জুলাই ১৬, ২০২৩

জাতীয়

শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী দেখতে চায় এফবিসিসিআই।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী দেখতে চায় এফবিসিসিআই। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়। এই মনোভাব প্রকাশ করেছেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। শনিবার (১৫ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এফবিসিসিআই আয়োজিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ব্যবসায়ী সম্মেলন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এই মত প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনি যেভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সেই অবস্থাকে ধরে রাখার জন্য, বিদ্যুৎ-গ্যাসসহ যেসব সমস্যা রয়েছে ব্যবসায়ীদের সামনে সেগুলোর সমাধান আপনার মাধ্যমে চাই। এ জন্য আমরা সব ব্যবসায়ী একমত হয়েছি। আপনাকে আবারও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকতে হবে ব্যবসায়ীদের জন্য।’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদসহ সারা দেশের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এফবিসিসিআইয়ের সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সরকারকে সঙ্গে পাওয়া গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যখনই এফবিসিসিআই থেকে আহ্বান করা হয়েছে তখনই আপনি সাড়া দিয়েছেন। এ জন্য আমরা গর্বিত ও কৃতজ্ঞ। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে এফবিসিসিআই নিরলসভাবে কাজ করবে। এতে এফবিসিসিআইয়ের স্লোগান হবে ‘স্মার্ট এফবিসিসিআই ফর স্মার্ট অর্থনীতি।’ এ সময় বৈশ্বিক পরিস্থিতি ও ডলার সংকটে বিপর্যস্ত বন্ধ শিল্প-কারখানা চালু করতে জরুরিভিত্তিতে বিশেষ তহবিল গঠনের আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের ছায়াসঙ্গী হয়ে ব্যবসায়ীরা দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ন্যায্য বাজার ব্যবস্থা, উৎপাদনের বিভিন্ন উপকরণের অবাধ প্রবাহ, প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরি করার জন্য সবাইকে নিবেদিত হয়ে কাজ করতে হবে। ব্যবসা-বাণিজ্যকে স্মার্টলি পরিচালনার জন্য জাপানের জেট্রো, কোরিয়ার কুট্রা, চীনের সিসিপিআইটি এবং সম্প্রতি ভিয়েতনামের ট্রেড সেন্টারের মতো বাংলাদেশে একক পেশাজীবীভিত্তিক বিনিয়োগ-ব্যবসাবান্ধব সংস্থা স্থাপনের দাবি জানান তিনি। বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক দেশগুলোতে ফোকাল পারসন হিসেবে একজন করে ব্যবসায়ী নিয়োগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর বাংলাদেশের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ আসবে। উন্নত দেশগুলো থেকে দেওয়া প্রায় সব বাণিজ্য সুবিধা প্রত্যাহার হবে। তখন রপ্তানি বাজারে টিকে থাকতে হলে পণ্য উৎপাদন খরচ কমানো জরুরি হয়ে পড়বে। সেজন্য ডব্লিউটিওর কমপ্লায়েন্সের সঙ্গে সমন্বয় করে ভ্যাট-ট্যাক্স এবং ইউটিলিটির চার্জ সমন্বয় করা, কারিগরি ও অভ্যন্তরীণ নীতি সহায়তা জরুরি। অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকটি দাবি তুলে ধরে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে আমদানি নির্ভরতা কমাতে হবে। অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে গ্যাস ও কয়লা উত্তোলন এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে হবে। এসএমই খাতে সর্বনিম্ন সুদহার রাখতে হবে। বিদেশি প্রকল্পে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে ডলারের সাশ্রয় করা যেতে পারে। বন্দর ও লজিস্টিক সহায়তার উন্নতি করতে হবে। মো. জসিম উদ্দিন বলেন, করের বোঝা কমানোর জন্য করজাল বাড়ানো দরকার। ব্যবসাবান্ধব কর ব্যবস্থা বাস্তবায়নে এনবিআরের অতিরিক্ত ক্ষমতা কমানো দরকার, তবে তাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। এনবিআরের কর্মকর্তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। এতে ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে স্মার্টভাবে কর আদায় অনেক বেশি কার্যকর হবে।

