অক্টোবর ৩১, ২০২৩

জাতীয়

হলি আর্টিজানে হামলায় সাত জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- হলি আর্টিজানে হামলায় সাত জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড। রাজধানীর গুলশানের আলোচিত হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী হামলা মামলায় ৭ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার (৩০ অক্টোবর) বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো.মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া আসা‌মিরা হলেন- জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে র‌্যাশ, আব্দুস সবুর খান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, হাদিসুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ও মামুনুর রশিদ। সাত বছরেরও বেশি সময় আগে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার মামলায় ২০১৯ সালে ৭ ডিসেম্বর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে খালাস দেন। পরে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন দণ্ডপ্রাপ্তরা। ফাঁসির দণ্ড পাওয়া সাত আসামিরা হলেন- রাকিবুল ইসলাম রিগ্যান ওরফে রাফিউল ইসলাম, রাজীব গান্ধী ওরফে জাহাঙ্গীর আলম, মোহাম্মদ আসলাম হোসেন ওরফে র‍্যাশ, আবদুস সবুর খান ওরফে সোহেল মাহফুজ, মোহাম্মদ হাদিসুর রহমান সাগর ওরফে সাগর, মামুনুর রশিদ রিপন, শরিফুল ইসলাম খালেদ। আর খালাস পেয়েছেন মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান। ২০১৬ সালের ১ জুলাই হলি আর্টিজান বেকারিতে ভয়ংকর জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। সেদিন ২০ জন দেশি-বিদেশি নাগরিককে হত্যা করেছিল তারা। নিহতদের মধ্যে নয়জন ইতালীয়, ৭ জন জাপানি, একজন ভারতীয় ও তিনজন বাংলাদেশি। পরদিন সকালে সেনা কমান্ডোদের অভিযানে পাঁচ হামলাকারী নিহত হন। ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মামলাটির বিচারকাজ শুরু হয়। রাষ্ট্রপক্ষ এই হামলা মামলায় ১১৩ জন সাক্ষী হাজির করে। তাদের মধ্যে ছিলেন নিহত পুলিশ সদস্যদের স্বজন, হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে আহত পুলিশ সদস্য, হলি আর্টিজান বেকারির মালিক ও কর্মী, জিম্মি হয়ে পড়া অতিথি এবং যেসব বাড়িতে আস্তানা গেড়ে নৃশংস এই হামলার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন, সেসব বাড়ির মালিকেরা। এ ঘটনায় জড়িত জীবিত থাকা আট জঙ্গি কারাগারে আছেন।

জাতীয়

গণমাধ্যমের ক্ষেত্রে নৈতিকতা প্রতিষ্ঠা গুরুত্বপূর্ণ 

বিলেতের আয়না ডেক্স :- গণমাধ্যমের ক্ষেত্রে নৈতিকতা প্রতিষ্ঠা গুরুত্বপূর্ণ  জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেছেন, এখন বড় সঙ্কট হচ্ছে নৈতিকতার। গণমাধ্যমকে বলা হয় রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। সংবাদপত্র বা গণমাধ্যমের ক্ষেত্রে নৈতিকতা প্রতিষ্ঠা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভের মধ্যে যদি নৈতিকতা না থাকে তাহলে রাষ্ট্র নীতিগত দিক থেকে দুর্বল হয়ে পড়বে। এ কারণে সাংবাদিকতার সাথে সাথে নৈতিকতা শেখাটাও অনেক জরুরি। সোমবার (৩০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স কক্ষে ফিল্ম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের আয়োজনে ৪ দিনব্যাপী ‘গণমাধ্যম এবং সাংবাদিকতায় নীতি ও নৈতিকতা’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি আরো বলেন, নৈতিকতার শিক্ষা আমাদের প্রাচীন সমাজে ছিল। আমরা যদি আমাদের প্রাচীন সমাজের সেই নৈতিকতা ও মূল্যবোধ আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে কাজে লাগাতে পারি তাহলে আমাদের সমাজ আরও বিকশিত হবে। সেদিক থেকে শিক্ষকতা, ব্যবসা বা সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রেই নৈতিকতা প্রতিষ্ঠা জরুরি। কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন জার্মানভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগের প্রধান সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীন। কর্মশালায় অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী ও ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা। ফিল্ম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. তুহিনুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রসরমান একাডেমিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় শ্রেণিকক্ষের প্রথাগত পাঠদানের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতার বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষ করে তুলতেই এই কর্মশালার আয়োজন। এতে করে শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকতার বিভিন্ন নীতি, নৈতিকতা সম্পর্কে ধারণা পাবে, যাতে করে তাদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং কাজের স্পৃহাও বাড়বে।

