নভেম্বর ৩, ২০২৩

জাতীয়

আজ ৩রা নভেম্বর জেল হত্যা দিবস।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আজ ৩রা নভেম্বর জেল হত্যা দিবস। আজ ৩রা নভেম্বর জেল হত্যা দিবস। জাতীয় চার নেতাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্মরণের দিন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যার পর দ্বিতীয় কলঙ্কজনক অধ্যায় এই দিনটি। ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর তিন মাসেরও কম সময়ের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী ও চার জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এএইচএম কামারুজ্জামান এবং ক্যাপ্টেন মনসুর আলীকে এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এর আগে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর এই চার রাজনীতিককে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। জাতি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী ও চার জাতীয় নেতাকে যথাযথ শ্রদ্ধা প্রদর্শনের মাধ্যমে দেশের ইতিহাসের অন্যতম বর্বরোচিত এই কালো অধ্যায়টি স্মরণ করবে। আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠনের উদ্যোগে সারাদেশে পালিত হবে শোকাবহ এই দিনটি। বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভার সবচেয়ে ঘৃণিত বিশ্বাসঘাতক সদস্য হিসেবে পরিচিত এবং তৎকালীন স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমদ এবং বঙ্গবন্ধুর দুই খুনি কর্নেল (বরখাস্ত) সৈয়দ ফারুক রহমান এবং লে. কর্নেল (বরখাস্ত) খন্দকার আব্দুর রশীদ জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যার এ পরিকল্পনা করেন। কারাগারে কলঙ্কময় এ কাজের জন্য তারা আগেভাগে একটি ঘাতক দলও গঠন করে। এ দলের প্রধান ছিল রিসালদার মুসলেহ উদ্দিন। সে ছিল ফারুকের সবচেয়ে আস্থাভাজন অফিসার। ১৫ আগস্ট শেখ মনির বাসভবনে যে ঘাতক দলটি হত্যাযজ্ঞ চালায় সেই দলটির নেতৃত্ব দিয়েছিল মুসলেহ উদ্দিন। প্রখ্যাত সাংবাদিক অ্যান্থনী মাসকারেনহাস তার ‘বাংলাদেশ এ লিগ্যাসি অব ব্লাড’গ্রন্থে এ বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি জানান, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পরপরেই জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনাটি এমনভাবে নেওয়া হয়েছিল যাতে পাল্টা অভ্যুথান ঘটার সঙ্গে সঙ্গে আপনা-আপনি এটি কার্যকর হয়। আর এ কাজের জন্য পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি ঘাতক দলও গঠন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা ঘোষণার পর পরই পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে জাতির জনককে তাঁর ধানমন্ডির ঐতিহাসিক বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময় সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাংলাদেশ সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারের সমধিক পরিচিত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দিন আহমেদ একটি স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় কোটি কোটি বাঙালির স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বঙ্গবন্ধুর অপর ঘনিষ্ঠ সহযোগী এএইচএম কামারুজ্জামান ও ক্যাপ্টেন মনসুর আলী আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনার ক্ষেত্রে নীতি ও কৌশল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্য এবং ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিহত জাতীয় চার নেতা হত্যার তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছিল লন্ডনে। এসব হত্যার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইন ও বিচারের প্রক্রিয়াকে যে সমস্ত কারণ বাধাগ্রস্ত করেছে সেগুলোর তদন্ত করার জন্য ১৯৮০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে এই তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়। তবে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সরকারের অসহযোগিতার কারণে এবং কমিশনের একজন সদস্যকে ভিসা প্রদান না করায় এ উদ্যোগটি সফল হতে পারেনি। অধ্যাপক আবু সাইয়িদের ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড ফ্যাক্টস এন্ড ডুকমেন্টস’ গ্রন্থে এই কমিশন গঠনের বর্ণনা রয়েছে। এতে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুই কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা, মনসুর আলীর পুত্র মোহাম্মদ সেলিম এবং সৈয়দ নজরুল ইসলামের পুত্র সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের আবেদনক্রমে স্যার থমাস উইলিয়ামস, কিউসি এমপির নেতৃত্বে এই কমিশন গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। বাংলাদেশ ও বিদেশে অনুষ্ঠিত জনসভাসমূহে এ আবেদনটি ব্যাপকভাবে সমর্থিত হয়। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতা হত্যায় যে ষড়যন্ত্র হয়েছিল তা প্রমাণিত হয়েছে বলে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে বলা হয়েছে। জাতীয় চার নেতা হত্যা মামলায় (জেল হত্যা) পলাতক দুই আসামি এলডি (দফাদার) আবুল হাসেম মৃধা ও দফাদার মারফত আলী শাহকে নিম্ন আদালতের দেয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে আপিল বিভাগের দেওয়া ২৩৫ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় ২০১৫ সালের ২ ডিসেম্বর প্রকাশ করা হয়। এর আগে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যার পরদিন তৎকালীন উপ-কারা মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন) কাজী আবদুল আউয়াল লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই ঘটনায় মামলা দায়েরের ২৩ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ১৯৯৮ সালের ১৫ অক্টোবর অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. মতিউর রহমান রায় ঘোষণা করেন। বিচারিক আদালত রায়ে রিসালদার মোসলেম উদ্দিন (পলাতক), দফাদার মারফত আলী শাহ (পলাতক) ও এল ডি (দফাদার) আবুল হাসেম মৃধাকে (পলাতক) মৃত্যুদন্ড দেয়। এছাড়া বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত চার আসামি সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, বজলুল হুদা ও একেএম মহিউদ্দিন আহমেদসহ ১২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপি নেতা কেএম ওবায়দুর রহমান, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, নুরুল ইসলাম মঞ্জুর ও তাহেরউদ্দিন ঠাকুরকে খালাস দেওয়া হয়।

