ডিসেম্বর ২৭, ২০২৩

জাতীয়

টি-২০ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় বাংলাদেশের।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- টি-২০ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় বাংলাদেশের। অবশেষে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে কাঙ্ক্ষিত টি-২০ জয় পেল বাংলাদেশ। তিন দিন আগে যে নেপিয়ারে ঐতিহাসিক ওয়ানডে জেতে বাংলাদেশ, আজ সেখানেই টি-টোয়েন্টি জয়ের আক্ষেপ ঘোচালেন নাজমুল হোসেনরা। স্বাগতিকদের ৫ উইকেটে হারাল সফরকারীরা। সেদিনের মতো আজও বাংলাদেশের জয়ের ভিত গড়ে দেন বোলাররা। যে মাঠে টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং গড় ২০৭, সেখানে নিউজিল্যান্ডকে ১৩৪ রানে থামান বোলাররা। সেই পথে হেঁটে বাকি আনুষ্ঠানিকতা সারেন ব্যাটাররা। যদিও একেকবারে সহজ হয়নি সে কাজটি। সহজ লক্ষ্য টপকাতে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদশ। পুরনো রোগে ভুগেছেন ব্যাটাররা। সেট হয়েও ইনিংস বড় করতে পারনি রনি তালুকদার (১০), নাজমুল (১৯) ও সৌম্য সরকার (২২), তাওহিদ হৃদয়রা (১৯)। একপ্রান্ত ধরে খেলা লিটনকে সঙ্গ দিতে পারেননি আফিফ হোসেনও। ৯৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। ষষ্ঠ উইকেটে শেখ মেহেদী হাসানের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য ৪০ রানের জুটিতে ৮ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন লিটন। ৩৬ বলে ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। শেখ মেহেদীর ব্যাট থেকে আসে ১৬ বলে ১৯ রান। এতে ১১টি টি-টোয়েন্টি খেলার পর নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথম জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। এর আগে টস জিতে প্রতিপক্ষকে ব্যাটিংয়ের পাঠায় বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান ইনিংসের প্রথম ওভারেই ফেরান ওপেনার ফিল অ্যালনকে। পরের ওভারে জোড়া আঘাত শরিফুল ইসলামের। তুলে নেন টিম সেইফার্ট ও গ্লেন ফিলিপসের উইকেট। ১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে কিউইরা। সেখান থেকে চেষ্টা করেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি স্বাগতিকরা। ব্যাট চালিয়ে খেলে ২৯ বলে ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন জিমি নিশাম। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৩ রান আসে মিচেল স্যান্টনারের ব্যাট থেকে। তাতে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ করে নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশের হয়ে ২৬ রানে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন শরিফুল। মেহেদী ১৪ রানে ২টি ও মুস্তাফিজুর রহমান ১৫ রানে ২ উইকেট নেন।

জাতীয়

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আ.লীগের ‘স্মার্ট ইশতেহার’ ঘোষণা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আ.লীগের ‘স্মার্ট ইশতেহার’ ঘোষণা। ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার লক্ষ্যের কথা জানিয়ে ইশতেহার ঘোষণা করেছে টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ। এবা‌রের স্লোগান হ‌চ্ছে ‘উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়‌বে এবার কর্মসংস্থান’। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁওয়ে ইশতেহার ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০০৮ সালে ‘দিনবদলের সনদ’ শিরোনামে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার স্বপ্ন দেখিয়ে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। ২০১৪ সালে ‘এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’ শিরোনামে ১০টি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে টানা দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসে দলটি। ২০১৮ সালে ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ শিরোনামে ‘২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’ এবং ‘২১০০ সালের মধ্যে নিরাপদ ব-দ্বীপ’ গড়ে তোলার পরিকল্পনা দেওয়া হয়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ছিল ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’। সে সময় ২০৪১ সালে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ এবং ২১০০ সালে নিরাপদ ব-দ্বীপ পরিকল্পনার রূপরেখা প্রদান করা হয়েছিল। এবার থাকছে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠনের লক্ষ্য, যেখানে স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত্তিতে হবে স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যেসব বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে দ্রব্যমূল্য সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া, কর্মোপযোগী শিক্ষা ও যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা, আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা, লাভজনক কৃষির লক্ষ্যে সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থা, যান্ত্রিকীকরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, দৃশ্যমান অবকাঠামোর সুবিধা নিয়ে এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে শিল্পের প্রসার ঘটানো, ব্যাংকসহ আর্থিক খাতে দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা, নিম্ন আয়ের মানুষদের স্বাস্থ্য সেবা সুলভ করা, সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় সবাইকে যুক্ত করা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকারিতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা, সাম্প্রদায়িকতা এবং সব ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ রোধ করা, সর্বস্তরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুরক্ষা ও চর্চার প্রসার ঘটানো।

