ডিসেম্বর ১৫, ২০২৩

জাতীয়

আসন নিয়ে আওয়ামী লীগ-জাপার সমঝোতা হয়নি।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আসন নিয়ে আওয়ামী লীগ-জাপার সমঝোতা হয়নি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টির তৃতীয় দফা বৈঠকেও সমঝোতা হয়নি। শনিবার সন্ধ্যায় ফের বৈঠকে বসবে দল দুটি। শুক্রবার রাতে রাজধানীর গুলশানের একটি বাসায় ওই বৈঠকের পর এ তথ্য জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেছেন, জাতীয় পার্টির সঙ্গে তাদের আরো বৈঠক হবে। অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক হয়েছে। আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। আগামীকাল সন্ধ্যায় আমরা আবারও বৈঠকে বসব। বৈঠকে নানক ছাড়াও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ছিলেন বৈঠকে। জাতীয় পার্টির পক্ষে ছিলেন দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এবং মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।  

জাতীয়

আজ মহান বিজয় দিবস। লাল-সবুজের পতাকায় বিজয় আসে বাংলায়।

বিলেতের আয়না ডেক্স :-  আজ মহান বিজয় দিবস। লাল-সবুজের পতাকায় বিজয় আসে বাংলায়। ‘পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে/ জ্বলন্ত ঘোষণার ধ্বনি-প্রতিধ্বনি তুলে, নতুন নিশান উড়িয়ে, দামামা বাজিয়ে দিগ্বিদিক/ এই বাংলায়/ তোমাকে আসতেই হবে, হে স্বাধীনতা।’  কবি শামসুর রাহমানের এই কবিতা একাত্তর সালের এই দিন সত্যি হয়ে দেখা দিয়েছিল বাঙালি জাতির জীবনে। ৫২ বছর আগে একসাগর রক্তের বিনিময়ে এই ১৬ ডিসেম্বর এসেছিল বাংলার স্বাধীনতা। পঞ্চান্ন হাজার বর্গমাইলের এই দেশে উদিত হয়েছিল নতুন এক সূর্য। সে সূর্যকিরণে লেগে ছিল রক্ত দিয়ে অর্জিত বিজয়ের রং। সেই রক্তের রং সবুজ বাংলায় মিশে তৈরি করেছিল বাংলার লাল-সবুজ পতাকা। যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একাত্তরের সাত মার্চ ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ বলে জাতিকে লড়াইয়ের ডাক দিয়েছিলেন, সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই পরাজয় মেনে নিয়ে মাথা নত করে ৯৩ হাজার পাকিস্তানি সৈন্য অস্ত্র সমর্পণ করেছিল বাঙালি জাতির বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে। আজ ১৬ ডিসেম্বর। মহান বিজয় দিবস। বিজয়ের ৫২ বছর পেরিয়ে এসেছে জাতি। মুক্তিযুদ্ধে বিজয় বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে গৌরব ও অহংকারের দিন। দীর্ঘ ৯ মাস বিভীষিকাময় সময়ের পরিসমাপ্তির দিন। লাখ লাখ বীর মুক্তিযোদ্ধার রক্তস্রোত, স্বামী-সন্তানহারা নারীর অশ্রুধারা, দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা, আর বীরাঙ্গনাদের সীমাহীন ত্যাগের বিনিময়ে নয় মাসের যুদ্ধ শেষে অর্জিত হয়েছিল মহান এই বিজয়। ৫২ বছর আগে এই দিন বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় বাঙালি জাতিকে এনে দিয়েছিল আত্মপরিচয়ের ঠিকানা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৪৮ সাল থেকে ৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ৬৬-এর ছয় দফা, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭১-এর সাত মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, ২৫ মার্চে গণহত্যা শুরু হলে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা, ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন এবং রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ৩০ লাখ শহিদ ও ২ লাখ মা-বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাদের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। সেই