ডিসেম্বর ১৭, ২০২৩

জাতীয়

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল আটটার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে থাকা জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। এরপর কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আবারও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা। এর আগে সকাল ছয়টা ৩৪ মিনিটে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে স্বাধীনতা যুদ্ধে বীর শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদীতে প্রথমে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জাতীয়

বিএনপি রাজধানীতে বিজয় শোভাযাত্রা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বিএনপি রাজধানীতে বিজয় শোভাযাত্রা। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ৫০ দিন পর আজ রাজধানীর নয়াপল্টনে কর্মসূচি করছে বিএনপি। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে বড় জমায়েত করার প্রস্তুতি নিয়েছে দলটি। আত্মগোপন থাকা কিছু নেতা ছাড়া এদিন প্রায় সবাই জড়ো হবেন কার্যালয়ের সামনে। সেখান থেকে মগবাজার পর্যন্ত শোভাযাত্রা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। দলীয় সূত্র জানায়, প্রতিবছরের মতো এবার স্বতঃস্ফূর্তভাবে কর্মসূচি পালনের অনুক‚ল পরিবেশ না থাকলেও আয়োজনে কোনো ঘাটতি রাখেননি দলীয় নেতারা। বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দলবিহীন জাতীয় নির্বাচনের আগে দেশ-বিদেশে নিজেদের অবস্থান জানান দিতে বড় শোডাউনের প্রস্তুতিও চলছে দলটিতে। শোভাযাত্রা কর্মসূচি পালনে এরই মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাছে আবেদনও করেছে বিএনপি। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ নিয়ে টালবাহানা করলেও শেষ পর্যন্ত অনুমতি মিলবে বলে মনে করছেন দলটির নেতারা। গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর নয়াপল্টন এলাকায় আর কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারেনি দলটি। সেদিন থেকে দলের প্রধান কার্যালয়ও রয়েছে বন্ধ। নেতাকর্মীর আর আনাগোনা নেই সেখানে। এক দফার আন্দোলনের অংশ হিসেবে ২৯ অক্টোবর থেকে হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি চলছে দলটির। এ অবস্থার মধ্যেও ঢাকায় আবারও প্রকাশ্য কর্মসূচিকে গুরুত্ব দিয়েছেন দলের হাইকমান্ড। বিএনপি নেতারা জানান, তাদের মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যাওয়ার ৪৩ দিন পর প্রথম প্রকাশ্য কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে আয়োজিত ওই কর্মসূচিতে নেতাকর্মীর উপস্থিতি সাড়া ফেলেছে। এবার শোভাযাত্রায় আরও বেশি লোকসমাগম ঘটবে বলে মনে করছেন দলের নেতাকর্মীরা। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব এজিএম শামসুল হক বলেন, শোভাযাত্রায় হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের ঢল নামবে। সে রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

জাতীয়

বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনায় যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনায় যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার সহধর্মিনী ড. রেবেকা সুলতানা মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আজ বঙ্গভবনে সংবর্ধনার আয়োজন করেন। বাংলাদেশের ৫৩তম বিজয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গভবনের সবুজ লনে আয়োজিত সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানা যোগ দেন। বিকাল ২টা থেকে ৪টা ৩০মি. পর্যন্ত এ অনুষ্ঠানে কয়েক হাজার আমন্ত্রিত অতিথির মধ্যে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, উপদেষ্টা মন্ডলী, বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক, সুপ্রিম কোর্টের বিচারক, তিন বাহিনী প্রধান, সংসদ সদস্য, সিনিয়র রাজনৈতিক নেতা, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের নেতা, শিল্পী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বীরশ্রেষ্ঠ গ্যাল্যান্ট্রি অ্যাওয়ার্ড প্রাপকদের পরিবার এবং বিশিষ্ট নাগরিকরা উপস্থিত ছিলেন। বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের পাশাপাশি সংবাদপত্রের সম্পাদক এবং সাংবাদিক নেতারাও সংবর্ধনায় যোগ দেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ উপলক্ষে একটি কেক কাটেন। তারা আহত মুক্তিযোদ্ধা, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। বায়ান্ন বছর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে জন্ম নেয় বাংলাদেশ। ত্রিশ লাখ শহীদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশ। ১৯৭১ সালের এইদিনে  পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে পূর্ব পাকিস্তান বাংলাদেশে পরিণত হয়। -বাসস

জাতীয়

১৮শে ডিসেম্বর বিএনপি সকাল সন্ধ্যা হরতাল ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :-  ১৮শে ডিসেম্বর বিএনপি সকাল সন্ধ্যা হরতাল । আগামী ১৮ ডিসেম্বর (সোমবার) দেশব্যাপী সর্বাত্মক হরতাল কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বিএনপি। এ নিয়ে গত ২৮ অক্টোবরের পর চতুর্থ দফায় হরতালের কর্মসূচি দিল দলটি। এছাড়া ২৮ অক্টোবরের পর থেকে এখন পর্যন্ত ১১ দফায় ২২ দিন অবরোধের কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। আজ শনিবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ তথ্য জানান। সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে ১৮ ডিসেম্বর সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হরতাল ঘোষণা করছি। ’ উল্লেখ্য, সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচন এবং নেতা-কর্মীদের মুক্তি ও হয়রানি বন্ধের দাবিতে এসব কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোও অভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে।

জাতীয়

বিজয় দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বিজয় দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ৫৩তম বিজয় দিবস উপলক্ষে একটি বিশেষ স্মারক ডাকটিকিট, একটি উদ্বোধনী খাম ও একটি ডাটাকার্ড অবমুক্ত করেছেন। আজ সকালে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেন তিনি। অনুষ্ঠানে একটি বিশেষ সিলমোহর ও ব্যবহার করা হয়। এসময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। এই ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও ডাটা কার্ড ঢাকা জিপিও’র ফিলাটেলিক ব্যুরো থেকে বিক্রি করা হবে এবং পরবর্তীতে সারাদেশের অন্যান্য জিপিও এবং প্রধান পোস্ট অফিসগুলোতেও পাওয়া যাবে। -বাসস

জাতীয়

দেশে জীবিত কতজন মুক্তিযোদ্ধা আছে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় জানালো।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- দেশে জীবিত কতজন মুক্তিযোদ্ধা আছে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় জানালো। এখন দেশে জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ৯৮ হাজার ৫৪১ জন। এরমধ্যে ৯৩ হাজার ৯৮০ জন সাধারণ বীর মুক্তিযোদ্ধা। আর যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা চার হাজার ১০৩ জন এবং জীবিত খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন ৪৫৮ জন। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত গেজেটভুক্ত মোট বীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা দুই লাখ ৩৮ হাজার ৮৪১ জন। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মু. আসাদুজ্জামান বলেন, শুধু জীবিত মুক্তিযোদ্ধারাই বিজয় দিবস ভাতা পেয়ে থাকেন। আমরা কিছুদিন আগে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয় দিবস ভাতা পরিশোধ করেছি। এক্ষেত্রে ৯৩ হাজার ৯৮০ জন সাধারণ মুক্তিযোদ্ধার বিজয় দিবস ভাতা পরিশোধ করা হয়েছে। জনপ্রতি পাঁচ হাজার টাকা হিসেবে ৬৪ জেলায় ৪৬ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ভাতা দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে যুদ্ধাহত ও খেতাবপ্রাপ্ত মিলিয়ে মোট চার হাজার ৫৬১ জনের ভাতা দেওয়া হয়েছে দুই কোটি ২৮ লাখ পাঁচ হাজার টাকা। তিনি আরও বলেন, এ সংখ্যা কমে বাড়ে। কারণ অনেকে মারা যান, আবার যাচাই-বাছাই শেষে কেউ কেউ বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যুক্তও হন। গত বছরের ১৮ মে গণবিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) জানিয়েছে, কাউন্সিলের ৭৯তম সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক, শুধুমাত্র নারী বীর মুক্তিযোদ্ধা (বীরাঙ্গনা) ছাড়া অন্য কোনো ক্যাটাগরির মুক্তিযোদ্ধা গেজেটভুক্তির নতুন আবেদন করার সুযোগ নেই। তবে যেসব আবেদন এরই মধ্যে গৃহীত হয়েছে এবং যাচাই-বাছাই বা আপিল পর্যায়ে রয়েছে, সেসব আবেদন নিষ্পন্ন করার কাজ চলমান থাকবে।

জাতীয়

কুয়েতের আমির শেখ নাওয়াফ মারা গেছেন।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- কুয়েতের আমির শেখ নাওয়াফ মারা গেছেন। কুয়েতের আমির শেখ নওয়াফ আল আহমাদ আল জাবের আল সাবাহ মারা গেছেন।ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন । শনিবার মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। দেশটির আমিরি দিওয়ান এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।  আমিরি দিওয়ান বিষয়ক মন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মুবারক আল সাবাহর বিবৃতি অনুসারে, ২৯ নভেম্বর কুয়েতের আমিরকে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। জরুরি স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। সৎ ভাই শেখ সাবাহ আল-আহমাদ আল-জাবের আল-সাবাহর (৯১) মৃত্যুর পর ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে কুয়েতের আমির হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন শেখ নওয়াফ। তার ভাই যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুবরণ করেছিলেন। কুয়েতের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে কুয়েত রাজ্যের আমির শেখ নাওয়াফ আল-আহমাদ আল-সাবাহ-এর মৃত্যুতে আমরা শোক প্রকাশ করছি। তিনি ২০২১ সালের মার্চ মাসে অনির্দিষ্ট মেডিকেল পরীক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন। কুয়েতের নেতাদের স্বাস্থ্য দেশের জন্য সংবেদনশীল বিষয়। কুয়েতের সার্বভৌম ক্ষমতা শাসক আল সাবাহ পরিবারের হাতেই থাকে। সূত্র: খালিজ টাইমস

