ডিসেম্বর ২৩, ২০২৩

জাতীয়

নৌকার ফেরিওয়ালা ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব মামুন চৌধুরী জাতীয় সংসদ নির্বাচনী প্রচারণায় টুঙ্গিপাড়ায়

বিলেতের আয়না :- শহিদুল ইসলাম, প্রতিনিধি নৌকার ফেরিওয়ালা ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব মামুন চৌধুরী জাতীয় সংসদ নির্বাচনী প্রচারণায় টুঙ্গিপাড়ায় স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া উপ কমিটির সদস্য এবং আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা উপ-কমিটির সদস্য মামুন চৌধুরী আগামী ৭ জানুয়ারী ২০২৪ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারনার টি শার্ট বিতরন ও উন্নয়নের লিপলেট বিতরন সহ নানান প্রচারনার কাজের শুভ উদ্ভোধন করেন গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়াস্থ জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবর রহমানের কবর জেয়ারত ও ফুলদিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন শেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নিজ নির্বাচনী এলাকা হতে প্রচারনার শুভ উদ্ভোদন করেন। টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুলের নিকট টি শার্ট বিতরনের মাধ্যমে ঐ সময় সাথে ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও ক্রীড়া নির্বাচন পরিচালনা উপ-কমিটির সভাপতি মোজাফফর হোসেন পল্টু, সাবেক সিনিয়র সচিব আবদুস সামাদ, চিত্র নায়ক সুব্রত চক্রবর্তী, সাবেক জাতীয় ফুটবলার হাসানুজ্জামান বাবলু, জাতীয় ফুটবলার আশরাফ উদ্দিন চুন্নু, জাতীয় ফুটবলার সত্যজিত রুপু, চিত্র পরিচালক ও নায়ক মনোয়ার হোসেন ডিপজল, চিত্রনায়ক জায়েদ খান, ব্যাবসায়ী এজাজ মাহমুদ, ব্যাসায়ী ক্রীড়া সংগঠক আসিফ ও পলাশ চৌধুরী ক্রীড়া সংগঠক আসাদুজ্জামান বাদশা সহ প্রমুখ এবং টুংগীপাড়ার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেত্ববৃন্দ । মিছিল সহকারে বিভিন্ন জায়গায় গনসংযোগ করেন, টি শার্ট বিতরন, উন্নয়নের লিপলেট বিতরনে বিভিন্ন জায়গায় অংশগ্রহন করেন। দেশে নির্বাচন এলেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে প্রচার প্রচারনায় ঝাঁপিয়ে পড়েন বঙ্গবন্ধু আদর্শে উজ্জেবীত মামুন চৌধুরী। জাতীয় সংসদ নির্বাচন, সিটি করপোরেশন বা পৌরসভা বা ইউনিয়ন নির্বাচনে তিনি নানান জায়গায় নৌকার ফেরিওয়ালা হিসেবে কাজ করবেন বলে প্রত্যাশা করেন। বিগত সংসদ নির্বাচনের মতো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও নৌকা মার্কার টি শার্ট, ব্যানার, ফেস্টুন, লিফলেট বিলিসহ জনসংযোগ বিতরন সহ নানান প্রচারনার কাজ করার প্রত্যাশা রাখেন। তিনি বলেন, দেশে নৌকার প্রার্থীদের পক্ষে ভোটারদের কাছে আমি বঙ্গবন্ধু কন্যার সাফল্যগাথা তুলে ধরে ভোট চাচ্ছি। এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও নোয়াখালীর বিভিন্ন সংসদীয় আসনে ব্যক্তিগত উদ্যোগে টিশার্ট বিতরণ করেছিলেন মামুন চৌধুরী। এ ছাড়াও নির্বাচনী সভা সমাবেশে প্রচারণায় যোগ দেন। করোনা মহামারির সময়ও চট্টগ্রামের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মামুন চৌধুরী। চট্টগ্রাম বন্দর-পতেঙ্গা করোনা হাসপাতালের একজন উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। সাবেক ছাত্রনেতা মামুন চৌধুরী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া উপ-কমিটির ৩ বারের সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা উপ-কমিটির সদস্য, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি এবং পরিবেশ সংগঠন গ্রীন এ্যালাইন্সের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

