নভেম্বর ৭, ২০২৩

জাতীয়

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি সভাপতি মরহুম ছমির উদ্দিন সাহেবের স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল আজ ৬ ই নভেম্বর লন্ডনের একটি হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি সভাপতি মরহুম ছমির উদ্দিন সাহেবের স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল আজ ৬ ই নভেম্বর লন্ডনের একটি হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজমল হোসেনের সভাপতিত্বে এবং বাবুল তালুকদার সঞ্চালনায় প্রথমে কুরআন তেলাওয়াত করেন মৌলানা আব্দুল কুদ্দুস। বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আমান উদ্দিন। বাংলাদেশ জাসদ যুক্ত রাজ্যের সভাপতি শামীম আহমেদ। যুক্ত রাজ্য জাসদের সহ সভাপতি মুজিবুল হক মনি। সাংবাদিক রহমত আলী। গ্রেটার সিলেট ডেভোলাপমেন্ট এন্ড ওয়েলফেয়ার সভাপতি জনাব ব্যারিষ্টার আতাউর রহমান। সাংবাদিক রহমত আলী। ডাঃ গিয়াসউদ্দিন। যুক্তরাজ্য জেএসডি সাধারণ সম্পাদক শাহেদ কামাল চৌধুরী টিটো।জাসদ নেতা ভিপি হারুন অর রশিদ । সাংবাদিক আব্দুল কাদির চৌধুরী মুরাদ। মাসুম আহমেদ। ছমির উদ্দিন সাহেবের ছেলে নাসির উদ্দীন। কমিউনিটি একটিভিস্ট নুরুল আমিন। শফিক উদ্দিন আহমেদ। শাহ আজিজুল হক। আসাদুর রহমান। লাবিদ আহমেদ। খায়রুজ্জামান সানি। তোফায়েল আহমেদ । আরও উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য জাসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক,।শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান শানুর। কমিউনিটি একটিভিস্ট নুরুল ইসলাম এমবিই। সাব্বির আহমেদ। ছমির উদ্দিন সাহেবের দুই মেয়ে সহ অনেক আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধবরা উপস্থিত ছিলেন। নেতৃবৃন্দরা বলেন, ছমির উদ্দিন ছিলেন আপাদমস্তক খাঁটি দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক নেতা। যাঁর ধ্যান জ্ঞান ছিল রাজনীতি সমাজনীতি দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি। শোষণ মুক্ত সমাজ পরিবর্তনের লক্ষ্যে সারা জীবন কাজ করে গেছেন।ছাত্র জীবন থেকে শুরু করে মৃত্যুর আগপর্যন্ত স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলনের একজন পথিকৃৎ ছিলেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজি মানুষ ছিলেন। একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসাবে পরিচিত ছিলেন। শোষিত বঞ্চিত মানুষের মুক্তির লক্ষ্য কাজ করে গেছেন।একজন ত্যাগী নেতা ছিলেন। তাঁরই বন্ধু আজমল হোসেন সাহেব সবার কাছে দোয়া ও জীবনে চলার পথে কোন ভূল ত্রুটি করে থাকলে আল্লাহর ওয়াস্তে মাফ চেয়েছেন। তিনি একাধারে সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ এবং কমিউনিটি একটিভিস্ট ছিলেন। দোয়া পরিচালনা করেন মৌলানা আব্দুল কুদ্দুস। পরিশেষে নৈশভোজের ও আয়োজন ছিল।