জাতীয়

নৌকা স্বাধীনতা এনে দিয়েছে, উন্নত সুখী সমৃদ্ধ দেশও দেবে — প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- নৌকা স্বাধীনতা এনে দিয়েছে, উন্নত সুখী সমৃদ্ধ দেশও দেবে — প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নৌকা স্বাধীনতা এনে দিয়েছে, এই নৌকা উন্নত দেশও দেবে বলে উল্লেখ করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকায় ভোট চেয়েছেন তিনি। ভোটের দিন সকাল থেকেই ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার রংপুরের পীরগঞ্জ, মিঠাপুকুর ও তারাগঞ্জে তিনটি পৃথক জনসভায় ভাষণ দেন। এই সফরে প্রধানমন্ত্রী পীরগঞ্জের লালদীঘি ফতেহপুরে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। পাশাপাশি তাঁর স্বামী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার কবর জিয়ারত করবেন। তিন জনসভায় শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের মনোনীত স্থানীয় তিন প্রার্থীকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে তাঁদের ভোট দিতে সবার প্রতি আহ্বান জানান। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য বিশৃঙ্খলা এড়াতে আওয়ামী লীগের সব প্রার্থীকে সতর্ক করে দেন তিনি। ‘নৌকা অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়েছে’। আওয়ামী লীগের সভাপতি মঙ্গলবার বিকেলে পীরগঞ্জ সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এক নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেন। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে জনগণের কাছে নৌকায় ভোট চেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘নৌকায় ভোট দরকার।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই নৌকা আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে, আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি এনে দিয়েছে এবং এই নৌকাই দেবে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ। কাজেই আপনাদের কাছে আমার এটাই আবেদন, আমি আপনাদের এলাকার পুত্রবধূ।’ রংপুরের আঞ্চলিক ভাষায়, ‘কি বাহে, একখান ভোট মুই পামু না, একখান ভোট হামাক দেবেন না’, এভাবে ভোট চান প্রধানমন্ত্রী। জাতীয় সংসদের স্পিকার এবং রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) সংসদীয় আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী শিরীন শারমিন চৌধুরীকে নিজের মেয়ে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই যে আমার মেয়েকে আপনাদের দিয়ে গেলাম। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে তাঁকে জয়যুক্ত করা মানে আমাকে ভোট দেওয়া, জয়কে (সজীব ওয়াজেদ জয়) ভোট দেওয়া। সে জয়ের বোন, পুতুলের (সায়মা ওয়াজেদ পুতুল) বোন।’ প্রধানমন্ত্রী এ সময় সবার ওয়াদা চাইলে উপস্থিত জনতা সমস্বরে চিৎকার করে দুই হাত তুলে নৌকায় ভোট দেওয়ার অঙ্গীকার করেন। তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ইনশা আল্লাহ নৌকা জিতলে তিনি আবারও আসবেন, এখানে জনসভা করবেন এবং বাদবাকি উন্নয়নকাজগুলোও সম্পন্ন হবে। ২০ ডিসেম্বর সিলেট থেকে শুরু হওয়া আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচার সমাবেশের মতোই মঞ্চে ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে ও শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে আমরা জয়লাভ করেছি এবং বাংলাদেশে এই প্রথম ধারাবাহিকভাবে গণতন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। একটা স্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, এই স্থিতিশীলতা অনেকেই চায় না।’ ২০১৩-১৪ সাল এবং পরবর্তী সময়ে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস ও তাণ্ডবের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, অগ্নিসন্ত্রাস থেকে রংপুরও বাদ যায়নি। বাসে আগুন, গাড়িতে আগুন ও ট্রেনে আগুন দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এই অগ্নিসন্ত্রাসীদের প্রতিহত করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, এদের ব্যাপারে সবাইকে সজাগ হতে হবে। প্রয়োজনে বাড়ির কাছে রেললাইন থাকলে পাহারা দিতে হবে। কোনো বাস বা গাড়িতে কেউ আগুন দিতে গেলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে ধরতে হবে। জনগণকেই এটা প্রতিরোধ করতে হবে। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি আনন্দিত, গত ১৫ বছরে রংপুরে কোনো মঙ্গা দেখা দেয়নি। এখানকার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা আমরা করতে পেরেছি। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আমরা তৈরি করেছি। স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসার আমরা উন্নয়ন করেছি।’ পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক নুরুল আমিনের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শিরীন শারমিন চৌধুরী ও জনসভায় বক্তব্য দেন। আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিঠাপুকুরের জায়গীর আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেন। প্রার্থীদের সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পীরগঞ্জ যাওয়ার পথে মিঠাপুকুর উপজেলায় আরেকটি নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেন। সেখানে তিনি রংপুর-৫ (মিঠাপুকুর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রাশেক রহমানকে ভোট দেওয়ার জন্য জনগণকে অনুরোধ করেন। নির্বাচনে যেকোনো বিশৃঙ্খলা এড়াতে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের সতর্ক করে দেন। মিঠাপুকুরের জায়গীর আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত ওই জনসভায় ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ থেকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে আওয়ামী লীগের হাতকে শক্তিশালী করতে আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট চান আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি বলেন, ‘আমাদের ছাত্র ও যুবকেরা স্মার্ট ও দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে উঠবে। আমরা ভবিষ্যতের জন্য তাদের গড়ে তুলব আর ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট সোনার বাংলা।’ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দলটি নির্বাচনী পথ উন্মুক্ত করায় যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে আওয়ামী লীগের প্রত্যেক প্রার্থীকে সতর্ক করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি বলেন, ‘আপনাদের শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন করতে হবে, আবারও জনগণকে সেবা দিতে আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।’ শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মানুষের মনে শান্তি, ঘরে খাবার ও জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। দেশের মানুষ শিক্ষা, চিকিৎসা ও সুন্দর জীবন পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তারাগঞ্জ ওয়াক্‌ফ এস্টেট সরকারি কলেজ মাঠে জনসভায় জনতার উদ্দেশে হাত নাড়েন। পাশে প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা। মিঠাপুকুরে জনসভায় ভাষণ দেওয়ার আগে তারাগঞ্জ ওয়াক্‌ফ এস্টেট সরকারি কলেজ মাঠে জনসভায় ভাষণ দেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। সেখানে ভোটারদের কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনাদের (ভোটারদের) সবার কাছে আমার অনুরোধ, এই ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে সব ভোটার দয়া করে সকালে উঠে ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে যাবেন।’ জনসভায় শেখ হাসিনা রংপুর-২ (তারাগঞ্জ-বদরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল কালাম মোহাম্মদ আহসানুল হক চৌধুরীকে ভোট দিতে সবার প্রতি আহ্বান জানান। গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের অসংখ্য বাস্তবায়িত উন্নয়ন কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, গত তিন নির্বাচনে জনগণ নৌকায় ভোট দিয়েছে বলেই সরকারের পক্ষে এটা সম্ভব হয়েছে। তারাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে জনসভায় বক্তব্য দেন এই আসনের প্রার্থী আবুল কালাম মোহাম্মদ আহসানুল হক চৌধুরী। প্রধানমন্ত্রী ঢাকা থেকে বাণিজ্যিক ফ্লাইটে বেলা ১১টার দিকে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। এরপর সড়কপথে তারাগঞ্জের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন তিনি। তারাগঞ্জ থেকে মিঠাপুকুর হয়ে পীরগঞ্জ পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর এই সফর উপলক্ষে গোটা রংপুরে ছিল উৎসবের আমেজ।