জাতীয়

সৈয়দ জাফর সাজ্জাদ খিচ্চু : তুমি কি কেবলই ছবি, শুধু পটে লিখা – আব্দুল্লাহিল কাইয়ূম

বিলেতের আয়না ডেক্স :-  সৈয়দ জাফর সাজ্জাদ খিচ্চু : তুমি কি কেবলই ছবি, শুধু পটে লিখা – আব্দুল্লাহিল কাইয়ূম জাসদ পরিবারে আমাদের সবার প্রিয় খিচ্চু ভাইয়ের ছবি হয়ে যাওয়ার ১০ বছর হলো আজ ১৬ জুলাই। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর ছাত্র নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শ্রমিক নেতা, জননেতা ও জাসদের দুই মেয়াদের সাধারণ সম্পাদক। ২০১০ সালের এইদিন রাতে মিরপুর রূপনগরে বাসায় আকস্মিকভাবে মারাত্মক হার্টঅ্যাটাকে তিনি আমাদের ছেড়ে চলে যান। তাঁর হার্টে সামান্য সমস্যা ছিল; এজন্য একটা স্টেন্টও বসানো হয়েছিল; তারপর ভালই ছিলেন; কার্ডিওলজিস্টের সাথে নিয়মিত ফলো-আপ করতেন। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য— দীঘল দেহের মানুষটিকে আমরা হারিয়ে ফেললাম। পৃথিবীতে সব শূন্যস্থানই পূর্ণ হয় সময়ের সাথে। কিন্তু কিছু শূন্যস্থান পূর্ণ হবার পরও শূন্য হবার দাগচিহ্ন থেকে যায়। জাসদের রাজনীতি ও সংগঠনে খিচ্চু ভাই চলে যাওয়ার শূন্যস্থানে অমোচনীয় দাগচিহ্ন থেকে গেছে। কারণটা কী? খিচ্চু ভাই ছিলেন দলকেন্দ্রীক মানুষ, সাধারণ কর্মীকেন্দ্রীক মানুষ, দলের অফিসকেন্দ্রীক মানুষ। সহজেই দলের যে কেউ খিচ্চু ভাইয়ের কাছে যেতে পারতেন। নির্ভয়ে কথা বলতে পারতেন। এর জন্য কোনো আনুষ্ঠানিকতা লাগতো না, আয়োজন করা লাগতো না, ঘটা করাও লাগতো না। যে কারণে কথা— তার সহজ উত্তর ও সরল সমাধান পেতেও সময় লাগতো না। কারণ, খিচ্চু ভাই রাজনীতি ও দল করাকে জটিল-কঠিনভাবে দেখতেন না। তাঁর কাছে রাজনীতি করা ও দল করার মানেই ছিল দলের বক্তব্য ও কর্মসূচি নিয়ে মানুষের কাছে যাওয়া, মানুষকে বুঝিয়ে তাদের সমর্থন আদায় করা। মানুষের বিপদে-সংকটে পাশে-সাথে থাকা। মানুষের মনের মধ্যে যে কথাগুলো ঘুরপাক খায়— সেগুলো যেন তারা গুছিয়ে বলতে পারেন সেটা শিখিয়ে দেয়া। এটুকু করতে পারলেই রাজনীতি ও দলের কাজ করা শুরু হয়ে গেলো। এটা করার সিদ্ধান্ত নেয়া আর লেগে থাকাটাই হচ্ছে কঠিন। যিনি পারেন— তিনি নিজের ক্ষুদ্র পরিসরে কর্মী আর কর্মী থেকে নেতা হন— ধীরে ধীরে তাঁর পরিসর বাড়ে— বড় নেতা হন। তিনি বলতেন নেতা মানে পদ না, দায়িত্ব। খিচ্চু ভাইয়ের মনের চিন্তা, মুখের কথা, বক্তৃতার ভাষা, কাজ, আচরণ, চালচলন ও জীবনযাপনের এক ও অভিন্ন দর্শন ছিল। আর তা হলো— দেশপ্রেম ও সমাজতন্ত্র। তিনি অত্যন্ত সহজ সরল সাদামাটা জীবনযাপন করতেন। তিনি অকৃতদার ছিলেন। তাঁর জীবনযাপনের চাহিদা ছিল খুব সামান্য ও সাধারণ। খিচ্চু ভাই ব্যক্তিগত সম্পদ ও সম্পত্তির মালিক হবার সকল লোভের