হিসাবে বিজয়ের ৫২ বছর পূর্তির দিন আজ। মহান বিজয় দিবস ঊপলক্ষ্যে পৃথক বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। বিজয় দিবসে রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে দেশ ও প্রবাসের সব বাংলাদেশিকে বিজয়ের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, লাখো শহিদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে পরমতসহিষ্ণুতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও চেতনা বাস্তবায়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরো বেশি অবদান রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “দেশ ও জাতিকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে আরো এগিয়ে নিয়ে যাই, গড়ে তুলি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ এবং প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’—মহান বিজয় দিবসে এই আমার প্রত্যাশা।” মহান বিজয় দিবসে প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘আজ ১৬ ডিসেম্বর। মহান বিজয় দিবস। বাঙালির জাতীয় জীবনের এক অনন্য গৌরবোজ্জ্বল দিন। আজ বিজয়ের ৫২ বছর পূর্তি হলো।’ প্রধানমন্ত্রী গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্মরণ করেন জাতীয় চার নেতা, ৩০ লাখ শহিদ, সম্ভ্রমহারা ২ লাখ মা-বোন এবং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, যাদের মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাঙালি পেয়েছে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। কৃতজ্ঞতা জানান সেই সব দেশ ও ব্যক্তিবর্গের প্রতি, যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে নানাভাবে সহায়তা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাংলাদেশকে ‘স্বল্পোন্নত’ দেশে উন্নীত করেন, আর আমরা মাতৃভূমিকে ‘উন্নয়নশীল’ দেশের কাতারে নিয়ে গেছি। স্বাধীনতার পর বিগত ৫২ বছরে আমাদের যা কিছু অর্জন তা জাতির পিতা এবং আওয়ামী লীগের হাত ধরেই হয়েছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের এই উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত থাকলে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে পরিণত হবে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মাধ্যমে জাতিরাষ্ট্র ‘বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা হলো বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন। এই অর্জনকে অর্থবহ করতে স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এবং মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে সবাইকে জানতে ও জানাতে হবে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমরা পৌঁছে দিব—বিজয় দিবসে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার। আজ কৃতজ্ঞ জাতি সশ্রদ্ধ বেদনায় স্মরণ করবে দেশের বীর সন্তানদের। সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে জনতার ঢল নামবে। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের সব প্রান্তের মানুষ অংশ নেবে বিজয় দিবসে। এদিকে, সাভারে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ। এই স্মৃতিসৌধ আপামর জনসাধারণের বীরত্বপূর্ণ লড়াইয়ের স্মরণে নিবেদিত এবং শহিদদের প্রতি কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ জাতির শ্রদ্ধার্ঘের উজ্জ্বল নিদর্শন স্বরূপ। তাই বিজয় উত্সবের শুরুতে আজ শনিবার শীতের সকালে পরম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় ফুলের অর্ঘ্য নিয়ে স্মৃতিসৌধ বেদিতে আসবেন সবাই।

