ডিসেম্বর ৬, ২০২৩

জাতীয়

আওয়ামী লীগ-জাপা বিশেষ বৈঠক -৩৫ আসনে নৌকা প্রত্যাহার চায় জাতীয় পাটি।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আওয়ামী লীগ-জাপা বিশেষ বৈঠক –৩৫ আসনে নৌকা প্রত্যাহার চায় জাতীয় পাটি। আওয়ামী লীগের সঙ্গে এক বিশেষ বৈঠকে ৩৫টি আসনে নৌকার প্রার্থী প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির নেতারা। বুধবার (০৬ডিসেম্বর) রাতে গুলশানে আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতার বাসায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বলে দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে। নির্বাচনকালীন এই সময়ে এই বৈঠকটি রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। বৈঠকের একটি সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আসন্ন নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক এবং অর্থবহ করে ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করতে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করেন। জাতীয় পার্টির দাবির প্রেক্ষিতে আসন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে আওয়ামী লীগের নেতারা জাপা নেতাদের জানান। আরেকটি সূত্র জানায়, জাতীয় পার্টি থেকে ৩৮ জনের একটি তালিকা ওবায়দুল কাদেরের কাছে হস্তান্তর করেন জাপা মহাসচিব। বৈঠকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় পার্টির পক্ষে দলটির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এবং মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে জাতীয় পার্টির মহাসচিব জানান, আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলন করবে জাতীয় পার্টি। রাজধানীর বনানীতে দলটির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপিবিহীন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা) ও কিংস পার্টি নামে পরিচিতি পাওয়া দলগুলোর সঙ্গে আওয়ামী লীগের আসন সমঝোতা নিশ্চিত ছিল না। যদিও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মঙ্গলবার আভাস দেন, জাপার সঙ্গে আসন সমঝোতার আলোচনা হতে পারে। সন্ধ্যায় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু জানান, বুধবার (০৬ডিসেম্বর) আলোচনা হবে জাপার সঙ্গে। দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনের মতো এবারও জাতীয় পার্টির সঙ্গে কৌশলগত ঐক্যে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। মঙ্গলবার ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদের দুটি বক্তব্যের পর এমন ধারণা পাওয়া যায়। নির্বাচনে প্রথম অবস্থায় জাতীয় পার্টি ভোটে যাবে কি না- তা নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করার সময়ও নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের দল। মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচনে সংসদে প্রধান বিরোধীদল জাতীয় পার্টির সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কৌশলগত জোট হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির সঙ্গে মহাজোট গঠন করে ২০০৮ সালে আমরা নির্বাচন করেছিলাম। গতবার তারা আমাদের কৌশলগত জোট ছিল। এবারও সেটি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। হাছান মাহমুদের এমন বক্তব্য আসার কিছু পরেই ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর বাসায় বৈঠকে বসে ১৪ দলের শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ। এর আগে সোমবার রাতে জোট প্রধান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক হয় ১৪ দলের শীর্ষ নেতাদের। সেখানে আমু এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে শরিকদের আসন ভাগাভাগির দায়িত্ব দেওয়া হয়। মঙ্গলবার আমির হোসেন আমু সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন জোটগতভাবে হবে। বুধবার জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনা করবে আওয়ামী লীগ। জোটের আসন বিন্যাস ও প্রার্থী চূড়ান্ত করতে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের সঙ্গে জাতীয় পার্টিসহ আরো কয়েকটি দল নিয়ে গঠন করা হয় মহাজোট। ওই নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে মহাজোট। এরপর ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোটের বর্জনের পর আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট না করেই নির্বাচন করে জাতীয় পার্টি। ওই ভোটে জোট না থাকলেও জাতীয় পার্টির প্রার্থী ছিল। এমন ৩৪টি আসনে প্রার্থী দেয়নি আওয়ামী লীগ। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটে না থাকলেও ভোটে আসন ভাগাভাগি করে জাতীয় পার্টি। গত সংসদ নির্বাচনে তাদেরকে দেওয়া হয় ২৬টি আসন। এর মধ্যে তারা জয় পায় ২৩টিতে। এই সংসদেও বিরোধীদলের আসনে রয়েছে জাতীয় পার্টি।

