ডিসেম্বর ১৯, ২০২৩

জাতীয়

আমরা তো রাজনীতি করি না, স্ত্রী-সন্তানকে কেন পুড়িয়ে মারা হলো?

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বাকরুদ্ধ মিজানের প্রশ্ন? আমরা তো রাজনীতি করি না, স্ত্রী-সন্তানকে কেন পুড়িয়ে মারা হলো? দুই সন্তান নিয়ে গত ৩ ডিসেম্বর গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনায় যান নাদিরা আক্তার পপি (৩৫)। সঙ্গে গিয়েছিলেন নাদিরার ভাই হাবিবুর রহমান (২০)। ছুটি কাটিয়ে ঢাকায় ফিরতে গতকাল সোমবার রাতে ওঠেন মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে। তবে কে জানতো, এই যাত্রা হবে তাদের অন্তিম যাত্রা। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোর পাঁচটার পরে রাজধানীর তেজগাঁও স্টেশনে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ওই আগুনে পুড়ে মারা যান নাদিরা আক্তার পপি ও তার তিন বছরের শিশুসন্তান ইয়াসিন। এ ঘটনায় আরও দুজন নিহত হয়েছেন। নিহত ওই দুই পুরুষের পরিচয় এখনো শনাক্ত হয়নি। তিন বছরের শিশু সন্তানকে বুকে আঁকড়ে ধরেই পুড়ে অঙ্গার হয়েছেন নাদিরা আক্তার পপি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্ত্রী-সন্তানের এমন মরদেহ দেখে বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন পপির স্বামী মিজানুর রহমান। চোখ মুছতে মুছতে তিনি বলছিলেন, ‘কে জানতো এভাবে আমার স্ত্রী-সন্তান আগুনে পুড়ে মরবে। আমরাতো রাজনীতি করি না, রজনীতির খোঁজও রাখি না। কিন্তু কেন আমার স্ত্রী-সন্তানকে পুড়িয়ে মারা হলো? এর জবাব কে দেবে? কার কাছে বিচার চাইবো?’

জাতীয়

রাজধানীর তেজগাঁও ষ্টেশনে মোহনগন্জ এক্সপ্রেসে আগুন চারজন নিহত।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- রাজধানীর তেজগাঁও ষ্টেশনে মোহনগন্জ এক্সপ্রেসে আগুন চারজন নিহত। রাজধানীর তেজগাঁও স্টেশনে ঢাকাগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন লেগেছে। এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন চারজন। তারা সবাই রেলের যাত্রী ছিলেন। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোর ৫টা ৫ মিনিটে আগুনের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের পাঁচ বগি লাইনচ্যুত, নিহত এক নিহতদের মধ্যে দুজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- নাদিরা আক্তার পপি ((৩৫) ও তার তিন বছরের শিশুসন্তান ইয়াসিন। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স নিয়ন্ত্রণকক্ষের কর্তব্যরত কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি নেত্রকোনা থেকে ছেড়ে আসে। এটি তেজগাঁও স্টেশন ছেড়ে চলা শুরু করতেই আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট গিয়ে ৫টা ২৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ট্রেনের বগিতে দুর্বৃত্তদের আগুন তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় আমরা এখন পর্যন্ত চারজন নিহতের খবর পেয়েছি। তারা সবাই রেলের যাত্রী ছিলেন।