জাতীয়

আগামী দ্বাদশ  জাতীয় নির্বাচনে ভোটে তারুণ্যের উচ্ছ্বাস।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আগামী দ্বাদশ  জাতীয় নির্বাচনে ভোটে তারুণ্যের উচ্ছ্বাস। আগামী ৭ ই জানুয়ারী অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দেড় কোটি নতুন ভোটার, নির্বাচন নিয়ে আগ্রহও বেশি ॥ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা, জিনিসপত্রের দাম কমানো, তথ্যপ্রযুক্তিতে অন্য দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলার প্রত্যাশা। আগামী ৭ জানুয়ারী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন ১ কোটি ৫৪ লাখ ৫২ হাজার নতুন ভোটার। বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের দলগুলো অংশ না নিলেও ভোটের উত্তাপ কমেনি। ভোটে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর নজর এই নতুন ভোটারদের দিকে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাও তরুণদের চাওয়া অনুযায়ী দলের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণার উদ্যোগ নিয়েছেন। দেশের নতুন ভোটারদের অন্যতম চাহিদা দেশের সার্বিক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকুক। সে সঙ্গে বাজারে জিনিসপত্রের দাম কমুক। আর দেশের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় থাকুক। তরুণরা চাচ্ছে বহির্বিশ্বের অন্যান্য দেশ তথ্য প্রযুক্তির  সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশও এগিয়ে যাক। নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণার আগে স্মার্ট ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে তরুণ প্রজন্মের কথা শুনেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ইশতেহারে তরুণদের মতামতকে গুরুত্ব দিতে দ্বিতীয়বারের মতো তাদের মুখোমুখি হন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে ২০১৮ সালের লেটস টক অনুষ্ঠানে তরুণদের জিজ্ঞাসার জবাবে প্রধানমন্ত্রী নীতিনির্ধারণী বিষয়ে নিজের ভাবনার কথা তুলে ধরেন এবং তরুণদের কথাও শোনেন। লেটস টকের বিশেষ এই পর্ব বিভিন্ন টেলিভিশনে প্রচার হবে আগামী ২৮ ডিসেম্বর। সিআরআই ও ইয়াং বাংলার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজেও এটি প্রকাশ করা হবে। এবারের লেটস টকে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যু, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি এবং তরুণদের নিয়ে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ও নীতি নির্ধারণ বিষয়ে কথা বলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিভিন্ন প্রশ্ন রাখেন ও মতামত জানান তরুণরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত জীবন ও ভাবনা নিয়েও বেশ কিছু নতুন তথ্য মিলবে এবারের লেটস টক অনুষ্ঠানে। উল্লেখ্য, বিগত ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে তরুণদের প্রাধান্য দিয়ে যেসব কর্মসূচি ঘোষণা করে, তার মধ্যে অন্যতম ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ। সেই ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নসহ বাংলাদেশ নি¤œ আয় থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। আর সবকিছুর কেন্দ্রে রয়েছে দেশের তরুণ সমাজ। বাংলাদেশের সর্বশেষ জনশুমারির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশের মোট জনসংখ্যার চার ভাগের এক ভাগ এখন তরুণ, যাদের বয়স ১৫ থেকে ২৯ বছরের মধ্যে। তাদের সংখ্যা ৪ কোটি ৭৪ লাখের বেশি। জনশুমারি ও গৃহ গণনার চূড়ান্ত প্রতিবেদন অনুসারে, দেশে বর্তমানে কর্মক্ষম জনশক্তির সংখ্যা প্রায় ৬২ শতাংশ। আর এই জনমিতিকে কাজে লাগাতে তরুণদের মতকে প্রাধান্য দিতে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মূলত এ কারণেই তরুণদের সঙ্গে দেশের নীতি নির্ধারণী বিষয়ে আলোচনা, তাদের চাওয়া-পাওয়াগুলো সরাসরি জানা এবং দেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আলোচনার জন্য আরও একবার ‘লেটস টক উইথ শেখ হাসিনা’ অনুষ্ঠানে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিকে আগামী নির্বাচনের সময় এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ক্যাম্পাসগুলোতে চায়ের আড্ডায় তরুণদের আলোচনায় বিষয়ে পরিণত হয়েছে আসন্ন নির্বাচন। নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুসারে ১১ কোটি ৯৬ লাখ ভোটারের মধ্যে এবার নতুন ভোটার ১ কোটি ৫৪ লাখ ৫২ হাজার। দেশে তরুণ ভোটারদের বড় একটি অংশই হচ্ছে শিক্ষার্থী। এর মধ্যে কেউ হয়তো সদ্য কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করেছেন বা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এসব ভোটাররা নিজেদের চোখের সামনেই দেখেছেন বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন। উদহারণ হিসেবে বলা যাচ্ছে, পদ্মা সেতু কর্ণফুলী টানেল বা ক্যাম্পাসেও মেট্রোরেলের সুবিধা। দেশের অবকাঠামোর এই পাল্টে যাওয়াটা হয়েছে এই প্রজন্মের চোখের সামনে। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে আগামীর বাংলাদেশকেও আরও উন্নত দেখতে চান তারা। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জাহাঙ্গীর আলম আকাশ নামে শিক্ষার্থী বলেন, প্রথমবার ভোটার হয়েছি। এক ধরনের উচ্ছ্বাস তো কাজ করছেই। যিনি উন্নয়ন করতে পারবেন বলে মনে করছি, তাকে ভোট দেব। আমরা চাই গুণগত উন্নয়ন। শুধু অবকাঠামোই নয়, দরকার দেশের সব প্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নও। তবে তরুণ ভোটারদের মধ্যে কিছুটা অস্বস্তি রয়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যস্ফীতি নিয়ে। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে আবাসিক হল থেকে শুরু করে বন্ধুবান্ধব নিয়ে ভালো কোনো হোটেল রেস্টুরেন্টে খাবার খেতে গেলে পকেটে টান পড়ছে। জিনিসপত্রের দাম বাড়ার কারণে জীবনযাত্রার ব্যয়ও বাড়ছে। এখনো পর্যন্ত যারা চাকরিতে যোগ দেননি, এসব তরুণ কষ্টে রয়েছেন। এরপরেও  তারা উন্নয়নের সঙ্গেই থাকতে চান। অন্য একটি অংশ চাচ্ছে, যে দলই ক্ষমতায় আসুক, দুর্নীতিমুক্ত একটি বাংলাদেশ গড়ুক। তবে সহিংসতামুক্ত একটি ভোটের পরিবেশও চাইছেন তারা। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া হিসাব বলছে, বর্তমানে ভোটারের সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ এবং নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন। আর তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৮৫২ জন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য ৩০০ আসনভিত্তিক ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করেছে ইসি। এ তালিকা অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনের ভোট নেওয়া হবে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ভোটার ছিল ১০ কোটি ৪২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৭৭ জন। সে হিসেবে পাঁচ বছরে দেশে ভোটার বেড়েছে ১ কোটি ৫৪ লাখ ৫২ হাজার ৯৫৬ জন। তরুণদের সঙ্গে কথা বলে  জানা গেছে, বাংলাদেশে কে কোন দলের সমর্থক হবে-সেটা অনেকটা নির্ধারিত হয় পারিবারিক সূত্রে। কিন্তু তরুণদের বড় একটা অংশ আবার পারিবারিক ঐতিহ্য ভেঙে ভিন্ন দল কিংবা নতুন রাজনীতি বেছে নিতে পিছপা হন না। তারা অনেকটাই স্বাধীনভাবে রাজনৈতিক মত বেছে নিচ্ছেন। এর আগে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার মাত্র ছয় বছরের মাথায় মুসলিম  লীগ পরিবারের সন্তানেরা সেই দলের রাজনীতিকে নাকচ করে দিয়ে আওয়ামী লীগ ও বামপন্থি রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছেন। বর্তমানেও সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। তরুণরা রাজনীতির ক্ষেত্রে পারিবারিক বৃত্ত ভেঙে ফেলছেন। সেই কারণে এবারে তরুণ ভোটররা বেশি অংশ নেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জাতীয়