জাতীয়

শত কোটি টাকার বেশি সম্পদ রয়েছে ১৮ প্রার্থীর — টিআইবি।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- শত কোটি টাকার বেশি সম্পদ রয়েছে ১৮ প্রার্থীর — টিআইবি। দ্বাদশ নির্বাচনে‌ ১৮৯৬ জন‌‌ প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। এর মধ্যে ১৬৪ প্রার্থীর বছরের এক কোটি টাকার চেয়ে বেশি আয়। ১০০ কোটির বেশি সম্পদ রয়েছে ১৮ জনের বেশি প্রার্থীর। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডির কার্যালয়ে ‘নির্বাচনী হলফনামায় তথ্যচিত্র, জনগণকে কী বার্তা দিচ্ছে?’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। নবম, দশম, একাদশ ও‌ দ্বাদশ‌ নিবাচনে নির্বাচন কমিশনে দেওয়া প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে এ‌সব তথ্য ‍তুলে ধরা হয়েছে। তথ্যচিত্র তুলে ধরেন তিন‌ সদস্যের গবেষণা দলের প্রধান তৌহিদুল ইসলাম। অন্য দুই সদস্য ছিলেন রিফাত রহমান ও রফিকুল ইসলাম। তৌহিদুল ইসলাম বলেন, দ্বাদশ নির্বাচনে ১৮৯৬ জন অংশগ্রহণ করছেন। এরমধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী ১৮ শতাংশ। আর দলীয় প্রার্থী ৮২ শতাংশ। নির্বাচনে ১০০ কোটি টাকার বেশি সম্পত্তি রয়েছে ১৮ জনের। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবির) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টিআইবির চেয়ারপার্সন সুলতানা কামাল, সুমাইয়া খায়ের। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, প্রার্থীদের হলফনামায় দেওয়া আয়-সম্পদ ও ঋণ-দায় বিবরণী কতটা সঠিক এবং আয় ও সম্পদ কতটা বৈধ উপায়ে অর্জিত তা যাচাই করা হয় না। আবার সম্পদের অর্জনকালীন যে মূল্য হলফনাময় দেখানো হয়েছে তা নিয়েও বড় রকমের প্রশ্ন রয়েছে। হলফনামায় প্রার্থীরা নিজেদের অর্জিত সম্পদ কতটা দেখিয়েছেন? পুরোটা দেখিয়েছে কি না? কিংবা দেশে বা বিদেশে সম্পদ ধারণের তথ্য গোপন করেছেন কি না তা নিয়েও প্রশ্ন করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। টিআইবির প্রাপ্ত নির্ভরযোগ্য তথ্য অনুযায়ী, সরকারের মন্ত্রিসভার অন্তত একজন সদস্যের নিজ নামে বিদেশে একাধিক কোম্পানি থাকার প্রমাণ রয়েছে, যার প্রতিফলন হলফনামায় নেই। মন্ত্রী ও তার স্ত্রীর মালিকানাধীন কোম্পানি এখনও বিদেশে সক্রিয়ভাবে রিয়েল স্টেট ব্যবসা পরিচালনা করছেন। যেসব কোম্পানির মোট সম্পদ মূল্য প্রায় ২১৪৫ কোটি টাকার বেশি।