জাতীয়

আগামী ২০ ডিসেম্বর বিএনপি নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবে।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আগামী ২০ ডিসেম্বর বিএনপি নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবে। চলমান একদফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে বুধবার (২০ ডিসেম্বর) নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবে বিএনপি। হরতাল-অবরোধের পাশাপাশি এবার সরকারের ‘একতরফা’ ভোট প্রত্যাখ্যানে উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি নিয়ে আসছে দলটি। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‌‘বুধবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান চলমান আন্দোলনের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দেবেন।’ রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘গোটাজাতি এক ভয়ংকর অন্ধকার জঙ্গলে বাস করছে। যেখানে চারিদিকে ঘিরে আছে ভয় ও আতঙ্কের ব্যারিকেড। এ ভয় ও আতঙ্ক তৈরি করাই হয়েছে একদলীয় নির্বাচনকে সুসম্পন্ন করা, ভোটারবিহীন নির্বাচনকে নিশ্চিত করা। এ ব্যাপারে শেখ হাসিনা একেবারেই বেপরোয়া।’ ‘উনি ভাবছেন রাশিয়া আছে, ভারত আছে … আমার আবার ভয় কিসের? রাশিয়া ও ভারত আমাকে সমর্থন দিলে আমার কিসের ভোট সেন্টার লাগবে, কিসের ভোটার লাগবে, কিসের স্বচ্ছ নির্বাচন লাগবে?’ রিজভী বলেন, ‘তাদের (রাশিয়া ও ভারত) কর্তা ব্যক্তিরা মাঝে-মধ্যে স্টেটমেন্ট দিচ্ছেন। তা তারা দেবেনই। বাংলাদেশে গণতন্ত্র থাকুক বা না থাকুক… এতে তো ভারতের কোনো কিছু যায় আসে না, আর রাশিয়ার তো মোটেও যায় আসে না। নিজের দেশে গণতন্ত্রের বিশাল ঘাটতি একনায়তন্ত্রের শাসন। তাদের সমর্থনে শেখ হাসিনার আজকে পোয়া-বারো।’ গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ২২৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার এবং আটটি মামলায় ৭৯৫ জনের অধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে বলে দাবি করেন রিজভী।

জাতীয়

ট্রেনে লাগানো আগুনে মা-ছেলের করুণ মৃত্যু।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ট্রেনে লাগানো আগুনে মা-ছেলের করুণ মৃত্যু। মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও তিন বছরের শিশু সন্তান ইয়াসিনকে বুকে জড়িয়ে পুড়ে মারা গেলেন নাদিরা আক্তার পপি (৩৫)। আগুনের হাত থেকে বাঁচতে ট্রেন থেকে নামার চেষ্টা করেও ভিড় ও ধোঁয়ার কারণে নামতে পারেননি মা-ছেলে। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোরে রাজধানীর তেজগাঁও রেলস্টেশনে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে পুড়ে মারা যান নারী-শিশুসহ চারজন। তাদের মধ্যে আছেন পপি ও তার ছেলে। ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে নিহত পপির ভাই হাবিবুর রহমান বলেন, নেত্রকোণা থেকে ঢাকায় ফিরছিলাম একই পরিবারের ৯ জন। সোমবার রাতে ট্রেনে উঠি। বিমানবন্দর স্টেশনে আমাদের মধ্যে ৫ জন নেমে যান। ট্রেন বিমানবন্দর থেকে কমলাপুরের উদ্দেশে রওনা করে। আমরা ‘জ’ বগিতে ছিলাম। হঠাৎ ধোঁয়ায় ভরে যায় কামরা। ‘আগুন আগুন’ বলে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু হয় চারদিকে। তেজগাঁও স্টেশনে ট্রেন থামতে থামতে সবাই হুড়োহুড়ি করে নেমে যান। এর মধ্যে আমার বড় ভাগিনা মাহিমকে নিয়ে আমিও নেমে যাই। কিন্তু আমার বড় বোন নাদিরা আক্তার পপি ও তিন বছরের ছোট ভাগিনা ইয়াসিন বের হতে পারেনি। তেজগাঁওয়ে রেল দুর্ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি হঠাৎ লাইন থেকে চাকা পড়ে গেল, ঝাঁকুনি খেয়েও ব্রেক কষলাম ট্রেনে আগুন : নিহতদের মধ্যে ২ জনের পরিচয় মিলেছে তিনি জানান, আগুন নেভানোর পর চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার মধ্যে আমার বোন ও ভাগনে ছিল। যখন আমার বোনের মরদেহ উদ্ধার করা হয় তখনও তার বুকে জড়ানো ছিল আমার ভাগনে। দুজন একসঙ্গে পুড়ে মারা গেছে। এসব কথা বলছিলেন আর কান্নায় ভেঙে পড়ছিলেন হাবিবুর রহমান। নিহত পপির স্বামী মিজানুর রহমান জানান, আমি পেশায় হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী। নেত্রকোণা গ্রামের বাড়িতে ঘুরতে গিয়েছিল আমার পরিবার। ব্যবসার কাজের জন্য আমার যাওয়া হয়নি তাদের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমার শ্যালক হাবিব ফোন দিয়ে জানায় ট্রেনের তিনটি বগিতে আগুন দেওয়া হয়েছে। শ্যালক ও আমার বড় ছেলে নামতে পারলেও ধোঁয়ার কারণে আটকা পড়ে আমার স্ত্রী ও ছোট ছেলে। আমি ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে দেখি আমার শিশু সন্তানকে কোলে জড়িয়ে ধরে আছে স্ত্রী। তাদের দুজনের শরীর পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে। চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, আমি কী অপরাধ করেছি? কী থেকে কী হয়ে গেল… কিছুই বুঝতে পারছি না। আল্লাহ, আমার তো সব শেষ হয়ে গেল। আমি কার কাছে বিচার দেব, আমার ছেলে আর স্ত্রীকে তো আর ফিরে পাব না..