জাতীয়

বিএনপি-জামায়াত চক্র নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে — হাসানুল হক ইনু।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বিএনপি-জামায়াত চক্র নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে — হাসানুল হক ইনু। জিয়ার উত্তরসূরি বর্তমানের বিএনপি-জামায়াত চক্র আবারও দেশকে অবৈধ ক্ষমতা দখলের ধারায় ফেরত নেওয়ার চক্রান্তের অংশ হিসাবে নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছে মন্তব্য করে সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, সাত নভেম্বর কখনোই ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ বা ‘মুক্তিযোদ্ধা হত্যা’ দিবস ছিল না। সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান ছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বরের অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী সামরিক অফিসারদের সামরিক শাসন থেকে উচ্ছেদ করার মহান প্রচেষ্টা। সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের হৃতচেতনা পুনরুদ্ধারের প্রয়াসে বলেও মনে করেন তিনি। মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বঙ্গবন্ধু এভিনিউ জাসদ কার্যালয়ে সাত নভেম্বর উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সভায় এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, ৭ নভেম্বর শহীদ কর্নেল আবু তাহের বীর উত্তমের নেতৃত্বে সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান ছিল ১৫ আগস্টের খুনি, ৩ নভেম্বরের জেল হত্যার খুনি, কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল সামরিক অফিসারদের অবৈধ ক্ষমতা দখল ও সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে। জিয়া অভ্যুত্থানের লক্ষ্যের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে দেশে সামরিক শাসনের ধারা অব্যাহত রেখে ইতিহাসে খলনায়কের স্থান দখল করেছে। তিনি আরও বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর জিয়া-খন্দকার মোস্তাকের নেতৃত্বে বাংলাদেশ পাকিস্তানি ভাবধারায় পরিচালিত হচ্ছিল। ৩ নভেম্বরের জেলাখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে সেই ভাবধারা অব্যাহত রেখে জিয়া-খন্দকার মোস্তাকের সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধুর খুনিদের নির্বিঘ্নে-নিশ্চিন্তে-শান্তিতে বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার মত দুষ্কর্ম ঘটায়। যারা বঙ্গবন্ধু এবং চার জাতীয় নেতার হত্যাকারীদের পরিবার-পরিজনসহ ২৯ জনকে থাইল্যান্ড পাঠানোর ব্যবস্থাও করে। ঢাকা মহানগর জাসদের সমন্বয়ক মীর হোসাইন আখতারের সভাপতিত্বে এবং জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান রোকন ও দফতর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাদের চৌধুরী, অধ্যাপক মোখলেছুর রহমান মুক্তাদির, শওকত রায়হান, নইমুল আহসান জুয়েল, ওবায়দুর রহমান চুন্নু, শফি উদ্দিন মোল্লা সাইফুজ্জামান বাদশা, মুহিবুর রহমান মিহির, মো. সেলিম প্রমুখ।

জাতীয়

আগামী বুধ ও বৃহস্পতিবার ৪৮ ঘন্টার আবারও অবরোধ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আগামী বুধ ও বৃহস্পতিবার ৪৮ ঘন্টার আবারও অবরোধ। বিএনপি সরকার পতনের এক দফা দাবিতে আগামী ৮ ও ৯ নভেম্বর দেশব্যাপী সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। টানা দুই দিনের অবরোধ শেষে আজ সোমবার (৬ নভেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক বিবৃতিতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে হামলা ও সংঘর্ষের পর দলটি গত রবিবার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয়। এরপর এক দিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিন দিন অবরোধ কর্মসূচি দেওয়া হয়। এর পর শুক্র ও শনিবার বিরতি দিয়ে ৫ ও ৬ নভেম্বর অবরোধ পালন করে বিএনপি। এর পর এক দিনের বিরতি দিয়ে আবার দুই দিনের অবরোধ ঘোষণা করা হলো।

