ডিসেম্বর ২৬, ২০২৩

জাতীয়

মধুপুর কৃষকের বাড়িতে সিঁধ কেটে চুরি

বিলেতের আয়না :- জুয়েল রানা মধুপুর (টাংগাইল) প্রতিনিধি মধুপুর কৃষকের বাড়িতে সিঁধ কেটে চুরি টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার বিপ্রবাড়ী (বৃত্তিবাড়ী) নামক মরহুম শাহবাজ উদ্দিন ফকিরের বাড়িতে সিঁধ কেটে চুরি করে । গত সোমবারে ২৫শে ডিসেম্বর আনুমানিক ২টায় মরহুম শাহাবাজ উদ্দিনের বাড়িতে সিঁধ কাটার ঘটনা ঘটে। মরহুম শাহবাজ উদ্দীনের ফকিরের ছেলে মোঃ হানিফ মিয়া কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার বাড়ীতে গত রাত্রে আনুমানিক ২ টায় সিং কেটে আমার ছোট দুই বোনের জমানো ২৫-৩০ হাজার টাকা এবং স্মার্ট ফোন,আরও অনেক জিনিস পত্র চুরি করে নিয়ে গেছে এখন আমি কিভাবে চলবো তা আমার কুল কিনারা নাই। এইভাবে কিছুদিন আগে সাইফুল ইসলামেরর বাড়িতে টিউবওয়েল চুরি করা নেওয়া হয়েছে। আসাদুজ্জামান আসাদ বাড়ীতে প্রোল্টি ফ্রাম থেকে টিউবওয়েল, মোটর চুরি করা নেওয়া হয়। শহিদুল মন্ডলের বাড়ীতে টিউবওয়েল আরও অনেক কিছু। মোঃ আক্তারের টিউবওয়েল, টাকা পয়সা । বিপ্রবাড়ি বাজারে দোকানদার হায়দার আলীর টিউবওয়েল চুরি হয়েছে। এরকম চুরি করে নেয় তাহলে আমরা নিঃস্ব হয়ে যাবো এবং আমাদের দাবি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এটা তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা করা হয়।

আন্তর্জাতিক

বিশ্বব্যাপী চলমান দুই যুদ্ধ আর অশান্তি ঘুচিয়ে বিশ্বশান্তি কামনা করে প্রার্থনায় দেশব্যাপী উদযাপন হয়েছে খ্রিস্টানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বিশ্বব্যাপী চলমান দুই যুদ্ধ আর অশান্তি ঘুচিয়ে বিশ্বশান্তি কামনা করে প্রার্থনায় দেশব্যাপী উদযাপন হয়েছে খ্রিস্টানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। রোববার (২৫ ডিসেম্বর) বড়দিন উপলক্ষে গির্জায় গির্জায় হয়েছে বিশেষ প্রার্থনা। চার্চগুলোয় বড়দিন আনুষ্ঠানিকতা আগের রাত থেকে শুরু হলেও বড়দিনের সকালে হয় মূল প্রার্থনা। কাকরাইলে ‘সেন্ট মেরীস ক্যাথিড্রাল’ এ শীতের সকালে নানা বয়সের মানুষ আসেন প্রার্থনায় অংশ নিতে। সেন্ট মেরীস ক্যাথিড্রালের প্রার্থনায় ফাদার গাব্রিয়েল কোড়াইয়া সবাইকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন জীবন প্রেমময় হয়ে উঠুক এবং পূর্ণ হোক ভালোবাসায়। বড়দিনের প্রার্থনায় প্রার্থনায় তিনি বলেন, ‘হে প্রভু সারা বিশ্বে যে অশান্তি বিরাজ করছে, আপনি শান্তি ফিরিয়ে দিন। আপনার ফিরে আসার অপেক্ষায় হে প্রভু।’ বড়দিন সোমবার হলেও, খ্রিস্টান সম্প্রদায় এই উৎসব শুরু করেছে আগের রাত থেকেই। বাড়িতে বাড়িতে রঙিন স্টার, ছোট ছোট ক্রিসমাস ট্রি, রঙিন বল বা মরিচ বাতি দিয়ে সাজসজ্জা করা হয়। দিনের শুরুতে প্রার্থনা, শুভেচ্ছা বার্তা বিনিময়, কেক-পিঠা তৈরি ও খাওয়া দাওয়ার মাধ্যমে চলছে উৎসব উদযাপন। রাজধানীর অভিজাত হোটেল-রেস্তোরাঁতেও চলছে বড়দিনের বিশেষ আয়োজন। এই আয়োজনে রয়েছে প্রার্থনা; আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি। কোনো কোনো জায়গায় শিশুদের জন্য উপহারের ঝুলি নিয়ে হাজির থাকে সাদা চুলদাড়ির বুড়ো সান্তাক্লজ। এছাড়া কোনো কোনো শপিংমলও সাজানো হয়েছে বড়দিন উপলক্ষে। কাকরাইলের ‘সেন্ট মেরীস ক্যাথিড্রাল’ ছাড়াও তেজগাঁওয়ে ‘হলি রোজারি’, মোহাম্মদপুরের সেন্ট ক্রিস্টিনা গির্জাসহ রাজধানীর বিভিন্ন চার্চ সেজেছে বড়দিনের সাজে। আলোকসজ্জা ছাড়াও রাখা হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি। চার্চে বানানো হয়েছে যিশু খ্রিষ্ট্রের জন্মের সময়ের প্রতীকী গোশালা। উৎসবের আবহ তৈরি হয়েছে চার্চ সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতেও। দুই হাজার বছরের বেশি সময় আগে ২৫ ডিসেম্বর ইসরাইলের বেথেলহেম শহরে কোনো এক গোশালায় কুমারী মাতা মেরির গর্ভে জন্ম নেন যিশু। তার জন্মকাহিনীকেই এ উৎসবের মূল ভিত্তি ধরা হয়। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার ও মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালনা করার জন্য ঈশ্বর যিশুকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছিলেন। উৎসব নির্বিঘ্ন করতে গির্জাগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে। গির্জায় আসা সবাই আর্চওয়ের দিয়ে ভেতরে ঢুকেছেন। নিরাপত্তার এই আয়োজনে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ফাদার গাব্রিয়েল কোড়াইয়া। এর আগে রোববার বড়দিন উপলক্ষে বাণী দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জাতীয়

