জুন ২৪, ২০২৩

জাতীয়

ডা: নাজমা পারভীন ঝুমা ব্যতিক্ৰমী একজনের অনন্য সাধারণ বিদায় স্মরণ সভা

বিলেতের আয়না ডেক্স :- ডা: নাজমা পারভীন ঝুমা ব্যতিক্ৰমী একজনের অনন্য সাধারণ বিদায় স্মরণ সভা। বাংলাদেশের রূপকার , নিউক্লিয়াস ও বি এল এফ এর প্রতিষ্ঠাতা , সশস্র সংগ্রামের প্রধান সংগঠক, আমাদের রাজনৈতিক তাত্ত্বিক সিরাজুল আলম খান (দাদা)র স্মরণে ২২শে জুন বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ছয়টায় লন্ডনের একটি স্থানীয় হলে স্মরণসভার আয়োজন করা হয়. এই ব্যতিক্ৰমী সভায় ছিল না কোনো সভাপতি না ছিল কোন মঞ্চ। সিরাজুল আলম খান তাঁর হাসপাতালের শয্যায় যে গানটি বারবার শুনতে চাইতেন সেটি হলো ‘ধন ধান্য পুষ্পে ভরা ‘ এই গান এবং প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে সভার সূচনা করেন তাঁর একান্ত আপন ডাঃ নাজমা ঝুমা. মুখপাত্রের দায়িত্ত্ব পালন করেন যুক্তরাজ্য জে এস ডি’র’ সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সহসভাপতি আলহাজ ছমীর উদ্দীন সিরাজুল আলম খান এবং সকল দেশ প্রেমিকের আত্মত্যাগের জন্য পবিত্র কোরান তেলাওয়াত ও দোয়া করেন মৌলানা আব্দুল কুদ্দুস। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে পরেন বেতার বাংলার সিইও নাজিম চৌধুরী , অন্য প্লাটফর্মে রাজনীতি করলেও দাদার অন্যতম একজন আপনজন মোঃ মতিউর রহমান তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা নিয়ে কথা বলেন. এডভোকেট শিব্বির আহমেদ বলেন তাঁর দর্শন দিয়ে তিনি আমাদের জাতীয় জীবনে সবসময় প্রাসঙ্গিক থাকবেন. আইনজীবী নুরুল ইসলাম এমবিই দাদার রাজনৈতিক সাহিত্যের মূল্যায়ন করেন, বিশিষ্ট সাংবাদিক নজরুল ইসলাম বাসন বলেন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দাদার ভবিষ্যৎবাণী অক্ষরে অক্ষরে প্রতিফলিত হচ্ছে. সিরাজুল আলম খান এর রাজনৈতিক জীবন ও দর্শন নিয়ে প্রাণবন্ত বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নিউক্লিয়াস এর কর্মী সৈয়দ মাবুদ , কাউন্সিলর শেরওয়ান চৌধুরী , কাউন্সিলর সাদ চৌধুরী , জাসদের বাবুল তালুকদার , রেদওয়ান খান , জনাব সোলায়মান. উপস্থিত বক্তারা তাঁর চিকিৎসা বিষয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেন. আরো উপস্থিত ছিলেন মাহমুদুর রহমান, নারী নেত্রী সৈয়দা সুলতানা শিখা, শাহনুর, নাজিয়া সুমি, মিখাইল সার্চ সহ প্রমুখ . সিরাজুল আলম খান দাদা বলতেন ‘I’m homely but not ordinary ‘. ফারদিয়া রাজা চৌধুরী, দেওয়ান আশরাফী জয়ন্ত ও মাহের আফরোজ নিশি দাদার সাথে কাটানো তেমনই কিছু অসাধারণ পারিবারিক মুহূর্তের স্মৃতি চারণ করেন. পৌত্রী ফাইজা ও ফাবিয়া খান বলেন – ‘রাজনীতিবিদ দাদা সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যেভাবে যোগাতেন ঠিক তেমনি ছেলেমানুষী আনন্দে তাদের দিনগুলো ভরিয়ে রাখতেন’। সিরাজুল আলম খানের মৃত্যুতে শোকবার্তা পাঠিয়েছেন ডাঃ সানাউল্লাহ ( জিপি , লন্ডন ) , প্রফেসর আহমেত ওজগুল ( সাইপ্রাস), ডাঃ মেহমেত ইয়ালসানজিন (সাইপ্রাস ). তাঁরা জানান , তিনি একজন মহান ব্যক্তিত্ব , চিন্তক . তাঁর চিকিৎসার সাথে জড়িত হতে পেরে তাঁরা নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন। সভার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল স্থিরচিত্র প্রদর্শনী , দাদার বক্তব্যের একটি ভিডিও ক্লিপ ও দেশাত্মবোধক গান. মুক্তযুদ্ধ চলাকালীন ছবি , তাঁর লন্ডনে থাকাকালীন বিভিন্ন পরিবারের সাথে কাটানো মুহূর্ত স্মরণ সভায় অন্য মাত্রা যোগ করে . ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে ‘ গানটির সাথে সাদেক আহমেদ চৌধুরীর করা দাদার একটি ভিডিও উপস্থিত সকলকেই বেদনা বিধুর করে তোলে. প্রজেক্টর তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন আশিস মিত্র, সাদেক আহমেদ চৌধুরী ও ডাঃ নাজমা ঝুমা . সিরাজুল আলম খানের ভ্রাতুষ্পুত্র শরিফুল আলম খান মিশু পরিবারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন. মঞ্চ সজ্জা ও সভার সার্বিক তত্ত্বাবধানে থেকে অনুষ্ঠান সুচারু ভাবে সম্পন্ন করতে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করেছেন তোফায়েল চৌধুরী মুক্তা। সভা পরিচালনা করেছেন ডাঃ নাজমা পারভীন ঝুমা. স্মরণ সভার পরিকল্পনাতে সহযোগিতা করেছেন বাংলাদেশ থেকে এলিজা খান, অভিলাষ খান ও মোশারফ হোসাইন মন্টু, শ্যামলিপি শ্যামা (নিউ ইয়র্ক ), মিখাইল সার্চ (লন্ডন) এবং আপ্যায়নে ছিলেন প্রীতি রেস্টুরেন্ট এর স্বত্বাধিকারী জনাব আজমল হোসাইন. উপস্থিত বক্তারা সিরাজুল আলম খান দাদার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার অঙ্গীকার করেন. শেষে এক মিনিট নীরবতা ও জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনন্য এক ব্যক্তিত্ব সিরাজুল আলম খান।

