ডিসেম্বর ২৫, ২০২৩

জাতীয়

রুপালী বাংলাদেশের লোগো উন্মোচন

বিলেতের আয়না ডেক্স :- রুপালী বাংলাদেশের লোগো উন্মোচন আব্দুল কাদির চৌধুরী মুরাদ, ব্যুরো প্রধান ‘রুপালী বাংলাদেশ’ যুক্তরাজ্যঃ ‘মুক্ত চিন্তার দুরন্ত প্রকাশ’ স্লোগানকে হৃদয়ে ধারণ করে শীঘ্রই প্রকাশিত হতে যাচ্ছে বাংলা দৈনিক ‘রুপালী বাংলাদেশ’। আনুষ্ঠানিক প্রকাশের আগে উন্মোচন করা হলো এর লোগো। অনাড়ম্বর আয়োজনের মধ্য দিয়ে রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানীতে হোটেল শেরাটনের বলরুমে কেক কেটে এর লোগো উন্মোচন করা হয় । অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রুপালী বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক করিম আহমদ ও সম্পাদক-প্রকাশক সায়েম ফারুকী । সায়েম ফারুকী বলেন, প্রায় ২যুগ প্রিন্ট মিডিয়ায় সাংবাদিকতা করেছি । নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতার আলোকে সংবাদমাধ্যম রুপালী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছি। পত্রিকাটির চেয়ারম্যান ও ভাইয়া গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মারুফ সাত্তার আলী রাসেল বলেন, কয়েকজন সুহৃদের সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছি রুপালী বাংলাদেশ। এ প্রতিষ্ঠানে কোনো অন্যায় চাপ কিংবা বাধা থাকবে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হৃদয়ে ধারণ করে আমরা সততা ও সু-সাংবাদিকতার উদাহরণ সৃষ্টি করব। র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) এর মুখপাত্র ও আইন গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, আমার বিশ্বাস, রুপালী বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে অনন্য নজির স্থাপন করবে। বিভিন্ন কারণে গণমাধ্যম মোকাবিলা করছে নানা ঝুঁকি। ঝুঁকি থাকবেই। একাত্তরে আমাদের ঝুঁকি ছিল। আমরা ঝুঁকি মোকাবিলা করেই সফল হয়েছি, স্বাধীনতা অর্জন করেছি। ঝুঁকি ছাড়া সফলতা অর্জন করা সম্ভব নয়। আমি বিশ্বাস করি রুপালী বাংলাদেশ সফলতা পাবে। বিবিসি বাংলা সার্ভিসের সাবেক বাংলাদেশ প্রধান শাকিল বিন মোস্তাক বলেন, কঠিন সময় পার করছে আমাদের গণমাধ্যম জগত। কিন্তু এই কঠিন সময়েও আসছে নতুন নতুন পত্রিকা। এটি প্রশংসনীয় দিক। আমি বিশ্বাস করি, সততা ও সুসাংবাদিকতার ক্ষেত্রে বড় প্লাটফর্ম হবে রুপালী বাংলাদেশ। অনলাইন পোর্টাল প্রতিদিনের খবরের প্রকাশক যোবায়ের ইসলাম শাওন বলেন, ব্যক্তিগতভাবে সায়েম ফারুকী লড়াকু মানুষ। লড়াই করেই তিনি এত দূর এসেছেন, নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। রুপালী বাংলাদেশ তার স্বপ্নের গণমাধ্যম। অনেকদিন ধরে তিনি পরিকল্পনা করছেন। নীরবে কাজ করছেন। তার স্বপ্ন ও অধ্যবসায় সফল হবেই। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, ডিজিএফআই এর পরিচালক (মিডিয়া উইং) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মো: কামরুজ্জামান, ডিজিএফআই’র সিনিয়র এডিশনাল ডিরেক্টর (মিডিয়া উইং) ওবায়েদ রহমান, একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক-কবি নাসির আহমেদ। টুরিস্ট পুলিশের এডিশনাল ডিআইজি মনিরুজ্জামান টুকু, এসবির এডিশনাল ডিআইজি আশিকুল হক ভুইয়া (ইমিগ্রেশন ল্যান্ড এ্যান্ড সি), সিআইডির এডিশনাল ডিআইজি মো: রেজাউল মাসুদ (সাইবার এ্যান্ড ক্রাইম মনিটরিং সেল), হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি শ্যামল কুমার মুখার্জি, টুরিস্ট পুলিশের এডিশনাল এসপি নাদিয়া ফারজানা, পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের উপদেষ্টা মোহাম্মদ আলী ও আরো অনেকে। নোটঃ দয়াপরশ হয়ে সংবাদটি আপনাদের সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করে কৃতার্থ করবেন।