ঊর্ধ্বে ছিলেন। তাঁর এই জীবনদর্শনের ভিত্তি ছিল সমাজতন্ত্র। সমাজতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও অসাম্প্রদায়িকতার প্রশ্নে খিচ্চু ভাইয়ের কোনো ছাড় ছিল না। জাসদের প্রতিষ্ঠাতা, পিতৃপুরুষ ও বড় বড় নেতারা তাদের নিজেদের দলকে পরিত্যাগ-পরিত্যক্ত করে নিজেদের সুবিধামতো দল করেছেন, বিভিন্ন দলে চলে গিয়েছেন। কিন্তু খিচ্চুভাই জাসদকে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত বুক দিয়ে আগলে রেখেছিলেন।  কীভাবে তাঁর এই জীবনের শুরু? ১৯৪৭ সালের ১৪ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলার রতুয়ায় নানাবাড়িতে তাঁর জন্ম। জন্মের ১৮ মাস পর মা শেখ সাইরুন্নেসা তাঁকে নিয়ে চলে আসেন পাকশিতে স্বামী সৈয়দ শামসাদ আলীর কাছে। খিচ্চু ভাইরা ছিলেন ৫ ভাই ও ৩ বোন। তাঁর বাবা রেলওয়ের প্রথম শ্রেণির কন্ট্রাক্টর ছিলেন। খিচ্চু ভাইয়ের বাবা-দাদার আদিবাড়ি পশ্চিমবঙ্গ— অধুনা ঝাড়খন্ডের রাজমহলে। তাঁর বাবা রেলওয়ের কন্ট্রাক্টরি ব্যবসার কারণে পাকশিতে চলে আসেন ১৯৩৫ সালে। পাকশি কেন বিখ্যাত সবারই জানা। পদ্মা নদীর উপর ব্রিটিশরাজ নির্মিত হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পাকশিতেই। আর এই ব্রিজকে কেন্দ্র করে বৃটিশ আমল থেকেই পাকশি একটি রেল সিটি। আধুনিক শিল্প নগরী। খিচ্চু ভাইয়ের বাবা ছিলেন স্বদেশী আন্দোলনের জেলখাটা কর্মী। তাঁর দাদা সৈয়দ গওহর আলী ও দাদার বাবা সৈয়দ আনোয়ার আলী ছিলেন রাজমহলে বড় ভূস্বামী। তারা মালদা শহরে একটি বড় বাসভবন নির্মাণ করে সেখানেই বসবাস করতেন। বর্তমানে মালদা জেলা সার্কিট হাউস ভবনটিই ছিল খিচ্চু ভাইয়ের দাদার বাসভবন। পাকশির নাগরিক পরিবেশেই খিচ্চু ভাইয়ে শৈশব-বাল্য-কৈশোর-যৌবন কেটেছে। পাকশির চন্দ্ররভা স্কুলে তিনি লেখা পড়া করেন। ৯ম শ্রেণিতে পড়ার সময় ১৯৬৫ সালে ছাত্রলীগে যোগদান করেন। সে বছরই পুলিশি নিষেধাজ্ঞা ভেঙে একুশের প্রভাতফেরি করতে গিয়ে গ্রেফতার হন এবং কারাবরণ করেন। ১৯৬৬ সালে মাধ্যমিক পাস করে ঈশ্বরদী সরকারি কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে তিনি উচ্চমাধ্যমিক ও বি.কম. পাস করেন। ১৯৬৮-৬৯ শিক্ষাবর্ষে ঈশ্বরদী কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগ মনোনীত প্যানেল থেকে ভিপি পদে নির্বাচন করে তিনি বিপুল ভোটে বিজয়ী হন। ষাটের দশকে ঈশ্বরদী ছিল চীনপন্থী বাম অধ্যুষিত এলাকা। এ এলাকায় ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ করা অত্যন্ত দরূহ ছিল। খিচ্চু ভাইয়ের হাত ধরেই ঈশ্বরদীতে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের উত্থান ঘটে। ১৯৭০ সালের ৭ জুন স্বাধীকার দিবসে ছাত্রলীগ কর্তৃক