ডিসেম্বর ২০, ২০২৩

জাতীয়

স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সোসাইটি গড়ার প্রতিশ্রুতি শেখ হাসিনার।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সোসাইটি গড়ার প্রতিশ্রুতি শেখ হাসিনার। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকায় ভোট চেয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সোসাইটি গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশবাসীর উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকায় ভোট দেবেন। তাহলে আমরা দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলব। আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছি। স্মার্ট বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব দেশ, দক্ষ জনগণ, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতামূলক প্রশাসন তৈরি করব। স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট জনগণ, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সোসাইটি গড়ে তুলব। বুধবার বিকালে সিলেট আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে আয়োজিত আওয়ামী লীগের নির্বাচনি জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা এই জনসভা দিয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করলেন শেখ হাসিনা। অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘একটা অনুরোধ আপনাদের কাছে, আজকে সব জায়গায় বোমাবাজি, অগ্নিসন্ত্রাস এবং আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারা এর বিরুদ্ধে সবাইকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মানুষের জীবন কেড়ে নেবে, মানুষকে ভোট দিতে দেবে না, নির্বাচন বন্ধ করতে বলবে- এত সাহস কোথা থেকে পায়?’ তিনি বলেন, ‘ওই লন্ডনে বসে (তারেক রহমান) হুকুম দেয় আর কতগুলো লোক নিয়ে এখানে আগুন নিয়ে খেলে। আগুন নিয়ে খেলতে গেলে আগুনেই হাত পোড়ে এটা তাদের মনে রাখা উচিত।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা মনে করেছে, দুইটা আগুন দিলেই সরকার পড়ে যাবে। এত সহজ না। ভাত দুধ দিয়ে খাই না, এটাই আমি বলতে চাই। আওয়ামী লীগ সরকারে আসায় জনগণের উন্নতি হয়েছে, দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে আমি কাজ করে যাচ্ছি।’ আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘যারা লুটেরা, খুনি, হত্যাকারী, দুর্নীতিবাজ, এতিমের অর্থ আত্মসাতকারী তারাই এদেশের মানুষকে আগুন দিয়ে পোড়ায়, নির্বাচন বানচাল করতে চায়।’ আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে জনগণের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগামী নির্বাচন। নৌকা মার্কা। এই নৌকা নূহ নবীর নৌকা। এই নৌকায় মানবজাতিকে রক্ষা করেছিলেন রাব্বুল আলামিন। এই নৌকায় ভোট দিয়ে এদেশের মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে। এই নৌকা যখন সরকারে এসেছে তখন বাংলাদেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতি হয়েছে। আজকে তাই আপনাদের কাছে আমার আহ্বান, আমরা যারা প্রার্থী দিয়েছি তাদেরকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দেবেন এটাই আমার আহ্বান। আপনারা দেবেন, বলেন হাত তুলে ওয়াদা করেন। এ সময় উপস্থিত জনতা দুই হাত উচিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন জানান.

জাতীয়

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশ। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রথম পর্বের (বরিশাল, সিলেট, রংপুর বিভাগ) লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। লিখিত পরীক্ষায় মোট ৯৩৩৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। মৌখিক পরীক্ষার তারিখ পরবর্তীতে জানানো হবে। গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সরকারি প্রাথমিক স্কুলে সহকারী শিক্ষক পদে দ্বিতীয় ধাপের নিয়োগ পরীক্ষা আগামী জানুয়ারিতে বা ফেব্রুয়ারির শুরুতেই নেওয়ার পরিকল্পনা করছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। তৃতীয় ও শেষ ধাপের পরীক্ষা এসএসসি পরীক্ষার পর নেওয়া হবে। তবে সব কিছু নির্ভর করছে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন ও দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর। চলতি মাসের ৮ তারিখে তিন বিভাগের ১৮ জেলার চাকরিপ্রার্থীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই পর্বে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন তিন লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন। প্রথম পর্বে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ১৮টি জেলার ৫৩৫টি কেন্দ্রে সকাল ১০টা থেকে এক ঘণ্টার এ লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের জেলাগুলো হলো— রংপুর, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, লালমনিরহাট, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, সিলেট, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার।