জাতীয়

বিএনপির মিডিয়া সেলের প্রধান জহির উদ্দিন স্বপন গ্রেপ্তার ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বিএনপির মিডিয়া সেলের প্রধান জহির উদ্দিন স্বপন গ্রেপ্তার । বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বিকালে গুলশানের একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশের মতিঝিল বিভাগের একটি মামলায়। জহির উদ্দিন স্বপন বিএনপির আরো দুটি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত আছেন। এরমধ্যে তিনি বিএনপি কমিউনিকেশন সেলের প্রধান সম্পাদক এবং বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ অ্যান্ড কমিউনিকেশনের (বিএনআরসি) পরিচালক পদে আছেন। বিএনপির ডাকা ২৮ অক্টোবরের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ও পরবর্তীতে হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি শুরুর পর থেকে দলটির অনেক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুরের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। গ্রেপ্তার হয়েছেন যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালও।

জাতীয়

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী আটক।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী আটক। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে রাজধানীর গুলশানের একটি বাসা থেকে আটক করা হয় আমীর খসরুকে। ডিবি সূত্র আটকের তথ্য নিশ্চিত করলেও তাকে কোনো মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে কি না, সে বিষয়ে কিছু জানায়নি। বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেসউইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার এক বার্তায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর আটকের তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বার্তায় বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গুলশান-২-এর ৮১ নম্বর সড়কের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

জাতীয়

টাইম ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ প্রতিবেদন বাংলাদেশের রাজনীতিতে অবিসংবাদিত নাম শেখ হাসিনা।

