জুন ৩০, ২০২৩

জাতীয়

১০৩ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আজ শনিবার (১ জুলাই) দেশের সবচেয়ে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ১০৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ১০৩ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আজ শনিবার (১ জুলাই) দেশের সবচেয়ে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ১০৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। জিন্নাহর দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে বঙ্গভঙ্গ হয়। এই বঙ্গভঙ্গের ফলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয় মুসলিমরা, এবং পূর্ববাংলার জনসাধারণ। এরপর নানা আন্দোলন প্রতিকূলতা শেষে ১৯১১ সালে রদ করা হয় এই বঙ্গভঙ্গ। মুসলমানদের মাঝে ইংরেজদের প্রতি অসন্তোষ দেখা দেয় তীব্রভাবে। তৎকালীন গভর্নর পূর্ববাংলার মুসলমানদের একটি বিশ্ববিদ্যালয় করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। পূর্ববাংলার মুসলমানদের মাঝে একটি সচেতন মধ্যবিত্ত বুদ্ধিজীবী শ্রেণি গড়ে তোলাই মূলত এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল। বঙ্গভঙ্গ রদ হওয়ার পর পূর্ববাংলার সচেতন রাজনীনিকরা বারবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানাতে থাকেন। ১৯১৭ সালের মার্চ মাসে সাম্রাজ্যিক বিধান পরিষদে সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী সরকারের কাছে অবিলম্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিল পেশের আহ্বান জানান। ১৯২০ সালের ২৩ মার্চ গভর্নর জেনারেল এ বিলে সম্মতি দেন। এ আইনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার ভিত্তি। এ আইনের বাস্তবায়নের ফলাফল হিসেবে ১৯২১ সালের ১ জুলাই ৮৪৭ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে। তার মধ্যে নারী ছিলেন মাত্র একজন। সে সময় ঢাকার সবচেয়ে অভিজাত ও সৌন্দর্যমণ্ডিত রমনা এলাকায় প্রায় ৬০০ একর জমির ওপর পূর্ববঙ্গ এবং আসাম প্রদেশের পরিত্যক্ত ভবনাদি এবং ঢাকা কলেজের (বর্তমান কার্জন হল) ভবনসমূহের সমন্বয়ে মনোরম পরিবেশে গড়ে উঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠার এই দিনটি প্রতিবছর ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। তিনটি অনুষদ ও ১২টি বিভাগ নিয়ে একটি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এর যাত্রা শুরু হয়। ঢাকা কলেজ ও জগন্নাথ কলেজের (বর্তমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) ডিগ্রি ক্লাসে অধ্যয়নরত ছাত্রদের নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে। শুধু ছাত্র নয়, শিক্ষক এবং লাইব্রেরির বই ও অন্যান্য উপকরণ দিয়েও এই দুটি কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করে। এই সহযোগিতা দানের কৃতজ্ঞতা হিসেবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইটি হলের নামকরণ করা হয়–ঢাকা হল (বর্তমানে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল) ও জগন্নাথ হল। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ১৩টি অনুষদ, ৮৩টি বিভাগ, ১৩টি ইনস্টিটিউট, ৫৬টি গবেষণা ব্যুরো ও কেন্দ্র, ২০টি আবাসিক হল ও ৩টি ছাত্রাবাস এবং ৭টি স্নাতক পর্যায়ের অধিভুক্ত সরকারি কলেজ, মেডিক্যাল, নার্সিং, ইঞ্জিনিয়ারিংসহ মোট ১০৫টি অধিভুক্ত কলেজ রয়েছে।

আন্তর্জাতিক

পূর্ব লন্ডনের মাইল এন্ড স্টেডিয়ামে সর্ব বৃহৎ ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিলেতের আয়না :- মাহমুদুর রহমান শানুর পূর্ব লন্ডনের মাইল এন্ড স্টেডিয়ামে সর্ব বৃহৎ ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রায় ১০হাজার মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন।নারী পুরুষ শিশু আবালবৃদ্ধবনিতা থেকে শুরু করে মুসলমানরা ঈদের নামাজে শরীক ছিলেন। বহু দূরদূরান্ত থেকে লোকজন এসে জড়ো হয়েছিলেন মাইল এন্ড স্টেডিয়ামে। পাশাপাশি প্রতিটি মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোন কোন মসজিদে চার পাঁচটি ঈদের জামাত হয়েছে। প্রতি বছর রোজার ঈদ ও কুরবানির ঈদের জামাত হয়ে থাকে। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মুসলমানদেরকে ঈদের শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ। আজ ইংল্যান্ড, ইউরোপ, আমেরিকা, অষ্ট্রেলিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যসহ সকল মুসলিম দেশে ঈদুল আজহা পালিত হয়েছে। ঈদুল আজহা মানেই ত্যাগের উৎসব। এ উৎসবের একটি অঙ্গ হচ্ছে কুরবানি। কুরবানি হলো চিত্তশুদ্ধি ও পবিত্রতার একটি মাধ্যম। কুরবানির মাধ্যমে মানুষ তার ভেতরের পশুত্বকে বধ করার অনুপ্রেরণা লাভ করে। কুরবানীর ঈদের মাহাত্ম্য থেকে আমাদের শিক্ষা নিয়ে জীবনের চলার পথের পাথেয় ঠিক করতে হবে। আল্লাহ যেন আমাদের পরিবার, আত্মীয়স্বজন, স্বদেশ আর দেশের জনগণকে সমস্ত অশুভ থেকে রক্ষা করেন। মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মহিমাকে আমাদের পাথেয় করতে হবে- এ হচ্ছে ঈদুল আজহার তাৎপর্য। ঈদ মানে ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে আনন্দ উদযাপন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে অনেক মানুষ কুরবানী দিতে পারছেন না। আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে কেউ যেন আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হন, সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। ঈদের আনন্দের দিনে কেউ যাতে অভুক্ত না থাকে—সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে। মৌলানা হাফিজ খতিব নুরসালিন সাহেব মুসলিম উম্মাহর দোয়ার প্রার্থনা করেছেন।পৃথিবী থেকে হানাহানি, দ্বন্দ্ব থেকে মুসলিম জাতি যেন রক্ষা পায়।মুসলমানদের ঈমান আখলাক চিয়া চিত্তা ইসলামের সঠিক রাস্তায় পরিচালিত হয় সেই দিকে খেয়াল রাখার আহবান জানিয়েছেন। ইসলামের সঠিক ইতিহাস যেন মুসলিম উম্মাহ ধারণ করতে পারে সেই দিকে সবাই ঐক্যবদ্ধ ভাবে পালন করতে পারে। নিপীড়িত, নির্যাতিত, অবহেলিত, মুসলমানদের কে হেফাজত করার তৌফিক দান করার করুন।

Scroll to Top