জাতীয়

সৌদি আরবে দুই বাংলাদেশি প্রবাসীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সৌদি আরবে দুই বাংলাদেশি প্রবাসীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর। মুখে কীটনাশক ছিটিয়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে সৌদি আরবের রাজকীয় আদালত দুই বাংলাদেশিকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। আদালতের চূড়ান্ত রায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ওই দুই বাংলাদেশি প্রবাসীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে সৌদি আরব। শনিবার সৌদির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমের খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, মুখে কীটনাশক ছিটিয়ে ভারতীয় এক প্রবাসীকে হত্যার দায়ে আদালতের চূড়ান্ত রায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর সৌদি আরবে বাংলাদেশি দুই প্রবাসীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। আর্থিক বিবাদের কারণে ওই দুই বাংলাদেশি ভারতীয় নাগরিককে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। তবে কবে, কখন ভারতীয় ওই প্রবাসীকে হত্যা করা হয়েছে, সেই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইংরেজি দৈনিক গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে, তারা বাংলাদেশি নাগরিক। ভারতীয় এক নাগরিককে প্রলুব্ধ করার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন তারা। ঘটনার দিন ভারতীয় নাগরিককে একটি গাড়িতে উঠিয়ে উন্মুক্ত মাঠে নিয়ে যান তারা। পরে পেছন থেকে গলায় কাপড় পেঁচিয়ে তার শ্বাসরোধ করা হয়। এ সময় তার মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য মুখে কীটনাশক ছিটিয়ে দেন অভিযুক্তরা। এই ঘটনার পর ভারতীয় ওই নাগরিকের মরদেহ গুম করার জন্য মাটিতে পুঁতে ফেলার চেষ্টা করেন ওই দুই বাংলাদেশি। কিন্তু তার আগেই পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন তারা। দীর্ঘ তদন্তের পর বাংলাদেশি ওই দুই প্রবাসীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়। দেশটির আদালত তাদের দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণা করেন। অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে সৌদির সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন। পরে সৌদি আরবের রাজকীয় আদালতের নির্দেশে তাদের চূড়ান্ত সাজা বহাল রাখা হয়। সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জিজান প্রদেশে অভিযুক্ত দুই বাংলাদেশির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।

জাতীয়

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পের বিনিময় নোট ও ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পের বিনিময় নোট ও ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত। বাংলাদেশ এবং জাপান সরকারের মধ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের বিনিময় নোট ও ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। জাপান সরকারের ৪৪তম ওডিএ লোন প্যাকেজের ৩য় ব্যাচের অধীনে এ চুক্তিসমূহ স্বাক্ষরিত হয়। আজ রোববার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের এনইসি-২ সভাকক্ষে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মোঃ শাহ্‌রিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং জাপান সরকারের পক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত IWAMA Kiminori এবং বাংলাদেশে জাইকার সিনিয়র রিপ্রেজেন্টেটিভ HIROSHI Yoshida যথাক্রমে বিনিময় নোট ও ঋণচুক্তি স্বাক্ষর করেন। এ ঋণচুক্তির আওতায় জাপান সরকার বাংলাদেশকে ৭৬ হাজার ৬৩৫ মিলিয়ন জাপানিজ ইয়েন ঋণ সহায়তা প্রদান করবে। এ ঋণ ১০ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে পরিশোধযোগ্য। এ প্রকল্পের আওতায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি নতুন প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল নির্মাণসহ বিমানবন্দরের  সম্প্রসারণ ও অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে ভবিষ্যত বিমান পরিবহনের চাহিদা পূরণ এবং আন্তর্জাতিকমানের সুযোগ-সুবিধা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে কাজ চলছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ২১ হাজার ৩৯৯ দশমিক ০-৬৩৩ কোটি টাকা যার মধ্যে জিওবি ৫ হাজার ২৫৮ দশমিক ০৩৮৮ কোটি, জাইকা ১৬ হাজার ১৪১ দশমিক ০২৪৫ কোটি। নভেম্বর ২০২৩ সময় পর্যন্ত প্রকল্পের বাস্তব ভৌত অগ্রগতি ৯০%। উল্লেখ্য, এই প্রকল্পে জাইকা কর্তৃক পর্যায়ক্রমে ঋণ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। ইতোপূর্বে ২টি পর্যায়ে মোট ১ লাখ ৫৬ হাজার ৮২৫ মিলিয়ন জাপানিজ ইয়েনের ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।      

