জুলাই ১৪, ২০২৩

জাতীয়

আওলীগের ও দফা একটাই, নির্বাচন শেখ হাসিনার অধীনেই: ওবায়দুল কাদের।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আওলীগের ও দফা একটাই, নির্বাচন শেখ হাসিনার অধীনেই: ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘নির্বাচন শেখ হাসিনার অধীনেই হবে। তাদের যেমন এক দফা, আমাদেরও দফা একটাই। বুধবার (১২ জুলাই) রাজধানীর গুলিস্তানে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে শান্তি সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি। বিএনপির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তাদের এক দফা, আমাদেরও একটাই দফা, সংবিধানসম্মত নির্বাচন। শেখ হাসিনাকে ছাড়া কোনো নির্বাচন নয়। শেখ হাসিনার আমলের নির্বাচন শেখ হাসিনার অধীনেই হবে।’ ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘যাদের হাতে রক্তের দাগ তাদের সঙ্গে কোানো আপোষ নয়, কোনো ডায়লগ নয়, কোনো আলোচনা নয়।’

জাতীয়

বিএনপির এক দফা দাবিতে ১৮ জুলাই ঢাকাসহ সারাদেশে পদযাত্রা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বিএনপির এক দফা দাবিতে ১৮ জুলাই ঢাকাসহ সারাদেশে পদযাত্রা। সরকারের পদত্যাগ, সংসদের বিলুপ্তি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা ও খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তির এক দফা দাবিতে আগামী ১৮ জুলাই ঢাকাসহ সারাদেশে পদযাত্রা কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি বুধবার (১২ জুলাই) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি আয়োজিত ‘যুগপৎ ধারায় বৃহত্তর গণআন্দোলনের ১ দফা যৌথ ঘোষণার সমাবেশ’-এ এই দাবি ও কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এসময় তিনি সরকারের পদত্যাগ চেয়ে বলেন, ‘এখনও সময় আছে এই ঘোষণার পরপরই পদত্যাগ করুন। অন্যথায় পালাবার পথও খুঁজে পাওয়া যাবে না।’ ‘যুগপৎ ধারায় বৃহত্তর গণআন্দোলনের ১ দফার যৌথ ঘোষণা’ শিরোনামে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার হরণকারী বর্তমান ফ্যাসিবাদী, কর্তৃত্ববাদী অবৈধ সরকারের পদত্যাগ ও বিদ্যমান অবৈধ সংসদের বিলুপ্তি; নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন ও নির্বাচন কমিশন পুনঃগঠন করে তার অধীনে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা; বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীর মুক্তি, মিথ্যা-গায়েবি মামলা প্রত্যাহার, ফরমায়েশি সাজা বাতিল এবং সংবিধান ও রাষ্ট্রব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কারের মাধ্যমে জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি, ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার ১ দফা দাবিতে রাজপথে সক্রিয় বিরোধী রাজনৈতিক জোট ও দলসমূহ যুগপৎ ধারায় ঐক্যবদ্ধ বৃহত্তর গণআন্দোলন গড় তোলা ও সফল করার ঘোষণা প্রদান করছে।’ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান। একদফা ঘোষণার বক্তব্যের শুরুতে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আজকের ঘোষণা আমি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হিসেবে দিচ্ছি না, এই ঘোষণা নির্বাসিত নেতা তারেক রহমানের পক্ষ থেকে। রাজনৈতিক দলগুলো যুগপৎভাবে অবৈধ সরকারের হাত থেকে জনগণকে মুক্ত করতে ঘোষণা করবো। এই ঘোষণা ঐতিহাসিক। জাতিকে মুক্ত করবার আহ্বান। জাতিকে তার হারানো অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার অধিকার।’ বক্তব্যের শুরুতে তিনি স্মরণ করেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি। শ্রদ্ধা জানান বিএনপির নিহত কর্মীদের প্রতি। তাদের নাম উল্লেখ করে শ্রদ্ধা জানান ফখরুল। ঘোষণার আগে ফখরুল আরও বলেন, ‘এই সংগ্রাম অস্তিত্বের সংগ্রাম। এই সংগ্রাম ১৮ কোটি মানুষের সংগ্রাম। ভোট দিতে চাই। যাকে খুশি তাকে দেবো। সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো, যারা যৌথভাবে আন্দোলন করছি। সর্বসম্মতভাবে আমরা যৌথ ঘোষণা দেবো যার যার জায়গা থেকে। প্রায় ৩৪টির মতো দল ও জোট সিদ্ধান্ত নিয়েছি সর্বসম্মতভাবে।’ ‘আসুন, দুর্ভেদ্য উত্তাল আন্দোলনের মধ্য দিয়ে লুটেরা ফ্যাসিবাদী সরকার সরিয়ে সত্যিকার অর্থে জনগণের রাষ্ট্র নির্মাণ করি।’ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি এ কথা বলেন ফখরুল। প্রাথমিক কর্মসূচি উল্লেখ করে ফখরুল জানান, ১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামী ১৮ জুলাই মঙ্গলবার ঢাকা মহানগরীসহ সারা দেশে মহানগরী ও জেলা পর্যায়ে পদযাত্রা।

জাতীয়

বিশ্বে তীব্র খাদ্য সংকটে ভোগছে প্রায় ৭৩ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- বিশ্বে তীব্র খাদ্য সংকটে ভোগছে প্রায় ৭৩ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষ। ২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে তীব্র খাদ্যসংকটে ভুগেছেন অন্তত ৭৩ কোটি ৫০ লাখ মানুষ। করোনা মহামারির আগেকার সময়ের তুলনায় এই সংখ্যা ১২ কোটিরও বেশি। বুধবার (১২ জুলাই) বাৎসরিক ‘স্টেট অব ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড নিউট্রিশন ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’ নামের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের বৈশ্বিক খাদ্য ও কৃষি নিরাপত্তাবিষয়ক সংস্থা ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন (ফাও)। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে বিশ্বজুড়ে যত মানুষ তীব্র খাদ্যসংকটে ভুগতো—করোনা মহামারির কারণে সেই সংখ্যায় যোগ হয়েছে আরও ১২ কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষ। ‘২০১৯ সালে জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্রগুলো আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেছিল। কিন্তু বর্তমানে বিশ্বে যে হারে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে— তাতে ২০৩০ সালের মধ্যে ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব গড়ে তোলা সম্ভব তো নয়ই, উল্টো এই সময়সীমার মধ্যে আরো ৬০ কোটি মানুষ যোগ হবে,’ উল্লেখ করা হয় জাতিসংঘের প্রতিবেদনে। ফাও’র শীর্ষ অর্থনীতিবিদ ম্যাক্সিমো টোরেরো কালেন বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, এটা খুবই খারাপ একটি সংবাদ।’ জাতিসংঘের প্রতিবেদেন বলা হয়েছে, অভ্যন্তরীণ সংঘাত ও গৃহযুদ্ধ, চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত নানা দুর্যোগের কারণে গত কয়েক বছর ধরে বিশ্বজুড়ে কৃষি উৎপাদন ব্যহত হওয়া বৈশ্বিক খাদ্যনিরাপত্তার জন্য দিন দিন বড় ঝুঁকি তৈরি করছে। বিশ্বের কিছু অংশে অবশ্য খাদ্য নিরাপত্তাগত পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। দক্ষিণ আমেরিকা ও এশিয়ার অনেক দেশের খাদ্য সংকট এখন নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু ক্যারিবিয়ান অঞ্চল, পশ্চিম এশিয়া এবং আফ্রিকার দেশগুলোতে দিন দিন এই সংকট বাড়ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘ।

Scroll to Top