ডিসেম্বর ২৯, ২০২৩

জাতীয়

৭ই জানুয়ারি আওয়ামী লীগের চূড়ান্ত পতন ঘণ্টা বাজবে – রেজা কিবরিয়া।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ৭ই জানুয়ারি আওয়ামী লীগের চূড়ান্ত পতন ঘণ্টা বাজবে – রেজা কিবরিয়া। আগামী ৭ই জানুয়ারি আওয়ামী লীগের চূড়ান্ত পতন ঘণ্টা বাজবে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের একতরফা নির্বাচন একমাত্র ভারত ও রাশিয়ার কারসাজিতে সম্পন্ন করার অপচেষ্টা চলছে। ভারত শেখ হাসিনাকে দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে খুন করেছে। ভারত বিগত ৫২ বছর বাংলাদেশে রাজনৈতিক নিপীড়ন, অর্থনৈতিক শোষণের সঙ্গে প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে জড়িত। তারা অব্যাহতভাবে বাংলাদেশে মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের বিপক্ষে কাজ করছে। আর ভারত কখনো চায় না বাংলাদেশে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক। গতকাল বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গণঅধিকার পরিষদের উদ্যোগে ‘৭ই জানুয়ারির প্রহসনের ডামি নির্বাচন বর্জনে’ সর্বদলীয় এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।  রেজা কিবরিয়া বলেন, বাংলাদেশে ভারত ও রাশিয়ার আধিপত্য আমরা মেনে নেবো না। ৭ তারিখের পাতানো নির্বাচন যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করা হবে। এই নির্বাচন দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি একদলীয় শাসনের দিকে নিয়ে যাবে, একদলীয় বাকশাল কায়েম আমরা জীবন থাকা অবস্থায় মেনে নেয়ার প্রশ্নই আসে না। বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ৭ তারিখের পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা দেশকে একটি গৃহযুদ্ধের দিকে নিয়ে গেছে। আমরা এই দেশকে আওয়ামী ও ভারতীয় হানাদারদের হাত থেকে রক্ষা করতে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে আছি, ইনশাআল্লাহ। এই মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগের পতনের মাধ্যমে বাংলাদেশের আকাশে আবার গণতন্ত্র সূর্য শিগগিরই উদিত হবে। ৭ই জানুয়ারি এদেশে কোনো নির্বাচন জনগণ হতে দেবে না। আওয়ামী লীগের পতন আওয়ামী লীগ নিজেই ডেকে এনেছে। আর ডামি আওয়ামী লীগ প্রার্থী, স্বতন্ত্র আওয়ামী লীগ প্রার্থী, বিদ্রোহী আওয়ামী লীগ, নৌকার আওয়ামী লীগ সবমিলিয়ে আজ একাকার। এই নির্বাচন জনগণ প্রতিহত করবে। গণঅধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব ফারুক হাসানের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন্দ, এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এবি পার্টির আহ্বায়ক সোলাইমান চৌধুরী, এনডিপি’র চেয়ারম্যান ক্বারী আবু তাহের, গণফোরাম সম্পাদক এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক কর্নেল মিয়া মসিউজ্জামান প্রমুখ।

জাতীয়

বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চায় ভারত — অরিন্দম বাগচি।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চায় ভারত — অরিন্দম বাগচি। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচনকে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে উল্লেখ করে ভারত স্পষ্ট করে বলেছে, বাংলাদেশের জনগণ ভোটের মাধ্যমে তাদের নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি এ তথ্য জানান। অরিন্দম বাগচি বলেছেন, ‘নির্বাচন বাংলাদেশের একটি অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশের জনগণই তাদের নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।’ সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংকালে এক প্রশ্নের জবাবে বাগচি বলেন, ‘বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও অংশীদার হিসেবে ভারত বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চায় এবং একটি স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল জাতি হিসেবে বাংলাদেশের স্বপ্নকে সমর্থন করে যাবে।’ ভারত সরাসরি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারকে সমর্থন করছে এবং আসন্ন নির্বাচনকে প্রভাবিত করছে বলে বিএনপির মুখপাত্রের সাম্প্রতিক অভিযোগের উল্লেখ করে বাগচি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা তৃতীয় কোনো পক্ষের নীতির বিষয়ে মন্তব্য করতে চাই না।’ বাংলাদেশে নিয়োজিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি. হাসের ভারতে সাম্প্রতিক বহুল আলোচিত সফর সম্পর্কে জানতে চাইলে বাগচি বলেন, তিনি মার্কিন রাষ্ট্রদূতের ভারত সফর নিয়ে মিডিয়া রিপোর্ট দেখেছেন। তিনি বলেন, ‘এটি একটি ব্যক্তিগত সফর হতে পারে। কিন্তু আমি এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানি না। তাই আমার কাছে এই মুহূর্তে বলার কিছু নেই।’