জাতীয়

ইউনেস্কোর স্বীকৃতি লাভ করেছে বাংলাদেশের রিকশা ও রিকশা চিত্র।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ইউনেস্কোর স্বীকৃতি লাভ করেছে বাংলাদেশের রিকশা ও রিকশা চিত্র। ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করেছে ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্র। আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানার কাসানে শহরে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণবিষয়ক কনভেনশনের চলমান ১৮তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পরিষদের সভায় এই বৈশ্বিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। জামদানি বয়নশিল্প, শীতলপাটি বয়নশিল্প, বাউল গান ও মঙ্গল শোভাযাত্রার পর প্রায় ৬ বছরের বিরতিতে বাংলাদেশের পঞ্চম অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসাবে ‘ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্র এ স্বীকৃতি লাভ করেছে। বিগত ছয় বছর ধরে এই চিত্রকর্মের নিবন্ধন ও স্বীকৃতির প্রক্রিয়া চলমান থাকলেও প্রথম চেষ্টায় তা ব্যর্থ হয়। তবে ২০২২ সালে আবারও নথিটি জমাদানের সুযোগ প্রদান করা হলে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ও প্যারিসে বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় সম্পূর্ণ নথিটি নতুনভাবে প্রস্তুত করা হয়। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও সচিব খলিল আহমদ এ অর্জনকে বাংলাদেশের জন্য বিরল সম্মান হিসাবে অভিহিত করেন। এ ছাড়াও নিবন্ধন ও স্বীকৃতি প্রক্রিয়ায় অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য তারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর ও প্যারিসস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসকে অভিনন্দন জানান। বাংলাদেশের রিকশাচিত্র ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসাবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর সভায় উপস্থিত আন্তঃরাষ্ট্রীয় পরিষদের সদস্য, উপস্থিত মন্ত্রী, রাষ্ট্রদূতসহ শতাধিক দেশের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানান এবং এ চিত্রকর্মের বৈচিত্র্যপূর্ণ বহিঃপ্রকাশে তাদের সন্তুষ্টি ব্যক্ত করেন। এ অর্জনের মাধ্যমে ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের ধারাবাহিক সাফল্যের মুকুটে আরও একটি পালক যুক্ত হলো। উল্লেখ্য, গত ১৫ নভেম্বর ৪২তম সাধারণ পরিষদের সভায় বাংলাদেশ ইউনেস্কো নির্বাহী পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়। ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের এ ধারাবাহিক সাফল্যকে সংশ্লিষ্ট মহল বাংলাদেশের কূটনৈতিক অগ্রযাত্রা হিসাবে অভিহিত করেন।

জাতীয়

আজ ৬ই ডিসেম্বর স্বৈরাচার পতন ও গণতন্ত্র মুক্তি দিবস।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আজ ৬ই ডিসেম্বর স্বৈরাচার পতন ও গণতন্ত্র মুক্তি দিবস। আজ ৬ ডিসেম্বর বুধবার স্বৈরাচার পতন ও গণতন্ত্র মুক্তি দিবস। দীর্ঘ নয় বছরের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে গণঅভ্যুত্থানের মুখে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পতন ঘটে তৎকালীন স্বৈরশাসকের। এদিন তিন জোটের রূপরেখা অনুযায়ী নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে বাধ্য হন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এ আন্দোলনে প্রাণ হারান নূর হোসেন, সেলিম, দেলোয়ার, জিহাদ, ডাক্তার মিলন, দিপালী, কাঞ্চন, শাহজাহান সিরাজসহ অসংখ্য নেতা কর্মী। আওয়ামী লীগ দিনটিকে ‘গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’ এবং বিএনপি ‘স্বৈরাচার পতন ও গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’ হিসেবে পালন করে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আজ দিবসটি পালন করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে বলেন, ‘স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রবিরোধী চক্র এখনও নানাভাবে গণতন্ত্র ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে। গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দিব না- গণতন্ত্র মুক্তি দিবসে এই হোক আমাদের সুদৃঢ় প্রত্যয়।’ তিনি বলেন, ‘আসুন, সবাই মিলে গণতন্ত্র ও দেশবিরোধী সব চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে গণতন্ত্রের ভিত্তিকে আরও শক্তিশালী করি এবং দেশের উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলি।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, জনগণের ভোট ও মৌলিক অধিকারসমূহ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ দীর্ঘ সংগ্রাম করেছে, দেশের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এতে অংশগ্রহণ করেছে। অব্যাহত আন্দোলনের ফলে স্বৈরাচারী শাসক গণআন্দোলনের কাছে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর নতি স্বীকার করে পদত্যাগে বাধ্য হয়। বহু শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয় ভোটের অধিকার। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় জাতি সব শহীদের অবদান শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।’ বাণীতে তিনি গণতন্ত্র মুক্তি দিবসে গণতন্ত্র ও অধিকার আদায়ের সংগ্রামে জীবন উৎসর্গকারী শহীদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করেন। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ তৎকালীন সেনাপ্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সামরিক আইন জারির মাধ্যমে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসেন। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন দুই জোটসহ বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর টানা আন্দোলনের মুখে এরশাদ ক্ষমতা ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। এরশাদবিরোধী আন্দোলনে ডা. শামসুল আলম খান মিলন, নূর হোসেনসহ অনেককে প্রাণ দিতে হয়েছে।