৯২ হাজার কোটি টাকা কোথায় সিপিডিকে জানাতে বললেন কাদের।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ৯২ হাজার কোটি টাকা কোথায় সিপিডিকে জানাতে বললেন কাদের। ১৫ বছরে ৯২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ হয়েছে বলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) যে দাবি করেছেন তার জবাব দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এই ৯২ হাজার কোটি টাকা কোথায় গেল, সেটা একটু জানতে চাই। গতকাল রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, আমার জবাব একটাই, এই ৯২ হাজার কোটি টাকা কোথায় গেল, সেটা একটু জানতে চাই। এই টাকাগুলো কোথায় আছে? সন্ধান দিলে তখন আমরা জবাব দেবো। আমাদের জানা নেই। প্রসঙ্গত, ২০০৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ২৪টি বড় ধরনের ঋণ অনিয়মের মাধ্যমে ব্যাংকিং খাত থেকে ৯২ হাজার কোটি টাকার বেশি আত্মসাৎ হয়েছে বলে দাবি করেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিঘ্ন সৃষ্টি করবে তাদেরকে নিষেধাজ্ঞা দেয়া এবং তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নীতি প্রয়োগ করা- এটা তো আমেরিকারই বহুল প্রচারিত ঘোষণা। আইআরআই এবং এনডিআরের পাঁচ জন প্রতিনিধি এখন বাংলাদেশে আছে। আমরা এ ব্যাপারে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীরা বাধা দিচ্ছে- এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত যত অভিযোগ নির্বাচন কমিশনের বিষয়। নির্বাচনে আচরণবিধি যাতে যথাযথভাবে প্রয়োগ হয় এবং এখানে যদি কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা হয়- এটা দেখার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। এখানে আমি কোনো দল বুঝি না। এক হাজার ৮৯৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে, আওয়ামী লীগ আছে, অন্যান্য রাজনৈতিক দল আছে। সবাই প্রতিদ্বন্দ্বী। এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা যদি বিঘ্নিত হয়, এই প্রতিযোগিতা যদি বিশৃঙ্খলার আবর্তে পড়ে, নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নেবে এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিলেও দল হিসেবে আওয়ামী লীগ কোনো আপত্তি করবে না। তিনি আরও বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে চাই। কাজেই আমাদের দলের কেউ নৌকার প্রার্থী অথবা স্বতন্ত্র প্রার্থী যেখানেই থাকুক, কারও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কোনো অধিকার নেই। নির্বাচনবিরোধী সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ার কোনো সুযোগ নেই। এটা আমরা সমর্থন করি না এবং নির্বাচন কমিশন যে ব্যবস্থা নেবে, আমরা সেটাকে সমর্থন করি। একজন গণমাধ্যমকর্মী প্রশ্ন করেন-গত ১৫ বছরে এমন কী ঘটেছে যে, এত উন্নয়নের পরও আওয়ামী লীগের এত সমালোচনা। একা একা নির্বাচন করতে হচ্ছে? জবাবে তিনি বলেন, যারা নির্বাচন করছে না তাদের গিয়ে প্রশ্নটা করুন। ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা দেশ পরিচালনা করছি। সবকিছু শতভাগ পারফেক্ট হবে এমন দাবি আমরা করি না। সমালোচনার বিষয় থাকলে সমালোচনা হবে। সমালোচনা শুদ্ধ করে। সমালোচনা-বিতর্ক হলে তখন শুদ্ধ হওয়ার একটা সুযোগ থাকে। সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ‘আমরা আর মামুরা’ ভোট হচ্ছে- এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বদিউল আলম মজুমদার বিএনপি’র একজন খাস দালাল। বিএনপি’র রিজভী (জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব) যা বলেন, উনিও তাই বলছেন। নির্বাচনী শান্তিপূর্ণ পরিবেশের ক্রমেই অবনতি হচ্ছে- এমন অভিযোগের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সংঘাতের আশঙ্কা সব সময় আমাদের এ অঞ্চলে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে থাকে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ১১৭ জন…এখানে হচ্ছে কিন্তু আমি বড় ধরনের কোনো সংঘাত হওয়ার আশঙ্কা করছি না। আমার দলের পক্ষ থেকে বলতে চাই, আমাদের নেত্রীর এ ব্যাপারে টলারেন্স জিরো। আওয়ামী লীগ হোক, স্বতন্ত্র প্রার্থী হোক। আওয়ামী লীগের নামে যারা শান্তি বিঘ্নিত করবে, নির্বাচনের পরিবেশকে দূষিত করবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। দলের পক্ষ থেকে এটা আমাদের প্রত্যাশা।

