ডিসেম্বর ৫, ২০২৩

জাতীয়

আজ ৫ই ডিসেম্বর গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আজ ৫ই ডিসেম্বর গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী। গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৬০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৬৩ সালের এই দিনে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে মারা যান। হাইকোর্টের পাশে তিন নেতার মাজারে তাকে সমাধিস্থ করা হয়। তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। উপমহাদেশে রাজনীতি ও গণতন্ত্রের ইতিহাসে তিনি এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন প্রতিভাবান রাজনীতিক, আইনজ্ঞ, বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভা ও গণপরিষদের সদস্য এবং অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রীসহ তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। তিনি ব্রিটিশ ভারতে মুসলমানদের সংগঠিত করতে ১৯২৬ সালে ইনডিপেনডেন্ট মুসলিম পার্টি ও ১৯৩৭ সালে ইউনাইটেড মুসলিম পার্টি গঠন করেন। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন তৎকালীন আওয়ামী মুসলিম লীগ (পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগ) প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৫৪ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে যুক্তফ্রন্টের অনবদ্য বিজয়েও তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালনকালে তিনি শ্রমজীবীসহ এতদাঞ্চলের অবহেলিত মুসলিম সম্প্রদায়ের স্বার্থরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি স্বল্প সময়ের মধ্যে নাবিক, রেল কর্মচারী, পাটকল ও সুতাকল কর্মচারী, রিকশাচালক, গাড়িচালকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মেহনতি মানুষের স্বার্থরক্ষায় বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়ন গড়ে তোলেন। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এ উপমহাদেশের মেহনতি মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় আজীবন সংগ্রাম করেছেন। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের গণবিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে এদেশের মানুষকে সোচ্চার ও সংগঠিত করেছিলেন। এক জন প্রতিভাবান রাজনৈতিক সংগঠক হিসেবে তার দক্ষ পরিচালনায় গণমানুষের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আরও বিকশিত হয়। তার সুযোগ্য উত্তরসূরি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্ব পাকিস্তান সরকারের দমনপীড়নের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে। পরবর্তীকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের দীর্ঘ ২৪ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রাম এবং ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় আমাদের মহান স্বাধীনতা। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর বাণী তার মৃত্যুবার্ষিকীতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বাণীতে বলেছেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী আমৃত্যু আইনের শাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছেন। গণতন্ত্রের বিকাশ ও এতদাঞ্চলের জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী যে অবদান রেখে গেছেন, জাতি তা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। তার জীবন ও কর্ম আগামী প্রজন্মকে গণতান্ত্রিক চিন্তা-চেতনা ও জনগণের সার্বিক কল্যাণে উদ্বুদ্ধ করবে বলে আমার বিশ্বাস। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা ও মানুষের কল্যাণে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জীবন ও আদর্শ আমাদের সব সময় সাহস ও প্রেরণা জোগায়।’ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন একজন দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনার পথিকৃৎ। সাধারণ মানুষের প্রতি তার ছিল অকৃত্রিম মমত্ববোধ। তিনি মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা, অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিকাশ এবং এ অঞ্চলের জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সারা জীবন কাজ করেছেন। গণতান্ত্রিক রীতি ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’ আখ্যায়িত করা হয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিবৃতিতে বলেন, তিনি গণতন্ত্রের জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তার নেতৃত্বের অসাধারণ বলিষ্ঠতা, দৃঢ়তা ও গুণাবলি জাতিকে সঠিক পথের দিকনির্দেশনা দিয়েছে। গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তিনি অসামান্য অবদান রেখেছেন।

