ডিসেম্বর ১১, ২০২৩

জাতীয়

১৪ দলীয় জোটের প্রার্থীরা নৌকায় ভোট করবে।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থীরা নৌকায় ভোট করবে। আসন ভাগাভাগি নিয়ে আ.লীগ দু-একদিন সময় চেয়েছে — হাসানুল হক ইনু ২৪ দলীয় জোটের আসন ভাগাভাগি এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু।  তিনি জানান, এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের নেতারা আমাদের কাছে আরও দু-একদিন সময় চেয়েছেন। রোববার (১০ডিসেম্বর) রাতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ১৪ দলীয় জোটের বৈঠক শেষে তিনি এ তথ্য জানান। ইনু বলেন, ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উপস্থিতিতে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আমরা আলোচনা করেছি। ১৪ দলীয় জোট একসঙ্গে নির্বাচন করবে। জোটের যারা প্রার্থী হবেন তারা নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। তিনি বলেন, আসন বণ্টনের বিষয়টি এখনো তারা বিবেচনা করছেন। আজকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আসন বণ্টনের বিষয়টি চূড়ান্ত করা সম্ভব হয়নি। তারা আরও দুই-একদিন সময় চেয়েছেন। দুই-একদিনের মধ্যে চূড়ান্ত করলে জোটের প্রার্থীদের তালিকা আমরা দেশবাসীকে জানাতে পারব। রাজনৈতিকভাবে ১৪ দল একসঙ্গে আছে, একসঙ্গে নির্বাচন করবে। তিনি আরও বলেন, জোটের প্রার্থীদের তালিকা এখনো চূড়ান্ত করতে পারেনি আওয়ামী লীগ। কোন দলের কে প্রার্থী হবেন, কোন আসন থেকে হবেন, সেই তালিকাটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটগত আসনগুলো ছাড়া বাকি আসন উন্মুক্ত থাকবে। প্রতিটি দল তাদের প্রতীকে নির্বাচন করবে। ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আজকে একটি বিষয় আলোচনা হয়েছে, সেটা হচ্ছে সিট সমঝোতা। তারা (আওয়ামী লীগ) বলেছে আলোচনা করবে। আমার কাছে মনে হয়েছে তারা এখনো তালিকা প্রস্তুত করতে পারেনি।

জাতীয়

আওয়ামী লীগ আগামী ২০ ডিসেম্বর হযরত শাহজালাল ( রহঃ) জিয়ারত করে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবে।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আওয়ামী লীগ আগামী ২০ ডিসেম্বর হযরত শাহজালাল ( রহঃ) জিয়ারত করে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবে। আগামী ২০ ডিসেম্বর হযরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজার জিয়ারতের পর নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবে আওয়ামী লীগ। এদিন সিলেটে জনসভার মধ্য দিয়ে শুরু হবে দলটির আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা। রোববার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে দলটির সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। কাদের বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের সব রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে বিএনপি। তাদের মুখে মানবাধিকারের বুলি আর শোভা পায় না। এদেশে বিএনপি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘৃণ্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। বিশ্বে নজির সৃষ্টি করেছে। জিয়াউর রহমানের পর খলেদা জিয়া গুম-খুনের রাজনীতি করেছে। জিয়া ও খালেদা জিয়ার আমলেই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। অথচ এ নিয়ে তাদের লজ্জা নেই। বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে দেওয়া বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীরা মানবাধিকারের বিষয়ে আজ সোচ্চার। তাদের কথা শুনলে মনে হয়, বিশ্ব মোড়লের সোল এজেন্ট তারা। তিনি বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনে যে ১৩টি দেশের নাম যুক্তরাষ্ট্র দিয়েছে, সেখানে বাংলাদেশ নেই। উল্লেখ্য, আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করে তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ আগামী ১৭ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ হবে। সেক্ষেত্রে নির্বাচনে প্রচারের জন্য ১৯ দিন সময় রয়েছে। ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রচার শেষ করতে হয়। অর্থাৎ, ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটের প্রচার চালানোর সুযোগ থাকবে।