জয়বাংলা বাহিনীর মার্চপাস্টে প্রথম প্রদর্শনের পর ১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে ডাকসু ভিপি আ স ম আবদুর রব স্বাধীনতার পতাকা প্রদর্শন করেন। তার দু’দিন পর ৪ মার্চ পাকশি রেলওয়ে ময়দানে খিচ্চু ভাই স্থানীয়ভাবে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করেন। ১৯৭১ এর ২৯ মার্চ পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ঈশ্বরদীর বাঁশের বাধা নামক স্থানে সম্মুখ যুদ্ধের মাধ্যমে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। এ যুদ্ধে বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি সৈন্য হতাহত হয় এবং খিচ্চু ভাইয়ের সহযোদ্ধা রঞ্জু ও গফুর শহীদ হন। এরপর তিনি সহযোদ্ধাদের নিয়ে যুদ্ধ করতে করতে রিট্রিট করে ভারতে চলে যান। ভারতে এফএফ-এর ট্রেনিং নিয়ে ৩০ জনের ট্রুপস নিয়ে আবার দেশের অভ্যন্তের প্রবেশ করেন। তিনি এফএফ ঈশ্বরদী থানার কমান্ডারের দায়িত্ব পান। পরবর্তীতে বিএলএফ-ও তাকে ঈশ্বরদী থানার কমান্ডারের দায়িত্ব দেয়। মুক্তিযুদ্ধে খিচ্চু ভাইসহ মাত্র কয়েকজন ব্যতিক্রম আছেন— যাঁরা একই ব্যক্তি হিসেবে এফএফ ও বিএলএফ দুই বাহিনীর থানা কমান্ডারের দায়িত্ব পান; এবং এসব ক্ষেত্রে দুই বাহিনী একই কমান্ডে মুক্তিযুদ্ধ করে। খিচ্চু ভাইয়ের দুর্ভাগ্য সদ্য স্বাধীন দেশে তিনি বেশিদিন এলাকায় থাকতে পারেননি। আওয়ামী লীগ ও চীনপন্থী আলাউদ্দিন বাহিনী তাঁকে হত্যা করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। এরকম পরিস্থিতিতে দলের নির্দেশে ১৯৭৩ সালে তিনি ঢাকায় চলে আসেন। মোহাম্মদ শাহজাহান ও রুহুল আমিন ভুইয়ার সাথে শ্রমিক লীগের কাজের সাথে যুক্ত হন। জাসদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হলে তিনি তাতে শ্রম বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পান। ১৯৮৩ সালে জাসদের ভাঙণ হলে তিনি জাসদ (রব) গ্রপের সাথে যুক্ত ছিলেন। ১৯৯৭ সালে জাসদ ঐক্যবদ্ধ হবার পর তিনি দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হন। ২০০২ সাল এবং ২০০৫ সালের কাউন্সিলে পরপর দুইবার জাসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি ১৪ দল গঠনের উদ্যোগের সাথে যুক্ত ছিলেন এবং ১৪ দলে জাসদের প্রতিনিধি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান পিপলস ফোরাম-বিবিপিপিএফ-এর বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সাধারণ থেকে রাজনীতিতে অসাধারণ হবার অনন্য নজির খিচ্চু ভাই। জাসদের সংগ্রামী রাজনীতি ও গণমানুষের রাজনীতির প্রতীক হয়েছিলেন তিনি। ভুলি নাই, ভুলবো না— খিচ্চু ভাই। অভিবাদন আপনাকে। আপনি আমাদের কাছে এখন শুধু ছবি নন। একজন আদর্শ।