জাতীয়

বরিশালের জনসভায় প্রধান মন্ত্রী আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি একটি সন্রাসী দল, রাজনীতির করার কোন অধিকার নেই।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বরিশালের জনসভায় প্রধান মন্ত্রী আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি একটি সন্রাসী দল, রাজনীতির করার কোন অধিকার নেই। বরিশাল বিভাগ ছিল অন্ধকার। আওয়ামী লীগ সরকার এসেছে. আজকে এখানে আলো জ্বলছে। প্রতিটি ঘরে ঘরে আজ বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। বরিশালবাসীর জন্য সুখবর আছে। ভাঙ্গা থেকে বরিশাল হয়ে কুয়াকাটা পর্যন্ত ছয় লেনের আধুনিক সড়ক করে দেব। ইতোমধ্যে ভূমি অধিগ্রহণ হয়ে গেছে। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের কাছ থেকে আমরা অর্থ নেব। এই বরিশালে আর কোনো কষ্ট থাকবে না। শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে বরিশালের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, ডিসেম্বর আমাদের বিজয়ের মাস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা বিজয় অর্জন করেছিলাম ডিসেম্বরে। আজকে উপস্থিত হয়েছি। ৭ জানুয়ারি নির্বাচন, সেই নির্বাচন সামনে রেখেই আজকে আপনাদের কাছে এসেছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ক্ষুধা ও দারিদ্র্য নিত্য সঙ্গী ছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন বাংলাদেশকে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ দেশ করবেন। যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশের ক্ষমতা হাতে নিয়েছিলেন। মাত্র তিন বছর সাত মাস তিন দিন হাতে সময় পেয়েছিলেন। রিজার্ভে টাকা ছিল না। গোলায় এক ফোটা খাবার ছিল না। যুদ্ধকালীন সময়ে মাঠে কোনো ফসল ফলেনি। রাস্তাঘাট, পুল, ব্রিজ সবই বিধ্বস্ত। দুটি পোর্টে মাইন পোতা। শূন্য হাতে তিনি যাত্রা শুরু করেছিলেন। ১৯৭২ সালে যখন তিনি দায়িত্ব নেন তখন মাথাপিছু আয় ছিল ৯১ ডলার। দুঃখ-দারিদ্র্য জাতির পিতাকে পীড়া দিতো, কষ্ট দিতো। তাই নিজের জীবনকে তিনি উৎসর্গ করেছিলেন। তিনি সরকারে আসার পর নয় মাসের মধ্যে আমাদের একটি সংবিধান দেন। যে সংবিধানে জনগণের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসার সুযোগ দেবে। মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে মাথাপিছু আয় ২৭৭ ডলারে উন্নীত করেন। শুধু তাই নয়, দুটি পোর্ট মাইনমুক্ত করা, রাস্তাঘাট, পুল, ব্রিজ, রেল সব উন্নত করা, খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করা। দেশের মানুষ যারা একেবারে হতদরিদ্র তাদেরকে খাসজমি বিতরণ, বিনা পয়সায় ঘর দেওয়া। ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়াসহ বিনা পয়সায় বই, বিনামূল্যে কাপড়-চোপড় পর্যন্ত তিনি দিয়েছিলেন। শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে হত্যার পর শুধু যে একজন রাষ্ট্রপতিকে হত্যা করা হয়েছে তা নয়, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করা হয়েছিল। স্বাধীনতার মূল্যবোধকে ধ্বংস করেছিল। শুধু তাই নয়, জয় বাংলার স্লোগান নিষিদ্ধ, ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ, জাতির পিতার ছবিও নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল। জাতির পিতা মাথাপিছু আয় যেখানে রেখে গিয়েছিলেন, এরপর অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে হত্যা, গুম ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে জিয়া ক্ষমতায় আসে। এরপর এরশাদ ক্ষমতায় আসে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। ওই মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পায়নি। দারিদ্র্যের হার কমাতে পারেনি। শিক্ষার হার বাড়াতে পারেনি। বাংলাদেশের মানুষ যে তিমিরে সেই তিমিরেই ছিল। তিনি বলেন, একমাত্র যখন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসেছে, আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ বাংলাদেশের জন্য স্বর্ণযুগ ছিল। বাংলাদেশেকে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছিলাম। ১৬০০ মেগাওয়াট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ৪৩০০ মেগাওয়াটে বৃদ্ধি করেছিলাম। খাদ্য উৎপাদন ৭৯ লাখ মেট্রিক টন থেকে বাড়িয়ে ১ কোটি ৭০ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত করেছিলাম। দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছিলাম। সাক্ষরতার হার ৪৫ ভাগ থেকে বাড়িয়ে ৬৫ দশমিক ৫ ভাগে বৃদ্ধি করেছিলাম। বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছিল। দুর্ভাগ্য ২০০১ সালে সরকারে আসতে পারিনি। কেন পারিনি? আমাদের সম্পদ বিক্রি হবে, সম্পদের