জাতীয়

মানবাধিকার শাশ্বত ও সর্বজনীন অধিকার – রাষ্ট্রপতি সাহাবুূদ্দিন আহমদ ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- মানবাধিকার শাশ্বত ও সর্বজনীন অধিকার – রাষ্ট্রপতি সাহাবুূদ্দিন আহমদ । সব ধরনের সংঘাতের স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করতে এবং নির্যাতিত ও নিপীড়িত জনগণের পাশে দাঁড়াতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। রবিবার (১০ ডিসেম্বর) মানবাধিকার দিবস-২০২৩ উপলক্ষে রাজধানীর একটি হোটেলে এক আলোচনা সভায় ভাষণদানকালে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান। রাষ্ট্রপতি বলেন, মানবাধিকার শাশ্বত ও সর্বজনীন অধিকার। কিন্তু দুঃখজনক হলেও এটা সত্য যে বিরাজমান বিশ্ব মানবাধিকার পরিস্থিতি বিবেকবান যেকোনও মানুষকেই ব্যথিত করবে। অনেক দেশ ও সংস্থা মানবাধিকারের নামে দ্বিচারিতায় লিপ্ত হচ্ছে। সব মানবাধিকার সংগঠনকে মানবাধিকার রক্ষায় সদা সজাগ থাকারও পরামর্শ দেন। দেশের যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটবে সেখানেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উপস্থিতি নিশ্চিত করারও জোর তাগিদ দেন তিনি। সম্প্রতি ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে নির্বিচারে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা, শিশু হত্যা ও ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি সংঘাতের ঘটনায় চরম দুঃখ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং একইসঙ্গে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানান। তিনি বলেন, যুদ্ধ নয়, আলোচনার মাধ্যমেই সব সমস্যার সমাধান সম্ভব। কাতারের উদ্যোগ ফিলিস্তিনের গাজায় সাম্প্রতিক সাময়িক যুদ্ধবিরতির জন্য কাতার সরকারকে ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি। বিশ্বের যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হবে সেখানেই দলমত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব দেশ, মানবাধিকার সংস্থা ও মানবাধিকার কর্মীরা প্রতিবাদে সোচ্চার হবেন বলেও তিনি আশা করেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, ছোট-বড়, ধনী-দরিদ্র ও দলমত নির্বিশেষে কমিশনকে নির্যাতিতদের পক্ষে এবং নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তিনি পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কর্মক্ষেত্রসহ সমাজ ও রাষ্ট্রের সব ক্ষেত্রে মানবাধিকার চর্চা বাড়ানোর প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, মানবাধিকার কমিশন যাতে শোষিত ও নির্যাতিতদের কাছে আস্থা ও ভরসার প্রতীকে পরিণত হতে পারে সে লক্ষ্যে কমিশনকে নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়াতে হবে এবং নির্যাতনকারীদের শাস্তিদানে সর্বাত্মক প্রয়াস অব্যাহত রাখতে হবে। বাংলাদেশে মানবাধিকার সংস্কৃতির বিকাশ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে গবেষণা ও প্রকাশনা বৃদ্ধি, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ওপরে সার্বক্ষণিক নজরদারি বৃদ্ধি, মানবাধিকার বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টি ও অ্যাডভোকেসি কার্যক্রম পরিচালনা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কমিশনকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করার কথাও বলেন তিনি। রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, মানবাধিকার সুরক্ষায় পারস্পরিক সংলাপ, সভা, সেমিনার, ওয়ার্কশপ, শিক্ষা ও প্রচারসহ সহযোগিতা বৃদ্ধির সব কার্যক্রমে জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, সমাজের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্ব ও মতাদর্শের ব্যক্তি, যেমন- মসজিদের ইমাম, ধর্মগুরু, শিক্ষক ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিবর্গকে মানবাধিকার প্রক্রিয়ায় নিয়োজিত করা গেলে মানবাধিকার পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে। রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ ২০০৯ সাল থেকে মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, দারিদ্র্য হ্রাস, শিক্ষা ও চিকিৎসার সুযোগ বিস্তার, শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস, নারীর ক্ষমতায়নসহ আর্থ-সামাজিক নানা সূচকে তাৎপর্যপূর্ণ সাফল্য অর্জন করেছে। বিশেষ করে, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার পাশাপাশি সংকট মোকাবিলায় দূরদর্শী নেতৃত্ব ও মানবিকতার জন্য বাংলাদেশ বিশ্বদরবারে প্রশংসিত হয়েছে। এছাড়া ‘কোভিড-১৯’ অতিমারি পরিস্থিতিতে মানবাধিকার সুরক্ষায় বাংলাদেশ বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে পৃথিবীতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলে রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, শুধু জাতীয় পর্যায়ে নয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও বাংলাদেশ মানবাধিকার সুরক্ষায় তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। বিশেষ অতিথি ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। অনুষ্ঠানের সভাপতি ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

