নভেম্বর ১৪, ২০২৩

জাতীয়

জয়তুন ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ফ্রি চক্ষু ক্যাম্প ও ছানি অপারেশন অনুষ্ঠিত

বিলেতের আয়না :- শহিদুল ইসলাম, সিলেট প্রতিনিধি জয়তুন ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ফ্রি চক্ষু ক্যাম্প ও ছানি অপারেশন অনুষ্ঠিত “জীবন যতদিন দৃষ্টি ততদিন” এই স্লোগানকে সামনে রেখে প্রায় ১৫০০ (এক হাজার পাঁচ শত) সুবিধা বঞ্চিত গরীব রোগীদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরামর্শ প্রদান, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ঔষধ, চশমা সরবরাহ করেছে স্বেচ্ছাসেবী সেবা প্রদানকারী সংস্থা জয়তুন ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ‘‘ফ্রি চক্ষু ক্যাম্প ও ছানি অপারেশন’’ এর আয়োজন করা হয়। প্রতি বছরের ধারাবাহিকতায় চলতি বছরেও দক্ষিণ সুরমা মোগলাবাজার রেঙ্গা হাজীগঞ্জ কিংডম পার্টি সেন্টারে ফ্রি চক্ষু ক্যাম্প ও ছানি অপারেশন অনুষ্ঠিত এর মাধ্যমে অসহায় রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে। সিলেট ৮নং মোগলাবাজার ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের দরিদ্র গ্রামবাসীগণের মধ্যে প্রায় ১৫শ’ জন রোগীর নিবন্ধন ও প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাদের, রোগ নির্ণয়ের জন্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করেন মৌলভীবাজার বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতাল থেকে আগত বিশেষজ্ঞ সহ ১০ সদস্য বিশিষ্ট চিকিৎসক টিম দিনব্যাপী রোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্র প্রদান সহ বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় ঔষধ প্রদান করা হয়। এছাড়াও ৩০০ এর অধিক চক্ষু রোগীদের চোখের ছানী অপারেশন ও লেন্স প্রতিস্থাপনের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান এনামুল কবির, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোগলাবাজার ইউনিয়নের কৃতি সন্তান জয়তুন ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক, লন্ডন প্রবাসী আলহাজ্ব আব্দুল মজিদ (লাল মিয়া), বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জয়তুন হস্তশিল্প, সেলাই ও বয়স্ক কোরআন প্রশিক্ষণ একাডেমির সম্মানিত চেয়ারম্যান, লন্ডন প্রবাসী রাবেয়া তাহেরা মজিদ। ট্রাস্টের নির্বাহী সদস্য হারুনুর রশিদ হিরন, দিলোয়ার হোসেন, মোঃ শাহাব উদ্দিন শিহাব, ডা. সুরঞ্জিত দাশ, ট্রাস্টের কার্যকরি সদস্য আব্দুল মোমিন, মোঃ শহিদুল ইসলাম, শাকিল মাহমুদ মঈন, শাহজাহান আহমদ সহ অত্র এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। উল্লেখ জয়তুন ওয়েলেফেয়ার ট্রাস্ট ২০০১ সাল থেকে বৃহত্তর সিলেট সহ দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে জনকল্যাণমুখী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

জাতীয়

সিলেট লি‌ডিং ইউ‌নিভা‌র্সি‌টির সেই দুই শিক্ষক‌কে পুনর্বহালের নি‌র্দেশ ইউ‌জি‌সির।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সিলেট লি‌ডিং ইউ‌নিভা‌র্সি‌টির সেই দুই শিক্ষক‌কে পুনর্বহালের নি‌র্দেশ ইউ‌জি‌সির। সি‌লে‌টের বেসরকা‌রি বিশ্ব‌বিদ্যাল‌য় লি‌ডিং ইউ‌নিভা‌র্সি‌টির স্থাপত্য বিভা‌গের সেই দুই শিক্ষক‌কে পুনর্বহা‌লের আ‌দেশ দি‌য়ে‌ছে বিশ্ব‌বিদ্যালয় মঞ্জু‌রি ক‌মিশন (ইউজিসি)। সেই সঙ্গে ট্রা‌স্টি‌বো‌র্ড থে‌কে ভারতীয় নাগ‌রিকসহ দুজন‌কে দুই মা‌সের ম‌ধ্যে বাদ দি‌য়ে নতুন ক‌রে বোর্ড গঠ‌নেরও নি‌র্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রবিবার (১২ নভেম্বর) ইউ‌জি‌সির বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প‌রিচালক মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষ‌রিত এক চিঠির মাধ্যমে এসব নি‌র্দেশনা দেন। চিঠিটি রবিবার লিডিং ইউ‌নিভা‌র্সিটিতে পাঠানো হয়েছে। চিঠির অনুলিপি উপাচার্যকে পাঠানো হয়। ইউজিসির নি‌র্দেশনায় উ‌ল্লেখ করা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে লিডিং ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন অনিয়ম এবং বিশ্ববদ্যিালয়টির উপাচার্য এবং বিওটির চেয়ারম্যানের পরস্পরের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহ তদন্তে গ‌ঠিত ক‌মি‌টির সুপারিশ অনুযায়ী, লিডিং ইউনিভার্সিটি স্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপক স্থপতি সৈয়দা জারিনা হোসেইন এবং সহযোগী অধ্যাপক স্থপ‌তি রাজন দাশের বরখাস্ত আাদেশ ঘোষণাপূর্বক সকল সুযোগসুবিধাসহ তথাকথিত বরখাস্ত আদেশের স্বাক্ষরের তারিখ হতে স্বপদে পূর্নবহাল করার নি‌র্দেশ প্রদান করা হয়। সেই সঙ্গে, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর কোন এখতিয়ার বলে তাদের চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে তার কারণ দর্শানোসহ ব্যাখ্যা তিন কার্য দিবসের মধ্যে কমিশনে প্রেরণ করতে হবে। ভারতীয় নাগরিক সাদিকা জান্নাত চৌধুরী ও নাবালক সাইদ আজমাইন আবদুল হাইকে বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টিজ থেকে বাদ দিয়ে আগামী দুই মাসের মধ্যে জ‌য়েন্ট স্টক কোম্পানি থেকে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা ও আগামী তিন মাসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টির অনিরীক্ষিত অর্থ বছর-এর নিরীক্ষা করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়। সেই সা‌থে ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক কাজী আজিজুল মাওলাকে চুক্তি অনুযায়ী বেতনভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাদি প্রদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। ইউ‌জি‌সির প‌রিচালক ওমর ফারুক স্বাক্ষ‌রিত চি‌ঠি‌তে সকল বিভাগে আগামী ৩ মাসের মধ্যে যোগ্যতাসম্পন্ন প্রয়োজনীয়সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ এর ৩৩(৩) ধারা মোতাবেক খণ্ডকালীন শিক্ষক সংখ্যা নিশ্চিত করার জন্যও প্র‌য়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কাজী আজিজুল মাওলা বিশ্ব‌বিদ্যাল‌য়ের অ‌বৈধ ট্রা‌স্টি বোর্ড ১৭ বছর ধ‌রে সরকা‌রের স্থায়ী অনু‌মোদন না থাকা এবং লি‌ডিং ইউ‌নিভা‌র্সি‌টি‌তে ট্রেজারার বনমালী ভৌ‌মিকের দুর্নী‌তি নি‌য়ে লিখিত অভিযোগ দেন। অ‌ভি‌যোগে ইউনিভার্সিটির ব্যাংক হিসাবে ৬৮টি লেনদেনে অনিয়মের বিষয়ে জানতে রেজিস্ট্রার বরাবরে ইউজিসির দেওয়া চি‌ঠিসহ ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সাদিকা জান্নাত চৌধুরী (পাসপোর্ট নং-ক৩৯২০৮৫০) ভারতের নাগ‌রি‌কের বিষয়‌টি উ‌ল্লেখ করেন। অভিযোগের বিষয়ে সরেজমিন তদন্ত করতে ড. কাজী আবু তাহেরের নেতৃত্বে ৩ সদস্য বিশিষ্ট ইউজিসির একটি তদন্ত কমিটি গত ২৭ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করে। এসময় তারা বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান রাগীব আলী, ট্রেজারার বনমালী ভৌমিক ও উপচার্য ড. কাজী আজিজুল মাওলার সঙ্গে পৃথক