জাতীয়

আজ শুভ বড়দিন

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আজ শুভ বড়দিন ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দ-উৎসব উদযাপন। আজ ২৫ ডিসেম্বর, সোমবার। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন। খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট এদিনে বেথলেহেমে জন্মগ্রহণ করেন। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচারের মাধ্যমে মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতেই প্রভু যিশুর পৃথিবীতে আগমন ঘটেছিল। সারা পৃথিবীর খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ বড়দিনকে সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের দিন হিসেবে পালন করে থাকেন। এদিনের অপেক্ষায় তাদের সারাটি বছর কাটে। ডিসেম্বর মাস শুরু হলেই এ সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে উৎসবের সাড়া পড়ে যায়। ঘরবাড়ি নতুন করে সাজাতে শুরু করেন। নতুন পোশাক কেনাকাটার ধুম পড়ে যায়। শুভেচ্ছা কার্ড বিনিময় করেন। ইতোমধ্যে, সারা পৃথিবীর খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ দিনটি পালন করতে শুরু করেছেন। হাজার হাজার পুণ্যার্থী, পর্যটক যীশুর জন্মস্থান বেথলেহেমে হাজির হচ্ছেন। সেখানে চার্চ অব নেটিভিটির বাইরে বয়স্কাউটরা ব্যান্ড বাজিয়ে মার্চপাস্ট করেছে। অনেকে সেখানে মোমবাতি জ্বালিয়ে উৎসব পালন করছেন। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের খ্রিস্ট ধর্মানুসারীরাও আজ যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আচারাদি, আনন্দ-উৎসব এবং প্রার্থনার মধ্যদিয়ে ‘শুভ বড়দিন’ উদযাপন করবেন। এ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গির্জাগুলোকে সাজানো হয়েছে নতুন আঙ্গিকে। শনিবার সন্ধ্যা থেকে বিভিন্ন গির্জা এবং তারকা হেটেলগুলোতে ব্যবস্থা করা হয়েছে আলোকসজ্জার। রাজধানী ঢাকার বড় বড় হোটেল-হোটেল সোনারগাঁও, ইন্টার কন্টিনেন্টাল শেরাটন, র‌্যাডিসন, ওয়েস্টিনে চলছে চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা। আর খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ তাদের বাড়িঘর আলোকসজ্জায় সজ্জিত করেছেন। রবিবার দেখা গেছে, দিনটি পালন উপলক্ষে নানা রঙে সেজেছে রাজধানীর চার্চগুলো। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে হলি রোজারি চার্চে দেখা গেছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিতে। রাজধানীর তারকা হোটেলগুলোতে আলোকসজ্জার পাশাপাশি হোটেলের ভেতরে কৃত্রিমভাবে স্থাপন করা হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি। ছোটদের উপহার নিয়ে আছেন সান্তাক্লজও। বড়দিনের প্রক্কালে রবিবার বিভিন্ন গির্জায় বিশেষ প্রার্থনাও অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার সকাল থেকে শুরু হবে বড়দিনের প্রার্থনা। বড়দিন উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি। অপরদিকে দিনটি উপলক্ষে খ্রিস্টান পরিবারে কেক তৈরি করা হবে, থাকবে বিশেষ খাবারের আয়োজন। এ ছাড়া দেশের অনেক অঞ্চলে আয়োজন করা হযেছে কীর্তনের পাশাপাশি ধর্মীয় গানের আসর। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের অনেকেই আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার জন্য বড়দিনকে বেছে নেন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিতে অনেকেই রাজধানী ছেড়ে গেছেন গ্রামের বাড়িতে। বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি  মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীসহ সকলের শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে পৃথক বাণী দিয়েছেন। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে বড়দিন উপলক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এই উৎসবে কিছুটা ভাটা পড়লেও আয়োজনের কমতি নেই। বিশেষ করে শেষ সময়ে রাজধানীর চকবাজার এলাকায় বারোয়ারি দোকানগুলোতে জমে উঠেছে বড়দিনের কেনাকাটা। চকবাজারে গিয়ে দেখা যায়, ক্রিসমাস ট্রি, কাগজের তৈরি ফুল, গিফট পেপার, বিভিন্ন রকম আলোকসজ্জার সরঞ্জাম, ছোটদের খেলনাসহ ‘সান্তাক্লজ’ সাজার উপকরণ বিক্রির ধুম পড়েছে। বড় দিনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থানে চলছে নান্দনিক সাজসজ্জার প্রস্তুতি। চকবাজারে এসব দোকানে কৃত্রিম ফুল, তারা, পাটের দড়ি, ঘণ্টা ইত্যাদি নানা রকম ঘর এবং গাছ সাজানোর সামগ্রী খুচরা ও পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে। বড়দিন জমকালো করতে পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন রং ও আকৃতির মোমবাতি। কোনো কোনো দোকানে সুগন্ধি মোমবাতিও পাওয়া যাচ্ছে। বিক্রেতারা জানান, শুভেচ্ছা বার্তা দেওয়ার জন্য কার্ড আর ক্রিসমাস ট্রিই বেশি পরিমাণে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া শিশুদের বিভিন্ন খেলনা, পুতুল, ডেকোরেশন পিস, ঘণ্টা, ছোট বল, মগ, ছবির ফ্রেম, চাবির রিং, ম্যাজিক বক্স, পার্টি স্প্রে, বেলুনও বেশ চলছে। চকবাজারে কেনাকাটা করতে আসা মার্ক মিলন নামের এক ক্রেতার বলেন, ‘বড়দিনে সাধারণত শিশুরা সান্তাক্লজ সাজতে অনেক পছন্দ করে। তাদের জন্য সান্তার পোশাক না কিনলে হয় না। বিশেষ করে লালটুপি তাদের অনেক পছন্দ। বেশকিছু দিন ধরে আসব আসব করেও আসা হয়নি। আজ ব্যস্ততার ফাঁকেই চলে এলাম সান্তাক্লজ সাজার উপকরণ কিনতে।’ তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার এসব পণ্যের দাম কয়েকগুণ বেশি বলেও অভিযোগ করছেন ক্রেতারা। এই ক্রেতা বললেন, ‘দামের ব্যাপারে কিছু বলার নেই। সবকিছুর দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে সান্তার পোশাকেরও।’ আরেকজন ক্রেতা বলেন, ‘খ্রিস্টান ধর্ম মতে প্রায় দুই হাজার বছর আগে এই দিনে খ্রিস্ট ধর্মের প্রবর্তক যিশু খ্রিস্ট পৃথিবীকে আলোকিত করে জন্মগ্রহণ করেন। বেথেলহেমের এক গোয়ালঘরে কুমারীমাতা মেরির কোলে তার জম্ম হয়েছিল। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আমরা এই দিন টিকে উৎসবমুখর পরিবেশে বড় দিন হিসেবে উদযাপন করি। আর সেই দিন উদযাপনের সব আয়োজন আগেই সম্পন্ন হয়েছে, বাকিটুকুর কেনাকাটাও আজ শেষ। তিনি বলেন, বাংলাদেশের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড় দিন পালন করতে যাচ্ছে। আশাকরি কোনও অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটবে না, যিশু সবার মঙ্গল করবেন খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের উৎসব বড়দিন উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে সম্পন্ন করতে ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। বিগত বড়দিনের উৎসবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষে ডিএমপি যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করে তা সর্বমহলে প্রশংসিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও বড়দিনের সুসংহত নিরাপত্তা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রত্যেক গির্জায় স্থায়ীভাবে পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি পুলিশি টহল বাড়ানোসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন ও গোয়েন্দা কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) ফারুক  হোসেন জানান, ডিএমপি বিশ্বাস করে পুলিশের গৃহীত পদক্ষেপের পাশাপাশি সর্বস্তরে সচেতনতাবোধ তৈরি করা  গেলে পুলিশ ও বড়দিন উদযাপন কমিটি বা পুণ্যার্থীদের যৌথ উদ্যোগ ও অংশগ্রহণে উৎসবমুখর এবং নিরাপদ পরিবেশে বড়দিন উদযাপন করা যাবে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’ এ বাণীকে আরও সমুন্নত করা সম্ভব হবে।

