নভেম্বর ১৯, ২০২৩

আন্তর্জাতিক

বঙ্গবন্ধুর খুনি নুর চৌধুরী কানাডায় প্রকাশ্যে ঘোরে বেড়াচ্ছেন।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বঙ্গবন্ধুর খুনি নুর চৌধুরী কানাডায় প্রকাশ্যে ঘোরে বেড়াচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিজ হাতে গুলি করে খুন করা এস এইচ এম বি নূর চৌধুরীকে নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচার করেছে কানাডিয়ান রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিবিসি। যে প্রতিবেদনে প্রথমবারের মতো আত্মগোপনে থাকা নূর চৌধুরীর দেখা মিলেছে। সিবিসি টেলিভিশিনের জনপ্রিয় অনুসন্ধানী বিভাগ ‘দ্য ফিফথ স্টেট’ এ ‘দ্য অ্যাসাসিন নেক্সট ডোর’ শিরোনামের ৪২ মিনিটের এই প্রতিবেদনটি প্রচারিত হয় শনিবার (বাংলাদেশ সময়) সকাল ৮টায়। প্রতিবেদনে নূর চৌধুরীর কানাডায় পালিয়ে যাওয়া, ২৭ বছর সেখানে থেকে যাওয়া এবং খুনের অভিযোগে হওয়া শাস্তি বাস্তবায়নে তাকে বাংলাদেশের ফেরত চাওয়ার বিষয়গুলো উঠে এসেছে। কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার শক্তিশালী বক্তব্য দিয়ে বলেছেন, এই একটি ইস্যু বাদে কানাডার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ। কেবল বাংলাদেশি হাই কমিশনার হিসেবে নয়, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ হিসেবে আমি চাই তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হোক। নূর চৌধুরী কোথায় আছেন, কী করছেন, এ নিয়ে জানা থাকলেও তথ্য আকারে সামনে আসেনি তেমন। তার অবস্থান নিয়ে এক ধরনের ধোঁয়াশা তৈরির প্রচেষ্টা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এই রিপোর্ট প্রচারের মধ্য দিয়ে সেই ধোঁয়াশা কেটে যাবে এবং কানাডিয়ান সাধারণ জনগণ তাদের পাশের বাসায় থাকা ভয়ানক এই খুনি সম্পর্কে পরিষ্কার একটি ধারণা পাবে। প্রতিবেদনে টরন্টোর নিজ ফ্লাটের ব্যালকনিতে নূর চৌধুরীকে এক ঝলক দেখানো হয়। গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় আত্মগোপনে থাকা নূর চৌধুরীকে ড্রাইভিং সিটে বসে থাকা অবস্থায় ধরতে পারেন প্রতিবেদক। কিন্তু কথা না বলে দ্রুত গাড়ি চালিয়ে কোনোমতে কেটে পড়েন তিনি। দীর্ঘদিন অনুসরণ করে খুঁজে বের করেছে ফিফথ স্টেটের অনুসন্ধানী দলটি। বঙ্গবন্ধুকে নিজ হাতে গুলি করে হত্যার পর কূটনীতিক হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দায়িত্ব পালন করেন নূর চৌধুরী। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এলে তিনি পালিয়ে প্রথমে আমেরিকা, পরে কানাডায় ঢোকেন দর্শনার্থী হিসেবে। এরপর ১৯৯৯ সালে শরণার্থী হিসেবে থেকে যাওয়ার আবেদন করলেও কানাডা সরকার তা নাকচ করে দেয়। আপিল করেও হেরে যান নূর চৌধুরী। ২০০৯ সালে কানাডা থেকে নূরকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেন কানাডিয়ান সর্বোচ্চ আদালত। কিন্তু বাংলাদেশে পাঠালে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতে পারে— এমন শঙ্কার কথা জানিয়ে ২০১০ সালের দিকে সরকারের কাছে ‘প্রি রিমুভাল রিস্ক এসেসমেন্ট’র আবেদন করেন নূর চৌধুরী। যেহেতু কানাডা মৃত্যুদণ্ড সমর্থন করে না, সেহেতু এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রায় ১৪ বছর ধরে সেখানে মুক্ত জীবনযাপন করছেন তিনি। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের নভেম্বরে সচিবালয়ে আসেন কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস। সাক্ষাতের পরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের জানান, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামি নূর চৌধুরীকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কানাডার আইনে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ফেরত দেওয়া সম্ভব নয় বলে আমাকে হাইকমিশনার জানিয়েছেন। আমি তাদের অনুরোধ করেছি, বিকল্প পন্থা বের করা যায় কিনা। তাকে বলেছি, একজন খুনিকে আশ্রয় দেওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘন। তিনি এও বলেন, আমি তারপরেও তাকে অনুরোধ করেছি যে, আমাদের আইন এবং যে সব রুলস আছে, আমরা যদি সেগুলো এক্সামিন করি তাহলে কানাডা যাতে ফিরিয়ে দিতে পারে এমন কোনও পন্থা খুঁজে পাবো আমরা। এটাও বলেছি, তাকে ওখানে রাখাটা মানবাধিকার লঙ্ঘন।