জাতীয়

স্বাধীন বাংলা বেতারের দুই শিল্পী চলে গেলেন।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- স্বাধীন বাংলা বেতারের দুই শিল্পী চলে গেলেন। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের দুই কৃতি ব্যক্তিত্ব অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপক ও উপস্থাপক আশফাকুর রহমান খান (৮১) এবং শব্দসৈনিক বুলবুল মহলানবীশ (৭০) মারা গেছেন। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর শুক্রবার (১৪ জুলাই) ভোরে গুলশানের বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বুলবুল মহলানবীশ। শিল্পীর মৃত্যুর খবরটি সংবাদমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন তার ভাতিজি অভিনেত্রী জয়ীতা মহলানবীশ। অন্যদিকে, সকালেই রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক, অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপক, উপস্থাপক ও অন্যতম সংগঠক আশফাকুর রহমান খান। তিনি গত জানুয়ারি মাস থেকে বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন। নজরুল সংগীতশিল্পী বুলবুল মহলানবীশ নজরুল সংগীতশিল্পী পরিষদের সহ-সভাপতি ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরেই নানা ধরনের রোগে ভুগছিলেন। তিনি একাধারে কবি ও লেখক সংগীত, নাট্য ও আবৃত্তিশিল্পী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছিলেন। টেলিভিশন-বেতার-মঞ্চে শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ক বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করতেন তিনি। বুলবুল মহলানবীশ একাধারে কবি ও লেখক সংগীত, নাট্য ও আবৃত্তিশিল্পী হিসেবেও খ্যাতি লাভ করেছিলেন। পাশাপাশি তিনি টেলিশন-বেতার-মঞ্চে শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ক বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান তিনি উপস্থাপনা করতেন। ১৯৫৩ সালের ১০ মার্চ বিক্রমপুরে জন্মগ্রহণ করেন কৃতী শিল্পী ও সংগঠক বুলবুল মহলানবীশ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও মাস্টার্স করেন তিনি। দেশে-বিদেশে শিক্ষকতা করেছেন দীর্ঘদিন। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিকালে সেই সময়কার রেসকোর্স ময়দানে যখন পাক হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পন করছিল, ঠিক সেই মাহন্দ্রেক্ষণে কলকাতার বালিগঞ্জের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত হয় ‘বিজয় নিশান উড়ছে ঐ’-গানটি। জাতীয় কবিতা পরিষদ, কচিকাঁচার মেল, উদীচী, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র শিল্পী পরিষদসহ বহু সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। সংগীতচর্চা ও লেখালেখির জন্য বিভিন্ন সম্মাননা ও পদকেও ভূষিত হয়েছেন বুলবুল মহলানবীশ। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্যদিকে, আশফাকুর রহমান খান দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। তার মৃত্যুর খবরটি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী মনোয়ার হোসেন খান। শুক্রবার (১৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে আশফাকুর রহমান খানের। তার মরদেহ রাজধানীর মনিপুরীপারার বাসায় রাখা হয়েছে। জানা গেছে, রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় বায়তুশ শরফ মসজিদে বাদ জুমা আশফাকুর রহমান খানের প্রথম জানাজা হওয়ার পর মরদেহ দাফনের জন্য মুন্সীগঞ্জের ষোলশহরে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে। আশফাকুর রহমান খান দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশ বেতারে যোগ দেন। বেতারে থেকে উপ-পরিচালক পদোন্নতি পেয়ে অবসরে যান এই শব্দসৈনিক।

