দলের প্রতিষ্ঠাকালীন ঘোষণার আলোকে বৈষম্য নিরসনের লক্ষ্যে সর্বাত্মক সংগ্রাম পরিচালনার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাসদ মনোনীত ৬৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে ৬৩ জন দলীয় প্রার্থী দলীয় প্রতীক মশাল এবং ৩ জন প্রার্থী ১৪ দলীয় জোটের অভিন্ন প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই ৬৬ টি আসনের বাইরে বাকি ২৩৩টি আসনে জাসদ ১৪ দলের অভিন্ন প্রর্থীদের সমর্থন করেন।

জাতীয়

ব্রিটেনে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিলাসবহুল ২৬০ বাড়ির সন্ধান।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ব্রিটেনে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিলাসবহুল ২৬০ বাড়ির সন্ধান। বাংলাদেশ সরকারের ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ২৬০টি বিলাসবহুল বাড়ির সন্ধান মিলেছে ব্রিটেনের রাজধানী লন্ডনসহ বড় বড় শহরগুলোতে। ২৬০টি প্রপার্টির মধ্যে কিছু আধুনিক ফ্ল্যাটও রয়েছে। যুক্তরাজ্য সরকারের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত কোম্পানি ফাইলিংয়ের তথ্য থেকে এ হিসাব পাওয়া গেছে। কোম্পানি ফাইলিংয়ের তথ্য অনুসারে তার সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ১৫৫টি বাড়ি রয়েছে রাজধানী লন্ডনে। এছাড়া লিভারপুলে রয়েছে ৩০টি, বাকিগুলো রয়েছে অন্যান্য বড় শহরগুলোতে। সেখানকার বর্তমান বাজারমূল্যে বাড়িগুলোর মোট মূল্য প্রায় ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার কাছাকাছি। কোম্পানি ফাইলিংয়ের তথ্য বলছে, ২৬০টি প্রপার্টি ক্রয় করতে সাইফুজ্জামান চৌধুরী ব্যয় করেছেন প্রায় ১৩৫ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ হাজার ৮৮৮ কোটি টাকা। বাড়ির মোট সংখ্যার ১৭৯টি বাড়ি ও ফ্ল্যাট রয়েছে জেডটিএস (ZTS) প্রপার্টিজের আওতায়। বাকি বাড়িগুলো মন্ত্রীর অন্যান্য প্রপার্টিজ কোম্পানিগুলোর আওতায়। জেডটিএস প্রপার্টিজ এর একক মালিক সাইফুজ্জামান চৌধুরী। ২৬০টি বাড়ির মধ্যে সবচেয়ে দামি বাড়িটির বর্তমান মূল্য হচ্ছে প্রায় ১৩ মিলিয়ন পাউন্ড যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৮২ কোটি টাকা। বাড়িটি লন্ডনের ক্লিভল্যান্ড স্ট্রিটে অবস্থিত। এটি ২০২১ সালের ১৬ জুলাই তিনি এককালীন মূল্য পরিশোধের মাধ্যমে ক্রয় করেন। সম্প্রতি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ করে যে, বাংলাদেশের একজন মন্ত্রীর বিদেশে ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকার ব্যবসা রয়েছে। প্রয়োজনে সরকারকে তারা সব তথ্য ও নথি দিয়ে সহায়তা করবে। এরপর থেকে বিষয়টি টক্ অব দ্য কান্ট্রিতে পরিণত হয়। এক পর্যায়ে প্রকাশ পায় মন্ত্রীর পরিচয়। তিনি হলেন ভূমিমন্ত্রী  সাইফুজ্জামান চৌধুরীর জাভেদ যিনি তিনবারের সংসদ সদস্য ও বর্তমানে ভূমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন। এরপর প্রকাশ পায় ব্রিটেনে তার প্রপার্টিজ ব্যবসার হিসাব নিকাশ। যুক্তরাজ্য সরকারের কোম্পানি হাউসের তথ্য থেকে দেখা যায়, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর  ৮টি প্রপার্টিজ কোম্পানি রয়েছে। এরমধ্যে কয়েকটি কোম্পানির তার একক মালিকানাধীন ও কয়েকটিতে তিনি পরিবারের সদস্যদের সাথে শেয়ার হোল্ডার হিসেবে রয়েছেন। কোম্পানিগুলো ২০১০ সাল থেকে শুরু করে ২০২১ সালের মধ্যে খোলা হয়। ব্রিটেনে মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর কোম্পানিগুলো হচ্ছে— নিউ ভেঞ্চার (লন্ডন) লিমিটেড, রুখমিলা প্রপার্টিজ, জেবা প্রপার্টিজ, জেডটিএস প্রপার্টিজ, সাদাকাত প্রপার্টিজ, জারিয়া প্রপার্টিজ, জেডটিএস প্রপার্টিজ ভেঞ্চার লিমিটেড, আরামিট প্রপার্টিজ।      