জাতীয়

গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধ-বিরতির আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্রী শেখ হাসিনা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধ-বিরতির আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার (৬ নভেম্বর) গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধ-বিরতি ও অঞ্চলটিতে অবৈধ দখলদারিত্ব বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘গাজায় মানবিক সহায়তা নিশ্চিত ও অবিলম্বে যুদ্ধ-বিরতির জন্য আমি সকল পক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আমি এই ভয়াবহ যুদ্ধ, নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ ও অবৈধ দখলদারিত্ব বন্ধে ভুমিকা রাখার জন্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’ তিনি ‘ইসলামে নারীর মর্যাদা ও ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে এ আহ্বান জানান। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমি আমাদের ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের পক্ষে আমার ভূমিকা অব্যাহত রাখব।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, শান্তির জন্য তাদের মুসলিম নারীদের আওয়াজ শুনতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা গাজায় নিরীহ নারী ও শিশুদের ওপর ইসরাইলি নৃশংসতার নিন্দা করছি। গাজার এ নৃশংসতা, ১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় অমানবিক নির্যাতনের শিকার দুই লাখ নারীর কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে।’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এ নৃশংস ঘটনাগুলো আমাকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আমার বাবা-মা এবং নারী ও শিশুসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘এটি মিয়ানমারের হাজার হাজার নির্যাতিত রোহিঙ্গা নারী ও শিশুর নির্যাতনের দৃশ্যকেই ফুটিয়ে তোলে-যারা নৃশংসতার শিকার হলে ২০১৭ সালের আগস্টে আমাদের সীমান্তে আশ্রয় চেয়েছিল।’ প্রধানমন্ত্রী মুসলিম নারীদের জন্য এক গুচ্ছ পরামর্শ দিয়েছেন। পরামর্শগুলো হল : প্রথমত, ফিলিস্তিনে অবিলম্বে সংঘাতের অবসান এবং সেখানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের- বিশেষ করে নারী ও শিশুদের উপর অপরাধের বিচার। দ্বিতীয়ত, সমস্ত অপরাধ, সহিংসতা, বৈষম্য ও নারীদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান ইসলামোফোবিয়াকে ‘না’ বলুন। তৃতীয়ত, এসডিজি-৫ পূরণের লক্ষ্যে লিঙ্গ সমতা অর্জন ও নারীদের ক্ষমতায়নের দিকে যথাযথ মনোযোগ দিন। চতুর্থত, মুসলিম নারীরা যেন ইচ্ছেমতো স্বাধীনভাবে জনসমক্ষে নিজেদের উপস্থাপন করতে পারেন-তা নিশ্চিত করুন। পঞ্চমত, নারী ক্ষমতায়ন ও মূল স্রোতে নারীদের ভূমিকার উজ্জ্বল উদাহরণ বাংলাদেশ, বন্ধুপ্রতিম মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে এ সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা বিনিময়ে প্রস্তুত। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওআইসি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে এই বহুল প্রতীক্ষিত ইস্যুগুলোতে সংলাপ প্রত্যাসিত। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়নে এর সম্ভাবনা উপলব্ধি করে খুব তাড়াতাড়ি ওআইসি’র নারী উন্নয়ন সংস্থায় (ডব্লিউডিও) যোগ দেয়। তিনি বলেন, ‘ডব্লিউডিও এর যাত্রা শুরু করেছে এবং আমি আশা করি, ইসলামকে আরও ভালোভাবে বোঝার মাধ্যমে আজকের চাহিদাগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য এ ম্যান্ডেটকে প্রসারিত করা যেতে পারে। আর তবেই আমরা একটি বৈষম্যহীন, শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ বিশ্বের স্বপ্ন দেখতে পারি। আমি এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সাফল্য কামনা করছি।’ শেখ হাসিনা এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ইসলামে নারীর মর্যাদা তুলে ধরার জন্য সৌদি আরব ও ওআইসিকে ধন্যবাদ জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নারীমুক্তির জন্য সৌদি আরবের যুগান্তকারী উদ্যোগগুলোকে আগ্রহের সঙ্গেই লক্ষ্য করি। আমি মহামান্য বাদশাহ ও হিজ রয়েল হাইনেস যুবরাজের এই রূপান্তরমূলক দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করি।’ ইসলামকে শান্তি, সম্প্রীতি ও মানবতার ধর্ম আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসসাল্লামের আহ্বানে সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণকারী ছিলেন একজন নারী-বিবি খাদিজা। পবিত্র কুরআনের সূরা আন-নিসা’র আয়াতের উদ্ধৃতি দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “আর আল্লাহকে ভয় কর, যার নামে তোমরা পরস্পরের এবং রক্ত সম্পর্কের অধিকার চাও। নিঃসন্দেহে আল্লাহ সর্বদাই তোমাদের উপর পর্যবেক্ষক।’ তিনি বলেন, বাংলাদেশে নারীর অধিকার ও লিঙ্গ সমতা রক্ষায় তাদের গর্বিত ঐতিহ্য রয়েছে। বাংলাদেশের রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের মতো পথপ্রদর্শক আছেন, যিনি ১৯০৫ সালে প্রকাশিত তার ‘সুলতানার স্বপ্ন’ বইতে নারী নেতৃত্বাধীন বিশ্বের কল্পনা করেছিলেন। ইংরেজিতে বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি, চির কল্যাণকর, অর্ধেক তা করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।’ শেখ হাসিনা বলেন, তার বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় বাংলাদেশের সংবিধানে নারীর সমমর্যাদা নিশ্চিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে প্রথম সংসদে নারীদের জন্য ১৫টি সংরক্ষিত আসনের বিধান করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার মেয়ে হিসেবে তিনি নারী ক্ষমতায়নের এ কাজটি অব্যহত রেখেছেন এবং নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করে ৫০টিতে উন্নীত করেছেন। আমাদের জাতীয় সংসদে এখন ৭৩ নারী সাংসদ রয়েছেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘নারীরা সব সময়ই আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সামাজিক সংস্কার ও গণতান্ত্রিক সংগ্রামের প্রথম সারিতে থেকেছেন। তারা নিজেরাই যেন কাজের মাধ্যমে তাদের অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে পারেন, আমি তাদের প্রতি সেই আহ্বান জানাচ্ছি।’ তিনি বলেন, নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের বৈশ্বিক সূচকে বিশ্বের শীর্ষ দশটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের একটি অনন্য উদাহরণ আছে- যেখানে জাতীয় সংসদের স্পিকার, সংসদ নেতা, বিরোধী দলীয় নেতা ও সরকারি দলের উপনেতা সবাই নারী। এ ছাড়াও আমাদের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় নারীদের জন্য এক-তৃতীয়াংশ আসন সংরক্ষিত রয়েছে।’ শেখ হাসিনা বলেন, তার রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সর্বস্তরে নারীর প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘যতবার আমি দায়িত্বে এসেছি, সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীদের উন্নীত করার জন্য সমস্ত বাধা দূর করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। প্রশাসন, বিচার বিভাগ, বিশ্ববিদ্যালয়, সশস্ত্র বাহিনী, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাণিজ্য সংস্থায় আমাদের নারীদের শীর্ষ পদে অধিষ্ঠিত হতে দেখে আমি গর্বিত বোধ করি।’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে তাদের মেয়েরা পাবলিক পরীক্ষা, প্রতিযোগিতামূলক নিয়োগ ও জাতীয় পর্যায়ের খেলায় অংশ নিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির হোস্ট হিসাবে আমি ওআইসি সদস্য দেশগুলোর তরুণ মহিলাদের এই চমৎকার প্রতিষ্ঠানে পড়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার বর্তমানে নারীদের জন্য সুবিধাসহ সারা দেশে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টার নির্মাণ করছে। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিও আমাদের নারীদের অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণের প্রমাণ। বাংলাদেশের সরকার প্রধান বলেন, ‘আমাদের আনুষ্ঠানিক অর্থনীতির প্রায় ৪৬% নারী কর্মী। নারী উদ্যোক্তারা আমাদের কুটির, ক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র শিল্পে বড় ধরনের অবদান রাখছেন। আইটি ফ্রিল্যান্সিং, ই-কমার্স এবং স্টার্ট-আপে নারীদের প্রাণবন্ত উপস্থিতি রয়েছে।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের সরকার অর্থ, বাজার, ধারণা ও প্রশিক্ষণে নারীদের প্রবেশাধিকার বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।’ সরকারী ক্ষেত্রে ছয় মাসের বেতনের মাতৃত্বকালীন ছুটি মঞ্জুর করা হয়। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে যোগাযাগ রক্ষা করে যাচ্ছি-যাতে বিদেশে কর্মরত নারী কর্মীদের সুরক্ষা ও মঙ্গল নিশ্চিত করা যায়। সরকারের বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির মাধ্যমে দরিদ্র, বিধবা, পরিত্যক্ত, প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক নারীরা উপকৃত হচ্ছে। সরকার বিনামূল্যের আবাসন ও আশ্রায়ন প্রকল্পে স্বামী ও স্ত্রী উভয়কে যৌথ মালিকানা দিচ্ছে, যাতে বিচ্ছেদ হলে সেটি স্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। যৌতুক, বাল্যবিবাহ ও সাইবার হয়রানির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন বাড়ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন আইন অনুসারে সকল জাতীয় পরিচয়পত্রে মায়ের নাম ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। আমরা নারী শান্তি ও নিরাপত্তা কর্মীদের জন্য একটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছি। আমাদের নারী শান্তিরক্ষীরা গর্বের সঙ্গে আফ্রিকায় জাতিসংঘের মিশনে দায়িত্ব পালন করছেন।’