আন্তর্জাতিক

আফগানরা খরচ বাঁচাতে গণবিয়ে করছে।

বিলেতেৱ আয়না ডেক্স :- আফগানরা খরচ বাঁচাতে গণবিয়ে করছে। অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে খরচ বাঁচাতে গণবিয়ে করছেন আফগানরা। সোমবার দেশটির রাজধানী কাবুলে একটি অনুষ্ঠানে একসঙ্গে পঞ্চাশ দম্পতির বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভয়েস অব আমেরিকা। ২০২১ সালের আগস্টে তালেবান সরকার কাবুলের ক্ষমতায় আসার পর থেকে নাচ-গানের মাধ্যমে জমকালোভাবে বিয়ে করার সুযোগ অনেকটাই সীমিত হয়ে উঠেছে। কর্তৃপক্ষ এই ধরনের কার্যকলাপকে অনৈসলামিক বলে মনে করায় এসব নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কাবুল বিমানবন্দরের কাছে সিটি স্টার ওয়েডিং হলের সামনে ঐতিহ্যবাহী শালওয়ার কামিজ পরা প্রায় শতাধিক পাগড়িধারী পুরুষকে দল বেঁধে আড্ডা দিতে দেখা গেছে। তবে এখানে কোনো নারীকে দেখা যায়নি। নবদম্পতিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য সবুজ ফিতা ও লাল প্লাস্টিকের গোলাপ দিয়ে সাজানো গাড়ি দেখা গেছে। রুহুল্লাহ রেজায়ি (১৮) তাড়াহুড়ো করে তার স্ত্রীকে নিয়ে চলে যাওয়ার আগে এএফপিকে বলেছিলেন, তার একক বিয়ে করার সামর্থ্য নেই। তিনি বলেন, ‘ট্রেডিশনাল বিয়েতে আমাদের কমপক্ষে ২ লাখ থেকে আড়াই লাখ আফগান মুদ্রা (২ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার ৬০০ ডলার) খরচ হত, কিন্তু গণ বিয়ের কারণে খরচ হবে মাত্র ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার আফগান মুদ্রা।’ হাজারা নামের আরেক যুবক, তিনি  সংখ্যালঘু শিয়া সম্প্রদায়ের সদস্য। আফগানিস্তানের ঘোর প্রদেশের ছোটখাটো কাজ করে প্রতিদিন মাত্র ৩৫০ আফগান মুদ্রা আয় করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের দুই পরিবারের ৩৫ জনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। একক বিয়ে হলে ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে দাওয়াত দিতে হত।’ সোমবার এই বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সালেব ফাউন্ডেশন নামের একটি সংস্থা। প্রত্যেক নতুন দম্পতিকে অনুদান হিসেবে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকার বেশি দিয়েছে তারা। শুধু তাই নয়, সংসার জীবন শুরুর জন্য তাদের একটি কেক, টুথপেস্ট, শ্যাম্পু, লোশন, মাদুর ও কম্বলসহ ঘরের কাজে লাগে এমন নানা সরঞ্জাম দিয়েছে সংস্থাটি। বিয়ের এই আয়োজনের অংশ হতে আবেদন করেছিল ৬০০ জুটি। নির্বাচিত জুটিদের আজকের দিনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে দীর্ঘ সময়। কাবুলের বাসিন্দা সামিউল্লাহ জামানি (২৩) বলেন, ‘এই দিনের জন্য আমি তিন বছর অপেক্ষায় থেকেছি। এখন তাকে (স্ত্রী) দেখার জন্য আর তর সইছে না।’

জাতীয়

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্বশুরবাড়ি রংপুরে যাচ্ছেন মঙ্গলবার।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্বশুরবাড়ি রংপুরে যাচ্ছেন মঙ্গলবার। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনী সফরে রংপুরের পীরগঞ্জ সফরে যাচ্ছেন। এদিন বিকাল ৩টায় তিনি পীরগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দিবেন। আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর এ জনসভা। এছাড়াও শেখ হাসিনা নিজ বাসভবন লালদীঘি ফতেহপুরে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হয়ে স্বামীর কবর জিয়ারতসহ নিকট আত্মীয়দের সঙ্গে কুশল বিনিময় করবেন। পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাজিমুল ইসলাম শামীম জানান, সকালে বিমানযোগে সৈয়দপুর এসে তারাগঞ্জে দলীয় প্রার্থী আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউকের জনসভা শেষে গ্রামের বাড়ি পীরগঞ্জের লালদীঘি ফতেহপুরে আসবেন। সেখানে শেখ হাসিনা স্বামীর কবর জিয়ারতের পর পরিবারের নিকট আত্মীয়দের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে সময় কাটাবেন। এরপর বিকালে পীরগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের জনসভায় যোগ দেবেন। তিনি জানান, শেখ হাসিনাকে বরণ এবং জনসভা সফল করতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। এ জনসভায় প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে মিছিল স্লোগানসহ ব্যাপক লোক সমাগম ঘটবে এবং নিকটবর্তী গাইবান্ধা, দিনাজপুর ও রংপুরের আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সমন্বয়ে প্রায় ২ লক্ষাধিক মানুষের ঢল নামবে জনসভায়। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালের ২২ ডিসেম্বর পীরগঞ্জে একই মাঠে জনসভা করেছেন। এর আগে ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর তরফমৌজা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পথসভা ও লালদীঘির ফতেহপুরের জয়সদনে কর্মী সভা করেন। প্রধানমন্ত্রী ও পীরগঞ্জের পুত্রবধূর আগমনে গোটা উপজেলায় সাজ সাজ রব, চলছে পোস্টারিং ও মাইকিংসহ ব্যাপক প্রচারণা। শেখ হাসিনার জনসভা সফল করাসহ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে বিজয়ী করতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও রংপুরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সুজিত রায় নন্দীর নেতৃত্বে জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দরা বর্ধিত সভা করেছেন। এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আওয়ামী লীগ ও মহাজোট প্রার্থী হিসেবে এ আসন থেকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। শেখ হাসিনার আগমনকে কেন্দ্র করে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে নিরাপত্তা দিতে শনিবার রাত থেকে এসএসএফ, এনএসআই, ডিজিএফ, সেনাবাহিনী, বিডিআর, পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও নিরাপত্তা কর্মীরা নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে। রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক একেএম ছায়াদত হোসেন বকুল বলেন, শেখ হাসিনা সকালে বিমানযোগে সৈয়দপুর হয়ে সড়কপথে তারাগঞ্জে জনসভা করবেন। দুপুরে ফতেহপুরের জয়সদনে অবস্থানের পর বিকাল ৩টায় পীরগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করবেন। পরে সড়কপথে সৈয়দপুর হয়ে বিমানযোগে ঢাকা ফিরবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর জনসভা প্রসঙ্গে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, গত ১৯ নভেম্বর পীরগঞ্জের নেতা-কর্মীদের টেলিফোনে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন তিনি পীরগঞ্জে আসবেন। জনসভা সফল করতে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। এখানে লাখ লাখ মানুষের আগমন ঘটবে। প্রধানমন্ত্রী শ্বশুরবাড়ী পীরগঞ্জসহ গোটা রংপুর বিভাগে তিনি অনেক উন্নয়ন করেছেন। বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে রোল মডেল হিসেবে পরিণত করেছেন। প্রিয় নেত্রীকে এক নজর দেখতে জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে।

