বিলেতের আয়না :- মাহমুদুর রহমান শানুৱ জাতীয় সমাজ তান্ত্রিক দল জাসদের ৫১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে গ্রেটার লন্ডন জাসদের উদ্যোগে স্হানীয় একটি হলে। গ্রেটার লন্ডন জাসদের সভাপতি সৈয়দ এনামুল হকের সভাপতিত্বে এবং যুক্ত রাজ্য জাসদের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান শানুরের সঞ্চালনায়। প্রথমে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন গ্রেটার লন্ডন জাসদের সাধারণ সম্পাদক সাবুল সামসুজ্জান।মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলের নেতারা এক হয়ে জামায়াত-জঙ্গি-বিএন পি সন্ত্রাসী চক্রের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ভাবে মোকাবিলা করতে হবে। রাষ্ট্র ক্ষমতার রাখতে হবে এবং একটি জোটের মাধ্যমে নির্বাচন করতে হবে নেতৃবৃন্দরা বলেছেন। ৫১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জাসদের প্রতিষ্ঠাতাদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন এবং যারা পরলোক গমন করেছেন তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছেন এবং যুক্তরাজ্য জাসদের সহ সভাপতি আব্দুল হাফিজ ও জাসদ নেতা ছমির উদ্দিন এর রুহের মাগফেরাত কামনা করা হয়। স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্র ও সমাজকে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্খা ও চেতনায় পুনর্গঠন এবং গড়ে তোলার লক্ষ্যকে সামনে রেখে যে নেতারা শিক্ষার আন্দোলন, সামরিক শাসন বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনায় জাতীয়মুক্তি ও স্বাধীনতা সংগ্রাম, সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে আপোষহীন ভাবে ভূমিকা পালন করছেন। দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধারা। রাজাকার-বিএনপি সন্ত্রাসী চক্রের সাথে জাতীয় ঐক্যের নামে কোন সমঝোতা করা যাবে না। এদের কে নির্বাচনের বাহিরে রাখতে হবে। আগুনসন্ত্রাসীদেরকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করেই সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে। তাদের আসল উদ্দেশ্য নিরপেক্ষ নির্বাচন না, তাদের আসল উদ্দেশ্য আগুনসন্ত্রাস-সহিংসতা-নাশকতা-অন্তর্ঘাতের পথে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করে নির্বাচন বানচাল করা এবং অস্বাভাবিক-অসাংবিধানিক সরকার আনা। বিএনপি-জামাত ও তাদের রাজনৈতিক সঙ্গীদের এ দূরাশা বাংলাদেশের জনগণ কখনই সফল হতে দিবে না। নেতৃবৃন্দরা বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোট-মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকারের নেতৃত্বে আগামী নির্বাচন করতে হবে। পিছনে তাকানোর চেষ্টা করা হলে বিএনপি জঙ্গি-জামাত চক্র নির্বাচন বানচালের গভীর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। বিএনপি জঙ্গি-জামাত- চক্র ৭১-৭৫-২১ আগস্ট ও তাহের হত্যার খুনীদের আবার রাজনীতির ময়দানে ফেরৎ আনার মহা চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। বিএনপি-জামাত গণতন্ত্রের ফেরেস্তা না, রাজনীতির শয়তান-সন্ত্রাসী দানব। খুনী-দন্ডিত-আগুন সন্ত্রাসীদের কোন ছাড় নেই। নেতৃবৃন্দরা আরও বলেন, জঙ্গিবাদী-দুর্নীতি-লুটপাটকারীদের দমন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের ভেতরেই বৈষম্য অবসান করে সমাজতন্ত্রের পথের সংগ্রামও এগিয়ে নিতে হবে। জাসদের আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যুক্ত রাজ্য আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা জনাব দেওয়ান গৌস সুলতান। যুক্তরাজ্য জাসদের সহ সভাপতি মুজিবুল হক মনি। জাসদ নেতা ও বিসিএ সাবেক সভাপতি আব্দুল মুনিম ওবিই। জাসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক। সাবেক ছাত্র নেতা ও জাসদ নেতা মতিউর রহমান মতিন। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান আহমেদ। যুব জোট সাধারণ সম্পাদক কাজী দেলোয়ার হোসেন। গ্রেটার লন্ডন জাসদের সহ সভাপতি ইকবাল হোসেন। জাসদ নেতা আব্দুল হান্নান। এমসি কলেজের সাবেক ভিপি ও কাউন্সিলার ইকবাল হোসেন। । বীর মুক্তিযোদ্ধা আমান উদ্দিন। লেবার পার্টি ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশের জেনারেল সেক্রেটারি ও কাউন্সিলর সৈয়দ আবুল বশর মাসুম। সাবেক ডেপুটি মেয়র শহীদ আলী। যুক্ত রাজ্য আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ চৌধুরী। সাংবাদিক বাতিরুল হক সরদার। কমিউনিটি একটিভিস্ট মোস্তফা মিয়া। সানি মিয়া। কমিউনিটি একটিভিস্ট লাবিব আহমদ। কমিউনিটি একটিভিস্ট নুরুল আমিন। কমিউনিটি একটিভিস্ট মুহিবুর রহমান।প্রবাসী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি জাহাঙ্গীর খান । অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেনি সংহতি প্রকাশ করেছেন আওয়ামীলীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ। সাবেক মেয়র পারভেজ আহমেদ। জাসদ নেতা ইকবাল আহমেদ। নারী জোট নেত্রী রেহেনা বেগম।নারী জোট নেত্রী জোছনা পারভীন। অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রাম ও জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক দল সোনার বাংলাদেশ গড়ার লড়াইয়ে জাসদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলছে । জাসদের ৫১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জাসদের নেতৃবৃন্দ সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে ১৪ দল জোটভুক্ত নেতৃবৃন্দসহ সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আপনারা জানেন গত কয়দিন ধরে রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে বিএনপি ও জামাত দেশে তান্ডব চালাচ্ছে। ২৮ অক্টোবর দেশে এই প্রথমবারের মতো প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করেছে। বিএনপির কর্মীরা পুলিশ ফাড়িতে অগ্নি সংযোগ করেছে, হাসপাতালে হামলা করেছে, পুলিশ কনস্টেবলকে পিটিয়ে হত্যা করেছে, নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করেছে অসংখ্য সাংবাদিক, হরতাল ও অবরোধের নামে বাস পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করে চলছে। চলন্ত বাসে আগুন দিচ্ছে। ঘুমন্ত অবস্থায় বাসের হেলপারকে আগুন দিয়ে হত্যা করেছেন। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাচ্ছে। ১৪ দল তা হতে দেবে না। আসুন সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশি বিদেশি সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন ও শান্তির স্বপক্ষে গনতান্ত্রিক অভিযাত্রা অব্যহত রাখি।” বিএনপি-জামাতের ২৮ তারিখের তান্ডব বিদেশী রাষ্ট্রদূতদের দেখানো হলে তারা কোন কথা বলেনি। এই কথা না বলার মধ্যেই অনেক কথা রয়েছে। তারা এ দেশে অবাধ নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচন সহজে করতে দিবে না। বাংলাদেশ একটি যুদ্ধের মধ্যে আছে। এ যুদ্ধ থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হবে। অসাম্প্রদায়িক-গণতান্ত্রিক-মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির প্রতীক প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দৃঢ়তায় সব কিছু মোকাবিলা করে যাচ্ছেন। সাংবিধানিক ভাবে সময় মতো জাতীয় নির্বাচন হবে। কোন অপশক্তির কাছে মাথানত করবে না । ১৮ কোটি মানুষকে সাথে নিয়ে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে সক্ষম হবেন। বাংলাদেশের চিরশত্রুদের রাজনীতি থেকে চিরতরে বিদায় দিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যুদ্ধ নয়,শান্তি, প্রগতি ও মানবতার কল্যাণের জন্য বিশ্ব ব্যাপী জোট নিরপেক্ষ স্টাইলে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। যে ভাবে ইসরায়েলী বাহিনী শান্তি প্রিয় ফিলিস্তিন জনগণের উপর যে অত্যাচার নিপীড়ন নির্যাতন করে যাচ্ছে নেতৃবৃন্দরা তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। অনতিবিলম্ব যুদ্ধ বন্ধ করার ও উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনের মানুষের পাশে রয়েছেন এবং সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন যুক্তরাজ্য জাসদ নেতৃবৃন্দরা। সবার সভাপতি সবাই কে বিপ্লবী অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবী বলে তিনি মনে করেন।শোষণ মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শরীক হওয়ার জন্য সবার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। পরিশেষে নৈশভোজের ও আয়োজন ছিল।