জাতীয়

বিজয়ের ৫২ বছর অদম্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বিজয়ের ৫২ বছর অদম্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ। বছর ঘুরে আবার এলো ১৬ ডিসেম্বর। বাঙালির জাতিরাষ্ট্র গঠনের জন্মযুদ্ধে জয়ের দিন। আজ বিজয়ের ৫২তম বার্ষিকী। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে এসেছে বিজয়, এসেছে লাল-সবুজের পতাকা। বিশ্বের হাতে গোনা যে কটি দেশের স্বাধীনতা দিবসের পাশাপাশি বিজয়েরও উৎসব রয়েছে তার একটি বাংলাদেশ। তবে বাঙালির চলার পথ মসৃণ ছিল না; লড়তে হয়েছে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্পের সঙ্গে থেকেই। তারপরও শত বাধা অতিক্রম করে স্মার্ট, উন্নত ও সমৃদ্ধির পথ বেয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এই এগিয়ে যাওয়ার প্রাণশক্তি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজ, গণতন্ত্রের মানসকন্যা, উন্নয়নের জাদুকর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অপ্রতিরোধ্য, অদম্য, সাহসী যাত্রায় ছুটে চলা শেখ হাসিনা কোটি বাঙালির স্বপ্নপূরণে জেগে আছেন পদ্মায়, কর্ণফুলীর তলদেশে, সাগরপাড়ে ট্রেনের ছুটে চলায় কিংবা রাজধানীর মেট্রোরেলে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতে সামরিক আক্রমণের পর শোষণ-বঞ্চনার অবসান ঘটাতে পরদিন অর্থাৎ ২৬ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে স্বাধীনতার জন্য যে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল তা সফল পরিণতি পায় ৯ মাস পর ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে। এদিন ঢাকার তৎকালীন রেসকোর্স (এখন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ময়দানে মুক্তিবাহিনী ও ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় সেনা কমান্ডের যৌথ নেতৃত্বের কাছে আত্মসমর্পণ করেন যুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীকে নেতৃত্ব দেওয়া লেফটেন্যান্ট জেনারেল আমীর আবদুল্লাহ খান নিয়াজী। যাদের রক্তের বিনিময়ে দুই যুগের পাকিস্তানি শাসনের অবসান ঘটেছিল, বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটেছিল বাংলাদেশের, মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের বার্ষিকীতে সেই বীর সন্তানদের স্মরণ করছে জাতি। ’৯০-এ গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তনের পর ’৯৬ সালে ক্ষমতায় আসে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া দল আওয়ামী লীগ। স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী ওই সময় পালন করে আওয়ামী লীগ। ২০২১ সালে বাংলাদেশ পালন করে জন্মের সুবর্ণজয়ন্তী। আর এই উদযাপনও হয় বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের সময়। যার কাণ্ডারি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। উচ্চ প্রবৃদ্ধি, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে ওঠা, দারিদ্র্যের হার কমিয়ে আনা, নারীর ক্ষমতায়নসহ নানা সূচকে অগ্রগতির পর বাংলাদেশের লক্ষ্য এখন উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশের কাতারে পৌঁছানো। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী দিয়েছেন। জাতীয় পর্যায়ে বিজয় দিবস পালনে ঢাকায় ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিনের সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাবেন। এরপর বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা শ্রদ্ধা জানাবেন। বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিক, মুক্তিযুদ্ধে মিত্রবাহিনীর সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণকারী আমন্ত্রিত ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্য এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। আজ সরকারি ছুটির দিন। সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপগুলোতে জাতীয় পতাকা ও অন্যান্য পতাকায় সজ্জিত করা হয়। বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করে। ডাক বিভাগ স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করবে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও উপাসনার আয়োজন করা হয়েছে এবং এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম, হাসপাতাল, জেলখানা, শিশু বিকাশ কেন্দ্রে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হবে। দেশের সব শিশুপার্ক ও জাদুঘরগুলো বিনা টিকিটে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত এবং সিনেমা হলে বিনামূল্যে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী হবে। এছাড়া জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে অনুরূপ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে। এদিকে, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর জাতীয় চিড়িয়াখানায় শিশুরা বিনামূল্যে প্রবেশ করতে পারবে। তাদের টিকেট দেওয়া হলেও কোনো ধরনের চার্জ নেওয়া হবে না। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় শিশুদের বিনামূল্যে প্রবেশের সুযোগ করে দিচ্ছে জাতীয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। অনূর্ধ্ব ১৮ বছর বয়সি শিশু, শিক্ষার্থী, এতিম ও প্রতিবন্ধীদের প্রবেশাধিকার ফ্রি ঘোষণা করা হয়েছে।

জাতীয়

জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা। মহান বিজয় দিবসে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তারা। স্মৃতিসৌধের বেদিতে প্রথমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন; এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল তখন রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। এ সময় বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক, সরকারের পদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে আবারও শ্রদ্ধা জানান বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। এরপর জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় স্মৃতিসৌধ।

Scroll to Top