জাতীয়

মর্যাদাপর্ণ সিলেট -১ আসনের এমপি ডঃ এ কে আব্দুল মোমেন।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- মর্যাদাপর্ণ সিলেট -১ আসনের এমপি ডঃ এ কে আব্দুল মোমেন। ডামী প্রার্থী মিসবাহ সিরাজ ।।এবার বদলে যেতে পারে সিলেট-১ আসনের ইতিহাস। এ কে আব্দুল মোমেন ও মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ দেশের নির্বাচনী ইতিহাসে সিলেট-১ আসন মর্যাদাপূর্ণ আসন হিসেবে পরিচিত। রাজনীতিতে বলা হয়ে থাকে নির্বাচনে সিলেট-১ আসনে যারা জিতবে তারাই সরকার গঠন করবে। পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে দেখা যায়, ১৯৯১ সাল থেকে শুরু করে ২০০৮ সাল পর্যন্ত প্রতিটি নির্বাচনে এই আসনে যারা জিতেছে তারাই দেশ শাসন করেছে। একই ধারা অব্যাহত ছিল ২০১৪ ও ১৮ সালের নির্বাচনেও। তবে রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি না থাকায় এবার বদলে যেতে পারে সিলেট ১ আসনের ইতিহাস। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। আবার একই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে মাঠে আছেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। এই দুই প্রার্থীই সিলেটের রাজনীতিতে বড় মুখ হিসেবেও পরিচিত। নির্বাচনী যাচাই-বাছাই শেষে এই দুই প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। ফলে সিলেটের পাড়া মহল্লা ও রাজনীতির মাঠে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। এই দুই প্রার্থীর মধ্যে শক্ত লড়াই হতে চলেছে। এই লড়াইয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী কে আব্দুল মোমেন অনেকটা এগিয়ে থাকলেও তাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন মিসবাহ উদ্দিন। নির্বাচনী লড়াইয়ে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত টিকে থেকে যদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনকে হারিয়ে দিতে পারেন তাহলে দেশের রাজনীতির ইতিহাসে লেখা হবে নতুন গল্প। শেষ পর্যন্ত ভোটের লড়াইয়ে কে শেষ হাসি হাসবেন তা জানা যাবে আগামী বছরের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রথমবারের মতো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এ কে আব্দুল মোমেন। এর আগে এই আসন থেকে নির্বাচন করতেন তার বড় ভাই এবং দেশের সফল অর্থমন্ত্রী ড. আবুল মাল আব্দুল মুহিত। গত নির্বাচনের আগে রাজনীতি থেকে অবসর নিয়ে আব্দুল মোমেনকে এই আসনে মনোনয়ন দিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনুরোধ জানান আবুল মাল। এরপর নানা হিসেব নিকাশ শেষে তিনি দলীয় মনোনয়ন পান। সংসদ সদস্য হওয়ার পর সাধারণ মানুষের সঙ্গে কিছুটা কম যোগাযোগ ছিল তার। কিন্ত এলাকার উন্নয়নে মানুষের পাশে ছিলেন তিনি। পারিবারিক ঐতিহ্য ও ক্লিন ইমেজের কারণে আসন্ন নির্বাচনেও তিনি এগিয়ে থাকবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার কারণে নেতাকর্মীরা তার পক্ষে মাঠে থাকবেন। আবার তিনি এমপি হওয়া মানে সরকারের মন্ত্রী সভায় জায়গা পাওয়ার নিশ্চয়তা থাকায় ভোটাররা তাকে বেছে নেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ড. আব্দুল মোমেন ইউনিভার্সিটি অব ম্যানচেস্টার, দ্য সালেম স্টেট কলেজ, মেরিম্যাক কলেজ, ক্যামব্রিজ কলেজ, কেনেডি স্কুল অব গভর্নমেন্ট, হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি, ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি এবং নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টি মেম্বার ছিলেন।২০০৯ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সময় বিদেশের মিশনে বাংলাদেশ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছিলেন। অপরদিকে সিলেটের রাজনীতিতে মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বড় নাম। সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হয়ে টানা ৩ বার তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন। দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এই আসনে মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। ফলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে তার দীর্ঘ রাজনৈতিক সম্পর্ক ও পরিচয় রয়েছে। এই আসনে তার একটি ভালো ভোট ব্যাংক ও রয়েছে। তাছাড়া স্থানীয় রাজনীতির মারপ্যাঁচে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর চেয়ে কিছুটা এগিয়ে থাকবেন তিনি। তবে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক থাকাকালীন সময়ে তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। ক্ষমতার অপব্যবহার ও দলীয় কর্মীদের দুর্দিনে পাশে না থাকার অভিযোগ ছিল। পাশাপাশি তিনি নিজের একটা বলয় তৈরি করতে গিয়ে সাধারণ নেতাকর্মী ও তার বিরোধী বলয়ের সঙ্গে কিছুটা দূরত্ব তৈরি করেছিলেন। জানা যায়, এই আসনে ২০০৯ সাল থেকে মনোনয়ন চাইছেন সিরাজ। এ নিয়ে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের সঙ্গে বেশ দূরত্ব চলছিল সিরাজের। একই কারণে বর্তমানেও আব্দুল মোমেনের সঙ্গেও তার দূরত্ব চলছে।