জাতীয়

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের ৫১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী

বিলেতের আয়না ডেক্স :- জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের ৫১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রিয় দেশবাসী এবং দলের অতীত ও বর্তমানের সর্বস্তরের উপদেষ্টা-নেতাকর্মী-সমর্থক-শুভানুধ্যায়ীদের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। সুমহান মুক্তিযুদ্ধের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার লক্ষ্য সামনে রেখে ১৯৭২ সালের ৩১ অক্টোবর জাসদের জন্ম হয়েছিল। বাঙালির জাতীয়তাবাদী আন্দোলন, স্বাধিকার আন্দোলন, স্বায়ত্তশাসন আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, স্বাধীনতা আন্দোলন ও সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের পরিকল্পনাকারী, সংগঠক ও রণাঙ্গনের সামনের কাতারের যোদ্ধারা গঠন করেছিলেন জাসদ। সে জন্য জাসদ শুধু মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল নয়; জাসদ মুক্তিযোদ্ধার দল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাসদের কাছে শুধু কোনো স্লোগান নয়; কোনো বায়বীয় আদর্শ নয়। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে আজ পর্যন্ত জাসদের কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মানে দুর্নীতি, লুটপাট, দলবাজি ও দলীয়করণ থেকে মুক্তি, সুশাসন কায়েম; মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মানে গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ, আরও গণতন্ত্র, অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্র, জনগণের স্বশাসন; মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মানে শোষণ ও বৈষম্য থেকে মুক্তি– সমাজতন্ত্র কায়েম। সে জন্যই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রশ্নে জাসদ আপসহীন। ক্ষমতায় একবার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ও মুক্তিযোদ্ধার দল বা জোট, আরেকবার রাজাকার ও তালেবানের দল বা জোট– স্বাধীন দেশে রাজনীতিতে এই ‘মিউজিক্যাল চেয়ার খেলা’ চলতে পারে না। জাসদ মনে করে, বাংলাদেশের ক্ষমতায় ও ক্ষমতার বাইরে সর্বত্র থাকতে হবে মুক্তিযুদ্ধের ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে, স্বাধীনতা নিয়ে, বাংলাদেশের জনগণের নিরঙ্কুশ সার্বভৌমত্ব নিয়ে কোনো দরকষাকষি চলতে পারে না। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ও মুক্তিযোদ্ধার দলের মধ্যে অনৈক্যের ফলে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাবিরোধী সামরিক-বেসামরিক, অগণতান্ত্রিক, সাম্প্রদায়িক, ফ্যাসিস্ট শক্তি বাংলাদেশের সমাজ-অর্থনীতি-সংস্কৃতি সবকিছুর সাম্প্রদায়িকীকরণ করেছে। নিজেদের অপকর্ম জায়েজ করতে ধর্মকে ব্যবহার করেছে; ভেদ-বিভেদ-বৈষম্য-সংঘাত-সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। সে জন্যই জাসদ সর্বগ্রাসী সাংস্কৃতিক সাম্প্রদায়িকতার অবসানের লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে জাতীয় পুনর্জাগরণ সংঘটিত করার আহ্বান জানিয়েছে। উনিশ শতকে ঔপনিবেশিককালে বাঙালির প্রথম জাতীয় পুনর্জাগরণ ও মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালের বাঙালির দ্বিতীয় জাতীয় পুনর্জাগরণের ধারাবাহিকতায় এবারের আশু তৃতীয় জাতীয় পুনর্জাগরণ চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে বাংলাদেশের জনগণের বেঁচে থাকা আর উন্নয়ন ও অগ্রগতির পূর্বশর্ত। জাতীয় পুনর্জাগরণ সংঘটন যখন