ডিসেম্বর ৮, ২০২৩

জাতীয়

সারা দেশে ৩৩৮ থানার ওসি বদলি।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সারা দেশে ৩৩৮ থানার ওসি বদলি। সারা দেশের ৩৩৮টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বদলি করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুমোদনের পর ওসিদের বদলি করা হলো। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে, আজ বৃহস্পতিবার সকালে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা দেশের ৩৩৮ থানার ওসিকে বদলির অনুমোদন দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একইসঙ্গে সারা দেশের ১৫৮ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও (ইউএনও) বদলির প্রস্তাব অনুমোদন করে ইসি। ইসি সূত্রে জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে যেসব ওসি বর্তমান কর্মস্থলে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চাকরি করছেন প্রথমে তাদের; পরে পর্যায়ক্রমে সারা দেশে ওসি বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও আইজিপিকে চিঠি পাঠিয়ে ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ওসিদের বদলির প্রস্তাব ইসিতে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পরে নির্বাচন কমিশন বদলির প্রস্তাব পাঠাতে আরও তিন দিন সময় বাড়ায়। সারা দেশে বর্তমানে ৬৫০টিরও বেশি থানা রয়েছে

জাতীয়

দেশে কোনো অবস্থাতেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেওয়া যাবে না – প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- দেশে কোনো অবস্থাতেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেওয়া যাবে না – প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। একটি অপশক্তি বিশৃঙ্খলা করতে চেষ্টা করবে। কোনো অবস্থাতেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেওয়া যাবে না। এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের একসাথে কাজ করতে হবে।’ বৃহস্পতিবার রাতে টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ বাসভবনে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সাথে বৈঠক কালে এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা নির্বাচনী আচরণ বিধি মেনে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণার আহবান জানিয়ে বলেন, নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ করা যাবে না। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত নির্বাচন আচরণ বিধি প্রতিপালন করতে হবে। এর কোন ব্যত্যয় ঘটানো যাবে না। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালাতে হবে। জনগনের দোরগোড়ায় যেতে হবে। সরকারের সাফল্যের কথা তুলে ধরতে হবে। সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করে রাজপথে নামাতে হবে । আমার মা,বাবা, ভাই নেই। আপনারাই আমার সব। আমার সব কিছুই আপনারা দেখবেন। বাসন্তী প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থেকে বাসন্তীর জন্য কিছুই করেনি। শুধু ফায়দা লুটেছে। আমি পায়ে হেঁটে বাসন্তীর বাড়ি গিয়েছিলাম। আওয়ামী লীগ এখন ক্ষমতায়। আমরা বাসন্তীর অবস্থার পরিবর্তন করেছি। এ সময় গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী থান, সাধারণ সম্পাদক জিএম সাহাব উদ্দিন আজম, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবুল বাশার খায়ের, সিনিয়র সহসভাপতি মোঃ ইলিয়াস হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাবুল শেখ, পৌর মেয়র শেখ  তোজাম্মেল হক টুটুল, টুঙ্গিপাড়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফোরকান বিশ্বাসসহ টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সন্ধ্যার পর প্রায় ১ ঘন্টা এ বৈঠক চলে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতা এ তথ্য জানান। এদিকে বৃহস্পতিবার (০৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা থেকে ২ দিনের সফরে টুঙ্গিপাড়া এসে পৌঁছান। তারপর তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ বেদীতে পুস্পস্তবক অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বেদীর পাশে কিছুক্ষণ নীরবে দাড়িয়ে থেকে জাতির মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন। পরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ শেখ হাসিনা ফাতেহা পাঠ করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের শহীদ ও মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মউৎসর্গকারী ৩০ লাখ শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন বিশেষ দোয়া-মোনাজাতে অংশ নেন। প্রার্থনা শেষে দেশের সুখ, শান্তি, অগ্রগতি, অব্যাহত উন্নয়ন ও কল্যাণের জন্য। বেলা পৌনে ১ টায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ঢাকার সরকারী বাসভবন গনভবন থেকে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে সড়কপথে রওনা হন। পদ্মাসেতু হয়ে তিনি বিকাল ৪ টায় টুঙ্গিপাড়া এসে পৌঁছান। শুক্রবার (০৮ ডিসেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমে টুঙ্গিাপাড়া ও পরে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে বৈঠক করবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। নেতা-কর্মীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনে বেশ উৎফুল্ল এবং তার নির্দেশনার জন্য অধীর আগ্রহে প্রহর গুনছেন। নির্বাচনী আচরন বিধি লংঘন যাতে না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সফরে কোন রাজনৈতিক কর্মসূচীতে অংশ নিচ্ছেন না বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে কেন্দ্র করে টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়ায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করেছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

