ডিসেম্বর ১৬, ২০২৩

জাতীয়

লন্ডনে বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্গনের ঘটনার আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত

বিলেতের আয়না :- শ‌হিদুল ইসলাম, বি‌শেষ প্রতি‌নি‌ধি লন্ডনে বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্গনের ঘটনার আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত যুক্তরাজ্য ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন রাইটস অব দ্যা পিপল এর উদ্যোগে গত ১১ই ডিসেম্বর লন্ডনের মাইক্রো বিজনেস সেন্টারে বাংলাদেশে বর্তমান সরকারের দমন-পীড়ন ও নির্যাতনের উপর আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনটির সাধারন সম্পাদক ফয়েজ আহমেদ ও সংগঠনটির সভাপতি আসাদুজ্জামান সাফির সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরাম, যুক্তরাজ্য শাখার সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক মাহী আরমান রফিক, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি আশিকুর রহমান আশিক, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমার দেশ পত্রিকা, ইউকের নির্বাহি সম্পাদক অলী উল্লাহ নোমান। উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি শাহরিয়ার আলম শিপার, নিরাপদ বাংলাদেশ চাই, ইউকের সভাপতি মুসলিম খান। উক্ত আলোকচিত্র অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন উক্ত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মাহী আরমান রফিক। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহী আরমান রফিক বলেন, সরকার হবে জনসাধারন কর্তৃক নির্বাচিত, জনসাধারনের জন্য নিয়োজিত, সেই সরকার বাংলাদেশ নেই। ২০২৩ সালে এ পর্যন্ত ১৯৭ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়, যা সম্পূর্ন অমানবিক এবং মানবাধিকার সুস্পষ্ঠ লঙ্গন। সরকারের নির্যাতন থেকে সাংবাদিকরাও রেহাই পাচ্ছেন না বলে তিনি বলেন, এই বছর এখন পর্যন্ত একজনকে হত্যা এবং ৫৫জন সাংবাধিক নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আশিকুর রহমান আশিক বলেন, আমেরিকাকে বাংলাদেশ মানবাধিকার শেখাবে রাষ্ট্রপতির এমন বক্তব্য জাতির জন্য হাস্যকর উল্লেখ করে তিনি তার পদত্যাগ দাবি করেন। তিনি তার বক্তব্যে ইলিয়াল আলীসহ গুম হওয়া সকল নেতৃবৃন্দের সন্ধান দাবি করেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অলী উল্লাহ নোমান বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের সময় স্বাধীনতার ঘোষনাপত্রে ছিলো সাম্য, সামাজিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল কিন্ত আজকে বাংলাদেশে এই তিনটির একটিও । আজকে বাংলাদেশের ৫৬ হাজার বর্গমাইলটাকে একটি কারাগারে পরিনত করা হয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের নির্যাতন এবং পরিবারের সদস্যদের গ্রেফতার যা মানবাধিকারের চরম লঙ্গন। তিনি বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের নির্যাতনকে গাজার সাথে তুলনা করে এর পরিত্রানের জন্য সবাইকে আন্দোলনে নামার আহবান জানান। উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম মাসুদ, সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল আমিন, সহ-সাধারন সম্পাদক রোহান তারিক,সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ তাজুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক কাওছার আহমেদ, আবু কায়েস, আব্দুল্লাহ নাইম, মনসুরুল হাসান জাকারিয়া, রফিক আহমেদ, মিনহাজ উদ্দিন শিবলু, সালমান মনসুর, আব্দুল বাছির, সালমান মনসুর, রাদেল আহমেদ, আফজাল হোসাইন সাকিব, জাহেদ হুসেন, এনামুল হক সাব্বির, এম এম ইয়াজদিন, রায়হান উদ্দিন, কাওসার আহমেদ রিফাত, জসিম উদ্দিন, আব্দুল হামিদ, জাবের চৌধুরী, মাহফুজুর রাহমান খান, শেখ আশরাদুজ্জামান, মুক্তাদির আহমদ, তোফায়েল আহমদ, আব্দুল হালিম,জাহেদুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম জুবেল, আব্দুল হাদি, তারেক আহমদ, আবুল কালাম আজাদ, সুহেল আহমদ, দিলোয়ার করিম সাজু, তওকির হাসান তামিম,শাহ আলম, আশরাফুল আলম, শাহ মাহমুদুল হাবিব ইমন, আব্দুল কবির, আবুল কালাম আজাদ লস্কর, ঈসা মোহাম্মদ,জবা আক্তার শুভা, সৈয়দা রিপা বেগম, জুয়েল আহমদ, রিজভী উদ্দিন আহমেদ, রুবেল আহমেদ, সারজুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম, মতিউর রহমান মামুনসহ প্রমুখ।

