নভেম্বর ১৫, ২০২৩

জাতীয়

সিলেট থেকে বিমানে উড়ার পর যাত্রীর মৃত্যু।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সিলেট থেকে বিমানে উড়ার পর যাত্রীর মৃত্যু। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে গত সোমবার সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডন যাচ্ছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বৃটিশ নাগরিক শুয়াইবুর রহমান চৌধুরী। সোমবার ভোর ৪টা ১৬ মিনিটে ওই ফ্লাইটে ওঠার আড়াই ঘণ্টা পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে সকাল ৭টা ২৫ মিনিট নাগাদ তাকে মৃত হিসেবে প্রাথমিকভাবে ঘোষণা করেন ওই ফ্লাইট সংশ্লিষ্টরা। ফ্লাইট লগেও বিষয়টি উল্লেখ আছে। তবে ফ্লাইটের পাইলট ওই ব্যক্তির জন্য মেডিকেল জরুরী অবস্থা ঘোষণা করে অবতরণের কোনো পদক্ষেপই নেননি। তিনি ফ্লাইট চলমান রেখে এ রকম ঘটনার আনুমানিক ৯ ঘণ্টা পর বিমানটি বিকাল ৪টা ১৬ মিনিটে (জিএমটি) হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করান। আর ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের ১১ ঘণ্টা ৩৭ মিনিট পর ফ্লাইটটি হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছায়। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী, কোনো যাত্রী যখন রানিং বিমানে অসুস্থ হয়ে পড়বেন এবং তার মেডিকেল জরুরী অবস্থা প্রয়োজন হয় তখন মেডিকেল জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিষয়টি পার্শ্ববর্তী কোনো বিমানবন্দরে জানিয়ে জরুরি অবতরণের জন্য প্রস্তুতি নিতে হয়। প্রতিটি বিমানবন্দর এ রকম পরিস্থিতিতে মেডিকেল জরুরি অবস্থার জন্য প্রস্তুত থাকে। বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তী হাসপাতালগুলোকে সতর্ক রাখা হয় এবং এম্বুলেন্স ও প্যারামেডিকদের বিমানবন্দরে প্রস্তুত রাখা হয়। যাত্রী অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পরও পাইলট কাছের কোনো বিমানবন্দরে অবতরণ কেন করা হয়নি জানতে চাইলে পাইলট-ইন-কমান্ড ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ একটি গণমাধ্যমকে বলেন, জরুরি অবতরণের উদ্দেশ্য হচ্ছে তাকে বাঁচানো, জানাজার ব্যবস্থা করা নয়। আমরা যখন জানতে পারলাম ততক্ষণে তাকে মৃত বলে ধরে নেয়া হয়েছে। ওই যাত্রীকে মৃত ঘোষণা করার জন্য সেখানে কোনো ডাক্তার ছিলেন না। ফ্লাইট পার্সারের ওপর নির্ভর করেই তাকে মৃত বলে ধরে নেয়া হয়। পরে পার্সার যাত্রীর মরদেহটি নিয়ে একটি খালি সিটের সারিতে শুইয়ে দেয়। ফ্লাইট লগ অনুসারে, বিমানের ওই ফ্লাইটটি ১২ই নভেম্বর বাংলাদেশ সময় প্রায় সোয়া ১০টার দিকে উড্ডয়ন করে। জিএমটি/ইউটিসি অনুযায়ী সময় তখন ভোর ৪টা ১৬ মিনিট। আনুমানিক ৬টা ৫৫ ইউটিসিতে কেবিনের প্রধান ফ্লাইট পার্সার পাইলটকে একজন যাত্রী সম্পর্কে অবহিত করেন। অসুস্থ ওই যাত্রীকে অক্সিজেন দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। ৭টা ২৫ মিনিটে পার্সার তাকে মৃত বলে ধরে নেন। বিমান সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ফ্লাইট পার্সারদের মূলত যাত্রীদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য রাখা হয়। তারা প্রশিক্ষিত তবে পেশাদার নয়। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের লন্ডনের কান্ট্রি হেড ইরতেজা কামাল চৌধুরী বলেন, বিষয়টি নিয়ে এখনো তদন্ত করা হয়নি। হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণের পর কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব নিয়ে সংশ্লিষ্ট সবার সাক্ষাৎকার নেয়। পুলিশ ও চিকিৎসা পেশাদাররা তাদের কাজ করেছেন। তিনি বলেন, হিথ্রো বিমানবন্দরে ফ্লাইটটি থেকে যাত্রী নামানোর আগে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেতে তাদের আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে।