জাতীয়

শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান অর্জুনা রানাতুঙ্গা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান অর্জুনা রানাতুঙ্গা। ভারতে চলমান ওয়ানডে বিশ্বকাপে ব্যর্থতার প্রভাব বেশ ভালোভাবেই পড়া শুরু হয়েছে শ্রীলঙ্কার ওপর। কিছুদিন আগে দেশটার ক্রীড়ামন্ত্রী রোশান রানাসিংহের নির্দেশে পদত্যাগ করেন শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের (এসএলসি) সেক্রেটারি মোহন ডি সিলভা। এরপর পুরো এসএলসি বোর্ডকেই বরখাস্ত করেছেন ক্রীড়ামন্ত্রী। এবার আপাতত এসএলসির অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, সে কমিটির সভাপতি করা হয়েছে শ্রীলঙ্কাকে ১৯৯৬ বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গাকে। ১৯৭৩ সালে প্রণীত শ্রীলঙ্কার ক্রীড়া আইনের অধীনে এই কমিটি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। রানাতুঙ্গা ছাড়াও কমিটিতে আছে আরও ছয়জন শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের সাবেক সভাপতি উপালি ধর্মদাসা, আইনজীবী রাকিতা রাজাপক্ষে, অবসরপ্রাপ্ত বিচারক এসআই ইমাম, ইরাঙ্গানি পেরেরা ও রোহিনী মারাসিংহে, ব্যবসায়ী হিশাম জামালদিন। মাঠের বাইরের মতো মাঠের ক্রিকেটেও এলোমেলো শ্রীলঙ্কা। বিশ্বকাপে সাত ম্যাচ খেলে দুটিতে জিতে পয়েন্ট তালিকার সাতে তারা। সবশেষ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে মাত্র ৫৫ রানে অলআউট হয়েছিল। সোমবার নিজেদের অষ্টম ম্যাচে বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে কুশল মেন্ডিসের দল। এদিকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) নিয়ম অনুযায়ী, বোর্ডের কোনো কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না কোনো দেশের ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে লঙ্কান সরকারের আইন অনুসারে, লঙ্কান বোর্ডের কার্যাবলি পর্যবেক্ষণের ক্ষমতা রয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের। দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের (এসএলসি) গত এক বছর ধরে তিক্ত সম্পর্ক চলছিল। তবে সম্প্রতি তা উষ্ণতায় রূপ নিয়েছে। বর্তমানে আবারও তা তিক্ততার দিকে এগোচ্ছে। কয়েকদিন আগেই আইসিসিকে একটি চিঠিও পাঠিয়েছিলেন রানাসিংহে। সেই চিঠিতে বোর্ডের কর্তাদের ‘লজ্জাহীন, বিশ্বাসঘাতক ও অবিশ্বস্ত’ আখ্যা দিয়েছিলেন তিনি।