জাতীয়

২০২৩ সালে যাদেরকে হারিয়েছি।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ২০২৩ সালে যাদেরকে হারিয়েছি। ‘যেতে নাহি দিব। হায়, তবু যেতে দিতে হয়, তবু চলে যায়’ কবিগুরুর লেখা এই পঙক্তির মতোই প্রকৃতির অমোঘ সত্যকে মেনে নিয়ে সবাইকে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করতে হয়। তবে অনেকের চলে যাওয়া যেমন বেদনার তেমনি সমাজ ও রাষ্ট্রে তাদের শূন্যস্থান অপূরণীয়। প্রতি বছরের মতো ২০২৩ সালেও এদেশের বহু কালজয়ী আমাদের ছেড়ে পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন। তাদের স্মরণেই আজকের এ আয়োজন। এ বছরের শুরুতে গত ২ জানুয়ারি রাতে পরপারে পাড়ি জমান স্থপতি, ক্রীড়া সংগঠক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোবাশ্বের হোসেন। দীর্ঘদিন ধরে নানা শারীরিক জটিলতায় ভোগে তিনি রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে স্থাপত্যে স্নাতক সম্পন্ন করেন স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন। তিনি এসোকনসাল্ট লিমিটেডের প্রধান স্থপতি। কমনওয়েলথ অ্যাসোসিয়েশন অফ আর্কিটেক্টস এবং বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। আর্কিটেক্টস রিজিওনাল কাউন্সিল, এশিয়ার (আর্কেশিয়া) প্রেসিডেন্টও ছিলেন বরেণ্য এই স্থপতি। নাগরিক আন্দোলনসহ বিভিন্ন বিষয়ে সোচ্চার ছিলেন। স্থপতি হিসেবে মোবাশ্বের হোসেনের নির্মাণকাজের মধ্যে প্রশিকা ভবন, গ্রামীণ ব্যাংক ভবন ও চট্টগ্রাম রেলস্টেশন উল্লেখযোগ্য। পেশাজীবন ছাড়িয়ে আরও একটি বড় পরিচয় রয়েছে তাঁর। ১৯৭১ সালে সরাসরি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা। ছিলেন ক্র্যাক প্লাটুনের সক্রিয় সদস্য। এম খালেকুজ্জামান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অভিনেতা এম খালেকুজ্জামান ২১ মার্চ নিজ বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। খালেকুজ্জামানের জন্ম শান্তাহারে। বাবা ডা. শামসুজ্জামান ছিলেন ব্রিটিশ রেলওয়ের মেডিকেল অফিসার। মা শায়েস্তা আক্তার জামান ছিলেন গৃহিনী। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্য ও চারুকলা বিভাগের প্রথম মাস্টার্স ডিগ্রীধারীদের একজন এই গুণী অভিনেতা। দেশ স্বাধীনের পর খালেকুজ্জামান ১৯৭৫ সালে বিটিভির তালিকাভুক্ত শিল্পী হন। স্কুল-কলেজ জীবনে অসংখ্য মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। বিটিভিতে প্রথম নওয়াজেশ আলী খানের প্রযোজনায় ‘সর্পভ্রমে রজ্জু’ নাটকে অভিনয় করেন তিনি। এরপর ধারাবাহিক নাটক ‘তমা’, ‘বড় বাড়ি’, ‘সময় অসময়’, ‘সুবর্ণ সময়’সহ বহু নাটকে অভিনয় করে প্রশংসিত হন খালেকুজ্জামান। নায়করাজ রাজ্জাক ও কবরীর সঙ্গে ‘অনিবার্ণ’ চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় করেছিলেন তিনি। চলচ্চিত্রে দীর্ঘদিন বিরতির পর মুরাদ পারভেজ’র ‘বৃহন্নলা’য় অভিনয় করেন। এরপর শিহাব শাহীনের ‘ছুঁয়ে দিলে মন’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন এই অভিনেতা। তার অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা অনম বিশ্বাসের ‘দেবী’। শামীম সিকদার স্বোপার্জিত স্বাধীনতাসহ অনেক ভাস্কর্যের শিল্পী শামীম সিকদারও এ বছর না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন। ২২ মার্চ রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। শামীম শিকদার গত শতকের আশির দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটে শিক্ষকতা শুরু করেন। অধ্যাপক হিসেবে অবসর নেওয়ার পর ৮ বছর আগে তিনি ইংল্যান্ডে চলে যান। ১৯৮৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির পাশে স্বোপার্জিত স্বাধীনতা ভাস্কর্যটি তৈরি করেন শামীম সিকদার। জগন্নাথ হলের সামনে স্বাধীনতার সংগ্রাম ভাস্কর্যটিও তারই করা। ২০০০ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন এ ভাস্কর। নূরে আলম সিদ্দিকী ২০২৩-এ পরপারে পাড়ি জমানো দেশের গুণীজনদের তালিকায় অন্যতম নাম নূরে আলম সিদ্দিকী। মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম এ সংগঠক গত ২৯ মার্চ রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। নূরে আলম সিদ্দিকীর জন্ম ১৯৪০ সালের ২৬ মে ঝিনাইদহে। সত্তরের দশকের তুখোড় এ ছাত্রনেতা ১৯৭০ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। এরপর স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছয় দফা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত তৎকালীন যশোর-২ (বর্তমানে ঝিনাইদহ-২) আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ২০২৩ সালে হারানোর তালিকায় অন্যতম নাম গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ১১ এপ্রিল রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। ১৯৪১ সালের ২৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার কোয়েপাড়া গ্রামে জন্ম নেওয়া জাফরুল্লাহ চৌধুরী এদেশের নাগরিক অধিকার আন্দোলনে সোচ্চার কণ্ঠস্বর ছিলেন। ১৯৮২ সালের ওষুধনীতি প্রণয়নের অন্যতম কারিগর ছিলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। বহির্বিশ্বে তাঁর পরিচয় বিকল্প ধারার স্বাস্থ্য আন্দোলনের সমর্থক ও সংগঠক হিসেবে। ঢাকা মেডিকেল কলেজে পড়াকালীন বাম রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। জাফরুল্লাহ চৌধুরী ১৯৬৪ সালে এমবিবিএস পাস করে যুক্তরাজ্যে চলে যান। সেখানে তিনি সাধারণ সার্জারি ও ভাস্কুলার সার্জারিতে প্রশিক্ষণ নেন। ১৯৭১ সালের যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসায় ত্রিপুরায় বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল গঠনে তিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত চিকিৎসকদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সংগঠিত করা, হাসপাতালের জন্য ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জাম সংগ্রহ করার ক্ষেত্রেও তাঁর বড় ভূমিকা ছিল। পঙ্কজ ভট্টাচার্য মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক পঙ্কজ ভট্টাচার্য। গত ২৩ এপ্রিল রাজধানীর হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান খ্যাতিমান এ বাম রাজনীতিক। তাঁর জন্ম ১৯৩৯ সালের আগস্ট মাসে। বামপন্থী আদর্শে বিশ্বাসী পঙ্কজ ভট্টাচার্য ষাটের দশকের ছাত্র আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং পরবর্তী বাংলাদেশের সব আন্দোলন-সংগ্রামের প্রত্যক্ষদর্শী, একজন নেতৃস্থানীয় কর্মী ও সংগঠক হিসেবে ভূমিকা পালন করেন। ১৯৬২ সালে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ও পরে কার্যকরী সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬৬ সালে ‘স্বাধীন বাংলা ষড়যন্ত্র’ মামলায় অভিযুক্ত হয়ে তিনি কারারুদ্ধ হন। মুক্তিযুদ্ধে ন্যাপ-ছাত্র ইউনিয়ন-কমিউনিস্ট পার্টি গেরিলা বাহিনীর সংগঠক ছিলেন। স্বাধীনতার পর দীর্ঘদিন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৯৩ সালে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত গণফোরামের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। পরে সম্মিলিত ‘সামাজিক আন্দোলন’ নামে দেশের প্রগতিশীল-গণতান্ত্রিক মানুষের একটি প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলেন। ২০১৩ সালে তিনি ঐক্য ন্যাপ নামে রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন। আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক) চলচ্চিত্র অঙ্গনেও এ বছর হারিয়েছি অনেক গুণীজনকে। তাদেরই একজন বাংলা চলচ্চিত্রের মিয়া ভাইখ্যাত নায়ক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ওরফে ফারুক। তিনি গত ১৫ মে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে প্রায় দুই বছর চিকিৎসাধীন থাকার পর মৃত্যুবরণ করেন। এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড়পর্দায় আসেন নায়ক ফারুক। অভিনয়ের জন্য ১৯৭৫ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৬ সালে ভূষিত হয়েছেন আজীবন সম্মাননায়। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে সারেং বৌ, লাঠিয়াল, সুজন সখী, নয়নমনি, মিয়া ভাই, গোলাপী এখন ট্রেনে, সাহেব, আলোর মিছিল, দিন যায় কথা থাকে ইত্যাদি। সিরাজুল আলম খান মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সিরাজুল আলম খান (দাদা ভাই) গত ৯ জুন ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। “রাজনীতির রহস্যপুরুষ”খ্যাত সিরাজুল আলম খানের জন্ম নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলীপুর গ্রামে, ১৯৪১ সালের ৬ জানুয়ারি। তাঁর বাবা খোরশেদ আলম খান ছিলেন স্কুল পরিদর্শক। মা সৈয়দা জাকিয়া খাতুন, গৃহিণী। ছয় ভাই ও তিন বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। সিরাজুল আলম খান ১৯৬১ সালে ছাত্রলীগের সহসাধারণ সম্পাদক ও ১৯৬৩ সালে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭২ সালে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) গঠিত হয় তাঁর উদ্যোগেই। মহিউদ্দিন আহমদ তার প্রতিনায়ক সিরাজুল আলম খান’ গ্রন্থে সিরাজুল আলম খানকে নিয়ে লিখেছেন, ‘ষাটের দশকে সিরাজুল আলম খানের উত্থান ছাত্রনেতা শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের হাত ধরে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছায়াতলে। এ সময় আরও কয়েকজন ছাত্রনেতা মাঠ কাঁপিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে সিরাজুল আলম খানের ফারাক এক জায়গায়—তিনি ধারাবাহিকভাবে লেগে ছিলেন। তিনি নিজেই বলেছেন, শেখ মুজিবের ছয়

Scroll to Top