ডিসেম্বর ২৮, ২০২৩

জাতীয়

তিস্তা প্রকল্পে চীনের প্রস্তাবে ভারতের আপত্তি থাকলে বিবেচনা করা হবে।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- তিস্তা প্রকল্পে চীনের প্রস্তাবে ভারতের আপত্তি থাকলে বিবেচনা করা হবে। তিস্তা প্রকল্পে চীনের প্রস্তাবে ভারতের আপত্তি থাকলে ভূরাজনৈতিক বিবেচনায় বিষয়টি দেখা হবে এবং পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন। বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত সম্প্রতি বলেছেন, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর তিস্তা প্রকল্পের কাজ শুরু হতে পারে। এর সূত্র ধরে মুখপাত্রের কাছে জানতে চাওয়া হয়, বাংলাদেশ চীনের কাছে তিস্তা নদীর উন্নয়ন-সংক্রান্ত কোনো প্রকল্প প্রস্তাব করেছে কি? করলে প্রস্তাবিত প্রকল্পের সময়কাল ও ব্যয় কত? জবাবে মুখপাত্র বলেন, চীন বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী রাষ্ট্র। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নে তারা সহযোগিতা করে আসছে। তিস্তা নদীর বাংলাদেশ অংশের উন্নয়নমূলক প্রকল্পে সহযোগিতা করতে চীন আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও ইআরডির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবেন।

জাতীয়

বিএনপি নেতা আলতাফ-হাফিজের ২১ মাসের কারাদণ্ড।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বিএনপি নেতা আলতাফ-হাফিজের ২১ মাসের কারাদণ্ড। পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার মামলায় বিএনপির দুই ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও মেজর (অব.) মো.হাফিজ উদ্দিন আহমেদসহ আটজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। . আজ বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। যাদের কারাদণ্ড দিয়েছেন তাদের মধ্যে আলতাফ হোসেন চৌধুরী, মো. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও মেজর (অব.) মো. হানিফকে দণ্ডবিধির আলাদা দুই ধারায় মোট ২১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অন্য আসামি এম এ আউয়াল খান, মো. রাসেল, মঈনুল ইসলাম, বাবুল হোসেন ওরফে বাবু ও আলমগীর বিশ্বাস ওরফে রাজুকে দণ্ডবিধির আলাদা দুই ধারায় মোট ৪২ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ও প্রত্যেকের পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বাকি ১১ আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, এম এ কাউয়ুম, মো. দুলাল, তোফায়েল আহম্মেদ ওরফে লিটন, জাহাঙ্গীর শিকদার ওরফে বাবু, আরিফুল ইসলাম, বিল্লাল হোসেন, সামসুল হক মিয়াজী, বিপ্লব, খুরশিদ আলম মমতাজ, মোশারফ হোসেন ও মাহাবুব। এর আগে, গত ২৪ ডিসেম্বর এই মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য আজকের তারিখ ঠিক করেন আদালত। মামলার অভিযোগে বলা যায়, ২০১১ সালের ৪ জুন সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে গুলশান থানাধীন মহাখালী ওয়্যারলেস গেট পানির ট্যাংকির সামনে রাস্তার ওপর অবৈধ সমাবেশ থেকে পুলিশের কাজে বাধা এবং আক্রমণ করেন আসামিরা। এছাড়া, রাস্তার চলাচলরত গাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেন। তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার। পরবর্তী সময়ে ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল এ মামালায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালীন ১২ জন সাক্ষীর মধ্যে সাতজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।

জাতীয়

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ভোট পর্যবেক্ষণ করবেন দেশীয় ২০ হাজার ৭৭৩ পর্যবেক্ষক।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ভোট পর্যবেক্ষণ করবেন দেশীয় ২০ হাজার ৭৭৩ পর্যবেক্ষক। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন দেশীয় ২০ হাজার ৭৭৩ জন পর্যবেক্ষক। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. শরিফুল আলম এই তথ্য জানান। এক বিজ্ঞপ্তিতে শরিফুল আলম জানান, কেন্দ্রীয়ভাবে ৪০টি পর্যবেক্ষণ সংস্থার ৫১৭ জন এবং স্থানীয়ভাবে ৮৪টি পর্যবেক্ষণ সংস্থার ২০ হাজার ২৫৬ জন পর্যবেক্ষক ভোট পর্যবেক্ষণ করবেন। ভোটের মাঠে আরও ১৯০৪ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চায় ইসি সবমিলিয়ে ২০ হাজার ৭৭৩ জন দেশি পর্যবেক্ষক এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন। চিঠিতে পর্যবেক্ষকদের তালিকা চূড়ান্ত করার বিষয় উল্লেখ করে বলা হয়, বিষয়টি সব রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারকে জানানো হয়েছে।

জাতীয়

একতরফা নির্বাচন প্রতিহত করার আহবান – গনতন্ত্র মঞ্চ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- একতরফা নির্বাচন প্রতিহত করার আহবান – গনতন্ত্র মঞ্চ। একতরফা নির্বাচনের প্রতিবাদে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) লাল কার্ড দেখাবে গণতন্ত্র মঞ্চ। আগামী শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করবে রাজনৈতিক জোটটি। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) একতরফা ভোট বর্জনের আহ্বানে কাওরান বাজারের পেট্রোবাংলার সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের গণসংযোগপূর্ব সমাবেশ এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সমাবেশে জানানো হয়, আগামী শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘ভোট ডাকাতির ৫ বছর ও একতরফা ডামি নির্বাচনের প্রতিবাদে’ সমাবেশ ও গণমিছিল করবে গণতন্ত্র মঞ্চ। সেখান থেকে নির্বাচন কমিশনকে লাল কার্ড প্রদর্শন করবে তারা। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী ও গণতন্ত্র মঞ্চের বর্তমান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য প্রীতম দাশ। সমাবেশে শেষে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাকর্মী কাঁটাবন মোড় পর্যন্ত মিছিল, গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেন।

জাতীয়

২ বিলিয়ন ডলার বেড়ে রিজার্ভ ২১.৪৪ বিলিয়ন ডলার।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ২ বিলিয়ন ডলার বেড়ে রিজার্ভ ২১.৪৪ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পাশাপাশি বিভিন্ন আর্থিক সহযোগী সংস্থার ঋণ ও রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ায় দেশের বৈ‌দে‌শিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ দশ‌মিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার, যা মাসের শুরুতে ছিল ১৯ বিলিয়ন। ফলে এক মাসের ব্যবধানে দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রিজার্ভ বেড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনের এ তথ্য পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ২৬ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের শর্তানুযায়ী, বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী গ্রস রিজার্ভ ২১ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন। অথচ এক মাস আগে গত ২৯ নভেম্বর গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী ছিল, ১৯ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার। সেই হিসাবে এক মাসে রিজার্ভ বেড়েছে ২ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলার। রিজার্ভ বাড়ার প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক জানান, আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি এসেছে। এছাড়া এডিবি থেকে ৪০০ মিলিয়ন, সাউথ কোরিয়ার একটা ফান্ড থেকে ৯০ মিলিয়নসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থার দেওয়া অর্থ এ মাসে এসেছে। সঙ্গে রে‌মিট্যান্স প্রবাহ ই‌তিবাচক র‌য়ে‌ছে। সব মিলিয়ে রিজার্ভ ভালো অবস্থায় ফিরছে।