জাতীয়

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার জেলায় জেলায় পাঠানোর কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার জেলায় জেলায় পাঠানোর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর গভর্নমেন্ট প্রিন্টিং প্রেস, বিজি প্রেস ও সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেস থেকে ব্যালট পেপার পাঠানোর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রথমদিন ১৩টি জেলায় ব্যালট পেপার, পোস্টাল ব্যালট পেপার, পোস্টাল ব্যালট পেপারের সঙ্গে সম্পর্কিত ফরম এবং স্ট্যাম্প প্যাড পাঠানো হচ্ছে। বাকি জেলাগুলোতে পর্যায়ক্রমে নির্বাচনী এসব সরঞ্জাম পাঠানো হবে। প্রথম দিন গভর্নমেন্ট প্রিন্টিং প্রেস থেকে পঞ্চগড়, গাইবান্ধা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, মাগুরা ও রাঙ্গামাটি জেলায় ব্যালট পেপার পাঠানো হচ্ছে। এছাড়া বিজি প্রেস থেকে জয়পুরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ঝালকাঠি ও ভোলা এবং সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেস থেকে বরগুনা, পটুয়াখালী ও নেত্রকোনা জেলার ব্যালট পেপার পাঠানো হচ্ছে। ব্যালট পেপার ও পোস্টাল ব্যালট পেপারের সঙ্গে সম্পর্কিত ফরম এবং স্ট্যাম্প প্যাডও পাঠানো হচ্ছে। একইভাবে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য জেলাগুলোতেও ব্যালট পেপার পাঠানো হবে। প্রতিটি গাড়িই প্রেস থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে জেলায় জেলায় যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, প্রতীক বরাদ্দের পরদিন ১৯ ডিসেম্বর থেকেই ব্যালট পেপার ছাপানো শুরু হয়। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ব্যালট মুদ্রণ শেষ করতে চায় ইসি।

জাতীয়

বিএনপি এখন ধ্বংস হয়ে যাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডঃ এ কে আব্দুল মোমেন।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বিএনপি এখন ধ্বংস হয়ে যাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডঃ এ কে আব্দুল মোমেন। সিলেট-১ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য প্রার্থী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, নির্বাচনে না এসে বিএনপি খুবই ভুল করেছে। তারা একটা বড় দল ছিল কিন্তু এখন ধ্বংস হয়ে যাবে। বিএনপিতে নেতৃত্বের অভাব। তারা এখন আর রাজনৈতিক দল নয় তারা এখন সন্ত্রাসী। সন্ত্রাসীরা কখনও জয়লাভ করেনি।’ সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় নগরীর নয়াসড়ক এলাকায় নির্বাচনি প্রচারণার সময় মন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ‘আগামীতে আমাদের পরিকল্পনায় রয়েছে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। সেটা আমরা করবো। যারা বিদেশে যাবেন তাদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামীতে আমরা প্রশিক্ষিত লোক বিদেশে পাঠাবো।’ এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন ও সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের ছেলে আরমান আহমদ শিপলুসহ আওয়ামী লীগের অন্য নেতারা।