জাতীয়

সৌদি আরবে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, সব আরোহী নিহত।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সৌদি আরবে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, সব আরোহী নিহত। সৌদি আরবের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার একটি প্রশিক্ষণ মিশনের সময় তাদের একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে।  এতে বিমানে থাকা সব সেনা নিহত হয়েছে।  তবে বিমানটিতে ঠিক কতজন সেনা ছিল তা জানা যায়নি। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তুর্কি আল মালিকি জানান, দাহরানের কিং আবদুল আজিজ বিমান ঘাঁটিতে নিয়মিত প্রশিক্ষণের সময় একটি এফ-১৫ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। তবে কী কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে তা জানার জন্য তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এর আগে গত জুলাইয়ে খামিস মুশাইতে প্রশিক্ষণের সময় সৌদি আরবের একটি এফ-১৫ বিমান বিধ্বস্ত হয়। গত বছরের নভেম্বরে কিং আবদুল আজিজ বিমান ঘাঁটিতে কারিগরি ত্রুটির কারণে আরেকটি এফ-১৫ বিমান বিধ্বস্ত হয়। সূত্র: আল আরাবিয়া

জাতীয়

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৭৯ বিদেশি পর্যবেক্ষক দল আসবে।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৭৯ বিদেশি পর্যবেক্ষক দল আসবে। আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেখতে চান ১৭৯ বিদেশি পর্যবেক্ষক। যাদের মধ্যে ১৩১ পর্যবেক্ষক এবং ৪৮ জন সাংবাদিক রয়েছেন। সবমিলিয়ে ইসির দেওয়া নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন দেখতে আগ্রহী ১৭৯ জন আবেদন করেছেন। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার ছিল বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আবেদন করার শেষ দিন। এসময় ১৩১ পর্যবেক্ষক হিসেবে আর সাংবাদিক হিসেবে ৪৮ জন আবেদন করেছেন। মোট আবেদন করেছেন ১৭৯ জন। ইসির দেওয়া অনুমোদন সাপেক্ষে তারা পর্যবেক্ষক হিসেবে আসতে পারবেন। এ বিষয়ে ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম জানিয়েছে, আবেদনকারীদের আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে অনুমোদন দেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আসতে পারবেন। আবেদনগুলো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের মতামত এলে তা কমিশনের কাছে উত্থাপন করা হয়। ১১০ ইউএনও বদলির অনুমোদন ইসির তিনি জানান, বিদেশি পর্যবেক্ষকদের মধ্যে যারা আবেদন করেছেন মন্ত্রণালয় থেকে যাদের বিরুদ্ধে আপত্তি দেয়া হবে, তাদের অনুমোদন দেয়া হবে না। আর যাদের অনাপত্তি দেবে, তারা ভোট দেখার অনুমোদন পাবেন। এদিকে ইসি সূত্রে জানিয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেখার জন্য ৩৪টি দেশের নির্বাচন কমিশন ও ৪টি সংস্থার ১১৪ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। পর্যবেক্ষণে আসলে তাদের স্থানীয় যাতায়াত ও থাকা-খাওয়ার সব ব্যয় বহন করবে ভোট আয়োজনকারী সংস্থাটি। আমন্ত্রিত দেশগুলো হলো-ভারত, ভুটান, মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলংকা, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স, জর্জিয়া, ইন্দোনেশিয়া, কাজাখস্তান, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, মিসর, তুরস্ক, উজবেকিস্তান, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, সেনেগাল, থাইল্যান্ড, আজারবাইজান, মালয়েশিয়া, মরিশাস, তিউনিশিয়া, ব্রুনাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ওমান, কুয়েত, সৌদি আরব, চীন, জাপান ও সিঙ্গাপুর। এ ছাড়া সার্ক ও ওআইসি মহাসচিব, ফেম্বোসা ও এ-ওয়েব চেয়ারপারসনকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। যদিও আমন্ত্রিতদের মধ্যে শ্রীলংকান নির্বাচন কমিশন না আসতে পারার কথা জানিয়েছে।

জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন। দুশ্চিন্তায় বেড়ে গেছে।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন। দুশ্চিন্তায় বেড়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র নতুন শ্রমনীতি ঘোষণার পর বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। এবার সেই দুশ্চিন্তা আরও কিছুটা বাড়ল। শ্রম অধিকার সুরক্ষায় ঘোষিত নতুন এই শ্রমনীতির কারণে বাংলাদেশ নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়লে পণ্য না নেওয়া কিংবা অর্থ পরিশোধ না করার শর্ত দিয়ে ইতোমধ্যে একটি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান তৈরি পোশাকের ঋণপত্র দিয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান। বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্র তাদের কূটনৈতিক এবং রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় উপায় হিসেবে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাকে কাজে লাগায়। বিভিন্ন দেশ এবং সংস্থার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং কার্যকরের জন্য কাজ করে যুক্তরাষ্ট্রের অফিস অব ফরেন অ্যাসেটস কন্ট্রোল। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের আওতাধীন এ অফিসটি। অফিস অব ফরেন অ্যাসেটস কন্ট্রোল-এর ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা ব্যাপক ও সমন্বিতভাবে হতে পারে। এছাড়া নির্দিষ্ট ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা দেশের ওপরও হতে পারে। যাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া তাদের সম্পত্তি জব্দ করা হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র তার বৈদেশিক নীতি কিংবা জাতীয় নিরাপত্তার লক্ষ্য অর্জনের জন্য এ ধরণের পদক্ষেপ নেয়। নিষেধাজ্ঞার ধরন যুক্তরাষ্ট্র যখন কোনো বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেয় তখন সেটি দু’ধরণের হতে পারে। একটি হচ্ছে- কোন দেশের সাথে আমদানি-রফতানি কিংবা লেনদেন সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়া। দ্বিতীয়টি হচ্ছে– নির্দিষ্ট কিছু পণ্য বা সেবার আমদানি-রফতানি নিষিদ্ধ করা। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অনুমতি ছাড়া সেসব দেশের সাথে কোনো ব্যবসা করতে পারবে না। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীন ও বেসরকারি থিংক-ট্যাংক কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন্স-এ প্রকাশিত এক নিবন্ধে জনাথন মাস্টার্স লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি ব্যবহার করে। এই নিষেধাজ্ঞা তারা দু’ভাবে আরোপ করতে পারে। একটি হচ্ছে- প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে, আরেকটি হচ্ছে- কংগ্রেসে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে। ১৯৫০ সালে চীন যখন কোরিয়া যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে তখন অফিস অব ফরেন অ্যাসেটস কন্ট্রোল গঠন করে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যান জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের আওতায় থাকা চীন ও উত্তর কোরিয়ার সব সম্পত্তি আটকে দেয়। বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার ওপর নানা কারণে বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে রয়েছে সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকা, মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকা, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত করা। ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে, ২০টির বেশি দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নানা ধরণের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এসব দেশের মধ্যে রয়েছে মিয়ানমার, উত্তর কোরিয়া, ইরান, ভেনিজুয়েলা, কিউবা, বেলারুশ, রাশিয়া, জিম্বাবুয়ে, সিরিয়া। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বখ্যাত সাময়িকী ফরেন পলিসির এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে প্রথম বছরেই ৭৬৫টি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বিশ্বজুড়ে। এর মধ্যে ১৭৩টি নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন ক্ষমতাসীন হওয়ার আগ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে নয় হাজার ব্যক্তি, কোম্পানি, বিভিন্ন সেক্টর এবং কিছু দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। যেসব পন্থা ব্যবহার হয় একটি দেশের ওপরে যখন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয় তখন সেটিকে ‘কান্ট্রি-বেইজড’ বা ‘দেশ-ভিত্তিক’ নিষেধাজ্ঞা বলা হয়। এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দেশের সাথে সব ধরণের বাণিজ্য ও লেনদেন নিষিদ্ধ থাকে। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার লিস্ট-বেইজড নিষেধাজ্ঞার পন্থা অবলম্বন করেছে। এটি ‘স্মার্ট নিষেধাজ্ঞা’ হিসেবে পরিচিত। এর আওতায় পুরো দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞার পরিবর্তে নির্দিষ্ট ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, সংস্থা, সংগঠনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। অফিস অব ফরেন অ্যাসেটস কন্ট্রোল-এর অ্যাটর্নি অফিস বলছে, ‘স্মার্ট নিষেধাজ্ঞার’ মাধ্যমে টার্গেট করা ব্যক্তিদের ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়। এতে দেশের সব জনসংখ্যার ওপরে প্রভাব পড়ে না। এছাড়া নির্দিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলে সেটি বাস্তবায়ন করা সহজ হয়। বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার মধ্যে কয়েকটি বিষয় থাকতে পারে : ১. যেসব দেশ থেকে পণ্য আমদানি করা হবে সেগুলোর শুল্ক বাড়িয়ে দেয়া। এতে করে সেই দেশের পণ্যের দাম যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বৃদ্ধি পাবে। ফলে আমদানিকারকরা সেসব পণ্য আনতে নিরুৎসাহিত হবে এবং অন্যদেশ থেকে পণ্য আমদানির বাজার খুঁজবে। ২. যেসব দেশ কিংবা সেক্টরের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে সেসব দেশ থেকে পণ্য আমদানির ওপর একটি সীমা আরোপ করতে পারে। অর্থাৎ পুরোপুরি ব্যবসা বন্ধ না করে সেসব দেশ থেকে পণ্য আমদানির পরিমাণ কমিয়ে আনতে পারে। ৩. যেসব দেশ, ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের ওপর বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয় তাদের সম্পত্তি জব্দ করা হতে পারে। এছাড়া বিভিন্ন ধরণের অশুল্ক বাধা তৈরি করে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। দেশে দেশে নিষেধাজ্ঞা বিভিন্ন দেশের ওপর নানা কারণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০০৩ সালে জিম্বাবুয়ের কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। জিম্বাবুয়ের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে অবজ্ঞা করার অভিযোগে এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল। এর আওতায় যাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল, তাদের পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তিও জব্দ করা করা হয়েছিল। এদের মধ্যে কিছু ব্যক্তি ছিলেন যাদের সাথে জিম্বাবুয়ে সরকারের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। তবে জিম্বাবুয়ের পুরো সরকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি। এছাড়া রাষ্ট্র হিসেবে জিম্বাবুয়ের সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়নি। ল্যাটিন আমেরিকার দেশ কিউবার ওপর অনেক আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের নানা ধরণের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, যার মধ্যে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা অন্যতম। যুক্তরাষ্ট্র ১৯৬৩ সালে কিউবার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। এর আওতায় কিউবা থেকে সব ধরণের আমদানি রফতানি নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর ২০০০ সালে সে নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল করে কিউবাতে চিকিৎসা সামগ্রী ও কৃষিজ পণ্য রফতানির অনুমতি দেয় যুক্তরাষ্ট্র। কিউবার সামরিক বাহিনীর সাথে সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন করতে না পারে সেজন্য ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এই নিষেধাজ্ঞা দেবার সময় যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল, কিউবার সামরিক বাহিনী দ্বারা পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলো দেশটির সাধারণ মানুষের পাঠানো রেমিটেন্সের উপর ভর করে সুবিধা নিচ্ছে। ল্যাটিন আমেরিকার আরেকটি দেশ ভেনিজুয়েলার ওপর আমেরিকার নানাবিধ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এরই মধ্যে কিছু নিষেধাজ্ঞা রয়েছে দেশটির সরকারকে দুর্বল করার জন্য। যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন অ্যাসেটস কন্ট্রোলের ওয়েবসইটে বলা হয়েছে, ভেনিজুয়েলার অবৈধ সরকারের রাজস্ব আহরণ সীমিত করা এবং জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য এসব নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এছাড়া ভেনিজুয়েলার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার বিপক্ষে যারা কাজ করেছে তাদের ওপরও এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। ইরানের ওপর ১৯৭৯ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র আরোপিত নানা ধরণের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র দাবি করছে, ইরানের শাসক গোষ্ঠীর রাশ টেনে ধরার জন্য এসব নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে, জনগণকে ক্ষতিগ্রস্ত করা তাদের উদ্দেশ্য নয়। নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানের অর্থনীতি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে দশকের পর দশক নিষেধাজ্ঞার কবলে থাকার কারণে ইরান পরিস্থিতির সাথে অনেকটাই খাপ খাইয়ে নিয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। উত্তর কোরিয়ার ওপর আমেরিকার বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এর ফলে উত্তর কোরিয়ার সাথে আমদানি-রফতানি ও বিনিয়োগ নিষিদ্ধ করা হয়। নিষেধাজ্ঞা কতটা কাজে লাগে? যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা কতটা ফল দেয় সেটি নিয়ে নানা বিতর্ক রয়েছে। ইকনোমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট-এর গ্লোবাল ফোরকাস্টিং ডিরেক্টর আগাথি ডেমারাইস চলতি বছরের এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমে এনপিআরকে বলেন, বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা হয় দ্রুত কাজ করে, নয়তো কখনোই কাজ করে না। ‘যাদের টার্গেট করে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়, সেসব দেশের অর্থনীতিতে নিষেধাজ্ঞা একটি বড় ধাক্কা দেয়। যদি ছোট অর্থনীতির দেশ হয় তাহলে দু’টি বিষয় হতে পারে। তারা হয়তো দ্রুত যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তাদের মতবিরোধ কমিয়ে আনতে পারে, নয়তো