পৃথক বৈঠক করেন। এর ম‌ধ্যে গত অ‌ক্টোব‌র মাসে উপাচার্যের যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে ট্রেজারার বনমালী ভৌমিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সিন্ডিকেট মিটিং পরিচালনাসহ বিভিন্ন বিতর্কিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। যা তার প্রাপ্ত দায়িত্বের এখতিয়ার বহির্ভূত ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আইনের পরিপন্থী। এদিকে, ইউজিসির পত্র রবিবার দুপুর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হাতে পৌঁছায়নি বলে জানিয়েছেন লিডিং ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার মো. মফিজুল ইসলাম। রবিবার বেলা তিনটার দিকে যোগাযোগ করলে রেজিস্ট্রার খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমি ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলাম এই সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কোনো চিঠি পাইনি।’ ইউজিসির পত্র পেলে নির্দেশনা সম্পর্কে কী করণীয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ইউজিসি এমন কোনো আদেশ দিয়ে থাকলে তাহলে যতটুকু পালন করার ততটুকু করা হবে। আর যেটুকু আমরা পালন করতে পারব না, সেটা ইউজিসিকে যথারীতি জানিয়ে দেওয়া হবে।’ বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দুই শিক্ষককে ভিন্ন দুটো কারণ দেখিয়ে বরখাস্ত আদেশ দেখিয়েছে। স্থপতি জেরিনা হোসাইন গত ৩ সেপ্টেম্বর তার শিক্ষকতার চুক্তি বর্ধিত করার আবেদন করেন। এটি উপাচার্য মঞ্জুর করলেও সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদনহীন দেখিয়ে চিঠি দিয়ে তার চাকরির মেয়াদ শেষ বলা হয়। অন্যদিকে, স্থাপত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান স্থপতি রাজন দাশকে পেশাগত অসাদচরণের অভিযোগ তুলে ৯ অক্টোবর কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। তার মেইল আইডিতে পাঠানো নোটিশ দেখে তিনি জবাব দিতে সময় চেয়ে মেইলে আবেদন করেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ সময় না দিয়ে ১২ অক্টোবর আরেকটি মেইল দিয়ে বরখাস্ত আদেশ পাঠান। এতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক চাকরি থেকে তাকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০তম সিন্ডিকেট সভায়। এ বিষয়টি আবার লিডিং ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের ২৩ তম সভায় চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয় বলে জানানো হয়। স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা গত ১৫ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নেওয়ার ঠিক আগ মূহুর্তে জানতে পারেন। এ সময় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ‘আমাদের স্যার কই, ম্যাম কই’ প্লে-কার্ড প্রদর্শন করে দুই শিক্ষককে বহালের দাবিতে আন্দোলনে নামেন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, দুই শিক্ষককে হঠাৎ বরখাস্ত করার সময়ে লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য যুক্তরাষ্ট্র সফরে ছিলেন। ট্রেজারার বনমালী ভৌমিক ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের দায়িত্ব নিয়ে এ কাজটি করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভিডিও বার্তায় উপাচার্যের অনুপস্থিতিতে এমন সিদ্ধান্ত আইনসম্মত নয় বলে জানালে শিক্ষার্থীরা দুই শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেরাতে আন্দোলন করছেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ২২ অক্টোবর সম্মিলিত নাগরিক সমাজের ব্যনাারে সিলেট নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশ গ্রহণে মানববন্ধন হয়। এ কর্মসূচির পর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ৩০ অক্টোবর উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে সার্বিক বিষয়ে ইউজিসিকে লিখিতভাবে অবহিত করেন। এরপর রবিবার ইউজিসি নির্দেশনা সংবলিত পত্রটি লিডিং ইউনিভার্সিটিতে পাঠানো হয়।