জাতীয়

বর্নিল আয়োজনে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বর্নিল আয়োজনে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান। বর্নিল আয়োজনে প্রদান করা হয়েছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিজয়ীদের হাতে ট্রফি ও মেডেল তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু প্রমুখ। অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিজয়ীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে বলেছেন, ‘একটি দেশের সমাজকে চলচ্চিত্র সচেতন করতে পারে, আনন্দ দিতে পারে, সংস্কার করতে পারে, ইতিহাসকে ধারণ করতে পারে, দেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে। আজীবন সম্মাননা গ্রহণ করছেন রোজিনা এবারের আসরে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে যৌথভাবে দুটি ছবি। এগুলো হলো ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’ ও ‘পরাণ’। তবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতাদ্বয় শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কারটি পাননি। এই পুরস্কার অর্জন করেছেন ‘শিমু’ নির্মাতা রুবাইয়াত হোসেন। আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়েছে অভিনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুল আলম খান খসরু ও অভিনেত্রী রওশন আরা রোজিনাকে। এই আয়োজনে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী। ‘হাওয়া’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য তিনি এই পুরস্কার পেয়েছেন। অন্যদিকে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার উঠেছে যৌথভাবে জয়া আহসান (বিউটি সার্কাস) ও রিকিতা নন্দিনী শিমুর (শিমু) হাতে। অন্যান্য বিভাগের মধ্যে আরও পেয়েছেন- শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র: ‘ঘরে ফেরা’ শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র: ‘বঙ্গবন্ধু ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর (যৌথ) পুরস্কার গ্রহণ করছেন রিকিতা নন্দিনী শিমু শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা: নাসির উদ্দিন খান (পরাণ) শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী: আফসানা মিমি (পাপ পুণ্য) শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পার্শ্ব চরিত্রে আফসানা মিমিশ্রেষ্ঠ কৌতুক চরিত্রে:  দিপু ইমাম (অপারেশন সুন্দরবন) শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী: বৃষ্টি আক্তার (রোহিঙ্গা) ও মুনতাহা এমিলিয়া (বীরত্ব) শিশুশিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার: ফারজিনা আক্তার (কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া) শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক: রিপন খান (পায়ের ছাপ) শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পার্শ্ব চরিত্রে নাসির উদ্দিন খানশ্রেষ্ঠ গায়ক: বাপ্পা মজুমদার (অপারেশন সুন্দরবন) ও চন্দন সিনহা (হৃদিতা) শ্রেষ্ঠ গায়িকা: আতিয়া আনিসা (পায়ের ছাপ) শ্রেষ্ঠ গীতিকার: রবিউল ইসলাম জীবন (পরাণ) শ্রেষ্ঠ সুরকার: শওকত আলী ইমন (পায়ের ছাপ) শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার: ফরিদুর রেজা সাগর (দামাল) ও খোরশেদ আলম (গলুই) শ্রেষ্ঠ গীতিকারের পুরস্কার নিচ্ছেন রবিউল ইসলাম জীবন শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার: মুহাম্মদ আব্দুল কাইউম (কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া) শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা: এস এ হক অলিক (গলুই) শ্রেষ্ঠ সম্পাদক: সুজন মাহমুদ (শিমু) শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক: হিমাদ্রি বড়ুয়া (রোহিঙ্গা) শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক: আসাদুজ্জামান (রোহিঙ্গা) শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক: রিপন নাথ (হাওয়া) শ্রেষ্ঠ গায়ক (যৌথভাবে) চন্দন সিনহা শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা: তানসিনা শাওন (শিমু) শ্রেষ্ঠ মেকআপম্যান: খোকন মোল্লা (অপারেশন সুন্দরবন) পুরস্কার প্রদান শেষে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক পর্ব। যেটা সঞ্চালনা করেছেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস ও চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা। পর্বটি শুরু হয় পূজা চেরি ও আদর আজাদের নৃত্য পরিবেশনা দিয়ে। তারা ‘ওহে শ্যাম’ গানে নাচেন। এরপর জায়েদ খান ও আঁচল নৃত্য পরিবেশন করেন ‘ছেড়ো না ছেড়ো না হাত’ ও ‘আরে ও প্রাণের রাজা’ গানের সঙ্গে। কণ্ঠশিল্পী বালাম ও কোনাল দ্বৈতভাবে শুনিয়েছেন ‘ও প্রিয়তমা’ গানটি। এরপর মঞ্চে ওঠেন অপু বিশ্বাস ও তমা মির্জা। তারা ‘গা ছুঁয়ে বলো’, ‘চলো নিরালায়’ ও ‘ডানা মেলে প্রজাপতি’ গানগুলোতে নৃত্য পরিবেশন করেছেন। সংগীতশিল্পী লিজা ও সাব্বির পরিবেশন করেছেন কালজয়ী গান ‘তুমি যে আমার কবিতা’। সঞ্চালনায় ফেরদৌস ও পূর্ণিমাচলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে একটি নৃত্য পরিবেশনার আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেন চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক, নায়িকা প্রার্থনা ফারদিন দীঘি ও অভিনেত্রী সোহানা সাবা। তারা নেচেছেন ‘যে আমার মন কেড়েছে’, ‘আমার নাকেরই ফুল বলে রে’ ও ‘আমি রূপনগরের রাজকন্যা’ গানগুলোর তালে। কণ্ঠশিল্পী ইমরান ও কনা যৌথভাবে গেয়েছেন ‘দিল দিল দিল’ গানটি; আর ঐশীর কণ্ঠে শোনা গেছে ‘মায়া রে’ ও ‘রঙিলা বেবি’ গান দুটি। লম্বা একটি পারফর্মেন্স নিয়ে হাজির হন নুসরাত ফারিয়া। ‘তোর আশিকী’, ‘ইয়ারা মেহেরবান’, ‘কলিজা আর গান’ ইত্যাদি গানে নেচেছেন তিনি। অতঃপর মঞ্চে আসেন ফোকসম্রাজ্ঞী মমতাজ ও হিপহপ শিল্পী শাফায়েত। তারা ‘লোকাল বাস’ গানে অনুষ্ঠান মাতিয়ে তোলেন। একটি নাটিকা নিয়ে উপস্থিত হন অভিনেতা মীর সাব্বির ও অভিনেত্রী তারিন জাহান। সবশেষে একটি দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন সাদিয়া ইসলাম মৌ।