জাতীয়

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে পর্যবেক্ষণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল ঢাকায়।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে পর্যবেক্ষণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল ঢাকায়। আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের (এনডিআই) পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে অবস্থান করছে। প্রতিনিধিদলটি বাংলাদেশে ছয় থেকে আট সপ্তাহ অবস্থান করবে। রোববার (২৩ ডিসেম্বর) আইআরআইয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জানা গেছে, নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আইআরআই ও এনডিআইয়ের মোট ১২ সদস্যের প্রতিনিধিদল ঢাকায় অবস্থান করবেন। এ পাঁচজন তাদের মধ্যে অন্যতম নির্বাচন বিশ্লেষক। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইআরআই ও এনডিআইয়ের যৌথ প্রতিনিধিদল গত সপ্তাহে বাংলাদেশে এসেছে। প্রতিনিধিদল ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের সময় এবং নির্বাচন-পরবর্তী সহিংস পরিস্থিতির ওপর নজর রাখবে এবং সেগুলোর মূল্যায়ন করবে। যারা বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন থেকে অনুমোদন পেয়েছেন এবং ছয় থেকে আট সপ্তাহ বাংলাদেশে থাকবেন। প্রতিনিধিদলটি বিভিন্ন ধরনের নির্বাচনী সহিংসতার বিষয়ভিত্তিক বিশ্লেষণ করবেন। এরমধ্যে রয়েছে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে সহিংসতা, আন্তদলীয় সহিংসতা, নারী ও অন্যান্য প্রান্তিক গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে সহিংসতা, অনলাইনে হয়রানি ও হুমকি। এসব সহিংসতা মোকাবিলায় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের ভূমিকাও দেখবে মার্কিন এ প্রতিনিধিদল। এছাড়া প্রতিনিধিদল নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষে পরবর্তী নির্বাচনে সহিংসতা কমাতে গঠনমূলক সুপারিশসহ নির্বাচনী সহিংসতার ওপর একটি মূল্যায়ন প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে। এরআগে গত ৮ থেকে ১১ অক্টোবর প্রাক-নির্বাচন পরিস্থিতি মূল্যায়নের লক্ষ্যে এনডিআই ও আইআরআইয়ের সমন্বয়ে গঠিত একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করেছিল।

জাতীয়

সিলেটের ১০ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।

বিলেতে আয়না ডেক্স :- সিলেটের ১০ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। ভোটারদের আগ্রহ না থাকলেও ৭ই জানুয়ারির নির্বাচন ঘিরে সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে মাঠে সক্রিয় আওয়ামী লীগ। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনের মধ্যে ১টি  আসনে জাতীয় পার্টির সঙ্গে আওয়ামী লীগের সমঝোতা হওয়ায় নৌকা প্রতীকে অংশ নিচ্ছেন ১৮ জন প্রার্থী। ফলে ১৮টি আসনে সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে নেমেও ১৮টি আসনের মধ্যে ১০টি আসনেই স্বতন্ত্র প্রার্থীদের তীব্র চ্যালেঞ্জের মুখে নৌকার প্রার্থীরা। এসব আসনে জনমত বাড়ছে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের। এরমধ্যে কয়েকটি আসনে নৌকার প্রার্থীরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে ধরাশায়ী হবেন এমনটি ধারণা করা হচ্ছে। সিলেট-২ আসনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী। এখানে শফিকুর রহমানের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে গণফোরামের প্রার্থী বর্তমান এমপি মোকাব্বির খান ও জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি এহিয়া চৌধুরী। এ ছাড়া গতকাল উচ্চ আদালতের নির্দেশে প্রার্থিতা ফিরে পেয়ে নতুন হিসাবের খাতা খুলেছে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমান। এখানে লড়াই হবে চতুর্মুখী। সিলেট-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়ছেন বর্তমান এমপি হাবিবুর রহমান। তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আছেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান আতিক রয়েছেন। এই আসনে জাতীয় পার্টির একটা নির্দিষ্ট ভোটব্যাংক থাকায় এখানেও ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। সিলেট-৫ আসনে নৌকার প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিনের বিপরীতে ভোটে লড়ছেন ড. আহমদ আল কবির ও হুছামুদ্দীন চৌধুরী। ফুলতলী পীর সাহেবের ছেলে হিসেবে এই অঞ্চলে হুছামুদ্দীন চৌধুরীর প্রভাব রয়েছে। ফলে এখানে ত্রিমুখী লড়াই হবে বলে ভোটারদের ধারণা। সিলেট-৬ আসনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে আছেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন কানাডা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সারওয়ার হোসেন। এ ছাড়া তৃণমূল বিএনপি’র চেয়ারম্যান ও সাবেক কূটনীতিক শমসের মোবিন চৌধুরী। এখানে দীর্ঘদিন এমপি থাকলেও কাক্সিক্ষত উন্নয়ন না হওয়ায় নুরুল ইসলাম নাহিদের ওপর সাধারণ ভোটারদের ক্ষোভ আছে। সুনামগঞ্জ-১ আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে ৩ প্রার্থীর। এখানে নৌকার প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়ছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট রণজিত সরকার। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়ছেন আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও সুনামগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সেলিম আহমদ। সুনামগঞ্জ-২ আসনে নৌকার প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটযুদ্ধে আছেন সাবেক এমপি জয়া সেনগুপ্ত। সুনামগঞ্জ-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী ড. মোহাম্মদ সাদিকের সঙ্গে লড়াই হবে জাতীয় পার্টির বর্তমান সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিসবাহর। হবিগঞ্জ-১ আসনে মহাজোটের প্রার্থী এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু। তার বিপরীতে ভোটে লড়ছেন আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী। হবিগঞ্জ-২ আসনে বর্তমান এমপি আব্দুল মজিদ খানের বিরুদ্ধে লড়ছেন নৌকার প্রার্থী ময়েজ উদ্দিন রুয়েল। হবিগঞ্জ-৪ আসনে বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীর সঙ্গে লড়ছেন যুবলীগের সাবেক আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। মৌলভীবাজার-২ আসনে ত্রিমুখী লড়াই হবে। এই আসনে নৌকার প্রার্থী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। আছেন কুলাউরা উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম সফি আহমদ সলমান ও সাবেক এমপি এম এম শাহীন।

