নভেম্বর ২৪, ২০২৩

সাম্প্রতিক

ঢাকাদক্ষিণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ যখন লক্ষনাবন্দ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ হযে যায় তখন এইরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ঢাকাদক্ষিণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ যখন লক্ষনাবন্দ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ হযে যায় তখন এইরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের উদ্যোগে যে ১২৫ বৎসর পূর্তি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে সেটা নাকি লক্ষনাবন্দ ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু কেন ঢাকাদক্ষিণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ কি লক্ষনাবন্দ ইউনিয়নে অবস্থিত? আমাদের প্রশ্ন এই কমিটি করার মানে কি আর এই এলাকার সম্মান নেওয়ার মানে কি?? ভালোবাসার প্রতিষ্ঠান কে নিয়ে ফুটবলের মতো ব্যবহার করার অপ্রচেষ্টার বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর কি কেউ নেই! অ্যালামনাই কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠান নিজ ইউনিয়ন ছেড়ে অন্য ইউনিয়নে কেন আয়োজন করা হবে? ইতিপূর্বে ঢাকাদক্ষিন বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের আন্ডারে ১২৫ বছর পূর্তিতে অনুষ্ঠান পালন করা হয়েছে। এমন একটা সুনামধন্য প্রতিষ্ঠানের কমিটির ব্যক্তিবর্গরা কেন আবার এমন কাজের অনুমতি দিচ্ছেন? অশিক্ষিতদের নিয়ে কমিটি গঠন করলে কি আর আসা করা যায় এই কমিটি ও এই কমিটির সিদ্ধান্ত প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও সচেতন মহল বয়কট করবে। এই সিদ্ধান্ত থেকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সরে আসার অনুরোধ জানাচ্ছি। তা না হলে এই আয়োজন বয়কট ঘোষণা করা হবে।

জাতীয়

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো স্টেম সেল কনফারেন্স স্টেমকন ২০২৩

বিলেতের আয়না :- শ‌হিদুল ইসলাম, বি‌শেষ প্রতি‌নি‌ধি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো স্টেম সেল কনফারেন্স স্টেমকন ২০২৩ (২২ নভেম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালাইজ হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ স্টেম সেল এন্ড রিজেনারেটিভ মেডিসিন সোসাইটির ৭ম বার্ষিক আর্ন্তজাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন, স্টেমকন ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়। স্টেম সেল সংক্রান্ত গবেষনা ও স্টেম সেলের ক্লিনিক্যাল এপ্লিকেশন আগ্রহী শতাধিক চিকিৎসক ও চিকিৎসা বিজ্ঞানী দিনব্যাপি এই সম্মেলনে অংশগ্রহন করেন। সম্মেলনটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শরফুদ্দিন আহমেদ। বাংলাদেশ স্টেম সেল এন্ড রিজেনারেটিভ মেডিসিন সোসাইটির সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের সাবেক ডীন অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসোসিয়েশন ফর দ্যা স্টাডি অব লিভার ডিজিজেস বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. সেলিমুর রহমান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখের সোসাইটির সাধারন সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশনের প্রধান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল। অধ্যাপক স্বন্দ্বীল তার স্বাগত বক্তব্যে সোসাইটির ৭ম সম্মেলনের প্রেক্ষাপট সংক্ষেপে তুলে ধরেন। সভায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সোসাইটির কোষাধ্যক্ষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. হারিসুল হক। এবারের স্টেমকনের প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারন করা হয়েছে, ‘ন্যাসভ্যাক স্মার্ট ড্রাগ ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’। উল্লেখ্য ন্যাসভ্যাক হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের চিকিৎসায় অত্যান্ত কার্যকর বলে প্রমানিত একটি নতুন ইমিউনোথেরাপী যা রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দিয়ে হেপাটাইটিস বি ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রন করে এবং রোগীর লিভার ড্যামেজ প্রতিরোধ করে। গবেষনায় দেখা গেছে যে ন্যাসভ্যাক দিয়ে চিকিৎসার পর অন্য কোন চিকিৎসা ছাড়াই দশ বছর পর্যন্ত রোগীর লিভারের কোন সমস্যা দেখা দেয় না। অন্যদিকে জাপানে একটি সাম্প্রতিক ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখা গেছে ন্যাসভ্যাক দিয়ে চিকিৎসা করে প্রায় ৩৩ শতাংশ রোগীর HBsAg কমে গেছে। কিউবাসহ অপরাপর কয়েকটি দেশে রেজিস্ট্রেশনের পর আগামী বছর বাংলাদেশেও ন্যাসভ্যাক হেপাটাইটিস বি রেগাঁীদের চিকিৎসায় ব্যবহার করা যাবে বলে প্রত্যাশা করা যাচ্ছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশের ড্রাগ কন্ট্রোল কমিটি ন্যাসভ্যাকের রেসিপি অনুমোদন করেছেন। বাংলাদেশের বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি এদেশে ন্যাসভ্যাক উৎপাদন এবং বাজারজাতকরনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহন করেছে। ন্যাসভ্যাক বাংলাদেশের বাজারে চলে আসলে তা হবে এদেশে উদ্ভাবিত প্রথম ওষুধ যা এদেশের বাজারে আসবে। সম্মেলনে কিউবা, জাপান ও বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞরা ন্যাসভ্যাকের নানা বিষয়ে আলোকপাত করে বৈজ্ঞানিক নিবন্ধ উপস্থাপন করেন। তারা জানান, হেপাটাইটিস বি ছাড়াও লিভার ক্যান্সার এবং কোভিড-১৯-এর চিকিৎসাতেও ন্যাসভ্যাক ব্যবহারে আশাব্যাঞ্জক ফলাফল পাওয়া গেছে। এছাড়া ন্যাসভ্যাকই প্রথম ইমিউনোথেরাপী যা মানুষের কোন ক্রনিক ইনফেকশনের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হচ্ছে। উল্লেখ্য ৭ম স্টেমকন ২০২৩ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি এক বাণীতে ন্যাসভ্যাক নিয়ে গবেষনায় সাফল্যে তার সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। আশা করা হচ্ছে এই সফল গবেষনাটি ভবিষ্যতে এদেশে আরো বেশি সংখ্যাক চিকিৎসা বিজ্ঞানীকে ওষুধ উদ্ভাবনে গবেষনায় আত্মনিয়োগে উৎসাহিত করবে।