জাতীয়

মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে নৌকায় ভোট চাইতে হবে — প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে নৌকায় ভোট চাইতে হবে — প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর দলের নেতা-কর্মীদের তাদের নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে দ্বারে দ্বারে গিয়ে জনগণকে নৌকায় ভোট চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। কারণ, একমাত্র আওয়ামী লীগই দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে এবং দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে, বলেন তিনি। তিনি বলেন, “আমরা গতকাল (বুধবার) আমাদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছি। ইশতেহারটি পড়ুন এবং ইশতেহার নিয়ে জনগণের কাছে যান এবং নৌকায় ভোট চান।” আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ অপরাহ্নে দলের তেজগাঁও কার্যালয় থেকে জামালপুর, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, চাঁদপুর ও বান্দরবানে আওয়ামী লীগের ছয়টি নির্বাচনী জনসভায় ভার্চুয়ালি দেওয়া ভাষণে একথা বলেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর করতে সক্ষম হয়েছে এবং একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে এর যাত্রা ২০২৬ সালে শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা গত ১৫ বছরে দেশের যে উন্নয়ন করেছি সেই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে এবং একমাত্র আওয়ামী লীগই পারবে ক্ষমতায় আসলে সেই অগ্রযাত্রাটা ধরে রাখতে। সেকারণে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার জন্য আপনারা জনগণের দ্বারে দ্বারে যাবেন। আপনারা ভোট চাইবেন। জনগণ ভোট দিয়ে যেন আমাদের সেবা করার সুযোগ দেন। আর একটি কথা এবার যেহেতু নির্বাচন নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে নানারকম চক্রান্ত হচ্ছে তাই নির্বাচনের পরিবেশটা যাতে সুন্দর হয়, উৎসবমুখর হয়, প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। তিনি এ সময় বিএনপিকে রাজনৈতিক দল নয়, বরং সন্ত্রাসি সংগঠন বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, বিএনপি হচ্ছে একটি সন্ত্রাসি দল আর একটি দল (জামায়াত) হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের দল। আর এরা নির্বাচনে না আসলে নির্বাচন অংগ্রহণমূলক হবে না, এটা আমরা বিশ^াস করি না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের অংশগ্রহণ হবে জনগণের সমাবেশ হলে। ভোটারদের আগমনে তাদের অংশগ্রহণে এখানে নির্বাচন হবে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। আমরা সেটাই চাই। আর সন্ত্রাসি দল তারা নির্বাচনে বিশ^াসও করে না মানুষ খুন ছাড়া আর দুনীতি করা ছাড়া ওদের দিয়ে দেশের কোন কল্যাণও আসবে না। ওরা মানুষকে কিছুই দিতে পারবে না। তিনি বলেন, সেই করণেই আমরা নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিয়েছি। হ্যাঁ, নৌকা মার্কা দিয়েছি পাশাপাশি আরও যারা দাঁড়াতে চায় তারাও দাঁড়াবে। এখানে একটি অনুরোধ থাকবে, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ আপনারা বজায় রাখবেন। যার যার ভোট সে সে চাইবেন। জনগণ যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে। এটাতো আমাদেরই শ্লোগান। ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’-এই শ্লোগান দিয়েই তো আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছি। এই শ্লোগান দিয়েই তো আমরা সংগ্রাম করেছি। সে কথাটা মনে রেখে যার যার ভোট সে সে চাইবেন। জনগণ যাকে ভোট দেবে সেটাই মেনে নেবেন। সেভাবেই এই নির্বাচন পরিচালিত হবে। শেখ হাসিনা বলেন, ভোট চাওয়ার অধিকার যেমন প্রার্থীর আছে তেমনি ভোট দেওয়ার অধিকার জনগণের। এখানে কেউ কারো ওপর কোন বল প্রয়োগ করার চেষ্টা করবেন না। কোন সংঘাত সৃষ্টি করবেন না। তিনি বলেন, এখন ডিজিটাল যুগ। সকলের হাতেই মোবাইল ফোন রয়েছে, সিসি ক্যামেরা রয়েছে, কাজেই যারাই গোলমাল করবেন, ছবি কিন্তু উঠে আসবে। আর নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব হলে কেউ কিন্তু রেহাই পাবে না। এটা মাথায় রাখতে হবে। আর জনগণ ভোট দেবে তাদের সেই ভোট দেওয়ার সুন্দর পরিবেশ তেরি করে দিতে হবে। ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আসতে দিতে হবে এবং যাতে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় সেই ব্যবস্থাটা সবাইকে নিতে হবে। শেখ হাসিনা বলেন, “ইনশাআল্লাহ আওয়ামী লীগ জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আবার জনগণের সেবা করার সুযোগ পাবে, জনগণের কাছে সেটাই আমাদের দাবি। সেটাই আমাদের আকাঙ্খা। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ তথা জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ ইনশাআল্লাহ আমরা গড়ে তুলবো।” আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টরে উন্নয়ন অগ্রগতি হয়েছে। বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। তিনি বলেন, ২০০৮ সালে বিএনপির-জামায়াতের ২০ দলীয় জোট মিলে মাত্র ৩০টি সিট পেয়েছিল। এরপর থেকেই বিএনপি নির্বাচন বিরোধী কার্যকলাপ শুরু করে। ২০১৪ সালে নির্বাচন বানচাল করার জন্য ২০১৩ সাল থেকে আগুন সন্ত্রাস শুরু করে। তাদের দেওয়া আগুনে কত মানুষ অগ্নিদগন্ধ হয়েছে তার হিসেব নেই। ‘জিয়াউর রহমান যেমন ক্ষমতায় এসে হত্যা, গুম, খুন শুরু করে খালেদা জিয়াও একইভাবে ক্ষমতায় এসে একই কর্মকা- করেছে’ বলেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ সালে বিএনপির ক্ষমতায় আসার পর আরও এক ধাপ অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। দুর্নীতি, হত্যা, গুম, খুন ধর্ষণ, হামলা, নির্যাতন-এমন কোনো বিষয় নেই যে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন করেনি। এই কারণেই বিএনপিকে ২০০৮ সালে দেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করে। আবারো ২০১৩-১৪ সালের মতো বিএনপি অগ্নি সন্ত্রাস শুরু করেছে নির্বাচন বানচালের নামে। তিনি বলেন, একটি দেশে ক্ষমতার পরিবর্তন হয় নির্বাচনের মাধ্যমে। এদেশের অতীত ইতিহাস বলে আওয়ামী লীগের হাতে এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়, এছাড়া অন্য কোনো দলের হাতে হয় না। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ যে ইশতেহার দিয়েছিল তা বাস্তবায়ন করেছে। সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি করার পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আমরা দিন বদলের সনদ ঘোষণা করেছিলাম। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে সরকার কাজ করেছে। আজ বাংলাদেশের দৃশ্যপট উন্নয়ন অগ্রগতিতে পরিবর্তন হয়েছে, ২০২১ সালেই উন্নয়নশীল বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জন্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা আমরা পেয়েছি। সেটাকে ধরে রেখে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, উন্নত সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে। আমরা পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। প্রতিটা মানুষ যেন উন্নত জীবন পায় সেটিই আমাদের লক্ষ্য, সেই লক্ষ্যেই আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। গত ২০ ডিসেম্বর সিলেটে হযরত শাহজালাল (রহ.) ও শাহ পরান (রহ.) মাজার জিয়ারত এবং সমাবেশের মাধ্যমে দলের নির্বাচনী প্রচারণার আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। আগামীকাল তিনি বরিশাল যাবেন এবং ওইদিন বিকেল ৩টায় জেলা শহরে এক নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এরপর ৩০ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জ সফর করবেন এবং গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া) আসনের জনসভায় ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা। একই দিন মাদারীপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক ও দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া তেজগাঁও দলীয় কার্যালয় প্রান্তে এবং শেরপুর প্রান্তে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।বাসস