জাতীয়

শরিকদের জন্য ৭ আসনের বেশি ছাড় নয়– ওবায়দুল কাদের।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- শরিকদের জন্য ৭ আসনের বেশি ছাড় নয়– ওবায়দুল কাদের। জোটের শরিকদের জন্য ৭টি আসনের বেশি ছাড় দেওয়া আওয়ামী লীগের জন্য সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান। শরিকদের সাথে সাথে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনারা সবাই আসন সমঝোতা নিয়ে কথা বলেন, এখানে আমরা এই সময়ে আমাদের এই এলায়েন্সটাকে যতটা রাজনৈতিক মূল্য দিচ্ছি, এখানে আসনের বিষয়টা মূখ্য না। এখানে মূখ্য হচ্ছে রাজনীতি। জঙ্গীবাদী শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের এই ইলেকশন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মাটি থেকে এই অপশক্তি কে আমাদের পরাজিত করতে হবে। নির্বাচনে আসেনি। তারা নাশকতা করছে, কতদিন করবে? নাশকতা জনগণ সমর্থন করে না। বিএনপিকে এই নাশকতার জন্যেই তাদের আন্দোলনে জনসম্পৃক্ত করতে পারেনি। এই সময় তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, তাদের আন্দোলনে জনগণ ছিল? তাদের কর্মীরা ছিল? সামনের দিকে তাদের এ জনবিচ্ছিন্নতা আরও বাড়বে। শরিকদের আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতিযোগিতা হউক, এখানে পক্ষপাতিত্বের কি আছে? আমরা জোর করে কারো বিজয় ছিনিয়ে আনবো না। আমরা কাউকে বিজয়ের গ্যারান্টি দিতে পারব না। তিনি বলেন, আমি পার্টির সাধারণ সম্পাদক, আমার বিরুদ্ধেও চার জন আছে। এখন কেউ যদি জিতে যায়, তাহলে তো আমাকেও হার মানতে হবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা, প্রতিযোগিতা যেটা আছে সেটা আমরা মেনে নিয়েছি। টিআইবির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের দেশে এখন যারা মুক্তবুদ্ধির চর্চা করেন বলে দাবি করেন, যারা মানবাধিকারের প্রবক্তা, যেমন টিআইবি… ২৮টি দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে, তারপরও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন কেন হবে না, এ প্রশ্নের উত্তর টিআইবির কাছে পাওয়া যাবে না। তারা জেনেশুনেই এটা করছে। আমরা টিআইবির কাছে জানতে চাই, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলতে কী বুঝায়? ২৮টি নিবন্ধিত দল অংশ নিচ্ছে, বিএনপিসহ কয়েকটি দল নির্বাচন থেকে দূরে রয়েছে, বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না, এর অর্থটা কী? টিআইবি বিএনপির শাখা-সংগঠন। তারা একই সুরে কথা বলে। বিএনপি নেতা মঈন খানের ভাগাভাগি নির্বাচন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, কিসের ভাগাভাগি? আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যেকোনো মূল্যে এই নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাধ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন হিসেবে, একটা রেকর্ড আমরা দেখাতে চাই। নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রাণ, কাজে নির্বাচন ব্যবস্থাকে গণতান্ত্রিক করায় আমাদেরও দায়িত্ব আছে। নির্বাচনের আচরণবিধি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করার জন্য কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে যেগুলোকে আমরা সমর্থন দিয়েছি। আমাদের যেসব প্রার্থী প্রার্থিতা হারিয়েছে, আমরা কারও ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করার কোনো চেষ্টা করিনি এবং করব না। এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয়

দেশে এখন সুস্থ রাজনীতি নেই – ডক্টর মঈন খান।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- দেশে এখন সুস্থ রাজনীতি নেই – ডক্টর মঈন খান। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডক্টর আবদুল মঈন খান বলেছেন, দেশে বর্তমানে রাজনীতি বলে কিছু নেই, রয়েছে অপরাজনীতি। এখানে ক্ষমতার নামে চলে দখল ও চাঁদাবাজি আর টাকা পাচার। ৫২ বছর আগে দেশের মানুষ যে আকাক্সক্ষা নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিল তার মূলে ছিল গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি। কিন্তু আজ দু’টির কোনোটিই নেই। আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে একটি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ‘মহান বিজয় দিবস, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের আকাক্সক্ষা ও বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)। ডক্টর মঈন বলেন, এবার জুজুর ভয় দেখিয়ে এই সরকার পার পাবে না। নির্বাচনের পর সরকার পাঁচ দিন টিকবে কি না কেউ বলতে পারেন? ২০১৪ সাল আর ২০২৪ সাল এক না। জনগণের শক্তির কাছে কামান বা বুলেট কিছুই টিকে না। এবার সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই সরকার কী ভোট করছে? এটা তো বানরের পিঠা ভাগাভাগির মতো। ল্যাংড়া কানা খোড়া নিয়ে নির্বাচনের আয়োজন করছে সরকার। তারা নিজেরা নিজেরা লাইনে দাঁড়িয়ে জটলা পাকিয়ে দেখাবে নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে! আসলে এটা তো কোনো নির্বাচন নয়। তিনি বলেন, এই সরকারকে যেতেই হবে জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে। বিএনপি কিন্তু দেশে জনতার অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে, যা সারা দেশে দেখা গেছে। এবার বিজয় শোভাযাত্রার মাধ্যমে সারা ঢাকা কেঁপে উঠবে। রাজপথের কঠোর আন্দোলন ও রক্তের বিনিময়ে হলেও এই সরকারকে বিদায় নিতে হবে। ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ডা. মো. আবদুস সালামের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা. মো. মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ছাড়াও সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা বক্তব্য রাখেন।