জাতীয়

সংক্রমিত রক্ত বিষয়ক কেলেঙ্কারি ইস্যুতে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রথমবারের মতো পরাজিত হলেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সংক্রমিত রক্ত বিষয়ক কেলেঙ্কারি ইস্যুতে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রথমবারের মতো পরাজিত হলেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। ১৯৭০-এর দশকের শেষের দিকে এবং ১৯৮০-এর দশকের শুরুর দিকে প্রায় ৪৮০০ মানুষের রক্তে জমাট বাঁধার সমস্যা দেখা দেয়। তদন্তে জানা গেছে, ওই সব মানুষকে রক্তদাতারা এইডস সৃষ্টিকারী এইচআইভি অথবা হেপাটাইটিস সি ভাইরাসে সংক্রমিত ছিলেন। ফলে ওই ঘটনার শিকার ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠার দাবিতে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ভোট হয়। এতে নিজ দল কনজার্ভেটিভের কিছু এমপি বিদ্রোহ করে ঋষি সুনাকের বিপক্ষে ভোট দেন। ভিকটিম অ্যান্ড প্রিজনার্স বিলের একটি সংশোধনীর ওপর ছিল এই ভোট। পক্ষে ভোট দেন ২৪৬ জন এমপি। বিপক্ষে ভোট দেন ২৪২ জন। বিলটি এখন আইনে পরিণত হওয়ার তিন মাসের মধ্যে ক্ষতিপূরণ প্রদানকারী একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে সরকারকে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন গার্ডিয়ান। এর ফলে তা পাশ হয়। এ কারণে এটা হলো ঋষি সুনাকের প্রধানমন্ত্রিত্বে পার্লামেন্টে প্রথম পরাজয়। সংক্রমিত রক্ত দেওয়া বা কিনে নেওয়ার ওই ঘটনা এখনো তদন্তাধীন। এর আগে সরকার বলেছিল, ক্ষতিপূরণ দেওয়া একটি নৈতিক বিষয়। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। তবে তদন্তের ফল আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তদন্তে সভাপতিত্ব করছেন স্যার ব্রায়ান ল্যাংস্টাফ। গত মাসে ফাইনাল তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করার কথা ছিল; কিন্তু এখন মনে হচ্ছে তা প্রকাশ হবে মার্চে। সংক্রমিত রক্ত দেওয়ার ওই স্ক্যান্ডালে ক্ষতিগ্রস্তদের অর্ধেকই এর মধ্যে মারা গেছেন। এ বিষয়ে যারা ক্যাম্পেইন করছেন, তারা বলছেন এখনই উত্তম সময়। অন্যদের সঙ্গে বিলটিতে সংশোধনীর পক্ষে ভোট দিয়েছেন নারী এবং সমতা বিষয়ক সিলেক্ট কমিটির চেয়ার ক্যারোলাইন নোকস এবং সাবেক আইনমন্ত্রী স্যার রবার্ট বাকল্যান্ড। ভোটের ফল ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গে ব্রিটিশ হাউস অব কমন্সে উল্লাস দেখা দেয়। বিলটিতে সংশোধনী এনেছিলেন লেবার দলের এমপি ডেম ডায়ানা জনসন। তিনি বলেছেন, এটা হলো সামনে এগিয়ে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ এক পদক্ষেপ। ভোটের আগে ব্রিটিশ আইনমন্ত্রী এডওয়ার্ড আরগার বলেন, রক্ত নিয়ে ওই কেলেঙ্কারি হওয়া উচিত ছিল না। বিলের সংশোধনীর প্রতি সরকারের বড় রকমের সহানুভূতি আছে।