জাতীয়

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু জেতাতে শপথ নিলেন আ.লীগের নেতাকর্মীরা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু জেতাতে শপথ নিলেন আ.লীগের নেতাকর্মীরা। আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনটি প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেবেন বলে শপথ করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ জনপ্রতিনিধিরা। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার মিরপুর বাজারে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতৃবৃন্দসহ তৃণমূলের নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিরা এ শপথ করেন। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের একত্রে একযোগে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়াল মিটিংয়েও একই নির্দেশনা দিয়েছেন। ইতোমধ্যে আমরা বিভিন্ন জায়গায় ছিলাম। কিন্তু এখন আমরা এক জায়গায় হয়েছি এবং মহাজোটের প্রার্থীকে (নৌকা প্রতীক) বিজয়ী করতে একমত পোষণ করেছি। আমরা সবাই নৌকার পক্ষে কাজ করবো। নৌকার জয় হবেই হবে ইনশাআল্লাহ। অনেকেই আমাদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছিলেন। তবে এখন আর কোনো ভয় নেই। কিছু কিছু নেতা ভয় দেখাচ্ছেন, নৌকার বিরোধিতা করছেন। তারা আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় থেকে টাকা-পয়সার মালিক হয়েছেন। তারা আরও বলেন, ইনু সাহেব কেন্দ্রীয় নেতা, যোগ্য নেতা। তিনি এই নির্বাচনী এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। আমরা সবাই নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবো। সবাই নৌকায় ভোট দেব। নৌকার জয় হবেই হবে। নৌকার পক্ষে কাজ করা আমাদের ঈমানি দায়িত্ব ও কর্তব্য। মিরপুর ও ভেড়ামারা উপজেলার উন্নয়ন এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ নির্মাণে নৌকার প্রার্থী হাসানুল হক ইনু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তাকে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আসনটি উপহার দেওয়া হবে। এ সময় বক্তারা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে সবাইকে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। সংবাদ সম্মেলনে মিরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র এনামুল হক, মিরপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম মল্লিক, কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ আলী জোয়ার্দার, কুষ্টিয়া জেলা যুবলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম, মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতাহার আলী, রুহুল আলম, সদরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম, পোড়াদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান জন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রের ২টি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের নির্বাচনের ‘সব বিষয় পর্যবেক্ষণ করবে’।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- যুক্তরাষ্ট্রের ২টি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের নির্বাচনের ‘সব বিষয় পর্যবেক্ষণ করবে’। বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশ গভীরভাবে মূল্যায়ন করতে চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেই লক্ষ্যে দেশটির দু’টি নির্বাচন পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে বাংলাদেশে অবস্থান করছে। নির্বাচন বিশ্লেষকরা বলছেন যে অন্য পর্যবেক্ষকদের মতো শুধু কেন্দ্রে ভোট দেখেই দায় সারবে না যুক্তরাষ্ট্র। আগামী ৭ জানুয়ারির ভোটের আগে পরের সহিংসতা ও ত্রুটিগুলো মূল্যায়ন করতেই পাঠানো হয়েছে ছোট এই পর্যবেক্ষক দল দু’টিকে। তারা মনে করছেন, বাংলাদেশের অতীতের দু’টি জাতীয় নির্বাচন দেশে বিদেশে নানা বিতর্ক তৈরি করেছে। এ কারণে আগামীতে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতেই যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের সার্বিক পরিবেশকে এতটা গুরুত্ব দিচ্ছে। নির্বাচন কমিশন বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইন্সটিটিউট (আইআরআই) ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইন্সটিটিউট (এনডিআই) আগামী নির্বাচনের সব কিছুই পর্যবেক্ষণ করবে। এ জন্য তাদের অ্যাক্রিডেশন দেয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘মোট ১২ জনের সব তথ্য ভেটিং করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাদের আমরা ভোট পর্যবেক্ষণের অনুমতি দিয়েছি।’ এই দু’টি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের নির্বাচনের সব বিষয় পর্যবেক্ষণ করবে। শুধু রাজনৈতিক সহিংসতা না, ভোটের আগে পরের সব পর্যবেক্ষণ তাদের রিপোর্টে থাকবে, জানান দেবনাথ। বিজ্ঞপ্তিতে আইআরআই যা বলছে শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের আইআরআই তাদের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে জন্য আইআরআই ও এনডিআই’র পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে পৌঁছেছে। প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশে ছয় থেকে আট সপ্তাহ অবস্থান করবে। অবস্থানকালে নির্বাচন পূর্ববর্তী, নির্বাচনের সময় ও নির্বাচন পরবর্তী সহিংস পরিস্থিতির ওপর নজর রাখবে এবং সেগুলোর মূল্যায়ন করবে। যেখানে আরো বলা হয়, এই পর্যবেক্ষক দল বিভিন্ন ধরনের নির্বাচনী সহিংসতার বিষয়ভিত্তিক বিশ্লেষণ করবেন। এর মধ্যে রয়েছে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে সহিংসতা, আন্ত-দলীয় সহিংসতা, নারী ও অন্যান্য প্রান্তিক গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে সহিংসতা, অনলাইনে হয়রানি ও হুমকি। এছাড়া ভবিষ্যৎ নির্বাচনে যাতে সহিংসতা কমানো হয়, সেটার গঠনমূলক সুপারিশসহ একটি প্রতিবেদন ওই কারিগরি দল দেবে বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। এর আগে গত ৮ অক্টোবর থেকে চার দিন বাংলাদেশ সফর করেছিল এনডিআই ও আইআরইয়ের একটি প্রাক নির্বাচনী পর্যবেক্ষক মিশন। নির্বাচন বিশ্লেষক ড. আব্দুল আলীম বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘যখন কোনো বিদেশী পর্যবেক্ষক দল ভোট পর্যবেক্ষণে আসেন তখন তারা বড় কোনো টিম পাঠান। তারা নির্বাচনের দিন সারাদেশের ভোটগ্রহণের সব চিত্র পর্যবেক্ষণ করেন।’ কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের এই দল শুধু ভোটের দিনের ভোটের চিত্র দেখতে আসছে না বলেও মনে করেন আলীম। যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের কারণ কী? বাংলাদেশে ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের দু’টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেও সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের তাগিদ ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। তবে এই দু’টি নির্বাচন নানা প্রশ্নের জন্ম দিলেও ভোটের পর এ নিয়ে খুব একটা তৎপরতা দেখা যায়নি দেশটির। তবে বাংলাদেশ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান স্পষ্ট হয় ২০২১ সালের ডিসেম্বরে। তখন মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে বাংলাদেশের র‌্যাব ও ছয়জন কর্মকর্তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয় ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপের পর বাংলাদেশে বিচারবহিবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডও গুমের ঘটনা অনেকটাই কমে যায়। পরবর্তীতে নির্বাচনকে মাথায় রেখে চলতি বছরের মে মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা নীতির কথা জানায়। যেখানে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নির্বাচন বিশ্লেষক ড. বদিউল আলম মজুমদার বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘বাংলাদেশে নতুন করে একটা সুষ্ঠু ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে এগিয়ে নেয়ার একটা সুযোগ ছিল। হয়তো সেটি নিশ্চিত হচ্ছে না। সে কারণে এটির ওপর যুক্তরাষ্ট্র বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে।’ ভোট দেখতে বিদেশী পর্যবেক্ষক হিসেবে আর কারা আসছে? বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে ইতোমধ্যে কয়েকটি দেশ, সংস্থা ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম থেকে আবেদন করেছে। যার মধ্যে পর্যবেক্ষক হিসেবে আবেদন করেছে ১৫৬ জন। অন্যদিকে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন চারটি সংস্থা ও ৩৪টি দেশের নির্বাচন কমিশনের ১১৪ জনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভোট পর্যবেক্ষণের। এর আগে নির্বাচনের চার মাস আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রাক নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল নির্বাচন কমিশনের সাথে বৈঠক করলেও তারা শেষ পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ না করার ঘোষণা দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের মতো তারাও ভোট পর্যবেক্ষণে ছোট একটি টেকনিক্যাল টিম পাঠাবে। এর বাইরেও কয়েকটি দেশ থেকে ছোট ছোট টিম আসার কথা রয়েছে বাংলাদেশের এই ভোট পর্যবেক্ষণে। নির্বাচন কমিশন জানাচ্ছে, থাইল্যান্ড, নেপাল, ভারত, ব্রিটেন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, সুইডেন, ডাচ, ইরাক, ফিলিস্তিন, জর্জিয়া, উগান্ডা, নরওয়ে, বুলগেরিয়া, কঙ্গো থেকে আগামী সাতই জানুয়ারির ভোট পর্যবেক্ষণের আবেদন করেছে। নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যাদের ভেটিং করে দেয় তাদের আমরা পর্যবেক্ষক হিসেবে অনুমতি দেই। বিদেশী পর্যবেক্ষকদের যে গাইডলাইন আছে, সেই গাইডলাইন ফলো করেই তারা পর্যবেক্ষণ করতে পারে’। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে অন্য পর্যবেক্ষকদের পার্থক্য যেখানে সাতই জানুয়ারির নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে বিশ্বের কয়েকটি দেশ থেকে প্রতিনিধি দল আসলেও তারা শুধু নির্বাচনের দিন ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করবেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এনডিআই ও আইআরআই প্রতিষ্ঠান দু’টি বাংলাদেশে থাকবেন ছয় থেকে আট সপ্তাহ। নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও বিশ্লেষক ড. আব্দুল আলীম বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের এনডিআই ও আইআরআই- নির্বাচন পূর্ব, ভোটের দিন ও নির্বাচন পরবর্তী সময়ের বিষয়গুলো তারা পর্যবেক্ষণ করবে। তারা যদি শুধু নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য আসত তাহলে বিশাল টিম পাঠাত।’ আব্দুল আলীম বলছেন, তারা ভোটের সার্বিক পরিবেশ দেখে যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে একটি রিপোর্ট দিবে। তারা ভোট পর্যবেক্ষণ না, মূলত ভোটকে মূল্যায়ন করবে, যোগ করেন তিনি। ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বিবিসিকে বলেন, ‘পর্যবেক্ষণ করে তারা একটা রিপোর্ট দেবে। এবং যাওয়ার আগে তারা হয়তো তা প্রকাশও করবে’। তাদের এই পর্যবেক্ষণকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছে নির্বাচন কমিশন, জানান তিনি। নির্বাচন বিশ্লেষকরা বলছেন, যখন কোনো জায়গায় সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ থাকে না অর্থাৎ সব দলের অংশগ্রহণ থাকে না, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে যেসব ভোট নিয়ে প্রশ্ন থাকে; সেখানে পর্যবেক্ষক পাঠানোর বদলে কারিগরি টিম পাঠায় যুক্তরাষ্ট্রের এই সংস্থা দু’টি। সূত্র : বিবিসি