জাতীয়

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন করছেন না সরকার দলীয় এমপি হাফিজ মজুমদার।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন করছেন না সরকার দলীয় এমপি হাফিজ মজুমদার। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে রীতিমতো যুদ্ধে নেমেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা পাওয়ার লড়াইয়ে রাজনীতির বাইরে থেকে শামিল হয়েছেন নানা অঙ্গনের আলোচিত ব্যক্তিরাও। তবে এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী একজন সিলেট-৫ আসনের সংসদ সদস্য হাফিজ আহমদ মজুমদার। তিনি এবার বর্তমান সংসদ সদস্য হওয়ার পরও আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছেন দ্বাদশ নির্বাচনী লড়াইয়ে অংশ না নেওয়ার। এ বিষয়ে হাফিজ মজুমদার দেশ বলেন, আমার বয়স প্রায় ৯০ বছর। এর মধ্যে আমি ৪ বার সিলেট থেকে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছি। চেষ্টা করেছি মানুষের জন্য কাজ করার, মানুষের পাশে থাকার। কতটুকু পেরেছি তা মানুষ বলবে। এখন সময় হয়েছে বিরতি নেওয়ার, তরুণদের রাজনীতিতে আসার সুযোগ করে দেওয়ার। তিনি বলেন, আমরা যদি আসন ধরে বসে থাকি তাহলে নতুনরা কীভাবে সুযোগ পাবে। তা ছাড়া প্রতিটি মানুষের উচিত একটা গন্তব্যে গিয়ে থেমে যাওয়া। আমার সেই সময় হয়েছে। এখন তারুণ্য-যৌবন পেরিয়ে বার্ধক্যে উপনীত হয়েছি। মানুষের সাথে আগের মতো মিশতে পারি না, রাজনীতিতে সময় দিতে পারি না। তাই অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ দেশে মানুষ ক্ষমতা কখনো ছেড়ে দিতে চায় না, আপনি কেনো ছেড়ে দিচ্ছেন এমন প্রশ্নে হাফিজ মজুমদার বলেন, এখন রাজনীতিতে আসবে ‘তোমার’ মতো তরুণরা, যাদের অদম্য প্রাণশক্তি, তোমাদের ওপর নির্ভর করছে দেশের ভবিষ্যৎ। আমি ছেড়ে দিচ্ছি কিংবা আর নির্বাচন করব না এটার মধ্যে বাহাদুরীর কিছুই নেই। আমার মানুষকে কিছু দেওয়ার মতো সময় শেষ হয়ে গিয়েছে তাই নির্বাচনে লড়ছি না। হাফিজ মজুমদার সিলেটবাসীর কাছে এক অহংকারের নাম। ব্যক্তিজীবন থেকে রাজনৈতিক জীবন সব জায়গায় তিনি সৎ, পরিচ্ছন্ন ও ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত। সিলেটের শিক্ষা বিস্তারে তিনি পথপদর্শক, আলোকিত মানুষ গড়তে তিনি নিজ উদ্যোগে সিলেট বিভাগের সবচেয়ে উন্নত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো তৈরি করেছেন। জীবনের পড়ন্ত বেলায় এসেও তিনি জানিয়েছেন, শিক্ষা বিস্তারে ও এলাকার মানুষের যেকোনো প্রয়োজনে যতদিন বাঁচবেন কাজ করে যাবেন। হাফিজ মজুমদারের এমন সাহসী সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাচ্ছেন তার দীর্ঘ রাজনীতি জীবনের সহকর্মীসহ সিলেটের সর্বস্থরের মানুষ। তার বিষয়ে সুনামগঞ্জ ৫ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক বলেন, ১৯৯১ থেকে আমি ও হাফিজ মজুমদার একসাথে নির্বাচনে অংশ নেই। প্রথম নির্বাচনে আমরা দুজন ই হেরে যাই, এরপর ৯৬ এ সংসদ সদস্য নির্বাচনে প্রথমবার জয় লাভ করি। আমরা যারা রাজনীতি করি, হাফিজ ভাই ছিলেন আমাদের বন্ধু, বড় ভাই পরামর্শক। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি কখনো নেতিবাচক শিরোনাম হননি। রাজনীতির মাঠে তাকে আওয়ামী লীগের সবাই মিস করবে। এ ব্যাপারে সমাজ অনুশীলন, সিলেটের সদস্য সচিব মুক্তাদীর আহমদ মুক্তা বলেন, হাফিজ মজুমদার সাহেব একটি অনন্য নজির স্থাপন করলেন।  আগের বারও তিনি মনোনয়ন নিতে আগ্রহী ছিলেন না। দলীয় সভাপতির নির্দেশে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন। তার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। এতে নতুন নেতৃত্ব তৈরির পথ সুগম হল। হাফিজ মজুমদার সিলেট-৫ (জকিগঞ্জ-কানাইঘাট) থেকে ১৯৯১, ২০০১ সালে নৌকা নিয়ে পরাজিত হন। ১৯৯৬, ২০০৮, ও ১৮ সালের নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। মাঝে ২০১৪ সালের একতরফা নির্বাচনে তিনি নির্বাচন করবেন না বলে ঘোষণা দিয়ে সরে দাঁড়ান। কিন্ত ২০১৮ এর নির্বাচনে তাকে আবার দল থেকে ডেকে নিয়ে নির্বাচনে দাঁড় করানো হয় এবং তিনি জয়লাভ করেন। হাফিজ আহমদ মজুমদার ১৯৩৩ সালের ২৯ মার্চ সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলার নওজিসনগরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান তৈরি করে মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছেন। তিনি শিক্ষা বিস্তার ও শিক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগীতার লক্ষ্যে হাফিজ মজুমদার শিক্ষা ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেন। যেখান থেকে সিলেট জেলার অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীরা নিয়মিত সহযোগিতা পেয়ে থাকেন। তিনি ডেল্টা হাসপাতাল ও মেডিকেল সেন্টারেরও উদ্যোক্তা পরিচালক। সমাজসেবা ও শিক্ষায় অবদানের জন্য ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন তাকে ‘২০১১ সালের খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লাহ স্বর্ণপদক’ দিয়েছে।

