অক্টোবর ২৮, ২০২৩

জাতীয়

গণফোরামের সভাপতির ছেড়ে দিলেন ড. কামাল হোসেন।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- গণফোরামের সভাপতির ছেড়ে দিলেন ড. কামাল হোসেন। গণফোরামের সভাপতির পদ ছেড়ে দিলেন দলটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. কামাল হোসেন। শুক্রবার রাজধানীর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত বিশেষ জাতীয় কাউন্সিলে এ ঘোষণা দেন তিনি। ড. কামাল হোসেন বলেন, দলের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আপনাদের নিয়ে পথ চলেছি, জাতীয় সমস্যা ও সংকট নিরসনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমার বয়স এবং শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় এখন আর সক্রিয়ভাবে সভাপতির দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হচ্ছে না। এমতাবস্থায় আমি সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে তথা গণফোরামের সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি নেওয়ার ঘোষণা দিচ্ছি। তবে আমি আমার ব্যক্তিগত অবস্থান থেকে দেশ ও জাতির জন্য সাধ্য মোতাবেক অবদান রাখতে চেষ্টা করব। দলের প্রতিও আমার আন্তরিকতা, দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আমার আবেগ-অনুভূতি, সহানুভূতি-সহযোগিতা ও পরামর্শ সব সময়ই থাকবে। তিনি বলেন, আপনারা দলকে শক্তিশালী ও সুসংগঠিত করতে আজ নতুন নেতৃত্ব ঘোষণা করবেন। আজকের এই কাউন্সিলে আপনারা গণতান্ত্রিকভাবে যে কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করতে যাচ্ছেন, আমি আশা করব এই কমিটি আগামী দিনে জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন। দেশের গণতন্ত্র, স্থিতিশীলতা সর্বোপরি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে আপনারা সর্বদা সচেষ্ট থাকবেন। জয় হোক গণফোরামের, জয় হোক জনতার। কাউন্সিলে নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মফিজুল ইসলাম খান কামাল ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ড. মো. মিজানুর রহমান। এক সপ্তাহের মধ্যে গণফোরামের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে বিশেষ জাতীয় কাউন্সিলে জানানো হয়। সেই সঙ্গে ড. কামাল হোসেন গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি হিসেবে আজীবন দায়িত্বে থাকবেন।

জাতীয়

স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেলর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বিলেতের আয়না ডেক্স :- স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেলর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে দুয়ার খুললো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের। ২৮ অক্টোবর শনিবার বেলা পৌনে ১২টায় চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত দেশের প্রথম এই সুড়ঙ্গপথের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর মাধ্যমে টানেলের যুগে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ। এটিই দক্ষিণ এশিয়ায় নদী তলদেশের প্রথম ও দীর্ঘতম সড়ক সুড়ঙ্গপথ। দুই টিউব বিশিষ্ট চার লেনের টানেল প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ১০ হাজার ৬৮৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা। যার মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন ৪ হাজার ৬১৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা ও চায়না এক্সিম ব্যাংকের ঋণ সহায়তা ৬ হাজার ৭০ কোটি টাকা। প্রকল্পের মোট দৈর্ঘ্য ৯ দশমিক ৩৯ কিলোমিটার হলেও মূল টানেলের দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৩১৫ কিলোমিটার। ব্রিজ-ভায়াডাক্টের দৈর্ঘ্য ৭২৭ মিটার (আনোয়ারা প্রান্তে), অ্যাপ্রোচ সড়কের দৈর্ঘ্য ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার, টোল প্লাজার দৈর্ঘ্য ৭ হাজার ৬০০ বর্গমিটার, আন্ডার পাস ৬টি (আনোয়ারা প্রান্তে পাঁচটি এবং পতেঙ্গা প্রান্তে একটি), কালভার্ট ১২টি, সার্ভিস এরিয়ার ৩০টি বাংলো, একটি ভিআইপি বাংলোসহ মোটেল মেস, হেলনা সেন্টার, কনভেনশন সেন্টার, জাদুঘর, সুইমিংপুল, ব্রিজ, মসজিদ, অভ্যন্তরীণ রাস্তা রয়েছে।

Scroll to Top