জাতীয়

এমপি হয়ে ৯ কোটি টাকা ঋণ পরিশোধ করলেন হাবিবুর রহমান এমপি।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- এমপি হয়ে ৯ কোটি টাকা ঋণ পরিশোধ করলেন হাবিবুর রহমান এমপি। সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রয়াত মাহমুদ উস সামাদের মৃত্যুর পর ২০২১ জুনে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে বিজয়ী হন হাবিবুর রহমান হাবিব। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আড়াই বছর সময় পার করেছেন তিনি। এই আড়াই বছরে হাবিবুর রহমান হাবিবের কমেছে ব্যাংকের দেনা। বেড়েছে সম্পদের পরিমাণ। নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামায় থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। তাতে দেখা গেছে, গত আড়াই বছরে হাবিবুর রহমানের ব্যাংকের দেনা আড়াই বছরে ৯ কোটি থেকে কমে ২০ লাখে এসেছে! এই আড়াই বছরে তার ব্যাংকের দেনা কমেছে ৯ কোটি ৩৮ লাখ ৪২ হাজার ৪০৩ টাকা। সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখিয়েছেন স্নাতক এবং পেশায় ব্যবসায়ী প্রবাসী পল্লী গ্রুপের ডিএমডি। বর্তমানে তার ব্যাংকে আমানত ৫৪ হাজার ২১১ টাকা, বছরে সম্মানীভাতা পান ৪৪ লাখ ২ হাজার টাকা। আর স্থাবর সম্পদের মধ্যে অকৃষি জমি অর্জনকালীন মূল্য দেখিয়েছেন ৩৬ লাখ ৩৮ হাজার ৯৯৮ টাকা এবং একই খাতে স্ত্রীর নামে ২১ লাখ ৮১ হাজার ৬৬৭ টাকার জমি। এছাড়া অগ্রণী ব্যাংকে একক দেনা দেখিয়েছেন ২০ লাখ ৫৭ হাজার ৫৯৭ টাকা। এরআগে ২০২১ সালের জুনে উপনির্বাচনে হলফনামায় স্ত্রীর নামে কৃষিখাতে আয় দেখিয়েছিলেন ১ লাখ ২৭ হাজার ৪৫০ টাকা। অস্থাবরের মধ্যে তার নামে ছিল ৯৫ লাখ ১৪ হাজার ২৪৯ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ছিল এক কোটি ৭৯ লাখ ৬৮ হাজার ১৭৮ টাকা। তন্মধ্যে নিজ নামে নগদ টাকা দেখিয়েছিলেন ৮৭ লাখ ৫২ হাজার ৫ টাকা এবং স্ত্রীর নামে দেখিয়েছিলেন ১ কোটি ৭৯ লাখ ৫৮ হাজার ৭৩০ টাকা। ব্যাংকে নিজ নামে ৫২ হাজার ২৪৪ এবং স্ত্রীর নামে ছিল ৯ হাজার ৪৪৮ টাকা। শেয়ার ছিল নিজ নামে ৭ লাখ ১০ হাজার টাকা। উপ-নির্বাচনে হলফনামায় স্থাবর ২৪ লাখ ১৪ হাজার ৩৯৮ টাকার সম্পদ দেখান। এই সম্পদে অকৃষি ৫ লাখ ৩৯ হাজার ৩৯৮ টাকার এবং পূর্বাচলে ৭ কাঠার একটি প্লটের দাম দেখিয়েছিলেন ১৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। সেসময় পূর্বাচল প্রবাসী পল্লী লিমিটেডের নামে যৌথ ঋণ দেখিয়েছিলেন ৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।  এবার হলফনামায় নিজের শেয়ার/সঞ্চয়পত্রে ৫৪ হাজার ২১১ টাকা এবং সম্মানী ভাতা ৪৪ লাখ ২ হাজার টাকা দেখালেও নগদ কোনো অর্থ দেখাননি হাবিব। বিগত উপ-নির্বাচনে স্ত্রীর নামে কোটি টাকা দেখালেও এবার তা দেখাননি। উপরন্তু স্থাবরের মধ্যে অকৃষি জমি নিজের ও স্ত্রীর নামে কম দেখিয়েছেন।