জাতীয়

সিলেট থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবেন শেখ হাসিনা – ওবায়দুল কাদের।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সিলেট থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবেন শেখ হাসিনা – ওবায়দুল কাদের। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম নির্বাচনী জনসভা সিলেট থেকে শুরু হবে। সিলেট থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবেন। সেই জনসভায় আপনারা দলে দলে যোগ দেবেন। সোমবার দুপুরে সিলেটের বালাগঞ্জে বড়ভাঙ্গা নদীর উপর নির্মিতব্য দুটি সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। দুপুর ১২টায় বালাগঞ্জ সরকারি ডিএন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সিলেট সড়ক জনপদ অধিদপ্তরের (সওজ) উদ্যোগে আয়োজিত জনসভায় সভাপতিত্ব করেন সওজের প্রধান প্রকৌশলী মো. ফজলে রাব্বী। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনহার মিয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, সিলেটি প্রবাসীর অবদান শেখ হাসিনা স্বীকার করেন। তাদের মূল্যায়ন করেন তিনি। এছাড়া সিলেটের যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটিয়েছে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার। প্রধানমন্ত্রীর সৌদি আরব সফর প্রসঙ্গে কাদের বলেন, বর্তমানে যে দুঃসময় যাচ্ছে সেটাতে সৌদি আরব আমাদের সাহায্য করবে। আর এ দুঃসময়ে ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হিসেবে একটি দল আন্দোলন করছে। তারা একজন নন্দিত প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতা থেকে হটাতে আন্দোলন করছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে রিমোট কন্ট্রোলে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন ওবায়দুল কাদের। কাদের আরও বলেন, ‘নির্বাচন পর্যন্ত আমরা সতর্ক পাহারায় থাকব। আমরা নির্বাচন পর্যন্ত সতর্ক থাকব। দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। আমরা চোরাগোপ্তা হামলায় আতঙ্কিত না, আমরা ভয় পাই না। ’ স্থানীয় সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনাদের এমপি বড়ই নাছোড়বান্দা। অনেকদিন থেকেই আমার কাছ থেকে তারিখ নেওয়ার চেষ্টা করছেন- যাতে বালাগঞ্জের এই প্রকল্পের কাজের উদ্বোধন আমি করি। সেতুমন্ত্রী আরও বলেন কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্নফুলি নদীর তলদেশে ট্যানেল উদ্বোধন করেছেন। এর আগে তিনি একদিনে একশ’ এবং আরেকদিন দেড়শ’ সেতু নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেছেন। তিনি সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক ৬ লেন করছেন। ৪ লেন হচ্ছে সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক।

জাতীয়

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ওআইসি মহাসচিবের সাক্ষাৎ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ওআইসি মহাসচিবের সাক্ষাৎ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে ওআইসি মহাসচিব হুসেইন ইব্রাহিম তাহা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) মহাসচিব হুসেইন ইব্রাহিম তাহা। এছাড়াও সাক্ষাৎ করেছেন ইরানের নারী ও পরিবার বিষয়ক বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট এনসেইহ খাজালি ও ওআইসির নারী উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ডক্টর আফনান আলশুয়াইবি। সোমবার (৬ নভেম্বর) সৌদি আরবের জেদ্দায় হোটেল হিলটনে তারা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এর আগে সরকারি সফরে সৌদি আরব অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার মদিনার মসজিদে নববীতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা মোবারক জিয়ারত এবং সেখানে আছরের নামাজের পর ফাতেহা পাঠ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে ওআইসি নারী উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ডক্টর আফনান আলশুয়াইবি। ছবি: ফোকাস বাংলা পরে সোমবার সকালে মক্কায় পবিত্র মসজিদ মসজিদুল হারামে ওমরাহ পালন করেছেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশ ও এর জনগণের পাশাপাশি সমগ্র মুসলিম উম্মাহর অব্যাহত শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে ইরানের নারী ও পরিবার বিষয়ক বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট এনসেইহ খাজালি। ছবি: ফোকাস বাংলা মূলত জেদ্দায় অনুষ্ঠেয় ‘ইসলামে নারী’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রীর এ সফর। অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি)-এর জেনারেল সেক্রেটারিয়েটের সঙ্গে সমন্বয়ে সৌদি আরব এ সম্মেলনের আয়োজন করছে। সম্মেলনে যোগদান ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী ‘উইমেন ইন ইসলাম’ শীর্ষক প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।