জাতীয়

ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় যুক্ত হলো ইফতার।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় যুক্ত হলো ইফতার। জাতিসংঘের সংস্থা ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় যুক্ত হলো ইফতার। পবিত্র রমজান মাসে মুসলিমদের ইফতারকে বুধবার বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করেছে ইউনেস্কো। খবর এএফপির। সামাজিক-সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যটিকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য একসঙ্গে জাতিসংঘের শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (ইউনেস্কো) এর কাছে আবেদন করেছিল ইরান, তুর্কি, আজারবাইজান ও উজবেকিস্তান। ইউনেস্কো বলেছে, ‘সমস্ত ধর্মীয় ও আনুষ্ঠানিক আচার-অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার পরে মুসলমানরা রমজান মাসে সূর্যাস্তের সময় ইফতার পালন করে। পবিত্র মাসে প্রার্থনার জন্য সূর্যাস্তের অপেক্ষার পর একসঙ্গে পরিবার ও সম্প্রদায়ের সবাই মিলে ইফতার করে থাকে। এর মাধ্য  ভালো বন্ধন, দান, সংহতির মতো সামাজিক বিনিময় ঘটে থাকে। সোমবার থেকে বতসোয়ানায় মিটিং করছে আন্তঃসরকারি কমিটি ফর দ্য সেফগার্ডিং অব ইনট্যাঞ্জিবল কালচারাল হেরিটেজ কমিটি। তারাই বহু পুরনো ঐতিহ্যবাহী মুসলিম এই রীতিকে স্বীকৃতি দিয়েছে। জাতিসংঘের সংস্থাটি বলেছে, ‘ইফতার সাধারণত পরিবারের মধ্যেই গ্রহণ করা হয়। পরিবারের ছোট বড় সকলে ইফতার বনানোর দায়িত্ব নেয়।’ এছাড়াও ইউনেস্কোর বৈশ্বিক ঐতিহ্যের তালিকায় যোগ করা হয়েছে ইতালীয় অপেরা গান।

