বিলেতের আয়না ডেক্স :- ৯২ হাজার কোটি টাকা কোথায় সিপিডিকে জানাতে বললেন কাদের। ১৫ বছরে ৯২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ হয়েছে বলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) যে দাবি করেছেন তার জবাব দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এই ৯২ হাজার কোটি টাকা কোথায় গেল, সেটা একটু জানতে চাই। গতকাল রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, আমার জবাব একটাই, এই ৯২ হাজার কোটি টাকা কোথায় গেল, সেটা একটু জানতে চাই। এই টাকাগুলো কোথায় আছে? সন্ধান দিলে তখন আমরা জবাব দেবো। আমাদের জানা নেই। প্রসঙ্গত, ২০০৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ২৪টি বড় ধরনের ঋণ অনিয়মের মাধ্যমে ব্যাংকিং খাত থেকে ৯২ হাজার কোটি টাকার বেশি আত্মসাৎ হয়েছে বলে দাবি করেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিঘ্ন সৃষ্টি করবে তাদেরকে নিষেধাজ্ঞা দেয়া এবং তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নীতি প্রয়োগ করা- এটা তো আমেরিকারই বহুল প্রচারিত ঘোষণা। আইআরআই এবং এনডিআরের পাঁচ জন প্রতিনিধি এখন বাংলাদেশে আছে। আমরা এ ব্যাপারে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীরা বাধা দিচ্ছে- এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত যত অভিযোগ নির্বাচন কমিশনের বিষয়। নির্বাচনে আচরণবিধি যাতে যথাযথভাবে প্রয়োগ হয় এবং এখানে যদি কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা হয়- এটা দেখার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। এখানে আমি কোনো দল বুঝি না। এক হাজার ৮৯৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে, আওয়ামী লীগ আছে, অন্যান্য রাজনৈতিক দল আছে। সবাই প্রতিদ্বন্দ্বী। এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা যদি বিঘ্নিত হয়, এই প্রতিযোগিতা যদি বিশৃঙ্খলার আবর্তে পড়ে, নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নেবে এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিলেও দল হিসেবে আওয়ামী লীগ কোনো আপত্তি করবে না। তিনি আরও বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে চাই। কাজেই আমাদের দলের কেউ নৌকার প্রার্থী অথবা স্বতন্ত্র প্রার্থী যেখানেই থাকুক, কারও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কোনো অধিকার নেই। নির্বাচনবিরোধী সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ার কোনো সুযোগ নেই। এটা আমরা সমর্থন করি না এবং নির্বাচন কমিশন যে ব্যবস্থা নেবে, আমরা সেটাকে সমর্থন করি। একজন গণমাধ্যমকর্মী প্রশ্ন করেন-গত ১৫ বছরে এমন কী ঘটেছে যে, এত উন্নয়নের পরও আওয়ামী লীগের এত সমালোচনা। একা একা নির্বাচন করতে হচ্ছে? জবাবে তিনি বলেন, যারা নির্বাচন করছে না তাদের গিয়ে প্রশ্নটা করুন। ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা দেশ পরিচালনা করছি। সবকিছু শতভাগ পারফেক্ট হবে এমন দাবি আমরা করি না। সমালোচনার বিষয় থাকলে সমালোচনা হবে। সমালোচনা শুদ্ধ করে। সমালোচনা-বিতর্ক হলে তখন শুদ্ধ হওয়ার একটা সুযোগ থাকে। সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ‘আমরা আর মামুরা’ ভোট হচ্ছে- এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বদিউল আলম মজুমদার বিএনপি’র একজন খাস দালাল। বিএনপি’র রিজভী (জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব) যা বলেন, উনিও তাই বলছেন। নির্বাচনী শান্তিপূর্ণ পরিবেশের ক্রমেই অবনতি হচ্ছে- এমন অভিযোগের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সংঘাতের আশঙ্কা সব সময় আমাদের এ অঞ্চলে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে থাকে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ১১৭ জন…এখানে হচ্ছে কিন্তু আমি বড় ধরনের কোনো সংঘাত হওয়ার আশঙ্কা করছি না। আমার দলের পক্ষ থেকে বলতে চাই, আমাদের নেত্রীর এ ব্যাপারে টলারেন্স জিরো। আওয়ামী লীগ হোক, স্বতন্ত্র প্রার্থী হোক। আওয়ামী লীগের নামে যারা শান্তি বিঘ্নিত করবে, নির্বাচনের পরিবেশকে দূষিত করবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। দলের পক্ষ থেকে এটা আমাদের প্রত্যাশা।