জাতীয়

ফোর্বসের প্রতিবেদন : বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী নারীর তালিকায় শেখ হাসিনা ৪৬ তম স্থানে রয়েছেন।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ফোর্বসের প্রতিবেদন : বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী নারীর তালিকায় শেখ হাসিনা ৪৬ তম স্থানে রয়েছেন। মার্কিন অর্থ ও বাণিজ্যবিষয়ক সাময়িকী ফোর্বসের বিশ্বের প্রভাবশালী ১০০ নারীর তালিকায় আবারও স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফোর্বসের ওই তালিকায় এবার তিনি আছেন ৪৬তম স্থানে। যদিও ২০২২ সালে শেখ হাসিনার অবস্থান ছিল ৪২ নম্বরে। বিশ্বজুড়ে রাজনীতি, মানবসেবা, ব্যবসা-বাণিজ্য, গণমাধ্যম, অর্থনীতি ও প্রযুক্তিখাতে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করে আসা প্রভাবশালী নারীদের মধ্য থেকে ১০০ জনকে বেছে নিয়ে এই তালিকা প্রকাশ করেছে ফোর্বস। এই বছরের ফোর্বসের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারীদের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন রাজনীতিবিদ ও আইন প্রণেতারা। চলতি বছরের তালিকায় ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লিয়েন ১ নম্বরে রয়েছেন। তারপরে আছেন ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ড, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস রয়েছেন তৃতীয় স্থানে। এছাড়া ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি রয়েছেন চতুর্থ অবস্থানে। আর তালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছেন টেইলর সুইফট। এদিকে বিশ্বের প্রভাবশালী ১০০ নারীর তালিকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রয়েছেন ৪৬তম স্থানে। গত বছর এই তালিকায় শেখ হাসিনার অবস্থান ছিল ৪২তম-তে। এর আগে ২০২১ সালে বিশ্বের প্রভাবশালী ১০০ নারীর তালিকায় ৪৩তম স্থানে ছিলেন শেখ হাসিনা। আর ২০২০ সালে তালিকার ৩৯তম স্থানে ছিলেন তিনি। শেখ হাসিনা সম্পর্কে ফোর্বস লিখেছে, বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী থাকা শেখ হাসিনা ওয়াজেদ বর্তমানে তার চতুর্থ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা নারী সরকার প্রধান। টানা তৃতীয় মেয়াদে বাংলাদেশে ক্ষমতায় রয়েছেন শেখ হাসিনা। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ২৮৮টিতে জয় পায় তার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সাময়িকীটি বলছে, অবশ্য বিরোধী দল থেকে পদত্যাগের জন্য ক্রমবর্ধমান আহ্বান সত্ত্বেও ৫ম মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ার জন্য ২০২৪ সালের জানুয়ারির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন শেখ হাসিনা। এছাড়া শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ভোটারদের দমনেরও অভিযোগ রয়েছে। অবশ্য তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। উল্লেখ্য, ২০০৪ সাল থেকে প্রতিবছর বিশ্বের প্রভাবশালী নারীদের তালিকা প্রকাশ করে আসছে ফোর্বস।