জাতীয়

সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের শাস্তি দেয়া হবে – প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের শাস্তি দেয়া হবে – প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকায় গত ২৮ অক্টোবর সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের খুঁজে শাস্তির আওতায় আনার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেইসঙ্গে বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) গণভবনে বিএনপির সন্ত্রাসী হামলায় আহত সাংবাদিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎকারকালে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ২৮ অক্টোবর সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীরা পার পাবে না। তাদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা হবে। শেখ হাসিনা বলেন, ইতোমধ্যেই মামলা দেয়া হয়েছে। বিএনপির কিছু নেতা বলেন, এত হাজার মামলা হয়েছে! মামলা হবে না তো কী হবে? যারা সাংবাদিকদের পেটাবে, পুলিশ মেরে ফেলবে, বাসে-ট্রেনে আগুন দেবে, তাদেরকে আমরা কি গলার মালা দিয়ে বাহবা দেবো? যারা এসব করছে, তাদের শাস্তি তো অবধারিত। তিনি বলেন, বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল নয়, এটি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। মানুষ হত্যা করে তারা কী রাজনীতি করতে চায়? তিনি আরও বলেন, বিএনপি জানে, নির্বাচনে এলে তারা পরাজিত হবে। তাই নির্বাচন বানচালে সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে দলটি।

জাতীয়

স্মার্ট বাংলাদেশ’ থিমে ‘উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ থিমে ‘উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’। স্লোগান নিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের ইশতেহার দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। আজ বুধবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। ইশতেহারে আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তিন মেয়াদের অর্জন এবং আগামী মেয়াদে ক্ষমতায় এলে দেশের উন্নয়নে তাঁদের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছে। ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের শাসনামলকে ‘উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে বিশ্বের বিস্ময় বাংলাদেশ’ বলা হয়েছে। ইশতেহার অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইশতেহার প্রণয়ন উপকমিটির আহ্বায়ক ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক। এবারে ইশতেহারে ১১টি বিষয়ে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়েছে আওয়ামী লীগ। বিষয়গুলো হলো— ১.দ্রব্যমূল্য সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। ২. কর্মোপযোগী শিক্ষা ও যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা। ৩. আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। ৪. লাভজনক কৃষির লক্ষ্যে সমন্বিত কৃষিব্যবস্থা, যান্ত্রিকীকরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে বিনিয়োগ বৃদ্ধি। ৫. দৃশ্যমান অবকাঠামোর সুবিধা নিয়ে এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে শিল্পের প্রসার ঘটানো। ৬. ব্যাংকসহ আর্থিক খাতে দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়ানো। ৭. নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা সুলভ করা। ৮. সর্বজনীন পেনশন-ব্যবস্থায় সবাইকে যুক্ত করা। ৯.আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকারিতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা। ১০. সাম্প্রদায়িকতা এবং সব ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ রোধ করা। ১১. সর্বস্তরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুরক্ষা ও চর্চার প্রসার ঘটানো।

জাতীয়

হবিগঞ্জের নতুন ডিসি জিলুফা সুলতানা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- হবিগঞ্জের নতুন ডিসি জিলুফা সুলতানা। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) দেবী চন্দকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। নতুন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়েছে মোছা.জিলুফা সুলতানাকে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রংপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপপরিচালক (উপসচিব) জিলুফা সুলতানাকে নিয়োগ দিয়ে আদেশ জারি করেছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটরা রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে গত ২৫ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসককে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়। অপর আদেশে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক দেবী চন্দ্রকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

জাতীয়

সিলেটে বিএনপি’র সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে বৈঠক।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সিলেটে বিএনপি’র সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে বৈঠক। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নির্বাচনী কারিগরি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছে সিলেট বিভাগীয় বিএনপির প্রতিনিধি দল। বুধবার(২৮ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় সিলেটের স্থানীয় এক হোটেলে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান। এতে সিলেট বিএনপির পক্ষে অংশ নেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মোক্তাদির, আরিফুল হক চৌধুরী ও সিলেট জেলা বিএনপি সভাপতি কাইয়ুম চৌধুরী।

Scroll to Top