জাতীয়

মানবতার সেবাই লায়নিজমের সৌন্দর্য।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- মানবতার সেবাই লায়নিজমের সৌন্দর্য। ভারত, দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের লায়ন নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে এবং মানবতার সেবায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনের উদ্দশ্য নিয়ে ঢাকায় শুরু হয়েছে ৫১ তম ইসামি ফোরাম ২০২৩। ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ১৫ ডিসেম্বর এ ইসামি ফোরামের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, এমপি। উদ্বোধনী বক্তব্যে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন- ‘লায়নিজমের প্রধান উদ্দেশ্য মানবতার সেবা এবং মানবতার সেবাই লায়নিজমের সৌন্দর্য্য।’ তিনি বলেন-গোটা পৃথিবীতে মানবতার সেবায় ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে লায়ন। বাংলাদেশে ৫১ তম ইসামি ফোরাম এর আয়োজন করা হছে এমন এক সময় যখন বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫২ বছর উৎযাপন করছে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অগ্রসর হচ্ছে। বাংলাদেশের ইয়ুথ জেনারেশনের ভবিষ্যৎ সুন্দর করার জন্য কাজ করছে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, শিক্ষা, আইসিটি, ব্যবসা বাণিজ্য, কৃষিসহ বিভিন্ন সেক্টরে বাংলাদেশের সুনির্দিষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। বিদেশি অতিথিদের তিনি বাংলাদেশ অগ্রগতির চিত্র পরিদর্শন করার আহ্বান জানিয়ে বলেন- সুন্দর একটি পৃথিবী গড়া আমাদের উদ্দেশ্য। যে উদ্দেশ্য নিয়ে লায়নেরা কাজ করছে। লায়নদের স্বেচ্ছাসেবার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন- বাংলাদেশে লায়ন চক্ষু হাসপাতাল লায়নদের স্বেচ্ছাসেবার অনন্য উদাহরন। লায়ন্স ইন্টারন্যাশনালের এর প্রেসিডেন্ট ড. প্যাট্টি হিল, এলসিআইএফ-এর চেয়ারপারসন ব্রায়ান ই. শিহ্যান, ইন্টারন্যাশনাল ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ফ্যাব্রিসিও অলিভেরা, ইন্টারন্যাশনাল সেকেন্ড ভাইস প্রেসিডেন্ট এপি সিং এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং অংশগ্রহণকারীরা ঢাকায় এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। ফোরাম পরিকল্পনা কমিটির চেয়ারম্যান আইডি এল.এন. মহেশ পাসকেল ৫১ তম ইসামি ফোরাম ২০২৩ এর উদ্বোধন করেন। সাংগঠনিক কমিটির চেয়ারম্যান পিআইডি লে. কাজী আকরামউদ্দিন আহমেদ; প্রধান উপদেষ্টা পিআইডি এল.এন. শেখ কবির হোসেন; ভাইস চেয়ারপারসন পিআইডি এল.এন. মোসলেম আলী খান, সেক্রেটারি ফোরাম সাংগঠনিক কমিটির আইডি এনডোর্সি এল.এন. নাজমুল হক; কোষাধ্যক্ষ ফোরাম আয়োজক কমিটি পিডিজি এলএন. সেলিম আহমেদ, হোস্ট কমিটির চেয়ারম্যান ও কাউন্সিল চেয়ারম্যান-এমডি ৩১৫ এলএন মোঃ আব্দুল ওয়াহাব এবং ফোরামের সকল গণ্যমান্য ব্যক্তিকে বিশ্ব মানবিক সেবার জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করার জন্য বিশেষ মর্যাদা প্রদান করা হবে। এর আগে হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালের মধুমতি হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ৫১ তম ইসামি ফোরাম ২০২৩ এর বিস্তারিত তুলে ধরেন আয়োজকেরা। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়- প্রতি বছর “ভারত, দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্য ইসামি ফোরাম” বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন দেশের লায়নেরা একই জায়গায় একত্রিত হয়ে বন্ধুত্ব গড়ে তুলে, নিজেদের মতামত বিনিময় এবং ভবিষ্যতের কর্মসূচির পরিকল্পনার জন্য একত্রিত হয়। এবার এই আয়োজনটি বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাতে ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, পাকিস্তান, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকা থেকে আট শতাধিক প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশের ৩৫০ জন প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন। মাল্টিপল ডিস্ট্রিক্ট ৩১৫, বাংলাদেশ ২০ বছর পর এই ইভেন্ট আয়োজন করার সুযোগ পেয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকদের পক্ষ থেকে বলা হয়, লায়ন্স ইন্টারন্যাশনাল এর সঙ্গে জাতিসংঘের একটি পরামর্শমূলক মর্যাদা রয়েছে। সংগঠনটি ১৯১৭ সাল থেকে কাজ করছে। বর্তমানে এটি বিশ্বের বৃহত্তম স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। সারাবিশ্বের ২১০টি দেশে এর কার্যক্রম বিস্তৃত আছে। ১.৪ মিলিয়ন লায়ন এবং লিও এই সংগঠনে একসাথে কাজ করে। ভারত, দক্ষিণ এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যে, অনেক লায়ন এবং লিও একই কারণে একসাথে কাজ করেন। এই ঢাকা ফোরামে ১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর একযোগে ৪টি ধাপে ১৬টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। ১৬ ডিসেম্বর পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে যোগ দেবেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর প্রফেসর ড. আতিউর রহমান, ১৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠানে বিশেষ বক্তা হিসেবে থাকবেন আন্তর্জাতিক অটিজম কর্মী এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-এর নির্বাচিত পরিচালক, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া, মিসেস সায়মা ওয়াজেদ।