জাতীয়

চট্টগ্রামে অবরোধে অগ্নি সংযোগ দুষ্কৃতকারী ডিবি “স্পেশাল টিম” কর্তৃক আটক-৩

বিলেতের আয়না :- মোহাম্মদ মাসুদ বিশেষ প্রতিনিধি চট্টগ্রামে অবরোধে অগ্নি সংযোগ দুষ্কৃতকারী ডিবি “স্পেশাল টিম” কর্তৃক আটক-৩ চট্টগ্রাম:সিএমপি,মহানগর গোয়েন্দা ডিবি (উত্তর ও দক্ষিণ) বিভাগ কর্তৃক জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টিকারী জনগনের চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য আটক। চট্টগ্রামে চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত খুলশী থানাধীন দামপাড়া এলাকায় গাড়ীতে অগ্নি সংযোগ,গাড়ি ভাংচুর এবং চালক ও হেলপারের গায়ে আগুন দেয়ার মামলার দুষ্কৃতকারী আসামী “স্পেশাল টিম” কর্তৃক প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ০৩ (তিন)জন আটক। আজ ৫ডিসেম্বর,দুপুর ১২টায়,ডিবি (উত্তর /দক্ষিণ) অফিস, মনসুরাবাদ, চট্টগ্রাম,ডিবি (উত্তর /দক্ষিণ) কর্তৃক গ্রেফতার সংক্রান্তপ প্রেস ব্রিফিং করা হয়। গত ৪ডিসেম্বর রাত ১০-১২ মধ্যে খুলশী ও চান্দগাঁও থানা এলাকা হতে খুলশী থানার এলাকা হতে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ১। মোঃ হৃদয় (২২) ২। মোঃ নাজির শরীফ (২১) ও ৩। মোঃ রায়হান (২৪) দের আটক করে। অভিযানে ছিলেন উপ-পুলিশ কমিশনার মোসাঃ সাদিরা খাতুনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে,অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি-উত্তর) শেখ সাব্বির হোসেন ও সহকারী পুলিশ কমিশনার (ডিবি-উত্তর) মোঃ মোস্তফা কামাল এর দিকনির্দেশনায় “স্পেশাল টিমের” ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) রিপন কুমার দাস এর নেতৃত্বে ডিবির একটি টিম আসামিদের আটক করে। আটক ব্যক্তিদের’কে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়,চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক শরীফুল ইসলাম তুহিন এর নির্দেশে খুলশী থানার ছাত্রদলের সদস্য সচিব নূর আলম সোহাগ এর নেতৃত্বে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আসামী মোঃ হৃদয়,মোঃ নাজির শরীফ,ও মোঃ রায়হানসহ আরো ১০/১২ জন ছাত্রদলের সদস্যগণ দামপাড়াস্থ সোহাগ বাস কাউন্টারের সামনে থেকে অবরোধের সমর্থনে মশাল মিছিল শুরু করে পুলিশ লাইন্স আবাসিক গেইট সংলগ্ন রিলাক্স বাস কাউন্টারের সামনে অবস্থানরত ঢাকা মেট্রো-ব-১২-১৮৬৩ রিলাক্স ট্রান্সপোর্ট লিঃ এর একটি বাস ভাংচুরসহ বিস্ফোরক পদার্থ দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে গাড়ির চালক তারেক ও হেলপার নাজিম উদ্দিন গুরুতরভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়ে বর্তমানে বার্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আটককৃত মোঃ হৃদয় মশাল দিয়ে বাসে আগুন দেয়, নাজির শরীফ ও মোঃ রায়হানসহ অন্যান্য আসামীরা মশাল মিছিলে অংশগ্রহণসহ বাস ভাংচুর করে। আটক হৃদয় জানায় বাসে আগুন দেয়ার সময় তার বাম হাত আগুনে পুড়ে যায়। তার হাতে আগুনে পোড়ার সেই ক্ষত দৃশ্যমান। আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা আরো জানায় যে,”তাদের উর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের নির্দেশনায় মূলত বাস চালক ও হেলপার হত্যার মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে জনগনের চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করাই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য”। উক্ত ঘটনা ছাড়াও পূর্বে গত ৩১ অক্টোবর, গরিবুল্লাহ শাহ বাস কাউন্টার এলাকায় বাসে আগুন দেয়া ও গত ১ডিসেম্বর, পাহাড়তলী পুলিশ ফাঁড়ির সামনে বাসে আগুন দেয়ার ঘটনাটি তারাই সংঘটিত করেছে বলে স্বীকার করে। আসন্ন সংসদ নির্বাচন বানচাল করার উদ্দেশ্যে তাদের এই সকল ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চলমান ছিল। খুলশী থানা মামলা নং-০৩, ০৪/১২/২০২৩ খ্রিঃ, ধারা-বিস্ফোরক উপাদানাবলি আইন ১৯০৮ এর ধারা-৩/৪/৬ তৎসহ ১৪৩/৩২৬/৪২৮ পেনাল কোড ১৮৬০। তথ্য নিশ্চিত করেছেন,অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার স্পিনা রানী প্রামাণিক (এডিসি) (পি আর) বাংলাদেশ পুলিশ,পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়,চট্টগ্রাম।