জাতীয়

বাংলাদেশে ৫০ বছর পর এলো রুশ নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বাংলাদেশে ৫০ বছর পর এলো রুশ নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ। রাশিয়ার নৌবাহিনীর প্যাসিফিক ফ্লিট স্কোয়াড্রন চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন করেছে। এর মধ্য দিয়ে ৫০ বছর পর রাশিয়ার নৌবাহিনীর কোনো যুদ্ধ জাহাজ বাংলাদেশে এল। রোববার (১২ নভেম্বর) ঢাকার রাশিয়ান দূতাবাস তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) এক বার্তায় এ তথ্য জানায়। তবে কবে জাহাজটি বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে তা উল্লেখ করা হয়নি। চট্টগ্রাম বন্দরে অবস্থান করা ফ্যাসিফিক ফ্লিট স্কোয়াড্রনের তিনটি জাহাজের ছবি পোস্ট করে দূতাবাস জানায়, রাশিয়ান প্যাসিফিক ফ্লিট স্কোয়াড্রন চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন করছে। যা রাশিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্কের জন্য একটি বিশাল মাইলফলক। ৫০ বছর আগে সোভিয়েত ইউনিয়নের (বর্তমান রাশিয়া) নৌবাহিনীর জাহাজ শেষবার বাংলাদেশের বন্দর পরিদর্শন করেছিল। ১৯৭২ সালের ২১শে মার্চ সোভিয়েত নৌবাহিনীর একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসে। ভাইস অ্যাডমিরাল সের্গেই যুয়েঙ্কোর নেতৃত্বে এক হাজার নাবিকের একটি বিশেষ টাস্কফোর্স মাইন অপসারণের কাজ শুরু করে। ওই অভিযানে অংশ নিয়েছিল দেশটির ২৪টি জাহাজ। তৎকালীন সোভিয়েত বাহিনী বঙ্গোপসাগর থেকে মাইন অপসারণের কাজ শুরু করেছিল এপ্রিল মাসে। যদিও জুলাই মাসের মধ্যে জাহাজ চলাচলের একটি প্রণালি বের করে ফেলেছিল টাস্কফোর্স, কিন্তু মাইন এবং ডুবে থাকা জাহাজ অপসারণ করে পুরো কাজ শেষ করতে বিশেষ টাস্কফোর্সের সময় লেগেছিল ১৯৭৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত।

জাতীয়

পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরির প্রজ্ঞাপন জারি।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরির প্রজ্ঞাপন জারি। পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করে শনিবার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে গার্মেন্টস শিল্পে জড়িত কারো (সব ধরনের শ্রমিক-কর্মচারি) আপত্তি বা সুপারিশ থাকলে তা ১৪ দিনের মধ্যে জানাতে হবে। এ সময়ের মধ্যে আপত্তি জানালে বা সুপারিশ না পাঠালে খসড়াটি চূড়ান্ত আকারে জারি করা হবে। প্রজ্ঞাপনে গার্মেন্টস শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের দুটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে। ‘ক’ শ্রেণীতে গ্রেড-১ হিসেবে রাখা হয়েছে সিনিয়র অপারেটরদের (সব ধরনের মেশিনের জন্য), গ্রেড-২ এ অপারেটর (সব ধরনের মেশিনের জন্য), গ্রেড-৩ এ জুনিয়র অপারেটর (সব ধরনের মেশিনের জন্য), গ্রেড-৪ এ সাধারণ অপারেট (সব ধরনের মেশিনের জন্য) এবং গ্রেড-৫ এ সহকারী অপারেটরদের (সব ধরনের মেশিনের জন্য) রাখা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে গ্রেড-৫ এর সহকারী অপারেটর বা হেলপারের বেতন নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ হাজার ৫০০ টাকা। এর মধ্যে মূল বেতন ৬ হাজার ৭০০ টাকা, বাড়ি ভাড়া ৩ হাজার ৩৫০ টাকা, চিকিৎসা ভাতা ৭৫০ টাকা, যাতায়াত ভাতা ৪৫০ টাকা এবং খাদ্য ভাতা এক হাজার ২৫০ টাকা। একইভাবে গ্রেড-৪ এর সাধারণ অপারেটরদের বেতন ১৩ হাজার ২৫ টাকা, গ্রেড-৩ এর বেতন ১৩ হাজার ৫৫০ টাকা, গ্রেড-২ এর অপারেটরদের বেতন ১৪ হাজার ১৫০ টাকা এবং গ্রেড-১ এর অপারেটরদের বেতন ১৪ হাজার ৭৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে মজুরি সমন্বয়ের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, একজন শ্রমিক এক বছর শিল্পে কর্মরত থাকার পর তার বাৎসরিক মূল মজুরি হবে ৭ হাজার ৩৫ টাকা। পরবর্তীতে প্রতিবছর ৫ শতাংশ হারে মজুরি বৃদ্ধি পারে। অর্থাৎ মূল মজুরি ৭ হাজার ৩৫ টাকার ৫ শতাংশ বৃদ্ধি হয়ে ৭ হাজার ৩৮৬ টাকা নির্ধারিত হবে।