কর্ণাটকের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার।

বিলেতের আয়েনা ডেক্স :- কর্ণাটকের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার। ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাবের ওপর সকল বিধি নিষেধ প্রত্যাহারের করার ঘোষণা দিয়েছেন রাজ্যের নতুন মুখ্যমন্ত্রী কে সিদ্দারামাইয়া। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের। শুক্রবার একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে কর্ণাটক রাজ্যের কংগ্রেস–শাসিত সরকারের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বলেন, ‘কে কী পরবেন, কী খাবেন, তা একান্তই ব্যক্তিগত বিষয়। এতে কারও হস্তক্ষেপ করা উচিত। বিজেপিকে কটাক্ষ করে সিদ্দারামাইয়া বলেন, “তারা বলে ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ (সকলের সহযোগিতা, সকলের উন্নয়ন) কিন্তু যারা হিজাব, বোরকা পড়ে বা দাড়ি রাখে তাদের দূরে সরিয়ে দেয়। তারা কি এটাই বোঝাতে চাইছে?” এ সময় হিজাব পরার ওপর বিধিনিষেধ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি শনিবার থেকে আর কোনো নিষেধাজ্ঞা থাকবে না। আপনি যা খুশি পরতে এবং খেতে পারেন। এটা আপনার উপর নির্ভর করছে। তিনি বলেন, ‘তোমার পছন্দ তোমার আর আমার পছন্দ আমার এবং এটা খুবই সহজ। যেমন আমি ধুতি এবং কুর্তা পরি, আর কেউ প্যান্ট এবং শার্ট পরে। এতে দোষ কি?’ প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে বিজেপি শাসিত সরকারের আমলে রাজ্যের সরকারি স্কুলের শ্রেণীকক্ষে মুসলমান শিক্ষার্থীদের হিজাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এ সিদ্ধান্তের জেরে রাজ্যের উত্তেজনা এতটাই প্রকট হয়েছিল যে, শেষে আদালত পর্যন্ত গড়ায় বিষয়টি। কিন্তু আদালতের পক্ষ থেকেও একই আদেশ বহাল থাকে।

জাতীয়

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ‘গাজা প্রস্তাব’ পাস।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ‘গাজা প্রস্তাব’ পাস। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজা প্রস্তাব পাশ হয়েছে। গাজা উপত্যকায় আরও অধিক মানবিক সহায়তা পাঠানোর এ প্রস্তাবটি ১৩-০ ভোটে পাশ হয়েছে। খবর আলজাজিরা। শুক্রবার সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রথম প্রস্তাবটি উত্থাপন করে। প্রস্তাবটির খসড়ায় গাজায় অনতিবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং মানবিক সহায়তা পাঠানোর কথা বলা হয়েছিল। তবে যুদ্ধবিরতির কথা থাকায় এতে ভেটো দেয় যুক্তরাষ্ট্র। পরে যুদ্ধবিরতির কথা বাদ দিয়ে শুধু মানবিক সহায়তার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এক সপ্তাহ ধরে ঝুলে থাকা প্রস্তাবটি শেষ পর্যন্ত পাশ হলেও গাজায় যুদ্ধবিরতি বন্ধে এতে কোনো আলোচনা করা হয়নি। নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ দেশের মধ্যে ১৩টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিলেও; যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া ভোটদানে বিরত ছিল। নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম স্থায়ী সদস্য রাশিয়া বলেছে, এই প্রস্তাব একটি ‘দন্তহীন’ ও ‘অক্ষম’ প্রস্তাব। জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার দূত ভাসিলি নিবানজিয়া বলেছেন, এই প্রস্তাবে যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে বলা হয়নি। এর বদলে এটির মাধ্যমে ‘মুক্তহস্তে’ ইসরাইলকে তাদের সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। গাজায় ইসরাইলের হামলায় ২৩ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। গাজার পরিস্থিতিকে জাতিসংঘের কর্মকর্তারা পৃথিবীর নরক বলে মন্তব্য করেছেন।