জাতীয়

সিসিক মেয়র প্যানেল নির্বাচিত।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সিসিক মেয়র প্যানেল নির্বাচিত। সিলেট সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নির্বাচন শেষ হয়েছে। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) নতুন নির্বাচিত পরিষদের প্রথম সভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। মেয়র প্যানেলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৮ জন পুরুষ ও ৫ জন নারী কাউন্সিলর। এর মধ্যে ২৯ ভোট পেয়ে প্যানেল মেয়র-১ নির্বাচিত হন ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মখলিছুর রহমান কামরান। আর আগেরবারের প্যানেল মেয়র-১ তৌফিক বক্স লিপন ২৪ ভোট পেয়ে এবার প্যানেল মেয়র-২ নির্বাচিত হয়েছেন। লিপন ২৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। আর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলরদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৭ ভোট পেয়ে প্যানেল মেয়র-৩ নির্বাচিত হয়েছেন সংরক্ষিত-৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহানা বেগম শানু।

জাতীয়

আসন ভাগাভাগি ছাড়াই শেষ হলো ১৪ দলের বৈঠক।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আসন ভাগাভাগি ছাড়াই শেষ হলো ১৪ দলের বৈঠক। শরিকদের মধ্যে আসন ভাগাভাগি ছাড়াই শেষ হয়েছে ১৪ দলের বৈঠক। প্রায় পৌনে ৪ ঘণ্টা বৈঠক শেষে রাত ১০টার দিকে ১৪ দলের নেতারা এ তথ্য জানান। এর আগে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর গণভবনে বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক শেষে ১৪ দলের নেতারা জানান, ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর ওপর আসন ভাগাভাগির ভার দেওয়া হয়েছে। আগামী দুই-একদিনের মধ্যে তিনি বিষয়টি চূড়ান্ত করবেন। জোট না থাকলে আওয়ামী লীগ একা হয়ে যাবে বৈঠক উপলক্ষে মাগরিবের পর থেকে গণভবনে প্রবেশ করেন জোট নেতারা। রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, নজিবুল বশরসহ শরিক দলের শীর্ষ নেতারা গণভবনে প্রবেশ করেন। জোট শরিকদের আসন বণ্টন করতে এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এর আগে শরিকদের একটি ও বিরোধীদলের একটি আসন খালি রেখে ২৯৮ আসনে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। কিন্তু ১৪ দলের অন্য শরিক বা মহাজোট শরিকদের আসন বণ্টন করেননি।

