জুলাই ২, ২০২৩

জাতীয়

সোমবার পাঁচ সিটির নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথ।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সোমবার পাঁচ সিটির নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথ। দেশের পাঁচটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথ আগামীকাল সোমবার (৩ জুলাই)। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে পাঁচ বছরের জন্য শপথ নেবেন মেয়র ও কাউন্সিলররা। প্রধানমন্ত্রীর দৈনন্দিন কর্মসূচির তালিকায় দেখা গেছে, সকাল ১০টায় বরিশাল, খুলনা ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিতদের শপথ বাক্য পাঠ করাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া, দুপুর ১২টায় রাজশাহী ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিতদের শপথ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে, গত ২৫ মে গাজীপুর, ১২ জুন খুলনা ও বরিশাল এবং ২১ জুন রাজশাহী ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয়। গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে চমক দেখিয়ে নির্বাচিত হন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুন। বৃহত্তম এ সিটির মেয়র নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. আজমত উল্লা খানকে ১৬ হাজার ১৯৭ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে জয় ছিনিয়ে নেন তিনি। টেবিল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে জায়েদা খাতুন পেয়েছিলেন ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট। নৌকা প্রতীক নিয়ে আজমত উল্লা খান পেয়েছিলেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট। খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী থেকে দ্বিগুণ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। মোট ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮২৫ ভোট পেয়েছেন খালেক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আব্দুল আউয়াল পেয়েছেন ৬০ হাজার ৬৪ ভোট। বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত। নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত পেয়েছেন ৮৭ হাজার ৮০৮ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮২৮ ভোট। রাজশাহী এবং সিলেট সিটিতে বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন এ এইচ এম খায়রুজ্জমান লিটন ও সিলেটে মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। রাজশাহীতে এ এইচ এম খায়রুজ্জমান লিটন নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ৬০ হাজার ২৯০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলনের মুরশিদ আলম হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৪৮৩ ভোট। অন্যদিকে, সিলেটে আনোয়ারুজ্জামান নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৯৯১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৫০ হাজার ৮৬২ ভোট।

জাতীয়

গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়াকে ‘অপসারণ’ করা হয়েছে।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়াকে ‘অপসারণ’ করা হয়েছে। শনিবার অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে গণঅধিকার পরিষদের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঈদের ছুটিতে যানবাহন সংকট ও প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে অন্য সদস্যরা উপস্থিত হলেও সভা ডেকে আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া অনুপস্থিত ছিলেন। এ অবস্থায় সভায় উপস্থিত সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাশেদ খানকে সভার সভাপতি হিসেবে নির্বাচন করা হয়। সদস্য সচিব নুরুল হক নুর সভা সঞ্চালনা করেন। সভায় কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য আহ্বায়কের প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব সমর্থন করায় আহ্বায়ককে অপসারণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এ ছাড়া, দলের চলমান সংকট নিরসনে জরুরি পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী ১০ জুলাই দলের উচ্চতর পরিষদ ও জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে ও কাউন্সিলের আগ পর্যন্ত মো. রাশেদ খানকে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব প্রদান এবং সদস্য সচিব মো. নুরুল হক (নুর)-কে রুটিন মাফিক নিয়মিত দায়িত্ব পালন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, গণঅধিকার পরিষদের শীর্ষ দুই নেতা— নুরুল হক ও রেজা কিবরিয়ার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ–পরস্পরবিরোধী অবস্থানের কারণে দলটিতে অস্থিরতা চলছে অনেকদিন ধরে। বিভিন্ন সময় তারা প্রকাশ্যেও বিরোধে জড়িয়েছেন। সম্প্রতি দলের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া এবং সদস্যসচিব নুরুল হক একে অপরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলেছেন। রেজা কিবরিয়া দলের সদস্যসচিব নুরুল হকের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবেশী দেশের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ এবং ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে বৈঠক করার অভিযোগ করেন। এ ছাড়া রেজা কিবরিয়া দলের তহবিল নিয়ে স্বচ্ছতার প্রশ্ন তোলেন। অন্যদিকে নুরুল হক পাল্টা অভিযোগ করেন যে রেজা কিবরিয়া অনেকদিন ধরে ফরহাদ মজহার ও শওকত মাহমুদের নেতৃত্বাধীন ইনসাফ কায়েম কমিটির কর্মসূচিতে নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন। সে জন্য তিনি অর্থ পাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন নুরুল হক।

Scroll to Top