জাতীয়

আর্থিক খাতের সংস্কারের পরামর্শ আইএমএফের।

বিলাতের আয়না ডেক্স :- আর্থিক খাতের সংস্কারের পরামর্শ আইএমএফের। বাংলাদেশের জন্য দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ৯০ লাখ ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। এ ঋণ চূড়ান্ত হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রতি নজরদারিও বাড়িয়েছে সংস্থাটি। দুর্বলতা মোকাবিলায় সংস্থাটি আর্থিক খাতে সংস্কারের দিকেও মনোনিবেশ করতে পরামর্শ দেয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) ওয়াশিংটন থেকে ভার্চুয়ালি প্রেস ব্রিফিং করেন সংস্থাটি। ব্রিফিংয়ে আইএমএফের বাংলাদেশ মিশন প্রধান রাহুল আনন্দ বলেন, আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, বেশিরভাগ কর্মসূচির লক্ষ্যমাত্রা ও সংস্কারে প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হয়েছে। কঠিন সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিবেশ সত্ত্বেও সামগ্রিক কর্মসূচির কর্মক্ষমতা সন্তোষজনক হয়েছে। এই প্রচেষ্টার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, কোভিডের পর থেকেই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ভালো করছে। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর সেই লাগাম ছুটে যায়। এরপর ব্যাংক সুদ হারের সীমা তুলে নেওয়ার পর থেকে পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এরইমধ্যে সুদ হারের সীমা তুলে নিয়েছে। ফলে নতুন ঋণের ক্ষেত্রে সুদ এখন ১১ শতাংশের বেশি। এই কঠোর অবস্থা কিছুদিন বহাল রাখতে হবে। এটি আমাদের পরামর্শ ছিলো। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে, এই চড়া সুদ হারের সময় যেন আবার মূল্যস্ফীতি বেড়ে না যায়। অর্থাৎ মুদ্রানীতি আরও সঙ্কোচন করতে হবে বলে জানান রাহুল আনন্দ। এ সময় বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে যেতে কয়েকটি ক্ষেত্রে মনোনিবেশ করতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এগুলো হলো- কর রাজস্ব বৃদ্ধি ও অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানো ও এক্সচেঞ্জ রেট পদ্ধতি বদলাতে হবে, যেন বিশ্ববাজারে দর ওঠানামা করলে খুব বেশি সমন্বয় করতে না হয়। টাকার মান কমায় সরকারের বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি বেড়েছে। তাই বিষয়টি নতুন করে ভাবার তাগিদ সংস্থাটির। একইসঙ্গে নীতি প্রণয়নের প্রক্রিয়া বদলানো, ব্যাংকিং নিয়ন্ত্রণ, তদারকি ও সুশাসন জোরদারের মাধ্যমে আর্থিক খাতের দুর্বলতা মোকাবিলায় সংস্কারের দিকেও মনোনিবেশ করা উচিত বলে জানান রাহুল আনন্দ। উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করে আইএমএফ। ২০২৬ সালের মধ্যে সাত কিস্তিতে এই ঋণ মিলবে। গত ফেব্রুয়ারিতে প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার বুঝে পায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় কিস্তিতে পাচ্ছে ৬৮ কোটি ৯০ লাখ ডলার। আর ৩য় কিস্তি ছাড়ের আগে মার্চে আবারও বাংলাদেশে আসবে আইএমএফ প্রতিনিধি দল।