জাতীয়

লন্ডনে চ্যানেল এস সম্মাননা পেলেন বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনীম।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- লন্ডনে চ্যানেল এস সম্মাননা পেলেন বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনীম। বৃটেনের অন্যতম প্রধান ও জনপ্রিয় কমিউনিটি টেলিভিশন ‘চ্যানেল এস’র বিশেষ সম্মাননা পেলেন লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনীম। চ্যানেল এসের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল বিজয়ের ৫২তম বার্ষিকী উদ্‌যাপন উপলক্ষে ১৬ই ডিসেম্বর লন্ডনে বিশেষ অনুষ্ঠানে তাকে এই বিশেষ সম্মাননা দেয়া হয়। বাংলাদেশ দূত হিসেবে দেশের মর্যাদা ও গুরুত্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি বৃটিশ-বাংলাদেশিদের জন্য হাইকমিশনের সেবার মান উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নীত করায় তাকে এই বিশেষ সম্মাননা দেয়া হয়। চ্যানেল এসের চেয়ারম্যান আহমেদুস সামাদ চৌধুরী জেপি, প্রতিষ্ঠাতা মাহী ফেরদৌস জলিল এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাজ চৌধুরী হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীমের হাতে বিশেষ সম্মাননা স্মারক তুলে দেন। যাতে প্রায় একশ’ ছবিতে যুক্তরাজ্যে হাইকমিশনারের বিগত পাঁচ বছরের বিভিন্ন কর্ম ও সাফল্য প্রতিফলিত হয়েছে। এসময় বৃটিশ এমপি আফসানা বেগম, হাউস অব লর্ডস সদস্য ব্যারোনেস উদ্দিন ও নিউহামের নির্বাহী মেয়র রুকসানা ফাইয়াজ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ সম্মাননা স্মারক গ্রহণের পর হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম বলেন, আমি একজন পেশাদার কূটনীতিক, মানুষের সেবা করা আমার দায়িত্ব- যা আমি সব সময়ই আন্তরিকতার সঙ্গে করার চেষ্টা করেছি। বৃটিশ-বাংলাদেশিদের মর্যাদার সঙ্গে সর্বোচ্চ সেবা প্রদান করার অঙ্গীকার নিয়ে দায়িত্ব পালন করছি। হাইকমিশনার চ্যানেল এসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, চ্যানেল এস শুধু একটি টেলিভিশন নয়, এটি যুক্তরাজ্যে বৃটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটির একটি অন্যতম প্রধান প্ল্যাটফরম। ফারহান মাসুদ খানের উপস্থাপনায় প্রচারিত অনুষ্ঠানে স্টুডিওতে বৃটিশ ও বৃটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ কয়েকশ’ আমন্ত্রিত অতিথি উপস্থিত ছিলেন।    