জাতীয়

যারা ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ায় তাদের মনুষ্যত্ব নেই।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ‘যারা ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ায় তাদের মনুষ্যত্ব নেই। ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দিয়ে মানুষ হত্যার ঘটনায় দায়ীদের অবশ্যই বিচারের আনা উচিৎ। এ ব্যাপারে সরকার অবশ্যই শক্ত পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে সুপ্রিম কোর্টে রেকর্ড শাখার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি। তিনি আরও বলেন, যারা ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ায় তাদের মনুষ্যত্ব নেই। প্রকৃত দুষ্কৃতিকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। এ ঘটনা দেশের যে প্রান্তেই হোক না কেন সব একই রকম। এর আগে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিদের নিয়ে ভবনের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। সুপ্রিম কোর্টে কোনো রেকর্ড শাখা এতদিন ছিলো না। এটি নির্মাণ করে দেয়ায় সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানান প্রধান বিচারপতি। এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৫টায় ট্রেনে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে মা ও শিশুসন্তানসহ চার যাত্রী নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- নাদিয়া আক্তার পপি (৩৫) ও তার শিশুসন্তান ইয়াসিন (৩)। পরে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ক্ষতিগ্রস্ত ট্রেনটির পরিচালক (গার্ড) খালেদ মোশাররফ বাদী হয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিসংযোগ ও আগুনে পুড়ে চারজনের মৃত্যুর ঘটনায় কমলাপুর রেলওয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। বিশেষ ক্ষমতা আইন ও চারজনকে হত্যার পৃথক অভিযোগ আনা হয়েছে মামলায়। তবে মামলায় কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। মামলায় আসামি অজ্ঞাত।