জাতীয়

ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার পথে শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার পথে শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চার মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছেন শেখ হাসিনা। এর মধ্যে ২০০৯ সালের পর থেকেই টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় আছেন তিনি। কোনো সন্দেহ নেই ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ফের পঞ্চমবারের মতো ক্ষমতায় আসবেন শেখ হাসিনা। সরকারের দাবি নির্বাচন হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ; অংশ নিচ্ছে ২৯টি দল। তবুও সবচেয়ে বড় বিরোধী দল ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে চ্যালেঞ্জ জানাতে সক্ষম একমাত্র দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ভোট বর্জন করছে। চাইলেও দলটি কমই নির্বাচনে অংশ নিতে পারতো। কারণ গত ছয় সপ্তাহে বিএনপির হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নভেম্বরের শেষ থেকে হেফাজতে থাকা পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত যারা গ্রেপ্তার হননি তাদের অনেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন। প্রায় ১৫ বছরের ক্ষমতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির জীবনযাত্রার মানের সবচেয়ে বড় উন্নতিতে অবদান রেখেছেন। চীন ও ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী স্বার্থকেও দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছেন তিনি। তিনি তার পিতার ব্যক্তিত্বকে ঘিরে একটি ‘কাল্ট দাঁড় করেছেন’। তার পিতা ১৯৭৫ সালে একটি অভ্যুত্থানে খুন হয়েছিলেন। তার ছবি এখন ঢাকার সর্বত্র শোভা পাচ্ছে। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ২০১৮ সাল থেকে গৃহবন্দী আছেন। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে বাংলাদেশের পূর্ববর্তী দুটি নির্বাচন ব্যাপকভাবে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে গেছে। আসছে নির্বাচন বিএনপিকে দুর্বল করে দিতে পারে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনের ছাপ তৈরি করতে আওয়ামী লীগ তার দলের সদস্যদের, তাদের পরিচিতদের ও বিরোধী দল থেকে দলত্যাগকারীদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে উৎসাহিত করেছে। ২৮ অক্টোবর এক সমাবেশের পর দলের সমর্থক ও পুলিশের মধ্যে রাজপথে সহিংসতার কারণে বিএনপির সদস্যদের গণগ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতে এতে কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে দুই পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছেন। হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। ছবি: ইকোনমিস্ট সরকারের দাবি, এই সহিংসতা শুরু করেছে বিএনপি। কিন্তু দলটি বলছে উল্টো। আইনজীবী ও বিএনপি নেতা মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, তারা আমাদের হাজার লোককে গ্রেপ্তার করেছে। আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি। এই অবৈধ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অর্থ নির্বাচনকে বৈধতা দেওয়া। গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অগ্নিসংযোগ থেকে শুরু করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। অনেককে নির্বিচারে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ যাদের সন্ধান পায়নি তাদের আত্মীয়দের নিয়ে গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, গ্রেপ্তারকারী অফিসারদের মধ্যে আওয়ামী লীগের কর্মীরাও ছিলেন। ক্র্যাকডাউন বিএনপিকে রাজপথ থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে। নভেম্বরে দলের পক্ষ থেকে ঢাকার বাইরের সড়ক অবরোধে রাজধানী আংশিক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। কিন্তু ডিসেম্বরের প্রথম দিকে বেশিরভাগ পণ্যের ডেলিভারি আবার শুরু হয়। ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় আওয়ামী লীগ বিরোধী একটি বিক্ষোভে যেখানে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিত হওয়ার কথা সেখানে মাত্র কয়েক শত মানুষ জড়ো হয়েছেন। আওয়ামী লীগের কয়েকজন কর্মকর্তা একান্তে বলছেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে ভালো ফল করতো। এদিকে বাংলাদেশের প্রধান আঞ্চলিক অংশীদার ভারত এই নির্বাচনকে ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ বলে অভিহিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা গণতন্ত্রে বাধা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেবে। তবুও ভারতের মতো আমেরিকারও উদ্বেগের কারণ একটাই— শেখ হাসিনা যেন চীনমুখী না হয়ে পড়েন। তাই অনেকক্ষেত্রেই তার অপব্যবহারকে উপেক্ষা করা হয়। যেমন এবারের নির্বাচনে ইইউ নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের একটি পূর্ণ দল পাঠাতে অস্বীকার করেছে। শেখ হাসিনা দেশের অনেক জায়গায় জনপ্রিয়। সাম্প্রতিক মার্কিনভিত্তিক ‘ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের’ এক সমীক্ষা তাকে শতকরা ৭০ ভাগ রেটিং দিয়েছে। তবে শহরগুলোতে বিশেষ করে নড়বড়ে অর্থনীতি সরকারের প্রতি অসন্তোষ বাড়িয়েছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতে জ্বালানি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে জানুয়ারিতে আইএমএফ থেকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ঋণ নিতে বাধ্য হয়েছে বাংলাদেশ। বৈদেশিক রিজার্ভ কম, ব্যাংকিং ব্যবস্থা চাপের মধ্যে পড়ে জনগণের সমস্যা আর জটিলভাবে বেড়েছে। সরকারি মুদ্রাস্ফীতির হার মাত্র ১০ শতাংশের নিচে। সম্ভবত এটি অবমূল্যায়ন। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো পোশাক শিল্পের শ্রমিকরা সাম্প্রতিক মাসিক ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করায় অসন্তুষ্ট। কারণ এটি জীবনযাত্রার বর্ধিত ব্যয়ের চেয়ে কম বলে মনে করেন তারা । তারপরও প্রবৃদ্ধি মোটামুটি শক্তিশালী, গত আর্থিক বছরে মাত্র ৬ শতাংশের নিচে। ১৩ ডিসেম্বর আইএমএফ তার বেল-আউট প্রোগ্রামের প্রতি সরকারের প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করেছে। শেখ হাসিনার ক্ষমতায় থাকার চেষ্টাও তাই দৃঢ় হচ্ছে।