জাতীয়

২০ শে ডিসেম্বর বুধবার সিলেট থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন শেখ হাসিনা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ২০ শে ডিসেম্বর বুধবার সিলেট থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন শেখ হাসিনা। সিলেট থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সিলেটের শাহজালাল (রহ.) ও হজরত শাহপরানের (রহ.) মাজার জিয়ারত শেষে জনসভার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে নির্বাচনী প্রচারণা। সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে আয়োজিত প্রথম নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এরমধ্যে সমাবেশের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সর্বশেষ ২০২২ সালের ২১ জুন বন্যাকবলিত সিলেটের মানুষের দুঃখ-দুর্দশার করুণ চিত্র দেখতে হেলিকপ্টারযোগে এই বিভাগে আসেন তিনি। এদিকে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের নির্বাচনী জনসভাস্থল পরিদর্শন করেছেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় নেতারা জনসভাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা জনসভা মঞ্চ ও মাঠের সার্বিক কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করেন ও স্থানীয় নেতাদের সাথে কথা বলেন। জনসভাস্থল পরিদর্শন শেষে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক সব প্রস্তুতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, সিলেট আমাদের পুণ্যভূমি, এই পুণ্যভূমি থেকেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিবার নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেট আসছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় সিলেটবাসীর প্রতি আন্তরিক। তার কাছে কিছু চাইতে হয় না, চাওয়ার আগেই তিনি দিয়ে থাকেন। সিলেটবাসীকেও তিনি অনেক কিছু দিয়েছেন। সিলেটসহ পুরো দেশকে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে তিনি ব্যাপক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সিলেটবাসী সাথে থাকবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন জাহাঙ্গীর কবির নানক। বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা সফলে সিলেটবাসীর সহযোগিতা কামনা করে নানক বলেন, আগামীকালকে আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা জনসমুদ্রে রূপ নেবে। এ জনসভার মধ্য দিয়ে প্রমাণ হবে এবারও সিলেটের সব কয়টি আসন সিলেটবাসী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দেবে। এ সময় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের সাথে উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযুদ্ধা মাসুক উদ্দিন, জেলার সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীসহ সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা।