সাম্প্রতিক

স্পিকার শিরীন শারমিনকে ‘মেয়ে’ সম্বোধন, নৌকায় ভোট চাইলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- স্পিকার শিরীন শারমিনকে ‘মেয়ে’ সম্বোধন, নৌকায় ভোট চাইলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় সংসদের স্পিকার এবং পীরগঞ্জ সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে নিজের কন্যা আখ্যায়িত প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই যে আমার মেয়েকে আপনাদের দিয়ে গেলাম নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে তাঁকে জয়যুক্ত করা মানে আমাকে ভোট দেওয়া, জয়কে ভোট দেওয়া। সে জয়ের বোন, পুতুলের বোন। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে পীরগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক বিশাল নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণে বলেন, ‘এই নৌকা স্বাধীনতা এনেছে, অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়েছে, এই নৌকা আমাদের একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ দেবে।’ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে জনগণের কাছে নৌকায় ভোট প্রদানের দাবি করে রেখে শেখ হাসিনা বলেন, ‘নৌকায় ভোট দরকার।’ নূহ নবীর নৌকা মানব জাতিকে মহাপ্লাবন থেকে রক্ষা করেছিল বলেও তিনি স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেন, এই নৌকা আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে, আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি এনে দিয়েছে এবং এই নৌকাই দেবে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ। কাজেই আপনাদের কাছে আমার এটাই আবেদন-আমি আপনাদের এলাকার পুত্রবধূ ‘কি বাহে একখান ভোট মুই পামু না, একখান ভোট হামাক দেবেন না’-রংপুরের আঞ্চলিক ভাষায় এভাবেই ভোট চান প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী এ সময় সকলের ওয়াদা চাইলে উপস্থিত জনতা সমস্বরে চিৎকার করে দুই হাত তুলে ভোট প্রদানের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তিনি সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ইনশাল্লাহ নৌকা জিতলে তিনি আবারও আসবেন, এখানে জনসভা করবেন এবং বাদবাকি উন্নয়ন কাজগুলোও সম্পন্ন হবে। গত ২০ ডিসেম্বর সিলেট থেকে শুরু হওয়া আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচার সমাবেশের মতোই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে ও শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা। আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ দেবে বলে যে কথা দিয়েছিল, সে কথা রেখেছে-সেটাই সবচেয়ে বড় কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারণ, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে সেবা করতে। তিনি বলেন, জাতির পিতাকে হত্যা করে যারা ক্ষমতা দখল করেছিল তারা এসেছিল লুটপাট করতে। লুটপাট, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক-এগুলো ছিল তাদের কাজ। তারা জনমানুষের কল্যাণে কোন কাজ করেনি। নিজেদের আখের গুছিয়েছে। আর ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে কিছু মানুষকে সম্পদশালী করেছে। অন্যদিকে, আমার মজুর, কৃষক, শ্রমিক, সকলে মানবতার জীবন যাপন করেছেন। একমাত্র আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পরেই তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেছে। শিক্ষা-দীক্ষা সবদিক থেকে মানুষ এগিয়ে যাচ্ছে। সব থেকে বেশি মঙ্গা পীড়িত এলাকা ছিল এই রংপুর। কিন্তু, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর কোনদিন এখানে আর মঙ্গা হয়নি, বলেন তিনি। এ সময় তিনি দেশের প্রতি ইঞ্চি জমিকে চাষের আওতায় আনার মাধ্যমে দেশের সার্বিক উৎপাদন বাড়ানোর জন্য তাঁর আহ্বান পুণর্ব্যক্ত করে তাঁর সরকারের দেওয়া বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা কাজে লাগিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর মাধ্যমে সকলকে আত্মনির্ভরশীল হয়ে ওঠার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। শেখ হাসিনা বলেন, সামনে নির্বাচন, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ এর নির্বাচনে আমরা জয়লাভ করেছি এবং বাংলাদেশে এই প্রথম ধারাবাহিক ভাবে গণতন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। একটা স্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো এই স্থিতিশীলতা অনেকেই চায় না। কারণ, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীর পকেট থেকে যেসব দল উঠে এসেছে তারা মানুষের শান্তি দেখতে পারে না। যে কারণে আপনাদের মনে আছে, অগ্নি সন্ত্রাস থেকে রংপুরও বাদ যায়নি। ২০১৩-১৪ সাল এবং