ডিসেম্বর ৭, ২০২৩

জাতীয়

বায়েজিদ শেরশাহ গ্যাসের চুলা থেকে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত! নিরাপত্তাহীনতায় এলাকাবাসী

বিলেতের আয়না :- মোহাম্মদ মাসুদ বিশেষ প্রতিনিধি বায়েজিদ শেরশাহ গ্যাসের চুলা থেকে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত! নিরাপত্তাহীনতায় এলাকাবাসী চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানাধীন শেরশাহ এলাকায় ইমরাতুন্নেসা সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এর সামনে ২টি বসতঘর ১৮কক্ষের টিনসেঠ কলোনি বস্তিতে আকস্মিক আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষয়ক্ষতি। এতে আগুনে পুড়ে ছাই ও নিঃস্ব হয়ে পড়েছে সাধারণ গার্মেন্টস শ্রমিক খেটে খাওয়া সাধারণ ভাড়াটিয়া প্রায় ২০ পরিবার। ভবিষ্যতে নিরাপদ নিশ্চয়তায় নিরাপত্তাহীনতায় এলাকাবাসী। আজ ৭ডিসেম্বর,সকাল ৮টা ৪০ মিনিট এর সময় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে লাইন গ্যাসের রান্নার চুলা থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের সক্রিয়তায় ও এলাকার মানুষের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা ও নিরাপদ হয় আশপাশের মানুষ ও এলাকাবাসি। তবে আকষ্মিক অগ্নিকান্ডে ভবিষ্যত নিরাপদ নিশ্চয়তায় নিরাপত্তাহীনতায় এলাকাবাসী। ঘটনাস্থল প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকার মানুষ আগুনের সূত্রপাতের জেরে কারণ হিসেবে রান্নাঘরের গ্যাসের লাইন থেকেই আগুন ধরেছে বলে ধারণা করা হয়। আগুন লাগার দুইটি বসত ভাড়াঘর প্রতিটি ছিল ৯কক্ষ বিশিষ্ট। আলাদা আলাদা কক্ষে অসহায় সাধারণ গার্মেন্টস শ্রমিক ও সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের বসবাস ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতো। অগ্নিকাণ্ড ঘটনাস্থলের পতক্ষ্যদর্শী ও ক্ষতিগ্রস্তরা জানায়,সাড়ে ৮টা.৪০মিনিটের দিকে আগুন লাগলেও বায়জিদে কাছের ফায়ার সার্ভিস থাকা সত্বেও প্রায় এক ঘন্টা সময় লাগে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস আসতে। বিলম্বের কারণেই আমাদের আগুনে পুড়ে সবকিছু ছারখার হয়ে যায়। ঘটনাস্থল এর কাছাকাছি পাশে পুকুর থাকাতে ফায়ার সার্ভিসের সক্রিয়তায় ও এলাকার মানুষের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি থেকে আশপাশের মানুষ ও এলাকার রক্ষা পায়। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের চট্টগ্রাম ডিভিশন আগ্রাবাদ স্টেশনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (এম.ও) নিয়ন্ত্রণ কক্ষের তথ্যসূত্রে জানা যায়,দুইটি বসতঘর আগুনে ক্ষয়ক্ষতি ২ লক্ষ টাকার মতো এবং ১০ লক্ষ টাকার মালামাল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস বায়জিদ এর একটি ইউনিটের ২০ সদস্য বিশিষ্ট ফায়ার ফাইটার কর্মী ও তিনটা গাড়ি কাজ করেছে। আগুন লাগার খবরের সাথে সাথেই আগুন নিভাতে সক্ষম হয়। ফায়ার সার্ভিস বায়জিদ ইউনিট এর সিনিয়র স্টেশন অফিসার কামরুজ্জামান বলেন,সকাল ৯:৩৫ মি.এ আগুন লাগার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে হাজির হই। ৩মিনিটের মধ্যে ফায়ার সার্ভিস ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সক্ষম হয়। লাইন গ্যাসের চুলা থেকে আগুনের সূত্রাপাত ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মিনিট ১০এর ভিতরে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এবং পুরোপুরি নিভিয়ে আনতে ও সক্ষম হয়। জনগণের নিরাপত্তা ও সহযোগিতায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় স্থানীয় বায়জিদ বোস্তামি থানা পুলিশের সক্রিয় পুলিশ টিম।