সাম্প্রতিক

সিলেটের ১৯ আসনে কে কোন প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সিলেটের ১৯ আসনে কে কোন প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সোমবার দিনভর স্ব স্ব জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সিলেটের ৬টি, সুনামগঞ্জের ৫টি, হবিগঞ্জের ৪টি, মৌলভীবাজারের ৪টি আসনে প্রতীক বরাদ্দ দেন। প্রতীক বরাদ্দের সাথে সাথেই নগরীর বিভিন্ন স্থানে প্রার্থীদের পক্ষ থেকে ব্যানার টানানো শুরু হয়েছে। সোমবার বিকেল থেকেই আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় নামছেন প্রার্থীগণ। সিলেটের ৬টি আসন — সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসানের কার্যালয়ে প্রতীক বরাদ্দের কার্যক্রম শুরু হয়। পরে প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। সিলেটের ৬টি আসনে যে প্রার্থী পেলেন যে প্রতীক– সিলেট-১ (সিটি কর্পোরেশন ও সদর) — আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং বর্তমান সংসদ সদস্য– পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন পেয়েছেন নৌকা প্রতীক। সম্মিলিত মুক্তিজোটের প্রার্থী আব্দুল বাসিত ছড়ি। এনপিপির প্রার্থী ইউসুফ আহমদ আম। ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী ফয়জুল হক মিনার এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মো. সোহেল আহমদ চৌধুরী পেয়েছেন ডাব প্রতীক। সিলেট-২ (বিশ্বনাথ- ওসমানীনগর) :- আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিকুর রহমান চৌধুরী পেয়েছেন নৌকা। গণফোরামের প্রার্থী ও বর্তমান এমপি মোকাব্বির খান উদীয়মান সূর্য। জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইয়াহইয়া চৌধুরী লাঙ্গল। তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুর রব সোনালী আঁশ। বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মো. জহির ডাব এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)’র প্রার্থী মো. মনোয়ার হোসাইন পেয়েছেন আম প্রতীক। সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা-ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ) — আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান পেয়েছেন নৌকা। জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতিকুর রহমান লাঙল। বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী শেখ জাহেদুর রহমান (মাসুম) মোমবাতি প্রতীক। ইসলামী ঐক্যাজোটের প্রার্থী মো.মইনুল ইসলাম মিনার। ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)’র প্রার্থী আনোয়ার হোসেন আফরোজ আম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল পেয়েছেন ট্রাক্টর প্রতীক। সিলেট-৪ (জৈন্তাপুর-গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ) — আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান এমপি ইমরান আহমদ পেয়েছেন নৌকা। ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মো. নাজিম উদ্দিন (কামরান) মিনার এবং তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী মো.আবুল হোসেন পেয়েছেন সোনালী আঁশ প্রতীক। সিলেট-৫ (কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ) — আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ পেয়েছেন নৌকা। স্বতন্ত্র প্রার্থী মাওলানা মোহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরী কেতলি। স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা ডঃ আহমদ আল কবির ট্রাক্টর। তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী কুতুব উদ্দীন আহমদ শিকদার সোনালী আঁশ। জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাব্বীর আহমদ লাঙ্গল। বাংলাদেশ কংগ্রেস’র প্রার্থী মো.বদরুল আলম ডাব এবং বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) প্রার্থী মো. খায়রুল ইসলাম পেয়েছেন হাতপাঞ্জা প্রতীক। সিলেট-৬ গোলাপ গঞ্জ ও বিয়ানীবাজার) — আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সাংসদ নুরুল ইসলাম নাহিদ পেয়েছেন নৌকা। বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের প্রার্থী আতাউর রহমান (আতা) ছড়ি প্রতীক। জাতীয় পার্টির প্রার্থী সেলিম উদ্দিন লাঙ্গল। তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী শমসের মবিন চৌধুরী সোনালী আঁশ। ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী সাদিকুর রহমান মিনার এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সরওয়ার হোসেন পেয়েছেন ঈগল প্রতীক। সুনামগঞ্জের ৫টি আসন : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জের ৫টি আসনে প্রতীক বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। সোমবার সকালে সুনামগঞ্জ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে থেকে তাদের এই প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। সুনামগঞ্জ-১ ( তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা ও মধ্যনগর) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট রনজিত সরকার (নৌকা) প্রতীক, স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন (কেটলি) প্রতীক, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সেলিম আহমদ (ঈগল) প্রতীক, বাংলাদেশ কংগ্রেসের নবাব সালেহ আহমদ (ডাব) প্রতীক, জাতীয় পার্টির মো. আব্দুল মন্নান তালুকদার (লাঙ্গল) প্রতীক, তৃণমূল বিএনপির মো. আশরাফ আলী (সোনালী আশঁ) প্রতীক, গণফ্রন্ট’র মো. জাহানুর রশিদ (মাছ) প্রতীক, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি)’র মো. হারিছ মিয়া (একতারা) প্রতীক পেয়েছেন। সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত চৌধুরী আব্দুল্লা আল মাহমুদ (নৌকা) প্রতীক, মনোনয়ন বঞ্চিত বর্তমান সাংসদ ড. জয়া সেন গুপ্তা (কাচিঁ) প্রতীক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সচিব মো. মিজানুর রহমান (ঈগল) প্রতীক পেয়েছেন। সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর-শান্তিগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত বর্তমান সাংসদ এম. এ মান্নান (নৌকা) প্রতীক, তৃণমূল বিএনপি’র মোহাম্মদ শাহীনুর পাশা চৌধুরী (সোনালী আশঁ) প্রতীক, জাতীয় পার্টির তৌফিক আলী (লাঙ্গল) প্রতীক, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির তালুকদার মো. মকবুল হোসেন (কাঠাঁল) প্রতীক পেয়েছেন।॥ সুনামগঞ্জ-৪ (সদর-বিশ্বম্ভরপুর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ সাদিক (নৌকা) প্রতীক, জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমান (লাঙ্গল) প্রতীক, মনোনয়ন বঞ্চিত মো. এনামুল কবির ইমন (ঈগল) প্রতীক, মো. মোবারক হোসেন (কাচিঁ) প্রতীক ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মোহাম্মদ দিলোয়ার ‘আম’ প্রতীক পেয়েছেন। সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক-দোয়ারাবাজার) আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত মহিবুর রহমান মানিক ‘নৌকা’ প্রতীক, মনোনয়ন বঞ্চিত শামিম আহমদ চৌধুরী ‘ঈগল’ প্রতীক পেয়েছেন। প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল রোববার। সোমবার প্রতীক পাওয়ার পর থেকে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে আনুষ্ঠানিক প্রচারনা চালাতে শুরু করেছেন প্রার্থীরা। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জেলার পাঁচটি আসনে ২৯ প্রার্থীকে বিভিন্ন প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। হবিগঞ্জের ৪টি আসন : হবিগঞ্জ জেলার ৪টি আসনে ৩১ প্রার্থীর মধ্যে উৎসব মুখর পরিবেশে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সোমবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত হবিগঞ্জের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক দেবী চন্দ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেন। এর মধ্যে হবিগঞ্জ -১ আসনে ৫ জন, হবিগঞ্জ-২ আসনে ৯ জন, হবিগঞ্জ-৩ আসনে ৯ জন এবং হবিগঞ্জ ৪ আসনে ৮ জন প্রার্থী রয়েছেন। হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি কেয়া চৌধুরী (ঈগল), জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী সাবেক এমপি আব্দুল মুনিম চৌধুরী বাবু (লাঙ্গল), স্বতন্ত্র প্রার্থী গাজী মোহাম্মদ শাহেদ (ট্রাক), ইসলামি ঐক্যজোট বাংলাদেশের মোস্তাক আহমেদ ফারহানী (মিনার), কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের মো: নুরুল হক (গামছা) প্রতিক পেয়েছেন। হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মজিদ খান (ঈগল), জাতীয় পার্টির দলীয় প্রার্থী শংকর পাল (লাঙ্গল), কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের মনমোহন দেবনাথ (গামছা), ইসলামী ঐক্যজোটের শেখ হিফজুর রহমান (মিনার), তৃণমূল বিএনপির খাইরুল আলম (সোনালী আশঁ), বিএনএম এর এসএএম সোহাগ (নোঙ্গর), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশর মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ (চেয়ার) ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো: জিয়াউর রশিদ (ডাব) প্রতিক পেয়েছেন। হবিগঞ্জ-৩ (সদর-লাখাই ও শায়েস্তগঞ্জ) আসনে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মো: আবু জাহির (নৌকা), জাতীয় পার্টির দলীয় প্রার্থী এম এ মুমিন চৌধুরী বুলবুল (লাঙ্গল), বিএনএম এর মো: বদরুল আলম সিদ্দিকী (নোঙ্গর), বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মো: আদম আলী (ফুলের মালা), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো: আব্দুল কাদির (আম), জাকের পার্টির আনসারুল হক (গোলাপ ফুল), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মো: আবদুল ওয়াহেদ (চেয়ার), বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো: নোমান হাসান (ডাব), মুক্তিজোট (জেডিপি) এর মো: শাহিনুর রহমান (ছড়ি) প্রতিক পেয়েছেন। হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত দলীয় প্রার্থী বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো: মাহবুব আলী (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন (ঈগল), জাতীয় পার্টির দলীয় প্রার্থী আহাদ উদ্দিন চৌধুরী (লাঙ্গল), বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো: আল আমিন (ডাব), ইসলামি ঐক্যজোট বাংলাদেশের আবু ছালেহ (মিনার), বিএনএম এর মো: মুখলেছুর রহমান (নোঙ্গর), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মো: আব্দুল মুমিন (চেয়ার) ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক ঐকজোটের