জাতীয়

ইইউ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক বিএনপির। আওয়ামী লীগের অধীনে কোন নির্বাচনে যাবে না — ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ইইউ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক বিএনপির। আওয়ামী লীগের অধীনে কোন নির্বাচনে যাবে না — ফখরুল ইসলাম আলমগীর আওয়ামী লীগের অধীনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হলে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারবে না বলে বাংলাদেশে সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক প্রতিনিধি দলকে জানিয়েছে বিএনপি। শনিবার (১৫ জুলাই) সকালে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বিএনপির এই নেতা বলেন, আগামীতে জনগণের ভোটে নির্বাচন সম্ভব কি না তা জানতে চেয়েছে ইইউ প্রতিনিধিদল। আমরা বলেছি দেশে অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ নেই। বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারবে না। এক প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, এটাই প্রশ্ন কেন বাংলাদেশে এসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের নির্বাচন নিয়ে মতামত দিতে হচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দেশে তো তাদের তো হার্ডলি যেতে হচ্ছে না। কেন বাংলাদেশে আসতে হচ্ছে? ওদের মধ্যেও নিশ্চয়ই এমন প্রশ্ন। এই সরকারের অধীনে যে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ, নির্বাচন যে গ্রহণযোগ্য নয় এটাই তো ভিত্তি। এই ভিত্তির ওপরই তো সারাবিশ্ব বাংলাদেশে নজর দিয়েছে। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে তাদের কনসার্ন প্রকাশ করছে। ইইউ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের কথা তুলে ধরে বিএনপির এই নেতা বলেন, ওরা (ইইউ) জানতে চাচ্ছে আসলে বাংলাদেশে আগামী নির্বাচনটা জনগণের ভোটে সম্ভব হবে কি না। এটা একটা কথা। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে সবসময় যেটা বলে আসছি, শুধু আমরা বলছি না সারাদেশের জনগণ যা বলছে, বিশ্ব বিবেক যা বলছে এই রিজিমের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। এদের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। এর বিশাল কারণ। আমীর খসরু বলেন, এরা (ইইউ) যে আসছে কারণ সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। কারণ এরা ভোটের দিন তো দূরে থাক, এখনই নির্বাচনের চুরি শুরু করে দিয়েছে। ডিসিদের বদলি করেছে। পুলিশ কর্মকর্তাদের পোস্টিং দিচ্ছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। হাত কেটে দেওয়া হচ্ছে। বিএনপির জনসভায় বাধা দেওয়া হচ্ছে। গতকাল পদযাত্রায় হামলা করা হয়েছে। বিএনপির অন্যতম এই শীর্ষনেতা অভিযোগ করে বলেন, শুধু তাই না বিএনপির নেতাদের মামলার বিচার যাতে তরান্বিত হয় সেজন্য চেষ্টা করছে। যাতে তারা নির্বাচনে প্রার্থী হতে না পারেন। এ কাজগুলো তো অব্যাহতভাবে চলছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, দেশে তো ভোট চুরি প্রতিদিন হচ্ছে। অতীতেও করেছে, সামনেও তাদের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জনগণকে বাইরে রেখে জোর করে নির্বাচন করে ক্ষমতায় যাবে। এসব বিষয় তো স্পষ্ট। বৈঠকে আলোচনায় এসব কথাও এসেছে। মূল কথা হলো আমরা বলেছি এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারবে না। তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারবে না। তাদের সংসদ গঠন করতে পারবে না। তাদের সরকার গঠন করতে পারবে না। এর আগে সকাল ৯টায় বৈঠকটি শুরু হয়। বিএনপির পক্ষ থেকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপি স্থায়ী কমিটি সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মো. ইসমাইল জবিউল্লাহ, বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, বিএনপি মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বৈঠকে অংশ নেন। অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের ছয় সদস্য বৈঠকে অংশ নেন। এখন জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির (জাপা) সঙ্গে প্রতিনিধি দলটির বৈঠক শুরু হয়েছে। গুলশানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কার্যালয়ে বৈঠকটি শুরু হয়। বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৈঠক শেষে এদিন বনানীর শেরাটন হোটেলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গেও বৈঠকে বসবে ইইউ প্রতিনিধি দলটি। এছাড়া ইইউর গুলশানের কার্যালয়ে বেলা আড়াইটায় জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে ও বিকেল চারটায় আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সঙ্গে বৈঠক হবে। জামায়াতের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এবং এবি পার্টির নেতৃত্ব দেবেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম।