জাতীয়

অর্থনীতির এখন একমাত্র চ্যালেঞ্জ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা’।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ‘অর্থনীতির এখন একমাত্র চ্যালেঞ্জ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা’। চলতি ডিসেম্বর মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের নিচে নেমে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অর্থসচিব ড. খায়েরুজ্জামান মজুমদার। তিনি বলেন, আমাদের অর্থনীতির এখন একমাত্র চ্যালেঞ্জ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা। তবে সংকোচনমূলক মূদ্রানীতি এবং সংকোচনমূলক আর্থিক নীতির মাধ্যমে তার অনেকটা আমরা উত্তরণ করতে পেরেছি। খাদ্যমূল্য যেভাবে কমছে এবং গত মাসে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ মূল্যস্ফীতি কমেছে, তাতে আমি আশাবাদী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাশের নিচে নেমে আসবে। তিনি আরও বলেন, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ৭ দশমিক ৫ শতাংশে চলে আসবে। আগামী অর্থবছর মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ৬ শতাংশের নিচে থাকবে বলে জানান তিনি। রবিবার ঢাকায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট দিবসের এক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। কোভিড পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার দ্রুত হয়েছে উল্লেখ করে অর্থসচিব বলেন, বৈশ্বিক নানা চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষাপটে আমরা আগেভাগেই সংকোচনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আর্থিক ব্যয়ের ক্ষেত্রে কৃচ্ছতা সাধন করা হচ্ছে। বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির শক্তিশালী অবস্থা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, চলতি অর্থবছরের বাজেটের আকার ৭ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকা, এর মধ্যে রাজস্ব আয় ৫ লাখ কোটি টাকা। সুতরাং ঘাটতি বাজেট ২ লাখ ৬১ হাজার টাকার। এই ঘাটতি বাজেট মেটানোর জন্য সরকারকে ঋণ নিতে হয়। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য সরকার বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ঋণ না নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে ঋণ নেওয়ার চেষ্টা করে। তবে আমাদের মনে রাখতে হবে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক ঋণ বা অনুদান গ্রহণের সীমাবদ্ধতা আমাদের বাড়তে থাকবে। তাই এনবিআরকে আরও বেশি রাজস্ব সংগ্রহের প্রতি মনোযোগি হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। ড. খায়েরুজ্জামান বলেন, দেশে কর সংস্কৃতি গড়ে তোলার জন্য অটোমেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই অটোমেশনের জন্য সরকার এনবিআরকে আরও বেশি অর্থ বরাদ্দ দেবে বলে তিনি জানান। -বাসস

জাতীয়

ঘুষের টাকা ফেরত দিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ঘুষের টাকা ফেরত দিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য নেওয়া ঘুষের সাড়ে ৯ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। রবিবার (১০ ডিসেম্বর) প্রতিমন্ত্রীর একজন প্রতিনিধি রাজধানীর মিন্টো রোডে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে গিয়ে ভুক্তভোগীদের টাকা ফেরত দেন। প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য। এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকার কয়েক ব্যক্তি আমার নামে চাকরি দেওয়ার কথা বলে কয়েকজন চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন; সেটা আমি জানতাম না। পরে জানতে পেরে একজনকে দায়িত্ব দিয়েছি সবার টাকা ফিরিয়ে দিতে। শুনেছি সেই টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।’ এদিকে, টাকা ফেরত পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে ভুক্তভোগী আবু সুফিয়ান বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়ার কথা বলে মন্ত্রীর গাড়িচালক ও এক ভাগনে টাকা নিয়েছিলেন। আমি সাতজন চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে সাড়ে ৯ লাখ টাকা তুলে তাদের দিয়েছিলাম। আজ প্রতিমন্ত্রীর একজন প্রতিনিধি ডিবি কার্যালয়ে এসে টাকা ফেরত দিয়েছেন। ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার (এডিসি) ফজলে এলাহী আমাদের টাকা বুঝিয়ে দিয়েছেন।’ এর আগে, গত ৭ ডিসেম্বর ঘুষের টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে পাওনাদারদের মন্ত্রীর বাসায় ডেকে নিয়ে মারধর করা হয়। ওইদিন ভুক্তভোগী তিনজনের মধ্যে দুজন মন্ত্রীর বাসা থেকে নির্যাতিত হয়ে পালিয়ে যান। আবু সুফিয়ান নামের একজন প্রাণ বাঁচাতে মন্ত্রীর বাসার দেওয়াল টপকে ডিবি কার্যালয়ে ঢুকে পড়েন। এ সময় তাকে আটক করেন ডিবি সদস্যরা। সবশেষ গত শুক্রবার আবু সুফিয়ানকে ছেড়ে দেয় ডিবি পুলিশ। এর মধ্যে মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠজনেরা আবু সুফিয়ানের সঙ্গে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেন। পরে আবু সুফিয়ানের কাছে যে পরিমাণ টাকার ডকুমেন্ট রয়েছে সেই পরিমাণ টাকা ফেরত দেবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।  