জাতীয়

বেগম রোকেয়া পদক-২০২৩ পাচ্ছেন পাঁচ নারী।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বেগম রোকেয়া পদক-২০২৩ পাচ্ছেন পাঁচ নারী। নারী শিক্ষা, নারী অধিকার, নারীর আর্থ সামাজিক উন্নয়ন, পল্লী উন্নয়ন এবং নারী জাগরণে উদ্বুদ্ধকরণ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও গৌরাবোজ্জ্বল ভূমিকা পালনে স্বীকৃতিস্বরূপ বেগম রোকেয়া পদক-২০২৩ পাচ্ছেন পাঁচ নারী। বৃহস্পতিবার (০৭ ডিসেম্বর) বেগম রোকেয়া দিবস ও বেগম রোকেয়া পদক ২০২৩ প্রদান উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এ কথা জানান। এসময় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা জনবা মো. শাহেনুর মিয়া, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন ও বেগম রোকেয়া পদক ২০২৩ প্রদান উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৯ ডিসেম্বর সকাল ১০ টায় প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করবেন। অনুষ্ঠানটি ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে। বেগম রোকেয়া দিবস ২০২৩ অনুষ্ঠানে ৫ জন বিশিষ্ট নারীকে বেগম রোকেয়া পদক প্রদান হবে। পদক প্রাপ্তরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে পদক গ্রহণ করবেন। পদক প্রাপ্ত প্রত্যককে আঠারো ক্যারেট মানের পঁচিশ গ্রাম স্বর্ণ নির্মিত একটি পদক, পদকের রেপ্লিকা, চার লাখ টাকার চেক ও সম্মাননাপত্র প্রদান করা হবে। পদক প্রাপ্ত ৫ জন বিশিষ্ট নারী ও তাদের অবদানের ক্ষেত্র হলো : নারী শিক্ষায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপচার্য খালেদা একরাম, মরণোত্তর (ঢাকা জেলা)। নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় ডা. হালিদা হানুম আখতার (রংপুর জেলা)। নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কামরুন্নেছা আশরাফ দিনা, মরণোত্তর (নেত্রকোনা জেলা)। নারী জাগরণে উদ্বুদ্ধকরণে নিশাত মজুমদার (লক্ষীপুর জেলা)। পল্লী উন্নয়নে রনিতা বালা (ঠাকুরগাঁও জেলা)। তিনি বলেন, জাতির পিতা ১৯৭২ সনে সংবিধানে নারীর সমঅধিকার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে বাংলাদেশে নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের প্রতিষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত নারীদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে নারী পুনর্বাসন বোর্ড গঠন করেন। মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত নারীদের গোপনীয়তা রক্ষার জন্য ভারত, জাপান, জার্মান, ব্রিটেন ও রাশিয়া থেকে ডাক্তার এনে চিকিৎসা করেন। নির্যাতিত মহিলাদের বীরাঙ্গনা উপাধি দিয়ে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেন ও তাদের যুদ্ধ শিশুদের পুনর্বাসন করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার তাদের বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট জারি করেছে। নির্যাতিত কন্যাদেরকে বিয়ের ব্যবস্থা করে পারিবার ও সমাজে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেন। বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সনে প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় নারী শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সমবায়, কৃষি, কুটিরশিল্পসহ বিভিন্ন বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত করেন। নারীদের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক ক্ষমতায়নের জন্য চাকরিতে ১০ শতাংশ কোটার ব্যবস্থা রাখেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৩০ সালে কর্মস্থলে নারীর অংশগ্রহণ ৫০:৫০ উন্নীত করার ঘোষণা করেছেন। সে অঙ্গীকার বাস্তবায়নে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ৩৫ টি বিভিন্ন ট্রেডে ৭ লাখ নারীকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। শিক্ষা, চাকুরি, ব্যবসা ও আত্মকর্মসংস্থান সকল ক্ষেতে নারীর আজ সফল অগ্রযাত্রা। নারীরা দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশে আজ নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বে রোল মডেল। সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় সর্ব শীর্ষে এবং নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বিশ্বে ৭ম। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বেগম রোকেয়া দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণীসহ বিশেষ ক্রোড়পত্র ও স্মরণিকা প্রকাশ করা হবে। বেগম রোকেয়া দিবস ও পদক প্রদান উদযাপন অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। দেশের সকল জেলা ও উপজেলায় নারী উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন ও অধিকার বিষয়ে প্রচার ও সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আলোচনাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। টেলিভিশন ও রেডিওতে নারীর অধিকার ও সমতা প্রতিষ্ঠায় বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। নারী শিক্ষা, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সচেতনতা বৃদ্ধি করতে ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার বিতরণ ও স্থাপন করা হবে।

Scroll to Top