জাতীয়

নির্বাচন সুষ্ঠু করতে যে কোনো দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত থাকবে বিজিবি– মহা পরিচালক এ কে এম নাজমুল হাসান।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- নির্বাচন সুষ্ঠু করতে যে কোনো দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত থাকবে বিজিবি– মহা পরিচালক এ কে এম নাজমুল হাসান। আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে অর্পিত যে কোনো দায়িত্ব সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারত্বের সঙ্গে পালনের জন্য বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) প্রস্তুত থাকবে বলে জানিয়েছেন বাহিনীটির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান। নির্বাচনকেন্দ্রিক যে কোনো দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনে তিনি বিজিবির সব সদস্যের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বিজিবির ডিজি বলেছেন, স্বাধীনতার পর দেশ গঠন এবং দেশমাতৃকার সেবায় এ বাহিনীর অবদান অনস্বীকার্য। দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ যে কোনো দুর্যোগময় মুহূর্তে জনগণের সেবায় এ বাহিনী এগিয়ে এসেছে, মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছে। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের স্থানীয় ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিশ্বস্ততা ও সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে বিজিবি আজ দেশবাসীর আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক। তিনি ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে বিজিবির প্রতিটি সদস্যকে সুশৃঙ্খল ও স্মার্ট সৈনিক হিসেবে কাজ করার আহ্বানও জানান। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ দিবস-২০২৩’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ দরবারে সব পর্যায়ের বিজিবি সদস্যদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন। বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, আজ বাহিনীর সব সদস্যের জন্য একটি বিশেষ দিন। গৌরবময় ইতিহাস ও ঐতিহ্যমণ্ডিত এই বাহিনী আজ ২২৯ বছরে পদার্পণ করলো। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠালাভের পর থেকে এ বাহিনী ‘সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী’ হিসেবে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষা এবং সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি চোরাচালান রোধ, নারী-শিশু ও মাদকপাচার রোধসহ যে কোনো আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমনে অত্যন্ত দক্ষতা ও পেশাদারত্বের স্বাক্ষর রেখে চলেছে। বিজিবি ডিজি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন দুর্গম বিওপিসমূহকে যোগাযোগের আওতায় আনা হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিজিবির রিক্রুটিং ব্যবস্থাকে ই-রিক্রুটিংয়ে রূপান্তরিত করা হয়েছে। বাহিনীর ক্রমবর্ধমান প্রশিক্ষণ চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে চুয়াডাঙ্গায় অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণ সুবিধা সম্বলিত আরও একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের কাজ চলমান। এছাড়াও বিজিবি সদস্যদের জীবনমান উন্নয়নে সৈনিকদের বেতন স্কেল সমন্বয়, সীমান্ত ভাতা, রেশন ও অন্যান্য সুবিধা বৃদ্ধিসহ প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। দরবার শেষে পদোন্নতিপ্রাপ্ত চারজনকে অনারারি সুবেদার মেজর থেকে অনারারি সহকারী পরিচালক এবং দুজনকে অনারারি সহকারী পরিচালক থেকে অনারারি উপপরিচালক পদে র্যাংক ব্যাজ পরানো হয়। এসময় বিজিবির সব কর্মকর্তা ও অন্য পদবির সৈনিকরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সকালে বিজিবি দিবসের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য বিজিবি মহাপরিচালক গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী বিজিবি মহাপরিচালকসহ বাহিনীর সব সদস্যকে দিবসটি উপলক্ষে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। প্রধানমন্ত্রী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি চোরাচালান, মাদক ও মানবপাচার রোধসহ দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও যে কোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় বিজিবির ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে দেশ ও জাতির বৃহত্তর কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ হয়ে বিজিবির প্রতিটি সদস্যকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার নির্দেশনা দেন। বিজিবি সদরদপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম জানান, দিবসটি ঘিরে অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে বিজিবি সদরদপ্তরসহ সারাদেশে বিজিবির বিভিন্ন স্থাপনায় বর্ণিল আলোকসজ্জা করা হয়। এছাড়া দিবসটি উদযাপনের অংশ হিসেবে যশোরের বেনাপোল, পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর সংলগ্ন আইসিপিতে বিজিবি-বিএসএফ জমকালো ‘জয়েন্ট রিট্রিট সিরিমনি’ প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয়