জাতীয়

আগামী ৭ জানুয়ারী জাতীয় নির্বাচনটি একতরফা নির্বাচন।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আগামী ৭ জানুয়ারী জাতীয় নির্বাচনটি একতরফা নির্বাচন। আগামী ৭ই জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনটি ‘একতরফা’ নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এইভাবে একতরফা নির্বাচন হলে বাংলাদেশ গভীর সংকটে পড়বে। মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশকে এইভাবে ভোটের অধিকার বঞ্চিত করে ধীরে ধীরে অগণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। জন আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে এই নির্বাচন কোনো অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। আগামী ৭ই জানুয়ারির এই নির্বাচনে যে ফলাফল আসবে তা এখনই নির্ধারিত হয়ে আছে। অংশগ্রহণ ও প্রতিযোগিতা কোনোটিই এই নির্বাচনে নেই। শনিবার রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে ‘ভোট ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সংলাপে এসব কথা বলেন বক্তারা। লেখক-শিল্পী-শিক্ষক-সাংবাদিকদের ব্যানারে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উন্মুক্ত এই নাগরিক সংলাপে নির্ধারিত আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, নারী নেত্রী শিরিন হক, সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, দৈনিক সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক সাঈদ খান, অর্থনীতিবিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন লেখক বাকী বিল্লাহ। বদিউল আলম মজুমদার বলেন, যে পরিস্থিতিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছে তা আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে করা হয়নি। একটি পরোক্ষ রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে ১৯৯৬ সালে সংবিধানে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত করা হয়েছিল। এরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে তিনটি (১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালে) জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনগুলো দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিল। ২০১১ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করা হয়। এরপর দলীয় সরকারের অধীনে ২০১৪ সালে একটি ‘একতরফা’ এবং ২০১৮ সালে আরেকটি ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ নির্বাচন হয়। যার ফলে নির্বাচনী ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়ে। সরকার এখন যা করছে, যেভাবে বর্তমানে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে, তা সংবিধানের পরিপন্থি। সে হিসেবে এই কমিশনও বেআইনি। আইনসম্মত নয়। রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি দেশের নাগরিক সমাজ থেকে শুরু করে সবার এই অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে। সবাই কথা বললে এই ব্যবস্থা নড়বড়ে হয়ে যাবে। অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, এই সরকারের কোনো নৈতিক ভিত্তি নেই। অতীতের কোনো সরকারের আমলে এইভাবে বিরোধী দলের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ করা হয়নি। এরশাদ সরকারের আমলে নব্বইয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের চেয়ে এই আমলে বেশি মানুষ জীবন দিয়েছে। আবু সাঈদ খান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা মুখে বললে হবে না। চেতনা ধারণ করা হচ্ছে গণতান্ত্রিক আচরণ করা। এখন সেটি অনুপস্থিত দেখতে পাচ্ছি। ২০০৮ সালে যে নির্বাচন হয়েছিল, সেটিতে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। এরপরে ২০১৪ কিংবা ২০১৮ সালে নির্বাচনের নামে তামাশা হয়েছে উল্লেখ করে আনু মুহাম্মদ বলেন, সেই হিসেবে আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর থেকেই টানা ক্ষমতায় আছে একটি নির্বাচনের মাধ্যমে। অর্থাৎ, এই আওয়ামী লীগ সরকার এখন মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনের মতোই আরেকটি ফলাফল নিয়ে আসবে। তাই এই নির্বাচন দেশে এবং বহির্বিশ্বে কোথাও গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। নির্বাচন বলতে যা বুঝায়- অংশগ্রহণ এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা তার কোনোটাই এই নির্বাচনে রয়েছে বলে দাবি করা যাবে না। আরেকটি একতরফা নির্বাচন দেশের অর্থনৈতিক ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তুলবে। পাকিস্তান আমলে যে ২২ পরিবারের কথা বলা হয়েছিল, এখন তেমনই আরেকটি শ্রেণি গড়ে উঠেছে। শিরিন হক বলেন, ২০১৮ সালে নির্বাচনে একটি দলের প্রতীকে (ধানর শীষে) ভোট দেয়ার জন্য এক নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। সেই ঘটনার এখন পর্যন্ত বিচার পাওয়া যায়নি। দেশের রাজনীতি নিয়ে নানা রকম পরিস্থিতি আমাদের দেখতে হয়। কিন্তু একজন নারীর প্রতি যে ধরনের সহিংসতা ঘটে তা সামনে আসে না। ২০১৮ নির্বাচনের পরে সুবর্ণচরের ঘটনার বিচার না করে আরেকটি নির্বাচন আয়োজনের কোনো নৈতিক কিংবা কোনো ধরনের সাপোর্ট থাকার কথা নয়। এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন প্রগতি লেখক সংঘের সহ-সভাপতি শামসুজ্জামান হীরা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান, সাংবাদিক সায়দিয়া গুলরুখ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আল রাজী, সংগঠক সীমা দত্ত, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আইনুন নাহার লিপি ও শিল্পী এএইচ চঞ্চল।