জাতীয়

সিলেট সিটি করপোরেশনের নতুন মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সিলেট সিটি করপোরেশনের নতুন মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার বেলা তিনটায় নগর ভবনে বিদায়ী মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নবনির্বাচিত মেয়রের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। পরে নগর ভবন চত্বরে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন মেয়রকে বরণ করে নেয় সিটি কর্তৃপক্ষ। এর আগে গত ২১ জুন পঞ্চমবারের মতো সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচনে জয়ী হন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। বিএনপি ওই নির্বাচন বর্জন করেছিল। দলটির মনোনয়নে টানা দুবারের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী দলীয় নির্দেশনা মেনে এবার নির্বাচনে অংশ নেননি। সিলেটের নতুন মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। নির্বাচিত হওয়ার পর ৩ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর কার্যালয়ের শাপলা হলে এক অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত মেয়র আনোয়ারুজ্জামানকে শপথ পাঠ করান। তবে আরিফুল হক চৌধুরীর মেয়াদ শেষ না হওয়ায় তিনি দায়িত্ব নিতে পারেননি। আরিফুলের মেয়াদ শেষে আজ আনোয়ারুজ্জামান দায়িত্ব নেন। একই সঙ্গে নগরের ৪২টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলররাও আজ দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। দায়িত্ব হস্তান্তরের পর আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে বরণ করে নেওয়া হয়। এ পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। এ সময় নতুন মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও সদ্য বিদায়ী মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে নতুন মেয়র ও বিদায়ী মেয়র প্রধান অতিথির হাতে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন। দায়িত্ব হস্তান্তরের আগে নবনির্বাচিত মেয়রকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান বিদায়ী মেয়র। মঙ্গলবার নগর ভবনে। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ইমরান আহমদ বলেন, ‘আগে দুবার মেয়র হিসেবে কামরান (বদরউদ্দিন আহমদ) ভাই ছিলেন। এরপর দুবার আরিফুল হক চৌধুরী তাঁর ছাপ রেখেছেন। আমি প্রত্যাশা রাখি, আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীও তাঁর ছাপ আরও গভীরভাবে রাখবেন।’ তিনি বলেন, আরিফুল হক সাহেব সিলেটকে অনেক সুন্দর করেছেন। রাস্তাঘাট বড় করেছেন। অনেক আলোকিত করেছেন। তবে বর্ষার সময় নগরে পানি ওঠে। কোথাও না কোথাও একটা গন্ডগোল আছে, যা হয়তো দেখা হয়নি। আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী জলাবদ্ধতার বিষয়টি দেখবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে সিলেটের স্থানীয় প্রশাসন, রাজনীতিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেসা হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনসহ অনেকে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানান। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সভাপতি রজতকান্তি গুপ্ত ও জান্নাতুল নাজনীন। তবে অনুষ্ঠানস্থলে অব্যবস্থাপনা নিয়ে অনেককে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। এদিকে দায়িত্ব নেওয়ার আগে দুপুরে মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজার জিয়ারত করেন।

Scroll to Top