জাতীয়

বগুড়া জেলার সেরা জয়িতা সম্মাননা পেলেন চেয়ারম্যান তৃপ্তি।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বগুড়া জেলার সেরা জয়িতা সম্মাননা পেলেন চেয়ারম্যান তৃপ্তি। অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারি নারী হিসেবে বগুড়া জেলার শ্রেষ্ঠ জয়িতা নির্বাচিত হয়েছেন আদমদীঘির সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নাহিদ সুলতানা তৃপ্তি। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) রোকেয়া দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে নাহিদ সুলতানার অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ জয়িতা সম্মাননা তুলে দেন জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম। বিকেলে তৃপ্তি উদ্দ্যেক্তা হওয়ার গল্প তুলে ধরে জানান, ১৯৯৯ সালে নিজের সোনার গহনা বিক্রি করে মাত্র ১৫ হাজার টাকা ও ৩০ হাজার টাকা মামার কাছ থেকে ধার নেন। মোট ৪৫ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করেন পোল্ট্রি মুরগীর খামার। নাম দেন তৃপ্তি পোলট্রি ফার্ম। ব্যবসায়িকভাবে সেখানে সফল হয়েছেন। বর্তমানে তিনি ছাতনীতে গড়ে তুলেছেন থ্রী-ষ্টার ম্যাটস ইন্ডাষ্ট্রিজ। যেখানে জীবিকা নির্বাহ করছে প্রায় ৫ শতাধিক নারী-পুরুষ। পরে গত ২০২২ সালে সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। অর্জন সর্ম্পকে জানান, ২০০৯ সালে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয় আত্মকর্মসংস্থানের জন্য নারী উদ্যোক্তা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক সম্মাননা ক্রেষ্ট ও সনদ পেয়েছেন। শুধু তাই নয় বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক পুরস্কার ও সনদ পেয়েছেন।