জাতীয়

আওয়ামী লীগ নির্বাচন নিয়ে তামাশা করছে –গনতন্ত্রমঞ্চ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আওয়ামী লীগ নির্বাচন নিয়ে তামাশা করছে –গনতন্ত্রমঞ্চ। আওয়ামী লীগ নির্বাচন নিয়ে নাটক ও তামাশা করছে বলে মন্তব্য করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। এই নির্বাচনী নাটকে কে কে অভিনয় করবে সেটা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা একাই ঠিক করছেন বলেও মন্তব্য করেন তারা। শুক্রবার বিকালে ‘একতরফা ভোট বর্জন করুন’ এই আহ্বানে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে গণসংযোগপূর্ব সমাবেশে এ মন্তব্য করেন মঞ্চের নেতৃবৃন্দরা। পরে একটি মিছিল বের করে মঞ্চ। তাদের মিছিল প্রেসক্লাব থেকে পল্টন হয়ে কাকরাইল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। নেতৃবৃন্দ বলেন, এরা (আওয়ামী লীগ) দেশে যা খুশি তাই করছে। নির্বাচন নিয়ে নাটক ও তামাশা করছে। এখন নির্বাচনী নাটকে কে কে অভিনয় করবে সেটা শেখ হাসিনা একাই ঠিক করেছেন। ডামি প্রার্থী, স্বতন্ত্র প্রার্থী, বিদ্রোহী ও নৌকার প্রার্থী এরপর নাটকটা হবে। তারা বলেন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের রাজনীতি শেষ, স্বতন্ত্র রাজনীতি বলে কিছু নাই।  তারা নৌকা ছাড়া নির্বাচনও করতে পারছেন না। বাংলাদেশের মানুষকে আওয়ামী লীগ ভেড়ার পাল বানাতে চায়। দেশের মানুষ লড়াই করে বিজয় নিয়ে এসেছে। কাজেই আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্র টিকবে না। জনগণ আন্দোলন করে এমন ব্যবস্থা কায়েম করবে যাতে তাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত হয়। সুতরাং আজকের এই দুঃশাসন থাকবে না। জনগণ জনসমুদ্রের মতো গণঅভ্যুত্থান করে এদের পতন ঘটাবে। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সংবিধানের কথা বলে যারা ভুয়া নির্বাচন ও প্রহসনের নির্বাচন করছেন তারা জনগণের চোখে ধুলা দিতে পারবে না। কেনো না সংবিধানের ১২৩-নং আর্টিকেলের খ’তে এখনো সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন করার পরিস্থিতি আছে। নতুন অধিবেশন ডেকে এরপরের ৯০ দিন পর নতুন নির্বাচন দেয়া যাবে। কাজেই সংবিধানের দোহাই খাটে না। এই নির্বাচন স্থগিত ও তফসিল বাতিল করে এবং সমস্ত আন্দোলনকারী শক্তির সঙ্গে বসে নতুন নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে তারা আরো বলেন, একদিকে বাংলাদেশকে রক্ষা করার জন্য গণতন্ত্র মঞ্চ যেমনি লড়বে, আর সেই রক্ষার ভিত্তি হবে ৩১ দফা। এই ৩১ দফায় রাষ্ট্র ও শাসনব্যবস্থা সংস্কারের বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। বাংলাদেশেকে জাতীয় ভয়ঙ্কর সংঘাতময় পরিস্থিতি এবং গণতন্ত্রহীনতা থেকে উদ্ধার করতে হলে নতুন এই বন্দোবস্তের বিকল্প নাই। এসময় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণতন্ত্র মঞ্চের বর্তমান সমন্বয়ক ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দীন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয়

সিলেটের সবকটি আসনেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জিতবেন — পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সিলেটের সবকটি আসনেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জিতবেন — পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সিলেটের সবকটি আসনেই আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা জয়লাভ করবে বলে মন্তব্য করেছেন সিলেট-১ আসনে নৌকার প্রার্থী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তবে, কোনো নির্বাচনই সহজ নয়, সকল আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে, উৎসবমুখর পরিবেশে মানুষ ভোট দিতে যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আজ শনিবার সকালে নগরের সোবহানীঘাট কাঁচাবাজারে জনসংযোগ ও নির্বাচনী প্রচারণা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, কোনো প্রার্থীকেই ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। নির্বাচন ঘিরে সরকারের কোন চাপ নেই, তবে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে তৃণমূল নেতাকর্মীরা কাজ করছে বলেও জানান তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেনসহ অন্য নেতারা।