বিলেতেৱ আয়না ডেক্স :-  টাইম ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ প্রতিবেদন বাংলাদেশের রাজনীতিতে অবিসংবাদিত নাম শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে প্রচ্ছদ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিশ্বখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন। প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, তিনি বাংলাদেশের রাজনীতিতে অবিসংবাদিত এক নাম। তার নেতৃত্বে ১৭ কোটি মানুষের বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত পাট উৎপাদনকারী দেশ থেকে এশিয়া-প্যাসিফিকের দ্রুততম প্রসারণশীল অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আসছে জানুয়ারির ব্যালট বাক্সের লড়াইয়ে জেতার ব্যাপারেও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) ‘প্রাইম মিনিস্টার শেখ হাসিনা অ্যান্ড দ্য ফেট অব ডেমোক্রেসি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক চার্লি ক্যাম্পবেলের প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে টাইম ম্যাগাজিন। প্রতিবেদনে বলা হয় করা হয়, বর্তমানে তিনিই বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘকালীন নারী সরকারপ্রধান। ইসলামী মৌলবাদী শক্তি ও সামরিক হস্তক্ষেপকারী উভয়পক্ষকেই পরাস্ত করার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন তিনি। ইতোমধ্যে তিনি মার্গারেট থ্যাচার বা ইন্দিরা গান্ধীর চেয়ে বেশিবার নির্বাচনে জয়ী হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায় সরকারি বাসভবন গণভবনে। ছবি: সংগৃহীত অর্থনৈতিক অগ্রগতি, জিডিপির হার, মাথাপিছু আয়, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, সমুদ্রসীমার জয়, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বিদ্যুৎ, মডেল মসজিদ কাম ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, ১০ মেগা প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শেখ হাসিনার শাসনামলে ব্যাপক অথনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতি হয় । ছবি: রয়টার্স বিগত বছরগুলোতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ১৯ বার গুপ্তহত্যার চেষ্টা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে টাইম ম্যাগাজিন। প্রতিবেদনে বলা হয়, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সমর্থকরা নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে; এসব ঘটনায় গ্রেপ্তার শতাধিক। পুলিশের যানবাহন এবং বাসেও আগুন দেয়া হয়েছে। এসব ঘটনায় প্রাণ গেছে কয়েকজনের। বিএনপি ২০১৪ এবং ২০১৮ উভয় নির্বাচনই বয়কট করার কথা জানিয়েছে। তাদের দাবি, শেখ হাসিনা যেন নির্বাচন পরিচালনার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রধান নেতা ও বাংলাদেশ সরকারের প্রথম রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে। স্কুলজীবনেই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। ১৯৬২-তে স্কুলের ছাত্রী হয়েও আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন। আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ১৯৮১ সালে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যখন দিশেহারা, সেই ক্রান্তিলগ্নে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের অনুরোধে শেখ হাসিনা বিদেশ থেকে ফিরে এসে দলটির সভাপতির গুরুদায়িত্ব নেন। ছয় বছরের নির্বাসিত জীবন শেষ তিনি ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরেন। সর্বশেষ ২০২২ সালের ২৪ ডিসেম্বর দলের ২২তম ত্রৈবার্ষিক জাতীয় কাউন্সিলে দশম বারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা। একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৩০০ আসনের মধ্যে ২৮৮ আসনে জয়ী হলে শেখ হাসিনা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এটি তার টানা তৃতীয় মেয়াদ। শেখ হাসিনাকে অন্তত ২০ বার হত্যার চেষ্টা হয়েছে। প্রতিটিতেই কোনোরকমে প্রাণে বেঁচে গেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। এর মধ্যে ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামের লালদিঘি ময়দানের কাছে, ১৯৮৯ সালের ১১ আগস্ট ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবনে, ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ঈশ্বরদী ও নাটোর রেলস্টেশনে, ১৯৯৫ সালের ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর রাসেল স্কয়ারে, ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে, ২০০০ সালে এক জনসভাস্থল ও হ্যালিপ্যাডে, ২০০১ সালের ২৯ মে খুলনায়, একই বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেটে, ২০০২ সালের ৪ মার্চ নওগাঁয়, ২০০৪ সালের ২ এপ্রিল বরিশালে এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে হামলা চালিয়ে হত্যাচেষ্টা করা হয়। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে শেখ হাসিনা প্রথমবারের মতো গ্রেপ্তার হন ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে। ওই বছরের ১৬ জুলাই তাকে নিজ বাসভবন ‘সুধা সদন’ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

Scroll to Top