জাতীয়

সিলেট -৬ আসন প্রতীক বরাদ্দ হয়েছে।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সিলেট -৬ আসন প্রতীক বরাদ্দ হয়েছে। আগামী ৭ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ হয়েছে। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে সিলেটের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা শেখ রাসেল হাসান প্রতীক বরাদ্দ দেন। প্রতীক পাওয়ার পর থেকেই প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন। সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ (নৌকা), তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী শমসের মবিন চৌধুরী (সোনালী আঁশ), জাতীয় পার্টির প্রার্থী আলহাজ্ব সেলিম উদ্দিন (লাঙল), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের প্রার্থী আতাউর রহমান আতা (ছড়ি), ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী সাদিকুর রহমান (মিনার), এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সরওয়ার হোসেন পেয়েছেন ঈগল প্রতীক।

জাতীয়

দুই কোটি টাকার মানহানি মামলা করলেন সিলেটি নাট্যাভিনেতা বেলাল আহমেদ মুরাদ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- দুই কোটি টাকার মানহানি মামলা করলেন সিলেটি নাট্যাভিনেতা বেলাল আহমেদ মুরাদ। দুই কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মানহানি মামলা করেছেন সিলেটি আঞ্চলিক নাটকের অভিনেতা ও সিলেট সদর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের ‘চাকরিচ্যুত’ নকলনবিশ বেলাল আহমদ মুরাদ। অন্যায় ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাকে জোরপূর্বক চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি মামলায় উল্লেখ করেছেন। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে তিনি সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (১ম) মো. সুমন ভূইয়ার আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা আমলে নিয়ে বিজ্ঞ বিচারক সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলায় সিলেট জেলা রেজিস্ট্রার মুনসী মোকলেছুর রহমান, সাবেক সাব-রেজিস্ট্রার (বর্তমানে ঢাকা সদর রেকর্ড রুমে কর্মরত) মাহবুবুর রহমান, অফিস সহকারী আব্দুল মালিক, মোহরার আতিকুর রহমানসহ আরও দুজনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় মুরাদ উল্লেখ করেন- তিনি ২০০৫ সালে সিলেট সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে নকলনবিশ হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিনি চলতি বছরের ১০ মে মাসে নকলনবিশ এসোসিয়েশন সিলেট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান। তিনি অন্যায় ও ঘুষবাণিজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হওয়ায় ও তার কাজে ঈর্ষান্বিত হয়ে আতিকুর রহমান সিন্ডিকেট তাকে চাকরিচ্যুত করতে উঠেপড়ে লাগে। মুরাদ অফিসে নিয়মিত উপস্থিত থাকলেও তাকে বালাম বই সরবরাহ করা হয় না। কিন্তু পরবর্তীতে দেখানো হয় তিনি কাজ করেননি। মামলায় তিনি আরও উল্লেখ করেন- নকলনবিশরা কাজ অনুপাতে সম্মানি পান। কাজ না করলে সম্মানি পান না। এতে করে সরকারের কোনো প্রকার আর্থিক ক্ষতির সুযোগ নেই। অথচ ফরিদুর রহমান নামের পরিচয়-ঠিকানাহীন এক উড়োচিঠির সূত্র ধরে তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। যদিও তিনি পরবর্তীতে তদন্ত কমিটির কাছে বিস্তারিত তুলে ধরেন। তবু উদ্দ্যেশ্যমূলকভাবে মুরাদকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে রাখা হয়েছে। সর্বোপরি সেই উড়োচিঠির তদন্তের ফলাফল অফিসে আসার আগেই বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে পৌঁছে দিয়ে তা প্রকাশের ব্যবস্থা করে একটি কুচক্রি মহল বেলাল আহমেদ মুরাদকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করেছেন। মুরাদ বলেন- আতিক সিন্ডিকেটের কাছে সিলেট সদর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে কর্মরত অনেক নারী কর্মরত ও সাধারণ নকলনবিশ জিম্মি। কোনো অন্যায়ের প্রতিবাদ করলেই ওদেরকে নানাভাবে হয়রানি ও বিভিন্ন অভিযোগ দিয়ে শায়েস্তা করে ওই সিন্ডিকেটের অনুগত করা হয়। আর বেলাল আহমেদ মুরাদকে অনুগত করতে না পেরেই তারা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দায়িত্ব থেকে জোরপূর্বক অব্যাহতি দিয়েছে। এর আগে ১ নভেম্বর এ চক্রের বিরুদ্ধে নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেও প্রতিকার পাননি বলে জানান বেলাল আহমদ মুরাদ জানান।