জাতীয়

সিলেট-চট্টগ্রাম ফ্রেন্ডশিপ ফাউন্ডেশনের মতবিনিময় সভায় কামরান তনয় ডা. শিপলু।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সিলেট-চট্টগ্রাম ফ্রেন্ডশিপ ফাউন্ডেশনের মতবিনিময় সভায় কামরান তনয় ডা. শিপলু। অবিভক্ত চট্টগ্রাম বিভাগকে চট্টগ্রাম ও সিলেট নামে দু’ভাগ বিভক্ত করলে-ও দুই অঞ্চলের মানুষের হাজার বছরের আত্মার সম্পর্ক এখনো অটুট রয়েছে। বলছিলেন সিলেট-চট্টগ্রাম ফ্রেন্ডশিপ ফাউন্ডেশন আয়োজিত মতবিনিময় সভার প্রধান অতিথি সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রতিষ্ঠাকালীন মেয়র মরহুম বদর উদ্দিন আহমেদ কামরানের সুযোগ্য সন্তান, জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আরমান আহমেদ শিপলু। জনাব শিপলু চট্টগ্রাম আগমন উপলক্ষে ১১ ডিসেম্বর, সোমবার চট্টগ্রাম মহানগরীর এক অভিজাত রেস্টুরেন্টে চট্টগ্রামে অবস্থানরত সিলেট-চট্টগ্রাম ফ্রেন্ডশিপ ফাউন্ডেশন নেতৃবৃন্দ ও চট্টগ্রামবাসী আয়োজিত মতবিনিময় সভা চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরিচালক ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া’র সভাপতিত্বে আয়োজনের প্রধান সমন্বয়কারী লায়ন উজ্জ্বল কান্তি বড়ুয়া’র সঞ্চালনায় স্বাগত ভাষন প্রদান করেন পরিবেশবাদী সংগঠক সরোয়ার আমিন বাবু, অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংক এর ডিজিএম. লায়ন আকরাম হোসেন, ফুলকলি গ্রুপের পরিচালক এম. এ সবুর, সন্দীপনা সাংস্কৃতিক ফোরাম- কেন্দ্রীয় সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর ডি. কে দাশ মামুন, চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের সভাপতি, ইতিহাবেত্তা সোহেল মো: ফখরুদ্দিন, সীবলী সংসদের সভাপতি বিকাশ কান্তি বড়ুয়া, বিশিষ্ট কলামিস্ট বিপ্লব বড়ুয়া, ভারত-বাংলাদেশ-নেপাল ইতিহাস মঞ্চের সভাপতি লায়ন দুলাল কান্তি বড়ুয়া, এড. রেবা বড়ুয়া, প্রকৌশলী রানা বড়ুয়া, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থা- চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু হেলাল শাকিল, বিশিষ্ট লেখক সাফাত বিন সানাউল্লাহ, সমন্বয়কারী সুমন বড়ুয়া, জুয়েল বড়ুয়া, সুকুমার বড়ুয়া, প্রসেনজিৎ বড়ুয়া, আবু মো: আরিফ, সমীর চন্দ্র সেন প্রমূখ। বার্তা প্রেরক উৎফল বড়ুয়া ০১৮১৯৮১৯৬৫৩