জাতীয়

গাজীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ কেটে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের সাত বগি লাইনচ্যুত করার ঘটনায় মূলহোতাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- গাজীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ কেটে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের সাত বগি লাইনচ্যুত করার ঘটনায় মূলহোতাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। প্রাথমিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। এক বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন বিভাগ। এ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) কে এন রায় নিয়তি বলেন, গাজীপুরের শ্রীপুরের বনখুড়িয়া এলাকায় রেললাইন কেটে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের সাত বগি লাইনচ্যুত করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে নাশকতাকারী মূলহোতাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে সিটিটিসি। হঠাৎ লাইন থেকে চাকা পড়ে গেল, ঝাঁকুনি খেয়েও ব্রেক কষলাম রেললাইন কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা, ইঞ্জিনসহ ৭ বগি লাইনচ্যুত। গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনায় একজন নিহত, আহত ১২ এসময় তাদের কাছ থেকে কাটার ও রেললাইন কাটার সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছে ডিএমপি। প্রসঙ্গত, গাজীপুরের ভাওয়াল ও রাজেন্দ্রপুর রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যবর্তী বনখড়িয়া এলাকায় রেললাইন কেটে ফেলায় গত বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোর ৪টার দিকে নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ থেকে ঢাকার কমলাপুরগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে ট্রেনযাত্রী আসলাম মিয়া নিহত ও লোকোমোটিভ মাস্টারসহ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় কমলাপুর রেলওয়ে থানায় বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) মামলা হয়। ঘটনা তদন্তে রেলওয়ে, গাজীপুর জেলা প্রশাসন এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আলাদা তিনটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