জাতীয়

সন্ত্রাসী হামলা ও চোরাগোপ্তা হামলা করে সরকার হটানো যাবে না – প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সন্ত্রাসী হামলা ও চোরাগোপ্তা হামলা করে সরকার হটানো যাবে না – প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । দেশের জনগণের জন্য যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, প্রয়োজনে বাবার মতো রক্ত দেবো দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য। চোরাগোপ্তা হামলা করে, সন্ত্রাসী করে সরকার হটানো যায় না বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। রোববার (১২ নভেম্বর) বিকেলে নরসিংদী মোসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় তিনি নৌকার পক্ষে ভোট চাইলে উপস্থিত জনতা হাত তুলে সায় দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটা প্রত্যয় নিয়ে দেশে ফিরেছিলাম, সেটা মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন। আপনাদের ১০টি প্রকল্প উপহার দিয়েছি। একসময় দুর্ভিক্ষ লেগে থাকতো এই দেশে। কথা বলার স্বাধীনতা ছিল না। ভোট ও ভাতের আন্দোলন করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি। প্রত্যেক ছেলেমেয়ে যেন স্কুলে যায় সে ব্যবস্থা নিয়েছি। খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি নিরাপত্তা জোর দিয়েছি। মানুষের আয় বেড়েছে। প্রাইমারিতে মায়ের নামে মোবাইলে টাকা চলে যায়। উচ্চশিক্ষায় বৃত্তি দিচ্ছি। শিক্ষায় আমরা অনেক গুরুত্ব দিয়েছি।’ বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতাল-অবরোধ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই নভেম্বর মাস, যেখানে পরীক্ষা হচ্ছে তারা অবরোধ দেয়। সামনে আসার সাহস নেই। প্রধান বিচারপতির বাসায় আক্রমণ, জাজেস কমপ্লেক্সে আক্রমণ, হাটবাজার, দোকানপাট কিছুই রক্ষা পাচ্ছে না। চোরাগোপ্তা হামলা করে, সন্ত্রাসী করে সরকার হটানো যায় না।’ তিনি বলেন, অস্ত্র-চোরাকারবারি, মানি লন্ডারিংয়ে যুক্ত তারেক (তারেক রহমান) লন্ডনে বসে এত টাকা পায় কোথায়? সাহস থাকলে দেশে আসার কথা বলেন। এসময় ইসরায়েলের হামলার মতো দেশে হাসপাতালে হামলা করা তারেক রহমানের চেলারা জারজ সন্তান কি না সেই প্রশ্ন রাখেন প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে আগুনসন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি। আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান এসব আওয়ামী সরকার করে দিয়েছে। সামাজিক সুরক্ষা দিচ্ছি। কমিউনিটি ক্লিনিক গিয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা ওষুধ পাচ্ছে। প্রত্যেকটা মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। জিনিসের দাম বেড়েছে। এতে আমরা প্রত্যেক পরিবারে কার্ড করে দিয়েছি যেন ভর্তুকি মূল্যে কিনতে পারে। ঘরে ঘরে আলোকিত করার কথা দিয়েছিলাম, আমরা সারাদেশে বিদ্যুৎ দিতে সক্ষম হয়েছি। এসময় বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘বিএনপির ক্ষমতা মানেই দেশ পেছনে যাওয়া। আওয়ামী লীগ সরকার ৮০০ টাকা থেকে মজুরি বাড়াতে বাড়াতে ১২ হাজার করেছে। অন্য কোনো সরকার গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি বাড়ায়নি। প্রত্যেকটা গ্রাম যেন শহর হয়, শহরের সুবিধা যেন গ্রামের মানুষ পায় এজন্য ব্যবস্থা নিয়েছি। আইটি ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করেছি। এতে ছয় লাখ ফ্রিল্যান্সার কাজ করছেন। ঘরে বসে আয় করছেন। সরকারি চাকরির বাইরে যারা আছেন তাদের সবার জন্য সর্বজনীন পেনশনের ব্যবস্থা করেছি। ১০৯টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিচ্ছি যেন আমাদের ছেলেমেয়েরা কাজ করতে পারে। বিনা জামানতে ঋণ দুই লাখ টাকা পাওয়া যাচ্ছে। তাই যারা বেকার তারা ব্যবসা করেন, নিজেরা আয় করুন।’ ‘আমরা জনগণের জন্য কাজ করি’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির কাজ ধংস করা। ১৫ বছরে কত পরিবর্তন সেটা আপনারা নিজেরাই দেখছেন। নরসিংদী তাঁত, সবজি, বিখ্যাত সাগর কলা যেন দ্রুত ঢাকা যায় সে ব্যবস্থা করেছি। এসময় এ অঞ্চলে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, ‘নৌকায় ভোট দিয়েছেন এরপর দেশের উন্নয়ন হয়েছে। আমি আমার বাবা, মা, ভাইদের, স্বজনদের হারিয়েছি। আমরা দেশে আসতে পারিনি। আমার অবর্তমানে আওয়ামী লীগের সভাপতি করা হয়। একপ্রকার জোর করেই দেশে ফিরেছিলাম। খুনিদের মদদ দিয়েছে, বিভিন্ন দেশে পদায়ন করে পুরস্কার দিয়েছিল। আমি বিচার চাইতে পারবো না এমন দেশে ফিরেছিলাম একটা প্রত্যয় নিয়ে, সেটা হলো যে দেশ আমার বাবা স্বাধীন করে দিয়ে গেছে সেটা ব্যর্থ হতে দেবো না। এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই লক্ষ্য।’ নরসিংদীতে জনসমুদ্র ১৯ বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয় গোটা নরসিংদী জেলায়। সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা রং-বেরঙের ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে, রঙিন গেঞ্জি ও টুপি পরে যোগ দেন জনসভাস্থলে। বিকেল ৩টা ২৫ মিনিটে জনসভাস্থলে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরআগে দুপুর ১২টায় সর্বস্তরের মানুষের উপস্থিতিতে জনসভা জনসমুদ্রে রূপ নেয়। স্টেডিয়ামে মানুষের সংকুলান না হওয়ায় দীর্ঘ পথের নানা জায়গায় হাজার হাজার মানুষ দাঁড়িয়ে থেকেই প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনেছেন। নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম তালেব হোসেনের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক পীরজাদা কাজী মোহাম্মদ আলীর সঞ্চালনায় জনসভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন। এছাড়া বক্তব্য রাখেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, এমপি নজরুল ইসলাম হিরু, জহিরুল হক ভূইয়া, নজরুল ইসলাম বাবু, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি

জাতীয়

৭ বীরশ্রেষ্ঠের ভাস্কর্য উদ্বোধন করলেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফি উদ্দিন আহমেদ।

বিলেতের আয়না-ডেক্স :- ৭ বীরশ্রেষ্ঠের ভাস্কর্য উদ্বোধন করলেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফি উদ্দিন আহমেদ। ঢাকা সেনানিবাসে ৭ বীরশ্রেষ্ঠের ভাস্কর্য উদ্বোধন করেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। গৌরবোজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধের সাতজন বীরশ্রেষ্ঠের ভাস্কর্য ‘আমরা তোমাদের ভুলব না’ উদ্বোধন করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। রোববার (১২ নভেম্বর) ঢাকা সেনানিবাসের মাটিকাটা মিলিটারি পুলিশ চেকপোস্ট এলাকায় এর উদ্বোধন করেন তিনি। ঢাকা সেনানিবাসে বক্তব্য রাখেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা, অন্যান্য কর্মকর্তা, জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার, অন্যান্য পদবির সেনা সদস্য ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ‘আমরা তোমাদের ভুলব না’ ভাস্কর্যটিতে ‘অর্ধবৃত্তাকার প্রাচীরে’- সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে উপস্থাপন করা হয়েছে। ভাস্কর্যের সামনে থাকা ‘ফোয়ারা’- নদীমাতৃক বাংলাদেশকে তুলে ধরছে। ফোয়ারা থেকে প্রাচীর পর্যন্ত সংযুক্ত রেখাগুলো ‘সূর্যরশ্মির প্রতীক’- যার মাধ্যমে বীরশ্রেষ্ঠদেরকে জাতির সূর্য সন্তান এবং দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাজ্যের নতুন পররাষ্ট্র মন্ত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন।