জাতীয়

সিলেট-৩ আসনে ডা. দুলালের আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সিলেট-৩ আসনে ডা. দুলালের আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৩ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের মহাসচিব- আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল প্রতীক পেয়েই আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় সিলেট জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসানের কার্যালয়ে ডা. দুলালের চাহিদার ভিত্তিতে তাঁকে ট্রাক গাড়ি প্রতীক বরাদ্ধ করা হয়। প্রতীক পাওয়ার পর ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল তাঁর নিজ উপজেলা বালাগঞ্জের দেওয়ানবাজার ইউনিয়নের মোরারবাজারে গিয়ে ব্যবসায়ী ও স্থানীয় জনসাধারণের কাছে গণসংযোগ করে দোয়া চান এবং ট্রাক প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন। পরে ডা. দুলাল ফেঞ্চুগঞ্জ বাজারে গণসংযোগ করেন ও স্থানীয় ছত্রিশ-পিটাইটিকর এলাকায় স্থানীয় জনসাধারণের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এসময় ডা. দুলাল বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৩ আসনে আমি স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী। এ নির্বাচনে প্রার্থীতা করার জন্য আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলাম। দল আমাকে মনোনয়ন না দিলে দলীয় প্রধানের একটি নির্দেশনাকে কেন্দ্র করে ও আমার নির্বাচনী এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণের চাপে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হই৷ এসময় উপস্থিত ছিলেন ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলালের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল বারী, সদস্যসচিব সালেহ আহমদ, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী দেবাশিষ বাসু, আকিব চৌধুরী, সদস্য নজমুল ইসলাম, শেখর দাস, ঘিলাছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রফি মিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা আছকির আলী, আব্দুল আহমদ, রাসেল আহমদ চৌধুরী, সাবেক ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিন, সাবেক ছাত্রনেতা রনি হাসান, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন, ফেঞ্চুগঞ্জ সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জুনেদ আহমদ মাল্লুম, উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তাহসান আহমদ সুনাম, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য সেহান উদ্দিন সেজু, জুবায়ের আহমদ, সারওয়ার সিদ্দিক ও রিবুল আহমদ প্রমুখ।