জাতীয়

ইনু ভাইও নৌকায় চড়েছেন, খেয়াল রাখবেন যেন পড়ে না যায় – শেখ হাসিনা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ইনু ভাইও নৌকায় চড়েছেন, খেয়াল রাখবেন যেন পড়ে না যায় — শেখ হাসিনা। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবন থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ছয় জেলার জনসভায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে কথা বলেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, নেত্রকোণা, বরগুনা ও রাঙ্গামাটি জেলার জনসভায় বক্তব্য দেন তিনি। এসময় উপস্থিত কুষ্টিয়ার নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের ইনু ভাইও নৌকায় চড়েছেন। নৌকা যেনো দোল খেয়ে পড়ে না যায়, সেদিকে একটু খেয়াল রাখবেন। জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল নয়, সন্ত্রাসী দল। জামায়াত যুদ্ধাপরাধীদের দল। এদের হাতে দেশ নিরাপদ নয়। এদের হাত থেকে দেশ ও জাতিকে মুক্ত রাখতে হবে। তাহলে দেশের উন্নয়ন হবে। দেশের জনগণের ভাগ্য নিয়ে আর কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেবো না। শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন ঠেকানোর নামে ভয়ঙ্কর রূপ নিয়ে নেমেছে বিএনপি। অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে তারা। রেলে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারছে। মনুষ্যত্ব থাকলে এই ঘটনা ঘটাতে পারে না। বিএনপির নেতা কে? দুজনই সাজাপ্রাপ্ত। খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত আসামি, তারপরও তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে এবং তার বোন-ভাই রিকুয়েস্ট করার পর সাজা স্থগিত করে বাড়িতে থাকতে দিয়েছি। খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়া গ্রেনেড হামলা, কোটালিপাড়ায় বোমা পুঁতে রাখা, গুলি করে আমাকে মারতে চেয়েছিলো।তারপরও তার জন্য এটুকু মানবিকতা দেখিয়েছি। নির্বাচনের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিয়েছি। কারণ আমি নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে চাই। সব প্রার্থী জনগণের কাছে যাবে, ভোট চাইবে। জনগণ যাকে ভোট দেবে সেই নির্বাচিত হবে। আমি চাই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হোক, জনগণের ভোটের অধিকার সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারুক। গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত করতে চাই। গণতান্ত্রিক বিধিব্যবস্থা ও পরিবেশ থাকলে যে উন্নয়ন হয় সেটি আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে একবারই শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা বদল হয়েছে। যেটা ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ করেছে। কারণ গণতন্ত্র থাকলেই উন্নয়ন হয়। খুলনা বিভাগের কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ ও সাতক্ষীরা জেলা, বরিশাল বিভাগের বরগুনা জেলা, ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোনা জেলা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের রাঙামাটি জেলায় নির্বাচনী জনসভা করেছে আওয়ামী লীগ। এতে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ছাড়াও কেন্দ্রীয় নেতারা, সংশ্লিষ্ট জেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা, থানা, পৌর আওয়ামী লীগ, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা এবং সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর নির্বাচনী এলাকার নৌকা মার্কার প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয়

১৫ বছরে ব্যাংক খাতে ৯২ হাজার কোটি টাকা লোপাট – সিপিডি

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ১৫ বছরে ব্যাংক খাতে ৯২ হাজার কোটি টাকা লোপাট — সিপিডি ২০০৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১৫ বছরে বিভিন্ন আর্থিক অনিয়মের মাধ্যমে ব্যাংক খাত থেকে ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে ধানমন্ডিতে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০২৩-২৪: চলমান সংকট ও করণীয়’ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিং এসব তথ্য জানানো হয়েছে। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, জাল কাগজ পত্রের মাধ্যমে ঋণ, অস্তিত্ববিহীন প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণসহ নানা ধরনের এসব আর্থিক অনিয়ম হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে ব্যাংকে কেলেঙ্কারি বা অনিয়ম হয় সেগুলো অফিসিয়াল সূত্রে পাওয়া যায় না। সেগুলো সংবাদ মাধ্যমে আসে। গণমাধ্যমকর্মীরা সেগুলো হয়তো অফিসিয়াল সূত্রেই আনেন। এগুলোকে কম্পাইল করে ২০০৮-২০২৩ সাল পর্যন্ত গণমাধ্যমে ২৪টি ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে। এসব ঘটনায় ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। বিশাল এই অর্থ দিয়ে কী হতে পারে সেটা আপনারা হিসেব করতে পারেন। আপনারা হিসেব করতে পারেন আমাদের রাজস্ব ঘাটতি কত? সামাজিক নিরাপত্তা খাতে কত ব্যয় হচ্ছে, শিক্ষা-স্বাস্থ্য খাতে কত ব্যয় করছি। এই পরিমাণ দিয়ে আমরা কী করতে পারতাম। তিনি বলেন, এই পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ হচ্ছে, অপচয় হচ্ছে; ব্যাংকে যে টাকা সেটা জনগণের টাকা সেটা কীভাবে ব্যয় হচ্ছে তা চিন্তার বিষয়। সেই প্রেক্ষিতে ব্যাংকিং খাতে নিয়ম কানুন বাস্তবায়ন করা ও সংস্কার করা একেবারেই জরুরি হয়ে পড়েছে।

Scroll to Top