জাতীয়

মানুষ পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করে নির্বাচন বন্ধ করা যাবে না — প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- মানুষ পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করে নির্বাচন বন্ধ করা যাবে না — প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষ পুড়িয়ে নির্বাচন বন্ধ করা যাবে না। দেশের কিছু মানুষ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য নাশকতা করছে। আন্দোলনের নামে মানুষ মেরে বিএনপি নির্বাচন বন্ধ করে ফায়দা লুটবে, সেটা মেনে নেওয়া হবে না। রোববার (২৪ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গণভবনে বড়দিন উপলক্ষ্যে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে ধর্মনিরপেক্ষতার বার্তা দিতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‌‘এ দেশে স্বাধীনভাবে সব ধর্মের মানুষ নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে। ধর্মকে ব্যবহার করে কোনো রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘সবার সমান অধিকার নিশ্চিত হয়- এমন একটা সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলাই আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য।’ বিএনপির আমও যাবে ছালাও যাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সার্বিক উন্নয়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। সারাদেশে ভূমিহীন-গৃহহীনদের ঘর করে দিচ্ছি। বাংলাদেশে একটি মানুষও ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না। ধর্ম-বর্ণ, দল-মত নির্বিশেষে সবার জন্য এটা প্রযোজ্য।’ বিশ্বের সব খৃস্টানকে বড় দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মাটি সবার জন্য। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এক হয়ে যুদ্ধ করেছে। সবার রক্ত মিশে গেছে এই মাটিতে। এ সময় প্যালেস্টাইনে ইসরাইলের চালানো হামলার সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা কাজ করি এদেশের মানুষের জন্য। আমরা মানবতার কথা বলি। যিশুখৃস্ট মানবতার কথা বলেছেন। মহানবী সা. মানবতার কথা বলেছেন। আমরাও ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবার কল্যাণে কাজ করছি। সব ধর্মের মানুষ একসঙ্গে বসবাস করছে এই দেশে হাজার বছর ধরে। আমরাও এই নীতি মেনে চলছি। ধর্ম যার যার উৎসব সবার। তিনি আরো বলেন, ধর্মীয় সংঘাত আমরা চাই না। ধর্মীয় রীতি পালনে কেউ বাধা দিক সেটাও আমরা চাই না। আমরা প্রত্যেকে আনন্দ ভাগাভাগি করছি। এটাই সব থেকে আনন্দের। আনন্দ, সুখ দুঃখ ভাগাভাগি করে নিই। বিরোধী দল প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, মানুষ পুড়িয়ে কী অর্জন করছে তারা এটাই আমার প্রশ্ন। আমরা চাই সংঘাত বন্ধ হোক। মানুষ পুড়িয়ে নির্বাচন বন্ধ করে ফায়দা লটে নেবে, এটা এদেশে চলবে না। এই অন্যায় কখনও মেনে নেওয়া যাবে না। আপনাদের সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। মানবতার কল্যাণ করাই ধর্মের শিক্ষা। অনুষ্ঠানের শেষে বড়দিন উপলক্ষ্যে একটি কেক কাটেন প্রধানমন্ত্রী ও আগত অতিথিরা।

জাতীয়

শ্রম আইন লঙ্ঘনের রায় আগামী ১লা জানুয়ারী ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- শ্রম আইন লঙ্ঘনের রায় আগামী ১লা জানুয়ারী । শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামী ১ জানুয়ারি দিন ঠিক করেছেন শ্রম আদালত। মামলায় পক্ষে ও বিপক্ষে উভয়ের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করার পর রোববার (২৪ ডিসেম্বর) ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা এ আদেশ দেন। আদালতে এদিন ড. ইউনূসের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ ও অ্যাডভোকেট এসএম মিজানুর রহমান। অন্যদিকে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বরত চিফ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী। ড. ইউনূসের খালাস চান আইনজীবী শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলায় শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে মামলার আইনগত বিষয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করার জন্য দিন ধার্য ছিল আজ। এদিন শুনানিতে উপস্থিত হন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বেলা সোয়া ১১টার দিকে তিনি উপস্থিত হয়েছেন শ্রম আদালতে। এরপর পক্ষে ও বিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন। এর আগে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে মামলার আইনগত বিষয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করার জন্য আজ রোববার দিন ঠিক করেছেন আদালত। গত বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানার আদালত ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন মামলার আইনগত বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন করেন। এদিন যুক্তি উপস্থাপন অসমাপ্ত অবস্থায় আজ ২৪ ডিসেম্বর পরবর্তী যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য করা হয়েছে। এদিকে ২৪ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় এ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের শুনানিতে অংশ নিতে আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূস আসবেন বলে আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান। এদিন যুক্তি উপস্থপনের শুনানির বিষয়ে ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ মামলার সাক্ষীদের বর্ণনায় ড. ইউনূসসহ অন্যরা সংশ্লিষ্ট আছেন এমন কোনো বর্ণনা নেই। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ডকুমেন্ট নেই। তিনি আরও বলেন, মামলার আর্জিতে কোথাও আসামিরা অপরাধী এমন কোনো অভিযোগ উল্লেখ নেই। তিনি আরও বলেন, কোম্পানি আইন অনুযায়ী অপরাধ কোম্পানির হবে। কিন্তু এখানে অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এ কারণে এ মামলা চলতে পারে না। এর আগে গত ৬ ডিসেম্বর এ মামলায় ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শ্রম আদালতে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন আদালত। ওইদিন ড. মুহাম্মদ ইউনূস সপ্তম বারের মতো শ্রম আদালতে হাজির হন। আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট এসএম মিজানুর রহমান। অন্যদিকে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বরত চিফ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী। আরও পড়ুন>>> ড. ইউনূসের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান কলকারখানা অধিদপ্তরের আইনজীবী গত ৬ নভেম্বর এ মামলার বাদীপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। ওইদিন আদালত ৯ নভেম্বর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ এ মামলার চারজন আসামির ফৌজদারি কার্যবিধি ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য রাখার দিন রাখেন। ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে ওই মামলা করেন। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এ মামলায় ড. ইউনূস ছাড়াও গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নূরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে বিবাদী করা হয়েছে।  