জাতীয়

পর্যটক ভিসায় কানাডা যাওয়া হলো না ৪৫ জন যাত্রীর।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- পর্যটক ভিসায় কানাডা যাওয়া হলো না ৪৫ জন যাত্রীর। পর্যটক ভিসায় কানাডা রওয়ানা দেওয়া সিলেটের বেশ কয়েকজন যাত্রীকে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটকে দিয়েছে বাংলাদেশ বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। বিমানবন্দর থেকে ফেরত আসা যাত্রীদের সংখ্যা প্রথমে ৪২ শোনা গেলেও পরে জানা গেছে ৪৫ জনকে বিমানবন্দরেই আটকে দেয় বিমান কর্তৃপক্ষ। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এই ঘটনাটি ঘটেছে গত ৭ নভেম্বর। তবে ১২ নভেম্বর বিষয়টি জানাজানি হয়। কানাডাগামী ফ্লাইটের এই ৪৫ যাত্রীকে অফলোড প্রসঙ্গে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে নিজেরে অবস্থান পরিষ্কার করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকালে বিমান কর্তৃপক্ষ এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এতে বলা হয়েছে, গত ৬ নভেম্বর বিমানের ফ্লাইট বিজি ৬০৬ যোগে সিলেট থেকে ৭৪ জন সম্মানিত যাত্রী ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। এ সকল যাত্রীবৃন্দের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক যাত্রী ছিলেন বিমানের টরেন্টো ফ্লাইটের (বিজি৩০৫/৭নভেম্বর, ২০২৩) যাত্রী। বিমানের সিলেট স্টেশনের দায়িত্বরত কর্মকর্তাগণ যাত্রীদের ভ্রমণ সংক্রান্ত তথ্য পর্যালোচনা করে দেখতে পান ৪৫ জন যাত্রী একই ব্যক্তির আমন্ত্রণ পত্রের মাধ্যমে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগদানের উদ্দেশ্যে কানাডা যাচ্ছেন। তাৎক্ষণিকভাবে ডকুমেন্টসমূহ পর্যালোচনা করে সন্দেহ হওয়ায় সিলেট স্টেশন থেকে যাত্রীর ডকুমেন্ট ঢাকাস্থ পাসপোর্ট কন্ট্রোল ইউনিটে (পিসিইউ) প্রেরণ করা হয়। উক্ত ইউনিট ডকুমেন্টসমূহ যাচাই-বাছাইয়ের জন্য দিল্লিস্থ কানাডা বর্ডার সার্ভিস এজেন্সির (সিবিএসএ) নিকট প্রেরণ করলে প্রথমে তারা জানায় সিবিএসএ এর সিস্টেমে যাত্রীর তালিকায় যাত্রীর তথ্য সঠিক রয়েছে। ফলে সিলেট থেকে যাত্রীদেরকে বোর্ডিং কার্ড ইস্যু করা হয় এবং সম্মানিত যাত্রীগণ ঢাকায় পৌঁছান। ইতোমধ্যে কানাডা বর্ডার সার্ভিস এজেন্সি থেকে আবার জানানো হয় যাত্রীদের আমন্ত্রণ পত্রের তথ্যের সাথে থাকার (আবাসন) বিষয়ে সিস্টেমে গরমিল রয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, যাত্রীদের আমন্ত্রণপত্রে হোটেলে থাকার কথা থাকলেও যাত্রীদের কাছে রেন্টেড হাউজের ডকুমেন্ট পাওয়া যায়। কানাডিয়ান আইন অনুযায়ী একটি রেন্টেড হাউজে ৪৫ জন যাত্রী থাকার কোন নিয়ম নেই এবং তা ফায়ার কোড ভায়োলেশন বলে বার্তায় উল্লেখ করা হয়। যাত্রীদের ডকুমেন্টসমূহ ও কানাডা বর্ডার সার্ভিস এজেন্সির বার্তা পর্যালোচনা এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে পরামর্শক্রমে ৪৫ জন যাত্রীকে ৭ নভেম্বর টরেন্টো ফ্লাইট থেকে অফলোড করা হয়। ঢাকাস্থ পাসপোর্ট কন্ট্রোল ইউনিট (পিসিইউ) এর মাধ্যমে উক্ত যাত্রীবৃন্দের তথ্যাদি সিবিএসএ এর নিকট প্রেরণ করা হয়েছে এবং সিবিএসএ এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে উল্লিখিত যাত্রীদের ভিসা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরিত হয়েছে। কানাডিয়ান ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ অধিকতর যাচাই-বাছাইয়ের পর সংশ্লিষ্ট যাত্রীদেরকে ইমেইলে সিদ্ধান্ত জানাবেন। যাত্রীদেরকে হোটেল অফার করা হলে তারা হোটেলে যেতে অপারগতা প্রকাশ করেন। টরেন্টো ফ্লাইটে না পাঠানোর বিষয়টি বুঝিয়ে বলা হলে তারা বিষয়টি অনুধাবন করেন। পরবর্তীতে ইমিগ্রেশন হতে তাদের বহির্গমন সিল বাতিল করে ব্যাগেজ বুঝিয়ে দেয়া হয় এবং যাত্রীগণ নিজেদের মত এয়ারপোর্ট ত্যাগ করেন। আরও বলা হয়েছে, যাত্রীর নিকট যথাযথ ডকুমেন্ট না থাকলে বা এ ধরনের ভায়োলেশনের জন্য কানাডিয়ান কর্তৃপক্ষ কর্তৃক যাত্রীপ্রতি সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সকে ৩২০০-২০,০০০ কানাডিয়ান ডলার পর্যন্ত জরিমানা আরোপ করতে পারে। প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে কানাডা পর্যটক ভিসা সহজ করায় সিলেট থেকে এই ক্যাটাগরির ভিসায় কানাডা যাওয়ার হিড়িক পড়েছে। পর্যটক ভিসায় কানাডায় গিয়ে অনেকে সেখানে থেকে যাওয়ারও চেষ্টা করছেন। পর্যটক ভিসায় কানাডা যেতে সে দেশে বসবাসরত কারো কাছ থেকে আমন্ত্রণপত্র আনাতে হয়। এমন কাগজ নিয়ে গত ৬ নভেম্বর রাতে ওই কানাডাগামী ৪৫ জন ট্রানজিটে অপেক্ষা করার সময় বিমানের পাসপোর্ট চেকিং ইউনিটের সদস্যদের সন্দেহ হয়। তারা দেখতে পান, ওই যাত্রীদের প্রায় সবার সাদা পাসপোর্টে কানাডার ভিসা লাগানো। এতে তাদের সন্দেহ আরও বাড়ে। এসময় বিমান কর্মকর্তারা তাদের আমন্ত্রণপত্র ও হোটেল বুকিং দেখতে চান। তখন তারা দেখতে পান, ওই যাত্রীদের সবাই একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে কানাডা যাচ্ছেন। আর হোটেল বুকিংয়ের পরিবর্তে তারা কিছু বাড়ি ভাড়ার কাগজপত্র দেখান। আমন্ত্রণপত্রে কানাডায় গিয়ে হোটেলে থাকার কথা উল্লেখ থাকলেও তারা সেখানে হোটেল বুকিং না করে বাসা ভাড়া করেন। এ থেকে বিমান কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয়। এরপর খোঁজ নিয়ে আরও কিছু কাগজপত্রে গরমিল পাওয়া যায়। তখন কানাডার অ্যাম্বেসিকে তাদের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে, অ্যাম্বেসি থেকে জানানো হয়, তাদের ‘ডকুমেন্ট ফলস’। পরবর্তীতে ইমিগ্রেশন হতে তাদের বহির্গমন সিল বাতিল করে ব্যাগেজ বুঝিয়ে দেয়া হয় এবং যাত্রীগণ নিজেদের মত এয়ারপোর্ট ত্যাগ করেন।