জাতীয়

লন্ডনে এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীর অনুষ্ঠান বাতিল।

বিলেতের আয়না ডেক্স :– লন্ডনে এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীর অনুষ্ঠান বাতিল। বাংলাদেশের ইসলামি বক্তা এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীর লন্ডনে একটি অনুষ্ঠান বাতিল করেছে স্থানীয় প্রশাসন। পূর্ব লন্ডনের রয়্যাল রিজেন্সি হলে স্থানীয় সময় বুধবার (২২ জুন) এই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যুক্তরাজ্যের মূলধারার গণমাধ্যম জিবি নিউজে এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীকে নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচার করে এবং তাতে এই ধর্মীয় বক্তার ‘ঘৃণা প্রচারের’ অভিযোগ ওঠে আসে । এরপর নিউহাম কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ তাঁর ওই অনুষ্ঠান বাতিল করে দেয়। দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, জাকির নায়েক, মিজানুর রহমান আজহারীর পর এবার এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী যুক্তরাজ্যে নিষিদ্ধ হতে পারেন বলে লন্ডনপ্রবাসী বাঙালিদের অনেকে মনে করছেন। যুক্তরাজ্যভিত্তিক বাংলা টেলিভিশন চ্যানেল আই অন টিভির আমন্ত্রণে যুক্তরাজ্যে পাঁচটি ধর্মীয় সভায় যোগ দিতে লন্ডনে আসেন।এবং একটি কিরাত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীর। ইতিমধ্যে নর্থাম্পটন, বার্মিংহাম ও লিডসে তিনটি সভা করেছেন তিনি। এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী যুক্তরাজ্যে এভাবে সভা করার মধ্যে হঠাৎ করে দেশটির মূলধারার গণমাধ্যম জিবি নিউজে তাঁকে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে। সাবেক ইউকিপ নেতা ও ব্রিটেনের ব্রেক্সিটের বহুল আলোচিত ব্যক্তি নাইজেল ফারাজ জিবি নিউজ টেলিভিশন চ্যানেলে এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীর সভা করার বিষয়টি সামনে আনেন। সেখানে তালেবান নেতা ওসামা বিন লাদেন ও মোল্লা ওমরের পক্ষে এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীর বক্তব্য তুলে ধরে তাকে যুক্তরাজ্যে প্রবেশের অনুমতি দেয়ার জন্য ব্রিটিশ হোম অফিসের কঠোর সমালোচনা করেন তিনি। চার্লি পিটার নামের যে সাংবাদিক এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীকে নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটি তৈরি করেন, তাকেও ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়। চার্লি সেখানে উল্লেখ করেন, এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী কীভাবে তার বক্তব্যে ব্রিটেনের রানিকে শয়তান বলেছেন এবং ভিন্ন ধর্ম সম্পর্কে তিনি কীভাবে বিষোদগার করেছেন। ২০ জুন বার্মিংহামে এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীর অনুষ্ঠান চলাকালে জিবি নিউজে ওই অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হয়।

জাতীয়

সাংবাদিক নাদিম হত্যার প্রধান আসামী বাবুর স্বীকারোক্তি।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সাংবাদিক নাদিম হত্যার প্রধান আসামী বাবুর স্বীকারোক্তি। জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি মাহমুদুল আলম বাবু স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার (২৩ জুন) সন্ধ্যায় জামালপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক হাসিবুল্লাহ পিয়াস তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইউসূফ আলী বলেন, পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি মাহমুদুল আলম বাবুকে আদালতে তোলা হয়। বিজ্ঞ আদালতে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তিনি জড়িত থাকার কথা বলেছেন। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এদিকে হত্যা মামলার দ্বিতীয় আসামি চেয়ারম্যানপুত্র ফাহিম ফয়সাল রিফাতকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। প্রসঙ্গত, গত ১৪ জুন রাত সাড়ে ১০টায় সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর নেতৃত্বে তার ছেলে ফাহিম ফয়সাল রিফাতসহ ১০-১২ জন সাংবাদিক নাদিমের ওপর হামলা করেন। এ সময় নাদিমের মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করেন চেয়ারম্যানপুত্র রিফাত। পরদিন দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাদিমের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম ২২ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এই মামলায় গত ১৮ জুন ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে তোলে পুলিশ। পরে রিমান্ড শেষ তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

জাতীয়

জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল আনসার ফিল। জঙ্গি সংগঠন হিন্দাল শারক্কীয়াজামাতুল’র প্রতিষ্টাতা শামীন গ্রেফতার।