জাতীয়

সিঙ্গাপুরকে ৮ গোল দিয়ে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সিঙ্গাপুরকে ৮ গোল দিয়ে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। শেষ ভালো যার, সব ভালো তার— বাংলার এ প্রবাদকে সত্যি প্রমাণ করেছেন বাংলাদেশের নারী ফুটবলাররা। অসাধারণ এক জয়ে বছর শেষ করেছেন তারা। র‌্যাংকিংয়ে ১২ ধাপ এগিয়ে থাকা সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ঘরের মাঠে দুটি প্রীতি ম্যাচই জিতেছেন সাবিনা খাতুনরা। প্রথম ম্যাচে ৩-০ আর আজ দ্বিতীয় ম্যাচে ৮-০ গোলের বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। বিপরীতে গোল হজম করেনি একটিও। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের আজই ছিল শেষ ম্যাচ। বছরব্যাপী নানা ঘটনায় আলোচনা-সমালোচনায় থাকা নারী ফুটবলের সমাপ্তিটা হয়েছে দারুণ। সফরকারী সিঙ্গাপুরের জালে দুই ম্যাচে ১১ বার বল পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। আজ ৮ গোলের মধ্যে জোড়া গোল করেন তহুরা খাতুন ও ঋতুপর্ণা চাকমা। একটি করে গোল করেছেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন, সানজিদা আক্তার, বাংলাদেশি বংশোদ্ভত সুমায়া মাতসুমি ও জুনিয়র শামসুন্নাহার। প্রথমার্ধেই বাংলাদেশ তিন গোলে এগিয়ে ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে আরো পাঁচ গোল করে স্বাগতিকরা। আজকের ৮ গোলের মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ছিল পঞ্চমটি। ফরোয়ার্ড ঋতুপর্ণা চাকমা ৬২ মিনিটে বক্সের মধ্যে বাঁ পায়ে অসাধারণ শটে বল জালে পাঠান। এর পাঁচ মিনিট আগে হওয়া গোলে অবদান ছিল ঋতুপর্ণার। বাম প্রান্ত থেকে ঋতুপর্ণা চাকমার মাইনাস তহুরা দৌড়ে গিয়ে পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন। একই লাইনে পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা সানজিদা শট নিয়ে গোল করেন। অধিনায়ক সাবিনা খাতুন ম্যাচজুড়ে বেশ কয়েকটি গোল মিস করেন। পরে তিনি অবশ্য ৭৪ মিনিটে গোলের দেখা পেয়েছেন। গত ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও হ্যাটট্রিকের আশা জাগিয়েছিলেন তহুরা। ৭০ মিনিটে ঋতুপর্ণার পাসে তহুরা গোল করলেও অফ সাইডে বাতিল হয়। ৭৫ মিনিটে স্কোরলাইন ৬-০ হওয়ার পর বাংলাদেশের কোচ সাইফুল বারী টিটু বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আনেন। গোলরক্ষক রুপ্না, ফরোয়ার্ড তহুরা, মারিয়া ও শামসুন্নাহারকে উঠিয়ে নেন। খেলোয়াড় বদল হলেও বাংলাদেশের গোল উৎসব থামেনি। ৮৬ মিনিটে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জাপানি ফুটবলার সুমাইয়া মাতসুমি বাংলাদেশের হয়ে প্রথম গোল করেন। ইনজুরি সময়ে শামসুন্নাহার একটি গোল করলে স্কোরলাইন ৮-০ হয়। প্রথম ম্যাচে জোড়া গোল করে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক ছিলেন ফরোয়ার্ড তহুরা খাতুন। আজ দ্বিতীয় ম্যাচের প্রথমার্ধেই জোড়া গোল করেন এই ফরোয়ার্ড। ১৬-১৮ মিনিটের মধ্যে বাংলাদেশ দুই গোল পায়। ১৬ মিনিটে সাবিনার ফ্রি কিক বক্সের মধ্যে আফিদার ভলিতে মাসুরা পারভীন হেড করেন। তহুরা আরেক হেডে বল জালে পাঠান। এক মিনিট পরেই অধিনায়ক সাবিনার নেওয়া কর্নার সিঙ্গাপুরের ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে বল পোস্টের সামনে পড়ে। ফাঁকা দাঁড়িয়ে থাকা ঋতুপর্ণা চাকমা প্লেসিংয়ে ২-০ করেন। ২৪ মিনিটে বক্সের মধ্য থেকে সানজিদার শট সিঙ্গাপুরের গোলরক্ষক গ্রিপে নিতে পারেননি। সামনে থাকা তহুরা বল জালে পাঠান। সিঙ্গাপুর ম্যাচজুড়ে তেমন আক্রমণ করতে পারেনি। প্রথমার্ধের ১৪ মিনিটে নুর সাওয়াজিনির শট রুপ্না ভালোমতোই সেভ করেন। দ্বিতীয়ার্ধে তেমন কিছুই করতে পারেনি সফরকারী দল। আজকের ম্যাচের অন্যতম আকর্ষণ ছিল সিঙ্গাপুরের জার্মান লিগে খেলা ফুটবলার ডানেলে। সতীর্থরা তাকে সেভাবে বল যোগান দিতে পারেনি। পাশাপাশি বাংলাদেশের ডিফেন্ডার আফিদা তাকে ভালোমতো আটকে রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন।