নৌকায় ভোট দিয়ে এদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে, নূহ নবীর নৌকা –প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- নৌকায় ভোট দিয়ে এদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে, নূহ নবীর নৌকা –প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ নৌকা নূহ নবীর নৌকা। এ নৌকায় কিন্তু মানবজাতিকে রক্ষা করেছেন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের নির্বাচনী জনসভায় তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই নৌকায় ভোট দিয়ে এদেশের মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে। আবার নৌকা যখন ক্ষমতায় এসেছে মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতি হয়েছে। বাণিজ্য করেই বিএনপি নির্বাচন ধ্বংস করেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, একজন লণ্ডনে বসে মনোনয়নপত্র বিক্রি করেছে। আরেকজন গুলশানে বসে মনোনয়ন বিক্রি করেছে। এ ছাড়া পল্টন থেকেও আরেকবার বিক্রি করেছে। এভাবে তারা নির্বাচনকে বাণিজ্যে পরিণত করে নির্বাচনকে ধ্বংস করেছে। এর আগে হযরত শাহজালাল (র.)-এর মাজার জিয়ারত শেষে সরকার প্রধান বলেন, যারা নির্বাচন করবে না, করবে না। কিন্তু আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারা, জনগণের সম্পত্তি নষ্ট করা, এগুলো সন্ত্রাসী কাজ, জঙ্গিবাদী কাজ। আর এগুলো করে যাচ্ছে বিএনপি-জামায়াত। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভোট জনগণের সাংবিধানিক অধিকার। যারা জনগণকে ভোট দিতে বাধা দেবে, মানুষ তাদের উৎখাত করবে। মানুষ ভোটের পক্ষে, তারা হরতাল চায় না। বিএনপির হরতালে মানুষ সাড়াও দিচ্ছে না। আসন্ন নির্বাচনে আবারও জয়ের আশা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ৭ জানুয়ারির ভোটে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় এলে জনগণের সব চাওয়া পূরণ হবে, কেউ গৃহহীন থাকবে না, কারো দুঃখ থাকবে না। সভায় সভাপতিত্ব করেছেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমেদ। বুধবার সকাল থেকেই আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে সিলেট বিভাগের ৪ জেলা থেকে নেতা-কর্মীরা আসতে শুরু করেন। দলীয় সভানেত্রীর নির্বাচনী প্রচারণার জনসভায় যোগ দিতে মিছিলে মিছিলে জড়ো হয়েছেন নেতা-কর্মীরা। নগরের বিভিন্ন সড়কে ছোট-বড় মিছিল নিয়ে নৌকার স্লোগান দিয়ে জড়ো হচ্ছেন তারা। সিলেটের শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আশপাশের এলাকা, চৌহাট্টা, রিকাবীবাজারসহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা ভিড় করেছেন। লিফলেট বিতরণ করছেন। কেউ কেউ পুরো শরীরজুড়ে নৌকা প্রতীক এঁকেছেন, কেউবা ছোট ছোট রঙিন নৌকা বানিয়ে মাথায় নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। শেখ হাসিনার পক্ষে ‘উন্নয়নের মার্কা নৌকা’ বলে স্লোগান দিচ্ছেন।

জাতীয়

বিএনপি সরকার পতনের অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বিএনপি সরকার পতনের অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে । সরকার পতনের একদফা দাবিতে আজ বুধবার থেকে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বিএনপি। আজ দুপুরে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, যে অবৈধ সরকার জনমতের বিরুদ্ধে নির্বাচনের নামে তামাশা করতে যাচ্ছে- সেই সরকারকে সহযোগিতা করা কোনো দেশপ্রেমিক গণতন্ত্রকামী নাগরিকের জন্য উচিত হতে পারে না বলেই আমরা আজ এই মুহূর্ত থেকে এই অবৈধ সরকারকে অসহযোগিতা করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহবান জানাচ্ছি। এই লক্ষ্যে- ৭ জানুয়ারি ডামি ভোটের খেলা বর্জন করুন। ভোট গ্রহণে নিযুক্ত কর্মকর্তা কর্মচারীগণ দায়িত্ব পালনে বিরত থাকুন। সরকারকে সকল প্রকার ট্যাক্স, খাজনা, ইউটিলিটি বিল ও অন্যান্য প্রদেয় স্থগিত রাখুন। ব্যাংকগুলো সরকারের লুটপাটের অন্যতম মাধ্যম বিধায় ব্যাংকে লেনদেন যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। রাজনৈতিক নেতাকর্মীসহ মিথ্যা ও গায়েবী মামলায় অভিযুক্তগণ মামলায় হাজিরা দেয়া থেকে বিরত থাকুন। জনগণের আন্দোলনের ফলে দেশে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা হলে এইসব অসহযোগিতায় ক্ষতিগ্রস্তগণ যথাযথ ক্ষতিপূরণ এবং সুবিচার পাবেন। স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে আমাদের অনেক সাথী জীবন দিয়েছেন, গুম হয়েছেন, বন্দী ও আহত হয়েছেন। কিন্তু গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লড়াই চলছে ও চলবে। জয় অবশ্যম্ভাবী ও অনিবার্য সুনিশ্চিত।  