জাতীয়

স্মার্ট বাংলাদেশের যুগে গোলাপগঞ্জ ইসলামটুল গ্রামে নেই কোন স্কুল

বিলেতের আয়না :- শহিদুল ইসলাম, সিলেট। স্মার্ট বাংলাদেশের যুগে গোলাপগঞ্জ ইসলামটুল গ্রামে নেই কোন স্কুল সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার আমুড়া ইউনিয়নের ইসলামটুল গ্রামে নেই কোন স্কুল। স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি। এলাকার শিক্ষার্থীরা দূরে বিদ্যালয়ে গিয়ে পড়াশুনা করছে। যার ফলে গ্রামের অনেক শিশু শিক্ষার আলো থেকে দূরে থাকছে। এমনকি দূরবর্তী এলাকায় স্কুল হওয়ায় ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। মানুষের মৌলিক অধিকার শিক্ষার কোন সুযোগ নেই এই গ্রামে ছোট ছোট শিশু শিক্ষার্থীরা প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে স্কুলে অনেক কষ্টে যাতায়াত করে বর্ষা মৌসুমে শিক্ষার্থীদের কষ্টের সিমা নেই তাদের যাতায়াত ব্যবস্থা দূর কারণে সময় মতো স্কুলে যেতে পারেনা। ইসলামটুল গ্রামের ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী সুরাইয়া জাহান জানায়, গ্রামে কোনো বিদ্যালয় না থাকায় তারা কষ্ট করে পাশের গ্রামের বিদ্যালয়গুলোতে গিয়ে লেখা পড়া করছে। গ্রামে বিদ্যালয় না থাকায় অনেক সহপাঠী দূরের স্কুলে যায় না। অনেকে লেখাপড়াও ছেড়ে দিয়েছে। আমরা আমাদের গ্রামে একটি বিদ্যালয় চাই। লেখাপড়া শিখে আমরা বড় হতে চাই। ইসলামটুল গ্রামের প্রায় এক শতাধিক শিক্ষার্থী দীর্ঘদিন ধরে দূরবর্তী বিদ্যালয়ে গিয়ে লেখাপড়া করছে। দূরবর্তী এলাকায় স্কুল হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়ছে। শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাওয়ার অনীহা বাড়ছে। এতে অভিভাবকরাও সন্তানদের ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বিগ্ন। তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। অনেক সময় ছাত্র/ছাত্রীরা দুঃঘটনার শিকার হয়। ইতি মধ্যে শিকপুর ব্রিজের কাজ চালু হয়েছে। এই ব্রিজ চালু হলে দুঃঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এই বিষয়ে এলাকার চেয়ারম্যান সৈয়দ হাছিন আহমদ মিন্টু সাহেবের সাথে কথা হলে তিনি শিকার করেন এই গ্রামে কোন স্কুল নাই। অথচ পাশ্ববর্তী গ্রামে ১০০ গজের ভিতর দুইটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ৫০ গজের ভিতর একটি মাদ্রাসা আছে। পাশ্ববর্তী আমনিয়া ১নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৯৭ জন এর মধ্যে ইসলামটুল গ্রামের ৯৪ জন শিক্ষার্থী। জানা গেছে, আমুড়া ইউনিয়নের ইসলামটুল গ্রামটিতে প্রায় চার হাজার মানুষের বসবাস। অথচ গ্রামে নেই কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয় নির্মাণের জন্য স্থানীয় শিক্ষানুরাগীরা বিদ্যালয়ের জন্য ভূমির ব্যবস্তা করেছে। এখন কতৃপক্ষের উচিত ১নং সরকারী বিদ্যালয়টি স্থানান্তর করে শিক্ষার্থীর সুব্যস্থা করে দেয়া। নয়ত ১,৩৩,০০০/-টাকা ব্যয় করে নির্মান করা নতুন ভবন কোন কাজে আসবেনা। পাশের গ্রাম আমনিয়া যেখানে দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দুইটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। যেহেতু ১নং আমনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৯৭% শিক্ষার্থী ইসলামটুল গ্রামের বতর্মানে এই বিদ্যালয় সম্পূর্ণ ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণ হবে। তাই এলাকাবাসীর দাবী এই বিদ্যালয়টি ইসলামটুল গ্রামে নির্মান করে ইসলামটুল গ্রামের ছাত্র ছাত্রীদের কষ্ট লাগব করা হোক।

জাতীয়

ভারত বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগিতায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ  প্রণয় ভার্মা