সিলেটের আয়না ডেক্স :- যুক্তরাজ্যের নতুন পররাষ্ট্র মন্ত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। সোমবার ক্যামেরনের হাতে এ দায়িত্ব তুলে দেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। যুক্তরাজ্যের সরকার ব্যবস্থায় ক্যামেরনের এভাবে ফিরে আসা সবাইকে খানিকটা হলেও বিস্মিত করেছে। অবশ্য নিজের মন্ত্রিসভার শীর্ষপদে একের পর এক রদবদল এনে সোমবার বেশ কিছু চমক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি প্রথমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করেন সুয়েলা ব্রাভারম্যানকে। তারপর নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয় জেমস ক্লেভারলিকে, যিনি এতদিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সামলানোর দায়িত্বে ছিলেন। তারপরই প্রশ্ন উঠে তবে কে হচ্ছেন নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। খানিকক্ষণ পর জানা যায়, ক্যামেরনের নাম। শোনা যাচ্ছে, সুনাকের মন্ত্রিসভায় আরো কিছু রদবদল আসছে। ৫৭ বছরের ক্যামেরন ২০১০ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৬ সালে ঐতিহাসিক এক গণভোটে যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগের পক্ষে রায় এলে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান ক্যামেরন। তিনি ইইউতে থেকে যাওয়ার পক্ষে প্রচার চালিয়েছিলেন। পদত্যাগের পর গত সাত বছর নিজের স্মৃতিকথা লিখে এবং ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন ক্যামেরন। যদিও ব্যবসায় তেমন একটা সুবিধা করতে ব্যর্থ হন তিনি। তার ফিন্যান্স ফার্ম ‘গ্রিনসিল ক্যাপিটাল’ বন্ধ হয়ে গেছে। বিবিসি জানায়, সোমবার নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর হাসি মুখেই ১০ ডাউনিংস্ট্রিট ছাড়েন ক্যামেরন। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে তিনি লেখেন, “যদিও আমি গত সাত বছর ধরে সামনের সারির রাজনীতির বাইরে ছিলাম, তবে আমি আশা করছি, এগারো বছর ধরে রক্ষণশীল নেতা এবং ছয় বছর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমার যে অভিজ্ঞতা তা আমাকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে সহায়তা করতে সাহায্য করবে।”  

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়লা ব্রাভারম্যান বরখাস্ত।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়লা ব্রাভারম্যান বরখাস্ত। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক সোমবার তাঁর বিতর্কিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রাভারম্যানকে বরখাস্ত করেছেন। আগামী বছরের প্রত্যাশিত সাধারণ নির্বাচনের আগে সুনাক তাঁর শীর্ষ দলে রদবদল করছেন। ব্রিটেনে কয়েক সপ্তাহ ধরে বিতর্কিত ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ ও পাল্টা প্রতিবাদ হচ্ছে। সমালোচকরা এ সময় উত্তেজনা বাড়ানোর জন্য ব্রাভারম্যানকে অভিযুক্ত করেছেন। এতে ব্রাভারম্যানের মতো একজন স্পষ্টভাষী ডানপন্থীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে সুনাক ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে পড়েছেন। ব্র্যাভারম্যানের মাত্র এক বছর আগে সুনাক প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সময় এই পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন। এখন তাঁর স্থলাভিষিক্ত কে হবেন তা এখনো স্পষ্ট নয়। বরখাস্ত হওয়া পরে ব্র্যাভারম্যান বলেছেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে কাজ করা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সুযোগ। আমি যথাসময়ে আরো কিছু বলতে চাই।’ এদিকে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভরা নিশ্চিত করেছেন, সুনাকের শীর্ষ মন্ত্রীদের মধ্যে একটি বড় রদবদল চলছে। ব্র্যাভারম্যান তাঁর মেয়াদজুড়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। বিশেষ করে তিনি অভিবাসন বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন। তিনি নিযুক্ত হওয়ার পরপরই বলেছিলেন, রুয়ান্ডায় আশ্রয়প্রার্থীদের পাঠানো তাঁর ‘স্বপ্ন’ ও ‘আবেগ’। কিন্তু গত সপ্তাহে সুনাকের অনুমোদন ছাড়াই সংবাদপত্রে একটি বিস্ফোরক নিবন্ধ লেখার পর তাঁর অবস্থান ক্রমবর্ধমানভাবে অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে। তিনি তাঁর লেখায় বামপন্থী কারণের প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে পুলিশকে অভিযুক্ত করেছিলেন। ব্রাভারম্যান এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের অধীনে সরকারের প্রধান আইনি উপদেষ্টা এবং ২০১৫ সালে এমপি হওয়ার আগে আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছেন। সূত্র : এএফপি

Scroll to Top