সাম্প্রতিক

বিশ্ব ইজতেমা তুরাগ তীরে দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হইবে।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বিশ্ব ইজতেমা তুরাগ তীরে দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হইবে। তাবলিগ জামাতের দুই গ্রুপের বিশ্ব ইজতেমা আগামী ফেব্রুয়ারিতে দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে প্রথম পর্ব আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে চলবে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। দ্বিতীয় পর্ব ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে চলবে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রথম পর্বের ইজতেমায় মাওলানা জোবায়ের পক্ষের লোকজন অংশ নেবেন। বুধবার (১৫ নভেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক শেষে বিশ্ব ইজতেমার বিষয়ে এসব তথ্য জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ঢাকা থেকে ২২ কিলোমিটার উত্তরে তুরাগ নদীর তীরে টঙ্গীর বিশাল ময়দানে তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা ১৯৬৭ সাল থেকে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ২০১১ সাল থেকে বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ভারতের প্রখ্যাত মাওলানা ও তাবলিগের শীর্ষ মুরুব্বি মাওলানা সাদের একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ২০১৮ সালে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজকদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে দুই গ্রুপ দুই পর্বে ইজতেমায় অংশ নিচ্ছেন। একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, ভারতের মাওলানা সাদের অনুসারীরা। অপরটির নেতৃত্বে রয়েছে বাংলাদেশের মাওলানা জোবায়ের অনুসারী গ্রুপ।

জাতীয়

শমসের মবিন চৌধুরীর সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন ৩০০ আসনে প্রার্থী দিবেন।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- শমসের মবিন চৌধুরীর সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন ৩০০ আসনে প্রার্থী দিবেন। ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে তৃণমূল বিএনপি। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণে তৃণমূল বিএনপি থেকে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন দলটির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরী (বীর বিক্রম)। তিনি বলেছেন, সব ধরনের প্রস্তুতি আমরা নিচ্ছি, সময়মত প্রার্থীদের তালিকা জানতে পারবেন। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর গুলশানে হোটেল সাইন পুকুর সুইটসে আয়োজিত দলের সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দলের প্রতিক্রিয়া জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা। এসময় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে আগামী ১৮ নভেম্বর থেকে মনোনয়নপত্র বিতরণের ঘোষণা দেয় তৃণমূল বিএনপি। শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, জাতীয় নির্বাচনে কোনো দল যদি নিজস্ব ৩০০ প্রার্থী দিতে পারে তাহলে জনগণ রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব তাদের হাতেই দেবে। সেই আশা করেই আমরা ৩০০ প্রার্থী আসনে দিচ্ছি। আর আমরা যদি দায়িত্ব পাই তাহলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক উন্নয়নে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করবো। আশা করবো দেশ পরিচালনা করার দায়িত্ব জনগণ আমাদের দেবে। তফসিলকে স্বাগত জানিয়ে মনোনয়নপত্র বিতরণের সময় জানাল তৃণমূল বিএনপি তফসিল ঘোষণা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের হাতে এখন যেসব ক্ষমতা রয়েছে। তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, জনগণ মার্কা দেখে ভোট দেবে, নাকি মানুষ দেখে ভোট দেবে এটা জনগণের বিষয়। আমরা নির্বাচনী মাঠে গিয়ে জনগণকে বলবো, আপনারা মার্কা দেখে ভোট দেবেন না, আপনারা মানুষ দেখে ভোট দেবেন। তিনি বলেন, তৃণমূল বিএনপিতে যারা আসতে চান তাদেরকে আমরা সব সময় স্বাগত জানাবো। নির্বাচনের জন্য যদি তিনি যোগ্য হয়ে থাকেন, আইনি কোনো সমস্যা না থাকে, তবে অবশ্যই আমরা তাকে গ্রহণ করবো। যারা আসবে তাদের তালিকা আমরা আপনাদের সামনে প্রকাশ করবো—দ্রুত। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো কোনো দেশে আইনে আছে, নির্বাচন বর্জন করা বেআইনি। অস্ট্রেলিয়ার সংবিধানে আমরা দেখতে পাই সেখানে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে তার বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়। নির্বাচন বর্জন করার সংস্কৃতি থেকে বাংলাদেশকে বেরিয়ে আসতে হবে। আর তা না হলে দেখা যাবে প্রতিটি নির্বাচনে কেউ না কেউ বর্জন করছে। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যখন আমাদের বৈঠক হয় আমরা জোর গলায় এই কথাটা বারবার বলেছি, আমরা দেখতে চাই আপনাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব আপনারা যেন সঠিকভাবে পালন করেন। আমরা এটাও বলেছি, কোনো কিছু ঘটলে অবশ্যই বস্তুনিষ্ঠভাবে অ্যাকশন নেবেন, কোনো দলের পক্ষ নেবেন না। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের ওপর জনগণের যে আস্থা কমে গেছে। আশা করি আগামী নির্বাচনে এমনটা হবে না। নির্বাচন কমিশনের ওপর যে দায়িত্ব তারা যেন সঠিকভাবে, অক্ষরে অক্ষরে তা পালন করে। তৃণমূল বিএনপি চায় জনগণের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। আমরা আশা করবো আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।

Scroll to Top