জাতীয়

ভারতীয় সংগীতশিল্পী অনুপ ঘোষাল মারা গেছেন।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ভারতীয় সংগীতশিল্পী অনুপ ঘোষাল মারা গেছেন। শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটায় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। অনুপ ঘোষালের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সত্যজিৎ রায় পরিচালিত ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’ সিনেমার ‘দেখো রে নয়ন মেলে জগতের বাহার’ গানটি অনুপ ঘোষালকে জনপ্রিয় করে তোলে। এছাড়াও ঠুমরি, খেয়াল, ভজন, রাগপ্রধান, রবীন্দ্র সংগীত, নজরুলগীতি, দ্বিজেন্দ্রগীতি গানের পাশাপাশি আধুনিক বাংলা গানও করতেন অনুপ ঘোষাল। মূলত নজরুলগীতি গেয়ে তার সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। সংগীতজগতের সঙ্গে যুক্ত পরিবারেই জন্ম ও বেড়ে ওঠা অনুপ ঘোষালের। বাবা অমূল্যচন্দ্র ঘোষাল, মা লাবণ্য ঘোষাল। মা লাবণ্য ঘোষালের কাছ থেকেও সংগীত জগতের প্রতি অনুরাগ জন্মায় অনুপ ঘোষালের। কাজী ছাব্বিরসহ এনপিপির দশ নেতাকে অব্যাহতি আশুতোষ কলেজ থেকে মানবিকে স্নাতক অনুপ ঘোষাল পরবর্তীতে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ও পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। নজরুলগীতির রূপ ও রসানুভূতি ছিল তার গবেষণার বিষয়। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১১ সালে তাকে ‘নজরুল স্মৃতি পুরস্কার’ ও ২০১৩ সালে ‘সংগীত মহাসম্মান’ প্রদান করে

Scroll to Top