জাতীয়

জাপার চেয়ে বিরোধী দলের দৌড়ে এগিয়ে ঈগল পার্টি।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- জাপার চেয়ে বিরোধী দলের দৌড়ে এগিয়ে ঈগল পার্টি। জাতীয় পার্টির চেয়ে বিরোধী দল হওয়ার দৌড়ে অনেকটা এগিয়ে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্ররা বলে মনে করছেন স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ঈগল নিয়ে যেসব প্রার্থীরা স্বতন্ত্র হয়েছেন বাস্তবে তারা তো স্বতন্ত্র নয় তারা আওয়ামী লীগের বড় নেতা। এখন আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে ২৬টি আসনে ছাড় দিলেও ভোটের মাঠে আওয়মী লীগের দলীয় মানুষজন কেন লাঙ্গলকে ভোট দেবে? তারা আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকা না থাকলে তাদের দলীয় নেতাদের ঈগলে ভোট দেবেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে শিক্ষাবিদ ও স্হানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ তিনি বলেন, এবার জোড় সম্ভাবনা রয়েছে ঈগল লাঙলের চেয়ে বেশি আসন পাবে এবং সংসদে তারা বিরোধী দলের আসনে বসবে। এ ক্ষেত্রে তারা নিজেরা একত্রিত হয়ে ঈগল পার্টি নামে একটা দল গঠন করতে পারে অথবা সংসদে থাকা যেকোনো একটা দলের সঙ্গে জোট গঠন করতে পারে। বাংলাদেশের রাজনীতি ও সরকার ব্যবস্থা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, এবারের নির্বাচন কিন্ত ৭৩ এর নির্বাচনের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। সেবার আতাউর রহমান খানের বাংলাদেশ জাতীয় লীগ মাত্র ১টি আসন পেয়েছিল। কিন্ত দল এবং ব্যক্তি পরিচয়ের কারণে আতাউর রহমান খানকে বিরোধী দলীয় নেতা এবং  বাংলাদেশ জাতীয় লীগকে বিরোধী দলের মর্যাদা দেওয়ার দাবি ওঠে কিন্ত স্পিকার এবং বঙ্গবন্ধু সরকার তাতে রাজি হননি ফলে সেই সংসদে কোনো বিরোধী দল ছিল না কিন্ত কার্যত বিরোধী দলে ছিল ৫ আসনের স্বতন্ত্র এমপিরা। বিরোধী দলে জাপা কিংবা আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্ররা যেই বসুক না কেন তাতে তাদের চরিত্রের কোনো রকমভেদ হবে না। কেননা তারা তো মূলত আওয়ামী লীগের বি টিম। তোফায়েল আহমেদ বলেন, গত ১০ বছর ধরে দেশের গণতন্ত্রের যে দুরবস্থা তার পেছনে আওয়ামী লীগের পর জাতীয় পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) এবং ওয়ার্কাস পার্টির দায় সবচেয়ে বেশি। যে রাশেদ খান মেননের পাকিস্তান আমলে ছাত্রনেতা হিসেবে ভূমিকা ছিল স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনীতিতেও বড় ভূমিকা ছিল গত দুই সংসদে তার যে বিতর্কিত আর নীরব ভূমিকা ছিল তাতে সব মলিন হয়ে গেছে। একটা সময় হাসানুল ইনুর ও ভালো ভূমিকা ছিল কিন্ত ডিগবাজির রাজনীতির বাইরে যে কেউ নয় তা তো এখন চোখের সামনেই দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেন, এ দু’জন হয়তো এমপি হয়েছেন, মন্ত্রী হয়েছেন কিন্ত রাজনীতিতে তাদের অর্জন কী? মানুষ তো এখন তাদের অপবাদ দেয়। আমাদের দেশের রাজনীতিতে এখন সংসদ সদস্যদের অর্জন কী। আপনি হয়তো বলতে পারেন বিএনপি সংসদে থাকলেই কী সব সমাধান হয়ে যেত? উত্তর হচ্ছে হয়তোবা না, কিন্ত বিএনপি থাকলে আওয়ামী লীগের ভালো করার, জবাবদিহিতা দেওয়ার একটা তাড়না থাকতো যা গণতন্ত্রের জন্য ইতিবাচক। ১৯৮৮ সালের ৩ মার্চ চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর আ স ম আব্দুর রবকে দিয়ে সম্মিলিত বিরোধী দল গঠন করেন  এ দেশে প্রথম গৃহপালিত বিরোধী দল তৈরি করেছিলেন জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ। এরপর গত দুই মেয়াদে তার প্রতিষ্ঠিত জাতীয় পার্টিই এখন গৃহপালিত বিরোধী দল হয়ে আছে বলে মনে করেন তোফায়েল আহমেদ।