আন্তর্জাতিক

সৌদি আরবে একটি কারখানায় আগুন ৯ জন নিহত।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সৌদি আরবে একটি কারখানায় আগুন ৯ জন নিহত। সৌদি আরবে একটি কারখানায় আগুন লেগে ৭ বাংলাদেশিসহ অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছেন। দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় আল-আহসা জেলায় আসবাবপত্রের একটি কারখানায় শুক্রবার (১৪ জুলাই) বিকেলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সৌদি আরবে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস। দূতাবাসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছে। এছাড়াও একজন ভারতীয় নাগরিক রয়েছেন। বাংলাদেশ দূতাবাস আরও জানিয়েছে, নিহত বাংলাদেশিদের মধ্যে তিন জন নাটোরের এবং একজন রাজশাহীর। নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করার জন্য পরিচিতদের প্রয়োজন। তবে এখন পর্যন্ত একজনের আত্মীয় ছাড়া আর কাউকে পাওয়া যায়নি। এরই মধ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে শ্রম কাউন্সিলর নিহতদের পরিচয় শনাক্তে দুর্ঘটনাস্থলে গেছেন। জানা গেছে, আল আহসার আল-মানসুরা শিল্প এলাকায় একটি ফার্নিচার কারখানায় আকস্মিক আগুন লাগে। কাঠের কারণে দ্রুত ভয়াবহ আকার ধারণ করে আগুন। এতে কারখানার ভেতরে আটকা পড়েন বেশ কয়েকজন শ্রমিক। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান অনেকে। আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। দগ্ধ কয়েকজনকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। তবে ঘটনার বিষয়ে এখনও বিস্তারিত জানানো হয়নি। এরই মধ্যে আসল কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। সৌদি আরবে এখন প্রচণ্ড গরম। এমন অবস্থায় দেশজুড়ে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

জাতীয়

সংবিধানের ওপর ভিত্তি করে নির্বাচন চায় ইইউ : ওবায়দুল কাদের।

বিলেতের আয়না ডেক্স :-  সংবিধানের ওপর ভিত্তি করে নির্বাচন চায় ইইউ : ওবায়দুল কাদের। বাংলাদেশের সংবিধানের ওপর ভিত্তি করে নির্বাচন চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শনিবার (১৫ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর বনানীর হোটেল শেরাটনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান। ওবায়দুল কাদের বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল আজকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠক করেছে। বাংলাদেশে তারা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চান। আমরাও বলেছি একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ করবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান, সার্বোভৌমত্ব ও আইনি ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে তারা নির্বাচন দেখতে চায়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের প্রধান সেলোরি রিকার্ডোর নেতৃত্বে ইইউ’র আরও চারজন বৈঠকে অংশে নেন। ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে বৈঠকে অংশ নেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, আওয়ামী লীগ নেত্রী শাম্মি আহমেদ, ঢাকা-১৭ আসনের নৌকার প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাত, সাবেক প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জহির, ড. সেলিম মাহমুদ ও আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। এর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৈঠক করেছে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিকেলে জামায়াতে ইসলামী ও এবি পার্টির সঙ্গে বৈঠক করবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা।

Scroll to Top