জাতীয়

নির্বাচন বানচালে গোপন তৎপরতার বিরুদ্ধে ১৫৪ বিশিষ্টজনের বিবৃতি।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- নির্বাচন বানচালে গোপন তৎপরতার বিরুদ্ধে ১৫৪ বিশিষ্টজনের বিবৃতি। আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচন বানচালে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্র, নাশকতা ও গোপন তৎপরতার বিরুদ্ধে উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ১৫৪ বিশিষ্ট নাগরিক। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন— ইমেরিটাস অধ্যাপক অধ্যাপক ড. বজলুল হক খন্দকার, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ, কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা, অভিনেতা পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, কার্টুনিস্ট শিশির ভট্টাচার্য, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, সাংবাদিক অজয় দাশ গুপ্ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. জিয়া রহমানসহ ১৫৪ শিক্ষক, শিল্পী, সাহিত্যিক ও বিশিষ্ট নাগরিক। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করে দেশে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের জন্য দেশি-বিদেশি মহলের অপতৎপরতায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। অতীতের ন্যায় নির্বাচন বানচালের সব ধরনের অপচেষ্টা মোকাবিলা করে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে সবাইকে এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ জানাই। তফসিল বাতিলের বিবৃতির প্রতিবাদে ৩৮৫ বিশিষ্টজনের পাল্টা বিবৃতি এতে বলা হয়, সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ এবং জনগণের ইস্পাতকঠিন ঐক্যের ফলে ১৯৭১ সালে বিশ্বমানচিত্রে আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পেরেছিলাম। পরিতাপের বিষয় হলো, স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও আমাদেরকে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তির সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে। এই অপশক্তির হাতে আমরা রাষ্ট্রের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হারিয়েছি। মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া সামরিক বাহিনীর অগণিত বীর সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষদের প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী হামলার মাধ্যমে বা গোপন কিলিং মিশনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে ধারাবাহিকভাবে। লাখো প্রাণের আত্মত্যাগ আর মা-বোনদের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত এ দেশের সাধারণ মানুষের ভাগ্য নিয়ে এখনো ছিনিমিনি খেলছে স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ভিত্তি বাঙালি জাতীয়তাবাদ, অসাম্প্রদায়িকতা, গণতন্ত্র এবং সমতা। পাকিস্তানের পরাজিত এই শক্তি সর্বদা মুক্তিযুদ্ধের মৌলচেতনাকে পদদলিত করে অবৈধ পথে ক্ষমতায় এসেছে এবং এখনও আসতে চাইছে। গণতন্ত্রের আবরণ অঙ্গে ধারণের চেষ্টা করলেও এরা এদের আসল চেহারা ঢেকে রাখতে পারেনি। ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে যেভাবে এরা অগ্নিসন্ত্রাস আর ধ্বংসযজ্ঞে লিপ্ত ছিল, ১৫ নভেম্বর ২০২৩ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে একইভাবে গুপ্তঘাতক চক্রের ন্যায় এরা গোপন স্থান থেকে হরতাল অবরোধের নামে সাধারণ মানুষের জানমাল, গণপরিবহন, ট্রেন ইত্যাদির ওপর চোরাগোপ্তা হামলা, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ অব্যাহত রেখেছে। রেললাইন উপড়ে ফেলে, অগ্নিসংযোগ করে দেশের স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে ব্যাহত করে এরা দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করতে চায়। বিদেশি সাহায্যনির্ভরতা থেকে বেরিয়ে বাংলাদেশ যখন অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভরতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, সেই মুহূর্তে বিদেশি শক্তির দোসররা অর্থনীতি ধ্বংসের মরণখেলায় মেতে উঠেছে। যারা নাশকতা করছে, তারা চিহ্নিত অপশক্তি। সরকারের কাছে আহ্বান জানাবো, চিহ্নিত এই দানবদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। নির্বাচন কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে তাদের ওপর অর্পিত সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে দৃঢ়তার পরিচয় দেবেন সেই প্রত্যাশা করি। রাষ্ট্রের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং উন্নয়নবিরোধী যে ষড়যন্ত্র চলছে তা সফল হলে বাংলাদেশ ইরাক, সিরিয়া, লিরিয়া কিংবা আফগানিস্তানের পরিণতি ভোগ করবে। কাজেই দেশি-বিদেশি এসব মহলের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী নাগরিক সমাজ ১৯৭১ সালের ন্যায় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার শপথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে সেই আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা আশা করি, সরকার ও নির্বাচন কমিশন মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় অবাধ ও প্রভাবমুক্ত পরিবেশ সুনিশ্চিত করবে। ভোটারদের প্রতি সনির্বন্ধ আহ্বান— বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনাসহকারে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করুন এবং আপনার পছন্দের সরকার গঠনে ভূমিকা রাখুন।

Scroll to Top