জাতীয়

মানুষ পোড়ানোর অধিকার কোনো রাজনৈতিক দলের নেই– টি আই বি।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- মানুষ পোড়ানোর অধিকার কোনো রাজনৈতিক দলের নেই– টি আই বি। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন বা আন্দোলনের নামে মানুষ পোড়ানোর অধিকার কোনো রাজনৈতিক দলের নেই। আন্দোলনের মধ্যে এসব ধারাবাহিক নৃশংসতার দায় আন্দোলনরত দলগুলো এড়াতে পারে না। আবার, এর পেছনে সরকারি মদদ রয়েছে বলে অভিযোগ মিথ্যা হলে, তা প্রমাণের দায়িত্ব সরকার ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ট্রেনের তিনটি বগিতে আগুনের ঘটনায় চারজনের মৃত্যুর পর এক বিবৃতিতে মঙ্গলবার একথা বলেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একইভাবে রাজনৈতিক মহলকে বিবেকহীন রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট ও জীবননাশের রাজনীতি থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা গেছে, তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের তিনটি বগিতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে মা, শিশুসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন বিষয় হিসাবে দেখার সুযোগ নেই। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে এর আগে গণপরিবহণে আগুন, ট্রেনের লাইন কেটে ফেলার মতো এসব ঘটনা ঘটেছে। এটি কোনোভাবেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, ভোটের অধিকারের দাবিতে আন্দোলন হিসাবে বিবেচিত হতে পারে না। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘মানুষ পুড়িয়ে কীসের রাজনীতি? ক্ষমতা কি মানুষের জীবনের থেকে বেশি মূল্যবান? মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতির অধিকার কোনো রাজনৈতিক দলের নেই।’ বলপ্রয়োগ ও সহিংসতাকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে স্বাভাবিকতায় পরিণত করা হয়েছে। তিনি বলেন, মানুষকে জিম্মি, অনেক ক্ষেত্রে লাশকে সিঁড়ি হিসাবে ব্যবহার করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল বা দলীয় এজেন্ডা হাসিল দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। দুই রাজনৈতিক প্রভাব বলয়ের সব মহলের কাছে দাবি, নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠ গরম বা দখলের নামে মানুষের জীবননাশের রাজনীতি থেকে বের হয়ে আসুন। অগণতান্ত্রিক শক্তির বিকাশের পথ থেকে সরে আসুন।’ টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘চলমান আন্দোলনের মধ্যে এসব ধারাবাহিক নৃশংসতার দায় আন্দোলনরত দলগুলো এড়াতে পারে না। আবার, এর পেছনে সরকারি মদদ রয়েছে বলে অভিযোগ মিথ্যা হলে, তা প্রমাণের দায়িত্ব সরকারের ও সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের। আমরা সত্যিকারের অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। নৃশংসতার সুযোগ সন্ধানী রাজনীতি জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা বা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি আদায়ের পথ হতে পারে না। অন্যদিকে সহিংসতা প্রতিরোধের নামে বলপ্রয়োগ, সংগঠনের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করা, ঢালাও ধরপাকড়, বিনা বিচারে মানুষ জেল খাটবে, তা-ও কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা ‘সহিংসতা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ চাই। সহিংসতার বিচার চাই। কিন্তু বিচার নিয়ে রাজনীতি দেখতে চাই না।’

Scroll to Top