জাতীয়

ভোটের দিন মোটরসাইকেল চালাতে পারবেন সাংবাদিকরা – ইসি

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ভোটের দিন মোটরসাইকেল চালাতে পারবেন সাংবাদিকরা – ইসি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দিন সাংবাদিকরা মোটরসাইকেল ব্যবহার করতে পারবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রোববার (২৪ ডিসেম্বর) নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ-সচিব আতিয়ুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়কে পাঠানো নির্দেশনায় বিষয়টি জানা গেছে। ভোটে কোন কোন যানবাহন চলাচল কখন বন্ধ থাকবে সে নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য জেলা প্রশাসক অথবা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার/অন্যান্য কর্তৃপক্ষকে ক্ষমতা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়, তফসিল অনুসারে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিবসের পূর্ববর্তী মধ্যরাত অর্থাৎ ৬ জানুয়ারি দিনগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ৭ জানুয়ারি দিনগত মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত ট্যাক্সি ক্যাব, পিকআপ, মাইক্রোবাস, ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকবে। সেই সঙ্গে ৫ জানুয়ারি দিনগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ৮ জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। এ নিষেধাজ্ঞা যেসব ক্ষেত্রে শিথিল করার প্রয়োজন হবে- ক. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী, প্রশাসন ও অনুমতিপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক; খ. জরুরি সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন এবং ওষুধ, স্বাস্থ্য-চিকিৎসা ও অনুরুপ কাজে ব্যবহৃত দ্রব্যাদি ও সংবাদপত্র বহনকারী সব যানবাহন। গ. আত্মীয়স্বজনের জন্য বিমানবন্দরে যাওয়া, বিমানবন্দর থেকে যাত্রী বা আত্মীয়স্বজনসহ নিজ বাসস্থানে অথবা আত্মীয়-স্বজনের বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য ব্যবহৃত যানবাহন (টিকেট বা অনুরূপ প্রমাণ প্রদর্শন) এবং দূরপাল্লার যাত্রী বহনকারী অথবা দূরপাল্লার যাত্রী হিসেবে স্থানীয় পর্যায়ে যাতায়াতের জন্য যে কোনো যানবাহন। ঘ. প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর জন্য ১টি, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্টের (যথাযথ নিয়োগপত্র/পরিচয়পত্র থাকা সাপেক্ষে) জন্য ১টি গাড়ি (জিপ, কার, মাইক্রোবাস ইত্যাদি ছোট আকৃতির যানবাহন) রিটার্নিং অফিসারের অনুমোদন ও গাড়িতে স্টিকার প্রদর্শন সাপেক্ষে চলাচলের অনুমতি প্রদান। ঙ. সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক অথবা জরুরি কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল রিটার্নিং অফিসারের অনুমোদন সাপেক্ষে চলাচলের অনুমতি প্রদান। চ. নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা/কর্মচারী অথবা অন্য কোনো ব্যক্তির জন্য মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি প্রদান। ছ. জাতীয় মহাসড়ক, বন্দর ছাড়াও আন্তঃজেলা বা মহনগর থেকে বাহির বা প্রবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, মহাসড়ক ও প্রধান প্রধান রাস্তার সংযোগ সড়ক বা উক্তরূপ সব রাস্তায় নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।

Scroll to Top