বিলেতের আয়না ভেক্স :-জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল আনসার ফিল। জঙ্গি সংগঠন হিন্দাল শারক্কীয়াজামাতুল’র প্রতিষ্টাতা শামীন গ্রেফতার। আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র প্রতিষ্ঠাতা শামিন মাহফুজ ও তার স্ত্রী নাজনিন সুলতানাকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। শুক্রবার (২৩ জুন) রাতে রাজধানীর ডেমরা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান কালবেলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি কালবেলাকে বলেন, ‘মোস্ট ওয়ান্টেড এই জঙ্গিকে গ্রেপ্তারের জন্য পাহাড়ি অঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চলছিল। এরপর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর ডেমরা থেকে শামিনকে তার স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়।’ এ বিষয়ে বিস্তারিত পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানানো হবে বলেও জানান সিটিটিসি প্রধান। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্যমতে, কয়েকটি জঙ্গি সংগঠনের সদস্য নিয়ে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া নামে নতুন জঙ্গি সংগঠনের সৃষ্টি করেন শামিন মাহফুজ। ২০২২ সালে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হওয়ার পরে জঙ্গি নেতা শামিন মাহফুজ সস্ত্রীক আত্মগোপনে চলে যান। তখন তিনি বান্দরবানের গভীর পাহাড়ে আস্তানা গাড়েন। শামিন মাহফুজ জঙ্গি কর্মকাণ্ডের জন্য বান্দরবানের মানুষের কাছে বেশ পরিচিত নাম। ২০১১ সালের পর সাম্প্রতিক সময়ে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সহযোগিতায় আবারও বান্দরবানের রুমা উপজেলায় জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করার খবর প্রকাশ হলে আলোচনায় আসেন তিনি। এর আগে ২০১১ সালের ২৮ মার্চ জেলার থানছির বলিপাড়ার কলাইপাড়া এলাকা থেকে তৎসময়ের জামায়াতুল মুজাহেদিন বাংলাদেশের ( জেএমবি) দলনেতা শামিন মাহফুজ ও তার সহযোগী ইসমাইল হোসেনকে আটক করেছিল পুলিশ। এসময় অস্ত্রসহ বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় বান্দরবান জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়, জঙ্গি দমনে নড়েচড়ে বসে নিরাপত্তা বাহিনী এবং একের পর এক অভিযান চালায় পাহাড়ে। এরপর জামিনে বেরিয়ে পেছন থেকে সংগঠনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন শামিন মাহফুজ।

আন্তর্জাতিক

টাইটানে ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় যাত্রীদের: মার্কিন কোস্টগার্ড।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- টাইটানে ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় যাত্রীদের: মার্কিন কোস্টগার্ড। আটলান্টিক মহাসাগরে হারিয়ে যাওয়া ডুবোযান টাইটানে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ হয় বলে জানিয়েছে মার্কিন কোস্টগার্ড। গভীর সমুদ্রের এ যানটির আরোহীদের কেউই বেঁচে নেই বলেও নিশ্চিত করেছে সংস্থাটি। গত রোববার (১৮ জুন) সাগরের তলদেশে পড়ে থাকা টাইটানিক জাহাজ দেখতে পাঁচ আরোহী নিয়ে সমুদ্রে ডুব দেয় ছোট আকৃতির ডুবোযানটি। এর ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পরই এটির সঙ্গে উপরে থাকা জাহাজের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপরই শুরু হয় উদ্ধার অভিযান। এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ডের রিয়ার অ্যাডমিরাল জন মুগের জানান, টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের কাছেই ডুবোযানটির ধ্বংসাবশেষের খোঁজ পান তারা। সেখানে টাইটানের পাঁচটি বড় অংশ পাওয়া যায়। আর এসব অংশ দেখে নিশ্চিত হওয়া গেছে, পানির নিচে যাওয়ার পর এতে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, পানির নিচে যাওয়ার পর এবং উদ্ধার অভিযান শুরু হওয়ার আগেই টাইটানে বিস্ফোরণ হয়েছিল। যানটি নিখোঁজ হওয়ার পর সবমিলিয়ে ৭২ ঘণ্টা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। কোস্টগার্ডের এ কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, টাইটানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছিল টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষের ১ হাজার ৬০০ ফুট দূরে। যার মধ্যে রয়েছে— টাইটানের সামনের নাকের অংশ,  কাঠামোর বাইরের অংশ এবং বড় একটি ধ্বংসস্তূপ। ওশেনগেটের এ যানটিতে করে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে একেকজন যাত্রী ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার খরচ করেছিলেন। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