মালিক জনগণ অথচ বিক্রি করতে হবে। আমি চাইনি। আমি নাকচ করে দিয়েছিলাম। খালেদা জিয়া মুচলেকা দিয়েছিল বিএনপি ক্ষমতায় আসলে বিক্রি করবে। চক্রান্ত করে ২০০১ সালে আমাদের হারানো হয়। এরপর আওয়ামী লীগের ওপর যে অত্যাচার চলেছিল, এই বরিশালবাসী-পুরো দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ, এখানে সাংবাদিক আসতে পারতো না। অকাতরে অত্যাচার নির্যাতন চালানো হয়। বরিশাল থেকে ২৫ হাজার জনগণ কোটালীপাড়ায় আশ্রয় নিয়েছিল। বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, হাত কাটা, পা কাটা, চোখ তোলা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে পিঠের হাড় গুঁড়ো করে মারা, বাড়িঘর দখল, মেয়েদের ওপর পাশবিক অত্যাচার করেছে। কত মানুষ ভয়ে আত্মহত্যা করেছে। এভাবে বিএনপির অত্যাচার চলেছিল। ২০০১ থেকে ২০০৬ ছিল বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে অন্ধকার যুগ। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন না হলেও বিএনপি-জামায়াতের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে। সমস্ত দেশে গ্রেনেড হামলা, বোমা হামলা, এমনকি আমার ওপরেও গ্রেনেড হামলা হয়েছিল। এই বাংলাদেশে তারা সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দুর্নীতির অভয়ারন্য করেছিল। তাদের দুঃশাসন, দুর্নীতি যার কারণে জরুরি অবস্থা জারি হয়। ২০০৭ থেকে ২০০৮ আমাদের গ্রেপ্তার করা হয়। নানাভাবে অত্যাচার করা হয়। তারপরও জনগণের চাপে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ এর নির্বাচনের ফলাফল দেখুন। এককভাবে আওয়ামী লীগ ৩০০ আসনের মধ্যে ২৩৩টি আসন পায়। বিএনপি তার ২০ দলীয় জোট নিয়ে মাত্র ৩০টি আসন পেয়েছিল। তাদের দুঃশাসন জনগণ প্রত্যাখ্যান করে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছিল তাই ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। ১৫ বছর আমরা ক্ষমতায়। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। সার্বিকভাবে প্রতিটি জেলা, উপজেলায় ব্রিজ, কালভার্ট, রাস্তা যতদূর পেরেছি আমরা নির্মাণ করে দিয়েছি। খাদ্য নিরাপত্তা আমরা নিশ্চিত করেছি। যেখানে ১ কোটি ৮০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ছিল আজকে সেখানে ৪ কোটি ৯২ লাখ ১৬ হাজার মেট্রিক টন খাদ্য উৎপাদন হয়। যে মানুষটা এক বেলা খেতে পারতো না আজকে তারা তিন বেলা খেতে পারে। দুর্ভিক্ষ নেই, মঙ্গা নেই, কাজের জন্য হাহাকার নেই। আমরা শিক্ষার দিকেও নজর দিয়েছি। বিনা পয়সায় বই দিচ্ছি। প্রাথমিক থেকে উচ্চ শিক্ষা, গবেষণা পর্যন্ত আমরা তিন কোটি ৯৪ লাখ ১০ হাজার শিক্ষার্থীকে উপবৃদ্ধি দিয়ে সহযোগিতা করে যাচ্ছি। যে বই বাবা-মায়ের কিনতে হতো সেই দায়িত্ব আওয়ামী লীগ সরকার নিয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছি। ৩০ প্রকারের ওষুধ বিনা পয়সায় আমরা দিয়ে থাকি। সামাজিক নিরাপত্তা, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা দিচ্ছি। দুস্থ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীর নিবাস তৈরি করে দিচ্ছি। এর ফলে কমপক্ষে ১০ কোটি মানুষ আজ উপকারভোগী। আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, বরিশাল এক সময় ছিল শস্য ভান্ডার। আবার আমরা সেই ভান্ডারের সুনাম ফেরাতে সাইলো নির্মাণ করছি। আমরা বরিশালে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করে দেব। এখানে বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছি, মেরিন একাডেমি করে দিয়েছি। তাছাড়া প্রতিটি নদীর ওপর সেতু করে দিচ্ছি। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, সারা বিশ্বকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে নিজের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি। স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বরিশালে আসতাম ছোটবেলায়। সন্ধ্যায় স্টিমারে উঠতাম। দুপুরে এসে নামতাম। তখন ঘোড়ার গাড়ি চলতো। ঘোড়ার গাড়িতে উঠে আমরা ফুফুর বাড়িতে যেতাম। বলতে হতো কালীবাড়ী রোড সুধীর বাবুর বৈঠকখানার সামনে যেতে হবে। কিন্তু আজকে সেই অবহেলিত বরিশালের উন্নতি হয়েছে। তিনি বলেন, বরিশাল বিভাগে নৌবাহিনীর ঘাঁটি করেছি, সেনানিবাস তৈরি করেছি। এই এলাকার উন্নয়নের জন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিচ্ছি। ভোলার গ্যাস এখন ঢাকায় নিচ্ছি। ভবিষ্যতে বরিশালেও নিয়ে আসবো শিল্প কারখানা যাতে গড়ে ওঠে। আমাদের লক্ষ্য ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি। তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল কুয়াকাটায় চলে আসবে। ৬ লাখ ৮০ হাজারের ওপরে ফ্রিল্যান্সার আজ ঘরে বসে

Scroll to Top