জাতীয়

সারাদেশে বৈধ প্রার্থী ১৯৮৫ জন, অবৈধ ৭৩১জন – ইসি

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সারাদেশে বৈধ প্রার্থী ১৯৮৫ জন, অবৈধ ৭৩১জন – ইসি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে সারাদেশে প্রার্থীদের জমা দেওয়া মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ১৯৮৫ জন প্রার্থী বৈধ ও ৭৩১ জন প্রার্থী অবৈধ বলে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এ তথ্য জানান। এদিকে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বাতিল করা মনোনয়ন ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) থেকে আবেদন করতে পারবেন প্রার্থীরা। এ লক্ষ্যে ইসিতে ১০টি অঞ্চলের জন্য ১০টি আলাদা আলাদা বুথ করেছে সংস্থাটি। ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি হবে ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি (রোববার)। ইসি সূত্রে জানা যায়, রাজনৈতিক দলগুলো যে কয়টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে তা হলো; আওয়ামী লীগ ২৯৮টি (পাঁচটি আসনে দুটি করে মনোনয়ন জমা দেয় দলটি), জাতীয় পার্টি ২৮৬টি (১৮টি আসনে দুইটি করে দলীয় মনোনয়ন জমা দিয়েছে দলটি), তৃণমূল বিএনপি ১৫১টি, জাসদ ৯১টি, ইসলামী ঐক্যজোট ৪৫টি, জাকের পার্টি ২১৮টি, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ ৩৯টি, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি ৩৩টি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ৩৪টি, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ৩৭টি, গণফ্রন্ট ২৫টি, গণফোরাম ৯টি ও জমিয়তে ইসলাম বাংলাদেশ ১টি। আরও রয়েছে, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি ১৪২টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ ২টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ১৩টি, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন ৪৭টি, জাতীয় পার্টি (জেপি) ২০টি, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল ০৬টি, গণতন্ত্রী পার্টি ১২টি, বাংলাদেশ ন্যশনাল আওয়ামী পার্টি ৬টি, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ ১৪টি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল ১টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি ১৩টি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি ১৮টি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ১টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ বিএমএল ৫টি, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট ৭৪টি, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট বিএনএফ ৫৫টি, বাংলাদেশ কংগ্রেস ১১৬টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন বিএনএম ৪৯টি ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি ৮২। এছাড়া, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৭৪৭ জন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। আর ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৪২ হাজার ১০৩টি।

Scroll to Top