জাতীয়

সিলেট গ্যাসক্ষেত্রের ১০ নম্বর কূপ খনন। প্রতি দুই ঘন্টায় ৭০ ব্যারেল উঠবে।

বিলেতের আয়না ডেক্স :– সিলেট গ্যাসক্ষেত্রের ১০ নম্বর কূপ খনন। প্রতি দুই ঘন্টায় ৭০ ব্যারেল উঠবে। সিলেট গ্যাসক্ষেত্রের ১০ নম্বর কূপ খনন করে গ্যাসের পাশাপাশি তেলের সন্ধান পাওয়া গেছে। এই কূপ থেকে আগামী ১৫ বছরেরও বেশি সময় তেল উত্তলন করা যাবে। যার সুফল পাওয়া যাবে প্রায় ২০ বছর পর্যন্ত। রোববার (১০ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বড় সুখবর হলো প্রথম স্তরে আমরা তেলের সন্ধান পেয়েছি। প্রথম দিন ২ ঘণ্টায় ৭০ ব্যারেল তেল উঠেছে। আমরা এটাকে আপাতত বন্ধ রেখেছি। আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে, মজুতটা আমরা পরে জানব। আগামী ২০ বছর এখান থেকে সুফল পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পুরো বিষয়টি বলা যাবে আরও চার থেকে পাঁচ মাস পর। প্রতিমন্ত্রী জানান, গ্যাস ছাড়াও এ কূপে উপরের দিকে ১ হাজার ৩৯৭ থেকে ১ হাজার ৪৪৫ মিটার গভীরতায় আরও একটি জোন পাওয়া গেছে। যেখানে গত শুক্রবার পরীক্ষা করে তেলের উপস্থিতি পাওয়া যায়। যার প্রাথমিকভাবে এপিআই গ্রাভিটি ২৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি। সেলফ প্রেসারে প্রতি ঘণ্টায় ৩৫ ব্যারেল তেলের প্রবাহ পাওয়া যাচ্ছে। পরীক্ষা সম্পন্ন হলে মোট তেলের মজুত জানা যাবে। সিলেটে ১০ নম্বর কূপে ৪৩-১০০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সন্ধান দেশে বর্তমানে ৮.৪৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুত রয়েছে তিনি বলেন, একযোগে উৎপাদন করা হলে এই কূপটি প্রায় ৮ থেকে ১০ বছর সাসটেইন করবে। যদি ২০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে উৎপাদন করা হয়, তাহলে কূপটি ১৫ বছরেরও বেশি সময় সাসটেইন করবে। সব মিলিয়ে এখান থেকে প্রায় ২০ বছর সুফল পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, তেলের যে অংশ আছে সেটা আমরা তিনটি জায়গায় পরীক্ষা করতে দিয়েছি। আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আমরা মজুত কত সেটা বলতে পারব। একটি সুখবর হলো গ্যাস এবং তেলের স্তর ভিন্ন। আগে আমাদের গ্যাসের সঙ্গে কিছু তেল আসত। এখন তেলটা আলাদা হয়ে গেছে। এটা সুখবর সবার জন্য। তিনি বলেন, গ্যাসক্ষেত্রের ১০ নম্বর কূপ খনন করে চার স্তরে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। কূপে ২ হাজার ৫৭৬ মিটার গভীরতায় খনন সম্পন্ন করা হয়। এই কূপে চারটি স্তরে গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। নিচের স্তরটি ২৫৪০-২৫৫০ মিটার টেস্ট করে ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের প্রবাহ পাওয়া যায়। এর ফ্লোয়িং প্রেসার ৩২৫০ পিএসআই। এখানে গ্যাসের মজুতের পরিমাণ ৪৩-১০০ বিলিয়ন ঘনফুট। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ২৪৬০-২৪৭৫ মিটারে আরও একটি ভালো গ্যাস স্তর পাওয়া যায়, এখানে টেস্ট করলে ২৫-৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। ২২৯০-২৩১০ মিটারে গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। উল্লেখ্য, সিলেট তামাবিল-জাফলং মহাসড়কের পাশে গোয়াইনঘাট উপজেলার আলীরগাঁও ইউনিয়নের বাঘের সড়ক এলাকায় অবস্থিত এই অনুসন্ধান কূপে দুই মাস আগে খনন কাজ শুরু করে সরকারি প্রতিষ্ঠান সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড কোম্পানি। গত ১৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কূপটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। এসএইচআর/এসকেডি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীবিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।

জাতীয়

আজ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আজ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য—‘সবার জন্য মর্যাদা, স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার’। দেশের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন মানববন্ধন, আলোচনাসভাসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করবে। ১৯৪৮ সালের এই দিন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়। পরে ১৯৫০ সালের ১০ ডিসেম্বর দিনটিকে জাতিসংঘ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য লড়াই-সংগ্রাম করেছেন। তিনি বাংলাদেশের সংবিধানে সুনিপুণভাবে মানবাধিকারের বিষয়গুলো সন্নিবেশিত করেছিলেন। এই সাংবিধানিক অধিকার তথা মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে ফিলিস্তিনসহ বিশ্বের সব নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার হতে সবার প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, মানুষের মৌলিক অধিকার ও চাহিদা নিশ্চিতের পাশাপাশি সবার নিরাপত্তা বিধান, স্বাধীনতা ও মর্যাদা সমুন্নত রাখাই মানবাধিকার। প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, ‘পঁচাত্তরের পনেরো আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার পর এদেশে মানবাধিকার বলে আর কিছু ছিল না। খুনিদের যাতে কেউ বিচার করতে না পারে, সেজন্য দায়মুক্তি অধ্যাদেশে প্রণয়ন করে আমাদের স্বজনদের হত্যার বিচার চাওয়ার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর সেই কালো আইন বাতিল করে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। এরপর থেকে আমরা সবার মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচারের ব্যবস্থা করেছি।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উদ্যোগে ‘বিশ্ব মানবাধিকার দিবস’ পালন করা হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। এ উপলক্ষে তিনি বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে বিশ্বের শোষিত-নিপীড়িত মানুষের ন্যায়সংগত সংগ্রামের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন।

Scroll to Top