আবশ্যক তখন আবারও কোণঠাসা সাম্প্রদায়িক-মৌলবাদী-জঙ্গিবাদীদের জোট শুধু ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যে দেশে আগুন সন্ত্রাসে মেতে উঠেছে। নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারের প্রস্তাবনা হাজির না করে নির্বাচনের কথা বলে অসাংবিধানিক ও অনির্বাচিত সরকার কায়েমের ষড়যন্ত্র করছে। এমনকি বিদেশিদের সঙ্গে আঁতাত করেছে। জাসদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রাক্কালে দেশবাসীকে এসব ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত মোকাবিলা করে শান্তি-উন্নয়ন-অগ্রগতির লক্ষ্যে গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা বজায় রেখে মুক্তিযুদ্ধকালীন জাতীয় ঐক্যের মতো সুমহান ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি। জাসদ জাতীয় ঐক্যের নামে মুক্তিযোদ্ধা-রাজাকারের ঐক্যের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ক্ষণে আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন, কাজী আরেফ আহমেদ, কর্নেল (অব.) আবু তাহের বীরউত্তম, শামসুল আলম খান মিলনসহ দলের অগণিত শহীদকে। গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি অগণিত সাথীকে, যারা আন্দোলন-সংগ্রাম করতে গিয়ে নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার এবং পরিবার-শিক্ষা-পেশাজীবনে ক্ষতিগ্রস্ত। জাসদের আপসহীন ধারার সংগ্রামে যারা তাল মেলাতে পারেননি, তাদের এককালীন অবদানকেও আমি গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি। আমি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি জাসদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সিরাজুল আলম খান, প্রতিষ্ঠাকালীন নেতা মেজর এমএ জলিল ও আ স ম আবদুর রব, বিধান কৃষ্ণ সেন, শাজাহান সিরাজ, মীর্জা সুলতান রাজা, শরীফ নূরুল আম্বিয়া, আ ফ ম মাহবুবুল হকসহ সবাইকে। আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি মনিরুল ইসলাম (মার্শাল মনি)-সহ তাদের সবাইকে, বিবিধ কারণে যারা সাংগঠনিক কাঠামো থেকে দূরে আছেন। শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি মুজিব বাহিনীর যারা জাসদ রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছিলেন তাদের ও রণাঙ্গনের সবাইকে। শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি ঐতিহাসিক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামিদের, যারা জাসদ রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছিলেন তাদের ও বাকিদের। আমি দ্বিধাহীন কণ্ঠে বলতে চাই, তারা সবাই যদি আজ দলে থাকতেন, তাদের কর্মী হিসেবেই আমি আজও দলে সক্রিয় থাকতাম। তারা তাদের দল ছেড়ে গেছেন; সে দলের কর্মীদের নিয়োজিত পাহারাদার হিসেবে আমি দায়িত্ব পালন করছি। সাংগঠনিক কাঠামো থেকে দূরে থাকা ও অন্য দলে সক্রিয় সব নেতাকর্মীকে আমি আশ্বস্ত করতে চাই, যে লক্ষ্যে আপনারা দল গঠন করেছিলেন বা জাসদের রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন; দল এখনও সেই লক্ষ্যেই আছে। জাসদের দরজা আপনাদের জন্য খোলাই আছে। দলে ফেরত এসে আপনাদের দায়িত্ব বুঝে নিন, আমি আপনাদের পাশে থাকব। আমি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে জানাতে চাই, একটি ‘সমাজতান্ত্রিক গণসংগঠন’ হিসেবে জাসদ দেশের সব শ্রম-কর্ম-পেশার মেহনতি জনতার নিজস্ব সংগঠন। জাসদের পতাকাতলে সমবেত হোন, নিজের ন্যায্য অধিকার আদায়ে সংগঠিত হোন। হাসানুল হক ইনু এমপি: জাসদের সভাপতি; সাবেক তথ্যমন্ত্রী, তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি

জাতীয়

বিএনপি মহাসচিব কারাগারে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জেল হাজতে।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বিএনপি মহাসচিব কারাগারে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জেল হাজতে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার (২৯ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম এই আদেশ দেন। এর আগে, রোববার সকালে রাজধানীর গুলশান-২-এর বাসা থেকে মির্জা ফখরুলকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে তাকে ডিবির মিন্টো রোডের কার্যালয়ে নেওয়া হয়। রাতে ডিবির গাড়িতে করে  মির্জা ফখরুলকে আদালতে আনা হয়। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আটকের পর গ্রেপ্তার দেখিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। ডিএমপি কমিশনার বলেন, বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে পুলিশ সদস্যকে হত্যা এবং গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আটক দেখানোর পর আজ রাতেই মির্জা ফখরুলকে আদালতে নেওয়া হয়। রাত ৭টা ৪২ মিনিটে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয় থেকে তাকে নিয়ে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের উদ্দেশে রওনা হয় পুলিশ। মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতাকর্মীরা দুপুর ১টার দিকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। ওই মামলায় মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগে রমনা থানা-পুলিশ রমনা থানায় মামলা করে। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মির্জা ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম সাংবাদিকদের জানান, পুলিশের সদস্যরা গিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলামসহ বাসার সবার সঙ্গে কথা বলেন। এরপর ক্লোজড সার্কিট (সিসিটিভি) ক্যামেরার ফুটেজ (চিত্র) ও হার্ডডিস্ক নিয়ে চলে যান। এর ঠিক ১০ মিনিট পর আবার ফিরে এসে মির্জা ফখরুলকে নিয়ে যান পুলিশ সদস্যরা। পরে বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ থেকে জানানো হয়, মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে। গতকাল শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ শুরুর আগেই দুপুরের দিকে কাকরাইলে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষ পরে বিজয়নগর পানির ট্যাংক ও শান্তিনগর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। বেলা ৩টার দিকে মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়।

জাতীয়

কনস্টেবল আমিরুল হত্যা মামলায় দুজন গ্রেফতার।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- কনস্টেবল আমিরুল হত্যা মামলায় দুজন গ্রেফতার। বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে আমিরুল ইসলাম পারভেজ (৩২) নামের এক পুলিশ কনস্টেবল নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলায় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতাররা হলেন- শামীম রেজা ও মো. সুলতান। শামীম গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক। তাকে গাইবান্ধা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে সুলতানকে গ্রেফতার করা হয়েছে ঢাকার ডেমরা এলাকা থেকে। বিএনপি নেতারা কি সহিংসতার দায় এড়াতে পারবেন? রোববার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে রাজারবাগে নিহত পুলিশ কনস্টেবলের জানাজা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, আমরা এরই মধ্যে এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছি। তাদের একজনকে গাইবান্ধা এবং অন্যজনকে রাজধানীর ডেমরা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুজনই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। গতকাল শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ছিল। মহাসমাবেশ ঘিরে সকাল থেকেই নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢল নামে। দুপুরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হলে এক পর্যায়ে মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। সংঘর্ষ চলাকালে ফকিরাপুলের বক্স কালভার্ট রোড এলাকায় মাথায় আঘাত পেয়ে রাস্তায় পড়ে যান দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য আমিরুল। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আমিরুলের বাড়ি মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে রোববার পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। পুলিশের হামলায় মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার প্রতিবাদে রোববার ঢাকাসহ সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি।

Scroll to Top