জাতীয়

আসন ভাগাভাগির জন্য ১৭ ই ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে – আমির হোসেন আমু।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আসন ভাগাভাগির জন্য ১৭ ই ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে – আমির হোসেন আমু। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ইস্কাটনের বাসায় সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান। এর আগে বিকালে আমুর সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার। আমু বলেন, নির্বাচন জোটগতভাবে হবে, কাল (বুধবার) জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনা করবে আওয়ামী লীগ। জোটের আসন বিন্যাস ও প্রার্থী চূড়ান্ত করতে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। গতকাল (সোমবার) আমাদের ১৪ দলের নেত্রী একটি সভা করেছেন। সেখানে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বর্তমান প্রেক্ষাপট, রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তখন আসনের বিষয়ে কথা উঠে এসেছে। এদিকে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে হাসানুল হক ইনু জানান, জোটের প্রার্থীরা নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করবেন। যে আসনে জোটের প্রার্থী আসবে, সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী উঠে যাবে জানিয়ে ইনু বলেন, যেকোনো লেনদেনে দর কষাকষি হবে, মন কষাকষি হবে। বন্ধুদের মধ্যে দর কষাকষি হয়, মন কষাকষি হয়, তাহলে শেষ বিচারে হাসিমুখে উঠে যাব। দিনের শেষে হাসিমুখে হাত ধরাধরি করে বেরিয়ে যাব। জাসদ সভাপতি ইনু বলেন, আসন ভাগাভাগি যেন জোটের জন্য সম্মানজনক হয়, সেটাই প্রত্যাশা। বর্তমান সংসদে ১৪ দলীয় জোটের ১০টি আসন রয়েছে। সেক্ষেত্রে জোটের প্রত্যাশা, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দ্বিগুণ প্রার্থী ছাড় দেওয়া হবে। আসন ভাগাভাগি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আসন ভাগাভাগির বিষয়ে বৈঠকে কোনো কথা হয়নি। এ বিষয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আমির হোসেন আমুকে। এর আগে গতকাল (সোমবার) সন্ধ্যার পর গণভবনে জোটনেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বসেন ১৪ দলের শীর্ষ নেতারা। দীর্ঘ পৌনে চার ঘণ্টার বৈঠকেও আসন ভাগাভাগি সম্পন্ন হয়নি। পরে আসন ভাগাভাগির বিষয় সম্পন্ন করতে শেখ হাসিনা জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের ওপর দায়িত্ব দেন। ফাইল ছবি বৈঠক থেকে বেরিয়ে জোট নেতারা জানান, আওয়ামী লীগ সভাপতির পক্ষে এসব নেতা বসে আসন ভাগাভাগি সম্পন্ন করবেন। ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৮টিতে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। গত ২৬ নভেম্বর দলীয় প্রার্থীদের নামের তালিকা ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাজ্যে অভিবাসন ঠেকাতে কঠোর ভিসা নীতির পরিকল্পনা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- যুক্তরাজ্যে অভিবাসন ঠেকাতে কঠোর ভিসা নীতির পরিকল্পনা। অভিবাসন রোধে ভিসা নীতিকে আরো কঠোর করার পরিকল্পনা করেছে যুক্তরাজ্য। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি পাঁচ দফার একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। গত মাসে যুক্তরাজ্য সরকারের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে ২০২২ সালে দেশটিতে সাত লাখ ৪৫ হাজার মানুষ অভিবাসন গ্রহণ করেছে, যেটি যুক্তরাজ্যের অভিবাসন ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এর ফলে উদ্বেগ সৃষ্টি হওয়ায় নতুন এই পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে দেশটির সরকার। এতে যেসব পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে অভিবাসী দক্ষ কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি। আগে যেখানে তাদের ন্যূনতম বেতন ছিল ২৬ হাজার দুই শ’ পাউন্ড, এখন সেটি বাড়িয়ে ৩৮ হাজার সাত শ’ পাউন্ড নির্ধারণ করা হয়েছে। আর এই বেতন বৃদ্ধির ফলে গত বছর যে তিন লাখ নতুন অভিবাসী যুক্তরাজ্যে আসার যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছিলেন, তারা আর আসতে পারবেন না বলে জানাচ্ছেন ক্লেভারলি। এছাড়া নতুন এই পরিকল্পনায় পারিবারিক ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম আয়ের পরিমাণও বাড়ানো হয়েছে। ফলে এখন থেকে পারিবারিক ভিসায় যুক্তরাজ্যে যেতে হলে আবেদনকারীর ন্যূনতম আয় থাকতে হবে ৩৮ হাজার সাত শ’ পাউন্ড। স্থানীয় সময় সোমবার সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে দেয়া এক বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাজ্যে অভিবাসনের লাগাম টানা প্রয়োজন। বছরের পর বছর ধরে দেশটিতে স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ভিসার অপব্যবহার করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। ‘যথেষ্ট হয়েছে’, বলেন ক্লেভারলি। তিনি আরো বলেন, ‘অভিবাসন নীতি অবশ্যই স্বচ্ছ, ন্যায্য ও টেকসই হতে হবে।’ গত মাসে ২০২২ সালের অভিবাসনের তথ্য প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই দেশটিতে অভিবাসন কমিয়ে আনার ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও তার সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির সংসদ সদস্যরা। দেশটিতে অভিবাসীদের সংখ্যায় এমন বৃদ্ধি সুনাক ও ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির জন্য একটি বড় রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। কারণ তারা ২০১০ সাল থেকেই অভিবাসন কমানোর ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে। এছাড়া ব্রেক্সিট ভোটের পরেও দলটি যুক্তরাজ্যের সীমান্তের ‘নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে নেয়ার’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তবে ২০১৯ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ না করেই অভিবাসীদের সংখ্যা কমানোর প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল। তার আগে প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় ডেভিড ক্যামেরন একবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছিলেন যে যুক্তরাজ্যে অভিবাসীর সংখ্যা বছরে এক লাখের নিচে নামিয়ে আনা হবে। ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে অভিবাসন নীতির বিষয়টি যুক্তরাজ্যে ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। এ অবস্থায় জনমতকে প্রাধান্য দিয়ে যুক্তরাজ্যে অভিবাসনের সংখ্যা কমানোর জন্য ‘যা করা প্রয়োজন তা করার’ নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। নতুন পরিকল্পনায় স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা কর্মীদের পরিবারকে যুক্তরাজ্যে নিয়ে আসার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কথা বলা হচ্ছে। এছাড়া যেসব কোম্পানি তাদের বর্তমান বেতন কাঠামোর চেয়ে ২০ শতাংশ কম বেতন দিচ্ছে, তারা যেন অভিবাসী শ্রমিকদের আনতে না পারে, সে ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা বলা হচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন দেশ থেকে যারা যুক্তরাজ্যে পড়তে আসেন, সেই সব শিক্ষার্থীরা যেন ইচ্ছা করলেই তাদের পরিবারের সদস্যদের দেশটিতে আনতে না পারেন, সে ব্যাপারেও ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এসব পরিবর্তন আগামী বসন্ত থেকে কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ‘এই নীতির ফলে গত বছরের তুলনায় আগামী বছর কমপক্ষে তিন লাখ কম অভিবাসী আসবে’-সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন ক্লেভারলি। নতুন নীতির কারণে যুক্তরাজ্যে পড়তে আসা বিদেশী শিক্ষার্থীরা এখন চাইলেই আর তাদের পরিবারের সদস্যদের আনতে পারবেন না। আর এতেই অভিবাসীদের সংখ্যা অর্ধেকে নেমে আসবে বলে বিশ্বাস করে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এদিকে নতুন এই পরিকল্পনার প্রতিক্রিয়ায় লেবার পার্টির সংসদ সদস্য ইভেট কুপার বলেছেন, সোমবারের ঘোষণা এটি বুঝিয়ে দিয়েছে যে অভিবাসন ব্যবস্থা ও অর্থনীতি- উভয়ক্ষেত্রেই বছরের পর বছর ধরে টোরিরা কিভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তিনি বলেন, অভিবাসীদের সংখ্যায় লাগাম টানা উচিত, অথচ এ বিষয়ে কনজারভেটিভরা আর উল্লেখযোগ্য কোনো টেকসই সংস্কার আনতে পারছে না। অন্যদিকে, ব্রিটেনের ট্রেড ইউনিয়ন ইউনিসনের জেনারেল সেক্রেটারি ক্রিস্টিনা ম্যাকানিয়া নতুন অভিবাসন নীতিকে নিষ্ঠুর বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, এই পরিকল্পনা যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য ও সামাজিক পরিচর্যার ক্ষেত্রে বিপর্যয় ডেকে আনবে। ‘অভিবাসী শ্রমিকদের এখানে আসতে উৎসাহিত করা হয়েছিল, কারণ উভয় সেক্টরেই কর্মীদের যথেষ্ঠ অভাব রয়েছে। হাসপাতাল ও কেয়ার হোমগুলো এসব অভিবাসী শ্রমিকদের ছাড়া কাজ চালাতে পারবে না’, বলেন ক্রিস্টিনা ম্যাকানিয়া। তবে নতুন এই পরিকল্পনাকে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির অনেক সংসদ সদস্য স্বাগত জানিয়েছেন। সাবেক মন্ত্রী সাইমন ক্লার্ক একে ‘বাস্তবসম্মত’ ও ‘বিশ্বাসযোগ্য’ পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন। যদিও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান ক্লেভারলির নতুন পরিকল্পনায় খুব একটা মুগ্ধ নন বলে জানিয়েছেন। তার মতে, নতুন এ পরিকল্পনাটি খুব দেরিতে হয়েছে এবং এটাতে আরো অনেক কাজ করা উচিৎ ছিল, যেটা করা হয়নি। বিশেষত অভিবাসী কর্মীদের বেতন এবং অভিবাসী শিক্ষার্থীদের লাগাম টানার ক্ষেত্রে অনেক কাজ করার ছিল বলে মনে করেন সাবেক এই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সূত্র : বিবিসি