জাতীয়

ময়মনসিংহে ট্রাকে ট্রেনের ধাক্কায় চারজনের মৃত্যু।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ময়মনসিংহে ট্রাকে ট্রেনের ধাক্কায় চারজনের মৃত্যু। ময়মনসিংহ সদরে লেভেলক্রসিংয়ে উঠে পড়া একটি ট্রাকে ট্রেনের ধাক্কার পর চারজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে শম্ভুগঞ্জ চর রঘুরামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহত চারজনের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাকের চালক ত্রিশালের বৈলরের সজীব (২৬)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. মাইন উদ্দিন। নিহত অন্য তিনজনের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্গাপুরের জারিয়া থেকে আসা বলাকা এক্সপ্রেস ট্রেন ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জ রেলক্রসিংয়ের প্রায় দুইশ গজ আগে চর রঘুরামপুর এলাকায় থাকা অরক্ষিত লেভেল ক্রসিং পার হচ্ছিল। এমন সময় হঠাৎ সেই রেল লাইনে উঠে পড়ে বালুবাহী একটি ট্রাক। চোখের পলকেই ঘটে সংঘর্ষ। মুহুর্তেই দুমড়েমুচড়ে যায় ট্রাক ও ট্রেনের সামনের অংশ। লাইনের পাশে ছিটকে পড়ে ট্রাক আর প্রায় এক কিলোমিটার সামনে এগিয়ে গিয়ে থামে ট্রেন। ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মোফাজ্জল হোসেন জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দল ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজ চালায়। এসময় ট্রাকের পাশ থেকে একজনের এবং ট্রেনের সামনের অংশে ঝুলে থাকা অবস্থায় তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে বিকেল সাড়ে ৩ টায় উদ্ধারকারী ইঞ্জিন এসে বলাকা ট্রেনের বিকল ইঞ্জিনের সঙ্গে সংযুক্ত করে দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনটি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়। এতে দুই ঘণ্টা পর পর ময়মনসিংহের সঙ্গে নেত্রকোনা ও ভৈরব রৈলপথ এবং ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়। তদন্ত কমিটি গঠন : এদিকে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, তদন্ত কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের দাফনকাফনের জন্য তাদের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে দেয়া হবে।

জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ৭ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশীর পদযাত্রা, আছে বাংলাদেশি।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ৭ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশীর পদযাত্রা, আছে বাংলাদেশি। প্রায় সাত হাজার মানুষের একটি দল দক্ষিণ মেক্সিকান শহর তাপাচুলা থেকে এই পদযাত্রা শুরু করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য দক্ষিণ মেক্সিকো থেকে হাজার হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী হেঁটে মার্কিন সীমান্ত অভিমুখে রওনা দিয়েছেন। প্রায় সাত হাজার মানুষের একটি দল এই পদযাত্রা শুরু করেছেন। তাদের মধ্যে যেমন নারী-পুরুষ রয়েছেন তেমনি কয়েক হাজার শিশুও রয়েছে। খবর বিবিসির। এসব অভিবাসনপ্রত্যাশী এমন সময়ে এই পদযাত্রা শুরু করেছেন যখন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের মেক্সিকো সফরের কথা চলছে। বুধবার তিনি দেশটি সফর করবেন। সফরকালে মেক্সিকো হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনপ্রত্যাশীর ঢল ঠেকাতে দেশটির প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টার ঘটনা নাটকীয় হারে বেড়েছে। এ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডোর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এ কারণে দুই দেশের বেশ কয়েকটি সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অবশ্য সীমান্ত পাড়ি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টাকালে প্রতি বছরই লাখ লাখ মানুষ গ্রেপ্তার হয়ে থাকেন। ২০২২ ও ২০২৩ সালে মার্কিন দক্ষিণ সীমান্তে গ্রেপ্তার হওয়া মানুষের সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়িয়েছে। মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটির তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টাকালে ২ লাখের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীকে গ্রেপ্তার করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। রোববার (২৪ ডিসেম্বর) অভিবাসনপ্রত্যাশীরা এই পদযাত্রা শুরু করেন। ভোরে যাত্রা শুরু করে সকালের মধ্যে তারা ১৫ কিলোমিটার সামনে এগিয়ে গেছেন। অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সবশেষ দলটি দক্ষিণ মেক্সিকান শহর তাপাচুলা যাত্রা করেছে। মেক্সিকোর এই শহরটি লাতিন আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালার সীমান্তবর্তী একটি শহর। বড় দিনের আগে তারা এই শহর থেকে মার্কিন সীমান্তের উদ্দেশে যাত্রা করেছেন। এসব অভিবাসনপ্রত্যাশীর বেশিরভাগ কিউবা, হাইতি ও হন্ডুরাসের নাগরিক। তবে তাদের মধ্যে বাংলাদেশ ও ভারতের নাগরিকও রয়েছেন। অনেকে বলছেন, মাসের পর মাস মার্কিন ট্রানজিট পারমিটের জন্য তারা অপেক্ষা করেছেন। কিন্তু ট্রানজিট পারমিট না পেয়ে বাধ্য হয়ে এই পদযাত্রা শুরু করেছেন। অভিবাসীদের অধিকার নিয়ে কাজ করেন লুইস গার্সিয়া ভিলাগ্রান। তিনিও এই পদযাত্রার সঙ্গে আছেন। তিনি বলেন, অনেকের কাছে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য এটাই সর্বশেষ পথ। লুইস গার্সিয়া বলেন, সমস্যাটা হলো গুয়াতেমালার সঙ্গে মেক্সিকোর দক্ষিণ সীমান্ত খোলা। এই সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন ৮০০ থেকে এক হাজার মানুষ ঢুকছে। আমরা যদি তাপাচুলা শহর থেকে বেরিয়ে না যায় তাহলে শহরটি ধসে পড়বে।