জাতীয়

টাইটানিক পরিচালকের অভিযোগ অস্বীকার করলেন ওশানগেটের সহপ্রতিষ্ঠাতা

বিলেতের আয়না ডেক্স :-  টাইটানিক পরিচালকের অভিযোগ অস্বীকার করলেন ওশানগেটের সহপ্রতিষ্ঠাতা। আটলান্টিকের তলদেশে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া সাবমেরিন টাইটানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জেমস ক্যামেরন। এই হলিউড সিনেমা নির্মাতার দাবি, টাইটান নির্মাণের সময় প্রযুক্তিগত ও নিরাপত্তার বিষয়গুলো ঠিকঠাক মতো মানা হয়নি। এমনকি অর্থ সাশ্রয় করার চেষ্টাও হয়তো ছিল। তবে তার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন টাইটানের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওশানগেটের এক সহপ্রতিষ্ঠাতা। সাবমেরিনটি চালক, প্রধান নির্বাহী ও প্রতিষ্ঠাতা স্টোকটন রাশের সাথে মিলে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, গুইলারমো সোয়েনলেইন। যদিও তিনি ২০১৩ সালের আগেই কোম্পানিটি ছেড়ে দেন। সাবমেরিন টাইটানের নকশা ও নির্মাণ কাজে জড়িতও ছিলেন না গুইলারমো। তবুও তিনি বলেছেন, রাশ কোনোভাবেই টাইটানের নিরাপত্তার বিষয়ে উদাসীন ও বেপরোয়া ছিলেন না। গুইলারমো যুক্তরাজ্যের টাইমস রেডিওকে বলেছেন, ‘তিনি নিরাপত্তার বিষয়ে যথেষ্ট প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন। ’ ‘ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার বিষয়েও তিনি ছিলেন বেশ পারদর্শী এবং গভীর সমুদ্রের পরিবেশে অভিযানের বিপদ সম্পর্কেও সজাগ ছিলেন তিনি। ’ ‘এ কারণেই ২০০৯ সালে তার সাথে ব্যবসা করতে আমি আগ্রহী হয়েছিলেন। ’ গুইলারমোর মতে, টাইটান যাত্রীদের এই ত্যাগই হয়তো ভবিষ্যতে সমুদ্রের তলদেশে অনুসন্ধান চালানোর নতুন পথ খুলে দেবে। তার ভুল থেকে শিখেই হয়তো আরো সামনে এগিয়ে যাবে সমুদ্র অভিযাত্রীরা। সূত্র: এএফপি

জাতীয়

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই দেশ উন্নত হবে,সামনে এগিয়ে যাবে – প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই দেশ উন্নত হবে,সামনে এগিয়ে যাবে – প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শুক্রবার (২৩ জুন) আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষে রাজধানীসহ সারাদেশে নানা কর্মসূচি পালন করছেন দলটির নেতাকর্মীরা। এদিকে সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশকে আওয়ামী লীগ সম্মান এনে দিয়েছে।আজকে বাংলাদেশ মর্যাদা পেয়েছে। যেখানে একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ হিসেবে মানুষ করুণার চোখে দেখত, আজকে বাংলাদেশের জনগণকে সম্মানের চোখে দেখে। এই সম্মান এনে দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। একমাত্র আওয়ামী লীগই দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে। আওয়ামী লীগ থাকলেই দেশ উন্নত হবে, দেশ এগিয়ে যাবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যখন সরকারে এসেছে, তখনই এ দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন এসেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়। ২০০৮ এর নির্বাচনে জনগণ ভোট দিয়েছিল, আমরা সরকার গঠন করেছি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ নৌকায় ভোট দিয়ে আবারও ক্ষমতায় আনে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ আবার নৌকায় ভোট দিয়ে আমাদের জয়যুক্ত করে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে আজকে সারা বিশ্বের উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বাংলাদেশ পরিচিতি লাভ করেছে। বাংলাদেশ আজকে উন্নয়নশীল মর্যাদা পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারে থাকলে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ যদি সরকারে থাকে, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে এই বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করবে। কিন্তু অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী সন্ত্রাসী দল বিএনপি-জামায়াতসহ যারা স্বাধীনতার চেতনায়ই বিশ্বাস করে না তারা এদেশকে ধ্বংস করে দিবে। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আপনাদের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা দিয়েছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে, শিক্ষার আলো জ্বলেছে সকল ঘরে, তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে গেছে, মানুষের যাতায়াতের সুবিধা করে দিয়েছে, আর্থসামাজিক উন্নয়নের পথে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছি। গ্রামপর্যায়ে পর্যন্ত ওয়াইফাই কানেকশন দিয়েছি। বাংলাদেশের মানুষ এখন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে, হাতে হাতে মোবাইল ব্যবহার রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারে থাকলেই এদেশ আরও উন্নত সমৃদ্ধ হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট জনগণ গড়ে উঠবে এবং আমাদের দেশ এগিয়ে যাবে। কৃষি, বিজ্ঞান, স্বাস্থ্যসহ সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজকে অগ্রগতি ভূমিকা পালন করছে। এর আগে, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর এই মহান নেতার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের অংশ হিসেবে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রী। পরে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনা জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আব্দুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রমুখ। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বেলুন ও পায়রা উড়ানোর মধ্য দিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।