জাতীয়

সিলেটে স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তানকে কুপিয়ে হত্যায় হিফজুরের মৃত্যুদণ্ড।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সিলেটে স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তানকে কুপিয়ে হত্যায় হিফজুরের মৃত্যুদণ্ড। সিলেটের গোয়াইনঘাটে স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তানকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় একমাত্র আসামি হিফজুর রহমানকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাকে আরও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সিলেটের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মশিউর রহমান চৌধুরী আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. নিজাম উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত হিফজুর রহমান (৩৬) সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের ফুলেরতল বিন্নাকান্দি এলাকার আব্দুর রবের ছেলে। তিনি পেশায় পান ব্যবসায়ী। মামলার বরাতে জানা যায়, ১২ বছর আগে আলেমা বেগমকে বিয়ে করেন হিফজুর। তাদের সংসারে আসে তিন সন্তান। ঘটনার আগের দিন ২০২১ সালের ১৫ জুন স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে নগরের এয়ারপোর্ট থানাধীন আতাপীরের বাড়িতে যান হিফজুর। ফেরার সময় দ্বিতীয় ছেলে আহসানকে শ্বশুরবাড়িতে রেখে আসেন। পরদিন ১৬ জুন ভোররাতে নিজ ঘরে স্ত্রী আলেমা বেগম, শিশু সন্তান মিজান ও মেয়ে আনিসাকে ঘুমন্ত অবস্থায় কুপিয়ে খুন করেন হিফজুর রহমান। এরপর নিজেও আহত হয়ে মরদেহের মধ্যে পড়ে থাকেন। পরে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন ও পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। সেখান থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে আটক করে পুলিশ। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, প্রতিপক্ষ ব্যবসায়ীদের ফাঁসাতে গিয়ে তিনি এ হত্যাকাণ্ড ঘটান। ঘটনাটির পর আলেমা বেগমের বাবা ফার্নিচার আইয়ুব আলী বাদী হয়ে গোয়াইনঘাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় হিফজুরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। জিজ্ঞাসাবাদে হিফজুর তার স্ত্রী-সন্তানদের হত্যার কথা স্বীকার করেন।  ২০২২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে একমাত্র আসামি হিফজুরকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। একই বছরের ৭ জুলাই আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হয়। বিচারক অভিযোগ আমলে নিয়ে দীর্ঘ শুনানিতে ২৪ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পিপি মো. নিজাম উদ্দিন এবং আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. ইলিয়াস হোসেন।

Scroll to Top