বিলেতের আয়না :- শহিদুল ইসলাম, প্রতিনিধি ভারত বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগিতায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ  প্রণয় ভার্মা ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে সহায়তায় অগ্রাধিকার দেওয়া ভারতের নীতি। আর প্রতিবেশি রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ভারতের অগ্রাধিকারের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম। ভারত বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগিতায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানীর ঢাকা গ্যালারিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস স্মরণে ‘মিট দ্যা সোসাইটি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভার আয়োজক সম্প্রীতি বাংলাদেশ। ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ‘পারস্পারিক সহযোগিতায় উন্নত ভবিষ্যৎ বিনির্মানে ভারত ও বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে কাজ করছে। এর ফলশ্রুতিতে দুই দেশের অগ্রগতি ক্রমশ বিকাশমান। ভারত-বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে দুই দেশের নেতাদের রয়েছে দৃঢ় অঙ্গীকার।’ বাংলাদেশ ভারতের সবচেয়ে বিশ্বস্ত অংশীদার বলে মন্তব্য করে প্রণয়ন ভার্মা বলেন, ‘সম্প্রীতি ও ভাতৃত্বের দীর্ঘ পথ চলায় বাংলাদেশ ও ভারত আজ বিশ্বে উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। বিশ্বজুড়ে নন্দিত হয়েছে বাংলাদেশের উন্নতি ও অর্জন।’ ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ‘মহামারী, সন্ত্রাস এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় ভারত ও বাংলাদেশ বিশ্ব মঞ্চে একত্রে কাজ করেছে । জাতীয় উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা দুইদেশের অর্থনীতি, সমাজ ও জগণের মধ্যে সুদৃঢ় যোগসূত্র স্থাপন করতে চাই।’ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস শোকের দিন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ বৃথা যায়নি, সার্বভৌমত্ব অর্জনের পর থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ৫২ বছর পূর্বে তাদের অকুতোভয় আত্মত্যাগ চির অমর হয়ে থাকবে।’ সম্প্রীতি বাংলাদেশ-এর আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, শহীদ জায়া শিক্ষাবিদ শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, বীর প্রতীক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, শিক্ষাবিদ ও কথা সাহিত্যিক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল এবং নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী শিকদার। সংগঠনের সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আলোচনায় ৫২ বছরের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা না হয়োর এবং শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের জন্য ভাতা প্রদান না বরার বিষয় উঠে আসে। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের ভেতর শতকরা ৮০ ভাগই ছিলেন ধর্মীয় সংখ্যা লগু। এই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে লে.ক. সাজ্জাদ আলী জহির বলেন অপারেশন সার্স লাইটের শুরু থেকেই পাকিস্তান সেনা বাহিনীর নির্দেশনা অনুযায়ী এই কাজটি করা হয়েছে। ধর্মের নামে মিথ্যা ফতোয়া দিয়ে পাকিস্তানী সৈনিকদের ধর্ষনে উদ্ধুদ্ধ করা হয়ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। শহীদ জায়া শ্যামলী নাসিরন চৌধুরী বলেন, দেশকে অতিরিক্ত ভালবাসার কারনে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছে। সভাপতির বক্তব্যে পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ শুধু যুদ্ধের ইতিহাস মাত্র নয়, তারও চেয়ে বিশাল কিছু। মহাকাব্যিক মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস আজো রচিত হয়নি। নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আধুনিক ও বিজ্ঞান মনস্ক হওয়ার কথা বলেছেন ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল। তিনি বলেন ধর্মে প্রতিহিংসা পাপ বলা হলেও পাকিস্তানী সেনাবাহিনী এবং স্থানীয় রাজাকার, শান্তিকমিটিকে কোনদিন ক্ষমা করা উচিৎ হবে না। মহান একাত্তরের মানবতা বিরোদী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করায় আলোচকবৃন্দ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং অসাম্প্রদায়িক জাতি গঠনে নতুন প্রজন্মকে সাথে নিয়ে দৃঢ় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্ববান জানান অনুষ্ঠানের আলোচকবৃন্দ। প্রধান অতিথি ভারতীয় রাষ্টদূত অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য সম্প্রীতি বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান। মিট দ্যা সোসাইটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন পেশায় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

Scroll to Top