জাতীয়

সিলেট -৬ আসনে নির্বাচনে প্রার্থীতা ঘোষণা দিয়েছেন শমশের মুবিন চৌধুরী।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সিলেট -৬ আসনে নির্বাচনে প্রার্থীতা ঘোষণা দিয়েছেন শমশের মুবিন চৌধুরী। ।আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৬ আসন থেকে প্রার্থী হচ্ছেন তৃণমূল বিএনপি’র চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরী। নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে এরই মধ্যে তিনি সিলেট-৬ আসনের গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার সফর করেছেন। আনুষ্ঠানিকভাবে তার নিজ এলাকায় উঠান বৈঠক করে প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি জানান দিয়েছেন। এর আগে রোববার নিজ বাসভবনে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে মতবিনিময়কালেও একই ঘোষণা দেন। আর এটি হচ্ছে তার প্রার্থী হওয়ার প্রথম আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। এর আগে দুর্গাপূজা উপলক্ষে গোলাপগঞ্জের বিভিন্ন পুজামণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন। এবার সিলেটে এসে প্রথমে জকিগঞ্জে ফুলতলী (র.) মাজার জিয়ারত করেছেন। সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) আসনটি হচ্ছে ভিআইপি আসন। এ আসনের বর্তমান এমপি সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত এক বছর ধরে নাহিদও এলাকায় ঘনঘন সফর করছেন। বিএনপি থেকে গত নির্বাচনে এ আসনে প্রার্থী হয়েছিলেন শিল্পপতি ফয়সল আহমদ চৌধুরী। শমসের মবিন চৌধুরী ওয়ান ইলেভেনের পর থেকে সিলেটের রাজনীতিতে বিএনপি’র সহ-সভাপতি হিসেবে সক্রিয় ছিলেন। তিনি ছিলেন সিলেট বিএনপি’র শীর্ষ নেতা। পরবর্তীতে তিনি বিএনপি’র রাজনীতি ছেড়ে নিস্ক্রিয় হয়ে পড়েন। ২০১৮ সালের ৮ই ডিসেম্বর বিকল্পধারা বাংলাদেশে যোগ দেন। পরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৬ আসনে বিকল্পধারার মনোনয়নে প্রার্থী হন।পরবর্তীতে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেননি । এবার নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। তিনি দলের চেয়ারপারসনও মনোনীত হয়েছেন। চেয়ারপারসন নির্বাচিত হওয়ার পর সিলেট-১ ও সিলেট-৬ আসনে প্রার্থী হওয়ায় রাজনীতিতে গুঞ্জন দেখা দেয়। তৃণমূল বিএনপি’র স্থানীয় নেতারা। রোববার বিকালে গালাপগঞ্জ উপজেলার ভাদেশ্বর দক্ষিণভাগ গ্রামে নিজ বাড়িতে বিয়ানীবাজার মৎস্যজীবী সমিতির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন শমসের মবিন চৌধুরী। এ সময় তিনি প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘তৃণমূল বিএনপি নির্বাচনমুখী দল। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা অংশ নেবো। এবং ৩০০ আসনে তৃণমূল বিএনপি প্রার্থী দেবে।’ তিনি বলেন, ‘আমার রাজনীতি মানুষের কল্যাণের জন্য। সব সময় আমি তৃণমূলের মানুষকে ভালোবাসি। তাদের সুখ-দুঃখের সারথি হয়ে পাশে থাকবো।’ বৈঠকে বিয়ানীবাজার মৎস্যজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সমশের মবিন চৌধুরী ভাদেশ্বর মোকামবাজার শাহ পুতলা জামে মসজিদে জোহরের নামাজ আদায় করেন। স্থানীয় মুসল্লিদের সঙ্গে মতবিনিময় ও কুশল বিনিময় করেন। পরে মৎস্য সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। রাতে গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষীপাশা ইউনিয়নের কোনারচর এলাকায় তিনি উঠান বৈঠক করেন। সিলেট-৬ আসনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শমসের মবিন চৌধুরী। সে লক্ষ্যে তিনি নিজ এলাকায় এসে প্রস্তুতি চালাচ্ছেন। তাকে ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসাহ দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, শমসের মবিন চৌধুরী একটি দলের প্রধান ও একজন সাবেক কুটনীতিক। তার এই ঘোষণা সাধারণ মানুষ ইতিবাচক হিসেবে গ্রহণ করেছে। আমরাও চাই তিনি আগামী নির্বাচনে নিজ এলাকা থেকে নির্বাচন করুন। এলাকার মানুষ তাকে হতাশ করবেন না। এদিকে- দলের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, শমসের মবিন চৌধুরী ও তৃণমূল বিএনপি’র নেতা সিলেটের হযরত শাহজালাল (রহ.) ও হযরত শাহপরান (রহ.)-এর মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবেন।