জাতীয়

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন ২০২৩ সালের নির্বাচনের ফলাফল।

বিলেতের আয়না ডেক্স :- সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন ২০২৩ সালের নির্বাচনের ফলাফল। মেরয় নির্বাচিত হয়েছেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। কাউন্সিলারদের নামের তালিকাঃ নবনির্বাচিত ৪২জন কাউন্সিলর:- ১নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন সৈয়দ তৌফিকুল হাদী। ২নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন বিক্রম কর সম্রাট। ৩নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আবুল কালাম আজাদ লায়েক। ৪নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন শেখ তোফায়েল আহমদ শেপুল। ৫নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন রেজওয়ান আহমদ। ৬নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন ফরহাদ হোসেন শামীম। ৭নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন সায়ীদ মো. আবদুল্লাহ। ৮নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন জগদীশ চন্দ্র দাশ। ৯নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন মখলিছুর রহমান কামরান। ১০নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন তারেক উদ্দিন। ১১নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুর রকিব বাবলু। ১২নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন সিকন্দর আলী। ১৩নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন শান্তনু দত্ত সন্তু। ১৪নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন নজরুল ইসলাম মুমিন। ১৫নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন ছয়ফুল আমিন বাকের। ১৬নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল মুহিত জাবেদ। ১৭নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন রাশেদ আহমদ। ১৮নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন এবি এম জিল্লুর রহমান। ১৯নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন এস এম শওকত আমীন। ২০নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আজাদুর রহমান আজাদ। ২১নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর আব্দুল রকিব তুহিন। ২২নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন ফজলে রাব্বী চৌধুরী মাছুম। ২৩নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন মোস্তাক আহমদ। ২৪নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন হুমায়ুন কবির সুহিন। ২৫নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর তাকবির ইসলাম পিন্টু। ২৬নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর তৌফিক বক্স লিপন। ২৭নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল জলিল নজরুল। ২৮নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন রায়হান হোসেন। ২৯নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন মাজহারুল ইসলাম শাকিল। সকল নির্বাচিতদের প্রতি রইলো অভিনন্দন,শুভেচ্ছা ও শুভকামনা… ৩০নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন রকিব খান। ৩১নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন নজমুল হোসেন। ৩২নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন রুহেল আহমদ। ৩৩নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন দেলোয়ার হোসেন। ৩৪নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন জয়নাল আবেদীন। ৩৫নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত জাহাঙ্গীর আলম। ৩৬নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন হিরন মাহমুদ নিপু। ৩৭নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন রিয়াজ মিয়া। ৩৮নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন মো. হেলাল উদ্দিন। ৩৯নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আলতাফ হোসেন সুমন। ৪০নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন লিটন আহমদ। ৪১নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত ফখরুল আলম। ৪২নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন মতিউর রহমান।

Scroll to Top