পরবর্তী সময়ে বিএনপি জামাত জোটের অগ্নি সন্ত্রাস ও তান্ডবের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, অগ্নি সন্ত্রাসের থেকে এ রংপুরও বাদ যায়নি। বাসে আগুন, গাড়িতে আগুন ও ট্রেনে আগুন দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন কয়েকদিন আগে রেল লাইনের ফিসপ্লেট খুলে ফেলে দিয়েছে ওই বিএনপি জামাত চক্রের সন্ত্রাসীরা। কারণ, রেলের বগি পড়ে যাবে মানুষ মারা যাবে। মানুষ মারার ফাঁদ তারা তৈরি করেছে। এর থেকে ঘৃণার আর কি বা থাকতে পারে? প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু তাই নয় ট্রেনে আগুন দিয়েছে। মা তো তার শিশু পুত্রকেতো ছাড়তে পারে না, জড়িয়ে বাঁচার চেষ্টা করেছে, দু’জনেই সেখানেই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। এ দৃশ্য দেখা যায় না, এটা সহ্য করা যায় না। তিনি বলেন, এই অগ্নি সন্ত্রাসই নাকি তাদের আনন্দ, এটাই নাকি তাদের আন্দোলন। তিনি বলেন, আমাদের রাজনীতি মানুষের জন্য কিন্তু মানুষকে মেরে মানুষকে হত্যা করে সেটা কিসের আন্দোলন ? কিসের রাজনীতি? সেটাই আমার প্রশ্ন। তিনি এই অগ্নি সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করার আহ্বান পুনব্যক্ত করে বলেন, এখানে ছাত্ররা আছে, তরুণ সমাজ আছে, প্রত্যেককে সজাগ থাকতে হবে। ওই অগ্নিসন্ত্রাস যারা করতে আসবে তাদের সাথে সাথে ধরতে হবে। তাদের উপযুক্ত শাস্তির জন্য পুলিশে সোপর্দ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের জীবন নিয়ে কাউকে আমরা খেলতে দেব না। আমরা মানুষের কল্যাণে কাজ করি, দিনরাত পরিশ্রম করি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। আর তারা আসে ধ্বংস করার জন্য। কাজেই, এদের ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে, সজাগ হতে হবে। প্রয়োজনে বাড়ির কাছে রেললাইন থাকলে পাহারা দিতে হবে। কোন বাস বা গাড়িতে কেউ আগুন দিতে গেলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে ধরতে হবে। জনগণকেই এটা প্রতিরোধ করতে হবে। তিনি বলেন, ২০১৩ সালে জনগণ এটা প্রতিরোধ করেছিল এবং ২০১৪ সালে জনগণ এগুলো প্রতিরোধ করে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছিল বলেই আমরা সরকারে এসেছিলাম। কাজেই, সবাইকে এক হয়ে এই ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে। শেখ হাসিনা বলেন, আমি আনন্দিত এইজন্য যে গত ১৫ বছরে রংপুরে কোন মঙ্গা দেখা দেয়নি। এখানকার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা আমরা করতে পেরেছি। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আমরা তৈরি করেছি। স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসার আমরা উন্নয়ন করেছি। সারা বাংলাদেশে আমরা মডেল মসজিদ এবং ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র করছি। সেটা আমরা এখানেও করেছি। যাতে করে আমাদের দেশের সব স্তরের মানুষ ভালো থাকে, তাদের জীবন উন্নত হয়। তাছাড়া, সমাজে অনগ্রসর যারা এমনকি দলিত-হরিজন- তাদের জন্যও বিনামূল্যে আমরা ঘর করে দিচ্ছি। জীবন জীবিকার মান উন্নয়ন করার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। আমাদের কাজই হচ্ছে জনগণের কল্যাণ করা। আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যত গড়ে তুলতে, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে, আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছি। তিনি বলেন, আমাদের সরকার স্মার্ট হবে, আমাদের অর্থনীতি স্মার্ট হবে, আমাদের সমাজ ব্যবস্থা স্মার্ট হবে-কেউ পেছনে পড়ে থাকবে না। সবাইকে নিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি আগামীতে এটা কার্যকর করে আমরা আরো এগিয়ে যাব। বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবো, যে স্বপ্ন জাতির পিতা দেখেছিলেন। তিনি বলেন, একটি মানুষও ক্ষুধার্ত থাকবে না, একটি মানুষ ও ভূমিহীন গৃহহীন থাকবে না, একটি মানুষও বিনা চিকিৎসায় থাকবে না। প্রত্যেকটি মানুষের যে মৌলিক অধিকারগুলো রয়েছে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা, তার ব্যবস্থা আমরা করবো। এটা আমরা করেও দিচ্ছি এবং এটা আমাদের অব্যাহত থাকবে। আর এটা অব্যাহত থাকতে হলে নৌকা মার্কায় ভোট দরকার। এদিন বিকেলে পীরগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের এই বিশাল নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেওয়ার আগে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তারাগঞ্জ ও মিঠাপুকুর উপজেলায় দু’টি জনসভায় ভাষণ দেন। পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক নুরুল আমিন রাজার সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বক্তব্য রাখেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর

জাতীয়

সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় ট্রাক-সিএনজির সংঘর্ষ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় ট্রাক-সিএনজির সংঘর্ষ। সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় ট্রাক-সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও কাভার্ডভ্যানের ত্রিমুখী মুখোমুখি সংঘর্ষে সন্তানসহ এক চিকিৎসক নিহত হয়েছেন। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে শাহজালাল ব্রিজের দক্ষিণ পাশে হুমায়ুন রশিদ চত্বরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন, নর্থইস্ট মেডিকেল কলেজের অনকোলজি বিভাগের চিকিৎসক ডা. তৌহিদুর রশিদ চৌধুরী ও তার ছেলে তালহা বিন তৌহিদ চৌধুরী। এ ঘটনায় ডা. তৌহিদের স্ত্রীও গুরুতর আহত হয়েছেন। তবে তার নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। দুর্ঘটনার বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান। তিনি বলেন, তাদের বহনকারী অটোরিকশাটি শহরের দিকে আসছিল। একই সময়ে বিপরীত দিক থেকে একটি ট্রাক আসছিল। অটোরিকশাটি হুমায়ূন রশীদ চত্ত্বর পার হয়ে শাহজালাল ব্রিজের দক্ষিণ পাশে আসলে ট্রাক-সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও একটি কাভার্ডভ্যানের ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এ সময় তারা গুরুতর আহত হন। পরে তাদের দ্রুত উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকরা জানান, হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় ঘাতক ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান আটক করা হলেও চালক পালিয়ে গেছে।

Scroll to Top