জাতীয়

নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর। নানা জল্পনা-কল্পনার পর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তপশিলে ১৮ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ করার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় বিটিভিতে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণের মাধ্যমে তপশিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। ভাষণে সিইসি জানান, সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১-৪ ডিসেম্বর। আপিল ৬-১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি ২০২৪ সকাল ৮টা পর্যন্ত। এ সময় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সিইসি সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। এ ছাড়াও সংবিধান ও আইনের আলোকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেন তিনি। এর আগে বিকেল ৫টায় ভোটগ্রহণের দিন ঠিক করতে বৈঠকে বসেছিল কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর ও মো. আনিছুর রহমান এবং ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম উপস্থিত ছিলেন। গত ৯ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর সিইসি প্রথমবারের মতো জানান, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ অথবা দ্বিতীয় সপ্তাহে ভোট হতে পারে। এ ছাড়াও সূত্র জানায়, গত বছর দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই বর্তমান নির্বাচন কমিশন জাতীয় নির্বাচনসহ সার্বিক কর্মপরিকল্পনার খসড়া রোডম্যাপ তৈরি করে। সেখানে ২০২৪ সালের ৪ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের সম্ভাব্য দিন হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। ওই তারিখটি ধরেই ইসির পরবর্তী কর্মকাণ্ড এগিয়ে নেওয়া হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য কমিশনাররাও ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ বা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোট এবং নভেম্বরের প্রথমার্ধে তপশিল হবে বলে নানা সময় বক্তব্য দিয়েছেন। ৪ জানুয়ারি একটি বৃহৎ ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী হওয়ায় ভোটের তারিখ এক দিন এগিয়ে ৩ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়। প্রায় দেড় বছরে পরিবর্তিত রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ভোটের সেই তারিখ থেকে সরে আসে কমিশন। এসব জল্পনা-কল্পনা শেষে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হলো।

জাতীয়

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ৭ জানুয়ারি।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ৭ জানুয়ারি। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হবে ৭ জানুয়ারি। বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল এ তফসিল ঘোষণা করেন। ভাষণে সিইসি জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি (রবিবার)। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ৫৯২ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে।

Scroll to Top