জাতীয়

প্রতিনিধি হাটহাজারীতে অবরোধে ককটেল বিস্ফোরণ নাশকতা মামলার পলাতক আটক

বিলেতের আয়না :- মোহাম্মদ মাসুদ বিশেষ প্রতিনিধি হাটহাজারীতে অবরোধে ককটেল বিস্ফোরণ নাশকতা মামলার পলাতক আটক চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার ককটেল বিস্ফোরণ এবং নাশকতা মামলার পলাতক আসামি ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক মোঃ গিয়াস উদ্দিন’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম। ৬ডিসেম্বর,বিকাল ৪টায়,হাটহাজারী থানাধীন ইস্টার্ন শপিং সেন্টার এলাকায় অবস্থানকালে এলাকায় অভিযানে মোঃ গিয়াস উদ্দিন (৩৬),কে আটক করে। আটকৃত গিয়াস উদ্দিন হাটহাজারী থানার ১০নং উত্তর মার্দাশা ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক পিতা-জহুরুল আলম,উত্তর মাদার্শা গ্রামের হাটহাজারী থানার বাসিন্দা। মামলার পলাতক আসামিদের ধরতে ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারি এবং ছায়াতদন্ত অব্যাহত নজরদারীর এক পর্যায়ে সন্দিগ্ধ পলাতক আসামি মোঃ গিয়াস উদ্দিন হাটহাজারী থানাধীন ইস্টার্ন শপিং সেন্টার এলাকায় অবস্থানকালে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে,অবরোধ কর্মসূচী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সড়কে যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি,ভাংচুর, ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে নাশকতা সৃষ্টি এবং বাদী ভিকটিমকে মারধর করে। ঘটনা ক্রমে,গত ২৯অক্টোবর,বিএনপির ডাকা অবরোধ চলাকালে রাত ১টায়,চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কে অবরোধ কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে কতিপয় দুস্কৃতিকারীরা সরকার বিরোধী বিভিন্ন ধরণের স্লোগান দিয়ে লাঠি-সোঠা, লোহার রড ইত্যাদি নিয়ে রাস্তায় যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি, সাধারণ জনগণের মাঝে ভয়-ভীতির উদ্দেশ্যে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নাশকতামূলক কর্মকান্ড সৃষ্টি করে। এসময় ভিকটিম জিসান চৌধুরী (২৩) বাড়ি ফেরার সময় হাটহাজারী পৌরসভা মুন্সি মসজিদ এর সামনে পৌছলে হাটহাজারী থানা এবং পৌরসভা বিএনপি’র নেতাকর্মীরা ভিকটিমের পথরোধ করে এলোপাথারি মারধর করে। এছাড়াও অবরোধকারীরা ভিকটিম এবং আওয়ামীলীগ সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে নাশকতাকারীরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থল হতে বিভিন্ন আলামত জব্দ করে। ঘটনায় ভিকটিম জিসান চৌধুরী বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানায় ৩৫ জন এজাহার নামীয় এবং অজ্ঞাতনাময় ৭০/৮০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নং-২৫, ধারা-১৪৩/৩৪১/ ৩২৩/ ৩০৭/৫০৬/১১৪ পেনাল কোড ১৮৬০ তৎসহ ১৯০৮ সনের The Explosive Substances act-3/4। আটক আসামি সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনে হাটহাজারী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।তথ্য নিশ্চিত করেছেন,র‍্যাব-৭এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মিডিয়া অফিসার নুরুল আফছার

Scroll to Top