জাতীয়

স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান – রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান – রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, একটি অসাম্প্রদায়িক, সুখী-সমৃদ্ধ ও ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে হবে। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) বঙ্গভবনে ‘বড় দিন’ উপলক্ষ্যে খ্রিষ্টধর্মাবলম্বী নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এক ভাষণে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন। এসময় তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা, পরিবারের সদস্যবৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন পূরণ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত সুখী-সমৃদ্ধ ও ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠনে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। সব ধর্মই মানুষের কল্যাণের কথা বলে। ধর্ম উপলব্ধির বিষয়, তর্কের নয়। তাই ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আবহমানকাল থেকে এদেশে সব ধর্মের মানুষ নিজ নিজ ধর্ম ও আচার-অনুষ্ঠানাদি স্বাধীনভাবে পালন করে আসছে। ‘বড় দিন’ উপলক্ষে তিনি দেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়সহ বিশ্ববাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, যীশুখ্রিষ্ট ছিলেন সত্যান্বেষী এবং আলোর দিশারী। সাহাবুদ্দিন বলেন, মহামতি যীশুখ্রিষ্ট পথভ্রষ্ট মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথ দেখিয়েছেন এবং স্রষ্টা ও সৃষ্টির মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের পাশাপাশি পৃথিবীকে শান্তির আবাসভূমিতে পরিণত করতে কাজ করেছেন। যীশুর এই শিক্ষা সবার জীবনে প্রতিফলিত হলেই সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। ‘মন্দের বিনিময়ে কারোর মন্দ করো না। সব মানুষের দৃষ্টিতে যা উত্তম, ভেবে-চিন্তে তাই করো’, যীশুর এই অমর উক্তি উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, যীশুখৃষ্ট মানুষকে ভালোবাসা, সেবা, ক্ষমা, ত্যাগ, সংযম ও ন্যায় প্রতিষ্ঠাসহ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের শিক্ষা দিয়েছেন। বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সম্প্রীতি ও ঐক্য স্থাপনসহ বর্তমান যুদ্ধ-বিগ্রহপূর্ণ বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যীশুখ্রিষ্টের শিক্ষা ও আদর্শ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে বলে রাষ্ট্রপতি আশা করেন। ঢাকার আর্চবিশপ বিজয় নিসেফরাস ডি’ক্রুজ, বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিওসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও ধর্মীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি দরবার হলে একটি কেক কাটেন এবং অতিথিদের সঙ্গে ফটো সেশনে অংশ নেন।

Scroll to Top