জাতীয়

আজ-কালের মধ্যে আসন ভাগাভাগির বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে – ওবায়দুল কাদের।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আজ-কালের মধ্যে আসন ভাগাভাগির বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে — ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে সমঝোতা অবশ্যই হবে। ১৪ দলের প্রত্যাশা ও বাস্তবতার সঙ্গে মিল রেখে আজ-কালের মধ্যে আসন ভাগাভাগির বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৪ দলের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির চেয়ে রাজনৈতিক আলোচনা গুরুত্ব পেয়েছে। প্রত্যেকে বর্তমান প্রেক্ষপটে নিউজদের ভিউজ, করণীয় জানিয়েছেন। দেশে-বিদেশে যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, সেই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় ১৪ দল ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করে যাবে। এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্পিরিট ধরে রাখতে হবে এবং নির্বাচনের জিততে হবে এটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা খুব সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে কথাবার্তা বলেছি। সেখানে রাজনৈতিক বিষয়টা আলোচনা হয়েছে বেশি। মূলত ১৪ দলীয় জোট প্রধানের কথা শুনতে সবাই আগ্রহী ছিলেন। তিনি বলেন, ১৪ দলের সঙ্গে আমাদের বৈঠকটা আসন ভাগাভাগির চেয়ে রাজনৈতিক ভিন্নতা অনেক বেশি। রাজনৈতিক বিষয়টাকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। মাঝেমধ্যে ১৪ দলের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়, গতকালও হয়েছে। রাজনৈতিক আলোচনায় বেশি হয়েছে। আ. লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজকে দেশে-বিদেশে যে ষড়যন্ত্র চলছে, এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় চৌদ্দ দল ঐক্যবদ্ধভাবে লড়বে। ১৪ দলীয় জোটের যে ঐক্য, সেই ঐক্যকে আরো সুদৃঢ় করে লড়াই করে যাবে। তিনি আরো বলেন, সব জায়গায় স্বতন্ত্র মিলিয়ে অনেক প্রার্থী দাঁড়িয়ে গেছে। ১৪ দলের সঙ্গে আমাদের একটা সমঝোতা অবশ্যই হবে। আজকালের ভেতরেই আসনের বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। ১৪ দলের জোটের আসন প্রত্যাশা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৪ দলীয় জোটের প্রত্যাশা কত, আর তারা কত পাবে তার বাস্তবতা কত, দুইটা মিলেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব। তাদের কিছু হয়তো নৌকায় করবে। কিন্তু অন্যান্য প্রার্থীরা তাদের নিজেদের মার্কায় অনেকেই নির্বাচন করবে। এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। গতকাল সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গণভবনে ১৪ দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন জোটনেত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সেখানে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪ দলের শরিক দলগুলোর আসন বণ্টনের জন্য চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্যরা হলেন- আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম। বৈঠকে অংশ নেওয়া ১৪ দলীয় জোটের একাধিক নেতা ঢাকা পোস্টকে জানান, জোটনেত্রীর সঙ্গে প্রায় চার ঘণ্টা মিটিং হয়েছে। ১৪ দলের সবাই সেখানে কথা বলেছেন। আসন দেওয়ার ব্যাপারেও নেত্রী নিশ্চিত করেছেন। তার মানে, জোটের শরিক যে চারজন প্রধান আছেন, তারা নির্বাচন করবেন। বাকিদের ব্যাপারে গঠিত কমিটি কাজ করবে। সোমবার দুপুরে আসন ভাগাভাগি নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, জোট যেহেতু আছে, কিছু আসন ভাগাভাগি হবেই। তবে, বিজয়ী হবে না এমন কোনো প্রার্থীকে আমরা সমর্থন দিতে পারি না। শুধু জোটের দিকে তাকিয়ে নয়, নির্বাচিত হবে এমন প্রার্থীকে সমর্থন দেবে।

জাতীয়

জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) ডা. আব্দুল মালিক আর নেই।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) ডা. আব্দুল মালিক আর নেই। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) ডা. আব্দুল মালিক আর নেই। মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৪০মিনিটে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। বার্ধক্যজনিত কারণে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। আব্দুল মালিক ২০০৪ সালে স্বাধীনতা পদক পুরস্কার ও ২০০৬ সালে জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে নির্বাচিত হন। হৃদরোগ চিকিৎসার এ পথিকৃৎ ১৯২৯ সালের ১ ডিসেম্বর সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কুচাই ইউনিয়নের পশ্চিমভাগ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৪৯ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে ১৯৫৪ সালে নভেম্বর মাসে উত্তীর্ণ হন। ১৯৫৮ সালে তাকে সিএমএইচ (সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল) পেশোয়ারে কর্নেল আজমিরের কাছে মেডিকেল স্পেশালিস্টের যোগ্যতা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এতে প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচিত হন। ১৯৬৩ সালে সরকার তাকে বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য পাঠায়। এরপর ১৯৬৪ সালে তিনি এমআরসিপি পাস করেন এবং হ্যামার স্মিথ হসপিটাল অ্যান্ড পোস্টগ্রাজুয়েট মেডিকেল স্কুল, লন্ডন থেকে কার্ডিওলজিতে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নেন।

Scroll to Top